এইচএসসি পরীক্ষার্থী

এইচএসসি পরীক্ষার্থী

লক প্রোফাইল থেকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসলে সাধারণত আমি এক্সেপ্ট করি না। তবে যদি মিউচুয়াল দশ বারোজন ফ্রেন্ড থাকে তাহলে চোখ বুজে এক্সেপ্ট করে নেই। আর যাদের রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করতে অস্বীকৃতি জানাই, তাদের ইনবক্সে আমার লেখা বহুল ব্যবহৃত নিচের ম্যাসেজটা পাঠাতে ভুল করি না__

‘বুঝলাম, আপনি আমার ফ্রেন্ড হতে চান। তাই সব ঢেকে রেখেছেন। কিন্তু আমি তো আপনার জাস্ট ফ্রেন্ড হতে চাই। তাই একটু খুলুন না প্লিজ! দেখি ভেতরে কী আছে।’ ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা হলো লক প্রোফাইলের সিংহভাগ মালিকিন। একদিন সুপ্তা আহমেদ হিয়া নামক একটা মেয়ে তার লক প্রোফাইল থেকে আমাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছিল। আমার উপরোক্ত ওই ম্যাসেজটি পেয়ে সেদিন সে রিপ্লাই করেছিল ‘আপনি আমার বন্ধুত্বের প্রস্তাবে রাজি হয়ে কবুল বলুন। তারপর আপনার ফেইসবুক ঘরে আমারে সসম্মানে আশ্রয় দিন। অতঃপর আমার গোপন সবকিছু দেখুন! কবুল ছাড়া দেখা বা দেখানো কি জায়েজ?’

এই প্রথম একটা মেয়ের কথার মারপ্যাঁচ অনেকটা আমার মতো দেখে দারুণ মুগ্ধ হলাম। তৎক্ষণাৎ তাকে আমার বাম পাঁজরের হাড্ডি ভাবতে শুরু করলাম। যেন হিয়া নামটা আমার বিয়া না করা অনাগত বউয়ের নাম। আমি তার রিপ্লাইয়ে কোনো প্রতিত্তুর না করে চুপচাপ ফ্রেন্ড রিকুয়েস্টটা এক্সেপ্ট করে নিলাম। তখন আমার মনের ঘরের একলা বারান্দায় বসে আমার আমিটা গুনগুনিয়ে গাইতে লাগলো রবি ঠাকুরের সেই অমর গানটি ‘আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাইনি তোমায় দেখতে আমি পাইনি, বাহির-পানে চোখ মেলেছিআমার হৃদয়-পানে চাইনি।’

ইদানীং তার সঙ্গে প্রায়শই হাই, হ্যালো হয়। মাঝেমধ্যে ব্যক্তিগত আলাপচারিতাও হয়। মেয়েটার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ, তার প্রোফাইল ঘুরে জেনেছি। আমি যে তার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি, এটা সে না বুঝলেও আমি ঠিকই বুঝতে পারছি। ব্যাপারটা নিয়ে আমার ওস্তাদ বিশ্ববিখ্যাত নারী গবেষক ডক্টর কবজ এ হুদার সঙ্গে একটু আলাপ করলাম। ঘটনা শোনা মাত্রই তিনি চেয়ার থেকে লাফ মেরে দাঁড়িয়ে গেলেন। যেন আকাশ ভেঙে ওনার মাথায় পড়েছে। উৎকন্ঠিত হয়ে বললেন__

‘করছিস কী? ভুলেও এই পথে পা বাড়াবি না। ফেইসবুকের প্রেম আর টাটা কোম্পানির ট্রাক এই দুইটা জিনিস থেকে সবসময় নিরাপদ দূরত্বে থাকবি। এই দুইটা জিনিস বেশিরভাগ সময় লাইনে থাকে না। কখন যে বেলাইনে গিয়ে ব্রেকফেল করে অঘটন ঘটায়, তার কোনো গ্যারান্টি নেই।’ ওস্তাদের এ ব্যাপারাটায় অনাগ্রহ দেখে বিরাট ধাক্কা খেলাম। গবেষক মানুষ, হুদাহুদি তো আর এসব বলছেন না। আমি ওস্তাদের পায়ের কাছে বসে টিনএইজ ছেলেদের মতো বলতে লাগলাম__

‘আমি আপনার কাছে গবেষণা শুনতে আসিনি। মেয়েটাকে যেভাবে হোক, আমার চাই’ই চাই। এখন আপনি আমাকে বুদ্ধি দেন বা উপায় দেখিয়ে দেন, কীভাবে জানবো মেয়েটা সিঙ্গেল নাকি ডাবল?’ ডক্টর হুদা একটা বেনসন সিগারেট ধরালেন। সিগারেট ফোঁকতে ফোঁকতে বললেন ‘জানা খুব সহজ। যেসব মেয়েদের প্রোফাইল পিকচার পুতুল, ফুল, পাখি, বিড়াল ও ছোট বাচ্চাদের ছবি দেয়া থাকে, তারা বেশিরভাগই অবিবাহিতা ও অল্পবয়সী হয়ে থাকে।’

– বুঝলাম। এবার বলেন হিয়ার ছবি কীভাবে দেখতে পাবো? তার ছবি তো সে ফেবুতে দেয় না।

‘সেটা এমনিতে একদিন দেখে ফেলবি। আজকালকার মেয়েরা একটু বেশিই মাথামোটা হয়। দেখবি কিছু মেয়েরা প্রোফাইল পিকচারে নিজেদের ছবি দেয় না, কিন্তু মাইডেতে একেক করে নিজেদের ফুল এলবাম আপলোড দিয়ে দেয়। ওরা আসলে কী টাইপের মেয়ে জানিস? ওরা হলো__ “রক্ত দেবো, তবু মশারি টাঙাবো না” টাইপের মেয়ে।’

– এখন তার ছবি দেখার জন্য মাইডেতে প্রতিদিন মুখিয়ে থাকতে হবে?

‘এছাড়া উপায় কী? তুই একজন লেখক। আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে তো আর ছবি চাইতে পারিস না! ব্যাপারটা লুচ্চামি হয়ে যায় না?’

– এটাই তো মূল সমস্যা ওস্তাদজি। তবে তার বয়স জানা খুবই দরকার। ছবি নাই’ই বা দেখলাম।

‘বয়স জানা তো সব চাইতে ইজি। তুই যখন কথা বলবি, তখন কথার প্রসঙ্গে তার ছোট বা বড়ো ভাই-বোনের বয়স জেনে নিবি। তারপর তাদের থেকে সে কতদিনের ছোট বা বড়ো তা জেনে নিলেই তো বয়স জেনে যাবি। আর যদি সে একা হয়। তার কোনও ভাই-বোন থাকে না। তাহলে তার বাবা মা’র বিয়ের সন জেনে নিবি। বিয়ের কতদিন পর তার জন্ম হয়েছে তা জেনে গেলেই তো তার বয়স জেনে যাবি। এমনও যদি হয়, সে তার বাবা মা’র বিয়ের সন তারিখ কিছুই জানে না। তাহলে তার মাইগ্রেন আছে কি না জেনে নিবি।

আজকালকার যুগে ৭০ভাগ মেয়েরাই মাইগ্রেনে ভোগে। প্রত্যেকে চায় এর থেকে চিরমুক্তি। তুই বলবি তোর পরিচিত এক কবিরাজ আছেন। যিনি কি না এক সপ্তাহের ভেতরে মাইগ্রেনের বংশ চিরতরে নির্মুল করে দিতে পারেন। এরজন্য লাগবে নিজের নাম, বয়স। বাবার নাম, বয়স। মায়ের নাম, বয়স এবং সাথে দুই হাজার টাকা। দেখবি গড়গড় করে সব বলে দেবে।’ আমি ওস্তাদের কথা মতো ওইদিন রাতে তার ইনবক্সে এই ডোজগুলো এপ্লাই করলাম। উপকার হওয়া দূরে থাক, বরং হিতে বিপরীত হলো। হিয়া আমার ম্যাসেঞ্জার ব্লক করে দিলো। ব্লক দেবার আগে একটা ম্যাসেজ দিয়ে গেলো__

‘আপনাকে আমি অনেক সম্মান করি। কারণ, আপনি একজন লেখক। কিন্তু আপনার এসব চালবাজি আচরণ আমার কাছে তেমন সুবিধার মনে হচ্ছে না বিধায় আপনাকে ব্লক না মেরে ম্যাসেঞ্জার ব্লক মারলাম। আর জেনে রাখুন, আমি আর দশটা মেয়েদের মতো নই। আপনি যতই চালাকি করেন না কেন? আপনি আমার নাম, বয়স এবং ঠিকানা কোনোটাই আমার কাছ থেকে জানতে পারবেন না।’ ডক্টর হুদাকে মনের দুঃখে ফোন দিলাম। ওস্তাদ আমারে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন ‘চিন্তা করিস না। মেয়েটা নিশ্চয় অল্পবয়সী এবং সুন্দরী। তাই তার এতো ভাব! দেখবি, তার সঙ্গে তোর ঠিকই ভাব হবে। শুধু ভাব না, অতি শিগগির বিয়েও হবে।’

আজকাল আমি মন মরা হয়ে থাকি। কিছুই ভাল্লাগেনা। আগে সে বুক রিভিউ যেগুলো তার ফেইসবুক ওয়ালে পোস্ট দিতো, মনোযোগ দিয়ে সবগুলো পড়তাম। ইদানীং যেগুলো পোস্ট দেয়, সেগুলো তেমন একটা ভাল্লাগেনা। এক সপ্তাহ যাবৎ সে ফেইসবুকে নেই। বারবার তার ওয়ালে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে। একটু আগে তার একটা স্ট্যাটাস দেখে আমার চোখে পানি চলে আসছে। এই খুশির সংবাদ ওস্তাদকে সঙ্গে সঙ্গে না জানালে ঘোর অন্যায় হবে! ‘ওস্তাদ, হিয়ার বয়স জেনে গেছি?’

– বলিস কী? কেমনে?

‘সে এবারকার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সে আজ স্ট্যাটাস দিছে___হে আল্লাহ, দয়া করে হিয়াকে এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করার তৌফিক দান করুন, আমিন। স্ট্যাটাসটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’

– তোরে আগে কইছিলাম না, মেয়েটার বয়স বেশি না। এবার প্রমাণ পাইছিস? এমনি এমনি কি আমি নারী গবেষক হইছি? যাকগে, এখন তো নিশ্চিত হলাম মেয়েটার বয়স আঠারো অথবা উনিশ চলছে। তোর মনের সঙ্গে খাপেখাপে মিলে গেছে। তুই তো চাইছিলি এইরকম বয়সের একটা মেয়ে। শেষ পর্যন্ত তো পেয়ে গেলি। ‘বয়স তো জানছি তার স্ট্যাটাস অনুমান করে, সে তো বলেনি। আচ্ছা ওস্তাদ, মেয়েরা তাদের বয়স লুকায় কেন?

– পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি মেয়েরা ডাক্তারের কাছেও নিজেদের বয়স লুকায়। পৃথিবীর আর কোনো দেশে এমন নজির আছে বলে আমার জানা নেই। আর তাই এই কেন এর উত্তর জানা নাই রে শিষ্য। ‘হুম, এখন বুঝলাম আপনি কেন মেয়েদের মাথামোটা বলেন। এবার একটা বুদ্ধি দিন, তার ঠিকানাটা কেমনে বের করা যায়? এইসএসসি পরীক্ষার পরে তাকে বিয়ের প্রস্তাবটা দিতে চাই।’

– ওকে, দিচ্ছি। তুই তো অনেক সাহিত্য গ্রুপের সাথে যুক্ত আছিস? ‘হ্যাঁ, আছি।’

– নিশ্চয় অনেক এডমিনের সাথে পরিচয় আছে? ‘হ্যাঁ আছে।’

– ওয়েলডান। এখন সেসব গ্রুপের মধ্যে সে যে গ্রুপে যুক্ত আছে, সেই গ্রুপের যে কোনো একটি গ্রুপ থেকে ‘বুক রিভিউ প্রতিযোগীতা’ এর আয়োজন করবি কোনো একজন পরিচিত এডমিনের সহযোগীতায়। আর ওই এডমিনকে আশ্বস্ত করবি এক থেকে দশের ভেতর থাকা বিজয়ীকে তুই গ্রুপের পক্ষ থেকে বই পুরস্কৃত করবি। আর এই পুরষ্কারের বিষয়টা সবার অজানা থাকবে। নিশ্চয় এর ভেতরে হিয়াও ঠিকে যাবে। আর তখন বিজয়ী সবার পাশাপাশি হিয়ার ঠিকানাও তুই পেয়ে যাবি।’

ওস্তাদের কথামতো এইচএসসি পরীক্ষার পরে একটা সাহিত্য গ্রুপের পক্ষ থেকে বুক রিভিউ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলো। সবার মতো হিয়াও অংশ নিলো। তার বুক রিভিউটা এতো চমৎকার হয়েছিল যে, এডমিন প্যানেল তাকে প্রথম বিজয়ী ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিল। পরিচিত এডমিন বিজয়ীদের নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার আমাকে দিয়ে বললো__ভাই, পুরস্কৃত বই গুলো বিজয়ীদের ঠিকানায় শিগগির পাঠিয়ে দেবেন।

হিয়ার প্রথম পুরস্কারের সঙ্গে আমি একটা চিরকুট লিখে দিলাম__’বলেছিলে বয়স, ঠিকানা, নাম্বার কিছুই পাবো না। পেয়ে তো গেলাম। তোমার ব্যক্তিগত নাম্বার এডমিনকে না দিয়ে মায়ের নাম্বার দেয়ায় বেশ মঙ্গল হয়েছে। তোমাদের এলাকার ঘটকের মাধ্যমে তোমার আম্মু আব্বুর সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন আমার বাবা- মা। আশা করি, দুদিন পর তোমাকে কনে দেখতে তাঁরা যাবেন। মজার ব্যাপার হলো, তুমি জানবেই না কে বা কারা তোমাকে দেখতে আসছিল। হয়তো বিয়ের তারিখও ঠিক হয়ে যাবে। যখন এই পার্সেলটা হাতে পাবে, তখন হয়তো তুমি বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছো। বলো তো, ক্যামন সারপ্রাইজ দিলাম? আমাদের বিয়ের তিনমাস চলছে। বিবাহিত জীবন বেশ ভালোই কাটছে। সুখ, খুনসুটির পাশাপাশি নব দম্পতির মতো পরিপাটি হয়েও দুজন থাকছি। একটু আগে আমার ওস্তাদ ফোন দিয়েছেন ‘কী রে, বিয়ে করে একেবারে লাপাত্তা হয়ে গেছিস যে। ভুলে যাসনে, এই বিয়ের পিছনে তোর ওস্তাদের অবদান সবচেয়ে বেশি।’

– না ওস্তাদ, মন ভালো নেই। ‘কেন রে, কী হয়েছে?’

– কিছু না, আবার কিছুও। হিয়ার প্রতি আজকাল আমার খুব একটা ফিলিং আসছে না। তাকে কেন জানি আমার বড়ো আপা বড়ো আপা লাগে। ‘ওসব কিছু না। ওটা পুরুষের চোখের একটা বদ রোগ। বিয়ের মাস দুই এক পরে সব পুরুষের এমন মনে হয়।’ আজ হিয়া অনেক খুশি। আমি মিষ্টি খেতে খুব একটা পছন্দ করি না। তবুও পাঁচটা মিষ্টি সে একেক করে আমার মুখে পুরে দিলো। আমি তার আনন্দ দেখে বললাম ‘উপলক্ষ্য কী?’

– একটা মহা খুশির সংবাদ আছে। তাই মিষ্টি খাওয়ালাম। আমি বউকে জড়িয়ে ধরে বললাম, তুমি মা হতে চলেছো আর আমি বাবা। এম আই রাইট? বউ আমার শিমুল বনের মতো লজ্জায় লাল হয়ে গিয়ে বললো, যাহ, এসব এতো তাড়াতাড়ি হয় নাকি?

– তাহলে কী? ‘বলবো?’

– হ্যাঁ, বলো। হুদাই টেনশান বাড়াচ্ছো কেন?

‘আমি দুই বছর আগে বেসরকারি কলেজ নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম। খুব ভালো ফলাফলও করেছিলাম। আর আজ এতদিন পরে একটা কলেজে প্রভাষক পদে নিয়োগ পাইছে। তাই এই খুশিতে তোমাকে অনেক গুলো মিষ্টি খাওয়ালাম। কী, খুশি হওনি?’ হিয়ার মুখে এমন অসহ্য আনন্দের কথা শুনে চোখে পানি চলে এলো। মিষ্টি গুলো বদহজম হতে লাগলো। বমি হবে হবে করছে। হয়েই যাবে হয়তো। দৌড়ালাম বাথরুমে। একগাদা বমি করছি। হিয়া আমার পিঠে মালিশ করছে আর বলছে, ‘মেয়েদের মতো হঠাৎ বমি করছো কেন?’ আমি দাঁতের নীচে রাগ পুঁতে রেখে বললাম, ‘আনন্দে, খুশির ঠেলায়, আমি বাবা হবো তাই!’

আমার ওস্তাদ নামের ভণ্ডকে ফোন দিচ্ছি, ফোন ধরছেন না। রাগে ক্ষোভে কিছু করতে না পেরে হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিলাম “বয়কট ভণ্ড ডক্টর কবজ এ হুদা” কিছুক্ষণ পরে দেখি এই স্ট্যাটাসে তিনি মন্তব্য করেছেন ‘প্রিয় শিষ্য, জানি না তুই আমার ওপর ক্যান ক্ষেইপা আছিস। কিন্তু আজ আমার একটা গবেষণা তোরে বলতে খুব ইচ্ছে করছে, যা কোনোদিন তোরে বলা হয় নাই। তা হলো রাস্তাঘাটে অপরিচিত কেউ কিছু দিলে ভুলেও খেতে নেই। আর ফেইসবুকে মেয়েদের দেয়া সব স্ট্যাটাস বিশ্বাস করতে নেই।’

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত