স্বার্থহীন

স্বার্থহীন

তোমার গুলুগুলু ভাবি আছে না? সারাদিন দিন রাত ভাবির সাথে এতো কথা কিসের? দিনেও কথা দুপুরেও কথা। রাতেও কথা বলা লাগে। তাইলে বাসায় আমি কিসের জন্য? আমি আমার বাবার বাসায় চলে আসছি। তুমি তোমার ভাবি কে নিয়ে থাকো।

অতিথি এই কথা বলে কল টা কেটে দিল। অতিথি আমার বউ। ৮ মাস হয়েছে বিয়ে করেছি । আমরা সিলেট শহরে ফ্ল্যাটেভাড়া নিয়ে থাকি। একটা ছোট জব করি। অতিথি যে ভাবির কথা বলল সেটা অস্ট্রেলিয়া ভাইয়ের বউ এর কথা বলল। আমাদের আপন কেউ না। তবে একসাথে তাকতে তাকতে আপন হয়ে গেলাম। ভাবির সাথে কথা বললে এমন কি হয়? কি এমন ক্ষতি হয়? ভাবতে ভাবতে রান্নাঘরে গিয়ে এক কাপ কফি করলাম। ছাদে গিয়ে দেখি ভাবি ভাইয়ের সাথে বিদেশ কথা বললেন। একটু মিটমিট করে হাসেন। আমি নিচে আসতে যাব ভাবি ডাক দিয়ে বলেন ” তামিম চলে যাচ্ছ কেন? পেয়ারা খাবে? ”

পেয়ারা গাছের দিকে তাকিয়ে একটা পেয়ারা পারলাম। ছাদে বড় একটা ট্রামের মধ্যে পেয়ারা গাছ আছে। পেয়ারা খেতে খেতে বললাম ” ভাইয়ের সাথে কথা বলা শেষ বুঝি? ” ভাবি মুখের মধ্যে হাত দিয়ে মিটমিট করে হেসে হেসে বললেন ” তোমার ভাই এমন এমন কথা বলেন হাসতে না পেরে পারি না। দিন দিন অনেক দুষ্ট হয়ে গেছেন। আমাকে বলেন। ” এতটুকু বলতেই আমি বললাম ” শুনার দরকার নাই আপনাদের কথা আপনারা শুনেন। সেটা আমি শুনে কি করব?  তাই বুঝি। শুনতে চাও না। তবে একটা কথা শুনো। আমাকে বলে আমাকে নাকি সে অস্ট্রেলীয়ায় দেখছে। খুব অদ্ভুত কথা না? আমি পেয়ারায় কামড় দিতে দিতে বললাম ” ভাইয়ের মনের মধ্যে তুমি আছো। তাই ভাই তোমাকে তোমাকে সব সময় অন্যের মাঝে দেখতে পান। ”

পকেটে শব্দ হলো। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলাম অতিথি কল দিয়েছে। আমি ধরতেই ভাবি বললেন ” কে কল দিয়েছে? অতিথি শুনে ফেলল । অতিথি নাক টেনে টেনে নাকের পানি ভিতরে নিয়ে বলে ” তোমার মতো দু’ টা লুইচ্ছা নাই। তোমাকে চিনা আমার হয়ে গেছে। তুমি শুধরাইব না। তুমি আমাকে পাঁচ দিনের ভিতরে একদিনও কল দিবে না। তোমাকে বল্ক করে রাখলাম। এক টা টিপ দিয়ে কল টা কেটে দিল। কান টা আমার ফেটে গেল। ভাবির দিকে চেয়ে হাসি দিলাম বুঝতে দেই নি। ভিতরে এসে ঘুমাইতে যাব। দেখি ওষুধ খাওয়া হয় নি। ও বাবা চাবি কোথায়? অতিথি নিয়ে গেছে। কল দিতে যাব। কলটাও ঢুকছে না। ফেইসবুকে ঢুকলাম।

সেখানেও বল্ক করে দিয়েছে। কি অভিমান রে বাবা। কি করব কি করব? ভাবতে ভাবতে মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। আমার একটা শালী আছে। দেখতে একদম মাশাল্লা খুব সুন্দর। কল দিতেই ” ভাই তুমি তো বিপদে না পড়লে কল দেও না। আজ মনে হয় বিপদে পড়ছ। তাই আমাকে মনে করছ। আমাকে বলো কি বিপদে পড়ছ ? ” বললাম ” কি যে বলো না। তোমার মতো সুন্দরি শালি তাকতে আমি বিপদে পড়তে যাব কেন? শুধু একটা কাজ করবে তোমার আপুর মোবাইলে আমার নাম্বার টা বল্ক করা থেকে আনবল্ক করে আসো। ” ” আমি পারব না। পারব না। ” এই কথা বলে চিল্লাচিল্লি শুরু করল। আমি একটু অসহায় কন্ঠ নিয়ে বললাম ” কেউ আমাকে ভালবাসে না। থাক কেউ আর উপকার করতে হবে না। আমি একা মানুষ। ” শালি এইবার একটু কষ্ট বুঝল। তাই বলল ” কাজ করে দিলে কি খাওয়াবে? ” লিপ্সা লাগিয়ে বললাম ” তোমার জন্য তো ফুচকার দোকান টা কিনে দিব। ” এই কথা বলতেই শালি আমার চরম রেগে গেল। রাগি রাগি কন্ঠ নিয়ে বলে ” এই রকম ফুচকার টাকা পকেটে থাকে।

আমি একটু সময় চুপ তাকলাম। মেয়েদের পকেট থাকে কোথায়? আমি বুঝদার বুঝদার কন্ঠ নিয়ে বললাম ” তোমার পকেট কোথায়? ” শালি এবার ধরা খেয়ে গেল। আমাকে ঢং ঢং কন্ঠ নিয়ে বলে ” আমাকে থ্রি – ফিস কিনে দিতে হবে। ” আমি বাঁচার জন্য বললাম ” দোকান কিনে দিব এবার আমার কাজ টা করে দেও। ” শালি কাজ টা করে দিল। আমি দুই মিনিট পর অতিথি কে কল দিলাম। কল দিয়ে বললাম ” অতিথি আমার ওষুধ কোথায়? ” অতিথি ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে বলে ” কে? কোথায় ফোন দিয়েছেন? ” আমি অবাক হয়ে বললাম ” তোমার স্বামী। তামিম। ”

অতিথি অবাক হয়ে বলে ” এই তুমি কল দিলে কিভাবে? তোমাকে তো আমি বল্ক করে দিয়েছিলাম। ” আমি ঢং করে বললাম ” ভালোবাসার দ্বারা কল টা আনবল্ক করে দিলাম। তোমাকে আমি অনেক ভালবাসি। ” অতিথি বলল ” ধ্যাত। ঘোড়ার ডিম। আমার সাথে ফাজলামি করো। একদম বলে দিচ্ছি ফাজলামি করবে না। কি জন্য কল দিয়েছ? ” আমি মিনমিন করে বললাম ” আমার ওষুধ কোথায়? ” অতিথি রাগি কন্ঠ নিয়ে বলে ” ওষুধ খাওয়ার সময় তো ভাবির সাথে কথা বলা লাগে। ওষুধ না খেয়ে ভাবির সাথে কথা বলতে যাও। এখন কিসের ওষুধ খাইবে? চুপচাপ ঘুমিয়ে থাকো। ” মনের কষ্টে এক সেকেন্ডের ভিতর বালিশ চেপে ঘুমিয়ে তাকলাম।

সিঁড়ি দিয়ে নামতে যাব। আবির ভাই ডাক দিয়ে বললেন ” কি তামিম? স্বভাব তো তোমার ভালা না। তোমার বউ কাল বিচার দিল। তুমি নাকি ভাবির সাথে শুধু কথা বলো বিষয় টা কি মিয়া? ” দাঁতে দাঁত লাগিয়ে নিচের দিকে নেমে গেলাম। ভাবির সাথে কথা বললে কি হয় এখনও বুঝতে পারি নি। রিক্সা উঠে অফিসে যাচ্ছি তরুলতা আপু বলেন ” তামিম। তোমার বউ কিন্তু অনেক অভিমান করে তার বাপের বাসায় চলে গেছে। মনে হয় একা একা আসবে না। ” আমি মিনমিন করে একটু মন খুলে হাসলাম। এমন বউ বাবার বাসায় তাকলে স্বামী বেঁচে যাবে। তার মানে আমি বেঁচে যাব। বউ নয়তো রান্নাঘরের ঝালবাড়ি। কথায় কথায় বকা দেয়। অপরিচিত একটা নাম্বার থেকে চার টা মিসকল দেখলাম। আমি আবার কল দিলাম। কল দিতেই অতিথির কন্ঠ শুনতে পেলাম। নাকের পানি উপর দিয়ে টান দিয়ে বলে ” আমাকে নিতে আসলে না কেন? ”

রাগের মাথায় বললাম ” ফোন রাখো। জীবনেও তোমাকে নিয়ে আসব না। আমার মান সম্মান নিয়ে খেলা করো। সবার কাছে বলে গেছো আমি খারাপ। বাসায় যেতে পারি না। মানুষ বিভিন্ন কথাবার্তা বলে আমার কি লজ্জা লাগে না। রাগের কারণে কল টা কেটে দিলাম। একজন চাচিম্মা কে দেখলাম নিজের ছেলে কে মারছেন। আমি বললাম ” চাচিম্মা ছেলে টা কে মারছেন কেন? ” চাচিম্মা ছেলেটা কে গালে থাপ্পড় দিতে দিতে বললেন ” দেখছ মুখের মধ্যে সিগারেটের গন্ধ করে। এতটুকু একটা ছেলে। আবার সিগারেট খায়। ” আমিও তালেতাল মিলিয়ে বললাম ” বেশি করে মারেন। সিগারেট খায়। তার মুখের ভিতরও মারেন। ”

ছেলেটা সাথে সাথে বলে ” অতিথি ভাবি কে দেখিয়ে দেখিয়ে সিগারেট খাইতাম। আমার খুব ভালো লাগত। ইশ! ভাবি টা তোমার জন্য চলে গেল। তুমি মানুষ টা ভালা না মিয়া। ” আমিও সাথে সাথে একটা থাপ্পড় দিলাম। আমার বউ নিয়ে কথা বলে এতো সাহস।দুই দিন পর বাসায় কলিংবেল। আমি দরজা খুলতেই শালি কে দেখতে পেলাম। শালি আমার খুব সুন্দর করে সেঁজে এসেছে। আমি একবার চেয়ে অন্য দিকে তাকালার। দেখলাম অতিথি এসেছে কিনা। অতিথি কে দেখতে পেলাম শালির পিছনের দিক থেকে বের হলো। আমার দিকে না তাকিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে নাক টেনে টেনে রাগে ভিতরে ঢুকল। বাসন পরিষ্কার করতে করতে বলল ” এ বাসায় মানুষ থাকে বলে কোনো পরিচয় পাওয়া যাবে না। সব যেন অলস মানুষ থাকে। বাসা টা একদম ডাস্টবিন করে রেখেছে। মানুষ যে কিভাবে থাকে? ”

আমি কলা খেতে খেতে সব কথা শুনছি। কোনো কথা বলছি না। একদম চুপ হয়ে আছি। এখন থেকে কোনো কথা বলব না। একদম চুপ হয়ে থাকব। আমার যেমন রাগ নেই অভিমান নেই। আমারও অনেক অভিমান আছে। টিভি দেখতে লাগলাম অতিথি পাশে এসে বসল। আমি উঠে গিয়ে রুমে শুয়ে তাকলাম। অতিথি আবার রুমে গিয়ে আমার পাশে বসল। আমি আবার উঠে বাহিরে চলে আসলাম। রাস্তায় একজন মানুষ কে দেখতে পেলাম। খুব অসহায় হয়ে আমার দিকে চেয়ে তাকলেন। আমি কাছে গিয়ে বললাম ” কি চাচা? ” চাচা খুব নিরব কন্ঠ বললেন ” দুই দিন ধরে ভাত খাই নি। আমাকে ভাত খেতে দিবে? ” চাচা কে নিয়ে একটা হোটেলে ঢুকলাম। পেট ভরে খাইলেন। আমি শুধু চেয়ে তাকলাম। মানুষের পাশে সবাই যদি এগিয়ে আসতো তাইলে হয়তো কেউ গরীব তাকতো না। সবাই আমরা শান্তিতে বসবাস করতাম।

অতিথির পাশে দেখলাম ভাবি বসে আছেন। আমি এদের না দেখার ভাণ করে চলে গেলাম। কোনো কথা বললাম না। এদের সাথে কথা বলার ইচ্ছাটাই মরে গেছে। অতিথি ফ্রিজ থেকে এক গ্লাস পানি এনে দিল। আমি পানির গ্লাস টা হাতে না নিয়ে একদম চুপ করে বাহিরে চলে গেলাম। অতিথি কেমন করে অবাক হয়ে তাকিয়ে তাকল। আমি কিছু বললাম না। রাতে শুয়ে আছি। অতিথি আমার পাশে শুয়ে তাকতেই আমি বালিশ নিয়ে সোফায় শুতে গেলাম। অতিথি বলল ” এতো রাগ কেন আমার উপর? ” আমি কি করছি? ” আমি বালিশ টা জড়িয়ে ধরে বললাম ” যাদের বিশ্বাস নাই। তাদের উপর ভরসা করতে নেই। ” অতিথি এবার কান্না করে বলে ” তোমাকে ছাড়া আমি তাকতে পারি না? ” আমি অতিথির দিকে তাকিয়ে বললাম ” তোমাকে ছাড়া আমি তো তাকতে পারি। তুমি তাকতে পারবে অভ্যাস করে নেও। ”

এই কথা বলতেই চোখের কোণে থেকে এক ফুটা পানি পড়ল। তবুও চুপ হয়ে তাকলাম। কোনো কথা বললাম না। অতিথি কে খুব ভালবাসতাম তাই সন্দেহ করে। বাহিরে আসতেই একজন গরীব মানুষ কে দেখলাম একজন ধনী মানুষের দিকে চেয়ে আছেন। সে ব্যক্তি অনেক ধনী মানুষ। আমাদের সিলেটে উনার পাঁচ টা বড় বড় ফ্ল্যাট আছে। কিন্তু কোনো সম্মান নেই। কেউ সম্মান করে না। গরীব মানুষ উনার কাছে বললেন ” বাবা দুই দিন ধরে কিছু খাই না। আমাকে কিছু খেতে দিবে? ” ধনী মানুষটা অহংকারী ভাব নিয়ে বড় বড় চোখ করে বলেন ” টাকা পকেটে নেই তো খেতে চাস কেন? না খেয়ে থাক। ”

আমার এমনিতেই মাথা গরম ছিল। উনার কাছে গিয়ে বললাম ” আপনি মানুষ টা তেমন ভালা না । আগে একটু পছন্দ করতাম। কিন্তু আপনাকে তুই করে বলতে ইচ্ছা করে। আপনি কয় টাকার মালিক হয়েছেন? আপনি পারবেন রাশিয়ার মধ্যে বাসা বানাতে? পারবেন না। তাইলে এতো অহংকার কিসের? আপনার থেকে বড় বড় বেয়াদব কে আল্লাহ্ শাস্তি দিয়েছেন। আপনাকেও দিবেন অপেক্ষা করেন। ইতিহাস পড়েন। বড় বড় বেয়াদবের ইতিহাস পড়েন। দেখবেন তাদের মৃত্যু হয়েছে কিভাবে? তারা আজ কেউ নাই।

আপনি এই শহরের ধনী হতে পারেন। ঢাকার ধনী না। রাশিয়ার ধনী না। তারা কেউ বাঁচবে না। মানুষ কে ভালবাসতে শিখেন। আল্লাহ্ আপনাকেও ভালবাসবেন। আপনি যতই সম্পত্তির গর্ব দেখান এগুলা আপনার সম্পত্তি না। এগুলা সম্পত্তি আল্লাহ্। মরার পর এগুলা সাথে করে নিয়ে যেতে পারবেন? পারবেন না। আমার বেয়াদবি হলে মাফ করবেন। ” এই কথা গুলা বলে চলে আসলাম। একটা হোটেলে ঢুকে দু’জন মিলে খাইলাম। উনি পেট ভরে খাইলেন। আমার জন্য দোয়াও করলেন। আমি খুব খুশি। অতিথি পাশে এসে বসল। আমি উঠে যেতে চাইলাম। অতিথি হাত ধরে বলে ” কি হয়েছে? তুমি আমাকে শাস্তি দিচ্ছ কেন? ” আমি অন্য দিকে অভিমানী মুখ করে বললাম ” এমনি। হাত ছাড়ো । ”

অতিথি খুব শক্ত করে হাত টা ধরল। হাতে আংটি ছিল আমার হাতে দাগ পড়ে গেছে। আমি বললাম ” আমি এমন ছেলে না। তুমি আমাকে খারাপ ছেলে ভাবো কিন্তু আমি জানি আমি খারাপ ছেলে না। তুমি আমাকে সন্দেহ করো ঠিক আছে তাই বলে ফ্ল্যাটের সবার কাছে বলে দিয়েছ আমি খারাপ মানুষ। আমি তোমার স্বামী। আমি খারাপ ছেলে না তবুও তুমি আমাকে খারাপ বানালে সবার কাছে। আমার বউ হয়ে এটা তুমি করতে পারলে। আমি তো তোমার স্বামী হই নাকি। ভাবির সাথে আমি কথা বলতাম। কথা বললে কি একজন মানুষ খারাপ হয়ে যায়? ভাবি কে আমি সম্মান করি। উনি আমার থেকে ৭ বছরের বড়। তুমি রাগ করে চলে গেলে। কিন্তু কিসের জন্য সেটা একবার বলো? ”
অতিথি কান্না করে বলে ” আমি বলতে পারব না। আমার ভুল হয়েছে। আমাকে মাফ করে দেও। ”

অন্য দিকে অভিমানী কন্ঠ নিয়ে বললাম ” থাক। একজন মানুষ আমাকে ছাড়া ভালো আছে । এতেই ভালো। আমি সেই মানুষের জীবনের মাঝে গিয়ে বিরক্ত করে লাভ নেই। আমি একা একা থাকা ঐ ভালো। ” অতিথি কাপড় দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বলল ” এবার কিন্তু আমি সত্যি সত্যি কান্না করে দিব। আমার সাথে কথা না বললে আমি কিছু খাব না। ” আমি বললাম ” সত্যি খাবে না ” অতিথি আমার দিকে চেয়ে বলে ” বললাম তো খাবো না। ” আমি ঠোঁট টা বাঁকা করে বললাম ” ভালবাসলে খাবে তো? ” অতিথি এবার অভিমান করে তাকতে পারে নি আমার বুকে এসে পড়ল।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত