জারুল চৌধুরীর মানিক জোড়: ১২. গ্রীন মেডিকেল ক্লিনিক

জারুল চৌধুরীর মানিক জোড়: ১২. গ্রীন মেডিকেল ক্লিনিক

১২. গ্রীন মেডিকেল ক্লিনিক

আমার যখন গ্রীন মেডিকেল ক্লিনিকের বাইরে এসে দাঁড়িয়েছি তখন টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। অন্ধকার হয়ে এসেছে, রাস্তাঘাটে মানুষ বেশি নেই। আমরা দোতালা দালানটার দিকে তাকালাম, উপরে দুটি ঘরে বাতি জ্বলছে, এ ছাড়া পুরো ক্লিনিকটা অন্ধকার। সামনে বড় গেটটা বন্ধ, আমরা তবু সাবধানে একটু ধাক্কা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখলাম। হেঁটে হেঁটে আমরা ক্লিনিকের পিছনে গেলাম, সেটাও দেওয়াল দিয়ে ঘেরা। পিছনেও একটা ছোট কাঠের গেট, সেই গেটটাও বন্ধ। আমরা দেওয়ালের উপর দিয়ে ভিতরে তাকালাম। কোন মানুষজন নেই, দেখে মনে হয় এখানে কোন মানুষজন থাকে না। আমি গলা নামিয়ে বললাম, ভিতরে ঢুকতে হবে আমাদের।

কেমন করে ঢুকবি?

দেওয়াল টপকে।

যদি ধরা পড়ে যাই?

কার কাছে ধরা পড়বি? কাউকে তো দেখি না।

তা ঠিক।

এদিক সেদিক তাকিয়ে আমার দুইজন সাবধানে দেওয়াল বেয়ে উঠে ভিতরে লাফিয়ে পড়লাম। তাড়াহুড়ো করে ঢুকতে গিয়ে পেটের খানিকটা ছাল উঠে গেল কিন্তু এখন সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। চোর যখন কোথাও চুরি করতে আসে, প্রথমেই নাকি পালিয়ে যাওয়ার রাস্তাটা ঠিক করে নেয়। আমরাও আজকে চোরের মতই ঢুকেছি, পালিয়ে যাওয়ার রাস্তা ঠিক করতে গিয়ে দেখি, কাঠের ছোট গেটটাতে একটা ছোট তালা লাগানো। দৌড়ে যদি পালাতে হয় কাজটা খুব সহজ হবে না। আপাততঃ চিন্তাটা মাথা থেকে সরিয়ে দিলাম, এখন খামাখা এটা নিয়ে চিন্তা করে কি লাভ?

আমরা খুব সাবধানে গুঁড়ি মেরে দোতলা বাসাটার কাছে এলাম। পেছনে একটা দরজা, আস্তে করে ধাক্কা দিয়ে দেখি ভিতর থেকে বন্ধ। সামনেও একটা দরজা, সেটাও নিশ্চয়ই বন্ধ। আমরা তবু সাবধানে পরীক্ষা করে দেখলাম। আমরা উপরের দিকে তাকালাম, উপরে কয়েকটা জানালা রয়েছে কিন্তু প্রত্যেকটা জানালাতেই লোহার শিক লাগানো। পানির পাইপ বেয়ে একটা কার্নিশে ওঠা যায় কিন্তু সেখান থেকে অন্য কোথাও যাবার সহজ কোন উপায় নেই। আমরা দুজন দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি থেকে নিজেদের বাচিয়ে নানা রকম পরিকল্পনা করতে থাকি। অনেক ভেবে চিন্তে যে পরিকল্পনাটা দাঁড়া করালাম সেটা ভয়ংকর বিপজ্জনক, কিন্তু মনে হল এটা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। দুজনে মিলে পরিকল্পনাটা বেশ কয়েকবার যাচাই করে দেখলাম। যদি কোন গোলমাল হয়ে যায় তখন কি করতে হবে সেটাও মোটামুটি ঠিক করে নেয়া হল। পরিকল্পনায় একজন দরজাটা খোলার ব্যবস্থা করাবে, অন্যজন গোপনে ভিতরে ঢুকে যাবে। যে দরজাটা খোলার ব্যবস্থা করবে তার ছোটাছুটি করতে হবে বলে সেটা সলীলকে দেয়া হল। শিং মাছের ঘাই খেয়ে এখনো বুড়ো আঙুলটা টন টন করছে, যদি টানা হ্যাঁচড়া করে দেওয়াল বেয়ে উঠতে হয়, সলীল সেটা আমার থেকে ভাল করতে পারবে।

আমি দরজার কাছাকাছি একটা ঝোঁপের নিচে লুকিয়ে গেলাম। সলীল বড় বড় কয়টা ঢেলা নিয়ে কাঠের গেটটার উপরে পা ঝুলিয়ে বসে, একটা দরজায় ছুঁড়ে মারল। বেশ শব্দ করেই। সাথে সাথে ভিতর থেকে নাওয়াজ খানের ড্রাইভারের গলা শুনতে পেলাম, চিৎকার দিয়ে বলল, কে?

সলীল গেটের উপরে বসে বলল, আমি।

আমি কে? ‘

সলীল উত্তর না দিয়ে আরেকটা ঢিল ছুঁড়ে মারল দরজায়।

ওসমান সাথে সাথে দরজা খুলে মাথা বের করে ধমক দিয়ে বলল, কে দরজায় শব্দ করছে? কে?

বাইরে অন্ধকার নেমে এসেছে, তার উপর টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। সলীল যে। গেটের উপরে বাস আছে ভাল করে দেখা যাচ্ছে না। সে গেটের উপর থেকে চিৎকার করে বলল, আমি! এই যে আমি! এইখানে।

ওসমান যতটুকু রেগে উঠল মনে হল তার থেকেও বেশি অবাক হল। দরজা খুলে বাইরে এসে বলল, পাজী ছেলে! দরজায় ঢিল ছুঁড়ছ কেন?

সলীল গেটের উপর থেকে বলল, হাতের ব্যায়াম করছি। ঢিল ছোঁড়া হাতের খুব ভাল ব্যায়াম, জানেন তো।

কি বললি? কি বলছিস তুই বদমাইশ?

তুই তোকারি করছেন কেন? আমি কি আপনার চাদীতে ঢিল মেরেছি? হ্যাঁ? ওসমান কয়েক পা এগিয়ে গিয়ে বলল, ভাগ এখান থেকে। ভাগ।

সলীল একটা ঢিল হাতে নিয়ে বলল, আপনার কি মনে হয়, এখান থেকে ঢিল ছুঁড়ে কি দোতলার জানালার কাঁচটা ভাঙতে পারব?

কি? কি বললি?

মনে হয় পারব। এই দেখেন-ওসমান কিছু বলার আগেই জানালার দিকে একটা বড় ঢিল ছুঁড়ে দেয়। অল্পের জন্যে সেটা কাঁচে না লেগে কার্নিশে লেগে টুকরো টুকরো হয়ে গেল।

ওসমান নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারল না। সলীল তখন আরেকটা ঢিল হাতে নিয়েছে, সেটা জানালার দিকে নিশানা করে বলল, এইটা নিশ্চয়ই পারব! ওয়ান টু–

সলীল ঢিলটা ছোঁড়ার আগেই ওসমান রেগে আগুন হয়ে গেটের দিকে ছুটে যেতে থাকে। আমি ঠিক এই সুযোগের জন্যে অপেক্ষা করছিলাম, খোলা দরজা দিয়ে হুট করে ভিতরে ঢুকে গেলাম। এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখি একটা ছোট টেবিল। টেবিলক্লথ দিয়ে ঢাকা। আমি দৌড়ে সেই টেবিলের নিচে লুকিয়ে গেলাম।

বাইরে কি হচ্ছে বুঝতে পারছিলাম না। সলীল নিশ্চয়ই লাফিয়ে গেট থেকে নেমে যাবে, তাকে কখনোই ধরতে পারবে না। যতক্ষণ পারা যার ওসমানকে বাইরে ব্যস্ত রাখার কথা। মনে হয় সলীল সেটাই চেষ্টা করছে। সলীল কিছু একটা বলছে এবং ওসমান প্রচণ্ড গালি-গালাজ করছে শুনতে পেলাম। পরিকল্পনার প্রথম অংশটা মনে হয় ভালভাবেই কাজ করেছে।

আমি টেবিলের নিচে নিঃশ্বাস বন্ধ করে বসে আছি এর মাঝে একটু পরে শুনতে পেলাম ওসমান ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করল, তারপর গজগজ করে কি একটা বলতে বলতে উপরে উঠে গেল। উপর থেকে ভারি গলায় নাওয়াজ খান জিজ্ঞেস করলেন, কি হয়েছে ওসমান?

আর বলবেন না স্যার! এক বদমাইশ ছেলে খামাখা গেটের উপরে বসে ঢিল ছুঁড়ছে!

হুমম। নাওয়াজ খান অবাক হয়ে বলল, কেন? ঢিল ছুঁড়ছে কেন?

বদমাইশী স্যার। পোলাপান যে কি বদমাইশ হয় আপনি জানেন না স্যার।

জানি। আমি জানি। কিন্তু এইটা কি বদমাইশী না অন্য কিছু?

অন্য কিছু কি?

নাওয়াজ খান ভারি গলায় বললেন, কোন কিছু সন্দেহ করছে না তো কেউ?

কি সন্দেহ করবে স্যার?

আমাদের কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের প্রজেক্ট?

আরে না স্যার! আপনি কি বলছেন! কোনদিনও না।

হঠাৎ করে পুরো ব্যাপারটা আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়। সাথে সাথে প্রচণ্ড আতংকে আমাদের সারা শরীর কাঁটা দিয়ে উঠে। আমরা যেটা সন্দেহ করেছি সেটা সত্যি!

গরিব বাচ্চাদের নিয়ে নাওয়াজ খান কি করছে বুঝতে পারিনি, এখন বুঝতে পারলাম। তাদের মেরে শরীর থেকে কিডনিটা কেটে নেয়। অসুখ-বিসুখে মানুষের কিডনি নষ্ট হয়ে যায়, তখন অন্যের কিডনি লাগানো যায়। গরিব বাচ্চাদের কিডনি কেটে নিয়ে এরা বিক্রি করে। কি সর্বনাশা ব্যাপার! রশীদকে নিশ্চয়ই এভাবে মেরেছে। জয়নালকেও এভাবে মারবে। নাকি এর মাঝে মেরে ফেলেছে! এক ভয়ংকর ভয়ে আবার আমার সারা শরীর কেঁপে উঠে।

আমি খুব সাবধানে টেবিলের নিচে থেকে বের হয়ে পিছনের দরজাটি খুলে দিলাম। সলীলের একটু পরে ভিতরে এসে ঢোকার কথা। ভিতরে একজন না হয়ে দুজন হলে অনেক সুবিধে। আমি একবার ভাবলাম, যেটুকু জানবার জেনে গেছি, এখন বের হয়ে যাই, কিন্তু জয়নালের কথা মনে পড়ল। বেচারা কি অবস্থায় আছে না জেনে কেমন করে যাই? সলীলের জন্যে অপেক্ষা না করে আমি খুব সাবধানে নিচের তলাটি ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। অন্ধকার ঘর, খুব স্পষ্ট কিছু দেখা যায় না, কিন্তু মনে হল দেখার মত বিশেষ কিছু নেই। সোফা, চেয়ার টেবিল, শেলফ এই ধরনের জিনিসপত্রই বেশি। জয়নালের কোন চিহ্ন নেই। তাকে মনে হয় দোতলাতে আটকে রেখেছে।

যখন শুনলাম উপরে দুইজন আবার কথা বলতে শুরু করেছে, আমি তখন খুব। সাবধানে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে গেলাম। উপরে অনেকগুলি ঘর, যেই ঘরে নাওয়াজ খান ওসমানের সাথে কথা বলছে খুব সাবধানে সেই ঘরটা এড়িয়ে আমি অন্য ঘরগুলিতে উঁকি দিতে থাকি। প্রথম দুটি ঘরে অনেকগুলি বিছানা সাজানো, হাসপাতালে যেরকম। থাকে। তিন নম্বর ঘরটা অন্ধকার মনে হল। ভিতরে নানারকম ডাক্তারি যন্ত্রপাতি। চার নম্বর ঘরটার দরজা বন্ধ, জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখি, ভিতরে আবছা অন্ধকার। মনে। হল একটা বিছানা কিন্তু বিছানাটি খালি, সেখানে কেউ নেই। আমি পরের ঘরটি দেখার জন্যে সরে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ মনে হল মেঝেতে কেউ যেন শুয়ে আছে। ভাল করে তাকিয়ে দেখি, সত্যি তাই। আবছা অন্ধকার, ভাল করে দেখা যায় না, কিন্তু মানুষটি। ছোট, নিশ্চয়ই জয়নাল হবে। মরে গেছে কিনা বুঝতে পারছিলাম না, তাই অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলাম। মনে হল এক সময় একটু নড়ে উঠল, তার মানে এখনো বেঁচে আছে। ভাল করে দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু মনে হল হাত দুটি পিছনে বাধা, মুখটিও কাপড় দিয়ে আটকানো, যেন কোন রকম শব্দ করতে না পারে। বেচারা জয়নাল! না জানি কতক্ষণ থেকে তাকে এভাবে বেঁধে ফেলে রেখেছে।

আমি সাবধানে উঠতে যাচ্ছিলাম, ঠিক তখন কে যেন আমার ঘাড়ে হাত রাখল। আমি চমকে উঠলাম, ভয়ে প্রায় চিৎকার করে উঠছিলাম, অনেক কষ্টে নিজেকে শান্ত করে মাথা ঘুরিয়ে দেখি, সলীল। আমি বুকে হাত দিয়ে ফিসফিস করে বললাম, সলীল তুই!

হ্যাঁ। সলীল গলা নামিয়ে বলল, জয়নালকে পেয়েছিস?

হ্যাঁ। ঐ দেখ।

সলীল জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে খানিকক্ষণ দেখে বলল, বেঁধে রেখেছে?

হ্যাঁ। মুখও বাঁধা।

কি সর্বনাশ! এখন কি করবি?

বাইরে গিয়ে খবর দিতে হবে। এরা বাচ্চাদের কিডনি, কেটে বিক্রি করে।

তুই কেমন করে জানিস?

আমি এদের কথা বলতে শুনেছি।

সর্বনাশ!

হ্যাঁ। চল যাই এখন।

আমাদের কথা যদি কেউ বিশ্বাস না করে?

আমার এই কথাটা আগে মনে হয়নি, সত্যি তো, আমরা বাইরে গিয়ে কাকে বলব? পুলিশকে? পুলিশ যদি আমাদের ধমক দিয়ে বের করে দেয় তখন? ততক্ষণে। যদি জয়নালকে মেরে ফেলে?

সলীল ফিসফিস করে বলল, জয়নালকে ছুটিয়ে নিতে হবে। তারপর এক সাথে তিনজন পালাব।

হ্যাঁ। আমি মাথা নাড়লাম। জয়নালকে নিয়ে পালাতে হবে।

আমি ভিতরে যাই, তুই বাইরে থাক।

উঁহু! আমি মাথা নাড়লাম, জয়নাল তোকে চিনে না, গোলমাল করতে পারে। আমি যাই।

একটু ভেবে সলীল রাজি হল। বলল, ঠিক আছে, তুই যা। সাবধানে।

সলীল সেখানে দাঁড়িয়ে রইল, আমি পা টিপে টিপে এগিয়ে গেলাম। ভারি একটা দরজা, তার মাঝে শক্ত লোহার ছিটকিনি লাগানো। আমি খুব সাবধানে কোন শব্দ না। করে সেই ছিটকিনি খোলার চেষ্টা করলাম, তবু খুট করে একটা শব্দ হয়ে গেল। আমি ভয়ে একেবারে সিঁটিয়ে গেলাম, কিন্তু কপাল ভাল, নাওয়াজ খান বা ওসমান ঘর থেকে বের হল না। আমি শেষ পর্যন্ত ছিটকিনিটা খুলতে পারলাম। খুব সাবধানে দরজা খুলে। ভিতরে ঢুকতেই জয়নাল ভয় পেয়ে হঠাৎ গোঁ গো শব্দ করে হাত পা ছুঁড়ে ছটফট করে উঠল।

আমি ছুটে জয়নালের কাছে গিয়ে কানের কাছে ফিসফিস করে বললাম, চুপ জয়নাল! শব্দ করিস না। আমি মুনীর।

জয়নাল সাথে সাথে চুপ করে যায় কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। আমি শুনতে পেলাম পাশের ঘর থেকে ওসমান আর নাওয়াজ খান ছুটে বের হয়ে আসছে। বাইরে একটা আলো জ্বলে উঠল, সাথে সাথে সলীলের পায়ের শব্দ শুনতে পেলাম। দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। নাওয়াজ খান আর ওসমান ”ধর ধর” চিৎকার করে তার পিছু পিছু ছুটতে থাকে। আমি কি করব বুঝতে না পেরে তাড়াতাড়ি বিছানার নিচে লুকিয়ে গেলাম।

সলীল পালিয়ে যেতে পেরেছে কিনা জানি না, দুই দুইজন বড় মানুষের সাথে কি সে দৌড়ে পারবে? পিছনের গেটটা খোলা থাকলে তবু একটা কথা ছিল। আমি প্রাণপণে খোদাকে ডাকতে থাকি–হে খোদা! সলীল যেন পালিয়ে যেতে পারে। তাকে যেন বদমাইশগুলি ধরতে না পারে। কিছুতেই যেন ধরতে না পারে–

একটু পরেই বুঝতে পারলাম, খোদা আমার দোয়া শুনেনি। আমি ওসমানের গলা শুনতে পেলাম, চাপা স্বরে বলছে, বদমাইশ ছেলে, এইবার আমি তোকে পেয়েছি, দেখ তোর আমি কি অবস্থা করি।

আমি সলীলের গলার স্বর শুনতে পারলাম, ছেড়ে দাও আমাকে, খবরদার।

প্রচণ্ড আংতকে আমার সারা শরীর কেমন যেন অবশ হয়ে আসে। হে খোদা, এটা তুমি কি করলে? এখন কি হবে?

আগের পর্ব :
০১. আমার বাবা
০২. সলীল
০৩. সাহেব বাড়ি
০৪. জয়নাল
০৫. গাছঘর
০৬. নাওয়াজ খান
০৭. আহসান এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড
০৮. ওষুধ ফ্যাক্টরি
০৯. খুন
১০. বিস্ফোরণ
১১. একা একা
পরের পর্ব :
১৩. মুখোমুখি
১৪. পুলিশ
১৫. শেষ কথা

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত