আব্বু বায়না ধরেছে সে আবারো বিয়ে করবে ৷ আম্মু ৫ বছর হলো মারা গেছে ৷ প্রথম ৪ বছরে আব্বু ভুলেও বিয়ে করার কথা মুখে আনেনি ৷ অথচ সে কয়েকদিন ধরে বিয়ের জন্য একদম পাগল হয়ে গিয়েছে ৷ আমার দুই বোন ও দুই ভাই আব্বুর বিয়ের কথা শুনে তাকে আচ্ছামত বকাঝকা করছে ৷ এতে আব্বু রাত নাই দিন নাই শুধু কান্না করে যাচ্ছে ৷ যদিও আমি রাজি আছি আব্বুর বিয়ের ব্যপারে ৷ একাকীত্বের যন্ত্রণা থেকে অন্তত বাঁচতে পারবে সে ৷ কিন্তু তার বিয়ের চান্স শূন্যের কোথায় বলা যায় ৷ কারণ, আমার দুই ভাই যদি বিয়েতে মত না দেয় তবে কিছুতেই তার বিয়ে হবেনা!
৭ দিন পার হয়ে গেল ৷ আব্বু কেঁদে চলছে ৷ তার মিশন একটাই বিয়ে করবে ৷ গতপরশু একটা ঘটনা ঘটেছে ৷ আব্বুর নামে একটা পার্সেল এসেছে ৷ কে যেন তাকে পাঞ্জাবী গিফট করেছে, সাথে রজনীগন্ধা ফুল ৷ গিফটের সাথে একটা চিরকুট ছিল ৷ চুরি করে চিরকুটটা পড়ে নিয়েছি ৷ ওতে লিখা আছে, “আমার জীবনের প্রথম ভালবাসা তুমি, যেকোনো মূল্যে তোমাকে আপন করে পেতে চাই ৷ যদি জীবন চলে যায় তবুও আমি তোমার বউ হবো!”
বুঝতে বাকি রইলোনা যে আব্বু এই বয়সে একজনের সঙ্গে প্রেম শুরু করে দিয়েছে ৷ তবে দ্বিধার মধ্যে আছি যে আব্বু কি বিবাহিত কারো সাথে প্রেম করছে নাকি কুমারী মেয়ের সাথে? চিরকুট পড়ে তো মনে হচ্ছে, অবিবাহিত কোনো মেয়েই আব্বুকে চিঠিটা দিয়েছে ৷ নিশ্চিত এই মেয়েটাই আব্বুর মাথা খেয়েছে ৷ মগজ ধোলায় করে দেওয়ায় আব্বু বিয়ে ছাড়া অন্যকিছু বুঝছে না ৷৷ যদি তার মগজ ধোলায় না হতো, তবে এই বয়সে আব্বুর মাথায় বিয়ের চিন্তা-ভাবনা আসতো না ৷ গিফট পেয়ে আব্বুর কান্না অনেকটা কমে গেছে ৷ এখন রোমান্টিক গান গায় উঁচু গলায় ৷ আব্বুর জোর গলায় গাওয়া গান শুনে আমার ভাবীরা খিলখিল করে শুধু হাসে ৷ এমনিতে তারা আব্বুর খুব যত্ন নেয়,সম্মান করে ৷ তবে, আব্বুর এহেন আচরণে মজা নিচ্ছে আরকি! তিনদিন পর সেই মেয়েটা আব্বুর নিকট একটা চিঠি লিখে পাঠালো ৷ ভাগ্যিস আব্বুর ফোন নেই ৷ ফোন থাকলে দিনে রাতে কথা বলে কাটাতো ৷ ফোন না থাকায় ভালোই হয়েছে ৷ মেয়েটার চিঠি আব্বুর নিকট পৌঁছানোর পূর্বে সেটা আমি পিওনের থেকে নিয়ে নিলাম ৷ পড়তে লাগলাম দেহভর্তি লাজুক ভাব নিয়ে ৷ চিঠিটাতে লিখা আছে,
—-প্রিয়তম,
জানি তুমি ভাল নেই ৷ তোমার কোনো ছেলেই চাচ্ছেনা তুমি বিয়ে করে সুখী হও ৷ আসলে তারা তোমাকে ভালোই বাসেনা ৷ চিন্তা করোনা জান ৷ আমি তোমার জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করবো ৷ কিন্তু এটাও সত্য যে যদি আমরা বিয়ের জন্য চেষ্টা না করি তবে সহজে আমাদের বিয়ে হবেনা ৷ তাই তোমাকে কিছু একটা করতে হবে ৷ আমি তো ভেবেছি কাজী অফিসে বিয়ে করবো ৷ সন্তানদের সন্মতি কখনোই পাবেনা, তাদের চিন্তা করলে বিয়েটাও হবেনা ৷ তাই ওদের মতামত নেওয়া বাদ দাও ৷ আমি চাই তুমি কাল ধানমন্ডির লেকে চলে আসো ৷ ওখান থেকে সোজা যাবো কাজী অফিসে, তারপর বিয়ে ৷ তাই, আর কোনো চিন্তা-ভাবনা না করে প্রস্তুত থাকো ৷ আমাদের যতটুকু শক্তি আছে তাই নিয়ে মাঠে নামতে হবে ৷ ভুলে যেওনা, তারা তোমার শিক্ষিত সন্তান ৷ তারা কখনোই চাইবেনা এই বয়সে তুমি বিয়ে করো ৷ তাই এবারের চাওয়াটা তাদের মতামতকে উপেক্ষা করেই পূরণ করো! বেশিকিছু আর বলতে হবেনা ৷ যা যা বলছি সেসব মাথায় রাখো ৷ আর কালকে বিকেলে ধানমন্ডি লেকে উপস্থিত হবে ৷ মিস যেন না হয়! ভালবাসি প্রিয়তম!
ইতি,
তোমার প্রিয়তমা!
চিঠিটা পড়ে আমার মাথা চক্কর মেরে উঠলো ৷ মনে হচ্ছিল পৃথিবীটা ঘুরছে লাটিমের মত করে ৷ দেরি করলাম না ৷ চিঠিটা নিয়ে ছুটলাম বড় ভাইয়ার নিকট ৷ সে চিঠি দেখার পর রেগে গেল ৷ ভাই আমাকে বললো- কালকে সারাদিন আব্বুকে রুমের ভেতরে আটকে রাখবো, দেখি কেমনে সে বিয়ে করে ৷ আর রাফাত শোন, বাবার এমন ফাইজলামীর পক্ষ নিস না, প্লিজ ৷ আমরা তো বাবাকে অনেক ভালবাসি ৷ এই বয়সে তার বিয়ের কেন দরকার পড়বে?” ভাইয়ের কথা শুনে প্রতিত্তরে হ্যাঁ কিংবা না কিছুই বললাম না ৷ কিছুক্ষণ পরই ভাইয়ের কাছে থেকে চলে এলাম! বাসায় ফিরে ভাবলাম, আগামীকাল ধানমন্ডি লেকে যাবো ৷ দেখবো মেয়েটা কে?
পরদিন বিকেলে চললাম ধানমন্ডি লেকের দিকে ৷ যথাস্থানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম সেই মেয়েটার জন্য ৷ কিন্তু ধাঁই করে মনে পড়লো, আরে আমি তো মেয়েটাকে কখনো দেখিনি, চিনিওনা ৷ সে যদি এখানে আসে তাহলে কিভাবে বুঝবো যে এটাই আব্বুর প্রেমিকা? এবার উপায়? মাথায় হাত দিয়ে কপালে ভাঁজ ফেলে ভাবছিলাম ৷ আচমকা একটি মেয়ে ব্যাগ টানতে টানতে আমার দিকে আসছিলো ৷ একপর্যায়ে মেয়েটা আমার সামনে দাঁড়ালো ৷ এবং অনুরোধের অভিব্যক্তিতে বলল, “ধানমন্ডি ৩নং রোডের ১১ নং বাড়িটা কোন দিকে বলতে পারবেন?” আমি তাকে ঠিকানাটা বলে দিলাম ৷ আচমকা একটা লোক এসে মেয়েটাকে তীক্ষ্ণকন্ঠে বলল,
—-জিনিয়া, কই যাচ্ছিস ব্যাগ নিয়ে? ছেলেটার কথা শুনে, মেয়েটা আমার দিকে নজর দিলো ৷ অতঃপর মৃদ্যু হেসে ক্ষীণস্বরে ছেলেটাকে জবাব দিলো,
—-এটা আমার বয়ফ্রেন্ড ৷ তাকে নিয়ে কাজী অফিসে যাচ্ছি ৷
মেয়েটার কথা শুনে যেন আকাশ থেকে ধপাস করে পড়লাম ৷ না আমার কোনো পাখা ছিলনা, উড়ে উড়ে পড়িনি ৷ এরপরও মরিনি ৷ অজ্ঞান হবার মত অবস্থা হয়েছিল কিন্তু জিহ্বায় কামড় দিয়েছিলাম বলে জ্ঞান হারায় নি ৷ মাথায় যেন টক্কর লাগলো মেয়েটার মজার ইয়ার্কিমার্কা কথা শুনে ৷ আশ্চর্যের ব্যাপার! সে কেন আমার সাথে ইয়ার্কি করবে? মেয়েটার দিকে অদ্ভুত চাহনীর সমন্বয়ে দৃষ্টি স্থাপন করলাম ৷ মৃদ্যুভাবে কেশে থতমত খেয়ে বললাম,
—আমি আপনার বয়ফ্রেন্ড মানে? আমি কি কখনো এর আগে আপনাকে দেখেছি? কে আপনি বলুন তো? মেয়েটা কৃত্তিম কান্নার ভান ধরে বলল,
—-জান, কি বলছো এসব? কাল রাতে কতবার ফোন দিয়ে বললে, বেবি আমি কালই তোমাকে বিয়ে করবো ৷ এও বললে আমি যেন বিকেলে ডানমন্ডির লেকে অবস্থান করি ৷ আমি তো সেই মোতাবেক এখানে এসেছি ৷ কিন্তু জান, হঠাৎ করে তোমার কি হলো যে তুমি আমার সাথে এমন করছো? প্রচন্ড রাগের উদয় হলো ৷ রাগে মাথার মগজ টগবগ করছিল ৷ রক্ত যেন উত্তপ্ত হয়ে গেল ৷ মেয়েটাকে ক্ষিপ্তস্বরে বললাম,
—-ধুরো, কে আপনি বলেন তো? ঠিকানা বলতে গিয়ে তো দেখি ঝামেলায় পড়লাম ৷ আপনি আমার সামনে থেকে যান ৷ মেজাজ এমনিতেই ঠিক নেই! এবার মেয়েটা আমার কাঁধে হাত রেখে আদুরে গলায় বলল,
—-জান, এমন করছো কেন? কি করেছি আমি? আওয়াজ আগের চেয়ে বাড়িয়ে ক্ষ্যাপাস্বরে বললাম,
—–থাপ্পর চিনেন? এটা বলতে না বলতে মেয়েটাই আমার গালে চটাস করে থাপ্পর লাগিয়ে দিলো ৷ অতঃপর চোখ দুটো গোলগোল বানিয়ে কেউটে সাপের মত ফোঁসফোঁস করতে করতে বলল,
—-আর একটা কথাও বলবিনা ৷ ভালবাসি তো খুব, তারজন্য তোর এত বাড় বেড়েছে ৷ আমি যেখানে যাচ্ছি, সঙ্গে চল!
নির্বাক হয়ে গেলাম ৷ নিস্তব্দ, নিথর মানবের ন্যায় রুপ নিয়ে মেয়েটার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলাম ৷ মেয়েটা আমাকে টানতে টানতে একটা রিকশার সামনে নিয়ে গেল ৷ অতঃপর বললো রিকশায় ওঠ ৷ কিছু না বলে উঠলাম রিকশায় ৷ সেও উঠলো ৷ রিকশা সোজা চললো কাজী অফিসের দিকে ৷ কাজী অফিসে গিয়ে থামলো রিকশা ৷ রিকশা থেকে নেমে জিনিয়া আমার হাত ধরে কাজী অফিসের ভেতরে নিয়ে গেল ৷ অতঃপর কাজীকে বলল বিয়ে পড়াতে ৷ আমি এখনো বোবা ৷ যেন মুখটা সেলাই করে দিয়েছে কেউ ৷ কিন্তু আচমকা মনে পড়লো এসব ঠিক হচ্ছেনা ৷ আমার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছ ৷ তাই মুখ ফুটলো আমার ৷ চেঁচানো গলায় কাজীকে বললাম,
—-মোটেও না, আমি এই বিয়ে কিছুতেই করবোনা ৷ এই মেয়েটাকে আমি চিনিনা ৷ আমাকে জোর করে কাজী অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে! আমার কথা শেষ হবার আগেই জিনিয়া আমার গালে সজোরে থাপ্পর লাগালো ৷ অতঃপর তার ব্যাগের ভেতর থেকে রিভলবার বের করলো ৷ রিভলবার দেখে চোখ কপালে উঠলো আমার ৷ ভরকে গেলাম ৷ পুনরায় চুপ হয়ে গেলাম যখন জিনিয়া আমার মাথার খুলি বরাবর রিভলবার ঠেকালো এবং শক্তকন্ঠে বলল,
—-বেশি কথা বললেই খবর করে দিবো ৷ কাজী যা বলে সেটাই কর!
আমি তো পাথর হয়ে গেছি ৷ কাজীও ঠিক ওরকম ৷ কিন্তু ভয়ে বিয়ে পড়াতে লাগলো ৷ বিয়ে সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জিনিয়া রিভলবার ধরে রাখলো ৷ বিয়ে সম্পন্ন হলে জিনিয়া আমার হাত ধরে আবারো একটা রিকশার নিকট নিয়ে গেল ৷ রিকশায় উঠলাম ৷ সেও উঠলো ৷ রিকশা চলতে লাগলো পিচঢালা রাস্তাকে অতিক্রম করতে করতে ৷ কিন্তু রিকশা কোথায় যাচ্ছিল বুঝতে পারছিনা ৷ একপর্যায়ে রিকশাটা একটা বাসার সামনে গিয়ে থেমে গেলো ৷ শুভ্রবর্ণের বিশাল বাংলো ৷
বাসাটা এরপূর্বে কোনোদিন দেখেছি কিনা মনে পড়ছেনা ৷ জিনিয়া আমার হাত ধরে বাসাটার ভেতর নিয়ে গেল ৷ বুঝতে পারছি এটা শ্বশুর বাড়ি হবে ৷ সারাজীবন এখানে ঘরজামাই থাকতে হবে ৷ সাড়ে সর্বনাশ হয়ে গেল আমার ৷ এতদিন বিয়ে করবোনা করবোনা করেছিলাম আর আজ কিরকম নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে ডেঞ্জারাস একটা মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল! বাসার ভেতর ঢুকলাম ৷ জিনিয়া এখনো আমার হাত ছাড়েনি ৷ সে আমাকে একটা রুমে নিয়ে গেল ৷ অন্ধকার রুম ৷ লাইট জ্বালানো হলো ৷ ঘর আলোকিত হতেই দেখা গেল খাটের নিচে একজন মহিলাকে বেঁধে রাখা হয়েছে ৷ মুখটাও বাঁধা ৷ জিনিয়া আমার হাতটা ছেড়ে দিয়ে মহিলাটার মুখ থেকে কাপড় খুলে দিলো ৷ অতঃপর জিনিয়া তীক্ষ্ণকন্ঠে বলল,
—-আম্মু, তুমি বলেছিলে না কেন বিয়ে করছিনা আমি? কারো সাথে প্রেম করছি কিনা? এতদিন কিছু বলতে পারিনি তবে আজকে বলছি ৷ আমি এই মানুষটাকে ভালবাসি মা ৷ তাকে এতদিন মনের কথা বলতে পারিনি ৷ ভার্সিটি লাইফে সে আমার সিনিয়র ছিল ৷ তখন থেকে ভালবাসতাম তাকে ৷ বর্তমানে ফেসবুকে তার খোঁজ নিচ্ছিলাম ৷ ফেসবুকে তাকে পটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম কিন্তু সে তো আরেকজনকে ভালবাসে ৷ বিদেশী কোনো একজনকে ৷ কিন্তু আমি তো হাল ছাড়ার মত মেয়ে নই ৷ আমার ভালবাসাকে যেকোনো মূল্যে সফল করবোই ৷ করেছিও ৷ কিন্তু মা, তুমি এই কয়দিন ধরে যা শুরু করছো না ৷ তারজন্য আর বসে থাকতে পারলাম না ৷
জানো তুমি কাকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে গেছো? এখন নিশ্চয় বুঝেছো! তুমি আমার ভালবাসার মানুষটির বাবাকে বিয়ে করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছো ৷ কতবড় অন্যায় কাজ করতে যাচ্ছিলে জানো? যে মানুষটা আমার শ্বশুর হবে, তাকে তুমি আমার সৎ বাবা করতে যাচ্ছিলে! আর আমার প্রেমিককে সৎ ভাই বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলে ৷ কিন্তু আমি কি এটা হতে দিতে পারি? কখনোই না ৷ গতরাতে যখন তুমি লাকী আন্টির সাথে ফোনে কথা বলছিলে তখন সব শুনে নিয়েছিলাম ৷ তুমি বলতেছিলা যে, “লাকী, কাল সিরাজকে কাজী অফিসে নিয়ে গিয় বিয়ে করবো ৷ তাকে ধানমন্ডি লেকে আসতে বলেছি কাল বিকেলে ৷ সেখান থেকে কাজী অফিসে যাবো ৷৷”
তোমার এমন কথা শুনে আমি সিদ্ধান্ত নিই তোমাকে আগে বেঁধে রাখবো ৷ তারপর বিকেলে রাফাতের বাবার সাথে ধানমন্ডিতে দেখা করবো ৷ তাকে বুঝাবো এটা করা ঠিক হবেনা ৷ এবং বলবো রাফাতের সঙ্গে আমার প্রেম চলছে ৷ ব্যাগের সমস্ত কাপড় চোপর গুছিয়ে ধানমন্ডি লেকে গেলাম কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখি তিনি আসেন নি ৷ আসছে রাফাত ৷ রাফাতকে দেখে প্ল্যান পরিবর্তন করলাম ৷ সিদ্ধান্ত নিলাম জোর করেই তাকে আজ কাজী অফিসে নিয়ে যাবো ৷ এবং সেটাই করে ফেললাম!
শুনে নাও মা, রাফাত এখন আমার স্বামী ৷ এবং তুমি তার শ্বাশুরি! জিনিয়ার এতসব কথা শুনে চোখে অন্ধকার দেখছি ৷ আমি যেন ফ্যানের মত ঘুরছি ৷ অজ্ঞান হয়ে যাবো হয়তো ৷ জিনিয়ার মা অজ্ঞান হলো কিনা লক্ষ্য করলাম ৷ সে আগেই বেহুশ হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েছে ৷