বেশ কয়দিন ধরে আকাশ বলছে লিচু চুরি করার কথা। কিন্তু রাজি হচ্ছেনা শ্রাবন। শ্রাবনটা এমনই, সারাদিন মেয়েদের পিছন আর গার্লস স্কুলের সামনে দাড়িয়ে… কাটায়। এইতো সেদিন এক মেয়েকে প্রপোজ করার জন্য পিডাইলো জুতা দিয়ে, আহা কি মারডাই না দিলো। বেচারা তিন তিনটা দিন, বাসা থেকে হয়নি বের। লজ্জায় লাল হয়ে মাথায় ঘোমটা দিয়ে ছিলো তিন দিন। তারপরে তোরিয় গিয়ে বাসা থেকে বের করছিলো। বলতে গেলে আমাদের এলাকার শ্রেষ্ঠ লুচু হচ্ছে শ্রাবন।
এবার আমাদের দলের সম্মানিত সবার সাথে একটু পরিচয় করিয়ে দেই, নয়তো গভির রাতে রাস্তায় দেখলে লুঙ্গি বা প্লাজু নষ্ট করে ফেলতে পারেন। তোরিয়া, তিথির প্রেমে করুণ হারে ছ্যাকে খেয় আমাদের দলে যোগ দিয়েছে আগে ভদ্র এক পোলা ছিলো শ্রাবন, আগে যেটুক বলেছি হয়তো বুঝে নিয়েছেন। আকাশ, আমাদের গ্রুপের সবচে পিচ্চি হচ্ছে আকাশ, পিচ্চি হলেও মাথায় বুদ্ধির কমতি নেই। আমি ফারাবি, ডাক নাম ফেন্ড সার্কেলে ফারা। আমার আবার একটা গুন কি যানেন!! নামের অভাব নেই সে কথা না বলি। গল্পে আশা যাক। শ্রাবন কে আকাশ বুঝিয়ে বুঝিয়ে ক্লান্ত বেচারা রাজিই হচ্ছেনা… অবশ্য কারন একটা আছে, বাগানে কড়া পাহারা চলতাছে, কিছু দিন আগে সিনিয়ার ভায়েরা বেস বড় দান মেরে দিয়েছে শ্রাবন রাজি হচ্ছেনা দেখে আমি বললাম
– ব্যাডা সোমার নাম্বার দিমুনে চল যাই । ( সোমা শ্রাবনের প্রথম ক্রাশ) শ্রাবন ব্যাডায় চোখ বড় বড় করে বললো
– তুই পেলি কই সোমার নাম্বার? কহিলাম আমি বস্তাটা আগে ধর। তোরিয় লুঙ্গির গাট্টা শক্ত করে নিলো বাধিয়া।
– নাম্বার নিয়েছি তন্নিরে দিয়া, যাবি নাকি ক???
নয়তো তিন জনেই যামুগা। ফ্যাল ফ্যাল চাইয়া ছিলো শ্রাবন আমার দিকে পাছায় কসে একটা লাথ্থি দিয়ে.. তিন জনে আইলাম চলিয়ে। কিছুক্ষন পরে পিছনে দেখলাম চাহিয়া শ্রাবন তোরিয়র পাশে দাঁড়াইয়া বাগানের পাশে আসিয়া প্লান করিতাছি খারাইয়া আকাশ বলিয়া উঠিলো মাথা উচাইয়া যাইতে হবে ফারাদের পুকুড় পাড় দিয়া আমি বলিলাম! উষ্টা একক্ষান দিয়া!! আব্বায় দেখলে রাখবে পুতিয়া। তোরিয় কহিলো শ্রাবনের পাছায় লাথ্থি দিয়া, ব্যাডা দেখলেতো রাখিবে পুতিয়া।
পাটের বস্তা একক্ষান লইয়া সাবধানে হাটিয়া গেলাম বাগানের মাঝ পজিশনে লিচু পাড়া শেষ বস্তা গেছে ভরিয়া। বস্তা দিলাম ব্যাডা শ্রাবনের মাথায় তুলিয়া। ওদিক থেকে পহরি বলিলো ক্যাডারে। তোরিয় দিলো দৌড় উপ্তাইয়া আকাশ গেলো হারাইয়া শ্রাবন মারলো দৌড় বস্তা লইয়া। আমি যদি দৌড়ানি দেই ধরা পরার সম্ভাবনা বহুত। তাই মারলাম ডিল ইট দিয়া লাগিলো মনে হয় পহরির কপাল উরাইয়া। খিচ্চা দিলাম দৌড়। কিন্তু গেলাম পড়িয়া পুকুড় পারে বুইড়া দাদা হাগতো মাঝে মাঝে… নাকে মুখে হলুদ সোনায় হইলো ভর পুর আস্তে করিয়া ঘাটে গিয়া লইলাম ধুইয়া। আহ কি গন্ধ মাইরি বমি আসলো ওয়াক করিয়া।
গোপন আস্থানায় গিয়ে দেখি কেউ নেই। গেলো সবাই কই??? ( গোপন আস্থানা এখানে আমাদের বিড়ি টানার। চুরির সব জিনিস হয় ভাগা ভাগি) সামনেই দেখিলাম কেউ একজন দাড়াইয়া মনে হলো বাপজান আমার দৌড়ানি দিলাম খিচ্চা… ওটা ছিলোনা বাপ ছিলো তোরিয়া আমার দৌড় দেখিয়া লুঙ্গি ফালাইয়া হেতেও দিলো খিচ্চা দৌড় সামনেই আকাশ আইতে ছিলো আস্থানায় পাশ কেটে বেরিয়ে গেলাম আমি তোরিয়া খেলো গুতা আস্থে করে বলিলো উম উম কি গন্ধ মাইরি ওয়াক করে দিলো বমি কইরা। কন্ঠ শুনিয়া থামিলাম আমি। দুইডার মুখ বরা বর দিলাম মুতিয়া। আস্থানায় ফিরিয়া দেখি শ্রাবন বসে বসে গিলছে লিচু বিচি খোসা না এরাইয়া। দূরর থেকে মারলাম এক ঢিল লাগলো মাথায় গিয়া!!!
কহিলো কেঠারে কড়া গলায় জোর দিয়া বলিলাম যা করেছিস চুরি রেখে যা পলাইয়া ধরতে পারলে তোরেও খাবো খোসা বিচি না ছারাইয়া বেচারা মারিলো এক দৌড় তিন জনে মিলিয়া খাইলাম লিচু অর্ধেক। এর মাঝে চাপিলো আমার হাগু লুঙ্গি উচা কইরা আকাশের সামনে আধারেই লইলাম কাজ সারিয়া। আহ কি গন্ধ মাইরি বলিলো আকাশ বস্তার বাকি অর্ধেক লিচু রাখিলাম সিনিয়ার ভাইদের ক্লাবের পাশে যা দোষ সব পড়বে তাদের ঘারে পরদিন সকালে বসিলো বিচার। পহরির মাথায় ইট মারার জন্য বাঁশ খাইলো রাজ হারামজাদা আর লিচু চুরির জন্য খাইলো সইকোত… রাসেল বলদা। জুনিয়ার বলে হেতেরা আমগো দিতো না সম্মান। তাইতো আজ এলাকা বাসির সামনে দিলাম বড় অপমান। সন্ধ্যায় শ্রাবন জিগাইলো কেমনে কি হইলো..??? বলিলো আকাশ বুদ্ধির বস্তা আমার মাথায় বুঝিস নাকি তুই????
কিছুক্ষন নিরাবতা পালন করার পরে.. কহিলো শ্রাবন… ফারা দে সোমার নাম্বার আস্তে করিয়া মোবাইল বের করিয়া দিলাম,,, লিটন দার নাম্বার তুমি ভাই প্রেম করোগা এবার মাঝ খান থেকে আকাশ বলিলো আহ কি গন্ধ্য মাইরি বমি আসছে আবার…..