দুঃখের মাঝেও কিছু ভালোবাসা

দুঃখের মাঝেও কিছু ভালোবাসা

প্রায় মধ্যরাত্রি, প্রচণ্ড ক্ষুধায় রাফাত এর ঘুম ভেঙ্গে গেলো। কিছুক্ষণ এপাশ ওপাশ করার পর উঠে পরলো বিছানা থেকে। আধোঘুম চোখে তাকিয়ে দেখে মৌমিতা বেঘোরে ঘুমুচ্ছে। মেয়েটার চোখে মুখে ক্লান্তিকর ছাপ ফুটে উঠেছে। মেয়েটার মুখে অতি আশ্চর্য এক ধরনের লাবণ্য খেলা করছে। চোখের নিচে হালকা কালি, লাল ঠোট এ পানির ফোটা গুলো রুমের হালকা আলোয় ঝলমল করছে। রাফাত কিছুক্ষণ রুপসুধা পান করলো। রাফাত দরজা খুলে বের হয়ে আসলো। ডাইনিং এ গিয়ে দেখল ভাত ঢাকা আছে। হাত ধুয়ে এসে বসে পরল সে। আজকে অফিস থেকে অনেক দেড়ি করে এসেছে সে।

তার উপর কাজের চাপ ছিল প্রচুর। অবশ্য কম মাইনে দিয়ে চাকরি করলে এরকমি হয়! প্রচণ্ড ক্ষুধার কারণে সে গপগপ করে ক্ষেতে লাগলো। শক্ত ঠাণ্ডা ভাত সাথে টক ডাল। অনেক রাতের কারণে ডাল একটু বাসি হয়ে গেছে। রাফাত কখনওই টক খেতে পারে না । কিন্তু আজকে এগুলো ছাড়া কিছু নেই। তাই সে একটু লবণ আর একটা কাঁচামরিচ পাতে নিলো। ঝালের কারণে জিহ্বা জ্বলে যাচ্ছে। তাই মরিচটা উঠিয়ে রাখল। চারদিকে আবার তাকাল, যদিওবা আর কোনো তরকারি ছিল না ডাইনিং এ।মাথা নিচু করে আবারো খেতে শুরু করলো রাফাত। পিছনে পায়ের শব্দ শুনে ঘুরে দেখল, মৌমিতা ঘুম ঘুম চোখে আলতো পায়ে হেটে ফ্রিজের কাছে যাচ্ছে। মৌমিতা ফ্রিজ থেকে একটি বাটি বেড় করে নিয়ে রাফাত এর কাছে আসলো। চেয়ার টেনে বসে পরল সে। রাফাত এর দিকে বাটি এগিয়ে দিলো। ইশারা করে রাফাতকে বাটি খুলতে বলল, সে।

রাফাত কিছুটা অবাক হয়ে বাটি কাছে টেনে নিলো। ঢাকনা খুলে দেখল, চার – পাচ পিচ ভুনা গোশত। নাকের কাছে তুলে ধরে শুকলে, ওর মায়ের হাতের রান্নার চিরচেনা সেই সুস্বাদু গন্ধ নাকে ঢুকল। তড়িঘড়ি করে প্রায় সব টুকরো গোশত রাফাত পাতে ঢেলে নিলো। একটু হচকিত হয়ে মৌমিতার দিকে তাকাল সে । বোকার মতো হাসি দিয়ে, তাকে ইশারা করে বলল, তুমি খেয়েছ কি না? মৌমিতা রাফাত এর ইশারা বুঝে সেও ইশারা দিয়ে বুঝাল যে সে খেয়েছে, তুমি খাও। রাফাত আর কিছু না বলে খেতে লাগলো। এতক্ষণ পর যেন মনে হচ্ছে খাওয়ায় পরিপুর্ণতা আসলো।

বরাবর এর মতোই রাফাত ওর মায়ের হাতের রান্না খুব পছন্দ করে। যদিওবা মৌমিতাও খুব ভালো রান্না করে। কিন্তু মায়ের হাতের গরুর গোশতের ভুনা যেন অমৃত। তবে সচরাচর এতো দামি তরকারি খাওয়া হয় না তার। মাইনেই বা আর কত পায়। তাই রাজকীয় হালে খাওয়া তার পোষায় না। মাঝেমধ্যে ইচ্ছা থাকলেও খুব একটা উপায়ও থাকে না এতো টাকা খরচ করার। কিন্তু আজকের ব্যাপার টা হচ্ছে, রাফাত এর বড় ভাই মোর্শেদ এর শ্বশুর বাড়ি থেকে লোক এসেছিলো। তাই তাদের আপ্যায়ন এর কমতি রাখেননি তার ভাই। ছোট ভাইয়ের মতোই বড় ভাইয়েরও মায়ের হাতের এই রান্না বেশ ভালোই লাগে। তাই রান্নার দায়িত্বটা মায়ের হাতেই ছেড়ে দিয়েছে। রাফাত এর মা রাফিয়া বানু দুই ছেলেরি আবদার ভালো করেই পূরণ করেন। কিন্তু তার ছোট ছেলের অবস্থা একটু নাজুক ধরণের।

সেই হিসেবে বড় ছেলে চাকরি করে পাকাপোক্ত হয়ে আছে। রাফিয়া বানুর ছোট সন্তান হিসেবে রাফাত মায়ের ভালোবাসাটা একটু বেশিই পায়। আর মা হিসেবে তিনি দুই ছেলেকে ভালোবাসলেও ছোট ছেলে একটু বেশিই ভালোবাসেন। কারণ ছোট ছেলে হিসেবে রাফাত খুব চঞ্চল হওয়ার বদলে গম্ভীর ধরণের। ঠিক যেন ওর বাবার মতো। ওর বাবার মতোই কখনো চেয়ে খেতে পারেনি সে। তাই রাফিয়া বানু ছোট ছেলের পছন্দের রান্নাটুকু উঠিয়ে রেখে দিয়েছেন। তিনি জানেন বেলা শেষে হয়ত আর কিছুই থাকবে না। তাই গোশতের বাটি মৌমিতার হাতে দিয়ে ইশারা করে বুঝিয়ে দিয়েছন যেন এটি ফ্রিজে রেখে দেয় সে। মৌমিতা মাথা কাত করে চলে যায়।

রাফাত খাওয়া শেষ করে দেখে, মৌমিতা টেবিলের উপড়ে হাতের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে। সারাদিন এর খাটাখাটুনিতে আজকে বড় ক্লান্ত সে। রাফাত আস্তে করে উঠে মৌমিতার কাধে রাত রাখল। মৌমিতা চমকে উঠে। কিন্তু চোখের সামনে রাফাতকে দেখে শান্ত হয়ে গেলো। রাগাত ইশা করে রুমে যেতে বলে। মৌমিতা রাফাত এর হাত ধরে ঘরের দিকে হাটতে থাকে। রাফাত মৌমিতার হাত শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।

দিনাজপুর শহরে দোতালা বাড়িটা রাফাতের বাবা আছির সাহেব এর নিজ হাতে তৈরি। নিজের চাকরি ও পেনসন এর টাকা দিয়ে বহুল সাধের বাড়িটি বানিয়েছেন। চারদিকস্থ সবুজ গাছপালা। আম ও কয়েকটি মেহগনি গাছের ফাকে এক চিলতে জমির উপর উনার সাধের বাগান। অপূর্ব মনোরম দৃশ্য! বাগানের মাঝে দাঁড়ালেই যেন এক ধরণের সুখের আমেজ পাওয়া যায়। তাই ছুটির দিনের বেশিরভাগ সময়টা রাফাত বাবার বাগানের বারান্দার চেয়ারটাতে বসিয়ে কাটিয়ে দেয়। আছির সাহেব বিগত কয়েক বছর হল মারা গেছেন। বড় ছেলেই পরিবার এর বড় কর্তা। তার স্ত্রী রেহানা বেশ বড়লোক ঘরের মেয়ে। তাই মনের মধ্যে একটু দাম্ভিকতা নিয়ে বেড়ায়। আর ছোট ছেলে রাফাত মাস ছয়েক হলো বিয়ে হয়েছে। যদিওবা এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে করার তার কোনো ইচ্ছেই ছিল না। রাফাত বড় বড় পা ফেলে ওর মায়ের ঘরের দিকে যায়। ছুটির দিন গুলোতে কিছুটা সময় সে মায়ের সাথে কাটায়। মায়ের ঘরের দরজাকবাট ধরে দাঁড়িয়ে থাকে সে। এই অভ্যেস তার ছোট থেকে। ভিতর থেকে রাফাতের মায়ের গলা ভেসে আসলো,

– ভিতরে আয়।

রাফাত হাসি মুখে মায়ের ঘরে ঢুকে যায়। দেখে মৌমিতা ওর মায়ের চুলে তেল দিয়ে দিচ্ছে। রাফাত কে দেখে মৌমিতা মুচকি হাসি দেয়। মৌমিতার হাসির জবাবে রাফাত ও উল্টো হাসি দিয়ে মায়ের পায়ের কাছে বসে পরে। রাফিয়া বানু ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন।

– হ্যা, রে খোকা তুই এতো রাত করে আসিস কেন? রাফাত এর মা বলে উঠেন।
– কি করব মা অফিসে প্রচুর কাজের চাপ পরে যায়, সরল মুখে জবাব দেয় রাফাত।

– তবুও তো তুই একটু নিজের দিকে নজর দিবি নাকি? আর তাছাড়া মৌমিতা একাই থাকে, একটু সময় তো তাকেও দিতে পারিস। বিরক্তিমাখা সুরে বলেন, রাফিয়া বানু।

মৌমিতার দিকে তাকায় রাফাত। এক মনে কাজ করে যাচ্ছে মেয়েটি। পরনের শাড়িটি মলিন হয়ে গেছে । মুখে কোমলতা বিরাজ করছে। ফুটফুটে চেহারা মেয়েটিকে দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না মেয়েটি কথা বলতে পাড়ে না! দুঃখজনক হলেও তাই সত্যি। মৌমিতার কোমল মুখের দিকে তাকিয়ে বুকের ভিতরে মোচড় অনুভব করে রাফাত। মেয়েটির ছোট চাহিদা গুলোও সে পূরণ করতে পারে না। বিয়ের পর মাত্র দুটি শাড়ি কিনে দিতে পেড়েছে শুধু। তার পর আর হয়ে উঠেনি। মায়ের দু একটি শাড়ি ইতিমধ্যেই মৌমিতার কাছে চলে এসেছে। মায়ের কাছ থেকে উঠে এসে বাগানে হাটতে থাকে রাফাত। এই জায়গায় এলেই অনেক সুখ অনুভূত হয় তার। যেন মনে হয় ওর বাবা গভীর মমতায় ছেলেকে আগলে রাখছেন। বাগানে এলেই বারবার বাবার কথা মনে হয় রাফাতের। আছির সাহেব ছোট ছেলেকে একটা কথাই বলতেন,

– খোকা নিজেকে কখনো ছোট ভাববি না। আর সব কাজে নিরাশ হবি না। বাবার প্রত্যেক কথা রাফাত মনে রেখেছে। আর হয়ত কিছু কথা কাজেও লেগেছে। কিন্তু তবুও দৈন্যের কাছে মাঝে মাঝে হার মানতে হয়। আগে তার বড় ভাই সাহায্য করতো। কিন্তু এখন শুধুমাত্র সংসার এর চলার মতো খরচ টুকুই দেয়। এ নিয়ে রাফাত কিছু বলে না। সে কখনওই চায় না তার পরিবার ভাগ হয়ে যাক। মুখ নিচু করে সব সহ্য করে নেয় সে। কিন্তু মৌমিতার দিকে মুখ তুলে তাকাতে পারে না। এতো বড় সংসার এর বেশিরভাগ কাজ গুলো করে সে। এতো দিন এ সে বুঝে গেছে তার অবস্থান। তার স্বামীর অবস্থান। বেচারি মেয়ে মুখ ফুটে কিছু বলতেও পারে না। তবুও স্বামীর সম্মান সে কখনওই ক্ষুণ্ণ হতে দেয় না। বাঙ্গালী মেয়েরা হয়ত এমনি হয়। নিজের কষ্টের থেকে স্বামীর কষ্ট গুলো ভালো ভাবেই বুঝতে পারে । আর তাইতো তাদের সম্পর্ক গুলো অটুট থাকে।

মৌমিতার সাথে রাফাতের বিয়েটা আকস্মিক। মৌমিতার সেদিন অন্য কারো সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সিনেমায় বা নাটক জীবনে যা কিছু ঘটে তা কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাস্তবিক। তা না হলে সিনেমা হবে কিভাবে। আর এইসব কিছুই ঘটেছিল সেই দিন টাতে। আর এর ফলে ঘুরে গেলো রাফাতের মন। মায়ের সাথে গ্রামে গিয়েছিল রাফাত। উদ্দেশ্য এক চাচার মেয়ের বিয়ে। আর সেই মেয়েই হলো মৌমিতা। মৌমিতা দেখতে সুন্দর। শুধু সুন্দর না। কাঁচা হলুদের মতো গায়ের রং। গোল মুখে টানা টানা ভুরু । কিন্তু ও কথা বলতে পারে না। মৌমিতার তখন আট কি নয় বছর। বেশ মিষ্টি করে কথা বলতে পারতো সে। কিন্তু তার বাক স্বাধীনতায় বাধ সাধল, একটি মাত্র মাছের কাটা। আর তাতেই বন্ধ হয়ে গেলো তার মুখের কথা।

আজকের দিনে হয়ত তা নিরাময় করা সম্ভব ছিল। কিন্তু তখনকার কথা আলাদা। তবুও মৌমিতা স্কুলে গেছে। পড়েছে অনার্স ও। যতই শিক্ষিত হোক না কেন? বোবা মেয়েকে কে বিয়ে করবে? তবুও মৌমিতার বিয়ে ঠিক হলো। আর নিয়তি যেন তার সাথে বারবার প্রবঞ্চনাই করতে লাগলো। ঠিক নিরুপমার মতো মৌমিতার জীবনেও অন্ধকার ঘনিয়ে আসলো। মেয়ে বোবা দেখে মেয়ের বাপ যৌতুক এর টাকা বেশি করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সময়মত টাকা না দেওয়ায় বরপক্ষ আর সবুর করলেন না। এদিকে মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় মৌমিতার বাবার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরল। আর এদিকে মায়ের আদেশে রাফাত এগিয়ে এলো। প্রায় অনানুষ্ঠানিক ভাবে বিয়েটা হয়ে গেলো তাদের।

মৌমিতাও বুঝতে পেরেছিল যে তার জীবনটা আসলে এমনিতরই হবে। তবুও আল্লাহ্‌র উপর বিশ্বাস বা দুটি মনের নীরব সম্মতি যাই হোক না কেন, ওদের ভালোবাসাটা বেশ জমেই উঠলো। রাফাত একটু খানি ইশারায় বুঝে ফেলে মৌমিতার মনের কথা। দুজনের খুনসুটি ভালোবাসা যেন দিনকে দিন বেড়েই চলছে। রাফাতের এই বিয়েতে ওর ভাইয়ের মত ছিল না। ওর ভাবি চেয়েছিলেন, উনার চাচাতো বোনের সাথে দেবরের বিয়ে দিবেন। কিন্তু মনের আশা পূরণ না হওয়ায় বেকে বসলেন তিনি। তার ফলে সংসার এ অশান্তি দেখা দিলো। রাফাত তবুও চায় না ওরা আলাদা হোক। কারণ একটা পরিবার এর সাথে থাকা কি যে শান্তির সেটা কেউ না বুঝলেও সে খুব ভালো করেই জানে।

প্রচণ্ড খুশি নিয়ে, বাসায় ঢুকে রাফাত। অফিসের অনেক কাজ করা সত্ত্বেও যেন আজকের খুশির কাছে সেগুলো কিছুই না। বাসায় ঢুকে রাফাত ওর মাকে দেখতে পায়। খুশিতে মাকে জড়িয়ে ধরে। মা’ও যেন ছেলের খুশিটা বুঝতে পেড়েছেন। আলতো করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। রাফাত হাতের ব্যাগ থেকে একটি শাড়ি বেড় করে দিলো ওর মাকে। ঈদের সময় কিছুই দিতে পারেনি সে। শুধু মাত্র বোনাস পেয়েছিলো। তা দিয়ে সংসার এর খরচ এর ভিড়ে নতুন কাপর পরা যেন ছেড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা! ছেলের কাজ দেখে রাফিয়া বানু নীরবে দু ফোটা চোখের পানি ফেললেন।

মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রাফাত নিজের রুমে যায়। দেখে মৌমিতা জানালায় দাঁড়িয়ে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটির চোখে মুখে না বলা অনেক কথা জমে আছে। রাফাতের পায়ের শব্দ শুনে ঘুরে দাঁড়ালো। সেই সাথে মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো। আলনা থেকে তোয়ালে এগিয়ে দিলো। রাফাত তা সরিয়ে দিয়ে, মৌমিতাকে ডান হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলে, মৌমিতা লজ্জায় রাফাতের বুকে মুখ লুকাল। একটু পর রাফাত প্যাকেট থেকে নীল শাড়িটা এগিয়ে দিলো। মৌমিতা শাড়ি দেখে অবাক হয়ে রাফাতের দিকে তাকাল। রাফাত ইশারা করে বলল, ‘ আমার বেতন দিয়েছে।’

মৌমিতা শাড়িটা হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখছে আর বিস্ময়ে বারবার রাফাতের মুখে দিকে তাকাচ্ছে। মৌমিতার কাণ্ড দেখে রাফাত মুখ টিপে হাসছে। নীল শাড়িটা বিছানায় রেখে রাফাতের গলা জড়িয়ে ধরে মৌমিতা। নিজের স্বামীর কিছু কিনে দেওয়া সব মেয়েদেরি কাম্য । রাফাতের ভাবি যখন ঈদের আগের দিনে দামি কাপর গুলো দেখাচ্ছিল, মৌমিতা কিছু মনে করেনি। ও আসলে জানতো সবার আসলে এইরকম কিছু জোটে না। ও শুধু একটু ভালোবাসাই চায়। জীবনে তো এসব জিনিশ তুচ্ছ। একে অপরের মধ্যে ভালোবাসাটাই তো হলো আসল কিছু। আর এমন দুঃখের মাঝে একটু ভালোবাসা যেন অনেক কিছু দিয়ে থাকে।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত