মাতৃত্ব

মাতৃত্ব

আমি কখনো মা হতে পারবোনা। তা জেনেও আমাকে বিয়ে করলেন কেন? বাসর রাতে এমন একটা প্রশ্নের আশা হয়তো করেনি আমার বর।তারপরেও আমি তার উত্তরের আশায় আছি।জেনে শুনে কেন সে আমাকে বিয়ে করলো আমাকে জানতেই হবে।সে আমার দিকে না তাকিয়েই শেরোয়ানি খুলতে খুলতে উত্তর দিলো।

: কারন আমি বাবা হতে চাইনা।আমি চাইনা নতুন করে কোন বন্ধনে জড়াতে।মায়ের কথা রাখতেই বিয়েটা আমি করেছি।মায়ের এই বাড়ির বৌ প্রয়োজন আর তোমার একটা স্থায়ী ঠিকানা।সো যে যার প্রয়োজন মেটাও। নিজের মত থাকো।অনেক রাত হয়েছে শুয়ে পরো

: আর আপনি?
: তোমাকে একটা কথা বলছি ভালোকরে মাথায় বসিয়ে নাও।তুমি শুধু এই বাড়ির বৌ।আমার স্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করোনা।আমার কোন বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে।শুয়ে পরো…

মানুষটা একটি বার আমার দিকে তাকালোওনা।শেরোয়ানি টা খুলে সোফার উপর ছুরে ফেলে একটা টিশার্ট হাতে নিয়ে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।তার যাওয়ার পথে চেয়ে আছি।তার এমন আচরনের কারন না জানলেও এটা জেনে গেছি তার এই যাওয়ার পথ ধরেই আমার জিবনে নতুন কোন ঝড় আসতে চলেছে।

সমবয়সী বান্ধবী / বোনেদের কাছে তাদের বাসর রাতের অনেক গল্প শুনেছি কখনো ভাবিনি নিজের বাসরের গল্পটা এমন হবে।যা কাউকে শোনানো যাবেনা। বেচে থাকাটা যে এতো কঠিন তা মা বেচে থাকতে বুজিনি।মা চলে যেতেই সমাজ হাতে কলমে শিখিয়ে দিয়েছে বেচে থাকাটা কত কঠিন।এইস এস সি পরিক্ষার পরপর মা এক ভোরে জেগে না উঠায় মাকে ডাকতে গিয়ে গায়ে হাত দিতেই আমার সারা শরীর শিতল হয়ে গেলো।মা নেই কথাটা বিশ্বাস করতে পারছিলামনা।

আর বাবা সেতো বরাবরই সংসারের প্রতি উদাসীন। পাশের মানুষটা ঘুমের ঘরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরলো অথচ লোকটা বুজতেও পারলোনা।সংসারের হাল ধরার অযুহাতে আমার সব আত্মীয় স্বজন মিলে বাবার বিয়ে দিলেন তাও মায়ের মৃত্যুর চল্লিশ দিন না যেতেই। যদিও আমি তখন যথেষ্ট বড় সব বুজার জন্য তাও মাকে ছাড়া যেন চারদিক অন্ধকার হয়ে যেত।আর সকলের মত আমার বাবার বিয়ে করা বউ বাবার স্ত্রী হয়েছে ঠিকই কিন্তু আমার মা হতে তার কোন ইচ্ছা নেই।

উনি আসার মাস খানেকের মধ্যেই আমার বিয়ে নিয়ে খুব তোরজোড় করতে লাগলো।কয়েকটা ঘটককেও বলে রেখেছে পাত্র দেখতে।একদিন সকালে এসে বললো আমার মায়ের কোন জিনিস যদি আমার প্রয়োজন হয় তবে তা রাখতে বাকিসব উনি দান করে দিবেন মৃত মানুষের কিছু রেখে উনি সংসারে অকল্যাণ আনতে চাননা।মায়ের আলমারি খুলে যদিও তেমন কিছুই পাইনি।হয়তো মায়ের শাড়ি গয়না দান করার মত সৎ সাহস উনার হয়ে উঠেনি।মায়ের প্রতিটা জিনিসে এখনো যেন মায়ের গন্ধ লেগে আছে।কি রাখবো কি রাখবোনা ভেবে পাচ্ছিলামনা।যেসকল জিনিসে মায়ের হাতের ছোয়া বেশি লেগে আছে তেমন কিছু জিনিস নিজের কাছে রাখলাম।

ইতিমধ্যে কয়েকদফা পাত্র পক্ষ এসে দেখে গেছে আমাকে।মোটামোটি বিয়ে প্রায় ঠিকই করে ফেলেছে আমার বাবার স্ত্রী ।বাবাকে বলেও কোন লাভ হবেনা।তাই যা হচ্ছে তা ভাগ্য মনে করে চুপচাপ মেনে নিচ্ছি।এই বাড়িতে আমার স্থান হবেনা সেটা বুজতে পারছি।আর কিছু না হোক অন্তত সাথে করে মায়ের কিছু স্মৃতি সাথে নিতে চাই।মায়ের জিনিস গোছাতে গিয়ে হঠাৎ একটা ফাইল চোখে পরলো খুলে দেখলাম আমার নাম লেখা।আর ডাক্তারের নামটাও পরিচিত।তখনি মনে পরলো মা নিয়ে গেছিলো আমাকে উনার কাছে পেট ব্যাথার জন্য।কিন্তু এসব রিপোর্টের কথাতো মা বলেনি।আর সেদিনের পর থেকে মা কেমন যেন হয়ে গিয়েছিলো।কি যেন ভাবতো লুকিয়ে কাদতো।মনে একটা কৌতুহল নাড়া দিলো।ফোন করে ডাক্তারের কাছে গেলাম রিপোর্ট গুলো নিয়ে।আমার সিরিয়াল আসলে ভেতরে ডাকলো। ডাক্তারের সামনে বসে আছি।উনি জিগ্যেস করলেন কি সমস্যা। ফাইলটা এগিয়ে দিয়ে বললাম

: এটায় আমার নাম লেখা। আমি জানতে চাই এটা কিসের রিপোর্ট?
: এটাতো অনেক আগের রিপোর্ট।এতোদিন পর আসছো রিপোর্ট দেখাতে?
: আমি জানতামনা এটার সম্পর্কে। আসলে মা…..
: ও মনে পরেছে।তোমার মা এসেছিলো রিপোর্ট নিয়ে।তোমার মা তোমাকে কিছু বলেনি?
: না। কি হয়েছে ডাক্তার?
:তোমার কখনো পিরিয়ড হয়েছিল?
:ইয়ে মানে না।

: তো তোমার কাছে বিষয়টা অস্বাভাবিক লাগেনি?
: লেগেছে। কিন্তু মা বললো কারো কারো দেরিতে হয়।
: বুজেছি তোমার মা তোমাকে কিছুই বলেনি।আসলে আমি অনেক দুক্ষিত তোমাকে বেপার গুলি বলতে হচ্ছে।তবে তোমার নিজের বেপারে ক্লিয়ার থাকা উচিৎ।
:আমি কিছুই বলতে পারছিনা।ডাক্তার মাকে কি বলেছে বা আমার কি হয়েছে কিছুই বুজতে পারছিনা।ডাক্তার মলীন মুখে বললেন

: আসলে তুমি কখনো মা হতে পারবেনা।ডাক্তারের মুখে কথাটা শুনে পায়ের নিচ থেকে যেন মাটি সরে গেলো।চোখ থেকে আপনাআপনি পানি পরছে। ডাক্তার সান্তনা দিয়ে বললেন

: প্লিস শক্ত হও।এটা কোন রোগ নয় বা লজ্জার ও নয়।তোমার জন্ম থেকেই জরায়ু নেই।এটা অনেকের হয়।আল্লাহ পাক সবাইকেই কিছু থেকে বঞ্চিত করেন তবে তার একশত গুন অন্যভাবে দেন।তোমার জরায়ু জন্মগত ভাবেই তৈরী হয়নি।একে মেডিকেল এর ভাষায় বলে, মুলারিয়ান এজেনেসিস।এই কারনে তোমার পিরিয়ড হয়নি।আর এটা তো চোখ বা কিডনির মতন অর্গান নয়।প্রতিস্থাপন করা যায় তবে তা খুব ব্যয়বহুল।আর বাংলাদেশ এ পসিবল ও নয়।দেখ এখানে তো তোমার দোষ নেই তাইনা।আসলে শিশু মেয়ে ভ্রুন অবস্থায় মুরারিয়ান ডাক্ট থেকে জরায়ু, ফেলোপিয়ান টিউব, এবং যোনী তৈরী হয়।কোন কারনে তা তৈরী হয়না বা ডেভলপ হয়না।তাই জরায়ুর কার্যক্ষমতা হারায়।একে প্রাইমারী এমোনিয়া ডিউ টু মুলারিয়ান এজেনেসেস বলে।

আজকাল বাচ্চা এডপ্ট নেয়া যায়, টেষ্টটিউব বেবি নেয়।কত উপায় আছে সেখানে এত হতাশার কিছু নেই।বিয়ে মানেই তো বাচ্চা জন্ম দেয়া না তাইনা। দেখো পুরুষ এর ও শারীরিক অক্ষমথা যেমন আছে তার ও চিকিৎসা আছে তেমনি এর ও চিকিৎসা আছে। ডাক্তারের কোন কথাই আমার কানে যাচ্ছেনা। আমার বুক ফেটে কান্না আসছে।সারাজিবন শুনেছি নারী তখনই পরিপূর্ণ হয় যখন সে মা হয়।তবেকি আমি এক অপূর্ণ নারী হয়ে থাকবো?মুহুর্তেই চোখের সামনে সব স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে যেতে দেখছিলাম। ডাক্তার উঠে এসে আমার কাধে হাত রেখে বললো

: এতো ভেঙ্গে পরোনা।তোমার সামনে এখনো পুরো জিবন পরে আছে।সব মানুষেরই কোন না কোন অক্ষমতা থাকে।তারমানে এই নয় যে জিবন থেমে যাবে।মা হওয়াটাই একজন নারীর জন্য সব না।একজন নারী প্রথমে মা হয় তার মনে।মনে যদি মাতৃত্ব থাকে তাহলে দেখো যেকোন একটা উপায়ে তুমি ঠিকই মা হতে পারবে।নিজেকে শক্ত করো। ডাক্তারের কথার কোন উত্তর দিতে পারিনি শুধু তাকে জরিয়ে ধরে খুব কেদেছিলাম। ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে বাড়ির পথে হাটা ধরলাম।মায়ের বলা কথাগুলো বারবার কানে বাজচ্ছে।তখন মায়ের কথাগুলো বলার কারন খুজে না পেলেও আজ পাচ্ছি।মা প্রায় আমাকে বুজাতো

দেখ মনি… একটা মেয়েকে জিবনে অনেককিছু সহ্য করতে হয়।সব মানুষের মাঝে সব গুন একসাথে থাকেনা।আমাদের সবাইকে আল্লাহ রব্বুল আলামীন কোন কোন দুর্বলতা দিয়েছে।আবার সেই দুর্বলতা দুর করার জন্য অন্য কোন ক্ষমতাও দিয়েছে।কোন একটা দুর্বলতার জন্য নিজেকে কখনো ছোট মনে করবিনা।আল্লাহ আমাদের সৃষ্টির শ্রেষ্ট জিব বানিয়েছেন। আমাদের বিবেক বুদ্ধি ধৈর্য শক্তি দান করেছেন।সেসব কাজে লাগিয়ে নিজের দুর্বলতাকে দুর করতে হবে।যেকোন পরিস্থিতে হোক সেটা কঠিন বা সহজ সবসময় ধৈর্য ধারন করে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে তা মোকাবিলা করবি।

বাড়িতে এসে দেখি পাত্রপক্ষ বিয়ের সব জিনিস নিয়ে এসেছে পরশু আমার বিয়ে।কিন্তু এতোবড় একটা কথা না জানিয়ে কিকরে বিয়ে করবো।কি করবো ভেবে পাচ্ছিলামনা।নিজের অক্ষমতার কথা লজ্জায় বলতেও পারছিলামনা।আমাদের সমাজে যাই ঘটুক লজ্জাটা কেবল নারীর হোক সেটা বিয়ে ভাঙ্গা কিংবা ধর্ষণ অথবা মা না হতে পারা সবকিছুর লজ্জার বোঝাটা নারীকেই নিতে হয়।

যতযাই হোক কাওকে অন্ধকারে রেখে নিজের জিবনের নতুন অধ্যায় শুরু করা আমার দ্বারা অসম্ভব। অনেক কষ্টে হবু বরের ফোন নাম্বার যোগার করে বাইরে গিয়ে ফোনের দোকান থেকে কল করে সবটা তাকে জানালাম।মিথ্যা দিয়ে শুরু কোন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কখনো ভালো হতে পারেনা। পরদিন গায়ে হলুদ লাগার আগেই পাত্রপক্ষ এসে বিয়ে ভেঙ্গে দিলো।তবে একটা উপকার করেছে ভদ্রলোক বিয়ে ভাঙ্গার সঠিক কারনটা আমার বাড়ির কাউকে বলেনি। বিয়ের জন্য দেয়া শাড়ি গয়না ফেরত যাওয়ায় আমার বাবার স্ত্রী আমাকে অপয়া অলক্ষীর উপাধিতে ভূষিত করে অনেক ভালো ভালো কিছু কথা বলে গেলেন।

তারপরে আরো অনেক বিয়ের প্রস্তাব এসেছে কিন্তু আমার অক্ষমতা জেনে কেউ বিয়ের জন্য আগায়নি।হয়তো সবার বাচ্চা জন্ম দেয়ার জন্যই বৌ চাই। বংশের প্রদিপ বলে কথা। মা যাওয়ার পর প্রথম বাবার সাথে কথা বললাম।যেহেতু বিয়ে হচ্ছেইনা আর ভর্তিরও সময় আছে তাই অনেক বুজিয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম।পরাশোনায় নিজেকে যতটা সম্ভব ব্যস্ত রাখতাম যাতে এসব কথা মনে না পরে।তার পরেও দিন শেষে নিজের মনের কাছে ধরা দিতেই হতো।মাকে খুব মনে পরতো।

হঠাৎ এক সকালে বাবার স্ত্রী তারাতারি উঠে তৈরী হতে বললেন ।বুজতে পারছিলাম তার অতি উৎসাহের কারনটা।সাধারন একটা জামা পরেই বসার ঘরে গেলাম।একজন মহিলা বসে আছে সাথে একটা ছেলে এক নজর তাকিয়ে বুজতে পারছিলাম সে পাত্র। ভদ্রমহিলা আমাকে তার পাশে বসিয়ে কথা বলছেন।কিন্তু অবাক হলাম তার কথা শুনে বিগত দিনে আসা পাত্রপক্ষের মত উনি তেমন কোন প্রশ্ন করলেননা।আমার পছন্দ শখ এসব জানতে চাইলেন।এমনকি চুল হাত পা হাটা কিছুই দেখতে চাইলোনা।

পাত্রের সাথে আলাদা করে কথা বলতে আমাদের বারান্দায় পাঠালো আমার ছোট ভাইকে দিয়ে।মা যাই হোক পিতাতো একজনই আর ভাইটা আমাকে অনেক ভালোবাসে।।লোকটার সামনে বসে আছি লোকটা একবারো চোখতুলে তাকায়নি কিছু বলাতো দুর।কথা না বাড়িয়ে নিজেই নিজের অক্ষমতার কথা তাকে জানালাম।কথাটা শুনে লোকটা একবার আমার দিকে তাকিয়ে উঠে বসার ঘরে চলে এলো।বুজতে বাকি রইলোনা ইনিও স্বামী হতে চাননা বাবা হতে চান।ফলাফল জানাই ছিলো তাই উঠে আর নতুন কোন উপাধি পেতে এগিয়ে যাইনি। অবাক লাগছে সন্ধা হয়ে গেছে এখনো সবকিছু এতো শান্ত কেনো।এই শান্ত পরিবেশটা বড় কোন ঝড়ের আভাস নয়তো? ?

রাতে খাবার টেবিলে অবাক করে দিয়ে বাবা বললো সকালে যারা এসেছিলো তারা বিয়েতে রাজি।সামনের শুক্রবারে বিয়ে।আমি চলে যাবো সেই খুশিতে বাবার স্ত্রী রিতিমত আনন্দে ফুটছেন।সব জেনেও কেন বিয়েতে রাজি হলেন সেটাই মাথায় ঢুকছেনা।অনেক চেষ্টা করেও তাদের কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি।দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে এলো।হলুদ দিয়ে গোসল করিয়ে সেই বিকেল থেকে আমাকে একপ্রকার নজর বন্দি করে রেখেছে বাবার স্ত্রী।তার ধারনা আমি বিয়ে ভাঙ্গতে কিছুনা না কিছু করবোই।বিয়েবাড়ির হৈচৈ কিছুই আমার ভালো লাগছেনা।মনের মধ্যে একটা কথাই খচখচ করছে বংশ রক্ষার ক্ষমতা নেই জেনেও কেন বিয়ে করছেন ভদ্রলোক।বিয়ের পর বিদায়ের সময় ভাইটাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কেদেছি।বাবার চোখে পানি দেখে কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। এই বাড়িতে বরন করে সব নিয়ম কানুন শেষ করে বাসর ঘরে বসিয়ে দিয়ে গেল কয়েকজন মিলে ঘড়িতে রাত ১:১০। দেহের ক্লান্তির চাইতে মনের ক্লান্তি বেশি ভর করছে।মনটাকে অস্থির করে দেয়া প্রশ্নটার উত্তর জানতে এতোটাই মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম যে মানুষটা ঘরে আসতেই প্রশ্নটা করে বসলাম।

দুর থেকে মোয়াজ্জিনের আযানের শব্দে ঘোর কাটলো।বারান্দা থেকে রুমে ঢুকতেই বিছানার দিকে চোখ গেলো।ফুলগুলো তাদের সৌন্দর্য হারিয়ে মলিন হয়ে গেছে নেই তাদের সেই মন মাতানো সৌরভ।কেউ হয়তো খুব যত্নকরে সাজিয়েছিলো এই বাসর।তার মনে হয়তো কামনা ছিলো এই ফুলের মত সুন্দর হবে আমার বাসররাত।এভাবেই ভালোবাসার সৌরভে ভরে উঠবে আমাদের দাম্পত্য জিবন।কিন্তু কোন কোন ফুল যে সৌরভ ছরানোর আগেই ঝরে যায়।যেমনটা আমি।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত