জল্লাদ বউ

জল্লাদ বউ

বাসর রাতে যখন নতুন বউটির পাশে গিয়ে বসি। তখন বউকে একটি কথাই বলেছিলাম যে,

– শোনো মেয়ে এখন থেকে তুমি আমার বউ। আমি যা বলবো তাই শুনবে, উঠতে বললে উঠবে, বসতে বললে বসবে, হাসতে বললে হাসবে, কাঁদতে বললে কাঁদবে আর।

– আর কি?
– নাচতে বললে নাচবে। এর থেকে যদি একটু উনিশ এর থেকে বিশ হয় তাহলে।
– তাহলে কি?
– মাইর একটাও মাটিতে পড়বে না।
– ওহহহ আচ্ছা তাই? দেখা যাবে।
– দেখা যাবে মানে?
– পরের টা পরে। এখন ঘুমান।

সবে তো মাত্র বিয়ে হলো। যা যা বলছেন সব গুলো আপনার উপর দিয়ে যদি না যায় পরে বইলেন। কথাটি মনে মনে বলে নতুন বউ পরি। সকাল বেলায় ঘুম ভাংগে ঝাঁটার বারিতে। বারি তো নয় যেনো ঢোল পিটানোর আওয়াজ। ঘুমের মধ্যেই ভাবছিলাম যে আসলেই কি সত্যি নাকি স্বপ্ন দেখছিলাম? যখন পরের বার ঝাঁটার বারি গায়ে পরেছিল তখন আর মনে হচ্ছিলো না যে স্বপ্ন দেখছি। লাফিয়ে বসে পরলাম বিছানার উপর।

– এই কি হয়েছে কি?
– কয়টা বাজে? রুম পরিষ্কার করতে হবে না?
– তাই বলে ঝাঁটা দিয়ে মারবে?
– আজিব ঝাঁটা দিয়ে আপনাকে মারতে যাবো কেনো? আমি তো বিছানার ময়লা সরাচ্ছিলাম। এখন তাড়া-তাড়ি উঠলে ভালো হয় না হলে কিন্তু ময়লা পরিষ্কার করা শুরু করে দেবো।
– আরে দাড়াও দাড়াও। উঠছি।

শান্তি মতো একটু ঘুমাতেও দিবে না। নতুন জামাইয়ের সাথে এরকম ব্যবহার করে নাকি কেউ? কোনো ভদ্রতা জানেনা নাকি? কথা গুলো বলতে বলতে ওয়াশ রুমে গেলাম। আর অন্যদিকে নতুন বউ খুব হাসছে। আর একা একা ফিস ফিস করে বলছে আমাকে বলেছিলো তার কথা মতো উঠতে, বসতে। এবার বুঝবে কে কার কথা মতো উঠে আর বসে।

পরি ছিলো আমাদের পাশের বাসার রুনা আন্টির মেয়ে। দেখতে সুন্দর হলেও ঝগড়াটে মেয়ে ছিলো। একেবারে মায়ের মতোই ঝগড়াটে মেয়েটাও। একটা দিনেও রেহাই পাইনি তার কাছ থেকে। বাহিরে গেলেও তাদের বাসার পাশ দিয়েই যেতো হতো। সে সুযোগেই প্রতিদিন বারান্দায় পানি নিয়ে বসে থাকতো। আমায় দেখলেই আমার উপর পানি ছুঁড়ে মারতো। অনেক রাগ ছিলো তার উপর। তাই মনে মনে ভাবতাম এই রাগের প্রতিশোধ কিভাবে নেওয়া যায়। কিন্তু ভাগ্য এতটাই খারাপ যে যতগুলা প্লানিং করেছি তার একটাও কাজে লাগেনি। আমার কোনো দুশমন ছিলো না শুধু মাত্র ঐ জল্লাদ মেয়েটি ছাড়া। এরকম মেয়ে আমি জীবনেও দেখি নাই। কিন্তু বিয়েটা কিভাবে হলো তা জানতে একটু অপেক্ষা করুন।

তো সেইদিনের মতো করে প্রতিদিনই চলছিলো এভাবেই। শুধু প্লানিং করেই যাচ্ছিলাম কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি কিছুই। শুধু আমি না ঐ জল্লাদ মেয়ের কাছ থেকে আমার বন্ধুরাও রেহাই পায়নি। কিন্তু ওরা তো জানতো না আসল কাহিনীটা কি। আমিও ওদের এই ব্যাপারে কিছুই বলতাম না। তাই ওরা আমাকে ডাকতে আসলে ছাতা নিয়ে আসতো সাথে করে। যতই রৌদ বা ছায়া থাকুক ছাতা নিয়েই বাসার সামনে আসতো। এটা নিয়েও অনেক হাসা-হাসি।

একদিন কলেজ রোডের সামনে একা পেলাম। দাঁড়িয়ে ছিলো হয়তো রিক্সার জন্য। তো সে সুযোগে কিছু একটা করতে হবে। কিন্তু কি করা যায় ভাবতে ভাবতে মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো যে, আজ তাকে হেটেই বাসায় পাঠাবো। দুপুর বেলা এমনিতেও রিক্সা পাওয়া যায়না। প্রায় ২০ মিনিট পর একটা খালি রিক্সা দেখতে পেলাম। কিন্তু কিভাবে এটাকে সরাবো সেটাই ভাবছিলাম।

– কি মামা এইদিক দিয়ে কোথায় যাচ্ছেন? জানেন না এই রাস্তা সামনে ভাংগা। রাস্তায় কাজ চলছে তো।
– কি বলেন মামা। সকালেই তো এই রাস্তা দিয়ে যাত্রি নিয়ে আসলাম। রাস্তায় কাজ শুরু হলো কখন?
– আরে মামা ঘন্টা দু এক ধরেই তো কাজ শুরু হয়েছে।
– ওহহহ আচ্ছা। ধন্যবাদ মামা। কোথায় যাবেন মামা?
– আমি কোথাও যাবো না।
– ঠিক আছে মামা।

রিক্সা ওয়ালা চলে গেলেন। খুশিও লাগছে অনেক যে একটা প্লানিং কাজে লাগাতে পেরেছি বলে। আরো কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। কিন্তু তখন আমারই খুব খারাপ লাগছিলো। বাসায় যেতে হবে। হেটে তো যাওয়া সম্ভবই নয়। অনেকক্ষন পর একটা রিক্সা পেলাম। এবং রিক্সায় উঠে তার সামনে দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম তখন একটু রিক্সাটা থামালাম।

– কি ব্যাপার? কেমন লাগছে দাঁড়িয়ে থাকতে? কিভাবে যেনো রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে ছিলো। তাই আমি আবারোও জিজ্ঞাসা করলাম।
– আহারে কতোক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে রৌদের মধ্যে। মামা যাও তুমি।
– এই শুনেন, শুনেন।

কে শুনে তার কথা। চলে আসলাম। খুব খুশিও লাগছিলো মনে। এই প্রথম তাকে হারালাম এই ভেবেই। বাসার সামনে গিয়ে নামলাম। কিন্তু উপর থেকে কারো ডাকে তাকালাম।

– হৃদয়
– জ্বি আন্টি। কেমন আছেন?
– এইতো ভালো আছি বাবা। তুমি কেমন আছো?
– অনেক অনেক ভালো আছি আন্টি।
– আচ্ছা হৃদয় পরি তো এখনো বাসায় ফিরলো না। ও তো আরো এক ঘন্টা আগেই কলেজ থেকে বেড়িয়েছে।
– ওকে একটা ফোন করেন।
– ফোন সুইচ অফ অনেকক্ষণ ধরেই।
– ওহহহ আচ্ছা চিন্তা কইরেন না আন্টি এসে পড়বে। হয়তো রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছে।
– আচ্ছা ঠিক আছে বাবা।

লাফাতে লাফাতে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলাম। কি যে খুশি লাগছিলো বলে বুঝাতে পারবো না। বাসায় গিয়ে ফ্রেস হয়ে একটা ঘুম দিলাম। মায়ের ডাকে ঘুম থেকে উঠলাম।

– হৃদয়, হৃদয়।
– হ্যাঁ মা। বলো।
– তুই যে না খেয়েই ঘুমিয়ে গেলি। শরীর খারাপ হয়েছে?
– না মা। একটু পর উঠে খাবো নে।
– আচ্ছা খেয়েনিস।

একটু পর মনে পড়লো সে কথা। তাড়া-তাড়ি ঘুম থেকে উঠে ছাদে গেলাম। আমাদের বাসার ছাদ থেকে তার রুমটি দেখা যায়। কাছা-কাছিই একেবারে। ছাদের কোণায় দাঁড়িয়ে এক ফ্রেন্ড কে ফোন দিলাম।

– হ্যালো নাবিল। কেমন আছিস দোস্ত?
– হুমম দোস্ত ভালো আছি। তুই কেমন আছিস?
– দোস্ত আমিও অনেক ভালো আছিরে।
– এত ভালো? কাহিনী আছে নাকি?
– কাহিনী তো অবশ্যই আছে। তুই আয়তো আমাদের বাসায়।
– না দোস্ত এমনিতেই ঠান্ডা লাগছে। ঠান্ডার মধ্যে বিজতে চাইনা।
– আরে ভাই আয় তুই। ছাতা নিয়ে আয়।
– হো। বৃষ্টি নাই রৌদ নাই। এই সন্ধ্যা বেলায় ছাতা নিয়ে আসবো।
– তুই আয় বন্ধু।
– আচ্ছা আসতেছি।

কথা গুলো একটু জোড়ে জোড়েই বলছিলাম। যাতে ও শুনতে পারে। আমার কথা গুলো শুনে ও বারান্দায় এসে দাঁড়ায়।

– কুকুরের মতো এভাবে কেউ চিৎকার করে?
– কে কে কুকুর? মুখ সামলে কথা বলো।
– কুকুরের মতো আচরণ করলে তো কুকুরই বলবো।
– আমি না তুমি কুকুর।
– কিহহ আমি কুকুর? আম্মু আম্মু এদিকে আসো তো।
– এই কি কি হয়েছে ডাকছিস কেনো?
– দেখো না ঐ ছেলেটা আমাকে কুকুর বলছে।
-কোন ছেলে? তাকিয়ে আমাকে দেখতে পেলো।
– আসসালামু আলাইকুম আন্টি।
– ওয়ালাইকুম আসসালাম। কি হয়েছে হৃদয়? তুমি নাকি পরিকে কুকুর বলেছো?
– না আন্টি আমি কেনো ওকে কুকুর বলবো? কুকুরের তো লেজ আছে। কিন্তু ওর তো লেজ নেই তাহলে কেনো ওকে কুকুর বলবো বলেন।

কথাটি শুনে আন্টি হেসে দিলো। আর অন্যদিকে তার মেয়ে তো রেগে আগুন। আন্টির হাসি দেখে আমিও হেসে দিলাম। আমার হাসি দেখে সে বারান্দা থেকে রুমে চলে গেলো। আমিও আমার রুমে এসে পড়লাম। একটু পর নাবিলের ফোন।

– কিরে কই তুই?
– তোর বাসার সামনে দোস্ত।
– হাসছিস কেনো?
– আরে বেটা আজকে আর মাথায় পানি পড়েনাই। তাড়া-তাড়ি গেইট খুল।
– হাহাহা। দাঁড়া আসতেছি।
– আয় তাড়া-তাড়ি। গেইট খুলে নাবিলকে রুমে নিয়ে আসলাম।

– এখন বল তোর কাহিনী।
– বন্ধু কাহিনী তো অনেক আছে। কোনটা আগে বলবো?
– বলতে থাক একটা একটা করে।
– আচ্ছা শোন তাহলে।

সব কিছু খুলে বললাম। কিন্তু মজার ব্যাপার ছিলো যে নাবিল এই জল্লাদ মেয়ের ব্যাপারে কিছুই জানতো না। তো সেইদিনই সব কিছু জানলো। এবং দেখতে চাইলো জল্লাদ মেয়েকে। কিন্তু তার কোনো ছবি তো আমার কাছে ছিলো না তাই আর দেখাতে পারলাম না। কিন্তু কেনো জানি ঐ দিনই আমাদের বাসায় আসলো আন্টি এবং তার মেয়ে। আমি একটু ভয় ও পেয়ে যাই আম্মুর কাছে বিচার দিবে নাকি তাই ভেবে।

– দোস্ত মেয়েটা কিন্তু তোর সাথে অনেক মানাবে। <ফিস ফিস করে কথাটি বলে নাবিল>
– মাথা খারাপ হইছে তোর?
– না দোস্ত সত্যিই।
– চুপ কর শালা।

অন্যদিকে আম্মু, আন্টি এবং জল্লাদ মেয়েটা কি করছে কে জানে? আমি আর নাবিল আমার রুমেই বসে আড্ডা মারছিলাম। আড্ডা মারছিলাম কি নাবিল শুধু একটু পর পর ঐ জল্লাদ মেয়ের কথাই আমার সাথে বলছে। মেজাজটাই খারাপ করে দিচ্ছিলো। একটু পর আম্মু ডাকে তাদের সামনে গেলাম। মনে মনে তো ভাবতেছি এই বুঝি বিচার দিয়েছে আমার নামে। সোফায় গিয়ে বসলাম সাথে নাবিল ও ছিলো।

– হৃদয়।
– হুমম বলো আম্মু।
– তোর আন্টি কি যেনো বলবে তোকে।
– জ্বি আন্টি বলেন।
– বাবা আমার ছোট মেয়েটাকে একটু পড়াতে পারবে?
– পারবো। কিন্তু দিয়া তো আপনার জল্লাদ মানে ওর কাছেই পড়তে পারে।
<মুখ গুঁড়িয়ে রাগান্বিত চোখে তাকালো সে আমার দিকে>
– ওর কাছে তো পড়তে চায় না। তাই তোমাকে বললাম বাবা।
– নিজেই তো পারেনা। আবার অন্যকে কি পড়াবে। <ফিস ফিস করে বললাম>
– তাহলে বাবা তুমি দিয়াকে কাল থেকে পড়াতে যেও কেমন?
– আচ্ছা ঠিক আছে আন্টি। এইদিকে নাবিল কানের সামনে ফিসফিস করে বলছে –
– চালিয়ে যা মামা।
– চুপ করবি তুই শালা।

একটু জল্লাদ মেয়ের দিকে তাকালাম। টিভি দেখতেছিলো সে। কিন্তু আমি তাকালাম সেও সাথে সাথে আমার দিকে তাকিয়ে একটা মুখ ভেংচি দিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলো। সেটা আবার নাবিল খেয়াল করেছিলো। কি ভাব নিচ্ছে দেখলে মনেই হয়না যে একটা জল্লাদ। কিন্তু কেনো জানি তার জন্য একটু কেমন ফিল হচ্ছিলো। কারণ আমি তাকে এভাবে কখনো দেখিনি তাই। সবসময় শুধু ঝগড়া করতেই দেখেছি তাকে।

পরের দিন থেকেই দিয়াকে পড়াতে গেলাম। প্রথম তাদের বাসায় গেলাম। গেইটের সামনে গিয়ে নক করলাম। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গেইট খুলে দিলো। গেইট খুলেই জল্লাদের মুখ খানা দেখতে পেলাম। আমাকে দেখে আবারো তার মুখটা বাংলার পেঁচা করে রাখলো। কি আজিব মেয়ে ভেতরেও যেতে বলছে না। মনে মনে বলছিলাম কথা গুলো।

– বাহিরেই দাঁড়িয়ে থাকবো?
– দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে না করলে বসে থাকেন।
– এখানে বসবো কেনো?
– তাহলে কোথায় বসবেন?
– এই মেয়ে তোমার সাথে কথা বাড়াতে চাইনা আমি। তোমার আম্মুকে ডাকো।
– এই সাবধানে কথা বলবেন। গতকালের অপমানের ঝাল কিন্তু এখন নিবো।
– কি করবা তুমি হ্যাঁ কি করবা?
<একটু জোড়েই কথা গুলো বলছিলাম। ভেতর থেকে আন্টি এসে হাজির আমাদের কথা শুনে>

– কি হয়েছে পরি?
– দেখোনা আম্মু আমাকে আজও বকা দিয়েছে।
– কি হৃদয় কি হয়েছে?
– আন্টি আপনার মেয়েটা যেমন ঝগড়াটে ঠিক তেমন মিথ্যেবাদীও।
– এই সাবধান মুখ সামলে কথা বলবেন।
– যেটা সত্যি সেটাই বলছি।
– আচ্ছা বাবা বাদ দেও তো। তুমি ভেতরে আসো।
– না আন্টি আমি চলে যাবো। এরকম অপমানের পরেও আমি কিভাবে বাসায় যাবো।
– থাকতে বলছে কে। চলে যান। <কথাটি বলেই পরি রুমে চলে গেলে>
– হৃদয় কিছু মনে করোনা বাবা। জানোই তো ও একটু এরকম। প্লিজ কিছু মনে করোনা বাবা। তুমি ভেতরে আসো।
– শুধু আপনি বলছেন বলেই আসছি আন্টি।

রুমের ভেতরে গেলাম। দিয়া ক্লাস থ্রি তে পড়ে। ওকে ভালো মতো দেখিয়ে দিচ্ছি। আধা ঘন্টা পর আবার জল্লাদ এসে হাজির।

– দিয়া জিজ্ঞাসা কর তো তোর স্যার কিছু খাবে কিনা?
– স্যার আপনি কিছু খাবেন?
– না কিছু খাবো না দিয়া। তোমার বোনকে এখান থেকে চলে যেতে বলো।
– হুহহহ ছাগল আসছে কোথা থেকে।

বলেই চলে গেলো অন্য রুমে। আচ্ছা আমার পরিচয়টাই তো দেয়া হয়নি। পড়া লেখা ছেড়েছি আরো তিন বছর আগে। এখনো বাবার হোটেলে খাই আর মায়ের হোটেলে ঘুমাই। জবের জন্য ট্রাই ও করেছিলাম কিন্তু বাবা-মা না করে দিয়েছে। তাদের পাশেই নাকি দেখতে চায় সবসময়। তাই আমিও আর বেশি কথা বললাম না। যেভাবে আছি ভালোই তো আছি। বয়স ২৪-২৫ হবে এখনো শিশুই আছি। কিন্তু বাসা থেকে প্যারা দিচ্ছে বিয়ের জন্য। আপনারাই বলুন এখনো কি আমার বিয়ের বয়স হয়েছে?

আর অন্যদিকে সেই জল্লাদ মেয়েটা মানে পরি। ও আমার থেকে কম হলেও ৩-৪ বছরের ছোট হবে। পিচ্ছি একটা মেয়ে তারপরেও আমার সাথে ঝগড়া করে। সব লাই দিয়েছে আমার আম্মু। নিজে দোষ করেই আম্মুর কাছে বিচার দেয়। আর উনি তাই বিশ্বাস করে আমাকে বকা দেয়। বাসায় মা- বাবার কথা শুনে বুঝা যায় যে ঐ জল্লাদকেই আমার কাঁধে ফেলবে। কিন্তু ওর সাথে আমার কখনোই মিলবে না। কিন্তু তাদেরকে এই একটা কথাই বুঝাতে পারিনা।

এভাবে আমাদের প্রতিনিয়ত ঝগড়া হতো। কিন্তু সবসময় আমাকে বকা শুনতে হতো। কোনো দোষ না করেও বকা শুনতে হয়। একটা সময় কোনো এক এক্সিডেন্টেই আমার সাথে ঐ জল্লাদের বিয়েটা হয়ে যায়। মনে মনে ভাবতাম যদি বিয়ে তাকেই করতে হয় তাহলে বিয়ের পর তাকে অনেক বেশি শাসন করবো। কিন্তু এটার উল্টাটা হয়েছে। বিয়ের পরের দিনই ঝাঁটা দিয়ে মেরে বলছে ময়লা পরিষ্কার করছে। আল্লাহ্‌ আরো কতো কি দেখতে হবে এবং সয্য করতে হবে যে। থাক ভাই বাকিটা বলে আর কি হবে। কুকুরের লেজ তো আর কখনো সোজা হয়না। বাকিটা না হয় অন্য আর একদিন শেয়ার করবো।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত