নিরীহ ছেলে

নিরীহ ছেলে

আচ্ছা আসাদ, তুমি তো নিরীহ না? তোমার বৌ যদি তোমাকে পিটায় তাহলে তুমি কী করবে? ”

“ আদর করুম। বৌ পিটাইলে আমি আরো বেশি আদর করুম! ”

জামাই হিসেবে নিরীহ ছেলেরা উত্তম। তাঁদের মাঝেমধ্যে পিটাইলেও বেশি কিছু হয় না। এটাই সারাদিন নাদিয়ার মাথায় ঘুরে। কিন্তু আদর্শ নিরীহ ছেলে সে খুঁজে পাচ্ছে না। হঠাৎ মনে হলো বাড়ির কেয়ারটেকারের ছেলে আসাদের কথা। সে সারাদিন বাড়িতে লুঙ্গি পরে ঘুরে বেড়ায়। তাঁর বাবা না থাকাকালীন সব দেখাশোনা করে। পড়ার টেবিলে আর ভালো লাগে না নাদিয়ার। একটা নিরীহ জামাই খুব দরকার। আসাদের উত্তর শুনে নাদিয়া অবাক হয়ে বললো, “ আশ্চর্য, কোনো মেয়ে মানুষ তোমাকে পেটাবে আর তুমি তাঁকে কিছুই বলবে না? ”

“ অতো বলাবলির কী আছে আফা? মাঝেমধ্যে বৌ পিটাইতেই পারে। ”

চোখ বড় বড় করে নাদিয়া জবাব দিলো, “ তুমি দেখি একটা ছাগল! ” আসাদ দাঁত বের করে হাসলো। দাঁত বের করা হাসাটাই কিছু ছেলের সম্বল। কথা হাসির হোক বা দুঃখের তাঁরা হাসবেই দাঁত বের করে। আসাদ তাঁদের মধ্যে একজন।

“ তোমাকে ছাগল বললাম কেনো তুমি বুঝেছো? ”

“ না আফা। ”

“ তাহলে হাসলে কেনো? ”

“ জানি না আফা। ”

“ ভালো, না জানাই তোমার জন্য ভালো। আর শুনো, আমাকে আর আফা ডাকবে না। আমি তোমার চেয়ে বড় না। ”

“ আচ্ছা আফা! ”

নাদিয়া আর জবাব দিলো না। এই ছেলে শুধু নিরীহ না, একটা গাধাও বটে। এরকম গাধা জামাই নিয়ে সমাজে চলা মুশকিল। সে অন্য উপায় খুঁজতে লাগলো। ঢাকা শহরে বিবাহ উপযোগী নিরীহ ছেলে কোথায় পাওয়া যায়? কোনো এক বান্ধবীকে কথাটা জিজ্ঞেস করবে বলে ফোন বের করলো। এর মাঝে কলিং বেলের শব্দ। দরজা খুললো নাদিয়া। পেপারওয়ালা এসেছে। পেপারওয়ালাকে দেখেই বুঝা যায়। ছেলেটা খুবই নিরীহ! সে পেপারটা দিয়েই সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে চাইলো। নাদিয়া বললো, “ এই ছেলে শুনো? ” ছেলেটা দাঁড়িয়ে বললো, “ কী আফা? ”

“ তোমার নাম কী? ”

“ মারুফ আফা। ”

“ তুমি কী নিরীহ? ” ছেলেটা এরকম প্রশ্নের জন্য একদম প্রস্তুত ছিলো না। তবুও বললো, “ হ আফা। ”

“ আচ্ছা, তোমার বৌ যদি তোমাকে পিটায় তাহলে তুমি কী করবে? ”

“ কোনো চুতমারানির সাহস আছেনি আমারে পিটাইবো আফা? লগে লগে জবাই কইরালামু না! ”

নাদিয়ার গলার পানি শুকিয়ে গেলো কথাটা শুনে। শরীরের লোমগুলো দাঁড়িয়ে গেছে! নাদিয়ার চুপ হয়ে যাওয়া দেখে আবার ছেলেটা বললো, “ কিন্তু এই কথা কেনো জিগাইলেন আফা? ”

“ না না তুমি যাও। এমনিই। ”

“ আইচ্চা আফা। ”

ছেলেটা নিচে চলে গেলো। নাদিয়া ভাবতে পারছে না কোনো ছেলে এভাবে নিজের বৌয়ের ব্যাপারে বলতে পারে! কথাটা যেন নাদিয়ার বুকে লাগলো! কী ভয়ংকর বাপরে! এ ছেলেকে বিয়ে করা যাবে না।

নিরীহ ছেলে নিয়ে নাদিয়া তাঁর বাবার সাথে আলাপ করলো। তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। কথাটা শুনে আজমল সাহেব হাসতে হাসতে শেষ। তাঁর মেয়ে নাকি একটা নিরীহ ছেলে বিয়ে করবে! হাসতে হাসতে তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, “ বেশ চমৎকার হবে রে পুতলী! ” নাদিয়াকে তাঁর বাবা আদর করে পুতলী ডাকে। কিন্তু সে এ ব্যাপারে একদম ঐকান্তিক। একটা নিরীহ ছেলেকেই সে বিয়ে করবে।

দুপুর বেলায় ভার্সিটিতে যেতে হবে। অনেক কাজ আছে। গেটের সামনে এসে দাঁড়াতেই একজন রিকশাওয়ালা রিকশা থামিয়ে বললো, “ আফা কই যাইবেন? ” নাদিয়া রিকশার জন্যই অপেক্ষা করছিলো। রিকশায় উঠার পরে সে বুঝতে পারলো ছেলেটা যুবক। বিয়ে করেনি মনে হয়। নিরীহ তো বটেই। বেশ আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলো নাদিয়া, “ তোমার নাম কী? ”

“ বাদশাহ আফা! ”

“ চালাও রিকশা নাম বাদশাহ বাহ! ”

“ আমার কী দোষ আফা? আব্বা আম্মায় রাখছে। ”

“ তুমি তো নিরীহ না? ”

“ নিরীহ না হইলে কেউ রিকশা চালায়? ”

“ বিয়ে করছো? ”

“ না আফা। কিন্তু টাকা জমাইতাছি বিয়ে করার লাইগা। ”

“ কতো টাকা জমাইছো? ”

“ বারো হাজার আফা! ”

নাদিয়া বুঝতে পারলো না সে টাকার কথা কেনো জিজ্ঞেস করেছে। টাকা তাঁর অভাব নেই। শিল্পপতি বাপের একমাত্র মেয়ে। তাঁর শুধু একটা নিরীহ জামাই দরকার।

“ আচ্ছা, বিয়ের পরে তোমার বৌ যদি তোমাকে পিটায়। তুমি তাহলে কী করবে? ”

“ পিটাইবো ক্যান আফা? ”

“ ধরো যে কোনো কারণেই! ”

“ না আফা, আমার কারণটা জানতে হইবো। ”

“ ধরো, সিগারেট খাওয়ার কারণে। ”

“ সিগারেট খাওয়া ছাইড়া দিমু। বাত খতম! ”

“ নেশা করার জন্যও হতে পারে। বা অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথাবার্তা বলার কারণে। ”

“ নেশা তো আমি করি না আফা। আর বৌ থাকতে অন্য কোনো মাইয়ার লগে কথা কমু ক্যান? ”

“ ভাইরে ধর যে কোনো একটা কারণে বৌ তোকে পিটাইছে। তুই তখন কী করবি? ”

“ এটা হইতেই পারে না আফা। আমার বৌ অনেক লক্ষ্মী হইবো। ”

“ মনে করতে সমস্যা কী? মনে করো বৌ তোমাকে পিটাইছে। এখন তুমি কী করবে? ”

“ এমনি এমনি কেউ কাউরে পিটায় না আফা! ”

“ তোমার দেখি ইন্দ্রিয় একটা নেই! ”

“ ইন্দ্রিয় কী আফা? ”

“ কিছু না, তুমি যাও ”

নাদিয়ার মাথা ধরে গেলো তবুও ছেলেটাকে বুঝাতে পারলো না। ভাবছে এমন ছেলেকে বিয়ে করলে অল্প বয়সে পাগলাগারদে ভর্তি হতে হবে! দুজন বান্ধবীর সাহায্য নিলো সে। একজন বান্ধবী দেখিয়ে দিলো ফুচকাওয়ালাকে। ছেলেটা ভালোই নিরীহ। নাদিয়া একাই এগিয়ে গেলো। কাছে যেতেই ছেলেটা বললো, “ আফা বসেন, টক বেশি না কম? ”

“ বেশিও না, কমও না। ”ছেলেটা ঝটপট ফুচকা বানিয়ে বাটিটা নাদিয়ার হাতে দিলো। নাদিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “ ভাবী কেমন আছে? ”ছেলেটা অবাক হয়ে বললো, “ কার ভাবী? আমি তো বিয়া করি নাই আফা। ”

“ ওহ আচ্ছা, বিয়ে করবে না? ”

ছেলেটা লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। লাল মুখটা দেখতে নাদিয়ার খুব হাসি পাচ্ছে। হাসি চেপে রেখে আবার বললো, “ লজ্জা পাওয়ার কী আছে? বিয়ে তো মানুষই করে। ”ছেলেটা মাথা নাড়ালো। মেনে নিলো হ্যাঁ মানুষই বিয়ে করে।

“ আচ্ছা ধরো আজকে তুমি বাসায় যাওয়ার সাথে সাথেই তোমার বৌ তোমাকে পিটাতে শুরু করলো। তুমি কী করবে তখন? ”

“ কী দিয়ে পিটাইবে আফা? ”

“ ধরো ঝাড়ু দিয়েই পেটালো। ”

“ বড় ঝাড়ু না ছোট? ”

“ বড় ছোট দিয়ে কী আসে যায়? আচ্ছা বড় ঝাড়ু। ”

“ ঝাড়ুতে ময়লা আছে নাকি নাই? ”

“ ঝাড়ু তো ঝাড়ুই রে বাবা। ময়লা আর পরিস্কারে কী আসে যায়? আচ্ছা ঝাড়ুতে ময়লা আছে। ”

“ আমি তখন কিছুই করুম না আফা। খালি রাইতে ঘুমানোর পরে শাড়িতে আগুন লাগাইয়া দিমু। জামাইরে যে ঝাড়ু দিয়া মারতে পারে তাঁর বাঁইচা থাকার কোনো অধিকার নাই! ” নাদিয়া অবাক হয়ে ছেলেটার দিকে তাকালো। লাজুক ছেলেটার চিন্তাভাবনা কতো জুকের! ফুচকার বাটিটা রেখে বললো, “ খুন করে ফেলবে সোজা? সামান্য একটা ব্যাপার নিয়ে? ”

“ সামান্যটামান্য কিছু নাই আফা। অমান্য করছে ঐটাই কথা! ”

“ ওহ আচ্ছা, কতো টাকার দিলে? ”

“ পঞ্চাশ। ”নাদিয়া টাকাটা দিয়ে আবার বান্ধবীদের মাঝে ফিরে আসলো।

“ নিরীহ ছেলে না রে ঐ ফুচকাওয়ালা। ও একটা নিরীহ জল্লাদ! ”বান্ধবীরা হতাশ হয়ে বললো, তবে কী করা যায়? আশেপাশে আদর্শ নিরীহ ছেলে তো আর দেখতে পাচ্ছি না!

“ ভাবতে হবে। ”

নাদিয়া বললো। সে হাল ছাড়তে রাজি নয়। বাড়িতে ফিরে এলো। গেট পার হতেই সে দেখলো আসাদ লুঙ্গি পাঞ্জাবি পরে আছে। গলায় মালা দেওয়া। হাতে মিষ্টির কার্টুন। নাদিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে বললো, “ নেন আফা, মিষ্টি খান। ” নাদিয়া একটা মিষ্টি হাতে নিয়ে বললো, “ বাহ আসাদ। তোমাকে বেশ দারুণ লাগছে। বিয়ে করেছো নাকি? ”আসাদ যথারীতি হেসে বললো, “ না আফা। বিয়ের জন্যই তো আপনার লাগি দাঁড়াইয়া আছি। আমার বৌ কই তা তো আপনি ছাড়া কেউ জানে না। ”

“ তাই? তা কেনো মনে হলো তোমার বৌ কই তা আমি ছাড়া কেউ জানে না? ”

“ ওমা, সকালে আপনিই না কইছেন বিয়ের পরে বৌ আমাকে পিটাইবে! ”

“ হ্যাঁ, তো? ”

“ তো আবার কী? আপনি নিশ্চিত আমার লাগি কোনো মাইয়া দেইখাই এই কথা কইছেন। মনে হইতাছে মাইয়া বেশি ঘমান্ডি দেখায় তয় আমি তাঁরে অনেক ভালোবাসুম। অনেক আদর করুম। ”নাদিয়া না হেসে পারলো না।

“ বৌ পিটাবে বলেছি ঐ কথা মনে আছে। ছাগল বলেছি ঐ কথা মনে নাই? ”

“ ছাগল কী বিয়া করে না? আমার ছাগলের তো পরশু দুইটা বাচ্চা হইছে! বাচ্চা দুইটার নাম রাখছি সকাল আর সন্ধ্যা! ”আসাদের অদ্ভুত যুক্তি শুনে নাদিয়া কী জবাব দিবে বুঝতে পারছে না।

“ তো তুমি লুঙ্গি পরেই বিয়ে করতে যাবে? ”

“ হ আফা। লঙ্গি পরতে আরাম, খুলতে আরাম, ঘুমাইতেও আরাম। ”

নাদিয়া দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো, “ তোমার বৌয়ের সাথে দেখা করবে না? ”

“ এইডা আবার কওন লাগে আফা? ”

“ আজ রাত যে কোনো সময় সে পুকুরপাড়ে আসবে। তুমি সেখানে উপস্থিত থেকো। ” এটুকু বলে নাদিয়া উপরে চলে এলো। শীতের রাত।

খনখনে ঠান্ডা, বাতাশের বেগও কম না। পুকুর পাড়ে একা একা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে জমে গেছে আসাদ। গায়ে কোনো চাদর নেই। পরনে একটা লুঙ্গি আর পাতলা পাঞ্জাবি। নটা দশটা করতে করতে রাত চারটে বেজে গেলো তবুও কেউ এলো না। কুয়াশার কারণে একটু দূরের কিছু সব অস্পষ্ট। হঠাৎ নাদিয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেলো কুকুরের ঘেউঘেউয়ে। শেষ রাতে কুকুরের ঘেউঘেউ মানে কোনো কিছু খারাপ ঘটতে চলেছে। নিচে নেমে এলো নাদিয়া। কাউকেই দেখতে পাচ্ছে না। পুকুরপাড়ের দিকে এগিয়ে গিয়েই দেখলো আসাদ মাটিতে পড়ে আছে!

“ কী ব্যাপার আসাদ? তুমি এখানে শুয়ে আছো কেনো আশ্চর্য! ঠান্ডায় তো মারা যাবে! ”

“ নাহ, আমার কিচ্ছু হইবো না আফা। আমার হবু বৌয়ের সাথে দেখা না কইরা আমি যামু না! ”

“ হায় হায় কী বলে! সারারাত তুমি কী এখানেই ছিলে? ”

“ হুম, কিন্তু আফা কেউ তো আইলো না! ”

“ ওরে ছাগল ওঠ। তোর বৌয়ের সাথে তোর দেখা হয়ে গেছে! ”

“ আমি মিথ্যা কইতাছি না আফা। দেখা হয় নাই কারো লগে আমার! ”

“ তুই ছাগল কিচ্ছু বুঝবি না। আর আমাকে আফা বলিস না। আমি তোর কয়েক বছর ছোট, বড় না! ”

“ আমি যামু না আফা, আমার বৌয়ের লগে দেখা করার আগে। ”

“ হয়ে গেছে দেখা। তুমি উঠে রুমে শুতে যাও! ”

আসাদ কিছুতেই যেতে চাচ্ছে না। নাদিয়া জোর করে রুমে দিয়ে উপরে চলে আসলো। সে নিরীহ ছেলেটাকে পেয়ে গেছে। বাবাকে বলতে দেরি করলো না! আশ্চর্যজনকভাবে তাঁদের বিয়েটাও হয়ে গেলো। বিয়ের পরে আসাদকে পিটানোর কথা চিন্তাই করেনি নাদিয়া। ছেলেটাকে ধমক দিলেই এসে জড়িয়ে ধরে রাখবে। কেউ আদর করে জড়িয়ে ধরে থাকলে তাঁর প্রতি আর রাগ থাকে না। না মারামারির কথা চিন্তা করা যায়। প্রায় তিন মাস পর। গাড়িতে বসে অপেক্ষা করছে আসাদ। নাদিয়া আর তাঁর বাবা মা তৈরি হয়ে আসছে। অফিসে নিয়ে যাবে আসাদকে তাঁরা। সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে। সবাই এসে গাড়িতে উঠার পর আসাদ বললো, “ সবাই চলে গেলে বাড়ির খেয়াল রাখবে কে? ” নাদিয়া উত্তর দিলো, “ তোমার আর সেই চিন্তা করতে হবে না। অনেক লোক আছে বাড়ি দেখাশোনা করার। ”

“ নাহ, আমি বাড়িতে থাকি আজকে। কালকে নাহয় অফিসে যাই? ”

“ আরেহ, আব্বু কী প্রত্যেকদিন ফ্রী থাকে? ”

“ পরে যেদিনই ফ্রী হোন, সেদিনই যাবো। ” এর মাঝে নাদিয়ার মা বললো, “ থাক, আজকে যেতে চাচ্ছে না, না যাক। পরে আরেকদিন যাবে। তুই আয়। নতুন প্রজেক্টটা বুঝে নে। ”

“ তাই ভালো হবে। ” বলে আসাদ গাড়ি থেকে নেমে গেলো। নাদিয়া আর তাঁর বাবা মা তিনজন অফিসের উদ্দেশে রওনা দিলো।

বাড়ির ছাদে এসে গাড়িটার দিকে চেয়ে থাকলো আসাদ। কিছু দূর যেতেই বিকট এক শব্দ হলো! গাড়িটা উড়ে গিয়ে রাস্তার পাশে পড়লো! গাড়িতে আগুন লেগে যাওয়ার কারণে নাদিয়া সহ তাঁর বাবা মা তিনজনই মারা গেলো! আসাদের আর অভিনয় করতে হবে না। অভিনয় করতে করতে সে ক্লান্ত। হাসতে হাসতে সে মনে মনে বললো, “ কী সুন্দর, মাত্র হাজার টাকার বোম আমাকে হাজার কোটি টাকার মালিক বানিয়ে দিলো! হা হা হা।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত