পরিকল্পিত খুন

পরিকল্পিত খুন

রাত আটটা ত্রিশ, ঘরে শুয়ে শুয়ে গল্পের বই পড়তেছি। টেবিলে থাকা ফোনটা হঠাৎ ক্রিং ক্রিং করে বেজে উঠে। ফোনটা হাতে নিয়ে স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখি সানজিদার নাম্বার। তাড়াতাড়ি করে রিসিভ করি। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে সানজিদা বলে উঠে……

– তাজ বাবু, আম্মু আব্বু দু’জনেই কিসের জরুরী কাজে বাইরে যাচ্ছে। আজ সারারাত আমি একা থাকবো। তুমি দশটায় আমার বাসায় চলে এসো। আজ তোমাকে অনেক কিছুই দিয়ে দিবো। এখন রাখছি আম্মু আব্বুকে হেল্প করতে হচ্ছে। তুমি চলে এসো।

আমি কিছু বলার আগেই সানজিদা ফোন কেটে দেয়। সানজিদার কথা শুনে খুশিতে নাচতে ইচ্ছা করছে। কতদিন আমি এই সুযোগের অপেক্ষা করেছি। অবশেষে আজ সেই দিনটা চলে এসেছে। তাই আর দেরি করলাম না। দেয়ালে ঝুলে থাকা ব্যাগটা নামিয়ে সেটায় এটা সেটা গুছিয়ে নিলাম। তারপর নিজেও রেডি হয়ে নিলাম। অপেক্ষা এখন রাত দশটার। অনেকদিনের ইচ্ছা আজ পূরণ হবে, এটা ভাবতেই আমার খুশিতে নাচতে ইচ্ছা করছে। তবে, অন্য দিনের তুলনায় হয়তো আজ সময়টা খুব ধীরে চলছে। একমিনিট আমার এক ঘন্টার মত লাগতেছে। কিন্তু আমার তো এক সেকেন্ড ও আর তর সইছে না। মাথায় শুধু ঘুরতেছে কখন সানজিদার কাছে যাবো। এসব চিন্তা করতে করতে ঘড়ির কাটা নয়টা পৌঁছে গেছে। আর দেরি না করে বেরিয়ে পড়লাম সানজিদার বাসার দিকে। ওদের বাসায় যেতে এক ঘন্টা লাগবে।

বাসা থেকে বেরিয়ে একটা সি এন জি নিয়ে সানজিদার বাসার দিকে যেতে শুরু করি। মেইন রাস্তা থেকে ছোট একটা রাস্তা দিয়ে লোকালয় থেকে অনেকটা দূরেই সানজিদাদের বাসা। তাদের বাসার পাশে আর কোনো বাসা নেই। সানজিদার বাবা বড় ব্যবসায়ী, কিন্তু তার বাবা সবসময় একা থাকতে পছন্দ করে তাই, একটু নির্জন জায়গা ওনার পছন্দ থাকায় নিজে একটা জায়গা কিনে সেখানে বাড়ি বানিয়েছেন।

সি এন জি নিয়ে আসার কারনে পয়তাল্লিশ মিনিটের মধ্যে সানজিদার বাড়ির কাছে পৌঁছে গেলাম। তাদের বাসা থেকে একটু দুরে সি এন জি থেকে নেমে ভাড়া মিনিটে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসি সানজিদার বাড়িতে। সানজিদার বাসার সামনে এসে সানজিদাকে কল দিলে সানজিদা বলে, গেইট খোলাই আছে, তুমি সোজা দু’তলায় আমার রুমে চলে এসো। আমি আচ্ছা বলে ফোনটা রেখে সোজা দু’তলায় সানজিদার রুমে গিয়ে নক করি। নক করতেই সানজিদা এসে দরজা খুলে। সানজিদার দিকে তাকিয়ে আর চোখ ফেরাতে পারছি না। কারন, চুল ছেড়ে খুব পাতলা একটা শাড়ি পড়েছে সানজিদা। অপূর্ব দেখাচ্ছে সানজিদাকে। আমি এমন ভাবে তাকিয়ে আছি দেখে সানজিদা আমার শার্টের কলার ধরে টান দিয়ে তার কাছে নিয়ে যায়। তারপর আমার গলায় তার দু’হাত তুলে দিয়ে চোখে চোখ রেখে বলে…

– এভাবে দেখো না প্রিয়, রূপের আগুনে পুড়ে যাবে। আমিও সানজিদার কোমরে হাত দিয়ে, কাছে টেনে নিয়ে বলি…
– তুমি হয়তো জানো না, আমি পুড়ি না, পুড়িয়ে ফেলি।
– তাই, চলো দেখি কতটা পোড়াতে পারো তুমি। আজ সারারাত তোমার আদরে নিজেকে পোড়াতে চাই।

বলেই সানজিদা দরজা লক করে দিয়ে আমার হাত ধরে টানতে টানতে বেড রুমে নিয়ে আসে। এসে আমাকে একটা ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়। তারপর নিজের শাড়ির আঁচলটা ফেলে দিয়ে বলে….

– তো আর দেরি কেনো। চলে আজ তোমার ভালোবাসার আগুনে আমাকে পুড়িয়ে ফেলো। বলে আমার বুকে এসে শুয়ে পড়ে। সানজিদার এমন অপূর্ব রূপের কাছে আমি হেরে যাচ্ছি। তাই সানজিদাকে একটা ধাক্কা দিয়ে বুক থেকে সরিয়ে ফেলি। আমার এমন ব্যবহার দেখে সানজিদা অনেকটাই অবাক হয়ে যায়। অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলে…..

– কি হলো তাজ? এমন করলে যে?
– তুমি বড্ড তাড়াহুড়া করছো। সারারাত ই তো পড়ে আছে।
– ওহ তাই, কিন্তু আমার যে তর সইছে না। এখনি তোমার ভালোবাসা নিতে ইচ্ছা করছে।
– হ্যাঁ, আস্তে আস্তে তোমার অনেক কিছুই সহ্য হবে।
বলে আমার ব্যাগটা থেকে দুইটা গাম ট্যাপ বের করি। ট্যাপ দেখে সানজিদা আবার অবাক হয়ে বলে উঠে….

– এই ট্যাপ দিয়ে কি করবে?
– বললাম না, সারারাত পড়ে আছে। সারারাতই তোমাকে ভালোবাসবো তবে সবটাই আমার স্টাইলে। তোমার কোনো সমস্যা থাকলে বলো।
– না না জান, আমার কোনো সমস্যা নেই। তুমি শুরু করো।

সানজিদা এবার নিজের ইচ্ছায় আবার বিছানায় শুয়ে পড়ে। আমি একটা ট্যাপ খুলে সানজিদার হাতের কনি থেকে শুরু করে কব্জি পর্যন্তু ট্যাপ পেঁচাতে শুরু করি। পুরো ট্যাপটা পেঁচানোর পর সানজিদার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি সানজিদা ভয় পাচ্ছে। তাই ঝুকে সানজিদার কপালে একটা চুমু দিয়ে বলি….

– ভয় পাচ্ছো কেনো?
– ভয় পাচ্ছি না অবাক হচ্ছি।
– আস্তে আস্তে আরো অনেক অবাক হবে।

বলে সারজিদার পায়ের কাছে গিয়ে তার শাড়িটা হাঁটু পর্যন্ত তুলে হাঁটু থেকে পায়ের পাতা পর্যন্তু দ্বিতীয় ট্যাপটা পেঁচাতে শুরু করি। সানজিদা শুয়ে শুয়ে আমার দিকে ভালোবাসার নজরে তাকিয়ে থেকে বলে…..

– জানো তাজ, যখন থেকে আমি সবকিছু বুঝতে শিখেছি, তখন থেকেই প্রেম-ভালোবাসা আমার কাছে খেলার মত। আমি প্রেম-ভালোবাসা বলতে আমি বুঝি, দু-চার দিন তার সাথে দিনরাত কথা বলা। দু-চার দিন তাকে খুব কেয়ার করা। দু-চার দিন তাকে নিয়ে হাজারটা স্বপ্ন দেখার কথা বানিয়ে বানিয়ে বলা। তারপর তাকে দুরে সরিয়ে দিয়ে নতুন কারো সাথে খেলা করাই বুঝতাম। যখন তাদের কে অবহেলা করতাম তখন তারা কত আবেগী কথা বলতো। এসব শুনে আমার খুব হাসি পেতো। তবে কখনো আমি ভাবি নি, আমিও কারো ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে যাবো। কেউ আমার পৃথিবী হয়ে যাবে। হ্যাঁ, তাজ তুমিই আমার পৃথিবী। কতটা ভালোবাসি আমি জানি না, তবে এতোটুকু জানি তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না।

সানজিদার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, তার চোখে কোনো ছলনার ছাপ নেই। খুব ভালোবাসে মেয়েটা আমাকে। হয়তো তাই আমি না চাইতেও নিজেকে আমার কাছে সপে দিচ্ছে। সানজিদার কথা শুনতে শুনতে তার হাতে পায়ের পুরো দুটো ট্যাপ পেঁচিয়ে ফেলেছি। হাত-পা নড়ানোর ও ব্যবস্থা নেই সানজিদার। আমি তার পায়ের কাছ থেকে উঠে তার অর্ধ নগ্ন শরীরের পাশে গিয়ে বসি। সানজিদার কামুক দৃষ্টি আমাকে অনেকটাই আকর্ষন করতে চাইছে। আমি তার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলি….

– আচ্ছা সানজিদা, আমি যদি একাধিক মেয়েকে ভালোবাসার মায়ায় ফেলে তাদের অনেক স্বপ্ন দেখিয়ে তারপর মাঝ রাস্তায় ছেড়ে চলে যাই। এবং আমার এই কাজের জন্য যদি কারো জীবন নষ্ট হয়ে যায়,তবে শাস্তিটা কেমন হওয়া উচিত? আমার কথা শুনে সানজিদা আবার অবাক হয়ে যায়।অবাক হয়ে উল্টা আমাকেই প্রশ্ন করে….

– হঠাৎ তুমি এই প্রশ্ন করলে কেনো তাজ?
– আহা, কথার কথা মনে করো। বলোই না।
– আমার তাজের মুখে এমন প্রশ্ন মানায় না। কারন, আমার তাজ একজনকেই ভালোবেসেছে সেটা আমি। আর এই জন্যই আমি অনেক ভাগ্যবতী।

– হুমম, এবার বলো?
– আমার বিশ্বাস তুমি কখনো এমন হবে না। তবুও জানতে চাইছো তাই বলছি। আমার মনে হয় যে এমন করে ভালোবাসার নাম করে অনেকের জীবন নষ্ট করে তার বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। কারন, তার একটা জীবনের জন্য অনেক জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

– যদি তোমার কথা সত্যি বা গ্রহণযোগ্য হয় তবে আমি ঠিক কাজটাই করতে যাচ্ছি।
– মানে?
– মানে কিছু না, আচ্ছা সানজিদা আফিফের কথা মনে আছে তোমার?

আমার কথাটা শোনা মাত্রই সানজিদার চোখে মুখে ভয়ের একটা ছাপ ফুটে উঠে। অবিশ্বাসের চোখে আমার দিকে তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে….

-কেনো, আর আফিফকে তুমি কি করে চিনো? সানজিদার কথা শুনে হাসি পাচ্ছে তাই একটা মুচকি হাসি দিয়ে তার মাথা থেকে হাত সরিয়ে বলি….

– “জানো সানজিদা, ছোট বেলায় আমার বাবা মারা যায়। বাবার আদর কি তা আমি জানি না। কিন্তু বাবার আদরের অভাব কখনো আমার ছোট ভাই আফিফ বুঝে নি। বাবার মত করে আগলে রেখে ওকে বড় করেছি। খুব মেধাবি ছিলো আমার ভাই।

তাই এই শহরে এসেছিলো পড়ালেখা করতে। কিন্তু খুব ভয় পেতাম বলে আফিফের সাথে মাকে এই শহরে পাঠালাম। হঠাৎ মা বললো আফিফ কার সাথে যেনো রাত জেগে কথা বলে। সারাক্ষণ হাসি খুশি থাকে। বুঝলাম ভাই আমার প্রেমে পড়েছে।খুশিই হয়েছি কারন, আমার ভাইয়ের পছন্দ খারাপ হবে না আমি জানি।
হঠাৎ একদিন আফিফ আমাকে কল দেয়। কখনো নিজে থেকে আমাকে কল দেয় নি ঐ প্রথমই আমাকে কল দিয়েছিলো। দিয়ে আমি কতটা ভালোবাসি জানতে চেয়েছিলো। আমি মজা মনে করে কিছু বলি নি। তার পরের দিনই খবর পেলাম আমার ভাই আর নেই। চলে গেছে না ফেরার দেশে। আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলো। খুব কষ্ট হয়েছে তাকে কাঁধে তুলে কবরে শোয়াতে। তবুও একা কবরে শোয়াতে হলো আমার।

তারপর আফিফ মারা যাওয়ার দু -মাস পর হঠাৎ একদিন তার ডাইরিটা হাতে নিলাম। খুলে পড়তে শুরু করলাম।
ইশশ, আমার ভাই সানজিদা নামের মেয়েটাকে কতটা ভালোবাসে ডাইরিটা না পড়লে বুঝা যায় না। ডাইরির প্রথম পৃষ্ঠা থেকে সবটায় ই ছলনাময়ী মেয়েটার ভালোবাসার প্রশংসা করে লিখা। জানো, আজো সেই ডাইরিটায় তুমি তার প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা সেটাই লেখা কিন্তু একটা পৃষ্ঠায় ও তোমার ছলনার কথা লেখা নেই। কিন্তু শেষ পৃষ্ঠায় আমার ভাই শুধু এতোটুকু লিখেছে… ” মন ভাঙা মসজিদ ভাঙার সমতুল্য। তবুও এই নিষ্ঠুর পৃথিবাতে এই অপরাধের কোনো শাস্তি নেই। আমিও হয়তো আমার মন ভাঙার বিচার পাবো না। তাই কাউকে বিচার না দিয়ে নিজের ভাঙা মন নিয়ে চলে গেলাম নিষ্ঠুর পৃথিবী নিষ্ঠুর সব মানুষদের থেকে। কারন, আমি চাইনা আর কেউ আমার মন ভেঙে দিক।”

ডাইরির শেষ পৃষ্ঠা পড়ে বুঝতে বাকি নেই কেনো আমার ভাই কাউকে না জানিয়ে চলে গেলো। সহ্য করতে পারছিলাম না, তাই ইচ্ছা হলো ভাইয়ের মন যে ভেঙে দিলো তার শাস্তি দিতে। তাই তখনই পরিকল্পনা করে ফেললাম। ব্যস, এখানে এসে একটা মেয়েকে যতটা ভালোবাসা দেখানো দরকার ঠিক ততোটাই তোমাকে দেখালাম। তোমাকে যখন কেয়ার করতাম, ভালোবাসার কথা বললাম তখন সে কথা গুলোর পিছনে কতটা ঘৃণা কাজ করতো তা হয়তো তুমি বুঝো নি। তারপর সব পরিকল্পনা মাফিক করতে শুরু করলাম। তুমি আমার ভালোবাসার মায়ায় এতোটাই ধরা পড়েছো যে, আমি না চাইলেও তুমি নিজেকে আমার কাছে বিলিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠলে। তারপর, তোমার বাবা মাকে অল্প কিছু টাকা খরচ করে লোভে ফেললাম। যে লোভে পড়ে তারা আজ তোমাকে ছেড়ে সেই লোভের পিছনে দৌঁড়ে গেছে। তারা সেখানে গিয়ে কিছু পাবে না ঠিকই কিন্তু এসে তাদের মেয়ের লাশটা পাবে ঠিকই।”

আমার কথা শেষ করে সানজিদার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি। সানজিদার চোখ থেকে অনর্গল পানি পড়ে যাচ্ছে। হয়তো ভয়ে নয়তো বা অনুশোচনায়। কিন্তু আমার ভাইয়ের সেই মুখটা আমার সামনে বার বার ভেসে উঠছে। কানের কাছে অজানা এক কন্ঠে বলতেছে,, “মেরে ফেলো, ওকে এখনি মেরে ফেলো” তাই আর দেরি করলাম না।ব্যাগ থেকে ধারালো ছুরিটা বের করলাম। সেটা দেখে সানজিদা ভয়ে প্রাণপনে চেষ্টা করছে ছুটে যাওয়ার কিন্তু ট্যাপ দিয়ে বাঁধা থাকায় বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করছে কিন্তু তার চিৎকার শোনার মতো আজ কেউ নেই। আর সানজিদার চিৎকারও আমার কান পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। আমি ধারালো ছুরিটা তার বুকে বাম স্তনের নিচে ঠিক কলিজা বরাবর ঢুকিয়ে দিলাম। ব্যথায় ছটফট করছে সানজিদা। তার ছটফট আমার খুবই ভালো লাগছে তাই আরো পাঁচ-ছয়বার একই জায়গায় ছুরিটা ঢুকিয়ে দিলে তার ছটফট আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে গেছে। শেষে তার হাতে পায়ের রগ কেটে দিয়ে বেরিয়ে চলে আসি।

বেরিয়ে যাওয়ার সময় মনে মনে ভাবছিলাম। ইসস, ভাই যদি আজ তুই থাকতি, যদি তুই আমাকে একবার বলতি। আজ ওর এমন ভয়ংকর মৃত্যু তোকে আমি উপহার দিতাম। এসব ভাবতে ভাবতে আমার দু-চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে। না, আমাকে কান্না করলে চলবে না। আমাকে আরো পরিকল্পনা করে পৃথিবী থেকে মন ভেঙে দেওয়া মানুষগুলোর সামনে দাঁড়াতে হবে। মন ভেঙে দেওয়ার শাস্তি দিতে হবে। আইন করতে হবে, “মন ভাঙলে শাস্তি মৃত্যুদন্ড”

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত