স্মোকার

স্মোকার

১০ই জানুয়ারী ২০১৩। এটি আমার জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। শুধু গুরুত্বপূর্ণ দিন বললে ভুল হবে, এটা ছিল একটি মহাগুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ এই দিনেই আমি প্রথম সিগারেট ধরেছিলাম। আমি কিন্তু কোনো ছেকা ট্যাকা খেয়ে সিগারেট ধরি নি। আমার বন্ধু বিদ্যুৎ আমাকে সিগারেট খাওয়া শিখিয়েছিল। নেহাত কৌতুহলের বশেই সেদিন সিগারেট ধরেছিলাম। এর পর থেকে আর ছাড়তে পারি নি এবং প্রতি বছরই এটাকে ব্যাপক ভাবে উদযাপন করে আসছি। এর মেইন হোস্ট হচ্ছে আমি আর বিদ্যুৎ। আমার কাছে তো বার্থডে থেকে এই বিড়ি ডে’র গুরুত্ব বেশি। আজকে এর সাত বছর পুর্ণ হতে চলেছে।

এই সাত বছর পুর্তি উপলক্ষে বড় সড় একটা পার্টির আয়োজন করা হচ্ছে। এই পার্টিতে আসার জন্যে আবার কিছু শর্ত আছে। সেগুলো হলো- ১. প্রথম শর্ত হচ্ছে, এটা সবার জন্য উন্মুক্ত না। আপনাকে বিড়িখোর হওয়া আবশ্যক। ২. ফিমেল অ্যান্ট্রি রেস্ট্রিক্টেড। মেয়েদের এই পার্টিতে আসা পুরোপুরি নিষেধ। সে যত বড় বিড়িখোর ই হোক না কেন তাও সুযোগ নেই। ৩. পার্টিতে কোনো গিফ্ট নিয়ে আসা যাবে না। এটার উপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা আছে। তবে হ্যাঁ আপনি চাইলে সিগারেট নিয়ে আসতে পারেন গিফ্ট হিসেবে। এর বাইরে কিছু না। ৪. যারা এই বিড়িখোর পার্টিতে নতুন আসবেন তাদের অবশ্যই সিনিয়র বিড়িখোরদের যথেষ্ট সম্মান দিতে হবে। ৫. যাদের মাথার চুলে ভিন্ন ভিন্ন রং করা আছে তাদের্ও এখানে আসা নিষেধ। কারণ ওইসব প্রাণীদের মেয়ের মতই লাগে। ৬. বিবাহিত পুরুষদেরও এখানে আসা নিষেধ।

কারণ আপনার উপর আরো কয়েকটা মানুষ নির্ভরশীল তাই এসবে এসে সময় নষ্ট করা উচিত না। ৭. আপনি যদি পার্টিতে এসে কোনো সিগারেট ই না খেয়ে থাকতে পারেন তাহলে আপনার জন্য পুরষ্কারের ব্যবস্থা থাকবে। (কিন্তু এখন পর্যন্ত এটা দেয়ার মত কাউকে পাই নি।) ৮. আর হ্যা যদিও এটা সিগারেট পার্টি কিন্তু তারপরেও কাউকে সিগারেট খাওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রকার উৎসাহ প্রদান করা যাবে না। ব্যাস এই শর্তগুলো ঠিকঠাক থাকলেই আপনি এই পার্টিতে আসতে পারবেন। প্রতি বছর যথেষ্ট পরিমাণের চেয়ে একটু বেশি ই বিড়িখোরের সমাগম হয় এখানে। এবারো বেশ ভাল করেই প্রস্তুতি চলছে। বিকাল ৪টা বাজে। হঠাৎ ফোনে রিং হচ্ছে। কে জানি আমার ঘুমটার রফা দফা করে দিল।

গত সারা রাত এই পার্টি নিয়ে অনেক দৌঁড়াদৌঁড়ির মধ্যে ছিলাম। এখন একটু ঘুমালাম সেটাও শেষ করে দিল। যাইহোক বালিশের পাশ থেকে ফোনটা নিয়ে ঘুমঘুম চোখেই রিসিভ করলাম, -হ্যালো -হ্যালো প্রত্যয় তুমি কি শুরু করছো এইসব?! কিসের বিড়ি পার্টি নাকি কি এগুলা?!! তোমার মাথা ঠিক আছে তো! পুর্ণা ফোন দিয়েছে। ছয় মাস হল মেয়েটার সাথে পরিচয়। আমাকে অনেক পছন্দ করে। হয়তো ভালবাসে। কিন্তু আমি না। উত্তর দিলাম, -হ্যা আমি ঠিক ই আছি। কিন্তু তুমি এই পার্টির খবর কেমনে জানলা? -যেমনেই হোক জানতে পারছি। সেটা তোমার না জানলেও চলবে। আগে বলো এরকম পাগলামি কাজ কর্ম শুরু করছো কেন? (প্রচুর রাগ কন্ঠে) -হেহেহে কি বলে এই মেয়ে। এই পার্টি তো আমি ছয় বছর ধরে করে আসছি। তুমি আমাকে চেনারও অনেক আগে থেকে।

-তো কি হইছে? এইসব পাগলামি বাদ দাও। ভাল কিছু করো। -এখন পর্যন্ত কেউ আমাকে এর জন্য পাগল বলে নাই। সবাই বলে- ইউনিক একটা পার্টি। ওরা অনেক মজা করে এখানে এসে। এই ছোট জীবনে এতটুকু আনন্দ দিতে পারাটাই তো অনেক কিছু। যাইহোক গত ছয় বছর ধরে হইছে, এবছরও হবে। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। ঘুমাইতেছি। বাই। বলেই লাইনটা কেঁটে দিয়ে ফ্লাইট মুড অন করে ঘুম দিলাম। উঠলাম সন্ধা ৬টা ৩০ এর দিকে। উঠার পর ই সাথে সাথে ফোন অ্যাকটিভ করলাম। একটার পর একটা ম্যাসেজ এসেই যাচ্ছে। অনেকের ই ম্যাসেজ। ফোনে কেউ না পেয়ে ম্যাসেজ করে রেখেছে। কারো ম্যাসেজের ই কোনো উত্তর না দিয়ে তাড়াতাড়ি পার্টির স্পটে গেলাম। টাইম দিয়েছিলাম রাত ৯টা থেকে। সবকিছু ঠিকঠাক করতে ৮টা বেজে গেল।

ডেকোরেশন টা বেশ ভালোই ফুটে উঠেছে। গেইটে ঢুকতেই বড় একটা বোর্ড পড়বে। ওখানে সুন্দর করে লিখে দিয়েছি, ‘বিড়ি ভোজন ২০’। এর নিচে লিখা আছে “Smoking is injurious to health. It causes cancer.” ইতোমধ্যে অনেকেই আসতে শুরু করেছে। আমি গেইট থেকে একটু সামনে দাঁড়িয়ে আছি। পকেট থেকে একটা গোল্ডলিফ বের করে ধরালাম। এমন সময় পুর্নাকে দেখি, আমার দিকেই তেড়ে আসতেছে। তার চেহারার মধ্যে রাগের ছাপ স্পষ্ট। বাহ রাগী ভাবটায় তো মেয়েটাকে বেশ সুন্দর লাগে। এসেই আমার নাকের ডগার সামনে দাঁড়ালো। চোখ-মুখ লাল করে বলে, -ফোন সুইচ অফ কেন তোমার? আর কতগুলা টেক্সট করেছি। খবর নাই কোনো। -ঘুমাচ্ছিলাম তাই (সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বললাম) -ঘুমালে সুইচ অফ করে রাখতে হবে কেন, আর ঘুম থেকে উঠার পর তো চেক করবা। বলেই আমার ঠোঁট থেকে এক টানে সিগারেট টা নিয়ে ফেলে দিল। তার রাগ বেড়েই চলছে। তো আমি বললাম,

-আরে সময় পাই নি। তাড়াহুড়ো করে চলে আসছি। আর তুমি এখানে কি করো? এখানে ফিমেল নট অ্যালাউড। পার্টির খবর ঠিকই জানো তবে পার্টির কন্ডিশনগুলো জানো না? -আবার ফাইজলামি শুরু করছো আমার সাথে? -নাহ আমি সত্যি বলছি। আর এখন বাসায় চলে যাও। তোমার সাথে পরে কথা বলব। -আমি আজকে কোথাও যাচ্ছি না। পুরো সময় এখানে থাকব। দরকার হলে তোমাদের সাথে সিগারেটও খাব। ইচ্ছা হচ্ছিল ঠাসসস করে দুইটা থাপ্পড় দেই তার দুই গালে। কিন্তু মেয়ে মানুষের গায়ে আমি হাত তুলি না। তাই নিজেকে কন্ট্রোলে রেখে বললাম,

-এইটা তোমার জন্য কোনো মজার বিষয় না। যদি এখানে অন্য মেয়েরাও থাকত তবে আমি তোমাকে না করতাম না। কিন্তু এটা শুধুমাত্র আমাদের জন্য। সো তুমি বাসায় যাও। -যত যাই বলো কোনো লাভ নেই। আমি যাব না। -কিহহহহ!! -জ্বি হ্যা। আর চিন্তা করো না, আমি তোমাদের পার্টিতে ব্যাঘাত ঘটবে এমন কিছু করব না। -তুমি থাকলেই আমার পার্টিতে ব্যাঘাত ঘটবে। তাই শুধু তুমি চলে চাও তাহলেই হবে। অন্য কিচ্ছু লাগবে না। আর তোমার থাকার মত এখানে কোনো জায়গাও নেই।

-নাহ আমি থাকব। আর নিজের জায়গা নিজেই করে নিব। এটা নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না। আর কি বলব বুঝতে পারছি না। তাই চুপ করে আছি। কিছুক্ষন চুপ থাকার পর সে নিজেই নীরবতা ভেঙ্গে বললো, -আচ্ছা আমি যেতে পারি এক শর্তে -কি শর্ত? (সাথে সাথেই বললাম) -তুমি যদি আজকে আর কোনো সিগারেট না ধরো তাহলেই শুধু আমি যাব। এছাড়া আর কোনো অপশন নাই। -হেহেহে হেহে পার্টির মেইন হোস্ট ই হচ্ছি আমি। আর আমি ই যদি সুবোধ বালক হয়ে থাকি তাহলে কেমনে হবে? সরি তোমার এই কন্ডিশন মানতে পারছি না। (কতক্ষন মুখ ভরে হেসে নিয়ে তারপর বললাম) -ওকে ফাইন। তাহলে আমিও যাচ্ছি না। -ওকে আমিও হাল ছেড়ে দিলাম। দেখা যাক এখন কি হয়।

সবাই ইতোমধ্যে চলে এসেছে। চারদিকে এক পলক তাকিয়ে নিলাম। এক এক জন এক এক কাজে ব্যস্ত। কেউ কেউ ছবি তুলছে, কেউ ছবি তুলে দিচ্ছে, কেউবা আড্ডায় ব্যস্ত ইত্যাদি ইত্যাদি। এক কোণে দেখি পুর্না দাঁড়িয়ে আছে। অন্য কোনো মেয়ে হলে অবশ্য সবাই গিয়ে অনেক কিছুই বলতো। কিন্তু এখানের বেশিরভাগই ওকে চিনে। ওরা ধরেই নিয়েছে যে ও আমার গার্লফ্রেন্ড তাই হয়তো কেউ কিছু বলার সাহস করে নি। যদিও পুর্নাকে এখানে খুব বেমানান লাগছে। আমি এটা খুব ভাল করেই বুঝি যে, মেয়েটা আমার ভালো চায়। কিন্তু সবকিছু তো আর ভালো দিয়ে হয় না। না না মেয়েটাকে আর এভাবে একা থাকতে দেয়াটা ঠিক হবে না। এবার ওর কাছে যাওয়া্ উচিত। পুর্নার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। বললাম, -আমি বলেছিলাম তোমাকে না থাকতে। তবে এই কষ্টটা হতো না। -নাহ আমার মোটেও কষ্ট হচ্ছে না (নিজেকে সুখী প্রমাণ করার ব্যর্থ চেষ্টা) -যাইহোক এখন বাসায় চলে যাও।

প্রায় এগারোটার মত বেজে গেছে। -উহু শেষ হোক। আমি আগেই বলেছিলাম। -আমি কিন্তু তোমার কথা রেখেছি। এখন পর্যন্ত কোনো সিগারেট খাই নি। তাই তুমিও তোমার কথা রেখে এখন চলে যাও। -হু জানি। তোমার দিকেই আমার চোখ ছিল বেশিরভাগ সময়। -হু তো? -তো কথা হচ্ছে আমি চলে গেলে যে খাবা না, সেটার গ্যারান্টি কি? -এতক্ষন যেহেতু খাই নি, সো বাকি সময়টাও এমনেই কাটিয়ে দিব। -সত্যি তো? -সত্যি -প্রমিজ? -প্রমিজ করি না আমি। কিন্তু হ্যা সত্যিই খাব না। -আচ্ছা ঠিক আছে, যাচ্ছি তবে। -অনেক ধন্যবাদ। আসো তোমাকে পৌঁছে দেই। বাসা কাছেই। সাত নম্বর সেক্টরে। আর আমাদের প্রোগ্রাম হচ্ছে এগারো তে। ওর বাসার সামনে পর্যন্ত গেলাম। বিদায় দেওয়ার সময় সে আবার ঠিকই তার কন্ডিশনের কথা মনে করিয়ে দিল। আমি মাথা নেড়ে সাঁয় দিয়ে চলে আসলাম।

ওকে বাসায় দিয়ে আসার পর ভাবতেছি কি করা যায়। কোনটা ছাড়ি কিংবা কোনটা ধরি। কিছুই মাথায় আসছে না। নিজেকেও অনেক কষ্টে এতক্ষন পর্যন্ত সিগারেট থেকে দূরে রেখেছি। বাকি টাইমটাও হয়তো চেষ্টা করলে পারব। মানুষ পারে না এমন কোনো কাজ নেই। কিন্তু নিজের উপর প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। এই মেয়ে মানুষ হচ্ছে যত ঝামেলার মূল। ধুররর আমার সব প্ল্যান ই ভেস্তে দিল। যদিও আমি ওর কথা না রাখলেও সে দেখতে আসছে না। তাও শত খারাপ হলেও আমি কাউকে দেয়া কথার কোনো খেলাপ করি না। আস্তে আস্তে মেজাজ আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এখানে থাকলে হয়তো কিছু একটা ঘটিয়ে ফেলতে পারি। তাই আমার বন্ধুকে সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে আমিও বাসায় চলে আসছি।

কোনরকম বাসায় এসেই কম্বল জড়িয়ে শুয়ে পড়লাম। খুব অস্থির অস্থির লাগছে। মনে হচ্ছে না যে ঘুম আসবে। কিন্তু হঠাৎ করেই চোখের সামনে নিজের ছোটবেলার স্মৃতিগুলো ভেসে উঠলো। তখন তো আমার মধ্যে এত জটিলতা ছিল না। নম্র-ভদ্র হিসেবেই বেশ পরিচিত ছিলাম। আর এখন কেন নিজেকে এসব পথে জড়িয়ে ফেলছি। আমার খুব প্রিয় একটা ভাই এর কথাও মনে হল। রিফাত ভাই। অনেক ভালবাসতো আমাকে। তার সাথেই তখন দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাতাম। কিন্তু ওনার একটা বাজে স্বভাব ছিল। সে অত্যধিক হারে নেশা করতো।

তার তিনবেলা না খেলেও চলবে কিন্তু পুড়িয়া, গাঁজা এগুলো লাগবেই লাগবে। আর সিগারেট কি পরিমাণে যে খেত সেটা বলা মুশকিল। এসব ছাড়া সে এক মুহুর্তও থাকতে পারতো না। তখন তার বয়স ৩০ এর মত হবে। একদিন খুব ভোরে হঠাৎ ই তার প্রচন্ড বুকের ব্যথা উঠে। সেদিনও আমি তার কাছেই ছিলাম। অসহ্য ব্যাথায় সে কাঁতরাচ্ছিল। তাড়াতাড়ি করে ওনাকে হসপিটালে নেয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম। বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় উঠার আগেই ওইদিন আমার ভাইটি না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিল। নিজের চোখকেই তখন বিশ্বাস হয় নি। মুহুর্তের মধ্যেই কেমনে যেন সব ঘটে গেল। খুব কান্না করেছিলাম সেদিন। কিন্তু কি আর করা, যে চলে যাবার সে তো যাবেই। তাকে শত চেষ্টা করেও আটকে রাখা যাবে না। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।

মনের অজান্তেই এখন আমার অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। ছেলে মানুষের নাকি কান্না করতে নেই। কিন্তু কান্না চলে আসলে তো আর কিছু করার থাকে না। যাইহোক আমার সাথেও যদি কখনো এমন হয় তাহলে কি হবে। হ্যা কান্না তো করবেই কয়েকজন মানুষ। আম্মু, আব্বু, আপু। এই তিনটি মুখ। আর পুর্নাও কি কাঁদবে? হয়তো কাঁদবে। নাহ থাক, আমি চাইনা যে আমার জন্য কেউ এমনে কাঁদুক। কাল থেকে আমার জীবনের নতুন ভোর হলেও হতে পারে। দেখা যাক। আজকে ফজরের আজান শুনেই ঘুমটা ভেঙ্গে যায়। এই ছোট্ট ঘুমে রিফাত ভাইকেও স্বপ্নে দেখলাম। অবশ্য স্বপ্নের মধ্যে তাকে বেশ হাসি-খুশি রূপেই দেখা গেল। আমিও চাই আমার প্রিয় মুখগুলো যেন সারাজীবন হাসি-খুশিতেই থাকে।

ঘুমটা যখন ভেঙ্গেই গেল তাই ভাবলাম ভালো কিছু দিয়েই দিনের শুরুটা করা যাক। তাই উঠে গেলাম। নামায শেষ করে এসে ড্রয়ার থেকে লাইটার আর গোল্ডলিফের প্যাকেট টা বের করে হাতে নিলাম। হাতে নিয়ে ছোট্ট একটা হাসি দিয়ে জানালার গ্রীলের ফাঁক দিয়ে ছোঁড়ে বাইরে ফেলে দিলাম। হু এই ফেলে দেওয়া জিনিসগুলো না হয় এখন থেকে শুধু অতীত হয়েই থাকুক। ভবিষ্যৎ টায় ওই সামনের রাস্তা ধরেই এগিয়ে যেতে হবে। পথে থাকা স্পিড ব্রেকারে মোটেও কোনো হোঁচট খাওয়া চলবে না।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত