২৬. নারী খাদকেরা
(কাজের মেয়ে, সাধুসন্ত ও পীর ফকির)
ক. নরখাদক নয়। নারীখাদক। পুরুষ, যারা অনেকেই নারীদেহ থেকে নিজেকে আলাদা করে ভাবতে চায় না। পারেও না। কোনও না কোনওভাবে নারীদেহ তাকে উপভোগ করতেই হবে। তা সে যে-কোনও বয়সী হোক না কেন। মেয়ে। থেকে মায়ের বিভিন্ন বয়সী নারীদেহের প্রতি পুরুষের বিভিন্ন ধরনের বিকার থাকে। ছোটবেলায় মেয়েদের শরীরে পুরুষের এই বিকারের বিচরণ এত দেখেছি যে, তার সামান্য ক’টির উল্লেখই যথেষ্ট হবে বলে মনে হয়। এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া কঠিন, যে বাড়ির পুরুষ কাজের মেয়ের মশারির তলায়, ঢোকেনি! ক’জন। পুরুষ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে যে তারা কোনও না কোনও অজুহাতে, কাজের মেয়ের শরীর ছোঁয়নি! এমনকি নাবালিকার স্তনের কুঁড়ি আর সদ্য ফোঁটা প্রত্যঙ্গে জননেন্দ্রিয় ছলে-বলে-কৌশলে একবারও তার হাত ছোঁয়ানোর চেষ্টা করেনি এমন পুরুষ ক’জন আছেন বলা কঠিন! আমার বিশ্বাস, সংখ্যায় তারা নিতান্তই অঙ্গুলিমেয়।
একাধিক পুরুষের খবর জানতাম যারা একই বাড়িতে মা-মেয়ে দুজনকেই ভোগ করেছে। দেহ না দিলে ওদের চাকরি যাবে। কাজের মেয়েরা যারা অকাল বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তা কিংবা যৌনজীবনে অতৃপ্ত, তাদের অনেকেই স্বেচ্ছায় না হলেও পেটের তাগিদে তাদের প্রভুদের সঙ্গে গোপন জীবনযাপনে অংশ নেননি এর সংখ্যা নিরূপণ করা বেশ কঠিন। আর যারা বাধ্য হয়ে দেহদানের মতো কুকর্মে লিপ্ত হয় তাদের বেশির ভাগই দুর্বলচিত্ত, অভাবী কিংবা বিপদগ্রস্ত নারী। ওরা জীবন সংগ্রামে অর্থের প্রয়োজনে অনন্যোপায়। তবে অধিকাংশই জোর-জবরদস্তি, লুকিয়ে-চুরিয়ে, গোপনে, আড়ালে-আবডালে বাড়ির কর্তা ব্যক্তিদের হাতে নাবালিকা ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধে অপরাধী। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা প্রতিপত্তির জোরে কখনওই বাইরে জানাজানি হয় না।
ছোটবেলায় আমার সমবয়সী কাজের মেয়ে যাদের নাম ছিল আকলি-রেনু-বুড়ি লতা ওদের মুখেও শুনেছি শহরের ছোটলোক-বড়লোক, একই বাড়িতে বাবা ছেলেদের মতো নষ্ট পুরুষদের গল্প। একই বাড়িতে কিংবা একই ঘরে মালিক, মালিকের ছেলে, কর্মচারী, প্রতিবেশী, অতিথি যে যেভাবে পারছে, করছে। ওদের সকলেরই চাহিদা তো স্রেফ একটি নারীর দেহপিণ্ড! ঘরে বৌ থাকলেও যা, নাথাকলেও একই রকম। আর বছরের পর বছর বা আজীবন, গ্রামে বৌ রেখে শহরে কাজ করতে এলে তো কথাই নেই। ওরা তো অতি সঙ্গত কারণেই যাবে। এটাই পুরুষের ধর্ম। ওদের নারীরাও জানে যে, এটাই সক্ষম পুরুষালির বড় পরিচয়। এবং এসব কাজের জন্যে বাড়ির নিরীহ কাজের মেয়েটিই সবচেয়ে সুলভ এবং নিরাপদ হিসেবে গণ্য হয়। উপরন্তু তুলনামূলকভাবে সস্তাও বটে। মা না হলে, মেয়ে। মেয়ে না হলে মা। অদল-বদলের একটা আলাদা স্বাদ। কচি-বুড়ো সবরকমের।
গ্রামের সুবিধে অতিরিক্ত। সেখানে রয়েছে ঝোঁপ-ঝাড়, পাটক্ষেত, গাছের আড়াল। রয়েছে অন্ধকার সঙ্গে নির্জনতা। কাজের শেষে সবাই ঘুমোতে গেলে ওরা যে যার সুবিধেমতো বেরিয়ে আসে। পা টিপে টিপে গীতার বাবা ঢেকে রেনুর মায়ের মশারির ভেতরে। রেনুর মা সব কাজশেষে নারকেল তেলের কৌটো নিয়ে অপেক্ষা করে বসে থাকে। শুষ্ক যোনিতে পুরুষাঙ্গটিকে তেল না খাওয়ালে কষ্ট হয়। কিংবা রেনুর মা যখন গভীর ঘুমে। মাত্র নতুন কাজে এসেছে। আর গীতার বাবা পা টিপে টিপে এসেই রেনুর মায়ের মশারি তুলে বলছে, চোপ, একটা কথাও কইবা না। কইলেই …, বলে বিশ টাকার নোটটি হাতে গুঁজে দিয়েই, স্তনে মুখ গুঁজে দেয়। আর রেনুর মাও স্বতশ্চল হয়ে যান্ত্রিকভাবে দু’পা বিযুক্ত করে দেয়। আর পুরুষটি প্রবিষ্ট হয় যোনিতে। রেনুর মা জানে কখন কি তার করণীয়। অবস্থা বুঝে। কারণ এই জীবন তার অজানা নয়।
প্রধানত অসহায়, গরিব, অশিক্ষিত বাপ-মায়ের মেয়েরাই পুরুষের এই নিষ্ঠুরতার শিকার। গ্রামে, শহরে, রাজধানীতে। পুরুষগুলোর নিরাপত্তা এই যে ওরা সহজেই নিজেকে গুটিয়ে নিতে পারে। বিছানা ছাড়া মাত্রই ওদের আর ধরা যায় না। ওদের অপকর্মের তাৎক্ষণিক কোনও চিহ্ন থাকে না। পেট ফোলাফুলির ব্যাপারটাও নেই ওদের। ওটা শুধু মেয়েদেরই। অনেক বাড়িতেই দেখা যায় কাজের মেয়েটা, বলা নেই কওয়া নেই তিন মাসের পোয়াতি। সে শুয়ে থাকে আর ওয়াক ওয়াক করে। জানাজানি হওয়ার আগেই স্বয়ং মালিকের আত্মঘাতী পরনির্ভরশীল, স্বার্থপর স্ত্রী নিজেই বাচ্চা নষ্ট করার ব্যবস্থা করে দেয় স্বামীর দুর্নাম ঘোচাতে। কেননা পরনির্ভরশীল নারী, স্বামীর অর্থনৈতিক শক্তির কাছে শৃঙ্খলিত নির্বোধ প্রাণীর মতো। দিনকে ওরা রাত করে দেয়, রাতকে দিন বানাতেও ওদের জুড়ি নেই। কখনো কখনো এধরনের অনেক পোয়াতির অকাল মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশও হয় না। হলেও তা ভূতের আছর হিসেবেই প্রচারিত হয়। সঙ্কীর্ণ পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্থার মাহাত্ম এরকমই।
মধ্যবয়সী কর্তার এই বিলাসিতার বিষয়টি প্রথমে জানে বাড়ির গিন্নিমা। পরে পাশের বাড়ি। তারপরে পাড়াসুদ্ধ। সবশেষে আস্ত গাঁয়ের লোক। তবে অনেক সময় অনেক মুখরা স্বভাবের কাজের মেয়েগুলোকে বাগে আনা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। কাজ থেকে অব্যাহতি পেলে তারা নিজেরাই এধরনের কুৎসা রটিয়ে মালিকপক্ষকে বিপাকে ফেলতে সচেষ্ট হয়। মধ্য বয়সী পুরুষদের এরকম সঙ্কটময় যৌনজীবনের বিড়ম্বনা নতুন কোনও ঘটনা নয়। এসব কুকীর্তির সংবাদ বেশিদিন চাপাও থাকে না।
একা এবং সুযোগ পেলেই নাগালের মেয়েগুলোর স্তন টেপাটেপি করতে যেন আর তর সয় না কামার্ত পুরুষগুলোর। তা সে দুই বছরই হোক ষোল বছরই হোক। আদর করার নাম করে ঘরের দরজা বন্ধ করে কোলে বসিয়ে নিয়ে নিজেদের পুরুষাঙ্গটি ঘষতে থাকে অপ্রাপ্ত বয়সীর যোনিদেশে। মেয়ের বয়সী শিশুটির হাফ প্যান্টের ফাঁকে পুরুষাঙ্গ ঢুকিয়ে কতই না রক্ত ঝরায়! অসহায় শিশুটির কিছুই বলার থাকে না; অনভ্যস্ত ব্যথায় চোখের জল ঝরানো ছাড়া। শিশুটির ফুলে ওঠা রক্তাক্ত, বিক্ষত যৌনাঙ্গ মায়ের চোখ এড়িয়ে যায়। সুযোগ পেলেই আদর করার ছলে, চাচা, মামা, নানা, অমুক ভাই ওরা মেয়েদের টেনে নিয়ে যায় একলা ঘরে। ছোটবেলার কত অভিজ্ঞতা। ক’টা বলবো? মনে পড়ে বুলবুলির মায়ের কথা। অকাল বিধবা। মাথাভর্তি কালো চুল। গড়িয়ে পড়া যৌবন। সাদা ধুতির নিচে পরিপুষ্ট স্বাস্থ্যের বর্তুল স্ফীতি হাঁটার সময় জোয়ারের জলের মতো দু’পাশে ডাইনে-বাঁয়ে দোলে। সুযোগ পেলে বুলবুলির মা নিজেই দালানের পেছনে যেত বাড়ির মালিকের সঙ্গে। আর বুলবুলি যেত কর্মচারী ছোঁড়ার সঙ্গে পায়খানায় প্রায় প্রতিদিনই। যথানিয়মে একদিন বুলবুলির মায়ের পেট ফুলে ওঠে। জানতে পেরে মালিকের বৌ তাকে নিয়ে যায় কবিরাজের কাছে। বুলবুলিরও পেট ফোলে। যায় পীর-ফকিরের কাছে। এ-রকম এক গোলমেলে পরিস্থিতিতে বুলবুলির মায়ের মৃত্যু সংবাদ কোনও সংবাদই হলো না। আপদ গ্যাছে। মা নেই তাই মেয়ের কথা কে বলবে! বুলবুলির পেট হলে তের বছরের বুলবুলি, মেয়ের মা হয়। জীবন সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে যোব বছর বয়সে বুলবুলি, পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো এবং সহজ কাজ খুঁজে পেতে বেশ্যা খাতায় নাম লেখায়।
খ. গ্রামের ফকিরগুলোকে কাজ দিতে চাইলে ওরা কিছুতেই রাজি হয় না। যদি বলা হয়, ‘জোয়ান বেডি কাম কর না কিল্লাই!’ বিরক্ত হয়ে মুখটা ঘুরিয়ে ভিক্ষের অপেক্ষা না করেই চলে যায়। দিনের বেলায় এদিক-ওদিক ঘুরে ফিরে। ভিক্ষে করাটাই ওরা স্বাধীন পেশা হিসেবে সম্মানজনক মনে করে। আর রাত্রিবেলায় শহরের এর-ওর হাত ধরে চলে যায় অন্ধকারে। কেউ চালার তলে। কেউ গাঙিনার পারে, কেউ পরিত্যক্ত জমিদার বাড়ির বিশাল দেয়ালের ওপারে। গ্রামে এগুলো কোনও ব্যাপারই নয়।
‘ভাত জোটে না। আবার পেড হইছে! ক্যান হইছে! আগে মনে থাকে না? ক এইডার বাপ কেডা।’ বিলকিস উত্তর দেয় না। ওর মুখ-চোখ ভাঙা। পেটটা মাটির দিকে ঝুলছে। মনে হয় এক্ষুণি প্রসব হয়ে যাবে। ভাত নিয়ে সে চলে যায়। এক সপ্তাহ পর ফিরে আসে বাচ্চা কোলে নিয়ে। আমরা উৎসুক হয়ে বাচ্চা দেখি। কাপড় দিই। দুধ দিই। দুধ না থাকলে কেনার পয়সা দিই। দিই আর অবাক হয়ে দেখি। দেখি শহরের অনেক ভিখিরির কোলের বাচ্চাগুলো যতই বড় হয় ওদের চেহারাগুলো ততই ধীরে ধীরে মনে হয় দীনু কাকা, নান্টু, বিন্দু, মিজান, মিন্টু ওদের মতো হয়। মকবুল যতই বড় হয় ততই ওর নাক-চোখ-ঠোঁট হয় চেয়ারম্যানের মতো। বিলু যতই বড় হয় দেখতে হয় আমার আপন কাকার মতো; অবিকল একই চেহারার।
ফকিরনিকে ধমকে জিজ্ঞেস করি। বলি, কাউরে কমু না। সে আমার কথার কোনও উত্তর দেয় না। শুধু বিস্মিত চোখ অন্যদিকে ফিরিয়ে রাগ রাগ চেহারা করে তাকিয়ে থাকে। থেকে বলে, ভাত দিলে দ্যান। খালি খালি, এতো কথা জিগান ক্যান …।
গ. একবার আমাদের গ্রামে এক সাধু আস্তানা গাড়লেন। এসেছেন তিনি পাবনা থেকে সর্বরোগের নিরাময় করতে পারবে বলে ঘোষণা দিলে মানুষের ঢল নামে তার আস্তানার দিকে। পয়সার বিনিময়ে তিনি ঝাড়-ফুক, তাবিজ-জলপড়া ইত্যাদি দেন। মেয়েদের নিয়ে যান একলা ঘরে। একা, তাদেরকে সেখানে হিফাজতশেষে, স্বামীদের কপালে দেন লক্ষ টাকা আয়ের ফু-দোয়া-তাবিজ-কবজের গ্যারান্টি। নিঃসন্তান পিতামাতাকে দেখান ন্যূনতম পাঁচটি সন্তানের স্বপ্ন। মৃতপ্রায় রোগীকে দেখান গোলাপি জীবনের স্বপ্ন। আর তিনি নিজে হতে থাকেন বিত্তশালী। বাড়তে থাকে তার আস্তানা। বাড়ে ভিড়।
রোগী মরে যায়। সেসব নিঃসন্তান মহিলাকে দেখে ডাক্তার বলেন তার জরায়ুই নেই তো সন্তান ধারণ করতেন কি করে! আর যে মেয়েদের তিনি একা একা একলা ঘরে নিয়ে হিফাজত করেছিলেন, তাদের প্রত্যেকের পেটের পরবর্তী সস্তানের আদল সেই সাধুরই। আর গরিব পুরুষেরা বড়লোক হতে চেয়ে দক্ষিণা দিয়ে দিয়ে নিঃস্ব হতে থাকে। না দিলে বাবা-ভোম ভোলানাথ ভীষণ ক্ষেপে গিয়ে অভিশাপ দেন। তাকে ভয় পাবে না এমন সাধ্য কার! তার অস্ত্র ধর্ম। ধর্মের দোহাই। সন্দেহ, যৌন অপকর্মকে উতরিয়ে যায়। ধর্ম, যৌন অপকর্মকে উতরিয়ে। যায়, মন্দির-মসজিদ-মাদ্রাসা-গির্জা-পেগোডায়, যায় ধর্মবোধের দোহাই দিয়ে। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে তখন ধর্মচর্চা হয়ে ওঠে মানবজীবনের একটি অন্যতম অলঙ্কার। আর সেই সুযোগে চলে যাবতীয় যৌন অপকর্ম।
পুরুষদের মধ্যে এই যৌনতার বিকার সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর। এবং বিশেষ করে নাবালিকাদের জন্যে তো প্রচণ্ড দুঃসংবাদ। ধর্ষণ এবং অন্যান্য যৌন অপকর্মের জন্যে বিকারগ্রস্ত পুরুষগুলো, অপেক্ষায় থাকে। এবং যে-কোনও সুযোগই তারা লুফে নেয়। অনেক সময় এই অতিরিক্ত যৌন ইচ্ছা তাদের নিজেদের জীবনেও অসহনীয় সঙ্কটে রূপ নেয়। ফলে সৃষ্টি হয় বিবিধ সামাজিক সমস্যা। তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলেই শুরু হয় ত্রাস। এবং এরকম বিকারগ্রস্ত পুরুষদের এই ত্রাসের সংবাদ সহসাই শোনা যায়, লোকমুখে বা মিডিয়ায় সাবধানতার বাণী হিসেবে। পৃথিবীজুড়ে সবখানেই রয়েছে ধর্ষক। ওদের জন্যে অগণিত নারীর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। ধর্ষণ, একটি ভয়াবহ প্রক্রিয়া। যে ভুক্তভোগী, শুধু সেই জানে তার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা।
পুরুষদের এই সঙ্কট পতিতালয়ের কারণে অনেকটা প্রশমিত হয়ে যায়। কিন্তু যারা পতিতালয়ে যায় না বা যাওয়ার সাহস পায় না সমস্যা তাদের নিয়ে। এবং এই সমস্যা মূলত মধ্যবয়স্ক পুরুষদের বেলায় অধিক প্রযোজ্য, যে বয়সে বিকারের অবস্থা থাকে তুঙ্গে। আমাদের ক্ষয়িষ্ণু, ধুকে ধুকে মরা পুরোনো সমাজের অযাচিত নিয়মকানুন আর কিছু অযৌক্তিক বাধ্যবাধকতা, সেকচ্যুয়াল ব্যাপারগুলোকে কোণঠাসা এবং অশ্লীল করে, ধর্মবোধ এবং সমাজবোধকে প্রতিষ্ঠার কারণে এই চরম মূল্য। আর তাছাড়াও, দারিদ্র্য-অশিক্ষা-পরনির্ভরতা-নারী নির্যাতন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ, এসবের মূল্য দিতে ভাগ্যহীনা মেয়েদের চেয়ে উত্তম শিকার, কি আর হতে পারে সে আমার জানা নেই।