নীলা কোথায় রে বলেই দরজায় কয়েকটা ঠকঠক শব্দ করলাম । একটু পর দরজা খুলে গেল, দেখি সামনে মা দাড়িয়ে –
– কেমন আছেন ? বলেই মাকে সালাম করলাম । মা গদগদ চোখে তাকিয়ে আশ্চর্য হয়ে বললেন
– হঠাৎ না বলে এভাবে আসলি ।
– বললাম তোমাদের খুব মিস করছিলাম তাই তো । মা আরো কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন
– তোর কি হয়েছে !এখন প্রায়ই বাড়ি আসার জন্য কোন প্রস্তুতি লাগে না ।
আগে তো বললেও তোর বাড়ি আসতে ইচ্ছে করত না । আমি মার দিকে তাকিয়ে তাক লেগে গেলাম । কাধে থেকে ব্যাগ টা নামিয়ে বললাম আমি বাড়ি আসি তোমরা কি চাও না ? নীলা কোথায় বল তো – ওকে তো দেখছি না । মা বললেন, তুই বাড়ি আসলে আমার মনটা হালকা হয়ে যায় । তোকে নিয়ে যে কত দুশ্চিন্তাতে থাকি আমি জানি। তুই তো কারো অন্যায় দেখতে পারিস না । কখন যে এ নিয়ে কার সাথে মারামারি করিস কে জানে –
– উহ মা ! তুমি বাড়ি আসলেই এসব কথা বল । আমি আর মারামারি করি না । তোমার শরীর কেমন বল তো ?
দীর্ঘশ্বাসের সাথে বললেন
– আর শরীর ! ভালো আছে ।
– বাবা কোথায় ?
– দেখ গিয়ে ,পুকুর পাড়ে বসে আছে । আচ্ছা আমি বাবার কাছে যাই এতক্ষণে তুমি আমার জন্য খাবার দাও টেবিলে । খেয়েই যা ?
– আচ্ছা তুমি দাও আমি হাত মুখ ধুয়ে আসি । খেয়ে নিলাম তারপর আমি পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখি নীলা একটা বালতি হাতে নিয়ে বাবার চেয়ারের পাশে বসে আছে । বাবা বড়শি হাতে পুকুড়ে মাছ ধরছেন আর নীলা সেই মাছ বালতিতে রাখছে । আমি ,,
– – নীলা নীলা আমার দিকে তাকিয়ে উত্তেজিত হয়ে বলল-
– আরে দাদা কখন এলে ?
– মাত্র । মাছ কয়টা পেয়েছিস ? আট টা পুটি মাছ ধরছে বাবা আর আমি ধরেছি তিনটা কই । এখন বাবা একটা বড় মাছ তুলল ।
– একটা মাত্র ।
– হু । ! তুমি এলে একটা কল ও তো করলে না । বাবা আমার দিকে তাকিয়ে কেমন আছিস ?
– খুব ভালো বাবা তুমি ?
– ভালো ! তুই আসলি আগে জানাবি তো ।
– আজ হঠাৎ আসতে ইচ্ছে করল তাই এভাবে না বলেই চলে এসেছি ।
– বাবা তোমার পা এখন কেমন?
– ভালো । হাটাহাটি তো আর করতে পারি না । এই হুইল চেয়ারটাই বসে যতদৃর ঘুরে বেড়াই ।
– পায়ে কি আর ব্যথা আছে ?
– করে একটু একটু । ঐ মাঝে মাঝে বেশি হয়ে যায় তখন ডাক্তার কে দেখাই । নীলা মা ! যা তো আমার আর তোর দাদার জন্য চা করে নিয়ে আয় । বাবার কথায় নীলা মুহিমের দিকে তাকিয়ে
– দাদা তোমার চায়ে চিনি দিবো ?
– অল্প দিস । নীলা চলে গেল । বাবা নীলার দিকে তকিয়ে বললেন
– নীলাকে কিছুদিনের মধ্যে ওর বড় খালা নিয়ে যাবে ।
– কেন বাবা ?
– বলল কয়েকদিন ওখানে থেকে আসুক মেয়েটা । এস এস সি পরীক্ষা শেষ করল। আর ও নিজেও যেতে চায় অনেকদিন থেকে পরীক্ষার জন্য যেতে পারে নাই ।
– আচ্ছা বাবা তোমার জন্য আমি কি করলে তুমি সবচেয়ে বেশি খুশি হবে বল তো ? বাবা আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন তারপর
– তুই তোর কর্মজীবন কে সুখী করবি আর একটা নতুন সদস্য পরিবারে এনে দিবি ।
– বাবা আমার জন্য দোয়া কর ।
বাবা ছিলেন নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান । পড়াশোনা শেষ করে চাকরী পাওয়ার আগেই মাকে বিয়ে করেছিলেন । মা বলেন আমার নানা নানী ছিলেন এ সম্পর্কের বিপরীত । তাই মা বাবার হাত ধরে চলে আসেন । তারপর মা তার বাবার বাড়িতে আসন পান নাই । বাবার পরিবারে বাবা একটি মাত্র সন্তান ছিলেন । আমার দাদা ছিলেন দিনমজুর । বাবা ১৩ বছর বয়সেই মাকে হারিয়ে ফেলেন । দাদা অনেক কষ্ট করে বাবাকে পড়িয়েছেন । বাবা দাদাকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিল কারণ তাদের দীর্ঘমেয়াদী ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল ।
দাদার মনে অনেক আশা ছিল তার ছেলে বড় চাকরি করবে । তবে সে আশা পূর্ণ না হলেও বাবা একটা সরকারী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছিলেন । চাকরী পাওয়ার কিছুদিন পর দাদা কে সব খুলে বলেন বাবা , তারপর দাদা বাবার ওপর কোন প্রকার মন খারাপ ছিল না। মা দাদাকে অনেক সম্মান ও শ্রদ্ধা করতেন । বাবা চাকরি পাওয়ার পর দাদা কে বাবার কাছেই রাখতেন । আমি বুঝ হবার পর থেকে দাদার কাছেই ঘুমিয়েছি । দাদা অনেক গল্প বলত – দাদার সেই গল্প গুলো আমার কাছে কাল্পনিক মনে হত কিন্ত তবুও আগ্রহের সাথে শুনেছি । শুয়ে থাকতে থাকতে দাদার গায়ের ওপর কত পা তুলে দিয়েছি তার ঠিক নেই । দাদার দাড়ি ছিলো, লম্বা সাদা দাড়ি সেই দাড়ি আমি চিরুনি দিয়ে টেনে টেনে দিয়েছি। যখন নীলার ছয়মাস বয়স আমার তখন ৮ বছর বয়স ছিল দাদা তখনি হারিয়ে গেলেন । নীলা এসে
– বাবা এই যে চা ! দাদা নাও ।
– তোর জন্য কিছু চকলেট আছে আর আমের আচারের প্যাকেট নিয়ে এসেছি ।
– সত্যি দাদা ?
– হু । কোথায় রেখেছ ?
– বল আগে , রাতে মাথা টিপে দিবি ?
– আচ্ছা ঘুমানোর আগে । এখন বল আচার কোথায় ?
– ব্যাগের ভেতর একটা ছোট্ট বক্স আছে তার ভেতরে ।
– হুহুহু গেলাম নীলার হাসিমুখ দেখলে আমার মনে হয় ওকে সবসময় সাজিয়ে রাখতে । ঠিক যেন পুতুলের মত ।
– মুহিম । নীলা দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেল তাই না ?
– হু বাবা ।
– সেই ছোট্ট নীলা আজ কত বড় ।
– সন্ধ্যা হয়ে আসছে চল তোমাকে বাড়ি নিয়ে যাই । আমি বাবার হুইল চেয়ার ঠেলে বাড়ি নিয়ে যাই। সন্ধ্যার পর বারান্দায় বসে মুখে হাত দিয়ে ঠোট চেপে বসে আছি । এর মাঝেই নীলা আমার কাছে এসে
– দাদা —-আমার কিছু কথা আছে ?
– বল এ কি নীলা কাঁদছে । মিনমিন করে একটু শব্দ করছে ।
– তোমাকে বলতে আমি ভয় পাচ্ছি ।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে কেমন অবাক হয়ে কেবল ওকে দেখছি । কি হয়েছে কিছু কল্পনাতেও আসছে না । কেবল চোখের পানি দেখতে পাচ্ছি আর দেখছি ও এমন কিছু বলতে চায় কিন্তু বলতে পারছে না । ওকে হাত দিয়ে টেনে সামনে নিয়ে বসিয়ে বললাম
– কি হয়েছে ? বল আমাকে ?
– আব্বাকে আর মা কে কিছু বলবে না তো ? বলেই আবার মাথা নিচু করে কাঁদছে । আমি হাত দিয়ে মাথা উচিয়ে দুই হাতে চোখের পানি মুছে দিলাম । তারপর নীলা
– আমি পরশুদিন রিফাত ভাইয়াদের বাড়িতে গিয়েছিলাম চম্পার কাছে । রিফাত ভাই বলেছিলো চম্পা তোমাকে যেতে বলেছে । বলতেই আরো কেদে উঠল । আর কথা নেই নীলার আবার ফুপিয়ে কাদতে শুরু করেছে । মনে হয় নিঃশ্বাস আটকে যাচ্ছে । আমার মনটা ভারী হয়ে এলো । ওর কান্না দেখে আমার শক্তি সব হারিয়ে যাচ্ছে । রিফাত পাড়াতো চাচাতো ভাই হয় আর তার বোন চম্পা নীলার সহপাঠী । তাই ওদের বাড়িতে নীলার যাতায়াত চম্পাও আমাদের বাড়িতে আসে ।অনেক্ষণ পর নীলা মাথা তুলে,
– আমি বিকেলে ওদের বাড়িতে যাই । গিয়ে দেখি রিফাত ভাইয়া বারান্দায় বসে মোবাইল দিয়ে গান শুনছেন ।
আমাকে ঘরের মধ্যে বসতে বলে । আমি বলি চম্পা কোথায় ? বলল আসতেছে তুমি বস । সেদিন চম্পার মা বাবা সবাই চম্পার ফুপুর বাড়ি গিয়েছিল । আমি ঘরে গিয়ে বসি । তারপর রিফাত ভাইয়া ঘরের মধ্যে আমাকে নিয়ে ভাইয়া নীলা আর বলতে পারল না । কান্নায় মাথা নিচু করে আমার হাত ধরে বসে রইলো । আমি নীলার কথা শুনে থ হয়ে যাই আমার রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা । কি করব বুঝতে পারছি না ।
– দাদা আমি মরে যাব দাদা । বাঁচতে চাই না ।
আমি ওকে আমার বুকের মধ্যে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে শুরু করি । কিন্তু এতটাই ফুপিয়ে কাঁদছিল যে বুকে জড়িয়ে রাখা টাও যেন কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। আমি অসহায়ের মত তার কান্নার অসহায়ত্ব দেখছিলাম । মুখে কিছু আসছিল না কি বলব। নীলা ইতিমধ্যে কাঁপতে শুরু করেছে ওর শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি চোখ হালকা লাল হয়ে গেছে ঠোট চিরচির করে কাঁপছে । আমি নীলাকে নিয়ে ঘরে গিয়ে শুইয়ে দিই, সেদিনের মত নীলা ঘুমিয়ে পড়ে । আমি সেদিন রাতে আর ঘুমুতে পারিনি । অনেক দুশ্চিন্তার মাঝে কেবল একটি কথা মনে হয়েছিলো । মানুষ এরা জানোয়ারের চেয়েও ভয়ংকর । রিফাতের শাস্তির বিষয়টা ভাবতে লাগলাম কিন্তু কিভাবে কি হবে । সমাজে জানাজানি হলে অপমান আর লজ্জায় ছেয়ে যাবে । আবার অবিশ্বাস ও করতে পারে ।
আমি বিষয়টা চেপে যাই নীলাও কাউকে কিছু বলে না । লজ্জায় অনেক কিছুই চেপে যেতে হয় । নীলাকে বুঝিয়ে আমি সে বারের মত শান্তনা দিয়ে শহরে চলে আসি । বাবা এক্সিডেন্টে পা হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেল । কোন আয়ের উৎস ছিল না সংসারের টানাপোড়নের মধ্যে দিয়ে দিন চলছিলো । এদিকে আমার পড়াশোনাও শেষ । চাকরি খুজছিলাম । মাঝে তিনমাস হয়ে যায় আর বাড়ি যাই নি । চাকরি পেয়ে তবেই হাসি মুখ নিয়ে বাড়ি যাব । নীলার পরীক্ষার ফলাফল শুনলাম । খুব ভালো ফলাফল করেছে ।স্বপ্নের সীমানা টা বেড়ে গেলো ওকে নিয়ে । নীলাকে অনেক ভালো একটা কলেজে ভর্তি করতে হবে । হঠাৎ রাত দু’টোয় নীলার ফোন । ঘুমঘুম চোখে ঘুমের ভাবে ফোন রিসিভ করতেই ,,,
– – কিছু হয়েছে এত রাতে ফোন ?
– ভাইয়া ! আমার শরীরে কেমন যেন লাগে । বমি হয় ।
– সকালে মতি কাকার কাছে গিয়ে ঔষুধ নিয়ে আসিস ।
– ভাইয়া হঠাৎই এমন লাগে সব সময় না ।
– এখন বমি হয়েছে ?
– হ্যা । মা এসে মাথা মুছে দিয়ে গেল । তুমি কবে আসবে দাদা ?
– একটা চাকরি পেলেই চলে আসব । দেখিস তখন কোন সমস্যা থাকবে না ।
– তুমি চাকরি পেলে আমাকে একটা সবুজ শাড়ি কিনে দিবে ?
– আচ্ছা । শাড়ি তোর খুব ভালো লাগে ?
– হ্যা আমি তো মার সবুজ রঙের শাড়ি টা পড়ি । মা বলে আমাকে খুব সুন্দর লাগে সবুজ শাড়িতে । আমি মার এসব কথায় খুব লজ্জা পাই ।
– দাদা আমি রাতে ঘুমুতে পারি না । ঘুম হয় না । শুধু কেমন অস্বস্তি আর অস্থির লাগে মাথাটাও ঘোরে । তাই রাতে আকাশের তারা গুনি বসে বসে ।
– ধুর পাগলী এত রাতে তারা গুণতে হবে না ! কাল মতি ডাক্তারের কাছে গিয়ে ঔষুধ নিয়ে আসবি দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে । ঠিক আছে ?
– আচ্ছা দাদা । দাদা শোনো ?
– তুমি চাকরি পেলে আমায় একটা সুন্দর ভাবি এনে দিবে ?
– পাগলের মত কথা । এখন ঘুমু গে যা । অনেক রাত । রাখি বোন ।
বলেই ফোন কেটে দিলাম । তখন বোন নীলার জন্য তেমন কোন দুশ্চিন্তা করি নি ।অনেক চাকরির ইন্টারভিউ দিয়েছি । চাকরি হবে হবে ভাব করে হয় না । সেদিন ও একটা ইন্টারভিউ ছিলো অনেক ভালো হয়েছে ইন্টারভিউ স্যার বলেছে তোমাকে জানানো হবে তুমি আশাবাদী থাকো । একমাস পর দুপুরে হঠাৎ বাবার ফোন ,
– খোকা নীলার যেন কি হয়েছে তুই একটু বাড়ি আয় । খুব অসুখ ।
ফোনের ভেতর থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসছে – আমি শুনছি মার গলার শব্দ। মা বলছেন —ও নীলা তোর কি হলো কথা বল, কথা বল নীলা । আমি বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে ছুটে চললাম বাড়ির উদ্দেশ্যে । তারপর অবশেষে বাড়িতে পৌছে দেখি বাড়ির উঠানো লোক জমেছে । নীলার দিকে তাকিয়েই দেখি নীলার হেক্সী হচ্ছিল শরীরে অনেক ঝাকি হয় হেক্সী হলে । নীলার ও তাই হচ্ছিল । যার ওপর শুয়ে রাখা হয়েছিলো সেখানে রক্তে ভেসে গেছে । স্পষ্ট বুঝতে পারলাম নীলার এবরশন হয়েছে । নীলার হাত ধরতেই দেখি হাতটা ঠান্ডা হয়ে গেছে । নীলা একবার আমার দিকে তাকিয়ে বলল
– দাদা , তুমি এসেছ ! আমি আর সহ্য করতে পারছি না ।
এই বলেই নীলা নিশ্চুপ হয়ে গেল । আমি থ হয়ে পাথরের মত শক্ত হয়ে যাচ্ছি ,এমন মনে হচ্ছিল । মা হাউমাউ করে কাঁদছিল । বাবা হুইল চেয়ারে বসেছিল নীলার মাথার কাছেই বাবাও কাঁদছিল সে কান্নার চিত্র ভয়াবহ কষ্টের ।
নীলার সেদিন রাতের কথায় আমি বুঝতে পারিনি আসল সত্যকে । নীলার কেন অসস্তি লাগে কেন আকাশের তারা গুনে । সেদিন আমি ফোন রেখে দেওয়ার পর হয়তো নীলা সারারাত জেগেছিল । নীলার পরীক্ষার ফলাফল অনেক ভালো । অনেক স্বপ্ন নিয়ে সাজানোর চেষ্টা ছিলো । কিন্তু হঠাৎ তারা গুণতে গুণতে নিজেই আকাশে হারিয়ে গেল ।
গল্পে দাদা চরিত্রের নাম মুহিম , তার চাকরি হয়েছে , সবুজ শাড়ি কেনা হয় নি । মুহিম এখন তার বাবা মাকে নিয়ে শহরে থাকে । মাঝে মাঝে গ্রামে এসে নীলার সমাধিস্থল দেখে যায় । নীলার সমাধিস্থ জায়গায় সুন্দর সবুজ ঘাস, ফুলের গাছ হয়েছে ,সবুজ তৃণভোজী উদ্ভিদ দিয়ে ঢেকে গেছে । মনে হয় সবুজ শাড়িতেই তাকে প্রকৃতি সাজিয়েছে ।