বুচি

বুচি

এই মাঝি যাবেন?” কথাটা শুনতেই আমি ডানপাশে ফিরে তাকালাম। কালো শাড়ি পরণে একটা মেয়ে আমার দিকে উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে। “আমায় দেখে আপনার মাঝি মনে হয়?” আমার উত্তর শুনে মেয়েটা খিলখিল করে হেসে উঠল। তারপর হাতের চুড়িগুলো ঠিক করে আমায় বলল, “পরণে খান্দানী আমলের লুঙ্গি, গায়ে সেন্টু গেঞ্জি! তো মাঝি মনে না হয়ে কী রাজা-বাদশা মনে হবে?” আমি মেয়েটার দিকে ভ্রু কুঁচকিয়ে তাকিয়ে রইলাম। চেনা নেই জানা নেই হুট করেই কোত্থেকে যেন এসে ইজ্জত দিচ্ছে। “আপনি এ এলাকায় নতুন?” আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে মৃদুস্বরে একটা হাসি দিয়ে উত্তর দিলাম, “না।” আমার না-বোধক উত্তরে মেয়েটার ইজ্জত দেবার মাত্রাটা যেন আরও বেড়ে গেল। সে ভ্রু কুঁচকিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, “তাহলে কোথায় এসেছেন হ্যাঁ?” আমি সুন্দর করে তার দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলাম,

“খালার বাসায়।”
“খালার বাসা কোথায়?”
“ওইতো পাশেই, চেয়ারম্যান বাড়ি।”

চেয়ারম্যান বাড়ির কথা শুনে মেয়েটা একটু থমকে গেল। তারপর ভয়ার্ত কণ্ঠে আমায় বলল, “চেয়ারম্যান আপনার কী হয় ভাইয়া?”

মেয়েটা ভয় পেয়েছে দেখে আমি শিনাটা একটু টানটান করে বলে উঠলাম, “চেয়ারম্যান আমার খালাতো ভাই হয়।”
মেয়েটা আরও একটু ভয় পেল। ভয় পেয়ে দু’পা পিছনে সরে গেল। তারপর মিনতিভরা কণ্ঠে আমায় বলল,
“সত্যিই চেয়ারম্যান আপনার খালাতো ভাই হয় ভাইয়া?” আমি মুখে পৈশাচিক হাসি এনে মেয়েটাকে উত্তর দিলাম,

“অবশ্যই অবশ্যই।”

উত্তর দিয়ে আমি নিচের দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলাম। তৎক্ষনাৎ মেয়েটা আমায় জোরে একটা ধমক দিয়ে বলে উঠল, “ফাইজলামির আর জায়গা পান না মিয়া হ্যাঁ? আমি চেয়ারম্যানের মাইয়া অথচ আমিই জানি না আপনি আমার বাপের খালাতো ভাই? ফাইজলামি করেন মিয়া?” মেয়েটার ধমক শুনে আমি খানিকটা ভেজা বিড়ালের মত নিমিষেই চুপসে গেলাম। ভয় ভয় ভাব নিয়ে বললাম, “আসলে চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই সম্পর্কে আমার খালাতো ভাই হয়। উনার বাসায় এসেছি।” আমার উত্তর শুনে মেয়েটা হাসতে হাসতে পারে না মাটিতে গড়াগড়ি খায়। সে আমার দিকে তাকিয়ে অনবরত হাসতে লাগল। আমি একটু সাহস করে মেয়েটাকে বললাম, “কী হয়েছে আপু?” মেয়েটা তখনও হাসছে। কিছুতেই হাসি থামাতে পারছে না। এ যেন শ্রাবণের মেঘের মত, একবার নামলে কিছুতেই থামতে চায় না।

“কী হয়েছে আপু একটু বলবেন?”
“আমি আসলে চেয়ারম্যানের মেয়ে না।” কথাটা শুনে আমি মেয়েটার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালাম। ফাইজলামির একটা লিমিট থাকা দরকার।

“তো বললেন কেন আপনি চেয়ারম্যানের মেয়ে?”
“তো আপনি কেন বললেন আপনি চেয়ারম্যানের খালাতো ভাই?”
“আমার খালাতো ভাইয়ের যদি ভাই হয় তাহলে তো আমারও খালাতো ভাই, তাই না?” মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে একটা ভেংচি দিল।
“যতদূর জানি, শহর থেকে এসেছেন। শহরের পোলাপান আপনার মত এরকম হাবলা হয় আগে জানতাম না তো।”
“কী বললেন? আমি হাবলা?”
“নিজেই তো বললেন আপনি হাবলা। হিহিহি।”

মেয়েটা আমায় একবার চোখ মেরে হাসতে হাসতে চলে গেল। যাওয়ার আগে বলে গেল, “আবার দেখা হবে।”
আমি বোকার মত মেয়েটার যাওয়া দেখতে লাগলাম। আমি শহরে থাকি সে কথা এই মেয়েটা কীভাবে জানল? মনে মনে ভাবতে লাগলাম, আমি কী তাহলে বাংলাদেশের বিশেষ কোনো সেলিব্রেটি যার জন্য সবাই আমাকে চেনে??
অনার্স থার্ড ইয়ারের ফাইনাল পরিক্ষা শেষ হয়েছে গতকাল। সেজন্য খালার বাসায় এসেছি আজকে সকালে। গোসল করব ভেবে একটা লুঙ্গি আর সেন্টু গেঞ্জি পড়ে এসছিলাম।

ভাতিজা আমার সঙ্গে গোসল করবে বলেছে। সেজন্য নৌকায় বসে থেকে ভাতিজার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু এই অল্পকিছু সময়ের মধ্যে যে অচেনা একটা মেয়ে এসে আমায় এভাবে ইজ্জত দিয়ে যাবে সেইটা ভাবতে পারিনি। কী আর করা! ভাতিজার জন্য আর অপেক্ষা না করে চুপচাপ গোসল করে বাসায় ফিরে এলাম। সময় খারাপ যাচ্ছে ভীষণ। যে-ই আমার আছে আসছে বাগানের সব আছোলা বাঁশগুলো সাথে করে নিয়ে আসছে। পকেটে যেরকম খরা চলছে ইদানীং তেমনি লাইফেও খরা চলছে। বাসায় এসে মাথা ভালো করে মুছে মুখে স্নো দিচ্ছিলাম। হুট করেই কোত্থেকে যেন আবার সেই মেয়েটা এসে হাজির। মেয়েটাকে দেখে আমার চোখ দুটো আসমানে উঠে গেল।

“আপনি! এখানে? কে আপনি? আপনি এখানে কেন?” মেয়েটা তার কোমড়ে হাত দিয়ে আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকাল। তারপর বলল,
“আমার বাড়িতে এসে আমাকেই জিজ্ঞাসা করছেন আমি কে?” এটা তার বাড়ি কথাটা শুনে আমি মেয়েটার দিকে বড়সড় চোখ করে তাকালাম।
“এটা আপনার বাড়ি?”
“কোনো সন্দেহ আছে?”

আমি বিছানা থেকে উঠে গিয়ে দরজার সামনে দাঁড়ালাম। তারপর ভালো করে বাড়ির চারপাশটায় একবার তাকিয়ে দেখলাম। উহু, ঠিকই তো আছে। ভুল বাড়িতে আসিনি তো।

“এই আসিফ কই তুমি?” ভাবির ডাক শুনে আমি দরজার সামনে থেকে সরে গিয়ে ভাবির দিকে তাকালাম।
“জ্বী ভাবি?”
“আসো পরিচয় করিয়ে দিই। এটা আমার খালাতো বোন সূচি।”

ভাবি সেই মেয়েটার দিকে ইশারা করে আমায় কথাটা বলল। এবার বুঝেছি আসল ঘটনাটা কী। আমায় কীভাবে চেনে, আমি শহরে থাকি সেটা কীভাবে জানে এবার বুঝেছি। আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে সাবলীল ভঙ্গিমায় বললাম, “হাই বুচি!” কথাটা শুনতেই মেয়েটা আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকাল।

“আরে বুচি না তো, সূচি।”
“ওহহ আচ্ছা ভাবি বুঝেছি বুঝেছি। সূচি ওরফে বুচি।”
“আসিফ তুমি না!” ভাবি রুম থেকে চলে গেলেন। আমি সূচির দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
“বুচি!”
“ওই?”
“কী?”
“আমার নাম সূচি, বুচি না।”
“ওই একটা হলেই হয়।” মেয়েটা আড়চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
“ঘাড় মটকে দিব কিন্তু।” আমি ডানপাশে ইশারা করে মেয়েটাকে বললাম,
“পাশে ওইটা কী দেখেছেন?”

সূচি পাশে তাকিয়ে দেখতে পেল, সেখানে মেঝে পরিষ্কার করার একটা ছনের ঝাড়ু। এটা দেখে তার রাগ আরও বেড়ে গেল। সে কর্কশ চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,

“ঝাড়ু দেখালেন আমায়?”
“ভূত, পেত্নী ঝাড়ুতে খুব ভয় পায় জানেন তো।”
“আমি পেত্নী?”
“নিজেই তো বললেন।”

কথাটা বলেই আমি সূচির দিকে তাকিয়ে একটা ভেংচি কেটে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলাম। এটাকেই বলে রিভেঞ্জ। পারফেক্ট রিভেঞ্জ। “কিরে তুই নাকি চলে যাবি এখন?” আমি পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি খালাম্মা এসেছেন। আমি উনার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে উত্তর দিলাম, “হ্যাঁ খালাম্মা।” উনি খানিকটা অভিমানী কণ্ঠস্বর নিয়ে আমায় বললেন, “আমরা কী আর তোর আপন মানুষ নাকি যে আমাদের বাসায় এসে অনেকদিন থাকবি! যা যা চলে যা।” কথাটা বলে খালা অন্যদিকে তাকিয়ে রইলেন। আমি খালার হাতটা ধরে আমার কাছে এনে বসালাম। “রাগ করেছ খালা?” উনি মুখে একটা ভেংচি কেটে বললেন, “না, রাগ করব কেন! আমার আরও ভালো হয়েছে৷ অতিরিক্ত খরচা করা থেকে বেঁচে গেলাম।”

আমি খালার দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিলাম। তারপর সুন্দর করে খালাকে বিষয়টা বুঝিয়ে বললাম। “খালাম্মা, আজকে দুপুরে ঢাকা থেকে আমাদের এলাকায় আমার কিছু বন্ধু আসবে ঘুরতে। এখন তারা যদি আমার এলাকায় এসে আমাকেই না পায় তাহলে রাগ করবে কিনা বলো তো একবার। আমার ইজ্জতটা থাকবে তুমিই বলো।”
অতঃপর অনেক বুঝানোর পর খালাম্মা আমার বুঝে আসলেন।

“আমি একটু আসছি দাঁড়াও।”
“কই যাবি?”
“আসতেছি একটু।”

আমি ঘরের বাইরে এসে বাড়ির পূর্বপাশের পুকুরপাড়ে গেলাম। সেখানে সূচি বসে আছে। আমি আস্তে আস্তে তার থেকে একটু দূরে গিয়ে তাকে ডাক দিলাম।

“বুচি!”

ডাক দিতেই সূচি আমার দিকে ঘুরে তাকাল। তারপর আবার পুকুরের দিকে তাকিয়ে রইল। তারপর আমি আগাতে আগাতে তার পাশে গিয়ে বসে পরলাম। তার পাশে বসার পর সে একবার আমার দিকে তাকাল, তারপর আবার পুকুরের দিকে তাকিয়ে রইল।

“চলে যাচ্ছি আমি।”
“জানি।”
“কীভাবে?” সূচি উদাসীন হয়ে উত্তর দিল, “আপু বলেছে।”
“আবার কবে না কবে দেখা হয় বুচি কে জানে।” সূচি আমার দিকে একটু তাকাল।
“আপনি এবার কিসে পড়েন সূচি?”
“ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে।”
“ভালো মানাবে তাহলে।”
“ভালো মানাবে মানে?”
“বুঝবেন না।” সূচি ভ্রু কুঁচকিয়ে আমার দিকে তাকাল। তারপর বলল,

“কানা।” এবার আমি ভ্রু কুঁচকে সূচির দিকে তাকালাম।
“ওই কানা বললেন কেন?”
“ইচ্ছে হয়েছে তাই বলেছি।” আমি তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। কিছু বললাম না। স্যালোয়ার-কামিজে মেয়েটাকে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছে। একদম অপরূপা, অপ্সরা।

“বাড়ির দিকে যাবেন না এখন?”
“হুম, যাব।”
“তাহলে চলুন।”
“আপনার সাথে কেন যাব শুনি?”

আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে একটা ভেংচি কেটে বললাম, “ইচ্ছে হলে আসুন, নয়তো এখানেই বসে থাকুন।”
কথাটা বলেই আমি বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গেলাম। তারপর বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। সূচি আমার পিছন পিছন আসতে লাগল। বাড়ির সামনে আসতেই দেখি ভাবী সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আমাদের দু’জনকে একসাথে দেখেই তিনি ঠাট্টা করে বলে উঠলেন, “চলে নাকি দেবর?” আমি ভাবীর দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলাম, “কী চলবে?” আমার উত্তর শুনে তিনি পৈশাচিক হাসি শুরু করে দিলেন। এরকম হাসি যেন মাটিতে গড়াগড়ি খাবেন এক্ষুনি। “বেস্ট অব লাক দেবর।” আমি ভাবীর দিকে আড়চোখে তাকিয়ে রইলাম। ভাবী মানুষগুলাই যেন কেমন। সবসময় ঠাট্টা করবেই। তাদের জন্মই হয়েছে শুধু দেবরদের সঙ্গে ঠাট্টা-মশকরা করার জন্য।

আমি রুমে ঢুকে আমার ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে বাইরে বেড়িয়ে এলাম। তারপর সবার থেকে বিদায় নিয়ে লঞ্চে উঠার জন্য ঘাটের দিকে যেতে লাগলাম। ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গেই দেখতে পেলাম পাশে একটা লঞ্চ ভিড়ানো, এখনই ছেড়ে দিবে। আমি তড়িঘড়ি করে দৌড়ে গিয়ে লঞ্চে উঠে গেলাম। আমি উঠার সাথে সাথে লঞ্চ ছেড়ে দিয়েছে। লঞ্চের আওয়াজটা ভীষণভাবে কানে লাগছে। লঞ্চ কিছুক্ষন যাবার পর আমি ঘাটের দিকে একবার ফিরে তাকালাম। ঘাটের একবারে নিচে সূচি দাঁড়িয়ে আছে, আমি স্পষ্টভাবে দেখতে পেলাম। চোখের চশমাটা নাকের ডগা থেকে উপরের দিকে তুলে নিলাম। মেয়েটা হাতে করে কী যেন ইশারা করছে আমায়।

লঞ্চ অতবেশি দূরে যায়নি, হাতের ইশারা লঞ্চে থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। আমি কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বুঝার চেষ্টা করলাম আসলে কী বলতে চাইছে। হুট করেই মেয়েটা তার একটা হাত কানের কাছে নিয়ে গিয়ে কী যেন বুঝাতে চাইল আমায়। আমি একবার মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছি, আরেকবার আকাশের দিকে তাকাচ্ছি। তার পরক্ষণেই আমার মনে হলো, আরে আমি তো মেয়েটার ফোন নাম্বার আনিনি। তাহলে কী সে ফোন নাম্বারের বিষয়টা নিয়ে আমায় ইশারা করছে? আমি মেয়েটার কাছে যেতে চাইলাম। নিচের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম, নিচে শুধুই পানি। আমি তো এখন নদীতে। কীভাবে যাই সেখানে? সামনেও তো কোনো স্টপেজ নেই। লঞ্চ একেবারে শেষ মাথায় গিয়ে থামবে। তাহলে এখন উপায়?

মনে মনে নিজেই নিজেকে দু’চারটা গালাগাল দিলাম। মেয়েটা যে আমায় হাবলা বলেছিল একদম ঠিকই বলেছিল। কাজের সময় কিছুই করতে পারি না। আমি একবার ঘড়ির দিকে তাকালাম। ১০ঃ৪৫ বাজে। শেষ ঘাটে লঞ্চ যেতে সময় লাগবে কম করে হলেও একঘন্টা, তারমানে ওভারঅল ১২ঃ০০ টা বাজবে। না, পরের লঞ্চে আমাকে আবার খালার বাসায় আসতে হবে।

বুচির ফোন নাম্বারটা পাওয়ার জন্য হলেও আমায় আসতে হবে। ভাবীর থেকে চাইব না। উনি মজা নিবেন। তার থেকে বরং আমি নিজেই বাসায় গিয়ে কোনো একটা ছুতো খুঁজে বুচির ফোন নাম্বারটা নিয়ে আসব। আচ্ছা, সূচি নিজেও তো পারত আমার ফোন নাম্বারটা চাইতে। তাহলে কেন চাইল না?? নাহ, ঠিকই আছে। মেয়ে মানুষ; একটু লাজুক প্রকৃতির হবে এটাই স্বভাবিক। আমি নদীর বহমান পানির দিকে তাকিয়ে রইলাম। পানিগুলো বেশ স্বচ্ছ। আমি পানির দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিয়ে মনে মনে ভাবতে লাগলাম, “এই বুঝি সিঙ্গেল লাইফ থেকে মিঙ্গেল হলাম!”

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত