আমি দৌড়াচ্ছি তারেকের পেছনে, আমার পিছে দৌড়াচ্ছে রেস্টুরেন্টের লোকজন। আমি দৌড়াচ্ছি কারণ তারেক আমার নাম না বলেই রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গেছে। যেহেতু আমি আমার নাম ভুলে গেছি, তারেক না বললে সমস্যা থেকে বেরুতে পারবো না। রেস্টুরেন্টের লোকজন আমার পিছে ছুটছে কারণ রেস্টুরেন্টের বিল না দিয়েই আমরা দৌড়ে বের হয়ে গেছি।
তারেক ভালো দৌড়াতে পারে জানতাম। এতটা ভালো দৌড়ায় জানা ছিল না। আমি অনেক জোরে দৌড়ালাম। ওকে ধরতে পারলাম না। তারেক একটা বাসে উঠে পরলো। আমি গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বললাম -“ ভাই, আমার নামটা বলে যাও। ” এমন সময় তারেক বাসের জানালা দিয়ে এক টুকরো কাগজ ফেললো। যাক, ওকে যতটা খারাপ ভেবেছিলাম অতটা খারাপ না। বুদ্ধিমানও বটে । আমার নাম টা লিখে জানালা দিয়ে ফেলেছে। ওর এই ভালবাসায় আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ক্লান্ত পায়ে কাগজটা হাতে তুলে নিলাম।
কাগজে সুন্দর করে তারেক লিখেছে -“ ভাই, আজ সময়ের অভাবে ট্রিট নিতে পারলাম না। আবার দেখা হলে ট্রিট দিবেন ভাই। পাওনা রইলো। কারো পাওনা রাখতে নাই।” আমি হতাশার শেষ সীমানায় উপস্থিত। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। সন্ধা হয়ে গেছে। রেস্টুরেন্টের লোকজন আমার পাশে দাঁড়িয়েই আমাকে খুঁজছে। ওরা আমাকে চিনতে পারেনি। একজন আমাকে জিজ্ঞেস করলো -“ ভাই কোকড়া চুলের একটা ছেলেকে দেখেছেন, দৌড়ে আসছে এদিকে। ” আমি বললাম -“ হ্যা দেখেছি তো।” রেস্টুরেন্টের ছেলেটা উত্তেজিত হয়ে বলল -“ কই ভাই, কোন দিকে?”
-“বাসে উঠে চলে গেল” লোকটা হতাশ হল। বলল – “ মানুষ আর আগের মতো নাই ভাই। পৃথিবী ভরে গেছে খারাপ মানুষ দিয়ে। রেস্টুরেন্টে খেতে গেল, ১৬০০ টাকার বিল না দিয়েই দিল দৌড়। দেখে ভদ্রলোকই মনে হয় আসলে ছোটলোক। কোকড়া চুলের সাথে আরেকটা বদ ও ছিল। ” আমি মানিব্যাগ বের করে টাকাটা দিয়ে দিলাম। বললাম -“ এই নিন টাকা। কোকড়া চুলের ছেলেটা আমার ছোটভাই ।”ছেলেটা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি পা বাড়ালাম। কোন দিকে যাব বুঝতে পারছি না। কারণ এতক্ষণ আমার শুধু নাম মনে ছিল না। এখন কিছুই মনে পড়ছে না। কোন দিকে যাব, কী করবো কিছুই জানি না। অনেক আগে এরকম একটা হিন্দি মুভি দেখেছিলাম।নায়ক কে ছিল মনে পড়ছে না। নামটা জানতে ইচ্ছা করছে। নায়ক ১০-১৫ মিনিট পরপর সব ভুলে যায়। আমার কী এমন কিছু হলো। নাহ, একজন সাইক্রিয়াটিস্ট দেখানো দরকার। ধানমন্ডির একজন নামকরা সাইক্রিয়াটিস্টের কাছে চলে গেলাম। উনার নাকি খুব সুনাম। উনার কাছেই জানলাম উনি নাকি এক সময় মিসির আলি স্যারের এসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছেন। যদিও মিসির আলি কখনোই কোন এসিস্ট্যান্ট রাখেননি। উনি বললেন – “ আপনি নাম ভুলে গেছেন? ” “ জি স্যার। ”
-“নাম ভুলে গেলেন কী করে? নামটা অনেক অনেক কঠিন ছিল?”
-“বলতে পারছি না স্যার। নাম মনে পড়লে বুঝতে পারবো কঠিন নাকি সহজ।”
-“আপনার বাবার নাম মনে আছে? জি স্যার। বাবার নাম আজিজ খান।”
-“মায়ের নাম?”
-“মায়ের নাম তাসলিমা খান।”
-“যাক বাবা-মার নাম মনে আছে তাহলে। আচ্ছা, আপনার নামের প্রথম অক্ষর কি মনে আছে?”
-“জি না।‘আ’ দিয়ে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে।”
উনি আমাকে একের পর এক প্রশ্ন করে যেতে লাগলেন। আমি কোন রঙ পছন্দ করি, অবসরে কী করি, প্রিয় খাবার, মেয়ে বন্ধু আছে কী না সবই জিজ্ঞেস করতে থাকলেন। বেশিরভাগ উত্তরই আমি দিতে পারলাম না। কিছুই মনে পড়ছে না। লোকটির ধৈর্য আছে বলতে হবে। আমার উপর বিরক্ত হলেন না। বেশ আগ্রহ নিয়েই প্রশ্ন করতে থাকলেন। উনি বললেন -“ আচ্ছা আপনি কখন ভুলে গেলেন নাম? মানে কখন থেকে?”
-“আমি একটা চেয়ারে বসে ছিলাম। টেবিলের অন্যপাশে একজন অফিসার ছিলেন। তিনি নাম জিজ্ঞেস করলেন , নাম বলতে যাব ঠিক তখনই ভুলে গেলাম।”
-“কোন অফিসে? এটা কি কোন ইন্টারভিউ ছিল?”
-“মনে নেই স্যার।”
-“আচ্ছা তার আগের দিন রাতে কী খেয়েছিলেন মনে আছে?”
-“সম্ভবত মুরগীর মাংস। আর ঘুমানোর আগে মধু দিয়ে পাউরুটি।”
-“মধু কেন খেয়েছিলেন? সচরাচর কেউ তো মধু খায় না।”
-“কেন খেয়েছিলাম ভুলে গেছি স্যার।”
-“মধু কোথা থেকে কিনেছিলেন?”
-“মনে নেই স্যার।”
উনি চোখ মুখ বন্ধ করে ভাবতে লাগলেন। প্রায় ৩-৪ মিনিট পর চোখ খুলে বললেন ওই মধুতেই সমস্যা ছিল। কিছু কিছু মধু আছে, খেলে পেটে সমস্যা হয়। মাঝে মাঝে ব্রেইনেও সমস্যা হয়। মানুষ সব কিছু ভুলে যায়।
-“ওহ আচ্ছা। আমি সব ভুলে যাচ্ছি স্যার। এটা সত্যি।”
-“আপনি চিন্তা করবেন না। এই অসুধটা খান। খেয়ে ৩০ মিনিটের মত এখানে শুয়ে থাকুন। সব মনে পড়ে যাবে।”
-“আমি ট্যাবলেট খেয়ে শুয়ে থাকলাম।” বেশ কিছুক্ষণ পর উনি আমাকে ডেকে তুললেন।এর পর উনি জিজ্ঞেস করলেন।
-“ এখন কি সব কিছু মনে পড়েছে? ”
-“জী স্যার, সম্ভবত মনে পড়েছে।”
-“আচ্ছা আপনি আমাকে চিনতে পারছেন?”
-“জী স্যার।”
-“বলুন তো আমি কে? আমার পেশা কী?”
-“ আপনি একজন সাইক্রিয়াটিস্ট”
-“ বাহ, এইতো বলতে পেরেছেন। বলুনতো আমার নাম কী? ”
-“আপনার নাম আমির খান।”
-“মানে? আমির খান কে?”
-“আপনি ‘গজনি’ মুভির নায়ক। যেই ছবিতে নায়ক ১৫ মিনিট পর পর সব ভুলে যায়।”
-“আপনার তো ডেঞ্জারাস অবস্থা রে ভাই। আমার নাম সত্যিই মনে পড়ছে না? আমার নাম ও ভুলে গেলেন।”
-“ সরি স্যার, এবার মনে পড়েছে। এখন বলতে পারবো।”
-“কী আমার নাম? বলুন।”
-“আপনার নাম তারেক।”
উনি আমার দিকে হতাশ চোখে তাকিয়ে আছেন। সম্ভবত আমার মত রোগী পাননি আগে। আমি রাস্তায় বের হলাম। রাত ভালোই হয়েছে। কী করবো, কোথায় যাব বুঝতে পারছি না। আনমনে হেটে চলেছি। হঠাৎ একটা আলো এসে পরলো চোখে। তীব্র আলোতে চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছি না। আলোটা বেড়ে যেতেই লাগলো। আস্তে আস্তে আলোটা গাড় হতে থাকে। প্রথমে হলুদ মনে হলেও একসময় মনে হলো আলোটা ধীরে ধীরে বেগুনি রঙের হয়ে যাচ্ছে। তার পর কমলা রঙে বদলে গেল আলোটা, তার পর গাড় কালো। এত কালো যে চোখ সহ্য করতে পারে না। এভাবে কতটা সময় পার হল জানি না। আমি কী বেঁচে আছি? নাকি মারা গেছি? এই অবস্থায় কতক্ষণ আছি বুঝতে পারছি না।
মনে হল অনন্ত কাল ধরে এক অন্যরকম আলোর ভুবনে ভেসে বেড়াচ্ছি।চারপাশে বিভিন্ন আলোর বিচ্ছুরণ। কোথায় আছি, কীভাবে আছি কিছুই বলতে পারছি না। মাথার মধ্যে একটু খানি চেতনা বোধ আছে। তাছাড়া কিছুই বুঝতে পারছি না। ঠিক কত সময় পার হল এভাবে জানি না। হঠাৎ এক সময় আলোটা কমে এলো। মিষ্টি একটা সাদা আলো দেখতে পেলাম। ধীরে ধীরে চোখ খুললাম আমি। আশ্চর্য! আমি শুধু সামনে দেখতে পাচ্ছি। নিচে তাকিয়ে নিজের শরীর দেখতে পাচ্ছি না। আমার সামনে দুইজন লোক দাঁড়িয়ে আছেন। একজন বললেন-“ এখন কেমন লাগছে তোমার? ”
-“মাথার ভেতরটা ফাকা মনে হচ্ছে।তোমরা কারা?”
-“আমাদের কথা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে না তো?”
– তোমাদের কথা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু তোমরা কে?”
উনি বললেন -“ আমার নাম রজার্স হেনরী। আর এই মেয়েটির নাম লরা। আমরা দুইজন তোমার নিউরন নিয়ে গবেষণা করছি।” আমি বললাম -“ ও আচ্ছে। কিসের গবেষণা।”
-“তুমি মারা গেছ প্রায় ৬০০ বছর আগে। কিন্তু তোমার মস্তিষ্ককে আমরা রাসায়নিক উপায়ে সংরক্ষণ করেছি।”
-“আমি মারা গেছি?”
-“হ্যা। বহুকাল কালে ২০২০ সালে তুমি মারা গেছ।”
-“আমি মারা গেছি কিন্তু তোমাদের দেখছি কীভাবে?”
-“ তোমার ব্রেইনের সাথে অত্যাধুনিক ক্যামেরা জুড়ে দিয়েছি আমরা।দশম জেনারেশনের কম্পিউটার সিডিসির মাধ্যমে তুমি আমাদের কথা শুনতে পাচ্ছ এবং কথা বলতে পারছো।”
-“ ওহ আচ্ছা।একজন মৃতমানুষের মস্তিষ্ক নিয়ে এই ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করা কি ঠিক? দেহ বিহীন শুধুমাত্র অনুভূতি নিয়ে থাকা কতটা কঠিন তোমারা কি বুঝতে পারছো?”
-“ হ্যা আমরা জানি এটা সুখকর অভিজ্ঞতা নয়। জন স্টুয়ার্ট আমাদের বিজ্ঞান একাডেমির প্রধান।উনি এই জাতীয় এক্সপেরিমেন্ট বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন।খুব শীঘ্রই আমরা এই এক্সপেরিমেন্ট বন্ধ করে ফেলবো।”
-“আমাকে নিয়ে কী এক্সপেরিমেন্ট করলে তোমরা?”
-“কোন একটা মানুষ যদি তার নাম ভুলে যায়, তাহলে সে কী করবে? কীসব কর্মকান্ড করে তার নাম জানার চেষ্টা করবে? এটি জানাই ছিল এই এক্সপেরিমেন্টের মুল উদ্দেশ্য।”
-“তোমরা ইচ্ছে করে এমনটা করেছো?”
-“ হ্যা। আমরা তোমার ব্রেইন থেকে তোমার নাম সহ অনেক তথ্য সরিয়ে ফেলেছি।”
-“তাহলে এতক্ষণ যা হল, আমি এম্বাসাডিতে গেলাম, থানায় গেলাম, তারেকের সাথে সময় কাটালাম সব তোমাদের বানানো? কিছুই বাস্তব না।?”
-“হ্যা। তবে পুরোপুরি বানানো না।এরকম সময় তুমি কাটিয়েছিলে। আমরা শুধু স্মৃতিগুলো কে পরিবর্তন করে দিয়েছি। তোমাকে আমরা পাঠাই ২০২০ সালে। তখন তুমি আমেরিকা নামক এক দেশ থেকে এসে বাংলাদেশে ছিলে কিছুদিনের জন্য। হঠাৎ এক এক্সিডেন্টে তোমার মৃত্যু হয়। তুমি যা দেখেছো সব গুলো দৃশ্য আমাদের তৈরি করা। সেই সময়ের তোমার পরিচিত ছোটভাই, পত্রিকা অফিস, থানা, সেই সময়কার কিছু সাহিত্য, মুভি সব তথ্য তোমার ব্রেইনে দিয়ে ঘটনা গুলোকে বাস্তব করে তুলেছি তোমার জন্য। অবশ্য এক সময় সেটি বাস্তব ছিল। কিন্তু আমরা সেখানে পরিবর্তন ঘটিয়েছি।তুমি যখনই তোমার ফোন বের করে কাউকে ফোন দিয়ে নাম জেনে নিতে চাইলে, আমরা তোমার ফোনবুক থেকে সব নাম্বার মুছে দিয়েছি।” আমি বললাম-“ওহ। এক্সপেরিমেন্ট করে তোমারা কি সফল হয়েছো?”
-“হ্যা। তবে একটা বিষয় আমাদের কাছে পরিস্কার না। তোমার বাবা মার নাম ও তোমার স্মৃতি থেকে আমরা মুছে ফেলেছি। তারপর ও তুমি বাবা মার নাম ভুলে যাওনি। এটার কারণ বুঝতে পারছি না।তখনকার সময় মানুষ কি বাবা-মা কে অনেক বেশি ভালবাসতো?”
-“পৃথিবীর সকল যুগের সকল মানুষই বাবা-মা কে ভালবেসে এসেছে।”
-“ ওহ আচ্ছা।”
-“ তোমাদের এই জাতীয় এক্সপেরিমেন্ট কতটা নিষ্ঠুর তা কি তোমরা জানো?” ওরা বলল -“হতে পারে নিষ্ঠুর।কিন্তু তোমার জন্য একটা সুসংবাদ আছে।”
-“ বলো, কী সুসংবাদ?”
-“তোমার ব্রেইন আমরা আর চাইলেও সংরক্ষণ করতে পারবো না। জন স্টুয়ার্ট বলে দিয়েছেন যেন তোমার ব্রেইনকে মুক্তি দেয়া হয়। তুমি দেহ বিহীন চেতনা নিয়ে আছো। আমরা জানি এটা সুখকর নয়।” আমি বললাম -“ ওহ আচ্ছা, আমার ব্রেইনকে এখন ধ্বংশ করে ফেলবে তোমরা?”
-“হ্যা একটু পরই আমরা তা করবো। তোমার জন্য একটি উপহার আছে আমাদের।”
-“ কী উপহার?”
-“ এই নাও, এখনি বুঝতে পারবে।”
এমন সময় দৃশ্যগুলো বদলে গেল। আবিস্কার করলাম আমি একটা রিকশাতে বসে আছি। পাশে আমার বান্ধবী মনিকা। মনিকা শক্ত করে আমার হাত ধরে রেখেছে ।হঠাৎ বৃষ্টি এল। আমরা দুইজন বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে এগিয়ে যাচ্ছি। ওরা খুব ভালো একটা উপহার আমাকে দিয়েছে। এমন একটা দিন আমি সব সময় চেয়েছি।কিন্তু হঠাৎ করে মারা যাওয়াতে সেটা সম্ভব হয় নি। কিছুক্ষণ পর দৃশ্য বদলে গেল।আমার চেতনাকে আবার ল্যাবে ফিরিয়ে আনা হল। বিজ্ঞানী হেনরী বললেন –“ তোমার সময় প্রায় শেষ। তুমি কি কিছু জানতে চাও?”
-“হ্যা। তারেক অনেক ভালো গীটার বাজাতো। ও কি বড় কোন মিউজিসিয়ান হতে পেরেছিল?”
-“হ্যা। তারেক এক সময় বড় একজন মিউজিসিয়ান হয়েছিল। খুব নাম করেছিল। আর তুমি মারা যাওয়ার পর
তারেক কখনো কারো কাছ থেকে ট্রিট নেয় নি। ওর জীবনের সবগুলো কনসার্ট ও তোমার নামে উৎসর্গ করেছে।”
আমার কেন জানি কান্না পাচ্ছে। কিন্তু আমি কান্না করতে পারবো না। কারন আমার চোখ নেই। আছে শুধুমাত্র মস্তিষ্কের চেতনা।”
ওরা বলল – “রাসায়নিক পক্রিয়া কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছে। তুমি কি শেষ মুহুর্তে আর কিছু জানতে চাও?”
আমি বললাম -“ আমার বাবা-মা অনেক সুন্দর একটা অনুষ্ঠান করে আমার নাম রেখেছিল।অনেক ভালবাসা নিয়ে আমার নাম ধরে ডাকতো। তোমরা আমার সেই নামটা আমার স্মৃতি থেকে মুছে ফেলেছো। দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে আমি কি আমার নাম টা জানতে পারি?” উনি কিছু একটা বললেন, ঠোঁট নাড়ছেন বুঝতে পারছি, কিন্তু কথা শুনতে পেলাম না। তার আগেই অতল অন্ধকারে হারিয়ে গেলাম।