১০. আজ নতুন মাদ্রাসার ভীত দেয়ার দিন
আজ নতুন মাদ্রাসার ভীত দেয়ার দিন। তেঁড়া দেয়ার ফলে প্রচুর লোকের সমাগম হয়েছে। বড় রাস্তা থেকে মাদ্রাসা পর্যন্ত যে রাস্তা ছিল, সেটা দিয়ে গাড়ি আসবে না। হাবিব ডাক্তারের কথায় চেয়ারম্যান আগেই মাটি ফেলে রাস্তা চওড়া করিয়েছেন। বেলা দশটার সময় একটা বড় মাইক্রোবাস সেই রাস্তা দিয়ে ধীরে ধীরে এসে নির্দিষ্ট জায়গায় থামল।
গণ্যমান্য লোকেরা অভ্যর্থনা জানানোর জন্য গাড়ির কাছে এগিয়ে এলেন।
গাড়ি থেকে প্রথমে হাবিব ডাক্তারকে নামতে দেখে সবাই অবাক হল। তারপর চেয়ারম্যান নামার পর একে একে হাবিব ডাক্তারের দাদাজী হাসিবুর রহমান, বাবা খলিলুর রহমান ও তিন ভাই নামার পর নাদের আলিকে নামতে দেখে সবাই আর একবার অবাক হল। গাড়িতে তিনজন বোরখাপরা মেয়ে বসে রইল। তাদের মধ্যে একজন আতিকা আর অন্য দু’জন হাবিব ডাক্তারের দাদি ও মা। আতিকা বোরখা পরে রয়েছে। তাই তাকে কেউ চিনতে না পারলেও মুশতাক বিশ্বাস, পারভেজ ও আজরাফ হোসেন অনুমান করতে পারলেন, ওদের মধ্যে একজন নিশ্চয়ই আতিকা।
হাসিবুর রহমানের বয়স সত্তর হলেও সুঠাম দেহের অধিকারী। পাজামা পাঞ্জাবী, মাথায় টুপি ও পাকা চুল দাড়িতে তাকে দরবেশের মতো দেখাচ্ছে। গাড়ি থেকে নেমে সকলের উদ্দেশ্যে সালাম দিলেন।
যারা সামনে ছিলেন, তারা সালামের উত্তর দিয়ে একে একে হাত মোসাফাহা করলেন। চেয়ারম্যান গণ্যমান্য লোকদের সঙ্গে হাসিবুর রহমান ও তাঁর ছেলেদের পরিচয় করিয়ে দিলেন। তারপর হাসিবুর রহমানকে দেখিয়ে সমস্ত লোকজনদের উদ্দেশ্য করে বললেন, ইনিই এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তা ও দশ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। আজ ভীত দিতে এসেছেন। তারপর আজরাফ হোসেনকে বললেন, চলুন প্রথমে ভীত দেয়ার কাজটা সেরে ফেলি।
হাসিবুর রহমান তিনটে ইট গাঁথার পর মিস্ত্রীদের কাজ শুরু করতে বলে চেয়ারম্যানকে বললেন, সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়েছেন?
জি, ঐ যে সামনে দেখা যাচ্ছে। আপাতত দু’টো খুঁটি পুঁতে টাঙ্গান হয়েছে। বিল্ডিং হওয়ার পর প্রবেশ পথের গেটের উপর লিখে দেয়া হবে।
হাসিবুর রহমান প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুল (দঃ) এর উপর কয়েকবার দরুদ পাঠ করে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন, এই মাদ্রাসায় প্রথমে দাখিল (দশম) শ্রেণী পর্যন্ত এবং পর্যায়ক্রমে আলিম, ফাজিল ও কামিল চালু করা হবে। কমিটির সদস্যদের কাছে অনুরোধ করব, তারা যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিল্ডিং-এর কাজ শেষ করে ক্লাস শুরু করার ব্যবস্থা করেন। শিক্ষক নিয়োগের আগে আমরা আসব। আমরা আখলাকওয়ালা হাক্কানী আলেমদের শিক্ষক নিয়োগ করতে চাই। যারা ছাত্রদেরকেও আখলাকওয়ালা হাক্কানী আলেম গড়ে তুলবেন। এই মাদ্রাসা চালু হওয়ার পর মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হবে। তারপর হাবিব ডাক্তার চেয়ারম্যানকে এতিমখানা, ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য আবাসিক হোস্টেল ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে যে সব কথা বলেছিল, সেসব বলে বললেন, এইসব করার জন্য ইনশাআল্লাহ টাকা পয়সা আমি তো দেবই, আশা করব, তওফিক অনুযায়ী আপনারাও সাহায্য সহযোগিতা করবেন। আপনারা হয়তো ভাবছেন, আমি ঢাকার লোক হয়ে এই অজপাড়াগাঁয়ে এসব করছি কেন? তা হলে শুনুন, আমার মা মরহুমা জোহরা খানুম এই গ্রামেরই খাপাড়ার মেয়ে। আমার নানার নাম মরহুম সহিদুর রহমান খান। আমার আব্বার নাম মরহুম হারুন বিশ্বাস। আর দাদার নাম মরহুম রহিম বিশ্বাস। তারপর মায়ের মৃত্যু ও মৃত্যুর কারণ বলে বললেন, এখানে খাঁপাড়ার যারা মুরুব্বী লোক আছেন, তারা নিশ্চয় ঘটনাটা জানেন। ঘটনা যাই হোক না কেন, ধর্মীয় ও দেশের আইন অনুযায়ী আমি মরহুম হারুন বিশ্বাসের ছেলে এবং মুশতাক বিশ্বাসের বাবার সতেলা ভাই। পুত্র হিসাবে আমি মরহুম হারুন বিশ্বাসের সম্পত্তির অর্ধেক মালিক এবং আমার মা মরহুমা জোহরা খানুম স্ত্রী হিসাবে একের আট অংশের মালিক। এখন আপনারাই বলুন আমি এই সম্পত্তি দাবি করতে পারি কিনা? তারপর তিনি চুপ করে গেলেন।
মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার জন্য যিনি দশ লাখ টাকা দিয়েছেন, সেই দানবীর মহান ব্যক্তিকে দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ এসেছে। তারা হাসিবুর রহমানের কথা শুনে অল্পক্ষণের জন্য হতবাক হয়ে গেলেও একসঙ্গে বলে উঠল, নিশ্চয় আপনি দাবি করতে পারেন, এটা আপনার ন্যায্য দাবি। তারপর হট্টগোল শুরু হয়ে গেল।
হাসিবুর রহমান হাত তুলে সবাইকে চুপ করতে বলে বললেন, আপনারা হৈচৈ করবেন না। আমার আরো কিছু বলার আছে।
তার কথা শুনে মুহূর্তে সবাই নীরব হয়ে গেলে কেউ কিছু বলার আগে হাফেজিয়া মাদ্রাসার সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার বললেন, আপনার কথামতো আপনি সম্পত্তির হকদার; কিন্তু আপনিই যে হারুন বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রীর সন্তান, তার প্রমাণ দিতে হবে।
হাসিবুর রহমান বললেন, একটু আগে বলেছি, আমার মায়ের মৃত্যুর কারণ এই গ্রামের যারা বয়স্ক লোক তারা জানেন। আরো জানেন, আমার খালা আমাকে মানুষ করার জন্য নিয়ে চলে যান। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। আমি খালা খালুকেই নিজের মা বাবা বলে জানতাম। লেখাপড়া করিয়ে ব্যবসায় নামিয়ে যখন আমার বিয়ে দেবেন ঠিক করলেন তখন একদিন খালার সামনে খালু আমার আসল পরিচয় এবং কেন তারা আমাকে নিয়ে এসে মানুষ করেছেন, সব কিছু বললেন। তারপর একটা ডায়েরী আমার হাতে দিয়ে বললেন, এতে তোমার মা বাবার বংশের পরিচয় ও যা কিছু বললাম সব লেখা আছে। এর ভেতর তোমার শিশুকালের ফটোও আছে। সেই ডায়েরীটা ও আমার মায়ের খুনের মামলার কাগজপত্র কোর্ট থেকে তুলে এনেছি এবং দামুড়হুদা থানায় প্রথমে যে খুনের কেস দেয়া হয়েছিল, সেই কাগজপত্রের নকলও তুলে এনেছি। সেসব চেয়ারম্যান সাহেবকে দেখিয়েছি। আপনারাও দেখতে পারেন।
আব্দুল জব্বার আজরাফ হোসেন ও অন্যান্য কয়েকজন গণ্যমান্য বয়স্ক লোক সেসব কাগজপত্র ও ডায়েরী দেখে বললেন, হ্যাঁ, আপনি যা কিছু বলেছেন সব সত্য।
তারা থেমে যেতে চেয়ারম্যান সবকিছু মুশতাক বিশ্বাসের হাতে দিয়ে বললেন, আপনিও দেখুন।
হাসিবুর রহমানের কথা শুনে মুশতাক বিশ্বাস এত অবাক হয়েছেন যে, চেয়ারম্যানের কথা কানে গেল না। কাগজপত্র হাতে নিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলেন।
পারভেজ আব্বার পাশে ছিল। সে তার হাত থেকে সেগুলো নিয়ে পড়তে লাগল।
মুশতাক বিশ্বাসের মনের অবস্থা বুঝতে পেরে হাসিবুর রহমান বললেন, “মুসলমান হয়ে আর এক মুসলমানকে সবার সামনে অপদস্থ করা কোনো মুসলমানেরই উচিত নয়।” এটা হাদিসের কথা। মুশতাক বিশ্বাস আমার সতেলা ভাই এর ছেলে। তাকে গ্রামবাসীর কাছে আমিও অপদস্থ করতে চাই নি। একাকী এসব কথা বললে উনি বিশ্বাস করতেন না। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও একরকম বাধ্য হয়ে বলতে হয়েছে। তা ছাড়া আরো একটা কথা, যা সকলের জানা দরকার। বংশ মর্যাদা থাকা ভালো। তাই বলে অন্য বংশকে ছোট মনে করা উচিত নয়। কথায় আছে, “ব্যবহারে বংশের পরিচয়।” উচ্চ বংশের লোকদের যদি ব্যবহার খারাপ হয় অথবা চরিত্রহীন ও ধর্মের প্রতি উদাসীন হয়, আর অখ্যাত বংশের লোকেরা যদি ধার্মিক ও চরিত্রবান হয়, তা হলে ইসলামের দৃষ্টিতে ও সব মানুষের কাছে ঐ অখ্যাত বংশটাই উচ্চবংশ। আমাদের রাসুল (দঃ) বলেছেন, “এক মুসলমান অন্য মুসলমানের ভাই। তাদের একজনের শরীরে আঘাত লাগলে সারা বিশ্বের মুসলমান সেই আঘাত অনুভব করবে।” তাই কোনো কারণে যদি কারো সঙ্গে ঝগড়া বা মনোমালিন্য হয়, তা হলে তা জিইয়ে না রেখে তাড়াতাড়ি মিটিয়ে ফেলতে হবে। হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (দঃ) বলেছেন, “মুসলমান ঐ ব্যক্তি যাহার রসনা ও হস্ত হইতে অন্যান্য মুসলমানগণ নিরাপদ থাকে এবং বিশ্বাসী ঐ ব্যক্তি যাহার হাতে সকল লোকের ধন-প্রাণ নিরাপদ থাকে।”[ বর্ণনায় হযরত আব্বুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ)-বুখারী, মুসলিম।]
তাই বলব, শুধুমাত্র অন্য বংশের মেয়ে হওয়ার কারণে রহিম বিশ্বাস পুত্র বধূকে হত্যা করে যে পাপ করেছেন, ছেলে হারুন বিশ্বাস ও পোতা মুশতাক বিশ্বাসের তার প্রতিকার করে সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা উচিত ছিল। কিন্তু তারা তা করেন নি। আর সেই কাজটা করেছে হারুন বিশ্বাসের সতেলা ভাইয়ের চার পোতার ছোট পোতা হাবিবুর রহমান ওরফে আপনাদের হাবিব ডাক্তার। কি করেছে জানেন, এই গ্রামের খাঁ বংশের নাদের আলির সঙ্গে মুশতাক বিশ্বাসের মেয়ে আতিকার বিয়ে দিয়ে দুই বংশের শত্রুতা মিটিয়ে ফেলার রাস্তা করে দিয়েছে এবং এই এলাকার মানুষের মন জয় করে এখানে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার ব্যবস্থাও করেছে। তাকে এসব করার জন্য আমিই পাঠিয়েছিলাম। তার দ্বারা। আল্লাহ আমার মনের আশা পূরণ করেছেন। তাই তার পাক দরবারে জানাচ্ছি শত কোটি শুকরিয়া। আর সম্পত্তির দাবি করে মুশতাক বিশ্বাসের কাছে যে উকিল নোটিশ আমি পাঠিয়েছিলাম, তা মরহুম দাদাজী রহিম বিশ্বাসকে আল্লাহ যেন মাফ করে দেন সেই ব্যবস্থা করার জন্য। আল্লাহ আমাকে ধন ও মান অনেক দিয়েছেন। এখানকার সম্পত্তির উপর আমার এতটুকু লোভ নেই। মুশতাক বিশ্বাস মাদ্রাসায় পাঁচ বিঘে জমি ও পঁচিশ হাজার টাকা দান করেছেন জেনে খুব আনন্দিত হয়েছি। এর জাজা আল্লাহ তাকে দেবেন। এখন উনি যদি সতেলা দাদির নামে এই মাদ্রাসায় আরো দশ বিঘে জমি ও একলক্ষ টাকা দান করার ওয়াদা করেন এবং নাদের আলিকে সম্মানের সঙ্গে জামাই বলে গ্রহণ করেন, তা হলে আমি সম্পত্তির জন্য যে মামলা দায়ের করেছি, তা তুলে নেব। তারপর তিনি চুপ করে গেলেন।
হাসিবুর রহমানের দীর্ঘ কথাবার্তা শুনতে শুনতে মুশতাক বিশ্বাস ও পারভেজের অনেক আগেই ভুল ভেঙ্গে গেছে। তিনি থেমে যেতে পারভেজ আব্বার কানের কাছে মুখ নিয়ে অনুচ্চস্বরে বলল, এখন বুঝতে পারছি সমস্ত দোষ আমাদের পূর্বপুরুষদের। আমাদের উচিত হবে ওঁর কথায় রাজি হয়ে পূর্ব পুরুষদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা।
অপমানে ও অনুশোচনায় মুশতাক বিশ্বাসের তখন চোখ থেকে পানি পড়ছিল। কিছু বলতে পারলেন না।
আব্বার মনের অবস্থা বুঝতে পেরে পারভেজ হাসিবুর রহমানকে কদমবুসি করে বলল, আমিও আপনার পোতাদের একজন এবং আমার আব্বা আপনার ভাইপো। আমি তার হয়ে বলছি, আপনি যা কিছু বললেন, তা আমরা অবশ্যই করব।
হাসিবুর রহমান তাকে বুকে জড়িয়ে মাথায় চুমো খেয়ে দোয়া করে বললেন, আমার দ্বারা আল্লাহ যে তোমাদের ভুল ভাঙ্গিয়ে সত্যকে উপলব্ধি করার তওফিক দিলেন, সেজন্য তাঁর পাক দরবারে আবার শত কোটি শুকরিয়া জানাচ্ছি।
মুশতাক বিশ্বাস আর স্থির থাকতে পারলেন না। এগিয়ে এসে হাসিবুর রহমানকে কদমবুসি করে জড়িয়ে ধরে বললেন, আমাকে মাফ করে দিন চাচা। আমি পূর্ব-পুরুষদের পক্ষ থেকেও মাফ চাইছি। এতদিন আমার মন অজ্ঞানতার মেঘে ঢাকা ছিল। আল্লাহ আজ আপনার দ্বারা সেই মেঘের কোলে রোদ ফুটিয়ে জ্ঞানের চোখ খুলে দিলেন। সেজন্য আমিও তাঁর পাক দরবারে শত কোটি শুকরিয়া জানাচ্ছি।
হাসিবুর রহমানও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বললেন, সবকিছুই আল্লাহর ইশারা। তিনি যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন।
তিনি থেমে যেতে চেয়ারম্যান জনতার উদ্দেশ্যে বললেন, শুধু বিশ্বাসদের উপর থেকে নয়, এই এলাকার সমস্ত মানুষের মন যে অজ্ঞানতার মেঘে ঢাকা ছিল, আল্লাহ এই মহান ব্যক্তির দ্বারা সেই মেঘের কোলে রোদ ফুটিয়ে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিলেন। সেজন্য আমিও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।
জনতার মধ্য থেকে কে একজন বলে উঠল, “নারায়ে তাকবীর”।
সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জনতা একসাথে বলে উঠল, “আল্লাহু আকবার”।
এভাবে তিনবার বলার পর চেয়ারম্যান জনতার উদ্দেশ্যে বললেন, এবার আপনারা চলে যান। মেহমানদের বিশ্রাম দরকার।
জনতা চলে যেতে শুরু করলে হাসিবুর রহমান নাদের আলিকে কাছে ডেকে বললেন, যাও দাদু, তোমার শ্বশুর ও সমন্ধীকে সালাম করে মাফ চেয়ে নাও।
নাদের আলি শ্বশুর ও সমন্ধীকে সালাম করে মাফ চেয়ে অন্যান্য মুরুব্বীদেরকেও সালাম করল।
এবার চেয়ারম্যান হাসিবুর রহমানকে বললেন, গাড়িতে মেয়েরা এতক্ষণ বসে কষ্ট পাচ্ছেন। এখন সবাইকে নিয়ে আমার বাড়িতে চলুন। কিছু খাওয়া দাওয়া করে বিশ্রাম নেবেন।
হাসিবুর রহমান কিছু বলতে যাচ্ছিলেন। তার আগেই মুশতাক বিশ্বাস বললেন, তা হয় না চেয়ারম্যান সাহেব, ইনারা বিশ্বাস বাড়ির লোক, বিশ্বাস বাড়িতেই যাবেন। তা ছাড়া মনে হয়, গাড়িতে নিশ্চয় আতিকাও আছে। বিয়ের পর ফিরনীতে মেয়ে জামাই ও তাদের সঙ্গী সাথীরা মেয়ের বাবার বাড়িতেই উঠে। তারপর হাসিবুর রহমানের দিকে তাকিয়ে বললেন, ঠিক বলি নি চাচা?