মেঘের কোলে রোদ: ০২. কুতুবপুর একটা বর্ধিষ্ণু গ্রাম

মেঘের কোলে রোদ: ০২. কুতুবপুর একটা বর্ধিষ্ণু গ্রাম

০২. কুতুবপুর একটা বর্ধিষ্ণু গ্রাম

বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তে কুতুবপুর একটা বর্ধিষ্ণু গ্রাম। কাটাবাগানপাড়া, বিশ্বাসপাড়া, খাঁপাড়া, দরগাতলা পাড়া, সূতাপাড়া, বইরাপাড়া, বাহাদুর পাড়া, মাঝপাড়া, পশ্চিমপাড়া, ভিটেপাড়া ও কামড়িপাড়া নামে এগারটা পাড়া নিয়ে এই গ্রাম। বিশ্বাসপাড়ায় কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুনসীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বইরাপাড়ায় হাফেজিয়া মাদ্রাসা আছে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ গরিব ও কৃষিজীবী। ইদানিং নানারকম ব্যবসা-বাণিজ্য করে অনেকের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে বিশ্বাসপাড়ার মানুষজনের অবস্থা আগের থেকে ভালো। কারো কারো একশ থেকে তিন চারশ বিঘে জমি-জায়গা আছে। মুশতাক বিশ্বাসের অবস্থা সবার থেকে ভালো। লেখাপড়া তেমন না জানলেও আর্থিক অবস্থার কারণে তিনি গ্রামের মাতব্বর। তার চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সেজ ছেলে পারভেজ ও ছোট মেয়ে আতিকা ছাড়া সবাই অল্প বয়সে মারা গেছে। পারভেজ বি.এ. পাশ করে গ্রামের মাধ্যমিক স্কুলে মাস্টারি করছে। তার বিয়ে হয়েছে। ছোট দুটো ছেলে মেয়েও হয়েছে। আতিকা তিন বছর আগে এস.এস.সি. পাশ করে পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্বাসরা নিজ গোষ্ঠী ছাড়া অন্য গোষ্ঠীতে ছেলেমেয়ের বিয়ে দেয় না। এই নিয়ম পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে চলে আসছে। তারা অন্য গোষ্ঠীকে ছোট জাত মনে করে। নিজ গ্রামের গোষ্ঠীদের মধ্যে উপযুক্ত পাত্র না থাকায় মুশতাক বিশ্বাস মেয়ের বিয়ে দেয়ার জন্য অন্যান্য গ্রামে পাত্রের সন্ধানে ঘটক লাগিয়েছেন।

আতিকা অনিন্দ্য সুন্দরী। ঠিক যেন প্রস্ফুটিত পদ্ম। স্কুলে পড়ার সময় খাঁপাড়ার নাদের আলিকে তার খুব ভালো লাগত। তাই নাদের আলি পড়াশোনা ছেড়ে দিলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। আজ পাঁচ ছয় বছর পরেও কেউ কাউকে ভুলতে পারে নি। বরং তাদের মনের টান আরো বেড়েছে।

খাঁপাড়ার মধ্যবিত্ত আব্বুর রশিদের পাঁচ মেয়ের পর এক ছেলে। সেই ছেলে নাদের আলি। আব্বুর রশিদ পাঁচ মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তি যা ছিল, সবটা বিক্রি করেছেন। এখন বাস্তুভিটে ও তৎসংলগ্ন মাঝারি সাইজের একটা পুকুর ছাড়া আর কিছু নেই। তাই নাদের আলি ক্লাস এইটে ভালো রেজাল্ট করে নাইনে উঠলেও আর্থিক কারণে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে বাবার সঙ্গে লোকজনের গৃহস্থালী ও চাষ-বাসের কাজ করে। এখন সে বিশ বাইশ বছরের যুবক। সাড়ে পাঁচ ফুট লম্বা, বলিষ্ঠ শরীর, গায়ের রং ফরসা। খুব পরিশ্রমী ছেলে।

আতিকা ও নাদের আলি তাদের দুই বংশের শত্রুতা ও আর্থিক ব্যবধান জানা সত্ত্বেও দিনের পর দিন গভীর ভালবাসায় জড়িয়ে পড়েছে। আগে স্কুলে যাতায়াতের পথে একে অপরের সঙ্গে দেখা করত। এস.এস.সি পাশ করার পর আতিকা তাদের বাগান বাড়িতে নাদের আলিকে আসতে বলত। সেখানে তারা গোপন অভিসার করত। ব্যাপারটা অনেক দিন গোপন ছিল। একদিন মুশতাক বিশ্বাসের চাকর করিম জানতে পেরে আতিকার মা শাফিয়া বানুকে জানায়। তিনি কথাটা কাউকে জানাতে করিমকে নিষেধ করে দেন। তারপর একসময় মেয়েকে কথাটা জানিয়ে বললেন, “তোর আব্বা জানলে তোকে দু’খান করে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেবে। আর নাদের আলিকে জ্যান্ত কবর দিয়ে দেবে। তুই তাকে আসতে নিষেধ করে দিবি।”

আতিকা মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল, নাদের আলি ভাইকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারব না। আমরা একে অপরকে অনেক বছর ধরে ভালবাসি। ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না।

মেয়ের কথা শুনে শাফিয়া বানু রাগ সামলাতে পারলেন না। যা জীবনে করেন নি, তাই করে বসলেন। ঠাস করে তার গালে একটা চড় মেরে ক্রুদ্ধ স্বরে বললেন, ভালবাসার কথা বলতে তোর লজ্জা করল না? আবার যদি ঐকথা মুখে উচ্চারণ করিস, তবে তোর একদিন কি আমার একদিন।

আতিকা ভাবতেই পারে নি মা মারবে। কারণ আজ পর্যন্ত মা তাকে মারা তো দূরের কথা, কখনও রাগারাগি করে নি। ডুকরে কেঁদে উঠে বলল, ঠিক আছে, মারলে যখন আরো মারো, মেরে মেরে আমাকে মেরেই ফেল। তবু বলব নাদের আলি ভাইকে আমি প্রাণের থেকে বেশি ভালবাসি। তাকে ছাড়া আমি অন্য কাউকে বিয়ে করব না। তোমরা যদি জোর করে অন্য কোথাও বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা কর, তাহলে বিয়ের দিনে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করব।

রাগের মাথায় মেয়েকে মেরে শাফিয়া বানু অনুতপ্ত হয়ে কিছু বলতে যাচ্ছিলেন, তার আগেই মেয়ের কথা শুনে চমকে উঠে আতঙ্কিত স্বরে বললেন, ছিঃ মা, অমন কথা মুখে আনতে নেই। একটু বোঝার চেষ্টা কর, নাদের আলির পূর্ব পুরুষদের সময় থেকে আমাদের শত্রুতা। তোর আব্বা ও ভাইয়া কিছুতেই তাকে জামাই করতে রাজি হবে না। তারা তোকে ঢাকায় বড় লোকের শিক্ষিত ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার জন্য লোক লাগিয়েছে। নাদের আলি গরিব অল্প শিক্ষিত ছেলে। তার কি আছে? একটা ভালো ঘর-বাড়ি পর্যন্ত নেই। তা ছাড়া তুই তো জানিস, বিশ্বাস বাড়ির ছেলেমেয়ের বিয়ে অন্য কোনো গোষ্ঠীতে হয় না। শিক্ষিত মেয়ে হয়ে বংশ মর্যাদার কথা চিন্তা করবি না? এরকম পাগলামী করিস নি মা। ওকে মন থেকে মুছে ফেল।

আতিকা কান্না থামিয়ে বলল, এসব কথা আমি যেমন চিন্তা করেছি, নাদের আলি ভাইও তেমনি করেছে। তবু আমরা কেউ কাউকে ভুলতে পারছি না। মা হয়ে তুমি যদি কিছু একটা না কর, তা হলে গলায় ফাঁস দেয়া ছাড়া আমার আর কোনো পথ খোলা নেই।

শাফিয়া বানু ভয়ার্তকণ্ঠে বললেন, বারবার ঐ কথা বলিস নি মা। জানিস না, যারা নিজের জান নিজে দেয়, তারা পরকালে জাহান্নামী হয়? এরকম কথা যারা চিন্তা করে, শয়তান তাদেরকে সুযোগ পেলেই তা করার জন্য ওয়াসওয়াসা দেয়। কারণ সে মানুষকে জাহান্নামী করতে চায়। আর কখনও ওরকম কথা চিন্তা করবি না। যা বলছি শোন, “নাদের আলিকে তোর সঙ্গে দেখা করতে আসতে নিষেধ করে দিয়ে বলবি, আব্বা জানতে পারলে তোমার খুব বিপদ হবে। আম্মা আমাদের ব্যাপারটা জেনে গেছে। সে আব্বাকে রাজি করাবার চেষ্টা করবে।”

মায়ের কথা বিশ্বাস করে আতিকা নাদের আলিকে কথাটা জানালেও তাদের দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ করে নি। মাঝপাড়ার কুলসুম, তার বান্ধবী। সে তাদের দু’জনের সম্পর্কের কথা জানত। কুলসুমদের বাড়িতে যাওয়ার নাম করে আতিকা নাদের আলির সঙ্গে দেখা করত। কুলসুমই তাদের দেখা করার সুযোগ করে দিত। বছর খানেকের মধ্যে বইরাপাড়ায় কুলসুমের বিয়ে হয়ে যেতে তাদের দেখা সাক্ষাতের সুযোগ আরো ভালো হল। বিশ্বাসপাড়া থেকে বইরাপাড়া যেতে হলে খাঁপাড়ার উপর দিয়ে যেতে হয়।

তারপরের বছর বন্যা হয়ে আশপাশের কয়েকটা ইউনিয়নের ঘর-বাড়ি, গরু-ছাগল ও অন্যান্য সবকিছু ভেসে যায়। বহু মানুষ ও গবাদি পশু মারা যায়। যারা বেঁচে ছিল তারা বহুদূরে সাঁতরে সাঁতরে আমবাগান, হার্টিকালচার, নাটোদা হাইস্কুল ও সরকারী শিবিরে আশ্রয় নেয়। যাদের পাকা বাড়ি ছিল তারা অনেককে আশ্রয় দেয়। সেই সময় কুলসুমের বাচ্চা হয়েছিল। সেও বন্যায় ভেসে গিয়ে মারা যায়। আর নাদের আলির মা বাবাও মারা যায়। শুধু নাদের আলি কোনো রকমে বেঁচে গেছে।

বন্যার পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর বেঁচে যাওয়া মানুষ যখন গ্রামে ফিরে আবার বাড়ি-ঘর তৈরী করে ক্ষেতে ফসল ফলাতে শুরু করল তখন আতিকা লোকের দ্বারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারল, নাদের আলি বেঁচে থাকলেও তার মা বাবা মারা গেছে। সে একটা বেড়ার ঘর তুলে তার এক বিধবা ফুফুকে নিয়ে থাকে। একদিন তার সেঙ্গে দেখা করে বলল, এই দু’আড়াই মাস তোমার চিন্তায় খেতে পারি নি। রাতে একফোঁটা ঘুমাতে পারি নি। আল্লাহ তোমাকে আমার জোড়া করেছে বলে হয়তো তোমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

মা বাবাকে হারিয়ে নাদের আলি বোবার মতো হয়ে গিয়েছিল। কোনো কথা না বলে তার দিকে শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল। আর দু’চোখ থেকে পানি ফেলতে লাগল।

তার অবস্থা দেখে আতিকার চোখ থেকেও পানি পড়তে লাগল। এক সময় চোখ মুছে বলল, কেঁদে আর কী করবে? যা ভাগ্যে ছিল হয়েছে। এখন মন শক্ত করে সবকিছু গুছিয়ে ওঠার চেষ্টা কর। আমি তোমার জন্য আজীবন অপেক্ষা করব।

নাদের আলি চোখ মুছে ভিজে গলায় বলল, তুমি আর আমার কাছে এস। আমাকে ভুলে যাও আতিকা, আমাকে ভুলে যাও। যা কখনও সম্ভব নয়, তার জন্য অপেক্ষা করা ঠিক নয়।

এ কথা তুমি বলতে পারলে নাদের আলি ভাই? তোমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে বুড়ি হয়ে যাব, প্রয়োজনে জান দেব, তবু অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারব না। আর তোমাকে ভুলতেও পারব না। তারপর চোখ মুছতে মুছতে সেখান থেকে চলে এল। তারপর মাঝে মাঝে চাকর হালিমকে দিয়ে ডেকে পাঠিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দেখা করত। হাবিব ডাক্তারের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা বেড়ে যাওয়ার পর তার মনে হল, তাকে সব কথা জানিয়ে সমাধান চাইবে। উনি হয়তো কিছু করতে পারবেন। কারণ আব্বাও তাকে খুব মান্য করেন। এইসব চিন্তা করে আতিকা একদিন বিকেল চারটের সময় কার্পাসডাঙ্গা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেল।

তাকে দেখে হাবিব ডাক্তার অবাক হয়ে সালাম বিনিময় করে বলল, আপনি এসেছেন কেন? কাউকে দিয়ে খবর পাঠালেই তো আমি যেতাম। কার কি হয়েছে বলুন।

আতিকা বলল, কারো কিছু হয় নি। নিজের প্রয়োজনে এসেছি।

ঠিক আছে বসুন। বসার পর জিজ্ঞেস করল, কেন এসেছেন বলুন।

কিভাবে কথাটা বলবে আতিকা চিন্তা করতে লাগল।

তাকে চুপ করে থাকতে দেখে হাবিব ডাক্তার মনে করল, মেয়েলী অসুখের কথা বলতে লজ্জা পাচ্ছে। তাই বলল, সব ধরনের অসুখের কথা ডাক্তারের কাছে বলা যায়। এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। না বললে চিকিৎসা করব কি করে?

আমি অনেক দিন থেকে একটা সমস্যায় ভুগছি। মা সমস্যাটা জেনে সমাধান করার চেষ্টা করবে বলেছিল। কিন্তু প্রায় দু’বছর হয়ে গেল কিছু করতে পারে নি। মনে হয় কোনো দিন পারবেও না। আমার বিশ্বাস আপনি পারবেন।

বেশ তো, সমস্যাটা বলুন, সমাধান করার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

আপনাকে ওয়াদা করতে হবে, যা বলব তা কাউকে বলবেন না।

তার কথা শুনে হাবিব ডাক্তার যেমন অবাক হল, তেমনি কৌতূহলবোধও করল। বলল, আপনি নিশ্চিন্তে বলুন, আমি কাউকে বলব না।

আতিকা নাদের আলির সবকিছু ও তাদের দু’জনের সম্পর্কের কথা বলে বলল, আপনার সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি, তাতেই মনে হয়েছে, আপনি আমার সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

হাবিব ডাক্তার কিছুক্ষণ চিন্তা করে গম্ভীর স্বরে বলল, মাত্র কয়েক মাস হল আমি এই এলাকায় এসেছি। এখানকার সব মানুষের সঙ্গে যেমন পরিচয় হয় নি, তেমনি সামাজিক রীতিনীতিও জানতে পারি নি। আপনার সমস্যার সমাধান করা খুব কঠিন। আমি বাইরের লোক। ডাক্তার হিসাবে সবাই আমাকে চেনে। সামাজিক ব্যাপারে জড়িয়ে পড়া কি আমার উচিত হবে? তা ছাড়া আপনার আব্বাকে যতটুকু জেনেছি, তিনি ভাঙবেন তবু মচকাবেন না।

আতিকা দ্রুত হাবিব ডাক্তারকে কদমবুসি করে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলল, আমি যদি আপনার ছোট বোন হতাম, তা হলেও কি কিছু করতেন না?

তার অবস্থা দেখে হাবিব ডাক্তার বুঝতে পারল, পানি অনেক দূর গড়িয়েছে। উপদেশ দিয়ে ফেরান আর সম্ভব নয়। নেতিবাচক কিছু বললে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে। তাই অল্পক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, ঠিক আছে, আপনি এখন বাড়ি যান। আমি কিছুদিন চিন্তা ভাবনা করে সমাধান করার চেষ্টা করব। আপনারা আর দেখা সাক্ষাত করবেন না। যদি করেন, তা হলে কিছু করতে পারব না। একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন, “আল্লাহর ইশারা ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না।” তিনি যদি আপনাদের জোড়া করে পয়দা করে থাকেন, তা হলে শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও তা করাবেন। নাদের আলির সঙ্গে আমার দেখা হলে তাকেও এসব কথা বলব।

এই ঘটনা দু’তিন মাস আগের। তাই আজ হাবিব ডাক্তারকে আসতে দেখে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে কতটা কি করল, জানার জন্য রাস্তায় এসে দেখা করে।

আতিকা যখন হাবিব ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলছিল তখন মুশতাক বিশ্বাস সদরে কয়েকজন লোকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। জানালা দিয়ে মেয়েকে হাবিব ডাক্তারের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলতে দেখেছেন। লোকজন চলে যাওয়ার পর চিন্তা করলেন, আতিকা কি হাবিব ডাক্তারকে পছন্দ করে? না নিজের কোনো।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত