ভয়

ভয়

আজকে নীলার কলেজের প্রথম দিন। ভিতরে অনেকেটাই ভয় কাজ করছে,নতুন জায়গা,নতুন মুখ কেমন যে হয়। এক রাশ ভয় নিয়ে কলেজ গেট পার করে কলেজের ভিতরে ঢুকে ক্লাসে এসে বসলো। সবাই অপরিচিত, নীলা একাই একটা সিটে বসেছে,তার পাশে একটি মেয়ে এসে বসলো,সে নীলার নাম জানতে চায়,নীলাও তার পরিচয় জানলো,মেয়েটির নাম তমা, সে এই শহরেরই স্থানীয়,অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই তমা নামের মেয়েটির সাথে তার ভালই ভাব জমে গেছে,কিছুক্ষণ পর স্যার ক্লাসে আসলো, যথাসময়ে ক্লাস শেষও হলো,এরপর ক্লাসে নতুন জুনিয়রদের সাথে কলেজের কিছু সিনিয়র ভাইয়ারা পরিচিত হতে আসে,এসেই ক্লাসরুমে কয়েকজনকে যাগিং দেওয়া হয়,নীলা ওটা দেখে খুব ভয় পায় কারন সে এসবের সাথে পরিচিত নয়,নীলা মাথা নিচু করে ভয়ে কাপঁছে,ওটা দেখে একজন সিনিয়র ভাইয়া ওকে দাড় করালো,

-এই মেয়ে তুমি এত ভয় পাচ্ছো কেন? নাম কি? বাসা কোথায়?
– নীলা সেই ভাইয়ার দিকে ভালোভাবে না তাকিয়েই ভয়ে ভয়ে উত্তর দিল,

সেইদিনের মত নীলা কলেজ থেকে বাসায় আসে,পরেরদিন কলেজে গিয়ে জানতে পারে কয়েকজন সিনিয়র ভাইয়া নাকি তাকে ডেকেছে, কেন তা কেউ জানে না,নীলা ক্লাস শেষে তমাকে সাথে নিয়ে ভয়ে ভয়ে সেই সিনিয়রদের সাথে দেখা করতে যায়,এমনিতেই নীলা ছেলেদের সাথে তেমন একটা কথা বলে না,তারপর আবার কালকের ঘটনায় সিনিয়র মানেই ভয় এমন ধারণা হয়ে গেছে তার,এই সিনিয়র গুলো দুই বছরের বড় আর কাল যারা এসেছিলো তারা এমবিএ এর ছাত্র ছিলো, আজকে দেখা করা সিনিয়রদের মধ্যে থেকে গুন্ডাদের মত দেখতে একজন ছেলে নীলার ফোন নাম্বার চায় এবং নীলাকে প্রায়ই কলেজে আসা যাওয়ার সময় সে বিরক্ত করে,

নীলা ভয়ে কাউকে কিছু বলতেও পারে না,তারপর একদিন সেই ছেলে নীলাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ফেললো। নীলাকে নাকি তার প্রথম দেখাতেই ভালো লেগেছে,ভয়ে নীলা কিছুদিন কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দিলো,ইতিমধ্যে ক্লাসে নীলার তমা ছাড়াও প্রমি, কেয়া,মাশিয়াত এদের সাথে খুব ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়ে গেছে,তারা ফোন দিয়ে নীলার কলেজে না আসার কারন জানতে চাইলে এই বিষয়টা সে খুলে বলে,যে ভয়েই সে কলেজে যেতে পারছে না,নীলার বন্ধুরা নীলাকে অভয় দিয়ে তাকে কলেজে আসতে বলে এবং তারা এই ঘটনার কথা এমবিএ এর সেই সিনিয়র ভাইয়াদের বলে দেয়,সেই সিনিয়র ভাইয়ারা ওই ছেলেকে ডেকে অনেক কিছু বললো, এতে সে ক্ষেপে গিয়ে নীলাকে আরও অনেক কথা বলে ভয় দেখাতে থাকে,নীলা আবার কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দেয়,

এবার তার বন্ধুরা এই ঘটনার কথা স্যারদের বললে ওই ছেলেকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়,নীলা এতে খুব ভয় পেয়ে যায় যদি ওই ছেলে তার কোনো ক্ষতি করে,কিছুদিন কলেজে যাওয়া আসার পথে সে অনেক আতংকে ছিলো,কিন্তু না সে রকম কিছু হয় নি,গুন্ডা ছেলেটা নাকি এই শহর ছেড়ে চলে গেছে, নীলা এবার সাহস করে আবার নিয়মিত কলেজে যেতে শুরু করে,বন্ধুদের সাথে ভালোই কাটে যাচ্ছিলো দিন, এভাবেই কলেজের বনভোজনের সময় এসে গেলো,নীলা বন্ধুদের সাথে বনভোজনে যায়,পানিতে নীলার খুব ভয় কিন্তু বন্ধুদের জোড়াজুড়িতে নীলা শেষ পর্যন্ত নৌকাতে উঠে বসে, হঠাৎ করেই নীলা এদিক ওদিকে দেখতেই কিভাবে যেন নৌকা থেকে পরে গেল,সাঁতার না জানার কারনে পানিতে পরে নীলা হাবুডুবু খাচ্ছে,কয়েকজন ছাত্র নীলাকে পানি থেকে তুলে আনে,তারপর ওখানের প্রাথমিক চিকিৎসায় নীলা বেঁচে যায়,খুব ভয় পেয়েছিলো সে সেইদিন,

নীলা এখন একা বাসে করে কলেজে যাওয়া আসা করে, কিন্তু একা একা যাতায়াত করতে খুব ভয় লাগে তার,কারন বাসের লোকজন তার দিকে কিভাবে যেন তাকায়, ইদানিং রাস্তাতেও একা চলাফেরা করতে অনেক ভয় পায় সে,রাস্তায় কিছু কিছু ছেলে তার দিকে কেমন নজরে যেন তাকায় আবার মাঝে মাঝে খারাপ কিছু মন্তব্য করে,মেয়েদের এভাবে অসম্মান করা দেখে ছেলে জাতির প্রতি নীলার একটা ঘৃণা চলে এসেছে,এমনকি কলেজেও ছেলেদের সাথে তেমন একটা কথা বলে না, শুধুমাত্র ঘনিষ্ট কয়েকজন বন্ধু ছাড়া,,নীলা দেখতে মোটামুটি সুন্দরী আর পড়াশুনাতেও খুব ভালো বলা যায়,তারপর কলেজের অনেক ছেলেই নীলাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলো কিন্তু নীলা প্রেম ভালোবাসায় বিলিভ করে না বলেই এসবে আর কোনো পাত্তা দেয় নি, এমনি একদিন নীলা লাইব্রেরিতে বসে বই পড়ছিলো,তখন একটা ছেলে এসে নীলার সামনে বসলো। নীলা অনেক মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছিলো বলে সে আশেপাশে কিছুই খেয়াল করে নি। ছেলেটা তার হাতের কলমটা টেবিলের ওপর ফেললো। হঠাৎ টেবিলের ওপর কলম পড়ার শব্দ পেয়ে নীলা অনেক ভয় পেয়ে কেঁপে উঠে উপরের দিকে তাকায়,,ছেলেটা নীলার এভাবে ভয় পাওয়া দেখে বলছে,

-এখনো তুমি ভয় পাও নীলা,? নীলা ভয়ে ভয়ে তার দিকে তাকিয়ে বলছে,আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া, আপনি আমাকে চিনেন ভাইয়া,?

-ওয়ালাইকুম আসসালাম,হ্যা কেন চিনবো না,তুমিই তো সেই মেয়ে যে প্রথম দিন কলেজে এসে আমাদের দেখে ভয় পেয়েছিলে,আর আমি তোমাকে দাড় করিয়ে তোমার নাম জানতে চেয়েছিলাম,এমনকি কৌশিক তোমাকে অনেক বিরক্ত করতো বলে তুমি কলেজে আসাই বন্ধ করে দিয়েছিলে,তারপর তোমার বন্ধুরাই তোমার এই ঘটনার কথা আমাদের জানালে আমিসহ কয়েক মিলে ওকে অনেক ধোলাই দেই,কিন্ত তারপরও সে তোমার পিছু ছাড়ে নি,আরও বেশি বিরক্ত করতো,এরপর ওকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার পর তুমি আবার কলেজ আসতে শুরু করো।

নীলা : আপনি এত কিছু জানেন ভাইয়া,?

– হ্যাঁ,,শুধু তাই নয়,তুমি এত ভীতু যে কলেজ এর ক্যান্টিনে পর্যন্ত একা যাও না,সব সময় বান্ধুবী সাথে থাকে,আর এখন প্রতিদিন তোমার বাড়ির লোক তোমাকে কলেজে রাখতে আসে দেখি,

নীলা : জি ভাইয়া,,,,

– এত ভিতু ক্যান তুমি,? আর বনভোজনে গিয়ে নৌকা থেকে পরে গেলে কিভাবে?

নীলা : আপনি ওটাও জানেন ?

– এত বড় ঘটনা জানবো না,? আর এই লাইব্রেরিতে তো প্রায়ই দেখি তোমাকে, তুমি তো মনে হয় আমাকে চিনো না যে আমি তোমার ডিপার্টমেন্টের একজন সিনিয়র, আমার নাম টাও তো জানো না, সালাম দেওয়া তো দূরের কথা,,,!

নীলা : সরি ভাইয়া,

– অন্তত আমাকে তো চেনা উচিত ছিলো তোমার, তোমার কলেজের প্রথম দিন আমি তোমার নাম জানতে চেয়েছিলাম, ভয়ে তো আমার দিকে তাকিয়েও দেখো নি, চিনবে কিভাবে,,? এত ভয় পাও কেন সব সময়, এখনো কি আমার সাথে কথা বলতে ভয় লাগছে,?  নীলা ভয় পেতে চাইছে না তবুও বুক কাঁপছে,হার্টবিট বেরে গেছে,, তবুও সাহস করে উত্তর দিলো,,,জি না ভাইয়া,

,-হুম,গুড,,,,আমার নাম মেঘ,,এমবিএ এর ফাইনাল এক্সাম দিচ্ছি,আর মাত্র কয়েকদিন আছি এই ক্যম্পাসে, খুব মিস করবো এই লাইব্রেরিটাকে, প্রতিদিন এখানে আসতাম,চলো তোমার সাথে ক্যান্টিনে গিয়ে কফি খেতে খেতে কথা বলা যাক,তোমার ভয়টা কাটবে।

ক্যান্টিনে এসে নীলার সাথে মেঘের অনেক কথা হয়,,ছেলেটার চাহনি আর কথা বলার ধরন দেখে নীলা আর তাকে ভয় পাচ্ছে না,সিনিয়র হলেও মেয়েদের সাথে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে কথা বলে সেটা তার কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছে,,,,,সেইজন্য নীলা তাকে সহজ ভাবে নিয়েছে,,কথার মাঝ খানে নীলা কয়েকবার হেসে উঠলো,ছেলেটা দারুণ হাসাতে পারে মানুষকে,

বাসায় এসে নীলা মেঘের সাথে কাটানো সেই সময়টার কথা ভাবছে,এভাবে কোনো সিনিয়রের সাথে কোনোদিন কথা হয় নি,তাও আবার সে তার সব খোঁজ রেখেছে,ভাইয়াটাকে আগে ডিপার্টমেন্টে খেয়াল করে নি, খেয়াল করবে কিভাবে সে তো ভয় আর লজ্জাতে ছেলেদের দিকেই তাকায় না,এমনকি সিড়িতে আর কলেজের বারান্দা দিয়ে গেলেও সামনে তাকিয়ে হাটে,আশেপাশে তাকায় না,লাইব্রেরি,ক্যান্টিনে গেলেও যেখানে ছেলে বসা সেদিকে তাকায় না,,পরদিন কলেজে গিয়ে মাঠের এদিকে আসতেই সেই মেঘ ভাইয়ার সাথে নীলার আবার দেখা হয়,,নীলা সালাম দেয়,,,,ভাইয়াটাকে কালকের থেকে আজকে আরও সুন্দর লাগছে,,,,অনেক সুন্দর করে কথা বলতে পারে,,আর হাসিটাও দারুণ, নীলা মনে মনে ভাবছে,ইস এরকম একজন ভাইয়ার সাথে আগে কেন পরিচয় হলো না,,এখন তো সে কলেজ থেকে চলেই যাবে,

মেঘ: আমার ফোন নাম্বারটা রাখো,এই কলেজে কোনো প্রবলেমে পরলে আমাকে জানিয়ো,,নীলা বাসায় এসে মেঘ নামের ফেবু আইডি খুঁজে বের করে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দেয়,,তারপর মেঘের ফ্রেন্ড হয়,চলতে থাকে ফেবুতে অনেক কথা,,নীলার কেন জানি তার সাথে কথা বলতে খুব ভালো লাগে,মেঘ এর মাঝে নীলাকে কয়েকবার ফোন দেয়,,,মেঘের ক্যম্পাস লাইফের শেষ কয়েকদিন নীলার সাথে মেঘের দেখাও হয়,,নীলা তার সাথে অনেক কিছুই শেয়ার করেছে, তার সাথে এখন অনেক ভালো সম্পর্ক,,নীলা মনে মনে মেঘের প্রতি একটু দুর্বলই বলা যায়,সুদর্শন,অনেক ভালো ব্যবহার, মেয়েদের অনেক সম্মান দেয়,মনে মনে তো নীলা এমন ছেলেকেই নীলা চায়,,,,,

হঠাৎ করেই মেঘ একদিন নীলাকে তার ভালো লাগার কথাটা জানায়,,কিন্তু নীলা হ্যা অথবা না কিছুই বলছে না,,,,,মেঘকে ফিরিয়েও দিতে পারছে না আবার হ্যা ও বলছে পারছে না,,,,একটাই ভয় রিলেশন হওয়ায় পর মেঘ যদি কোনোদিন ওকে রেখে চলে যায়,,,,মনের মধ্যে অনেক ভয় নীলার,,,,এক সময় প্রেম ভালোবাসা বিলিভ করতো না,,,কিন্তু এখন মেঘের সাথে মেশার পর মেঘের প্রতি একটা টান সে অনুভব করছে,,,,,হয়তো এইটাই ভালোবাসা, মেঘ বুঝতে পেরেছে নীলা কেন তাকে এভাবে অপেক্ষা করাচ্ছে,,,,সে এটাও বুঝতে পেরেছে নীলার মনে আসলে ভয়টা কি,,তাই সে নীলার ভয়টা দূর করার চেষ্টা করতো,,,,অবেশেষে নীলার মনে মেঘ পুরোপুরি জায়গা করেই নিলো,,,,,শুরু হয়ে গেলো মেঘের সাথে নীলার প্রনয়,,,কিন্তু তারপরও নীলার মনে ভয় রয়েই গেছে,,মেঘকে হারাবার ভয়,,!

কয়েকমাস পর মেঘ অনেক ভালো একটা জব পেয়েছে,,আর হঠাৎ করেই মেঘ একদিন নীলাকে বলছে,তোমার সাথে আমার সম্পর্ক রাখা আর সম্ভব নয়,আমাকে ভুলে যাও,এসব শুনে নীলার মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো,,খুব কষ্ট হচ্ছে তার,,এই ভয়টাই তো পেয়েছিলো সে,বাসায় এসে অনেক কান্নাকাটি করে নীলা,ওইদিন নীলার পরিবার জানায়,তারা তার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে,ছেলে অনেক ভালো চাকুরি করে আর তার ছুটি বেশিদিন নেই তাই পরশু দিনই বিয়ের রেজিস্ট্রিটা সেরে ফেলতে চায়,,পারিবারের চাপে বাধ্য হয়ে নীলা বিয়েতে রাজি হয়,মনের মধ্যে আবার একটা ভয়ের বাসা বাধে,অচেনা অজানা মানুষের সাথে কিভাবে সে সংসার করবে, যাকে সে এত ভরসা করলো সেই তো তাকে রেখে চলে গেলো,দুইদিন পর বিয়ের কিছুক্ষণ আগে নীলা যখন তার বরকে দেখলো তার খুশি দেখে কে,,,,আরে এটা যে মেঘ,তার জীবনের প্রথম আর একমাত্র প্রনয়,,নীলা তার পরিবারকে মনে মনে অনেক ধন্যবাদ দেয়,মেঘের সাথে নীলার বিয়ে হয়ে যায়,বাবার বাড়িকে বিদায় দিয়ে নীলা মেঘদের বাড়িতে আসে,বিয়ের পর আজকে ওদের প্রথম রাত,

নীলা – তুমি আমার সাথে এমন করলে কেন,,?

মেঘ- হা হা হা,,,, তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য,,জব টা পাওয়ার পরই তোমার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব দেই আর উনারা সবাই রাজিও হয়ে যায়,,তারপর ভাবলাম ব্রেকাপ এর নাটক করে তোমাকে একটু ভয় দেখাই,,,তুমি তো সব সময় ভয় পাও কিনা,,,

নীলা – কাজটা ঠিক করো নাই,,পরশু থেকে আমি অনেক চিন্তায় ছিলাম আর অনেক কেদেঁছি,,

মেঘ- আর হবে না বাবু,সরি,,আর আমি কি তোমাকে রেখে যেতে পারি পাগলি,,,,অনেক ভালোবাসি আমি আমার এই ভিতু বউ কে,,,,আর আমাকে নিয়ে ভয় পেতে হবে না,কাদঁতেও হবে না,আজ থেকে তো সারাজীবনের জন্য আমি তোমারই হয়ে গেলাম,,, নীলা নিশ্চিন্তে মেঘের বুকে মাথা রেখে তার নতুন জীবন শুরু করলো,

,,,১ বছর পর,,,,আজকে নীলার ডেলিভারির দিন,মেঘ আর নীলার প্রথম সন্তান আজকেই এই পৃথিবীতে আসবে,,নীলা ওটিতে যাওয়ার আগে অনেক ভয় পাচ্ছে,,মেঘ নীলার হাত ধরে রেখেছে,আর বলছে, ভয় পেওনা আমি সাথে আছি,,মেঘের ভরসায় নীলা তার মনে সাহস জোগায়, ২ ঘন্টা পর মেঘ আর নীলার ঘর আলো করে আসে তাদের সেই ছোট্ট এক রাজপুত্র, মেঘ খুশিতে প্রথম বারের মত তাদের ছেলেকে কোলে নিয়ে বলছে,,,,,তোর মা,,,এতদিন আমাকে নিয়ে ভয় করতো আর এখন তুইও সাথে যুক্ত হলি বাবা,,,,,! নীলা মেঘের দিকে তাকিয়ে বলছে,, তুমি আর তোমার ভালোবাসা সাথে থাকলে আমি সব ভয়কে জয় করতে পারি মেঘ,,,! এভাবেই সারাজীবন অটুট থাকুক মেঘ আর নীলার ভালোবাসার বন্ধন,,,

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত