আজ সাফায়েত ভাইয়ের বিবাহ বার্ষিকী৷ ৫ম বছরে সাফায়েত ভাই আর ভাবীর সংসার জীবন৷ অফিসের সবাই মিলে শফিক ভাইয়ের বাসায় পার্টি করবে৷ সবাই অপেক্ষায় আছে বৌ পাগল সাফায়েত ভাইয়ের জন্য৷
“বৌ পাগলা” নামটা অফিসের কলিগদের সম্মিলিত দেয়া নাম৷ সাফায়েত ভাই অবশ্য এই ডাক শুনে রাগ করেন না৷
ব্যস্ততা থাকলে মুচকি হাসেন৷ ফ্রি থাকলে “বৌ পাগলা” নামটা তিনি উপভোগ করেন৷ দু’একজন যারা মুখলজ্জার কারণে সাফায়েত ভাইকে বৌ পাগলা ডাকতেন না৷ সাফায়েত ভাই তাদের সামনে গিয়ে বলতেন, আমাকে সাফায়েত নয়, “বৌ পাগলা” নামে ডাকবেন৷ একবারতো অফিসের এমডি স্যারকে বলে বসলেন, স্যার আমি সাফায়েত নয়৷ বৌ পাগলা সাফায়েত৷ আপনি শট ফরমেটে “বৌ পাগলা” ডাকতে পারেন৷৷” এমডি স্যার কঠিন মুখের মানুষ৷ সাফায়েত ভাইয়ের এহেন কথা শুনে আমরা তখন ঝাড়ির পূর্বাবাস মেলাচ্ছিলাম৷ ঝাড়িটা কেমন হবে৷ চেয়ার টেবিল কাঁপবে কিনা৷ সাফায়েত ভাইয়ের চাকরি থাকবেতো৷” এমডি স্যার মিনিটখানেক চুপ থেকে সাফায়েত ভাইয়ের কাঁধে হাত রেখে বললেন,
-সাফায়েত তুমি ঠিক আছো?”
-অবশ্যই স্যার!” সাফায়েত ভাই জবাব দেয়৷”
-তুমি ফ্রাষ্টেটেড না তো? হতাশা থেকে বলছো এসব?” সাফায়েত ভাই হেসে বলল, না স্যার৷ আমি ঠিক আছি৷ আপনি আমাকে বৌ পাগলা ডাকবেন৷” সাফায়েত ভাই মানুষ হিসেবে যেমন সরল, কর্মী হিসেবেও সফল৷ অফিসের সবার প্রিয়৷ এমডি স্যার ফিক করে হেসে দিলেন৷”
অফিসের পিয়নও বৌ পাগলা স্যার বলে ডাকে৷ মাঝেমধ্যে চায়ের টঙে বসলে আমাকে বলে, আচ্ছা আইডি কার্ডের নামটা “বৌ পাগলা” বানিয়ে ফেলি? দারুণ হবে নি?” আমি হাসি কিছুক্ষণ৷ তারপর বলি, সারাক্ষণ ভাবীর সাথে ঘুরঘুর করে মাথাটা খেয়েছো বুঝলে৷ নাও সিগারেট টানো৷” সাফায়েত ভাই একটু পিছিয়ে বলে, আমি বৌ পাগলা ঠিক আছে৷ তোর ভাবীও জামাই পাগলি৷ কিন্তু এসব বিড়িতে জিরো টলারেন্স ভাই৷” এই বৌ পাগলা ডাকার অনেকগুলো কারণ আছে৷ সাফায়েত ভাইকে যখন কেউ বলে, চলেন রাতে একসাথে খাবো৷” সে যেই হোক৷ সাফায়েত ভাই মুখের উপর না বলে দেন৷ বৌ ছাড়া উনি খাবেন না৷ একদম না৷”
লান্ঞ্চের সময় ভাবী ফোন দেয়৷ ফোনের এপাশে সাফায়েত ভাই খাচ্ছে৷ ওপাশে ভাবী৷ ঐ সময়ে কোনো কথা হয় না৷
ভাত চিবোনোর আওয়াজ শোনা যায়৷ আশপাশের সবাই এসব দেখে হাসে৷ আবার বাহবাও দেয়৷ আমি সাফায়েত ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকি৷ সাফায়েত ভাই চোখ টিপে বলে, এভাবে আর কত চেয়ে থাকবি? মেয়ে দেখবো?” আমি ম্মিত হেসে মাথা নাড়ায়৷ তারপর বলি, আপনার শালী বিয়ে করবো৷” সাফায়েত ভাই বাসায় না গেলে সেদিন রান্না হয়না৷ এ নিয়ে আমরা সবাই অসন্তুষ্ট৷ একটা মানুষ অফিস করে বাসায় ফিরে৷ সে আবার রান্নাবান্না করবে৷ এটা কেমন কথা! আড্ডার ফাঁকে সাফায়েত ভাইকে এসব বলি৷ সাফায়েত ভাই হেসে বলে, এটা ভালোবাসা৷” আমরা নাক সিটকে বলি, ভালোবাসা না ন্যাকামো হুহ৷”
অফিসের অবিবাহিত মেয়ে কলিগগুলো আফসোস করে বলে, সাফায়েত ভাই দোয়া করেন৷৷ আপনের মতো জামাই পাই মতো৷” সাফায়েত ভাই আমাকে দেখিয়ে বলে, ওকে আমার শিষ্য বানাচ্ছি৷ করবে বিয়ে?” অফিস ছুটি হতেই সাফায়েত ভাই পারলে উড়ে বাসায় চলে যেতে চায়৷ উনি মাঝেমধ্যে আফসোস করেন, কেন উনার মধ্যে সুপারম্যানের মতো উড়ার ক্ষমতা নেই৷ উড়তে পারলে ওয়াশরুমে ঢোকার সময়টাতে বাসায় চলে যেতেন৷ সময় বাঁচিয়ে বৌ এর সাথে ভালোবাসা বিনিময় করে ফিরতেন৷” এই আফসোসটা আমার সামনেই বেশি করে৷ “বাস্তবে সুপারম্যান না হলেও, ভালোবাসার পৃথিবীতে আপনি সুপারম্যান ভাই৷” বলে শান্তনা দিই আমি৷ সাফায়েত ভাই ভ্রু কুচকে বলে, মজা করিস! না?” আমি মাথা নেড়ে “না” বলি৷”
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগমন হল, সাফায়েত ভাইয়ের৷ ভাবী উনার বাহুডোর জড়ানো৷ সবাই খানিকটা অবাক হল৷ মতিন ভাই আমার কানে কানে বলল, এ বৌ না পরী শুভ? সাফায়েত ভাই এজন্যই বৌ পাগলা বুঝলাম!” সবার সামনে হাসিমুখে দাঁড়ায় সাফায়েত৷ কানাকানি বন্ধ হলো সবার৷ শফিক ভাই বলল, এবার বুঝলাম, ভাবীর রূপের কারণেই তুমি বৌ পাগলা সাফায়েত৷” সাফায়েত ভাই হাসে৷ সবাই হাসে৷ ভাবীও হাসে৷ কিন্তু চোখগুলো ফ্লোরের দিক থেকে উঠতে দেখিনি৷” মতিন ভাই বলল, ভাবী কি লজ্জা পাচ্ছেন? নাকি বৌ পাগলাটা আর কাউকে দেখতে বারণ করেছে?” প্রত্যুত্তর আসে না৷”
এবার সাফায়েত ভাই বলল, এই যে এই আমার বাহুডোর জড়িয়ে ধরা মানবীটা৷ ওর সাথে আমার প্রেমটা চোখেচোখে হয়নি৷ ওর সাথে আমার প্রেম হয়, ভালোবাসা বিনিময় হয়৷ রাগ জমে, অভিমান ঝেকে বসে৷ এর সবকিছুই অনুভূতির খেলা বুঝলে৷ আমার মন খারাপটা নীলু চোখে না দেখেও বুঝতে পারে৷ বুঝতে পারে আমার অভিমান, আমার মনের ভেতরের আবহাওয়াটা নীলু খুব বুঝতে পারে তার অনুভূতির শক্তি দিয়ে৷” যেদিন আমি ফোনকলে কাঁপা গলায় নীলুকে বলেছিলাম, নীলু তুমি আমার হবে? চলবে আমার সাথে? ” নীলু খানিকক্ষণ হেসেছিল৷ আমি বিব্রত হলাম৷ হাসিশেষে নীলু বলল, সাফায়েত সাহেব! আপনি ঠিক আছেন?”
-আছি৷” বলে জবাব দেই আমি৷
-ভালো আছেন?” আবার জিজ্ঞেস করে নীলু৷ আমার আবারো অস্বস্থি লাগে৷ নীলু কী মজা করছে আমাকে নিয়ে?” প্রশ্ন করলাম নিজেকে৷ প্রতুত্যর না পেয়ে ওপাশ থেকে নীলু আবার বলল, জবাব দিচ্ছেন না কেন? ভালো আছেন?” আমি জবাব দেই,
-ভালো আছি৷” নীলু দীর্ঘশ্বাস ফেলে৷ আমি খুব বুঝতে পারি৷ খানিকটা চুপ থেকে নীলু বলল, আপনার ঠিক থাকা৷ ভালো থাকা এসব আমি গলা টিপে মারতে চাইনা সাফায়েত সাহেব৷ আমার সাথে আপনার মিলেনা কিছুতেই৷” আমি বিরক্ত হলাম নীলুর এমন কথায়৷” আমি নেহালের কথা ভাবি৷ নীলুর লেখনিতে মুগ্ধ হয়ে আমি নীলুকে মেসেজ করেছিলাম৷ দিন দুয়েক পরে আমাকে অবাক করে ওপাশ থেকে রিপ্লাই আসলো৷ আমার সেদিন বাকবাকুম অবস্থা৷ বন্ধু নেহালকে পেটপুরে বিরিয়ানী খাঔয়ানোর পর আসল ঘটনা বললাম৷ ঘটনা শুনতেই অট্টহাসিতে ফেটে পরে নেহাল৷ ঘন্টাখানেক বোঝালো, এসব লিখার সাথে একটা মানুষের ভেতরটা মেলানোর কোনো মানে নেই বন্ধু৷ লিখাকে ভালোবাসো, মানুষকে নয়৷” আমি বলেছিলাম, লিখাকে নয়৷ আমি নীলুকে ভালোবাসি৷ নীলুর অনুভূতিগুলো অনুভব করি আমি৷”
তারপর নীলুর সাথে কথা হয়না আমার৷ আমার অভিমানের বদলে ভালোবাসা জন্মায়৷ আমি ভাবি, নীলুর কাছে মাফ চাইবো৷ অনুভূতিজড়ানো লিখাগুলো দেখিনা আমি৷ ভাবলাম, নীলু কী রাগ করেছে? নাকি আমি নীলুর মনের মতো নই৷” আমার ছন্নছাড়া লাগে৷ অপরাধবোধ ভেসে বেড়ায় আমার মনের আকাশে৷” আমার ঠিক থাকা কিংবা ভালোথাকা নীলীর মারার অধিকার নেই বলেছিল মেয়েটা৷ কিন্তু তবুও আমি ভালো থাকিনা৷” তার অনুভূতিজড়ানো শব্দচয়নগুলো খাঁচায় বন্দি করবে কেন সে?” এই বন্দি করাটার দায় কী আমার?” মনের ভেতর প্রশ্ন ঘুরপাক খায় আমার৷ উত্তর খুঁজে ফিরি৷ নাগাল পাইনা৷” মাসখানেক ধরে নীলুর ফোন বন্ধ৷ হুট করে একদিন লেগে গেল৷ আমি কেঁদে উঠি৷ হাউমাউ কান্না একদম৷ আবদার করলাম, চলতে চাইবোনা৷ শুধু একবার দেখে চোখ জুড়াবো৷” নীলু না করেনি৷”
আমি নীলুর কাছে ছুটে যাই৷ আমার সেদিনের বিকেলটা এখনো মনে পড়ে৷ সূর্যের লালআভা ছেয়ে থাকা বিকেলটার নাম দিয়েছি আমি “লালরঙা” বিকেল৷ নীলু পার্কের বেন্ঞ্চিতে বসা ছিল৷ চোখে হালকা কালচে চশমা৷ আমি গুটি পায়ে হেঁটে নীলুর পাশে বসি৷ “সাফায়েত? প্রশ্ন করে নীলু আমি “হুমম” বলে সায় জানালাম৷ খানিকটা নীরবতা৷ আমি সাহস করে বলে বসলাম, নীলু চশমাটা খুলবে? চোখে চোখ রাখবো একবার!” নীলু হাসে৷ ফ্যাকাশে হাসি৷ আমার ভেতরে বেদনার সুর বেজে উঠে৷ নীলু চশমা খুলে না৷ আমি সামনে তাকিয়ে থাকি শূন্যচোখে৷” টুপ করে চশমা খুলে নীলু৷ জানেন সাফায়েত? আমার চোখের কোনো ভাষা নেই৷ নির্বোধ চোখ৷ জন্মের পর থেকে অভিমান করে বসে আছে চোখ দু’টো৷” আমি জানি, ভালোবাসা জিনিসটা অনুভুতির৷ চোখ সেখানে এক চিমটি লবণ৷ কিন্তু জানেনতো, এই লবণটা ছাড়া কিছু জমেনা বুঝলেন৷”
আমি বুঝতে পারি আপনার ভেতরের যন্ত্রণাটা৷ আমি এও জানি আপনি এতদিন পাগলপ্রায় ছিলেন৷ যদি সেদিন ফোনে আপনাকে আমার নির্বোধ চোখের গল্প শোনাতাম৷ আমার প্রতি জমানো অনুভূতিতে চিড় ধরতো৷
আপনি মনে মনে বলতেন, চোখে দেখেনা! আবার লিখে কেমনে?” আপনি ভাবতেন, আমি আপনার পরীক্ষা নিচ্ছি৷ তাই আজ আপনার এক টুকরো আবদার মেনে নিয়ে দেখা করা৷” সাফায়েত, আমি ছোট থেকে বড় হয়েছি অন্যের সাহায্য নিয়ে৷ ঐ যে সামনে যে ছেলেটা আছে৷আমার ভাই, যমজ হয়েছি৷
ছায়ার মতো লেগে থাকে সারাক্ষণ৷ আমাকে গান গেয়ে শোনানো, কবিতা কিংবা গল্প৷ ওর শৌনানো গল্প শুনেই আমার ভেতরে অনুভূতির জাগরণ৷ এই যে অনুভূতির গল্প শোনাই সবাইকে৷ অনুভূতিগুলো আমার হলেও প্রকাশ করার ক্ষমতা আমার নেই৷ ভেতরের অনুভূতিগুলো বের করতেও আলাদা দু’টো হাতের সাহায্য লাগে আমার৷” সেখানে আমি কিভাবে একটা সংসার বইবো সাফায়েত? এ কী সম্ভব?” “অবশ্যই সম্ভব” বলোনা সাফায়েত!” আমার যাওয়ার সময় হয়েছে৷” সারাঘরে নিরবতা ভর করে৷ সাফায়েত ভাই এক ঢোক পানি দিয়ে গলা ভেজায়৷” ঠিক তার সপ্তাহখানেক পরেই আমি নীলুকে নিয়ে আসি৷ আম্মার সাথে আমার কথা হয়নি অনেকদিন৷ নীলু আমার হাত ধরে বলতো, তুমি চাইলে ডিভৌর্স দিতে পারো!” আমি নীলীর ঠোঁটের উপর আঙুল চেপে চুপ করাই৷”
আমি দেখতাম, ভাবীরা কী তাচ্ছিল্যভরা দৃষ্টিতে তাকাতো৷ আম্মার ভারী মুখটা আমাকে পোড়াতো বেশ৷
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলিনি৷ নীলু ফেলতে দেয়নি৷ সংসারে নীলুর ভাগের কাজটা আমি করতাম৷ আমি বিয়ে করেছি৷ ঘরে ততদিনে কাজের ভাগ শুরু হয়েছে৷” আম্মার সাথে আমি কথা হয়নি অনেকদিন৷ হুটহাট নীলুকে মায়ের পাশে নিয়ে বসাতাম৷ আগে আম্মার ঘুম না ধরলে আম্মার চুলে তেল মালিশ করতাম আমি৷ কাজটা নীলুকে শিখিয়ে দিয়েছি৷ অনুমান ভালো মেয়েটার৷” আম্মার কবিতা পছন্দ৷ নীলু রোজ আম্মার পাশে বসে কবিতা শোনায়৷” নীলুর বানানো কবিতা৷ আম্মা চুপচাপ শূন্য দৃষ্টিতে বাইরে তাকিয় থাকি৷ সামনে দাঁড়ানোর শক্তি পাই না৷ লুকিয়ে দেখি৷”
গতমাসের শেষবিকেল৷ আরেকটা সন্ধ্যায় আমি আম্মার ভারীমুখে হাসিফোটাতে চেস্টা করা নীলুকে দেখার প্রস্তুতি নিয়ে ঘরে ফিরছি৷ মন খানিকটা ভালো৷ বাবা হতে যাচ্ছি আমি৷ আম্মার গলার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে৷ আমি উখি দিয়ে দেখি৷ আম্মা নীলুকে বকছে৷ আরেকটু কাছে গিয়ে’ কান পেতে রাখি, আমি শুনলাম, তুই শুধু আমাকে কবিতা শোনাবি আর মাথায় তেল মালিশ করবি মেয়ে৷ আমাকে না বলে রান্নাঘরে পা বাড়ালে পা ভেঙে ফেলবো৷ আমি মেয়ে নাতী দু’টোকেই সুস্থ চাই বুঝলি৷” নীলুর দিকে তাকাই আমি৷ মুচকি হাসছে৷ আম্মাকে দেখলাম নীলুর কপালে স্নেহের চুমু দিচ্ছে৷” আমার মনে হচ্ছিল, আনন্দে আমি অজ্ঞান হবো৷ নিজেকে সামলামাম৷ রাতে নীলুকে জিজ্ঞেস করতেই বলল,
মা-মেয়ের ব্যাপার৷ তুমি ঘরজামাই বুঝলে৷” আমি অবাক হই৷ নীলু হেসে বলে, আম্মা বলেছে!”
এই যে, সবাইকে বলি আমি ঘরে না ফিরলে রান্না হবে না৷ নীলুর শখ বড্ড, নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াবে৷ নিজের মানুষটার শখটা অপূরণ রাখি কিভাবে?” নীলুই রাঁধে৷ আমার দায়িত্ব তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে রাখে৷ ” আমি ভাবি, নীলুর বেলায় নয়৷ সবার বেলায় সংসারটা চার হাত আর দুই কাঁধ মিলিয়ে টানা হোক৷ কী আছে?কি নেই না ভেবে বরং সুখে থাকি৷ ভালোবেসে সুখে থাকি, অনুভূতির আকাশে পাখা মেলে উড়ি৷”