বোধ

বোধ

অফিস থেকে বেরিয়ে বাসের অপেক্ষায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে সামনের দিকে হাটা শুরু করলাম। পতেঙ্গা স্টিল মিল বাজার থেকে ফ্রী-পোর্ট পর্যন্ত হয়তো হেটেই যেতে হবে। এই এরিয়াতে মানুষের ভীর আমাকে ভাবিয়ে তুলে, নানান প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। হাজারো কর্মজীবী মহিলা। কর্ণফুলী ইপিজেড আর চট্টগ্রাম ইপিজেড, মাঝখানে বন্দরটিলায় মানুষের ব্যস্ততার বাস্তবতা দেখা যায়। সূর্য উঠার আগেই শহর জেগে উঠে নিয়মের সাথে, ছোট ছোট দলে গার্মেন্টস কর্মী মহিলাদের দৌড় প্রতিযোগীতা। দুই একজন পুরুষের সাথে হাজারো মহিলা, বেঁচে থাকার দৌড় থামেনা তাদের। সন্ধ্যা শেষ হয়ে রাত নয়টার মধ্যে ওরা ঘরে ফিরে।

ফেরার সময় এক হাতে এক কেজি চাওল, সামান্য মশুরের ডাল, অন্য হাতে কলমি শাক কিংবা আলু, পটল বা সামান্য সবজি আর ক্লান্ত চোখ। এই ক্লান্ত চোখে একদিকে যেমন হাজারো ভাবনা খেলা করে অন্যদিকে তেমনি স্বপ্নগুলো বাড়ি ফেরার তাড়না দেয়। ফেরা মানে অবসর নয় বরং আগামি দিনটি শুরু করার জন্য শক্তি সঞ্চয় করতে খাওয়া-দাওয়া তারপর ঘুম। এভাবেই চলে যায় তাদের যাপিত জীবন, শুধু বেঁচে থাকে শুকনো নেতিয়া যাওয়া নড়বড়ে শরীর। মনের শক্তি এদের বিজয়ী ঘোষণা করে প্রতিদিন। ওরা আমার চোখের সামনেই হয়তো শেষ হাসি হেসে নিয়তির কাছে সপে দেবে বাকিটা জীবন। আমি এসব দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হই যেমন, তেমনি ঘৃণা জন্মলয় দেশের উচ্চপদে বসে থাকা মোড়লদের প্রতি। দেশের জিডিপি -এর সিংহভাগ আসে পোশাক শিল্প থেকে, যেখানে নারীর অবদান নব্বই শতাংশ বা তার বেশি কিংবা সামান্য কম। প্রশ্নটা মনে বারবার আসে প্রতিদিনের মতো, এই দেশ গরীব থাকে কেনো?

আপাতত এসব ভাবনা আমাকে চিন্তিত করছেনা বরং কিভাবে বাড়ি যাবো সেটাই বেশি ভাবাচ্ছে। আমি হেটে চলেছি মানুষের ভীড় ঠেলে ফ্রীপোর্ট এর দিকে, তারপর আমার চিরচেনা পথ আমাকে প্রশান্তি দেবে। আমি আনমনা হয়ে হেটে চলেছি আমার গন্তব্যের দিকে। খেয়াল করিনি, হঠাৎ একটি ট্রাক আমায় ঘেসে দাঁড়িয়ে পড়াতে আমি চমকে উঠি। রাজ্যের ঘোর থেকে মুক্তি নিয়ে ট্রাকের দিকে তাকাতেই ইলিয়াসের হাসি মাখা মুখ আমার ক্রোধের আগুনে জল ঢেলে দেয়। ‘স্যার কই যাইবেন, উঠে পড়েন। লজ্জা রাইখা লাভ নাই। সারা রাস্তা গাড়ি ভর্তি, একটা বাসও খালি নাই। ‘ আমি কিছু না ভেবেই উঠে পড়লাম ইলিয়াস এর ট্রাকে।

ইলিয়াস আমাদের অফিসের পুরাতন ড্রাইভার। ঢাকায় আশুলিয়ার ফেক্টরীতে প্রথম পরিচয় হয়। লেখা পড়া জানা ছেলে। মাঝেমধ্যে দুই একটি ইংরেজি শব্দ একবার হলেও ভাবায়। ছেলেটি হয়তো সুবিধা বঞ্চিত, ভাগ্যদোষে আজ ট্রাক ড্রাইভার। ইলিয়াসের সাথে আমার সম্পর্কটা ভাইয়ের মতো। কোন কারণ ছাড়াই ওর প্রতি ভালোবাসা কাজ করে। ছেলেটা দুষ্টু প্রকৃতির মনে হলেও তেমন নয় বরং যতেষ্ট ভদ্র। ‘ স্যার কই যাইবেন? আপনাকে খুব চিন্তিত মনে হইতেছে, কোন সমস্যা? আমি উত্তরে বললাম, না ইলিয়াস। আমি ভাল আছি। ট্রেনের টিকিট পাইনি তাই বাসে করে ঢাকায় যাবো বলে বের হলাম। ইলিয়াস খুব বিনয়ের সাথে বললো, ‘স্যার, কিছু মনে না করলে আপনি ঢাকায় আমার সাথে যাইতে পারবেন। খালি ট্রাক। এক টানে সকাল নয়টার আগেই ঢাকায় আপনারে নামাইয়া দিব।’

আপাতত ইলিয়াসের অফারে মাথার সব চিন্তা দূর হলো। ঈদেরছুটি, ট্রেনের টিকিট পেলামনা, বাস মালিক সমিতি সিন্ডিকেট করে ভাড়া দ্বিগুণ করে যাত্রী বহন করছে। আমরা নিরুপায়, জিম্মি। টিভি চ্যানেলে খুব জোরগলায় সব স্বাভাবিক আছে, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে খবর প্রচার করলেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। ‘স্যার একটা কথা অনেকদিন ধইরা জানুম জানুম বইলাও জানা হইল না।’ আমি নির্লিপ্ততা ভেঙে জানতে চাইলাম, ‘ কি জানতে চাও তুমি?’ ইলিয়াস প্রশ্ন করলো, ‘ স্যার ভাবিসাব চইলা গেলো কেন? শুনছি ওনি ওনার সহকর্মীর লগে ভাইগা গেছে? আমি চমকে উঠলাম, ‘তোমাকে এসব বানানো কথা কে বলেছে, ও পালিয়ে যাইনি, আইনানুযায়ী আমাদের মাঝে ডিভোর্স হয়েছে।’

‘ঐ একই কথা, ছোডলোক মায়ারা পালাইয়া যায় আর ভাবিসাবরা ডিভোর্স নিয়া যায়। তয় মাগিদের বিশ্বাস করা ঠিক না, ওরা কোন সময় কোন আকাম করে আমি ইলিয়াসকে ধমক দিয়ে থামালাম, ‘ইলিয়াস, তুমি যাকে বাজে গালি দিলে সে আমার সন্তানের মা, সাবধান এরকম কথা আর কখনো বলবেনা। মনের মিল যদি না হয় তবে পায়ে শিখল পড়িয়ে সম্পর্কটা কতদিন আর টেনে নেয়া যায়? মাঝখানে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো নষ্ট করা। ‘

‘ স্যার আপনারা শিক্ষিত মানুষের ভাষা এক আর আমরার ভাষা আরেক। তয় যেই লাউ, সেই কদু। কথা কিন্তু একই।’
ইচ্ছে হচ্ছিলো নেমে যাই, কিন্তু উপায় নেই, আজ শুনতে হবে, মূর্খের সাথে সত্যিই বন্ধুত্ব হয়না। ভুল আমারই। না, ইলিয়াস মূর্খ নয়। তার ভাষা অশালীন হলেও কথাগুলো সত্য। সত্য শালীন কিংবা অশালীন যাই হোক না কেনো, তার মৃত্যু নেই বরং বেঁচে থাকে আমাদের সাথে, নিয়মের সাথে। ইলিয়াস বলেই যাচ্ছে,’ স্যার রাগ কইরেন না’ চট্টগ্রাম ফিরলাম গতকাল। জীবনের যাপিত ব্যস্ততা শুরু হলো কিন্তু মুক্তি মিলছে না ঘোর থেকে। সে রাতে কি হয়েছিলো? প্রশ্নটা আমার বোধকে নাড়িয়ে দিচ্ছে, আমার সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে, ঘুম যেনো অচেনা কোন বিশ্রাম। আমার চোখ ইলিয়াসকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।

দেখতে দেখতে একটি সপ্তাহ চলে গেলো। গতকাল অফিসের বস খুব করে শাসিয়েছে। ইলিয়াসকে না পেলে হয়তো চাকুরী হারাতে হবে। কাজ করতে পারছিনা, প্রতিদিন অফিসে দেরীতে আসি। আর কতো? আর পারছি না।
মনে পড়ে, লাবনী চলে যাওয়াতে আমার কষ্ট হয়েছিলো সত্য কিন্তু এমনটা হয়নি বরং খুব শক্ত মন নিয়ে সবকিছু স্বাভাবিক রেখেছিলাম। মেনে নিয়েছিলাম আমার লালিত বোধের ভেতর কিছু ভুল ছিলো, ভুল ছিলো লাবনীকে জেনেও বুঝা হয়নি তার চোখের নেশা।

লাবনী বরাবরের মতো শরীর খুঁজেছে; ঘামে ভেজা শরীর থেকে যে গন্ধ নাকের ডগায় পৌঁছালে শরীর জেগে উঠে, তীব্র উত্তেজনা বিপরীত লিঙ্গের মানুষটিকে নিজের বাহু তলে বন্দি করে নিজেকে নিজেই খুন করে লাবনী যে সুখ খুঁজে পেতে চেয়েছে সেখানে আমার আর কি বা করার ছিলো। আমি কামুক ছিলাম সত্য তবে হিংস্র ছিলাম না। লাবনী আমার চোখে, চিহ্বার লেহনে, ঠোঁটে, হাতে, নকে শুধু হিংস্রতা দেখতে চেয়েছে। আমি মেনে নিয়েছি, মেনে নিয়েছি আমার আজন্মের সকল পরাজয়। কিন্তু ইলিয়াস? অবশেষে একটি চিঠি আসলো। হ্যা ইলিয়াসের চিঠি আমাকে ঘোর নামক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে চিঠি এসেছে…..

প্রিয়ো স্যার, আমার পরম আত্মীয়, বড় ভাই। সালাম রইলো। জানি, রাগ আপনাকে খুনের নেশায় একজন পরিপক্ব পুরুষ করে তুলেছে। আপনি আরো রাগুন। রেগে যেয়ে পুরো পৃথিবী ধ্বংস করে জানিয়ে দিন আপনার প্রাক্তন কে, “আপনি হিংস্র একজন মানব।” স্যার, জন্মের পর বাবাকে দেখে দেখে বড় হচ্ছিলাম তার মতোই। জানেন হয়তো, “সন্তানের চোখে বাবারা হলো প্রথম ও শ্রেষ্ঠ নায়ক” আমার বাবা নায়কের চেয়েও বেশিকিছু ছিলো। অন্তত মায়ের কাছে তো সেরাদের সেরা একজন। বাবা চাকুরী করতেন আপনাদের ঢাকার অফিসে। আমাদের সংসারে কোন কিছুর অভাব ছিলো না। অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য, ভালোবাসা। আমি বেড়ে উঠছিলাম রাজপুত্রের মতো। আমার যখন বয়স তেরো, বাবা চলে গেলেন।

সাথে করে নিয়ে গেলেন সবকিছু। নানাজানের দয়ায় অভাব কিছুটা দূর হলেও কয়েক বছর পর ওনার মৃত্যু আমাদের সদ্য ডুবে যাওয়া জাহাজের যাত্রীদের মতো অসহায় আর ভাসমান করে দিলো। মামারা যে যার মতো চোখ সরিয়ে নিলো। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে আর সামনে যেতে পারিনি। আমি বাধ্য হয়ে চাকুরী নিলাম। সহকারী স্টোর কিপার। মা আর আমি। বেশ চলে যাচ্ছিলো। একদিন সকালে মায়ের নিথর দেহ। মা নেই। চলে গেলেন বাবার মতো নিরবে। আমি ভাসমান কোন ভেলায় ভেসে চলেছি এক অজানা গন্তব্যে। নিয়ম করে চাকুরী আর অফিস করলেও নিজের সাথে নিজেই প্রতারণা করে চলেছি, একাকীত্ব আমার হাতে প্রথমে সিগারেট, তারপর সব কিছু। গাজা থেকে শুরু করে ইয়াবা। সব আমার পরম আত্মীয় হয়ে গেলো।

একদিন শ্রাভণের অকাল ধাড়া আমাকে ভিজিয়ে দিচ্ছিল প্রায়। একটা টং দোকানে আশ্রয় নিলাম। খেয়াল করিনি। হঠাৎ অপরুপা এক মায়াবতী আমার কাছে জানতে চাইলো কাগজে লেখা ঠিকানা। আমি খুব আগ্রহের সাথে ঠিকানার রাস্তাটি জানিয়ে দিলাম। বৃষ্টি থেমে গিয়েছিলো প্রায়। সন্ধ্যা বিদায় নিয়ে ঘুটঘুটে অন্ধকার এক রাত্রির আগমন ঘটালো। মেয়েটিকে একা ছেড়ে দিতে মন সায় দিলো না।

আমি তার পথের সঙ্গী হয়ে ঠিকানা পর্যন্ত পৌঁছে দিতে দিতে নাম আর মোবাইল নাম্বারটা জেনে নিলাম। এতো সহজে মোবাইল নাম্বার পেয়ে যাবো ভাবিনি। আসলে, আসল ভাবনাটাও মনে আসেনি তখন। আমাদের ফোনালাম, দেখা করা এমন কি রাতের বেলায় আমার ঘরে কোন রকম দুঃশ্চিন্তা ছাড়াই ও আসতো। তখনো ভাবিনি আসল রহস্যের কথা বা আসল সত্য। মেয়েটির নাম মিলি, আসল নাম আমার এখনো অজানা। একদিন আমার এক বন্ধু তার মোবাইলে ছবি দেখিয়ে বললো, ” চল, একটা মাল খেয়ে আসি।” আমি অবাক হয়েছিলাম খুব। মিলিকে দেখতে পেলাম মাল হিসেবে। তারপর একটি বছর পাগলের মতো ছিলাম। চাকুরীটাও চলে যায়। মিলিও ঠিকানা বদলায়। চলে আসে কুমিল্লা শহরে।

সখ করে গাড়ির চালানো শিখেছিলাম অনেক দিন আগে। তা পেশায় পরিণত করি মিলির জন্য। আমি সুস্ত হওয়ার পর মিলির সাথে দেখা করি। মিলিকে স্বাভাবিক জীবন দেবো বলে ওর কাছে ওয়াদা করি এবং সেই সাথে কথাও দেই। মিলি গ্রহণ করেনি। মিলিরা গ্রহণ করতে পারেনা এমন প্রস্তাব। হ্যা সত্যিই মিলি পারেনি। সেদিন আপনাকে নিয়ে মিলির কাছে যাই। আপনি ট্রাকে বসে আমার সাথে কথা বলতে বলতে গাজা সেবন করলেন। যখন অপ্রকৃতস্থ ছিলেন তখন আমার মনে হলো আপনার মিলিকে দরকার। খুব গাল মন্দ করতেছিলেন ভাবিকে। আপনাকে থামানো দরকার ছিলো।

সেদিন রাতে আপনার কামনায় বিষ ঢেলে মিলিও খুব সুখে মেতেছিলো। সহ্য করতে পারিনি এসব। অনেক দিনের জমানো ক্ষোভ মিলিকে হত্যা করলো আমার দুই হাত। মৃত্যু ঘটলো আমার ভালোবাসার। আপনাকে ঢাকায় নামিয়ে দিয়ে আমিও ধরা দিলাম পুলিশের কাছে। পুলিশের একজন কন্স্টাবলের সহযোগীতায় চিঠিটি আপনার হাতে পৌঁছাবে কি না জানিনা, যদি পৌঁছেও থাকে তবে জেনে রাখবেন, এখানে আপনি নির্দোষ। আশা করছি ঘোর কেটে যাবে। প্রকৃতি আমাকে যেখানেই সপে দিক না কেনো আপনাকে ভালো রাখুক এই প্রত্যাশা সবসময়। ভালো থাকবেন স্যার, আমার প্রিয়ো মানুষটি হয়ে।

ইতি,
ইলিয়াস

আমি নিজেকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেই। ইলিয়াস আমার ভাই, না মায়ের গর্ভে জন্মানো, রক্তের সম্পর্কের ভাই নয় বরং তারচেয়েও বেশি কিছু। সেদিন রাতে কি হয়েছিলো? সব মনে পড়ছে। লাভনী চলে যাওয়াতে নারীদের প্রতি ঘৃণার আক্রোশ আমাকে, আমার দুই হাতকে খুনি বানালো। সেদিন গাজা সেবন আমার নিজ ইচ্ছাতেই করেছি। এটা গত ছয়মাস ধরে রুটিন মাফিক সেবন করতাম। খুব দরকার মনে হতো।ইলিয়াস ছাড়া কেউ জানতো না। ও প্রায়ই ব্যবস্থা করে দিতো। আমি চাইতাম বলেই দিতো। সেদিন মিলির কাছে যাবার পর কি হয়েছিলো মনে নেই। তবে মিলির খুনি আমিই ছিলাম। সত্য, চন্দ্র আর সূর্যের মতো সত্য। ইলিয়াস আমাকে বাঁচাতে চেয়েছিলো আমার মা আর সন্তানের জন্য। অথচ আমি ভুলেই গিয়েছিলাম ইলিয়াসও আমার মায়ের সন্তান হতে পারতো। ওর একটা মা দরকার,মমতা দরকার।

ইলিয়াস মুক্তি পেলো। আমার মা আর ছেলে ওরে নিয়ে গেলো। আদালত আমাকে তেরো বছরের সাজা শুনালো। আপিল করার কোন ইচ্ছে নেই। এই সাজা আমার প্রাপ্য। শুনেছি লাবনী মাঝেমাঝে ছেলেকে দেখতে আসে। ইলিয়াসকে আমার ছেলে ছোটকাকু বলে ডাকে। ভালো আছে তারা। ইলিয়াস আর জায়ান, ওরা ভাসমান মেঘের ভেলা। উড়ুক ওদের মতো….

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত