টাকা

টাকা

রাস্তা দিয়ে হাটতেছিলাম ,হঠাৎ চোখে পড়লো ১টা দশ টাকার চকচকে নোট। দেখলাম সেখানে কোনো মানুষ নেই। তাই টাকাটা হাতে তুলে নিলাম।টাকার উপর ১টা সুন্দর হাতের লেখা। i love you srabon,, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি । আর সাথে একটা নাম্বারঔ দেওয়া।

বুঝতে পারলাম মেয়েটা শ্রাবন নামের ছেলেকে ভালোবাসে। তার ভালোবাসার কথা ১০ টাকার উপর খোদায় করছে। তার ভালোবাসার কথা শ্রাবন নামের ছেলের কাছে পৌছাতে চাইছিলো, কিন্তু ভাগ্যক্রমে সেটা আমার কাছে চলে এলো, শ্রাবন নামের ছেলের কপাল পুড়লো, কিন্তু এসেই যখন পড়ছে এর সদ্বব্যবহার আমাকেই করতে হবে। যদি প্রথমবারের মত কপালটা খুইলা যায়। তাই আমি নাম্বারটা সেভ করে রাখলাম sraboni নামে। শ্রাবনের অজ্ঞাত শ্রাবনী। তারপর ঐটাকা দিয়ে ১টা রবি কার্ড কিনলাম। তারপর রাত ১টা তখন আমার গোপন রবি সীম দিয়ে শ্রাবনীর ঐ নাম্বারে কল দিলাম। কারন রাত্রে মেয়েদের আবেগ বেড়ে যায়, যদি আবেগে আমার কপালটাও খুইলা যায়। তাছাড়া রাত্রে মেয়েরা জোরে জোরে বকতেও পারবে না তাই এটা মোক্ষম সময়।

প্রথমবার কল ডুকলো,কলের রিং বাজছে,আর এদিকে আমার হার্টবিটঔ বাড়ছে।কিন্তু প্রথমবার রিং বেজেই গেল কিন্তু ধরলো না।তাই একটু নিরাশ হয়ে গেলাম।কিন্তু নিরাশ হলে যে চলবে নাতাই আবার দিলাম। খানেকক্ষন রিং বাজার পর কলটা ধরল্, তারপর একটা মেয়ের কন্ঠ ‘হ্যালো’ (কন্ঠটা শোনার পর আমি থ হয়ে গেলাম।এত সুন্দর মিষ্টি কন্ঠ) হ্যালো শ্রাবনী বলছেন”(আমি)

~জ্বি,আপনি কে? এত্ত রাতে ফোন দিছেন কেন? (মনে মনে ভাবলাম আমি কি জ্যাতিষী হয়ে গেলাম, নামটা শ্রাবনী রাখলাম তাই হয়ে গেল) বললাম, আমি তোমার শ্রাবন।

~কি শ্রাবন? সরি ভাই এই নামে তো কাউকে চিনি না।

~ওহ আসলে আপনি ১টা ১০ টাকার নোটের উপর আলাবুই শ্রাবন লিখছেন আর নিচে আপনার নাম্বারটা দিছেন।ভাগ্যক্রমে সেটা এখন আমার কাছে এসে পড়ছে।

~oh my god! এটা সম্ভব না, আমি এইরকম কোনো টাকাতে লিখি নাই। কোনো হ্রামি লিখছে মেবি।

~আমি তো তাহা জানি না, টাকার উপর লিখা রইছে।

~প্লিজ ভাইয়া টাকাটা ছিড়ে ফেলুন।

~যদি না ফেলি (একটু হাসি হাসি মুখ নিয়ে)।

~ আপনি আমার বড় ভাইয়ের মত। (যাহ শালা প্রেম করতে আসলাম আর ভাই হয়ে গেলাম। কিন্তু ভাবলাম এখন প্রেম ভাইয়া দিয়েই শুরু হয়)

~টাকাটা ছিড়ে ফেলতে পারি কিন্তু বিনিময়ে কিছু দিতে হবে।

~১০ টাকার বিনিময়ে আবার কি চান ?

~এটা তো এখন শুধুমাত্র ১০ টাকা না। এর সঙ্গে আপনার রয়েছে আপনার নাম্বার।

~এখন আপনি কি চান? বেশি কিছু না ।

~টাকা ,সোনাদানা যা চান তাই দিব । প্লিজ তাও ছিড়ে ফেলেন।

~যা চাই তা দিবেন ?

~ হুম।

~ভেবে বলেন। (ঐ পাশ থেকে আর কথা আসে না)। আরে ঘাবড়ানোর দরকার নাই।সোনা দানা,টাকা পয়সা কিছু চাই না।

~তাহলে কি চান?

~জাস্ট ফেসবুক ফ্রেন্ড। ওখানেই ঠিক করে ফেলবো । (আমতা আমতা করে।)
~কিহহ,

~কিছু না।আমিই রিকু দিতাম কিন্তু হয়তো আপনি জুকারের জেলে পাঠিয়ে দিছেন ।

~হাহাহা,আইডির নাম কি? সাকিব খান .

~ওরে বাব্বা , হিরো সাকিব খান নাকি।

~আরেহ যা কি বলেন ও তো লিপিষ্টিক খান।

~হিহিহি,পুরা আইডির নাম কি?

~সাকিব খান (আন্ডার ম্যাট্রিক)

~ কিহহ,আপনার বাসা কি কুষ্টিয়ায়??

~জি,

~আপনি সরকারী কলেজে পড়েন?

~আরেহ বাপরে, আপনি তো আমার ব্যাপারে সব কথায় জানেন।

~আরেহ হ্রামি আমি তোর বান্ধবী শ্রাবনী।

~কিহহ তুই?

~ছি,ছি তুই এইভাবে রাত বিরাতে মেয়েদের ডিসটার্ব করিস। আমি ভাবতেও তো পারিনি, তোর মত ছেলে এই কাজ করে। সবসময় থাকিস তো সাদাসিদে ভাবে। দাড়া তুই কলেজে আই, তোর কুকৃত্তি সব ফাস করে দিব।

~এইরকম করিস না দোস্ত, আমার মানসম্মান সব নষ্ট হয়ে যাবে। আমার চুসাইড করা লাগবে।

~তারপরে বিপ বিপ করে লাইনটা কেটে গেল।।

তারপর কল হিস্টোরিতে গেলাম। দেখলাম srabony (f) এর নাম্ফারে কল দিছি । আর শ্রাবনের হেতির নাম্বার সেভ করছিলাম sraboni দিয়ে । (i) এর জায়গায় নাম্বারে দিছি। শালার কেন যে ট্যাকাটা পাইলাম। আর কল দিতে গেলাম। তারপর ঐ ঘটনার জন্য কলেজে গেলে যে কিভাবে ইজ্জতটা শেষ করে দিবে তা ভাবতে ভাবতে, কয়েকবার আয়তুল কুরসি পড়ে বুকে ফু দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত