স্বপ্ন ও বাস্তবতার গল্প

স্বপ্ন ও বাস্তবতার গল্প

রফিক সাহেব স্তব্ধ হয়ে বসে আছেন৷ পাশে শুয়ে আছেন উনার স্ত্রী৷ বারকয়েক বেহুশ হয়েছেন ইতিমধ্যেই৷ বাড়ির বিড়ালটাও আজ মারা গেছে৷ অবশ্য মেরে ফেলা হয়েছে সেটা বোঝা যাচ্ছে খুব ভালোভাবে৷ পেট কেটে নাড়ি ভুঁড়িগুলো বের করে ফেলা হয়েছে৷ অবশ্য তার কিছুই পাওয়া যায়নি৷ শুধু খালি দেহটা পাওয়া গিয়েছে৷ একটা বিড়াল মারা যেতে পারে৷ কিন্তু মৃত্যুটা অস্বাভাবিক৷ তবুও সহ্য করা যেতে পারে৷ একটা বিড়াল এই তো মরেছে৷ কিন্তু ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে, এই নিয়ে এই বাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪ এ পৌঁছেছে৷ এবং আগের তিনজন রফিক সাহেবের ২মেয়ে আর ১ছেলে৷ মেয়ে দু’টো ৮ বছরের জমজ ছিল৷ ছেলেটার বয়স সবে মাত্র ৪ ছিল৷ পায়ের শব্দে রফিক সাহেব দরজার দিকে তাকালো৷ শুভ ছেলেটা ফিরেছে৷ রফিক সাহেব বলল,

-কিরে ফেলে এসেছিস?” জবাবে ছেলেটা মাথা নাড়ায়৷ রফিক সাহেব আর কিছু বলেনা৷

শুভ নিজের মতো করে রুমে চলে যায়৷ শুভ ছেলেটাকে রফিক সাহেব বছরখানেক আগে গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছে৷ শক্তপোক্ত গঠনের শরীর ছেলেটার৷ কথা বার্তা তেমন একটা বলেনা৷ বছরখানেক আগে রফিক সাহেব গ্রামে গিয়েছিলেন একবার৷ হাতে করে নিয়ে গিয়েছিলেন ভারী মালপত্র৷ গ্রামে রফিক সাহেবদের পুরনো বাড়িতে যেতে হলে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে হয় কিছুদূর৷ রফিক সাহেব গাড়ি বিদায় দিয়েই পরলেন বিপদে৷ মালপত্রের থলে নিয়ে হাঁটতে হিমসিম খাচ্ছিলেন৷ ছেলেটার উদয় হলো হুট করে৷ রফিক সাহেবের হাত থেকে থলে নিয়ে হাঁটা ধরলেন৷ রফিক সাহেব অবাক হলেন একটু৷ দু’এক কথায় জানতে পারলেন, ছেলেটার বাবা-মা নেই৷ রফিক সাহেব হুট করে বলে বসলো,

-আমার সাথে যাবে শহরে?”

ছেলেটাও রাজি হয়ে গিয়েছিল৷ রফিক সাহেবেরও মনে হলো, উনার লাভই হলো৷ সারাদিন অফিসের ব্যস্ততায় বাসায় থাকা হয় না৷ ছেলেটা থাকলে টেনশন একটু কমবে৷ ছেলে-মেয়েগুলোকে দেখে রাখবে অন্তত৷” আসার পর থেকেই ছেলেটা টুকটাক কাজগুলো করতো বাসার৷ কথা কম বললেও, রফিক সাহেবের ছেলে মেয়েদের শান্ত রাখতে পারে ছেলেটা৷ রফিক সাহেব ছেলেটার নাম দিয়েছে “শুভ”৷ খাবারও খায়না তেমন একটা৷ তবুও ছেলেটার শক্তপোক্ত শরীর৷ রফিক সাহেব ভাবে মাঝে মাঝে৷ পরক্ষণেই নিজের চিন্তা-ভাবনা উড়িয়ে দেয়৷ গ্রাম্য ছেলেরা এমনিতেই একটু শক্তপোক্ত৷”

গত ৬ মাসের মধ্যেই রফিক সাহেবের ছেলে মেয়েগুলোর করুণ মৃত্যু হয়েছে৷ ঠিক আজকের বিড়ালটার মতো৷ ভেতর থেকে সব বের করে ফেলা হয়েছিল বাচ্চাগুলোর৷ দৃশ্যগুলো মনে পরলেই রফিক সাহেবের আত্মা কেঁপে উঠে৷ রফিক সাহেবের সন্দেহের তালিকায় ছিল বাসার নতুন দারোয়ান৷ সন্দেহের যথেষ্ট কারণ রয়েছে৷ ছেলেটা ২৬-২৭বছর বয়সের৷ তাগড়া জোয়ান৷ এই বয়সে সে কেনইবা দারোয়ানের চাকরি নিবে? আর ছেলেটা দারোয়ান হয়ে আসার পরের সপ্তাহ থেকেই খুনগুলো হয়েছে! সন্দেহের পেছনে এটি বড় একটি কারণ৷”

তার পরে রয়েছে তিন তলার বাসিন্দা আজাদ সাহেবের বড় ছেলে৷ ছেলেটা মাদকাসক্ত৷ টাকা না পেলে পাগলের মতো হয়ে যায়৷ মাদকাসক্ত হলেও এমনিতে শান্তশিষ্ঠ ছেলেটা৷ দুই নাম্বার খুন অর্থাৎ রফিক সাহেবের জমজ মেয়েদের দ্বিতীয়জন খুন হওয়ার পর রফিক সাহেব উনার বন্ধুর কাছে নিয়ে যান মৃত দেহটাকে৷ কিন্তু খুনের কোনো আলামতই খুঁজে পাননি রফিক সাহেবের বন্ধু৷ শেষে পুলিশও ব্যর্থ হয়েছিল৷ হতাশ হয়ে ফিরে এসেছিলেন রফিক সাহেব৷ নিজের বাচ্চার প্রতি নজরধারী বাড়িয়ে দিয়েছিলেন৷ শুভ ছেলেটা সর্বদা লেগে থাকতো রফিক সাহেবের বাচ্চাটার সাথে৷ কিন্তু খুনগুলো হয়েছে প্রত্যেকটা রাতে৷

তৃতীয় খুনটা অর্থাৎ রফিক সাহেবের ছেলেটাকে খুন করা হয়েছে, ঘুমের মধ্যে রফিক সাহেব এবং উনার স্ত্রীর মাঝখান থেকে নিয়ে৷ রফিক সাহেব এই ব্যাপারটা কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না৷ প্রথম মেয়েটা খুন হওয়ার পর সবাই বলাবলি করছিল, জ্বিনের আছর লেগেছে৷ শেষমেষ এক হুজুরের কাছ থেকে তাবিজ নিয়েছিলেন কয়েকটা৷ কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷” রফিক সাহেবের স্ত্রীর হুশ ফিরেছে আবার৷ রফিক সাহেবের ডাক্তার বন্ধু এসে চেকআপ করে গেলেন৷ শেষমেশ বাসার বিড়ালটাও রক্ষা না পাওয়াতে তিনিও আফসোস করলেন৷ রফিক সাহেবের এই মূহূর্তে কী করা উচিত৷ তিনি নিজেও বুঝে উঠতে পারছেন না৷ দারোয়ান ছেলেটাকে কী পুলিশে দেয়া যায়?

আজাদ সাহেবের ছেলেটাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়? পরক্ষণেই ভাবে, আমার কাছে কী প্রমাণ আছে?” সন্দেহভাজন হিসেবে দেয়া যেতেই পারে৷ রফিক সাহেব আফসোস করলেন আবার৷ তিন নাম্বার খুন অর্থাৎ রফিক সাহেবের ছেলেটার মৃত্যুর পর আবার পুলিশ এসেছিল৷ সেবার সিরিয়াস ছিল একটু৷ দু’একদিন একটু দৌঁড়াদৌঁড়ি করেছে৷ তারপর আস্তে আস্তে সব ঠান্ডা৷ যদিও ওদের দোষ দিয়েও লাভ নেই৷ প্রমাণ করার মতো ছিল না কিছুই৷” রফিক সাহেব উনার স্ত্রীর দিকে তাকালেন৷ চেহারাটা মলিন হয়ে আছে৷ মাঝে মাঝে আওয়াজ করে কেঁদে উঠছেন৷ শুভ ছেলেটা সামনেই বসে আছে৷

-আমরা বেঁচে আছি কেন?” বললেন রফিক সাহেব স্ত্রী৷ রফিক সাহেব কী জবাব দিবেন ভেবে পাচ্ছেন না৷ শুভকে হাতের ইশারায় ডাকলো রফিক সাহেব৷ তারপর কাঁধে হাত দিয়ে বলল,
-শুভতো আমাদের ছেলের মতোই ছিল৷ আজ থেকে না হয় আমাদের ছেলে হয়ে যাক৷” উদাস দৃষ্টিতে শুভ’র দিকে তাকায় রফিক সাহেবের স্ত্রী৷ কাছে ডেকে কপালে চুমু দেয়৷ মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,

-আমার বাপ৷”

রফিক সাহেবের মুখে হাসি ফুটে৷ চোখগুলো টলমল করছে৷ নিজের ছেলে মেয়েগুলো হারিয়ে স্ত্রীর করুণ দশা দেখে নিজের দম আটকে যাচ্ছিল৷ এখন একটু শান্তি লাগছে৷ অন্তত একটু শান্তনা তো দিতে পেরেছে৷” পরক্ষণেই মনের ভেতর অজানা ভয় চেপে বসে৷ এই পর্যন্ত রফিক সাহেবের ৩টা সন্তান খুন হয়েছে৷ বিড়ালটাও রফিক সাহেবের বড্ড প্রিয় ছিল৷ সন্তানের মতোই৷ সবাই খুন হয়েছে৷ এবার কার পালা? শুভ!

ছেলেটারও এভাবে মৃত্যু হবে?” ভাবতেই গা শিউরে উঠে রফিক সাহেবের৷ স্ত্রী কে শান্তনা দিতে গিয়ে ছেলেটার জীবনটা নষ্ট করে ফেলছেন না তো?” নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে রফিক সাহেব৷ অবশ্য ছেলেটার সাহস দেখেও অবাক হয় রফিক সাহেব৷ এতকিছুর পরও ছেলেটা এই বাসায় থেকে গেছে! সুযোগ থাকলে রফিক সাহেব নিজেই পালিয়ে বাঁচতেন এই বাসা থেকে৷ শুধু প্রিয়তমা স্ত্রীকে ফেলে যেতে পারছেন না বলে রয়ে গেছেন৷ সন্তানহারা হওয়ার পর রফিক সাহেব সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন, অনেকদূর কিংবা গ্রামে ফিরে যাবেন৷ স্ত্রীর জন্য পারেননি৷” অবশ্য পালিয়ে বেঁচেও লাভ কী? কার জন্য পালাবে সে?” আজাদ সাহেবের ছেলে বাসায় নেই মাসখানেক হলো৷ আপাতত দারোয়ানই একমাত্র সন্দেহভাজন৷

দিনকয়েক ধরে বাসার দারোয়ানটাকে পাহারা দিচ্ছেন রফিক সাহেব৷ এবার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ৷ হারানোর মতো কিছু নেই আর৷ স্ত্রীকে নিয়েও ভয় পাচ্ছেন না আপাতত৷ রাতের বেলা সবাই জেগে থাকে৷ শুভ ছেলেটা আর রফিক সাহেবের স্ত্রী লাইট জ্বালিয়ে বসে থাকে৷ আর রফিক সাহেব সদা পাহারায় মগ্ন থাকে৷ যে করেই হোক এবার একটা সুরাহা হবে৷
রাত একটু গভীর হতেই দারোয়ান ছেলেটার গেইটের পাশে ছোট্ট রুমটায় কান পাতেন রফিক সাহেব৷ কিন্তু গত একসপ্তাহ ধরে হতাশ হচ্ছেন৷ ছেলেটা নাক ডেকে ঘুমায় প্রতিদিন৷ রফিক সাহেব প্রতিরাতে ভাবেন, বিভৎস ভাবে কেন খুনগুলো হল?

এতদিন ভাবতেন,কিডনি দু’টো বিক্রি করলে অনেক টাকার ব্যাপার৷ তাই হয়তো৷ কিন্তু কিডনি ছাড়া বাকি জিনিসগুলো কই গেল?” এতদিনের সব ভাবনা মিথ্যে প্রমাণ করেছে বিড়াল খুন হওয়ার পর৷ বিড়ালের কিডনি? রফিক সাহেবের মাথায় তালগোল পেকে যায় সবগুলো৷” সিগারেট জ্বালালেন রফিক সাহেব৷ ফোনের আলো জ্বালালেন সময় দেখার জন্য৷ আকাশের দিকে তাকিয়ে সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে চলেছেন৷ চোখের কোণে জলের উপস্থিতি৷ মেয়ে দু’টো বড্ড লক্ষী ছিল৷ তুলতুলে ছিল দেখতে৷ ছেলেটাও হয়েছে বোনদের মতো৷ রফিক সাহেব নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী ভাবতেন৷ হুট করে জীবনটা বিষাদে রূপ নিবে ভাবতে পারেননি৷ চোখটা লেগে আসছে আস্তে আস্তে৷”

খুব ভোরে খুব ভাঙে রফিক সাহেবের৷ সূর্যের আলো ফুটতেই চোখে লাগলো৷ বাসার ছাদেই ঘুমিয়ে পরেছিলেন রফিক সাহেব৷ এমনটা সচরাচর হয়না৷ ফুটফুটে সকাল দেখে মনটা ভালো হল রফিক সাহেবের৷ পরক্ষণেই স্ত্রী আর শুভ ছেলেটার কথা মনে পরলো রফিক সাহেবের৷ মনে উৎকন্ঠা নিয়ে ঘরের দিকে পা বাড়ালেন তিনি৷ রুমে ঢুকে একটু নিশ্চিন্ত হলেন৷ উনার স্ত্রী ঘুমাচ্ছেন৷ খাটে বসতেই মনে পরলো, শুভ ছেলেটাও ছিল এই রুমে গতকাল! দিব্যি ভুলে গিয়েছিলেন৷ গেল কই? দৌঁড়ে যায় শুভ’র রুমের দিকে৷ সেখানেও নেই৷ রফিক সাহেবের চোখে ভেসে উঠলো আবার, আরেকটি মৃত্যু৷ আরেকটি বিভৎস লাশ দেখার জন্য প্রস্তুত তিনি৷ ছোট্ট টেবিলটার দিকে চোখ গেল রফিক সাহেবের৷ কলম চাপা রয়েছে একটি কাগজ৷ হাতে নিয়ে দেখলো, কাগজে কয়েকটা লাইন লিখা আছে৷ খুব সুন্দর হাতের লিখা৷

“আমাকে মাফ করবেন মালিক৷ নিজে বাঁচতে গিয়ে আমি আপনার তিন তিনটে প্রিয় সন্তান মেরে ফেলেছি৷ শেষমেষ বিড়ালটাকেও মেরেছি৷ বিশ্বাস করুন, আমার নিজেরই কষ্ট লেগেছে খুব৷ আমার নিজের পরিবারের সবাইকেই আমি এভাবে মেরেছি৷ শুধু নিজে বাঁচার জন্য৷ কিভাবে আমি এমন হয়েছি আমার ঠিক জানা নেই৷ একটা রাত আমার সবকিছু বদলে দিয়েছে৷ কিছু সময় অন্তর অন্তর আমার ভেতরে এক রাক্ষস নাড়া দেয়৷ নরক যন্ত্রণা শুরু হয় আমার ভেতর৷ মানুষের ভেতরের সবটুকু খেয়ে আমি যন্ত্রণা নিবারণ করি৷ আমি নিজেকে সামলাতে পারিনা৷ আর কিছুদিন থাকলে হয়তো আপনার স্ত্রী কিংবা আপনাকেও আমার মারতে হতো৷

এই পর্যায়ে এসে আমার মনে হল, এভাবে বেঁচে থাকার মনে হয় না৷ আপনার স্ত্রীর স্নেহের চুমুটা আমার ভেতরে নাড়িয়ে দিয়েছে আবার৷ আমার পরিবারের প্রত্যেকটা মুখ আর আপনার সন্তানদের মুখগুলো সারারাত আমার চোখে ভেসেছে৷ বিশ্বাস করুন, সবাইকে আমি প্রচন্ডরকমের ভালোবাসতাম৷ কিন্তু ঐ যে কিছু একটা ছিল৷ যা আমাকে হিংস্র করতো৷ আমি আর খুন করতে চাইনা৷ তাই হারিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে৷ আমাকে শাস্তি দিতে খুঁজবেন না মালিক৷ আর কিছুদিন পর সেই যন্ত্রণা বুকে নিয়ে আমার মৃত্যু হবে৷ ভালো থাকবেন মালিক৷

শুভ” চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে উঠে বসেন রফিক সাহেব৷ পাশে শুয়ে থাকা উনার স্ত্রীও উঠে পরেন৷ ঘামে পুরো শরীর ভিজে গিয়েছে রফিক সাহেবের৷ গত ৬মাস ধরে ঘটে যাওয়া মূহূর্তগুলো স্বপ্ন দেখেছেন এতক্ষণ৷ সবকিছুই আগের মতো ছিল৷ শুধু স্বপ্নের শেষটা বাদে৷ শুভ’র চেহারাটা ভেসে উঠে রফিক সাহেবের চোখে৷ ধীরপায়ে শুভ’র রুমের দিকে এগিয়ে যান রফিক সাহেব৷ শুভ ছেলেটা রুমে নেই৷ টেবিলে রাখা আছে কাগজ৷ লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে খাটে বসলেন রফিক সাহেব৷ রুমের কোণার দিকে চোখ পরতেই ভেতরটা মুচড়ে উঠে রফিক সাহেবের৷

আগের ৩ ছেলেমেয়ে আর বিড়ালের মতো রুমের কোণে পরে আছে খোরগোশের পেটকাটা মৃতদেহটা৷ বিড়াল মারা যাওয়ার কিছুদিন পর খোরগোশটাকে এনেছিল শুভ ছেলেটা৷ কাগজের লিখাগুলো আর পড়েননি রফিক সাহেব৷
চোখের কোণে জলের উপস্থিতি টের পেলেন৷ অদ্ভূত ব্যাপার, শুভ ছেলেটার উপর তার রাগ কাজ করছেনা৷ উল্টো কেন জানি মায়া হচ্ছে৷ আর কিছু ভাবতে পারছেন না রফিক সাহেব৷ চোখ দু’টো বন্ধ হয়ে আসছে৷ মনে হচ্ছে পৃথিবীর আলোটুকু নিভে যাচ্ছে আস্তে আস্তে৷”

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত