একজন সুরাইয়ার কথা

একজন সুরাইয়ার কথা

পার্থ বড়ুয়ার স্ত্রী নন্দিনী’দি আট মাসের অন্ত:সত্বা।বিয়ের প্রায় ১ বছর ৩ মাসের মাথায় বাচ্চা কনসিভ করেছেন নন্দিনী’দি।নতুন নতুন মা হওয়ার যে তৃপ্তি সেটা নন্দিনী’দি কে দেখলেই বুঝা যায়।

পার্থ’দা এবং নন্দিনী’দি দু’জনেই আত্মনির্ভরশীল মানুষ। সংসার নিয়ে খুব একটা ঝামেলা নেই কারোর।কিন্তু বাচ্চা নিয়েই ঝামেলা।নন্দিনী’দি বাচ্চা কনসিভ করতে চাইলেও পার্থ’দা এই ব্যাপারটা নিয়ে ছিলো বিমুখ।উনার ধারণা বাচ্চা নিলেই যত ঝামেলা ! বাচ্চাকে সময় দেওয়া,বাচ্চার দেখভাল করা এসব একদম ই পছন্দ নয় পার্থ’দার।এই নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রতিদিনই কথা কাটাকাটি হয়। পার্থ বড়ুয়া ছিলেন একটা কোম্পানির এমডি।আর মিসেস বড়ুয়া ছিলেন সাংবাদিক।সাংবাদিকতা নিয়ে কাজ করতেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। মিসেস বড়ুয়া প্রায় নিচতলার করিডোরে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় অতিবাহিত করতেন।বাচ্চা কনসিভ করার পরপরই তিনি আপাতত অবসর।

তিনি যখন করিডোরে বসতেন তখন মাঝে মাঝে এই পথে হাত মোজা পা মোজাসহ বোরখা পরা একটা মেয়েকে যাতায়াত করতে দেখতেন।মেয়েটা প্রায় মিসেস বড়ুয়ার বারান্দার বাহিরে গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে থাকতেন।মেয়েটা কথা বলতে চাইতেন উনার সাথে।কিন্তু মেয়েটা কথা বলতে পারেনা।হয়তো বলার শক্তি হারিয়েছে। আজ মিসেস বড়ুয়া করিডোরে বসার সময় খাতা ও কলম নিয়ে এসেছেন।এই মেয়েটা কথা বলতে না পারলেও অবশ্যই লিখতে পারবে, এমন একটা চিন্তাভাবনা নিয়েই তার এখানে বসা। কিছুক্ষণ পর মেয়েটা এসেছে বারান্দায়, মিসেস বড়ুয়ার সামনে।

–রাণী, দরজাটা খুলে দাও তো।

মিসেস বড়ুয়ার বাড়ির কাজের মেয়েটার নাম ছিলো রাণী। উনি বাড়ির কাজের মেয়েটাকে ডেকে দরজা খোলার কথা বললেন। কিছুক্ষণ পর মেয়েটা মিসেস বড়ুয়ার সামনে রাখা খালি চেয়ারটাতে এসে বসে।মেয়েটা মুখোশের আড়াল থেকে নিজের মুখটা প্রকাশ্যে আনলেন। মিসেস বড়ুয়ার মেয়েটাকে কাছ থেকে আপাদমস্তক দেখে, ভীষণভাবে হৃদয় নাড়া দিয়ে উঠলো তার। কতটা নিচু মনের মানুষ হলে এভাবে একটা তরতাজা মেয়েকে এসিড ছুড়তে পারে !মেয়েটা ভীষণভাবে এসিড দগ্ধ ছিলো। মিসেস বড়ুয়া কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর বললেন,

–আমি বুঝতে পেরেছি, আপনি কিছু বলতে চান, কিন্তু আমি জানিনা আপনি কি বলতে চান ! আপনি আপনার না বলতে পারা কথাগুলো এখানে লিখে দিবেন ? নন্দিনী’দি মেয়েটার হাতে কলম ও খাতা দিয়ে বললেন। নাম সুরাইয়া , নোয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। মেয়েটা কলম আর খাতায় এই দুটি বাক্য লিখেছে।আর সেটা নন্দিনী’দি দেখছে।পরবর্তীতে আবার লিখতে শুরু করলো মেয়েটা…

সাধারণত নির্ধারিত জীবন মানের চেয়ে নিম্ন জীবনমানের অবস্থাকে দারিদ্র বলা হয়।দারিদ্র্যতা আমার আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ছিলো।খুব মেধাবী ছাত্রী ছিলাম, সেই সুবাদে স্কুল, কলেজ এবং ভার্সিটিতে অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়েছিলাম। কেবল মেধাবী নয়, আমি নাকি দেখতে ভীষণ সুন্দরীও ছিলাম, সেটা লোকের মুখে শোনা।

গরিব ঘরের মেয়েদের সুন্দর হওয়া মানেই অভিশপ্ত জীবন।কালো হলেও যে অভিশপ্ত জীবন থেকে রেহাই পাওয়া যায় হয়তো তেমনটাও নয়।যাই হোক,এই সৌন্দর্যের জন্যই স্কুল,কলেজ এবং ভার্সিটিতেও নিয়মিত হ্যারেজম্যান্টের স্বীকার হতাম। হোক সেটা বাবার বয়সী পুরুষ বা ভাইয়ের বয়সী। মনে হতো সংখ্যাগরিষ্ঠ পুরুষদের চাহিদাটাই এমন জঘন্য।

নিজের সৌন্দর্য ঢাকতে এবং নিজেকে হেফাজত করতে ১১বছর বয়স থেকেই বোরখা,হাত মোজা এবং পা মোজার আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চেয়েছিলাম।আমি কিন্তু এখনও মাথা নোয়ায় নি।কারণ অন্যায় যে করে মাথা সেই নোয়ায়।

এইসব সংখ্যাগরিষ্ঠ জঘন্যতম পুরুষদের মধ্যে একটা ছেলে অতিরিক্ত বিরক্ত করতো আমায়।একদিন আসার পথেই ছেলেটা আমার হাত ধরে টানাটানি করছিলো।নিজেকে বাঁচাতেই ছেলেটাকে থাপ্পড় দিয়েছিলাম।এসবের মধ্যে দিয়েই আমার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়।উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেই বখাটে ছেলেটা আমাকে এসিড মারে।তবে আমাকে এসিড মারার সময় তার হাতে হয়তো কিছু এসিড পড়েছিলো।কারণ আমার সাথে সাথে সেই বখাটে ছেলেটাও চিৎকার করেছিলো।

তার পরপরই আমার সুন্দর চেহারাটা ধ্বংস হয়ে যায়। নন্দিনী’দি মেয়েটার লিখাগুলো পড়ে হতভম্ব হয়ে গেলো।কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না।কেবল মেয়েটাকে দেখছে । মেয়েটা আবার লিখতে শুরু করলো মিসেস নন্দিনী বড়ুয়া, আমি আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সবাইকে খুব ভালোভাবে চিনি এবং এটাও জানি আপনি ভীষণ আদর্শবান একজন মানুষ।তার পাশাপাশি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য বুলেটের মত বাক্যবাণ ছুড়ে দেওয়া একজন সাংবাদিক। যার লিখা হাজার হাজার মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

আপনি শুনলে হয়তো খুশি হবেন যে, আমার এখন সুন্দর একটা সংসার হয়েছে।ঘর আলো করে আমার দুটো যমজ ছেলেমেয়ে আছে।আমার হাজব্যান্ড একজন ডাক্তার।আমি এসিড দগ্ধ হওয়ার পর তিনি আমার ট্রিটমেন্ট করেন এবং আমাকে আরো বেশি বাঁচার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।তিনি আমার চেহারার সৌন্দর্য নয় মনের সৌন্দর্যটাকে ভালবেসে এতদিন ধরে আমার মাথার উপর মস্তবড় ছাদ হয়ে আছেন। তিনি আমাকে সেই বখাটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য অনেক জোর করেছেন।কিন্তু আমি সেই বখাটের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত রুখে দাঁড়াই নি। বরং তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই যে তার জন্য আমি একজন আদর্শ মানুষের অর্ধাঙ্গী হতে পেরেছি।

–আপনি কি সেই বখাটে ছেলেটাকে চিনেন ? আপনি চাইলে এখনো তার শাস্তি পাওয়ার সুযোগ আছে।তাছাড়া আমার মতে এইসব পাপীদের এভাবে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ নয়।পরবর্তীতে এরা পাপ করতে করতেই পাপের পাহাড় তৈরি করতে থাকবে।আর সেই পাহাড় থেকেই পড়ে আরো কত যে নারী নিজের অস্তিত্ব হারাবে, কে জানে ?

অস্তিত্ব হারানোটা বোকামি।চাইলে আমিও এই পোড়া কুৎসিত চেহারা নিয়ে সমাজ বা পৃথিবী থেকে মুক্তি নিতে পারতাম।কিন্তু এভাবে মুক্তি নেওয়া মানে নিজের কাছে হেরে যাওয়া।আমরা নারী, তার আগে আমরা মানুষ।নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে একজন মানুষের যা যা করার দরকার আমরা কেন তা করবোনা ? নারী বলে ? আগে নিজেকে যেভাবে হোক বাঁচাতে হবে কারণ নিজেকে বাঁচানো ফরজ,নিজেকে মারা নয়।ধৈর্য্য ধরেই সকল সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা উচিৎ। সুরাইয়া মেয়েটার লিখাগুলো পড়ে নন্দিনী’দি যেন থমকে যাচ্ছে ! একটা মানুষের বাঁচার জন্য আর কি লাগে যদি মনের জোর টা থাকে। এই মেয়েটার ভীষণ মনের জোর সেটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

–আপনাকে মনের জোর কি দিবো ! বরং আমি আপনার থেকে অনুপ্রাণিত।সুরাইয়া সেই বখাটে ছেলেটাকে আপনি চিনেন ? মানে আপনি জানেন সে কোথায় ? প্রতিটি সংখ্যাগরিষ্ঠ জঘন্যতম মন মানসিকতা সম্পন্ন পুরুষই হলেন সেই এক একটা বখাটে। আপনার সন্তানের জন্য “শুভ কামনা” রইলো।মেয়ে হলে লড়াই করে বাঁচার শক্তি এবং সঠিক পথে চালিত করুন আর ছেলে হলে সঠিক শিক্ষা দিয়ে আদর্শ মা হোন সেই দোয়া করি। কথাগুলো লিখে দিয়ে খাতা ও কলম নন্দিনী’দির হাতে তুলে দিয়ে সুরাইয়া করিডোরের চেয়ারটা ছেড়ে ক্রমশ নন্দিনী’দির দৃষ্টি উপেক্ষা করে চলে গেলো। নন্দিনী’দি বুঝতে পারলো না মেয়েটা এতগুলা কথা বললো, কিন্তু বখাটে ছেলেটার কথা বললো না কেন ? তবে কি মেয়েটা চিনেনা সেই বখাটে লোকটাকে ?

নন্দিনী’দি করিডোর ছেড়ে বিছানায় আধশোয়া হয়ে বসে আছেন।সুরাইয়ার ব্যাপারটা ভীষণ ভাবাচ্ছে নন্দিনী’দিকে।এই ভাবনা থেকে বের হতেই ড্রেসিংটেবিলের সামনে রাখা তাদের বিয়ের ফটোফ্রেমটা দেখছেন। ভাবছেন, পার্থ নিশ্চয় বাচ্চা হলে আর এমন করবে না।বাবা হওয়ার সৌভাগ্যটা নিশ্চয় বুঝতে পারবে । সন্তানের মধ্যে দিয়েই তো একটা পরিপূর্ণ সংসার। রাত ১২টা বেজে কুড়ি মিনিট।পার্থ মাত্র ঘরে আসলো।ইদানিং পার্থের মাঝে ভীষণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।তবে কি পার্থ সত্যি বাচ্চা নিয়ে অসন্তুষ্ট ! ওর কেন বাচ্চা নিয়ে এত ঝামেলা সেটা নন্দিনী’দি বুঝতেই পারে না ! পার্থ মদ্যপান করে এসে হাত পা ছড়িয়ে পুরো খাট নিয়ে শুয়ে আছে।অথচ পাশে তার আট মাসের অন্ত:সত্বা স্ত্রী।

নন্দিনী’দি খাটের উপর স্বামীকে সোজা করতে গিয়ে থমকে গেলেন।পার্থের ডান হাতের কনুইয়ের উপর অনেকটা জায়গা নিয়ে পোড়া দাগ।ঠিক যেমনটা সুরাইয়ার মুখের উপর ছিলো।তাহলে কি পার্থই সেই ছেলেটা ! নন্দিনী’দি ভালো করে ঘুরিয়েফিরিয়ে সেই পোড়া দাগটা দেখতে লাগলো।পুরো রাতটা বিষণ্ণভাবে কাটলো নন্দিনীর। পরেরদিন সকালে পার্থ আবার নিজের কাজে চলে গেলো।নন্দিনী’দি তেমন কিছুই জিজ্ঞেস করেনি পার্থকে।প্রতিদিনের মত আজও করিডোরে এসে বসেছে নন্দিনী’দি।আজ আর সে সুরাইয়ার দেখা পেলো না।

তবে সে এটা বুঝতে পেরেছে যে সুরাইয়া কেন পার্থের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেনি।সুরাইয়া কেন নন্দিনী’দির কাছে এসে সব বলেছে সেটাও বুঝতে বাকি রইলোনা নন্দিনী’দির। সুরাইয়া হয়তো ভেবেছে, নন্দিনী আপন মানুষের কাছে গিয়ে দুর্বল হয়ে যাবে।কারণ পৃথিবীতে অধিক মানুষের ক্ষেত্রে সেটাই হয়।সুরাইয়া নন্দিনীকে নন্দিনীর আদর্শে মাপতে চেয়েছে।সেই কারণেই সুরাইয়ার শেষ হাসিটা রহস্যময় ছিলো।কিন্তু আজ যদি পার্থ শাস্তি না পায় তাহলে নন্দিনীর মাথা নুয়ে যাবে।তার ব্যক্তিত্বে অদৃশ্যভাবে তার নিজের কাছে দাগ লেগে যাবে। নারী জাতি কেবল দুর্বল নয়, নারী জাতি ন্যায়ের প্রতিক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অস্ত্র সেই যুগ যুগ আগেই দিয়ে গেছে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া।শিক্ষার সঠিক ব্যবহার যদি নাই করতে পারে তবে সেই শিক্ষায় নামমাত্র শিক্ষিত হওয়ার চেয়ে মূর্খ থাকাই শ্রেয়।

নন্দিনী’দি পনেরো পৃষ্ঠার একটা লিখা শেষ করেছেন তার এই রকম সংকটপূর্ণ অবস্থায়।বড় করে একটা চিত্র তুলে ধরেছে পার্থ’দার সামনে।পনেরো পৃষ্ঠার শেষে সুরাইয়ার লিখা পৃষ্ঠিগুলো যুক্ত করা ছিলো।নোটগুলো ড্রেসিংটেবিলের উপর পেপারওয়েট দিয়ে চাপ দিয়ে রাখা ছিলো। পার্থ’দা লিখাগুলো পড়ে থমকে গিয়েছে।পাপকে যতই মুছে ফেলার চেষ্টা করা হোক সেটা প্রকাশ্যে আসবেই। এটাই নিয়তি।

কিছুদিন পর নন্দিনী’দির ফুটফুটে একটা কন্যা সন্তান হয়েছে।সেই সন্তানের নাম রাখা হয়েছে, সুরাইয়া।দেখতে ভীষণ মিষ্টি ! এসিডে দগ্ধ সুরাইয়া অর্থাৎ আমার থেকেও মিষ্টি।এসিডে দগ্ধ মেয়েটি আমিই ছিলাম।আজ সেই আদর্শ দিদির কথা বলছি মাথা উঁচু করে।একজন আদর্শ মায়ের কথা বলছি, আমি। যেদিন পার্থ’দার মেয়ে জন্মিয়েছে সেদিনই নন্দিনী’দির লিখাগুলো পার্থ’দা পত্রিকা অফিসে জমা দিয়ে এসেছেন।নন্দিনী’দির মেয়েটা লড়াই করে এসেছে পৃথিবীতে।সঠিকভাবে বাঁচার লড়াই করতেই হবে, যতদিন সে বাঁচবে।

পার্থ’দা নিজের সকল ভুল স্বীকার করেছেন এবং নন্দিনীকে এটাও বলেছেন যে,তিনি সন্তানের বাবা হতে এই কারণেই ভীত ছিলেন।তার ধারণা ছিলো মেয়ে হলে যদি সুরাইয়ার মত অবস্থার সম্মুখীন হয় আর ছেলে হলে যদি তার মতই জঘন্য মানুষ তৈরি হয় ! কারণ বর্তমান সমাজে একজন সঠিক মানুষ তৈরি করাটা বড্ড কঠিন ! সমাজই মানুষ গড়ার কারিগর, আর বর্তমান সমাজটাই হলো বিগড়ে যাওয়া সমাজ। অপরদিকে নন্দিনী’দির কথা ছিলো এমন, প্রাথমিক শিক্ষাটা যদি নৈতিক এবং সঠিক শিক্ষা হয় তবে শিশুর ভেতর একটা সঠিক বীজ তৈরি হবে তারপর সেই বীজ থেকে ক্রমশ একজন পরিপক্ব গাছ তৈরি হবে অর্থাৎ পূর্ণতাপ্রাপ্ত একজন মানুষ। কাঁচা মাটিকে যেমন করবে তেমনই হবে।

সমাজের কি দোষ ! দোষ হলো সমাজে বসবাসরত প্রতিটি মানুষের। নতুন প্রজন্মের সঙ্গটা সঠিক যেন হয় তা সুদৃঢ় করা প্রতিটি পরিবার এবং সমাজে বসবাসরত মানুষের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।যথেষ্ট সময় দেওয়া হোক নিজের সন্তানকে বা নতুন প্রজন্মকে। নতুন প্রজন্ম অর্থাৎ আজকের আমরাই কালকের পরিবারের এক একজন অভিভাবক।আজকে থেকেই শুরু হোক প্রকৃত শিক্ষাটা ।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত