খারাপ মানুষ

খারাপ মানুষ

আবিরঃ হাই,

হিয়াঃ হ্যালো,

আবিরঃ তোমার একটা জামা খুলে ছবি দেও

হিয়াঃ হোয়াট? ছি আপনি ছেলে হয়ে একটা মেয়েকে এইসব বলতে পারলেন আপনার একটুও খারাপ লাগলো না।

আবিরঃ কেন আমি দেখলে কি! আর আজকাল এটা কমন জিনিস সবাই দেই।

হিয়া কথাটা শুনে কিছুটা থমকে গেলো। আবিরের থেকে এমন কথা শুনতে মোটেও প্রস্তুত ছিলো না হিয়া, আবির ও হিয়ার কিছু দিন হলো ফেসবুকে আলাপ হয়েছে হিয়ার কাছে আবির কে ভালোই লাগে অনেক ভালো ছেলেটা কথা ও অনেক সুন্দর করে বলে হিয়া কেমন যেন আবিরের উপরে দুর্বল হয়ে গেছে কিছু দিনেই আবির ম্যাসেজ দিলেই অনেক দ্রুত রিপ্লে দেই হিয়া। হিয়া এক প্রকারের আবিরের উপরে ক্রাশ খেয়ে বসেছে।মনে মনে হয়তো আবিরকে ভালো ও বেসে ফেলেছে হঠাৎ আবিরের এমন ম্যাসেজ দেখার জন্য হিয়া একটুও প্রস্তুত ছিলো না। হিয়া কিছু সময় ভেবে বললো,,,,,

হিয়াঃছি আপনি এমন, আমি এটা আশা করিনি আপনার থেকে,,আপনার ফেসবুকে কতো ইসলামিক পোস্ট দেওয়া আমার তো সবগুলোই পরতে অনেক ভালো লাগতো। আমি আপনাকে কতোই ভালো ভেবেছিলাম তাই ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করেছিলাম আর আপনাকে দেখেও ইসলামিক মাইন্ড এর মনে হয়েছিল আর আপনি কিনা এমন আমার ভাবতেও কেমন লাগছে।

আবিরঃ আরে এখন সবাই এমন করে।

হিয়াঃ ছি ছি আপনার চরিত্র এতো খারাপ।

আবিরঃ তুমি এমন ভাবছো কেন জামা খুলে ছবি দিলে সমস্যা কি আমি দেখে ডিলিট করে দিব।

হিয়াঃ মাইন্ড ইউর ল্যাঙ্গুয়েজ কথা সাবধানে বলবেন!

আবিরঃ আচ্ছা একটু দেখালে হ্মতি কি প্লিজ,

হিয়াঃ আমি আপনার নামে মানহানীর কেস করবো ওয়েট।

আবির হিয়ার ম্যাসেজের রিপ্লে দেখে হাসলো, আর মনে মনে বললো বোকা মেয়ে একটুতেই অনেক ভয় পেয়ে গেছে আর রেগেও গেছে কি হতো জামা খুলে ছবি দিলে। তারপর আবির বললো,,

আবিরঃ কেস করবা তাইনা

হিয়াঃ হে

আবিরঃ তাহলে আমি তোমার ছবি নিয়ে খারাপ বানিয়ে ছেরে দিব ফেসবুকে।

হিয়াঃ কেমনে,

আবিরঃ তুমি আগে যে আমাকে ছবি দিছো ওখানে অন্য একটা ছেলেকে জয়েন্ট করে অনেক ঘনিষ্ঠ ভাবে সব গ্রুপে গ্রুপে ছেরে দিব।

হিয়াঃ মানে?

আবিরঃ তুমি আমাকে আমার নামে কেস করবে তাইনা দেখো আমি তোমার কি করি তোমার বাজে ছবি বানিয়ে ফেসবুকে গ্রুপে দিব তখন তোমার মান সম্মান কোথায় যায় তাই আমি দেখবো। হিয়া সাথে সাথে আবিরের ম্যাসেঞ্জারে কল দিলো কল দিতেই আবির বুঝে গেলো হিয়া ভয় পেয়েছে। আবির মুচকি হেসে কল কেটে দিল হিয়া আবার কল দিল আবির আবার ও কেটে দিলো। হিয়া ভয়ে আবার কল দিলো তখন আবির কল টা রিসিভ করলো তখন হিয়া কাদো কাদো ভাবে বললো,,,,

হিয়াঃ প্লিজ ভাইয়া আপনি এমন করবেন না ,আপনার দুটো পায়ে পরি।

আবিরঃ আমার নামে না তুমি কেস করবা করো। আমি তো তোমাকে ভাইরাল করবোই।

হিয়াঃ আমার ভুল হয়ে গেছে ভাইয়া আমাকে প্লিজ হ্মমা করে দেন।

আবিরঃ হ্মমা করবো তাও আবার আমি তাহলে জামা খুলে ছবি দেও।

হিয়াঃ দেখেন ভাইয়া আমি এমন নাহ

আবিরঃ তাহলে আমার সাথে দেখা করতে হবে। তুমি তো কাছেই থাকো চলো দেখা করি।

হিয়াঃ আমি পারবো না বুঝার চেষ্টা করেন।

আবিরঃ ওকে তাহলে বাই, শুভ কামনা সোনা।

আবিরের কথা শুনে হিয়া এবার কেদে দিলো। ভীষন হাসি পাচ্ছিল ওর মানুষকে ব্লাকমেল এর ভিতরে আবির
অন্য একটা মজা খুজে পাই। এর আগে অনেক মেয়ের জীবন সে শেষ করেছে।এটা নতুন কিছুনা এটা করে ও অনেক মজা পায়। হিয়া কাদছে আবির বললো,,,

আবিরঃ কি হলো জান দেখা করবা কি না।

হিয়াঃ অনেক সময় পরে আচ্ছা কোথায় দেখা করতে হবে?

আবির ঠিকানা টা বলে ফোনটা কেটে দিলো, পরেন দিন ঠিক সময়ে আবির এসে পৌছালো তার পর পর হিয়া ও আসলো অসম্ভব সুন্দর মেয়েটা ছবিতে যেমন দেখেছিল বাস্তবে তার থেকে বেশি সুন্দর মেয়েটা হিজাবে মেয়েটাকে যেন আরো বেশি সুন্দর লাগছে আবির একটু কাছেই চলে গেলো হিয়ার ঘারের উপরে এক হাত রাখলো হিয়া ধাক্কা দিল আবির পরে যেতে গেল,,,,,

আবিরঃ এটা তুমি কি করলে,

হিয়াঃ প্লিজ ভাইয়া আমি আপনার ছোট বনের মতো আপনি যা চান আমি তাই দিবো তবুও প্লিজ আমাকে ছেরে দিন।

আবিরঃতুমি আমার সাথে এক দিন হোটেলে কাটাবা আমার তার পরে কথা দিচ্ছি আর কিছু করবো না আর কেউ কিছু জানবে না তুমি রাজি কিনা বলো।

হিয়াঃ পরিবারের মান সম্মান এর কথা ভেবে হোটেলে যেতে রাজি হলো।

আবির হোটেলে গিয়ে হিয়াকে বসিয়ে বাথরুমে গেলো বাথরুম থেকে বের হতেই মাথায় কে যেন অনেক জোরে আঘাত করলো আবির অজ্ঞান হয়ে গেলো সাথে সাথে জ্ঞান ফিরতেই দেখে সে একটা রুমে বাধা আছে অন্ধকার রুমটা অনেক কিছুক্ষণ পরে হিয়া এসে লাইট অন তারপরে বলে,,,,

হিয়াঃ কি হলো বাবু জামা খুলা পিক দেখবানা,,,,

আবিরঃ আমাকে ছেড়ে দেউ নাহলে কিন্তু ভালো হবেনা।

হিয়াঃ উলে উলে বাবুটা আমার তুমি চলে যাও আটকে রেখেছে কে তোমাকে,,,

আবির অনেক করে চেষ্টা করে নিজেকে মুক্ত করার কিন্তু পারেনা অনেক ছটফট করতে থাকে।অনেক চিৎকার করে কিন্তু কেউ ওর চিৎকার শুনতে পায়না।হিয়া জরে জরে লাঠি দিয়ে প্রথমে আবিরের হাতে আঘাত করে যেই হাত দিয়ে সে হিয়াকে বাজে কথা লিখছিলো।গর গর করে রক্ত পরতে থাকে এ যেন মরণ জন্ত্রনা। আবিদের মনে হয় এর থেকে মরে যাওয়া অনেক ভালো। তার পরে হিয়া একটা ছুড়ি দিয়ে আবিরের সমস্ত শরির চিরে দেই আর ঝালের গুরা লবণ মাখিয়ে দেই কাটা স্থানে আবির অনেক জোরে জোরে চিল্লাতে থাকে আর হিয়া হোহো করে হাসতে থাকে। তারপরে হিয়া অনেক মারে আবির কে তারপরে রাত হতেই সে আবির কে জীবন্ত কবর দিয়ে দেয় আর বলতে থাকে আমার কাছে খারাপ মানুষের কোন যায়গা নাই। খারাপ মানুষের একটাই শাস্তি সে হলো মৃত্যু।গল্পটা কাল্পনিক তবে অবাস্তব কিছু না,,,,

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত