ছাত্রী সুযোগ পেলেই আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। টিউশনিটা পেয়েছিলাম এক বড় ভাইয়ের কারণে।সারাটা দিন তো বসেই থাকি হাত খরচ চালানোর জন্য টিউশনি করানো বুদ্ধিটা ভালো ছিলো। প্রথম দিনেই ছাত্রীর আম্মু বলল….
– ‘শোন, বাবা আমার মাইয়াকে একটু সাবধানে পড়াবা। ও কিন্তু অনেক দুষ্টু। কোনো স্যার ৩ দিনের বেশি পড়াতে পারেনি। আমি মুচকি হেসে বললাম…
– ‘আন্টি আমিও চেষ্টা করতে চাই একবার।
– ‘দেখো বাবা পারো কিনা একটু পড়াতে।এবার ফেল করলে মান-সম্মান থাকবে না।ওর বাবা তো বাড়ি থেকে বের করেই দেবে।
– ‘আপনি চাইলে আজ থেকেই পড়াতে পারি।
– ‘তোমাকে দেখতে তেমন ভালো না বুঝছো। তাই একটু সাহস পেলাম মনে।এখন তো দিন কাল ভালো না স্যার ছাত্রীরে নিয়ে পালিয়ে চলে যায়।সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়।বিশেষ ভাবে রাতে ভয়টা বেশি করে, রাতেই পালিয়ে থাকে স্যার গুলো।
– ‘আন্টি আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন।আমার গালফ্রেন্ড আছে।
আন্টি দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।অবশেষে একটা গালফ্রেন্ডওয়ালা টিউশনির স্যার পেলো।আন্টির কাছে এটা যেন ‘মেঘ না চাইতেই জলের মতো’। প্রথম দিনটা পরিচয় পর্বেই কাটলো। দেখতে দেখতেই একটা সপ্তাহ টিউশনি। খুশি হলাম এবার হয়তো ছাত্রী আমার পড়া বুঝতে পারছে কিন্তু না আমার ধারণা সম্পূর্ণই ভুল।
ছাত্রী আমার হাত ধরার চেষ্টা করে, পড়া না বুঝে চোখে চোখ রেখে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকে। যদি বলি ‘বুঝছো?’ সে মাথা ঝাকিয়ে মুচকি হাসে ‘হ্যাঁ’ কিন্তু যখন বুঝাতে বলি পারেনা। সাধারণ জাবেদার একটা অংক করতে দিলাম সেদিন। কলমটা দাঁতে আলতো করে কামরাচ্ছে খুব ইনোসেন্ট লাগছিলো তখন ওকে! হালকা ফ্যানের বাতাসে চুলো গুলো বার বার চোখের উপর উড়ে আসছে। কানের পিছনে গুজে রাখতেই বিরক্ত লাগছে তার। চোখ দুটো যেন কিছু বলতে চায়। কিন্তু মনে মনে ঠিকি চাপা দিয়ে রেখেছে সেগুলো।হঠাৎ করে ছাত্রীর কথায় সাভাবিক হলাম…
– ‘স্যার কিছু বলবেন।
– ‘না, জাবেদা করা শেষ করছো?’
চোখে চিঁকচিঁক করছিলো কান্নার পানি গুলো।বুঝতে বাঁকি রইলো না এখনো করেনি। এর বেশ কিছু দিন পর ছাত্রী শাড়ী পরে পড়ার টেবিলে বসলো।হঠাৎ জিন্স, শার্ট ছেড়ে শাড়ী! মনে পরলো কাল রাতের কথা। ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম ‘বাঙ্গালী নারী শাড়ীতে অনেক সুন্দর লাগে’। তার মানে কি ছাত্রী ফেসবুক আইডিও খুঁজে নিয়েছে। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল…
– ‘স্যার বললেন না তো কেমন লাগছে আমাকে?’ আমি প্রচন্ড রেগে বললাম…
– ‘একদম বাজে দেখাচ্ছে। সবাইকে শাড়ীতে মানায় না আর পরেছো তাও ঠিক ভাবে পরোনি। নাভী দেখা যাচ্ছে।
ছাত্রী কাঁদতে-কাঁদতে চলে গেলো।১০ মিনিট পর ওর আম্মু এসে হাতে মাসের অর্ধেক বেতন ধরিয়ে দিয়ে বলল…
– ‘কাল থেকে আর আমার মেয়েকে পড়াতে আসতে হবে না। দুই দিন পর ছাত্রীর আম্মু কল দিয়ে স্যরি বলল কারণ এরকম দুষ্টু ছাত্রী পড়ানো সবার পক্ষে সম্ভব না।ছাত্রীকে পড়ানো শেষ করে উঠে যাচ্ছিলাম তখনি হাতে একটা ডায়েরী ধরিয়ে দিয়ে বলল…
– ‘ডায়েরীটা পড়ে আমাকে কাল উত্তর দিবেন।
সে কি লজ্জাটাই না পেলো।বাসায় এসে ফ্যানের নিচে বসতেই শরীর ক্লান্ত অনুভব করলাম।টেবিলের উপর রাখা ডায়েরীর দিকে চোখ গেলো।সম্পূর্ণ ডায়েরীতে একটা পৃষ্ঠা লেখা ছিলো, বাকি সব খালি। ‘প্রিয় স্যার, আপনাকে হঠাৎ করেই ভালো লেগে গেছে।আপনাকে মন দিয়ে ফেলেছি।আই লাভ ইউ স্যার’ পর দিন গেলাম তারপর ছাত্রী লজ্জায় লাল হয়ে বলে…
– ‘স্যার উত্তরটা আজকেই দেবেন নাকি কিছু দিন সময় নিবেন ভাবার জন্য।
– ‘দেখো তুমি যেহেতু আমাকে মন দিয়েছো তার মানে তোমার কমলো, এটা হচ্ছে ক্রেডিট।আমাকে মন দিয়েছো মানে বাড়লো, এটা হচ্ছে ডেবিট।কর্মাস পারো না তাহলে নিলা ক্যান? টেবিল থেকে ধপ করে পরে যাওয়ার শব্দ হলো।প্রথম প্রথম আমিও ডেবিট ক্রেডিট না বোঝার কারণে এমন ভাবে অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম