প্রায়শ্চিত্ত

প্রায়শ্চিত্ত

‘পাপ!পাপ! ওর বাপের পাপে এমুন হইছে গো! নইলে আমার চাঁন্দের মতো ফুটফুটে ছাওয়ালডা মরবে ক্যান? আমি এখুন কি বুকে নি বাঁচবো গো বলে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে রেহানা খাতুন। তার নয় বছরের ছেলে রুপু বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে মারা গেছে। বিরাট পুকুরে জাল টেনে সেই ছেলেকে তোলা হয়েছে। মরে ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া লাশটা বুকে চেপে ধরে চিৎকার করে কাঁদছে তার মা।

যে বাপের পাপের জন্য ছেলে মারা গেছে বলে তার মা কাঁদছে, সেই বাবা এতক্ষণ সবার সাথে জাল টেনেছে। মরা ছেলেকে কোলে করে সেই নিয়ে এসে বাড়ির উঠোনের আমগাছ তলায় পেতে রাখা চৌকিতে পরম যত্নে শুইয়ে দিয়েছে। পুরো শরীর থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। পুরো শরীর ভেজা বলে চোখে পানি আছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু বেদনায় পান্ডুর মুখটা দেখে সবাই বুঝতে পারছে ওর বুকের মধ্যে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কান্নারত রেহানাকে শান্তনা দিতে থাকা তার বড় ননদের ভাইয়ের বেদনায় পান্ডুর মুখটা দেখে বড় মায়া হয়। তার চোখেও পানি। রুপু যে তার বড় ফুপুরও খুব ভক্ত ছিল। তবু সে নিজের কান্না চেপে রেহানার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো,’ ও কথা ক্যান বলছিস বউ? আমার ভাইয়ের কষ্টটা তুই বুঝবি না?’

রেহানার তখন কারো কষ্ট বোঝার সময় না। মনের অবস্থাও না। সে দেখছেও না তার অভিযোগে মানুষটার কোথায় গিয়ে বিঁধছে। বরং বড় ননদের কথার উত্তরে সে আরো জোরে কান্না করে বললো,’ আমি কি ভুল বইলিছি ?বড় ছাওয়ালটাও যে তিন বছর আগে এরকম নয় বছর বয়সে দুদিনের জ্বরে ধড়ফড় করে মইরে গেল। তখনই আমার মন এই কথা ডাক দি বইলিছিল গো। আমি মনকে বুঝ মানিছিনু। কিন্তু একই বয়সে আমার এই ছেইলিডাও গেলগো। আর থাকলো মেয়িডা। ওরতো সাত বছর হইলো। দুই বছর পর কি ওকেও হারাইতে হবে আমার। ও আল্লাহ এখন কি কইরবো আমি?’ রেহানার খাতুনের কান্না যেন শত সহস্র শব্দে বাজ পড়ার মতো আছড়ে পড়লো উপস্থিত সব মানুষের উপর। মৃত ছেলেকে ফেলে সবার দৃষ্টি এখন তার ‘পাপী’ বাবা হাউস আলীর উপর। যেই মানুষটা পাঁচ বোনের পর জন্ম নেয়াতে তার বাপজান বড় হাউস ( শখ এর আঞ্চলিক শব্দ) করে ছেলের নাম রেখেছিল হাউস আলী।

‘এই ধর ধর পইড়ি গেল’ চিৎকারে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে যেন হঠাৎ প্রানের সঞ্চার হলো। মাটিতে পড়ার আগেই চলিশোর্ধ্ব হাউস আলীকে ধরে ফেলল তার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা দু-তিন জন। অজ্ঞান হয়ে গেছে বেচারা। ছোট ভাইয়ের বউ মনু জগে করে পানি এনে মাথায় ঢালতে লাগলো। ভাসুর বলে দুরে থাকার সময় এখন না। সেও ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। মানুষজন ভালোয় ভিড় করেছে। ‘ভাইগো আপনার মতন ভালো মানুষ আমি আমার জীবনে দেখিনি। বড় বুবুর মাথার ঠিক নাই এখুন। সেই কবেকার এক ভুলের মাশুল এভাবে কেউ দেয় না। এইডি একটা দুর্ঘটনা ভাই। আপনি এতো ভাইঙি পইড়েন না।’ জ্ঞান ফিরে নিরবে কাঁদতে থাকা বড় ভাসুর কে সান্ত্বনা দেয় মনু। হাউস আলী কোন কথা বলে না।নিরবে তার পাপের কথা ভাবতে থাকে। সেটাই এখন যেন বড় ভাবনা হয়েছে তার।

তখন কত বয়স হবে তার? আঠারো- উনিশ বছরের যুবক হয়তো। সেদিন সে আর তার বন্ধু আমির মিলে আখ কাটছিল ক্ষেতে। পাঁচ বিঘা জমিতে আখ হয়েছেও খুব ভালো। ওরা কাটছিল এক ধার থেকে। সকাল থেকে কাজ করছে মাঠে। দুজনই ক্লান্ত। কিন্তু সন্ধ্যার আগে কাজ রেখে বাড়ি গেলে তার বাপজান খুব রাগ করবে,তাই ক্লান্ত – শ্রান্ত হলেও নিরবে কাজ করে যাচ্ছে ওরা। দুজন বন্ধু হলেও হাউস আলী একটু কথা কম বলে,তাই তেমন গল্প জমে না ওদের। যদিও আন্তরিকতার কোন অভাব নেই ।

হঠাৎই খেতের অন্য পাশে কেমন যেন শব্দ হলো। ‘আমি দেখছি বলে’ আমির এগিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পরেই ‘ এই হাউস দেইখি যা হারামীর বাচ্চার সাহুস। কুইশোর(আখের আঞ্চলিক নাম) ভাইঙ্গিছে(ভেঙ্গেছে) কয়ডা দেখ? আমাকে দেইখি আবার পালাইতে লাগছিল। ধমক দিয়া থামাইছি।’

হাউস আলী এসে দেখে আট -নয় বছরের রোগা একটা ছেলে নত মুখে আমীরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ডাগর চোখে কেমন যেন ভয় পাওয়া চোখে তাকাচ্ছে। পাশে বেশ কয়টা আখ ভাঙ্গা পড়ে। ছেলেটা তাদের গ্রামের না। গ্রামের হলে সে চিনতো। সে কি করবে সিদ্ধান্ত নেবার আগেই আমির বলে,’ মার,হারামীর বাচ্চাকে। দাঁড়াই কি দেখছিস? না মারলে আবার আসবে। সাহুস পায়ি যাবে। মার.’

নিজের বিবেচনা খাটানোর সময় হয় না হাউস আলীর। অন্যের উত্তেজনা তার উপর ভর করে। উত্তেজিত হয়ে ডান হাত তুলে বাচ্চাটার মাথায় বাড়ি দিতে যায়। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাতে থাকা কাস্তে দিয়ে কোপ পড়ে যায় ছেলেটার গলায়। চিৎকার করারও সময় পায়না ছেলেটা। মাথাটা কেটে এক পাশে ঝুলে পড়ে। রক্তে ভেসে যায় আখ ক্ষেত। চিৎকার করে ওঠে হাউস আলী,’ আল্লাহ এইডি কি হইলো? আমি এ কি করলাম গো…’ তার তুলনায় আমির আলীর মাথা ঠান্ডা। হাউসের মুখ চেপে ধরে তাকে চুপ করায়। দৌড়ে ক্ষেতের বাইরে গিয়ে দেখে কেউ আছে কিনা।

কেউ নাই দেখে দুজনে মিলে বুদ্ধি বের করে। আখের বোঝার মধ্যে বেঁধে ফেলে লাশ। রক্ত তুলে পুঁতে ফেলে। তারপর ভাবে অন্ধকার হলে মাথায় করে বোঝা নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে পুঁতে ফেললেই আর কেউ জানতে পারবে না।কিন্তু অন্ধকারে আখের বোঝা হাউস আলী মাথায় নিতে গিয়েই বাঁধে বিপত্তি। কে যেন তার গলাটা চেপে ধরেছে। ছোট দুটো হাত। সে কিছু বলার আগেই আমির আলী চিৎকার করে ওঠে,’ ও আল্লাহ ও ছাওয়ালতো বাঁইচি আছে রে ! তোর গলা চাইপে ধরছে হাউস। বোঝা ফেলে দে। ফেলে দে ভয়ার্ত হাউস বোঝা ফেলে দৌড় দেয়। একবারও ঘুরে তাকায় না। যে ছেলের ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে গেছে সে বেঁচে ওঠে কি করে? তবে কি অশরীরীর রুপ ধরেছে?

খুন করার থেকেও এই ভয় ওদের বেশি পেয়ে বসে। আমির আলী এক দৌড়ে তার বাড়ি চলে গেছে । হাউস আলী বাড়ি এসে কাঁপতে কাঁপতে তার বাপজানের কাছে সব খুলে বলে। তার বাপ কাদের আলী ছেলের থেকেও ঠান্ডা মাথার মানুষ। তার অতি আদরের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য বুদ্ধি আঁটে। গ্রামের সাহসী ডাকাবুকো হিসেবে খ্যাত খবির মোল্লার সাহায্য চাই। তাকে এক বিঘা জমি লিখে দেবে বিনিময়ে এ ছেলের লাশটা শুধু নদীতে ফেলে দেবে। খবির মোল্লার ভয় পাওয়ার কিছু নেই ওরাও থাকবে সাথে। খবির মোল্লা রাজি হয়। এসব কাজ তার কাছে পানি ভাতের মত।

ওরা তিনজন আবার আখের ক্ষেতে যায়। যদিও হাউস আলীর সন্দেহ ছিল ও ছেলে জ্যান্ত হয়ে গেছে কিন্তু এসে দেখলো সেই বোঝার মধ্যে তেমন করেই বাঁধা আছে লাশ। খবির মোল্লা বোঝা মাথায় তুলে নেয়। ওরা দুজন সাথে সাথে হেঁটে যায় ঘাট পর্যন্ত। কাকতালীয় ভাবে সেদিন অমাবস্যার রাত। ঘুটঘুটে অন্ধকার। ওদের হাতে একটা চার ব্যাটারির লাইট থাকলেও জ্বালাচ্ছে না। যত অন্ধকারে কাজ সারা যায় ততই মঙ্গল। কিন্তু নদীর ধারে যেয়েই ওরা দেখলো ওপারের গ্রামের বেশ কিছু মানুষ হাতে মশাল জ্বালিয়ে কি যেন খুঁজছে। খবির মোল্লা বোঝা মাথায় করেই হাঁক দিল,’ তুমরা কি খোঁজ করো এই আন্ধার রাইতে? কি হারাইছে?’ ওরা জানালো,’ তাদের গোয়ালগ্রামের এক বিধবা মায়ের একমাত্র ছেলেটাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ছেলেটার মোটে নয় বছর বয়স। দুরে কোথাও একা একা যেতে পারার কথা না। বিকালে নাকি মাঠে ঘাস কাটার কথা বলে এসেছে। তারপর আর তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার মা খুব কান্নাকাটি করছে। এতো কান্না সহ্য হচ্ছে না। তাই সবাই মিলে ছেলের খোঁজ করছে। ‘ওরা দেখেছে কিনা তাও জানতে চাই। এরা দেখেনি জানালে ওরা অন্যদিকে খুঁজতে যায়। তিনজনই বুঝতে পারে সেই ছেলের লাশ এখন তাদের কাঁধে। হাউস আলী ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে। ওর বাপজান তার মুখ চেপে ধরে। খবির মোল্লা বোঝা কাঁধ থেকে ফেলে দ্রুত চলে যেতে পারলে বাঁচে। কাজ একটা নিয়েছে সেটা শেষ করা জরুরী।

কিন্তু নদীতে লাশ ফেলতে গিয়েই বাঁধল বিপত্তি। খবির মোল্লার মনে হলো দুটো কচি হাত ওর গলাটা জড়িয়ে ধরে উঁচু হয়ে দাঁড়াতে চাচ্ছে।’ এই কে কে?’ বলে চিৎকার করে উঠে সে কাঁধের বোঝা পানির ভিতর না ফেলে নদীর পাড়ে ফেলে দেয়। এবং খুবই আশ্চর্য ঘটনা হলো তিনজনই ঐ অন্ধকারে আবছা আলোয় দেখলো, ছেলেটা উঠে দাঁড়িয়ে ওদের হাত বাড়িয়ে ধরতে যাচ্ছে। অতি সাহসী খবির মোল্লাসহ বাকি দুজনও প্রচন্ড ভয় পেল। এমন অভিজ্ঞতা ওদের আগে কখনো হয়নি।এক রকম দৌড়ে ওরা বড় রাস্তায় উঠে এলো। কেউ কথা বলার অবস্থায় নেই। শুধুমাত্র হাউস আলী বললো,’ বাপজান এই পাপের শাস্তি আমাকে ভোগ করতেই হবে। না হলে আমার মুক্তি নাই।’

তার বাপজান ছেলের মনের অবস্থা বুঝতে পারে। তাকে সান্ত্বনা দিতে বলে,’ তুমি চিন্তা কইরো না বাপ। আমি সামলাব সবকিছু। তুমি কয়দিন গাঢাকা দিয়ে থাক। গরীব বিধবা দু-তিন বিঘা জমি পাইলে আর কুনো ঝামেলা মনে হয় করবে না। তখন তুমি আবার ফিরে আইসো‌। হাউস আলী আস্তে আস্তে বলে,’ তুমি জমি দিতে চাইলে দেও। গরীব বিধবা মায়ের তাইলে অন্তত ভাতের অভাব হবে না। কিন্তু আমি বাপজান গাঢাকা দিব না। ছোট একটা ছাওয়াল একটু কুইশোর ভাঙছে বলে আমি তারে মাইরি ফেলবো? এযে বড় পাপ! এর যে শাস্তি হবে আমি মাথা পাইতে নেব। নইলে যে উপরওয়ালার সামনে আমি দাঁড়াতে পারবো না রোজ কেয়ামতের দিন।’

ছেলে যে একটুও বাড়িয়ে কথা বলেনি তারপরের দিনই বুঝতে পারলো কাদের আলী। ঐ ছেলেকে যে হাউস আলী মেরে ফেলেছে এটা জানতে গ্রামের মানুষের বেশি সময় লাগেনি। যে কয়জন হাউস আলীর কাছে ঘটনা জানতে চেয়েছে সে যা যা ঘটেছে একদম তাই বলেছে। যথারীতি পুলিশ এসে হাউস আলীকে ধরে নিয়ে গেছে। কেস বেশি দিন চলেনি কারণ হাউস আলী তার পক্ষে কোন উকিল রাখতে দেয়নি তার বাপজানকে এবং সত্য স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

সে ভেবেছিল তার ফাঁসি হবে। তার জন্য মনে মনে প্রস্তুতিও নিয়েছিল। কিন্তু সরল স্বীকারোক্তি এবং তার অনুশোচনা দেখে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। জেলের হিসেবে আঠারো বছর। কারাগারে নয় মাসে বছর। তার উপর হাউস আলীর ব্যবহারে খুশি হয়ে শাস্তি কিছু মাফ করে দেয় জেল কর্তৃপক্ষ। মোটামুটি বার বছর জেল খেটেছে সে। এই বার বছর বা এক যুগে তার যে মানষিক পরিবর্তন হয়েছে তা শত বছরের সাধনায় হয় মানুষের। সে সংসার করেছে । তার সংসার করার উদ্দেশ্য হলো তাদের কোল জুড়ে যে বাচ্চা আসবে তাদের পরম মমতায় মানুষ করা। একটা বাচ্চার উপর বাবা-মায়ের কতটা মায়া থাকে সেটা সে নিজেকে দিয়ে বুঝতে চায়।

আসলেই সে বুঝেছিল। আশপাশের যত মানুষ সে দেখে তাদের সবাইকে সে ভাবে,এরা কারো না কারো খুব আদরের সন্তান। এরা কষ্ট পেলে , এদের থেকে ওরা বেশি কষ্ট পাবে। সে এমন কষ্ট আর কাউকে পেতে দেবে না। সত্যি বলতে তার স্ত্রীকেও নিজের আপনার জন ভাবার থেকে সে কারো সন্তান এটাই বেশি ভেবেছে। পরম যত্নে তার ঘরে এই মেয়েটাকে সে স্থান দিয়েছে।এই মেয়েটা তার স্বামীর কাছ থেকে খারাপ ব্যবহার তো দুরের কথা কোনদিন একটা হুকুম পর্যন্ত শোনেনি।

সে নিজে থেকে কিছু করলে , হাউস আলী এমন অভিভূত হতো যে রেহেনার মনে হতো ‘আল্লাহ এই অতি ভালো মানুষটাকে তুমি ভালো রাইখো। আমার আর কিছু তোমার কাছে চাইবার নেই।’ আর ছেলে- মেয়ে ? এদের প্রতি হাউস আলীর মমতা দেখলে যে কোন মানুষ আবাক হয়ে যেত। যেন এদের ভালবেসে সে অতীত নিষ্ঠুরতার অবসান করতে চায়। প্রায়শ্চিত্ত করতে চায় তার চারপাশে ভালবাসা ছড়িয়ে অতীত অতর্কিত পাপের।

কিন্তু প্রায়শ্চিত্ত এত সহজে হয় না। তার অতি আদরের সন্তানদের ঠিক নয় বছর বয়সে এসে হারাতে হচ্ছে তার। হয়তো এর বৈজ্ঞানিক কোন ব্যাখ্যা নেই। হয়তো এই দুর্ঘটনা, দুর্বল মনের কারণেই ওটার সাথে গুলিয়ে যাচ্ছে সবার।
কিন্তু হাউস আলী? সে বুকে পাথর চেপে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে,’ আল্লাহ তুমিই মহান বিচারক। আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত যদি এত কঠিন ভাবে করা লাগে তোমার তাহলে আমি তাই মাথা পেতে নিলাম। তবুও আমার প্রায়শ্চিত্ত হোক’

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত