আমি যদি আপনাদের বলি “যে আমি একজন ‘ল’ইয়ার।তাহলে আপনি তা একদমি বিশ্বাস করবেন না।” আর এই কথাটা বিশ্বাস না করার মত অনেক কারনও আপনি পাবেন।কারন আমার ফেসবুক আইডিতে কোন ল’ইয়ার নিয়ে রাজনীতি নিয়ে, দেশের পরিস্থিতি সরকার নিয়ে কোন রকম পোস্ট,ছবি বা কোন মন্তব্য নেই। শুূধু এই কারনটাই না। আমার সাথে কথা বলেও কিন্তু আপনি ল’য়ার ব্যাপারটা আপনি পাবেন না।আমার বয়স কিংবা আমার ছবি দেখেও আপনার বিশ্বাস হবেনা তাহলে কোন দুঃখে আপনি বিশ্বাস করবেন যে আমি একজন ‘ল’ইয়ার।বিশ্বাস করার কোন মানেই হয় না। আবার আমি যদি আপনাকে বলি আমি এখন ডাক্তারী পড়ছি।তাহলেও হয়তো অনেকের বিশ্বাস হবে আবার অনেকের হবেনা।
সাধারণত বিশ্বাস হবে এই কারনে ‘যে আমার বয়সটা কম লেখা পড়াও করছি ‘সে হিসেবে পড়তেই পারি ডাক্তারী। আবার অবিশ্বাস করবে এই কারনে যে আমার লেখনি কিংবা আমার পোস্ট করা কোন লেখাতে কোন ডাক্তারী ডাক্তারী চিহ্ন নাই।ডাক্তারী পোষাকে আমার কোন ছবিও নাই।তাহলে বিশ্বাসটা কেনো হবে? সাধারণ যারা ডাক্তারী বা নার্সিং পড়ে ; তারা আনন্দের সহিত ডাক্তারী পোষাকে কিংবা অপারেশন থিয়েটারে কিংবা ডিউটি অবস্থায় ছবি তুলে পোস্ট করে।কিন্তু আমার আইডিতে তা নাই।সে কাররেই অবিশ্বাস হবে।
আবার আমি যদি আপনাদের বলি আমি একজন সেনা সদস্য।তাহলে হয়তো বেশিরভাগ মানুষেই সেটা বিশ্বাস করবেন।কিন্তু মনের মধ্যে কনফিউশনটা থেকেই যাবে।কারন সেনারা সারাদিন ব্যস্থ থাকে।আর আমি সারাদিন অনলাইনেই পড়ে থাকি।সে হিসেবে আমাকে সেনাসদস্য ভাবাটাও ভুল।এইযে একটা কনফিউশন এটা সবার মাঝেই বিদ্যমান।
শিব কেরার ” You can win” বইটা হয়তো অনেকেই পড়েছেন।বইটা মটিভেশন মূলক বই।বইটাতে একটা গল্প আছে।গল্পটা এরকম।একজন ব্যক্তি ঘুরে ঘুরে কিংবা মেলায়,হাটবাজারে ঘুরে হিলিয়াম গ্যাসযুক্ত বেলুন বিক্রি করে।যে বেলুন গুলা ছেড়ে দিলেই আকাশে উড়ে যায়।যখন কোন সময় উনার বিক্রি কম।হয়।তাহলে পাঁচ ছয়টা বেলুন একসাথে করে আকাশে উড়িয়ে দেয়।পরবর্তিতে উনার ব্যবসাটা ভাল হয়।তো একদিন এক পিচ্চি চেলে জিজ্ঞাসা করেছিল ‘যে আঙ্কেল গোলাপী কালার বেলুন কি আকাশে উড়ে ‘ লোকটা তখন বলেছিল হ্যাঁ উড়ে।পিচ্চি ছেলেটা আবার জিঙ্গাসা করেছিল কালো রঙের বেলুনও কি উড়ে? লোকটা তখনও বলেছিল হ্যাঁ উড়ে।
মোরাল দিস স্টোরি: গল্পে কিন্তু বিশ্বাসে ভরপুর।কেননা লোকটার ব্যবসা মন্দা হলে বেলুন উড়ায় আকাশে। আর তিনি বিশ্বাস করে যে আকাশে এমনে বেলুন উড়ালে তার ব্যবসা ভাল হবে।আর তাই কিন্তু হয়।আবার আপনার বেলুনটা যে রঙের হোক না কেনো।আপনাকে দেখতে হবে কি দিয়ে তৈরি।দেখতে হবেনা কোন কালারের।বিশ্বাস রাখতে হবে আকাশে উড়ার।এই বিশ্বাসটাই আসল।
একটা হরিণ ঘন্টায় ৮৫ কিঃমি স্পিডে দৌড়াতে পারে।আর একটা চিতা বাঘ ৮০ কিঃমিঃ স্পিডে। দিন শেষে কিন্তু স্পিডের দৌড়ে বাঘটাই হরিণকে ধরে ফেলে। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে। তাহলে বাঘ কেমন করে হরিণকে ধরে।ধরার মূল কারটা হচ্ছে বিশ্বাস।হরিণ ৮৫ কিঃমিঃ স্পিডে দৌড়ে মনে কনফিউশন নিয়ে।যে এই বুঝি ধরে ফেললো।যে কারনে হরিণ ভয় পেয়ে যায়।আর কনফিউশনে ভয় হয়;ভয়ে শরীর লেস হয়।আর অন্য দিকে বাঘ মনে এই বিশ্বাসটা নিয়েই দৌড়ায় ;যে সে হরিণকে ধরবেই।আর এই বিশ্বাসের ফলে সে তার লক্ষ ঠিকই পূরণ করে।
এত কিছু বলার একটাই কারন।আর সেটা হলো বিশ্বাস। আপনি যাই করেন না কেনো।আগে তা বিশ্বাস করুন।কারন বিশ্বাস ছাড়া কিছুই নেই।আর কনফিউশন মন থেকে দূরে রাখুন।কারন কনফিউশন আপনার মন আর কাজটাকে দূর্বল করে দেয়।আর কনফিউশনের কারনে আপনিও আপনার সঠিক লক্ষ্যে পৌছাতে পারবেন না।তারপর দুষ আসবে কপাল আর ভাগ্যের।
মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিলগেটসের অনেকগুলার বানীর মধ্যে একটা বানী হচ্ছে।কোন কিছু ভাবার মধ্যে আটকিয়ে না রেখে ;লেগে পড়ো জয়টা নিশ্চিত আসবে। অর্থাৎ তুমি কি করবে;তা নিয়ে কনফিউশনে থেকো না।টাকা নেই সেটা নিয়েও ভেবোনা।লক্ষ ঠিক রেখে কাজে লেগে পড়ো সফলতা আসবেই।
তাই আমার কথা হচ্ছে মনে যত কনফিউশন কম রাখবেন।ততই আপনি সাকসেস হবেন।মানুষকে বিশ্বাস নিয়ে কনফিউশন রাখবেন না।যাকে প্রথমে কনফিউশন মনে হবে তাকে প্রথমেই বাদ দিন।যাকে কনফিউশন প্রথম।মনে হবেনা।তাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করুন।দেখবেন ঠকবেন না আপনি। সর্বোপরি বিশ্বাসটা মনে ধারন করুন।সফলতা ধরা দিবেই।