ব্ল্যাক হ্যাকার

ব্ল্যাক হ্যাকার

আফসানা হাতের মাউস টা চাপছে আর স্কিনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।এভার সে চিৎকার করে উঠলো আর তাদের চিফ আমজাদ হোসেন স্যার কে ডাকলো।কিছুক্ষনের মধ্যে অনেকেই আফসানার ডেক্সে জমা হলো।সবাই হা করে তাকিয়ে আছে যে হচ্ছে টা কি এগুলো।এভার আফসানা দৌড়ে তার পিসির লাইন টা বিচ্ছিন্ন করে দিল।এর মধ্যে অফিসের 158 টা পিসি সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গেল।কিন্তু মূল সমস্যা হয়েছে আফসানার পিসি টা নিয়ে।কেননা এ এজেন্সির সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো রয়েছিল আফসানার কাছে।এমন কি নতুন সে সব প্রযুক্তি তৈরি করেছিল তারা সেগুলো সব মনিটরিং এবং কী-ওর্য়াড ছিল এখানে।আর এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে যে আমাদের পিসি কেউ হ্যাক করছে।আমজাদ সাহেব কিছুক্ষন চুপ থেকে বললেন

-ইমু কে আসতে বলো অফিসে আফসানা।

এভার আফসানার মুখে এক ফালি হাসি দেখা দিল।ইমু কে বরাবর ই খুব পছন্দ,কিন্তু সে ভয়ানক মানুষ।আফসানার হাসি দেখে আমজাদ সাহেব আফসানার কান টেনে বললো

-হেসো পরে আগে তো ফোন দাও,,
-স্যার ইমু তো ছুটিতে আছে এখনো ।
-ফোন দাও
-স্যার ফান করছেন?আজ পযন্ত ইমু ছুটিতে থাকলে আপনি তাকে ফোনে পেয়েছেন?এমন কি সে কোথাই রয়েছে তা আমাদের কোন এজেন্সি খোঁজে বের করতে পেরেছে ?
-তা ঠিক ।আমাদের এত সিক্রেট এজেন্সি রয়েছে তবুও তাকে কোথাও দেখতে পায় নি ।
-স্যার আপনি চিন্তা করবেন না ইমু এসে পড়বে।সে জানবে না এমন তো হওয়ার প্রশ্ন ই উঠে না ।
-আচ্ছা তো এখন আমাদের হ্যাক করা ডাটা গুলো কি করবো ?
-স্যার ইমু আসুক,ও আসলে সমাধান হবে।
-ওকে,তোমরা সবাই আবার কাজে লেগে যাও।আর আফসানা তুমি আপাদত অন্য একটা পিসি ব্যবহার করো।
-জ্বী স্যার…

আমজাদ হোসেন এভার চিন্তায় পরে গেলেন।তবুও সে কাউকে কিছু বুজতে দিল না, নয়তো সবাই আরো বেশি র্দুবল হয়ে যাবে।ইমু কে খোঁজে বের করার জন্য আমজাদ সাহেব তাদের এসেন্জি গুলোকে বলে দিল।জানে এতে করে খুব একটা লাভ হবে না।এভাবে ওই দিন পার হয়ে গেল।এর ভেতর বেশ কিছু ডেটা ও হ্যাক হয়ে আছে।সবাই নিজের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে যাচ্ছে । পরের দিন সকালে যখন আমজাদ সাহেব অফিসে এলো ঠিক তখন দেখলো যে ইমু টেবিলের উপর বসে সিগারেট ফুকছে।ইমু কে দেখে আফসানার মুখে হাসি টা ফিরে এলো।ইমু সিগারেট টা টানতে টানতে বললো

-আমার খোজ করছিলেন বুজি ?
-হ্যা,তা তো করছি ই।কিন্তু তুমি কোথায় থাকো যে তুমার কোন খবর পাওয়া যায় না ?
-আমার খবর আপনাদের পেতে হবে না।আমি এখানের খবর রাখলেই হবে ।
-অদ্ভুত তুমি ।
-সিক্রেট এসেন্জি গুলো কে জানিয়ে দেন আমি এসে গেছি।নয়তো ছেলেগুলো যে মরবে ।
-ওয়েট ওয়েট তুমি কিভাবে জানলে যে আমি সিক্রেট এসেন্জি দিয়ে তোমার খোঁজ করছি ?

-আপনার দাত ।
-মানে ?
-আপনার কোয়ালের একটা নষ্ট হয়ে গেছিলো মনে আছে ?
-হ্যা,,, তো ?
-হুম,সেখানে এখন যে দাত টা লাগানো আছে সেটায় একটা ট্রেকার আর একটা ভয়েস কন্টলার রয়েছে।
এভার আমজাদ সাহেব চুপ হয়ে গেলেন।তিনি জানেন ইমু কে থামানোর সাধ্য তার নেই।
-তাহলে এটাও জানো যে আমাদের পিসি হ্যাক হয়েছে একটা ।
-হুম জানি ।আর তাই তো এসেছি আমি ।

পাশে দাড়িয়ে আফসানা হাসছে।ইমু ভেবে পায়না এমন একটা মেয়ে কিভাবে এসব জব পায়?মনে সারাক্ষন শুধু লাড্ডু ফোটতে থাকে এদের। হ্যাক হওয়া র্হারডিক্সটা এভার আমার সামনে এনে দেওয়া হলো।আমি এটা আমার টেবের সাথে কানেক্ট করলাম।পুনরায় আমি সে সাইডে গেলাম যা হ্যাক হয়েছিল।আমি জানতাম যে এখানে হ্যাক করতে আসবে সে কোন না কোন ভুল অবশ্যই করবে।এখানেও তাই হলো।আমি যখন ই ENTER চাপতে গেলাম তখন বুজে গেলাম অপর পাশে একজন আছে।হঠাৎ আমার স্কিনে লিখা ভেসে উঠলো

-WHO ARE YOU ?
-MR.BAUNDULA..

এভার সে আমার সাথে খেলতে লাগলো।আমি জানি যে আমি কিছুক্ষনের মধ্যে তার পিসি আমি হ্যাক করে ফেলবো আর আমার সাইড টা রিকভারি ও হয়ে যাবে।তাই আমি তার সাথে পুড়নো সিম্পল একটা খেলা খেলতে লাগলাম

Set wshShell = wscript.CreateObject(WScript.Shell)
do
wshshell.sendkeys You are a fool.
loop

এভার এটা আমি তার পিসিতে NGT.vs দিয়ে সাথে কিছু কোডিং দিয়ে খেলতে লাগলাম।আমি জানি সে এটা ক্লিক করবে আর তখন তার কি-র্বোড হ্যাং হয়ে যাবে।আর সেই টুকু সময়ে আমি আমার কাজ করে ফেলবো।হ্যা আমার কাজ শেষ আমি আমার ডেটা গুলো ফিরে পেয়েছি এবং তার ডেটা ও আমার কাছে।এভার তার পিসিকে ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি শুনাবো।তাই দিয়ে দিলাম আরেকটা খেলা

wx@echo off
msg * I don’t like you
shutdown -c Error! You are too stupid! -s

আমার কাজ শেষ।তার পিসি ঘুমাক আপাদত,আমি কাজ শেষ আফসানার দিকে তাকিয়ে দেখি সে হা করে তাকিয়ে আছে।এভার আরেকটা সিগারেট ধরিয়ে টানতে লাগলাম।কেননা খেলা এখনো শুরু ই হয় নি,যে আমাদের পিসি হ্যাক করতে পারে সে কেউ সাধারণ মানুষ নয়।অবশ্যই এর পিছনে কারণ রয়েছে।আর সে কারণ আমায় এখন খোজতে হবে ।

আমি তাদের ডেটা গুলো দেখে বুজতে পারলাম এটা আরেকটা অন্ধকার জগৎ যেমন টা র্ডাক ওয়েব ।তারা তাদের এই ওয়েবটার নাম দিয়েছে Show me আর এখানে ও তারা ইলিগ্যাল কাজ করে যাচ্ছে।মানুষের পার্সোনাল ডেটা সংগ্রহ করছে,নতুন একটা এপ্স দিয়ে তারা অন্যের মোবালই টা ক্রাক করতে পারছে।আর এগুলো মানুষকে ব্লেকম্যল করে চলছে।তাই দেশে বেড়ে যাচ্ছে খুনের সংখ্যা।আমি এ সাইডে যত বেশি ভেতরে প্রবেশ করছি ততবেশি খারাপ দিক গুলো খোজে পাচ্ছি।তারা একটা ডিল করেছিল যে আমাদের এ সাইড হ্যাক করে সব বায়োগুলো লুফে নিবে,আর তখন তাদের এ সাইড টা আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে পড়তো।এখানে জড়িয়ে আছে দেশের বড় বড় হাঙর মাছ গুলো সাথে রাজনৈতিক নেতা রা ও । আমি বুজতে পারছি অপর পাশ থেকে কেউ আবার Recovery করার চেষ্টা করছে।আমার ডেক্স স্কিনে নোটপেডে লিখা আসলো

-If you want to survive ,please retrun my data now!!!
-The desire to die is evident……..
-wait & see Mr Baundula ,

আমি হাসলাম এভার।পাশে তাকিয়ে দেখি আফসানা আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।আসলে মেয়েটা কি চায় আমি তা মোটেও বুজতে পারি না।আমি তাকে জিঙ্গাস করলাম ,কিছু বলবা আমায় ?সে উওরে না বোধক মাথা নাড়ায় ।এখন আমার কাজ হচ্ছে এই সাইট এর মালিক কে খুজে বের করা ।আর যেহেতু সে আমারদের ডেটা কিছু সময়ের জন্য হ্যাক করেছে সুতরাং তাদের কাছে আমাদের সকলের কিছুটা হলেও তথ্য আছে।এভার আমি আফসানার দিকে তাকিয়ে বললাম

-কালকে একটা জায়গায় যেতে হবে তুমার,একটা ফিঙ্গারপ্রিন্ট আনতে ।পারবে কি ?
-আপনি বলছেন আর আমি পারবো না?
-বাচ্চাদের মতো আচরণ বন্ধ করো।মাথা থেকে উল্টা পাল্টা চিন্তা বাদ দেও ।
-আপনি জানেন নাকি আমি কি চিন্তা করি ?
-এভার দেব এক চড় ।

এভার মেয়েটা চুপ হয়ে গেল।আমি তাকে একটা শপিং ধরিয়ে দিলাম আর বললাম এখানে যা যা আছে ঠিক সেটা পড়ে কালকে তুমি বের হবা বাসা থেকে।আফসানা শপিং ব্যেগ এর দিকে তাকিয়ে দেখলো সেখানে ঘড়ি,জুতা,কানের দুল,একটা সিগারেট এর প্যাক ও ।সে চুপ করে রইলো ।এভার আমি আবার আমার কাজে মন দিলাম । পরের দিন সকাল ১০ টার দিকে আফসানা বাসা থেকে বের হলো।সে হাটতে হাটতে একটা ছোট ব্রিজে উঠলো।।হঠাৎ সে মোবাইল বের করে আমায় ফোন দিল

-আমার কেমন যেন লাগছে স্যার,,আমার আশে পাশের মানুষ গুলো একটু ভিন্ন মনে হচ্ছে
-তুমি ফোন কাটো ।তুমার কানের দুলে আমি কিছু সেট করে দিয়েছি।তুমি এমনি আমার কথা এখান থেকে শুনতে পারবা। সে ফোন টা কাটলো।আমি যেমন ভাবছিলাম সমস্যা টা তার চেয়ে ও বেশি বড় মনে হচ্ছে আমার ।আমি অফিসে পিসির সামনে বসে আফসানাকে ফলো করছি।তার কানে ছোট একটা ডিবাইস সেট করা আছে যা দিয়ে আমরা কথা বলতে পারবো।সে একটু সামনে এগুতে ই আমি তাকে বললাম

-আফসানা,তুমি 60 ড্রিগি ঘুরে দাড়াও তো ।
-কেন?
-তুমার থেকে ৪০০ মিটার দুরে ছাদে একজন স্নাইপার নিয়ে বসে আছে তোমাকে মারার জন্য।
-মানে ?স্যার আমি এত তারাতারি মরতে চাই না।আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি স্যার।
-আজব তো !
-স্যার সত্যি বলছি আমি অনেক বেশি ভালোবাসি আপনাকে.
-চুপ চাপ যা বলছি সেটা করো।এত ভয় করলে এজেন্সির কাজ করো কেন ?স্টুপিড
-জ্বী বলেন
-তুমি তুমার বাম হাত টা তুমার বুকের ডান দিকে নিয়ে আসো ।
-মানে ?
-তুমি নাও,আর দেখ তুমার হাতের ঘড়িটা গ্রিন সিগন্যাল দিচ্ছে ওই খানে নেওয়ার পর ।

আফসানা ঘড়িটা তার বুকের বা পাশে নিয়ে আসার পর ও কোন সিগন্যাল দেখতে পাচ্ছেনা।কিন্তু সে যখন তার বাম পয়োধরের রাখলো ঠিক তখন সে সিগন্যাল পেল ।

-হ্যা তাইতো ।
-তুমি 5 সেকেন্ড এর ভেতর OK ক্লিক করো।

আফসানা ওকে করার সাথে সাথে তার ঘরি থেকে একটা বুলেট বের হয়েছে যা তার থেকে ৪০০ মিটার দুরে ছাদে যে স্নাইপার বসে আছে তার বুক বরাবর যাবে।আর ঠিক তখন ই অপর পাশের একজন মাটিতে লুটে পড়েছে।এভার আফসানা কে তার পেছন থেকে কয়েকজন ফলো করছে।তাদের হাতে ধারালো ছুড়ি ।আমি আবার আফসানাকে বললাম

-তুমার ব্যেগে যে সিগারেট রয়েছে তা জ্বালাও এখন ই
-কেন ?আমি তো সিগারেট খাই না ।

-যা বলছি তাই করো।সিগারেট টা জ্বালিয়ে জোরে একটা টান দিয়ে তা তুমি ফেলে দিবা।সাথে সিগারেট এর প্যাক টা ও।আর তুমি দৌড়ে চলে আসবা সেখান থেকে ।কেননা এখানে বোম রয়েছে।আর তুমি আকাবাকা করে হাটবা রাস্তায়,তাহলে তোমার জুতায় লাগানো মাইন গুলো সেখানে সেট হয়ে যাবে । আফসানা ঠিক তাই করলো।আর সে যখন দৌড় দিল তখন তার পিছু যারা ছিল তারাও দৌড় শুরু করেছিল আফসানা কে মারার জন্য ।কিন্তু তারা যখন ই সেই পরিত্যক্ত সিগারেটের কাছ দিয়ে গেল ঠিক তার সাখে সাথে পুড়ো ব্রিজ টা বুম করে উড়ে গেল ।আফসানা কে সেখান থেকে আমি ভালো ভাবে বের করে আনলাম । তাকে যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর কথা বলেছিলাম সেটাও সে নিয়ে এসেছে।কিন্তু তাকে দেখে বুজা যাচ্ছে সে অনেক টা ভয় পেয়ে আছে।ছলছল চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে যেন কিছু বললেই কেদে দিবে মেয়ে টা ।আমি এভার আফসানার সামনে গেলাম

-দেখ মেয়ে এ পৃথিবী অনেক নিষ্ঠুর ,আর তার চেয়ে ও বেশি এই পৃথিবীর মানুষগুলো।যেহেতু তুমি এ মরণ খেলায় পা দিয়েছো তাহলে তোমায় প্রস্তুত থাকতে হবে।পিস্তল ধরে বুজতে হবে এখানে কয়টা বুলেট আছে,আমি কত জনকে মারতে পারবো।তুমি র্মাসাল আর্ট এ ব্ল্যাক বেল্ট তা আমি জানি,কিন্তু এখানে তোমার সামনে যা হবে সেটা মোকাবেলা করার জন্য তুমার শক্তি থাকতে হবে ।এই কাজে মৃত্যু তোমার পিছু ছাড়বে না।সুতরাং আরো বেশি শক্ত হতে হবে তোমাকে ।

-জ্বী স্যার,,,,,,

আমি আবার আমার কাজে মন দিলাম।তাদের সিগন্যাল টা আমি হ্যাক করলাম।আমার জানতে হবে এর পেছনে উদ্দেশ্য টা কি।স্নাইপার হাতে নেওয়া সেই লোকটা কে মেডিসিন দিয়ে ঠিক করলাম।হ্যা আমি যা ভেবেছিলাম তাই ,লোকটা নিজেও জানেনা সে কেন আফসানা কে মারতে এসেছে।শুধু ওই ওয়েব থেকে একটা র্বাতা এসেছে যে,যদি মেয়েটাকে না মারো তাহলে তুমার সব পারসোনাল বায়োগুলো আমি পাবলিশ করে দেব । এভার আমার রাগ টা সবোচ্চ হয়ে আছে।এ খেলা খুব তারাতারি শেষ করতে হবে ।আমাদের চিফ এভার আমার সামনে এসে দাড়ালো

-ইমু কি প্ল্যান করেছো ?
-ইমু প্ল্যান করে কাজ করে না।
-আমাদের কি নতুন হাতিয়ার আনতে হবে ?
-স্যার ,একটা সময় ছিল যখন মানুষ সামুরাই দিয়ে যুদ্ধ করতো,তারপর তীর এলো,প্রযুক্তির নতুন আবিষ্কারে আমাদের মাঝে এলো বন্দুক,তারপর চললো কার908।কিন্তু স্যার এখন যুগ টা অনেক বদলে গেছে এখন মানুষ যুদ্ধ করে কম্পিউটারে,কারো র্সাভার ডাওন,সাইবার এর্টাক ইত্যাদী…..

-তোমার কথা টা সঠিক বুজতে পারিনি ইমু ।
-বুজবেন,আমি যখন আপনাদের বললো তখন শুধু ইন্টার বাটন টা চেপে ধরবেন।বাকিটা আমি দেখবো ।

আমি তাদের লোকেশন টা লক করার জন্য চেষ্টা করছি।আমার জানতে হবে কোন জায়গায় এরা রয়েছে।অবশ্য তাদের আইপি বারবার চেন্জ হচ্ছে,সেটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই আপদত।আমি আফসানার পিসি টা নিয়ে ঘাটতে লাগলাম ।তারপর তাকে আমার সামনে বসিয়ে দিয়ে ফাইলগুলো ওপেন করতে দিয়েছি।আর আমি আমার ন্যানো পিঁপড়ে টা নিয়ে একটু খেলতে লাগলাম ।হঠাৎ আফসানা বলে উঠলো

-স্যার, nix.bat নামে একটা ফাইল হঠাৎ কিভাবে যেন স্কিনে এসে পড়লো।
-তুমি ক্লিক করবা না এখানে।ওরা হ্যাক করার জন্য এগুলো করছে ।
-আচ্ছা

আমি এভার তাদের লোকেশন লক করে ফেললাম ।এখানে মেইন যে মালিক তার নাম আকিব হাসান ।ওনাকে আমি চিনি ,ব্ল্যাক হ্যাকিং এর জন্য বেশ কিছুদিন জেল ও খেটেছিল।তার মূল লক্ষ হলো এ দেশের সকল ডাটা যেন তার অধিনে থাকে।সে দেশের একটা উচ্চ স্তরের ভয়াণক মানুষ হিসেবে পরিচিত হতে চেয়েছিল ।যেমন র্ডাক ওয়েব বিশ্বে সাড়া জাগানো একটা ওয়েব ঠিক তেমন ই এই সো মি সাইড ও এমন হতে চেয়েছিল।প্রতিদিন এ বিশ্বে 248,756 মানুষ জন্মায় আর মৃত্যু সংখ্যা 104,434 ।তারমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি 144,322।আর মোট জনসংখ্যা 7,759,827,545 ।আর এতগুলো মানুষের ডাটা কালেক্ট করার জন্য সে প্রতিটি দেশের একজন ব্ল্যাক হ্যাকার লোকের সাথে জড়িত ।এভার আমার মাথা টা ধরে আসলো কেননা এটা আমাদের চিন্তা থেকেও বেশি ভয়াণক।আমি তো তাদের সব ধরনের সাইড হ্যাক করে ফেলেছি,তারমানে এখন ওরা পাগল হয়ে আছে আমাদের উপর ।আমি আফসানা ডেকে বললাম

-আমাদের সবগুলো শিল্ড বের করতে বলো ।
-জ্বী স্যার ,,

আর ৫ মিনিটের ভেতর ২৬ হাজার পিঁপড়ায় আমাদের রুম ভরে গেল ।আসলে এগুলো আমার তৈরি । ২৬ হাজার পিঁপড়ে একসাথে ফাটলে বড় ধামাকা হবে ,আর আমি এটাই চাই ।রিমোট দিয়ে আমি পিঁপড়ের লোকেশন সেট করে দিলাম।এগুলো উড়তে শুরু করলো আর কিছু এমনি যেতে লাগলো ।হঠাৎ আমাদের অফিসে একটা বোম নিক্ষেপ করলো ফলে আমাদের একটা শিল্ড নষ্ট হয়ে গেল ।আমি বুজতে পারছি ওরা ওইখানে বসেই এগুলো করছে ।আমাদের প্রতিটা এজেন্সিকে কম্পিউটিারের সামনে বসতে বললাম ।আর প্রথমত যেন এর্টাক না করে তাদের এর্টাকগুলো কাবু করে সেই কমান্ড দিলাম ।আফসানাকে র্রাডার গুলো ওপেন করতে বললাম ।এর মধ্যে আমি আমার তৈরি অস্রগুলো সাজাতে লাগলাম । এভাবে বেশ কিছুক্ষন যাওয়ার পর আফসানা বলতে লাগলো

-স্যার আমাদের শিল্ড সবগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।কিছু করুন প্লিজ
-তোমরা সবাই ইন্টার বাটন প্রেস করো একসাথে ।

আর সাথে সাথেই আমাদের অফিস থেকে একটা বড় মিসাইল তাদের সেই লোকেশনে যেতে লাগলো ।পাক্কা ৩ মিনিট পর তা সেই লোকেশনে পড়তে লাগলো।আর আমি এই ফাকে আমার তৈরি পিঁপড়ে গুলোকে ব্রাষ্ট করতে লাগলাম।যাতে সেখানে কোন প্রাণের অস্তিত্ব না থাকে ।অতঃপর সেই জায়গাটা পুড়ে ছাই হয়ে গেল ।অফিসের সবাই হাত তালি দিতে ব্যস্ত ,আফসানা আনন্দে সবার গালে লাগছে।কিন্তু তখন ই আমার ঘড়িটা সিগন্যাল দিলো যে এখনো একটা আইপি বেচে আছে।তার লোকেশন চেন্জ হচ্ছে।সে এর মধ্যে ২৩ জনের সাথে যোগাযোগ করে ফেলেছে ।আমি দৌড়ে বাহিরে গেলাম ,বাইক টা র্স্টাট দেওয়ার সাথে সাথে দেখি আফসানা দাড়িয়ে

-আমিও সাথে যাব আপনার ,,,,,,,
-আমি কি কোন পিকনিকে যাচ্ছি নাকি যে সাথে যাবা ।
-আপনি ই তো বলেছেন সামনের সময়টাকে মোকাবেলা করতে ।যদি না ই নিয়ে যান তাহলে কিভাবে করবো ?
-চলো

আমি আফসানাকে নিয়ে বাইক টানতে লাগলাম ।অলরেডি 220 সিসির মধ্যে 170 পার করে ফেলেছি,মেয়েটা পেছনে শক্ত করে জড়িয়ে আছে আমায় ।সামনের দিকে তাকিয়ে দেখি আকিব হাসান বেশ কিছু লোক নিয়ে দাড়িয়ে।আমি বাইক টা থামালাম ,আর আফসানার কানে কানে বললাম ,তোমার জুতার ক্ষুরে ছুড়ি লাগানো আছে,তুমি যখন চাপ দিবে তখন বের হবে ।সে হাসলো আর আমার সামনেই ৫ জনকে মাটিতে লুটিয়ে দিল ।এভার আকিব সাহেব বলতে লাগলো

-কি ইমু আহমেদ আপনার কি মনে হয় আপনি বেচে যাবেন আজকে ?
-মন থাকলে তো মনে করবো।আর বেচে ফিরবো সেটা তো ১০০% শিউর ।
-আপনার চারদিকে লোক রয়েছে মারার জন্য,আর ছাদে স্নাইপার ।মানে কিলার মেশিন ।
-হু কেয়ারস,,,,

বলেই ঝাপিয়ে পড়লাম তাদের উপর,এদিকে আফসানা অনেককেই মাটিতে লুটিয়ে রেখেছে । আমি তার দিকে তাকিয়ে দেখলাম সে এভার ক্লান্ত হয়ে গেছে ।হঠাৎ ছাদ থেকে আসা একটা বুলেট আমার পাজর ছিড়ে ভেতরে ঢুকেছে।আফসানা আমার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠিলো ।আমি তবুও মারতে লাগলাম কয়েকজন কে । হঠাৎ আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম।আর আকিব হাসান আমার সামনে এসে জিঙ্গাস করতে লাগলো

-কি মিঃ ইমু বেচে ফিরতে পারবেন তো ?
-ইমু তার দেওয়া কথা রাখে,আর মরতে তো আপনাকে ও হবে ।
-সেটা স্বপ্ন মিঃ ইমু
-আমি আবারো হাসলাম,আর বললাম আপনার পিছনে তাকিয়ে দেখেন ।

আকিব হাসান পিছনে তাকাতেই দেখতে পেল ইমু দাড়িয়ে ।আকিব হাসান মাথায় হাত দিয়ে বললেন এ কিভাবে সম্ভব?ইমু ২ টা কিভাবে ?

-হা হা আপনি যাকে মেরেছেন সেটা আমার তৈরি ক্লোন ছিল, বলেই হাতে থাকা ছোট ছুড়ি টা নিয়ে তার গলায় বসিয়ে দিলাম।রক্তে প্লাবিল হচ্ছে এ জায়গা।আরো যারা যারা বেচে ছিল তাদের কেও আমার পছন্দের ছুড়ি টা দিয়ে কাটতে লাগলাম।কারো কারো রক্ত পানির বেগে ছুটছে আবার কেও গলায় হাত দিয়ে রয়েছে রক্ত বন্ধ করার জন্য,একটু বাচার জন্য।কিন্তু সেটা তো হবে না ।অতঃপর খেলা শেষ সবাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে এখানে । এভার আমি পকেট থেকে সিগারেট টা বের করে টানতে লাগলাম।সাদা গেন্জি টা রক্তে লাল হয়ে আছে অবশ্য।আফসানার দিকে তাকিয়ে দেখি সে মাটিতে বসে আছে।আসলে পায়ে ছুড়ি লেগেছে তো,তাই দাড়াতে পারছে না ।এভার সে আমার দিকে তাকিয়ে কান্না কান্না চোখে বলতে লাগলো

-আপনি এভার ও আমায় ধোকা দিয়েছেন ?আমি যদি মরে যেতাম তাহলে কি ভালো হতো ?
-ধোকা কই দিলাম ?
-ধোকা না ?আপনি না এসে আমার সাথে ক্লোন পাঠিয়ে দিয়েছেন ।
(আসলে রাস্তায় এক জায়গায় আমি বাইক থামিয়ে ছিলাম আর সেখানেই আমার ক্লোন টা আমার জায়গায় চলে গেছে )
-তোমায় পরিক্ষা করছিলাম,দেখছি তুমি কেমন পারো নিজেকে বাচাতে।আর ইমু থাকতে তোমায় কে মারবে ?
-আপনি আসলেই একটা খাটাইস,বারবার আমাকে বিপদে ফেলেন ।

এভার আফসানা কান্না করতে লাগলো।অবশ্য বুজতে পারছি মেয়েটার বড্ড বেশিই খারাপ লাগছে ।আমি আর কিছু না বলে মেয়েটাকে কোলে তুলে নিলাম।তার গড়িয়ে পড়া রক্তে আমার কাপড় ভিজে যাচ্ছে।আমি যখন তাকে বাইকের সামনে বসিয়ে বাইক র্স্টাট করলাম ঠিক তখন মেয়েটা ছুড়ি দিয়ে আমার হাতে একটা কোপ বসালো।আমি অদ্ভুত চোখে তার দিকে তাকাতেই সে বলে উঠলো

-ক্লোন নাকি মানুষ সেটাই চেক করলাম আরকি,এতটুকু বলেই মেয়েটা আমার বুকের সাথে লেপ্টে গেল।আমি হালকা হেসে বাইকের স্পিডটা সবোর্চ্চ এনে আপন মনেই বলে উঠলাম
-পাগলি একটা …

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত