মা ও মা কি হইছে সকাল সকাল ষাড়ের মতো চিল্লাস কেন আমার ঘড়ি কই আর আমার জিনিস পত্র ঠিক করে রাখনি কেন অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে তো এতো করে বলছি বিয়ে টা করে নে আমি আর তোর জিনিস ঘুছিয়ে দিতে পারব না,পারলে নিজে খুজে নে । ওহহ মা সকাল সকাল শুরু করো না তো আর ভাল লাগে না এখন তো আমার কথা আর ভালও লাগবে না এতদিন বলতি চাকরি তা ভাল পাই তার পর আর আমিও কতদিন এই আছি এই নাই আমার ও তো ইচ্ছা করে ছেলের বউ ঘরে আনতে মা নাস্তা কই কি খাইয়া যাব আমি (নাস্তার টেবিলে বসে) নাস্তা বানাইনি পারলে বানিয়ে খা আমি আর কিছুই করতে পারব না কিছু না বলেই বাসা থেকে বের হলাম রাস্তাই নাস্তা করে অফিস যাওয়ার জন্য রওনা হলাম
আসেন যেতে যেতে আপনাদের আমার পরিচয় দেই আমার নাম জিসানুর রহমান জীবন পড়াশুনা শেষ করে একটা মাল্টি ন্যাশনাল কম্পানিতে মোটামুটি টাকা বেতনের চাকরি করি আমার বাবা নেই আমার দুনিয়া বলতে আমার মা মা আমাকে অনেক কষ্টে বড় করছে এখন কইদিন থেকে পিছনে লাগছে বিয়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু আমি বিয়ে করছি না তাই সকাল সকাল এতো ঝগড়া করলো তাছাড়া মা আমাকে অনেক ভালোবাসে অফিস শেষে বাড়ি আসে দেখি মা মন খারাপ করে বসে আছে আমিও কিছু না বলেই আমার রুমে চলে আসি একটু পরেই মা এলো বাবা জীবন তুই কি বিয়ে করবি না কি সমস্যা বল আমাই কেন বিয়ে করবি না।।
কিরে বাবা চুপ করে আছিস কেন কি বলবো সবই তো জানো নতুন করে বলার মতো তো আর কিছুই বাকি নাই মা ৪ বছর তো পার করে দিলি আর কতোদিন এভাবে চলবি আমি মা হয়ে কি তোর খারাপ চাইবো বল । না মা আসলে ব্যাপার টা তেমন কিছু না তাহলে ব্যাপার টা কি শুনি একটু কিছু না যাও আমি ঘুমাবো সকালে অফিস আছে আমি কিছু জানিনা আমি তোকে বিয়ে দিতে চাই আর কিছু না আমি কি তোর কাছে কখনও কিছু চাইছি এখন আমার কথা শুনবি না তো শুনিস না আমিও সকাল হলে যে দিকে চোখ যাই চলে যাবো তুই একাই থাক আমি তো আর তোর কেউ না যে আমার কথা শুনবি
আহহ মা কি শুরু করলে তুমি আবার কোথাই যাবা আচ্ছা আমি বিয়ে করলেই তো তুমি খুশি তাই না
হুমমম খুব খুশি আচ্ছা যাও তোমার যা ভালো মনে হয় করো আচ্ছা তাহলে কালকে একটু তাড়াতারি আসিস অফিস থেকে মেয়ে দেখতে যাবো আমি যাবো না তুমি দেখে আসো তোমার চয়েচ হলেই হবে আচ্ছা ঠিক আছে আই খাবার দিচ্ছি খেতে আই
আমি খাবো না খুদা নাই মা আর কিছু না বলেই চলে গেল আর আমি শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু কথা তখন আমি সবে মাত্র জাবি তে ভর্তি হইছি ক্লাস করি আর পড়াশুনা এর বাহিরে কিছুই ছিলো না আমাদের ডিপার্ট্মেন্টেরি একটা মেয়ের সাথে আমার প্রেম হয় ওর সাথে আমার প্রথম কথা হই যখন আমরা ২য় বর্ষে পড়ি তখন নবিণ বরণ অনুষ্ঠানের দিন এর মাঝে কখনও কখনও দেখতাম তাকিয়ে থাকতো আমার দিকে কিন্তু কখন ও কথা হইনি ঐ দিন ফাস্ট কথা হই সেদিন আমি পার্টিসিপেন্ট করছিলাম গিটার বাজিয়ে Ashesএর তারাবাতি গানটা গাইছিলাম
ঐ দিন গান শেষ করে যখন ওডিটেরিয়ামের বাহিরে দারিয়ে আম্মুর সাথে কথা বলছি ফোনে তখনই ফাস্ট ইয়ারের কয়েকটা মেয়ে আসে আমার সাথে কথা বলছিল আর ঐ সময় নীল শাড়ি কপালে নীল টিপ হাতে কাচের নীল চুড়ি চুল গুলো খুলে রেখে সাম্নের দিকে এনে একপাশে রাখা এই এতো টুকু সাঁজে যে কাউকে এতো সুন্দর লাগতে পারে আমার ঠিক জানা ছিল না আমার মনে হচ্ছিল আমি স্বপ্ন দেখছি মনে হয় কিছু সময়ের জন্য বোবার মতো শুধু তাকাইছিলাম আমার মনের মতো করে যে সেজে এসে আমার সামনে দাঁড়াবে কখন ও ভাবিনি আমার ভ্রম ভাংলো কারো তুড়ির শব্দে নিজের ভ্রম কাটতেই কেমন জানি লজ্জা লাগছিল আর আমার তাকিয়ে থাকা দেখে মেয়েটিও মানে অণু ও লজ্জা পাচ্ছিলো নিরবতা ভেংগে অনুই বলা শুরু করলো
– জীবন তুমি তো অনেক ভালো গান গাও যানতাম না তো আগে কখনো তো ডিপার্ট্মেন্ট ও গাও নাই
– থাঙ্কস
-তুমি মনে হয় আমাকে ঠিক চিনতে পারোনি তাইনা
-না মানে আসলে ।।
-হুম বুঝছি ,আমি আদিবা জাহান অণু ,আর আমরা একি ডিপার্ট্মেন্ট এ একি বর্ষে পড়ি ।
-হু আসলে আমি তো মেয়েদের সাথে তেমন কথা বলি না তাই হইত চিনতে পারি নি কিছু মনে কর না
-হুম আমি জানি ভার্সিটির ক্রাশ বয় জীবন তো মেয়ে দের কে পাত্তাই দেই না
– আসলে তেমন কিছুই না,বায় দ্য অয়ে আমার একটু কাজ আছে আমার যেতে হচ্ছে কিছু মনে কর না
-হুম যান যান জলদি যান আপনার দেরি হয়ে জাচ্ছে
অনুকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই আমি হাটা শুরু করলাম আর ভাবতে শুরু করলাম এতো সুন্দর মেয়ে ও কি হতে পারে বাসাই এসে খেয়ে ঘুমইয়ে গেলাম সকাল এ আবার ক্লাস আছে কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছে না বার বার শুধু অনুর কথাই মনে পড়ছিল আমি নিজেকে বুঝাতে শুরু করলাম যে আমি তো আগে এম্ন ছিলাম না আর আমার জন্য এগুলা না ভাবতে ভাবতেই কখন ঘুমাই গেছিলাম মনে নাই ঘুম ভাংলো সকাল এ আম্মুর ডাকাডাকিতে ……