বিষকুম্ভ: ২৩. অশোক রায় বিদায় নিলেন

বিষকুম্ভ: ২৩. অশোক রায় বিদায় নিলেন

২৩. অশোক রায় বিদায় নিলেন

অতঃপর অশোক রায় বিদায় নিলেন।

ঐদিন রাত বারোটার পর কিরীটীর পূর্ব পরিকল্পনামত আমরা ছোট একদল সশস্ত্র পুলিস-বাহিনী নিয়ে ডাঃ ভুজঙ্গ চৌধুরীর আমীর আলী অ্যাভির আবাসস্থলে গিয়ে ঘেরাও করলাম।

এবং আমি, কিরীটী ও লাহিড়ী তিনজনে মিলে সদর দরজায় উপস্থিত হয়ে, কিরীটীর নির্দেশে আমিই দরজার গায়ে কলিং বেলের বোতামটা টিপলাম।

বলা বাহুল্য আমরা তো সাধারণ বেশে ছিলামই, লাহিড়ীও ছিলেন সাধারণ বেশে।

কিছুক্ষণ বাদেই দরজা খুলে দিল ডাঃ ভুজঙ্গ চৌধুরীর খাসভৃত্য রাম।

কে আপনারা, কি চান?

কিরীটী জবাব দিল, ডাঃ ভুজঙ্গ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে চাই।

রাত্রে তো তিনি কারও সঙ্গে দেখা করেন না।

করবেন। তুমি তাঁকে গিয়ে বল কিরীটী রায় এসেছেন, দেখা করতে চান। জরুরী।

মিথ্যে আপনি বলছেন বাবু। স্বয়ং মহারাজা এলেও রাত্রে তিনি কারও সঙ্গে দেখা করেন না।

ইতিমধ্যে কিরীটীর পূর্ব নির্দেশমত তার নিযুক্ত লোকটি ডাক্তারের বাড়ির ছদ্মবেশী ভৃত্য রামের পশ্চাতে এসে দাঁড়িয়েছিল এবং আচমকা পিছন দিক থেকে রামকে আক্রমণ করতেই কিরীটীও তাকে সাহায্য করবার জন্য এগিয়ে গেল লাফিয়ে। রাম কোনরূপ শব্দ করবার পূর্বেই তাকে হাত-মুখ বেঁধে বন্দী করা হল। এবং সেই ছদ্মবেশী ভৃত্যই তখন রামের কোমর থেকে চাবির গোছা ছিনিয়ে নিল।

ঐ চাবির গোছাটা হাতাবার জন্যই এত আয়োজন পরে জেনেছিলাম।

চাবির সাহায্যে তারপর সিঁড়ির কোলাপসিবল গেট খুলে আমরা নিঃশব্দ পায়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম।

দোতলা ও তিনতলার মধ্যে সিঁড়িতে আর একটি কোলাপসিবল গেট ছিল, সেটাও ঐ রিঙের একটি চাবির সাহায্যে খুলে আমরা তিনতলায় পা দিলাম।

দুটি ঘর পাশাপাশি।

দুটোরই দ্বার বন্ধ।

কিরীটী এগিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় দ্বারে আঘাত করল পর পর চারটি টুক-টুক শব্দে।

সঙ্গে সঙ্গে প্রায় দরজাটা খুলে গেল।

কি রে রাম–কথাটা বলতে গিয়ে শেষ না করেই সহসা ডাঃ ভুজঙ্গ চৌধুরী আমাদের তিনজনকে দরজার সামনে দেখে বিস্ময়ে যেন একেবারে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন।

নমস্কার ডাঃ চৌধুরী। এত রাত্রে নিজের শয়নকক্ষের দোরগোড়ায় আমাকে দেখে নিশ্চয়ই খুব আশ্চর্য হয়ে গিয়েছেন!

মুহূর্তকাল স্তব্ধ থেকেই ভুজঙ্গ চৌধুরী যেন নিজেকে সামলে নিলেন এবং মৃদু কাষ্ঠ হাসি হেসে বললেন, তা একটু হয়েছি বৈকি।

ভাবছেন নিশ্চয়ই কি করে এখানে এত রাত্রে প্রবেশ করলাম!

না। কিন্তু বাইরে কেন, ভিতরে আসুন। কষ্ট করে এসেছেনই যখন।

ভুজঙ্গ চৌধুরীর পরিধানে তখন ছিল গ্রে রঙের ট্রপিক্যাল সুট। পায়ে রবারসোল দেওয়া জুতো।

সেই দিকেই তাকিয়ে কিরীচী বললে, এই ফিরছেন, না কোথাও বেরুচ্ছিলেন?

অনধিকার চর্চা ওটা আপনার মিঃ রায়। কিন্তু কেন এ গরীবের কুটিরে বে-আইনী ভাবে জুলুম করে এই অসময়ে আপনার মত মহাত্মার শুভাগমন, জানতে পারি কি?

জানাব বলেই তো আসা। শুনবেন বৈকি। তার আগে এই মিঃ লাহিড়ীর সঙ্গে দ্বিতীয়বার আবার পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।

ওঁকে আমি চিনি। পরিচয়ের কোন প্রয়োজন নেই। আপনার বক্তব্যটা তাড়াতাড়ি শেষ করলে বাধিত হব।

কথা বললেন এবার রজত লাহিড়ীই। বললেন, বৈকালী সঙ্ঘ ও আপনার চেম্বারে বিনা লাইসেন্সে হ্যাহিস্ নামক মাদক দ্রব্যের চোরাকারবার করবার জন্য আপনাকে আমি arrest করতে এসেছি ডাঃ চৌধুরী।

I see! তা এ মূল্যবান সংবাদটি কোথায় পেলেন? মিঃ কিরীটী রায়ই দিয়েছেন বোধ হয়?

সে জেনে আপনার কোনো লাভ নেই ডাঃ চৌধুরী। আপনি সরে আসুন, আপনার ঘরটা একবার সার্চ করতে চাই।

করতে পারেন, কিন্তু consequence-টাও মনে রাখবেন। অযথা একজন ভদ্রলোককে এভাবে বিব্রত করা আপনাদের আইনও নিশ্চয়ই সম্মতি দেয় না!

সে সম্পর্কে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। লাহিড়ী জবাব দিলেন।

আবার কিরীটী কথা বললে, তার আগে দয়া করে আপনি আপনার ছোট ভাই ত্রিভঙ্গবাবু ও তাঁর স্ত্রী মৃদুলা দেবীকে যদি একবার এখানে ডাকেন—

মিঃ রায়, অত্যন্ত বাড়াবাড়ি করছেন না কি! জবাবে বলেন ভুজঙ্গ চৌধুরী।

চোখরাঙানিতে বিশেষ কোনো ফল হবে না আর ডাক্তার সাহেব। যা বলছি তাই করুন। নচেৎ বাধ্য হয়ে আমাদেরই সে ব্যবস্থা করতে হবে জানবেন। আপনার মত একজন শয়তানী বুদ্ধিতে পরিপক্ক ব্যক্তির বোঝা উচিত যে প্রস্তুত হয়েই এখানে আজ আমরা এসেছি সব রকমে। মিথ্যে আর দেরি করে কোনো লাভ হবে না। যা বললাম করুন। কেন মিথ্যে চাকর-বাকরদের সামনে একটা scene create করবেন!

অতঃপর মুহূর্তকাল ডাঃ চৌধুরী কি ভাবলেন। তারপর বললেন, কিন্তু তাদের ডাকতে হলেও তো নীচে আমাকে যেতেই হবে।

নীচে যাবেন কেন? ঘরের মধ্যে কোনো কলিং বেল নেই আপনার?

কলিং বেল!

নিশ্চয়ই। দেখুন না একটু দয়া করে মনে করে। উপর-নীচ করাটাও আপনার বিশেষ অভ্যাস নেই বলেই আমি শুনেছি ডাক্তার সাহেব। চলুন, ঘরে ঢুকে ওঁদের আহ্বান করুন।

সে রকম কোনো ব্যবস্থাই আমার ঘরে নেই।

তবে দয়া করে সরুন। আমাকেই দেখতে দিন।

মুহূর্তকাল তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে কিরীটীর দিকে তাকিয়ে থেকে নিঃশব্দে একপাশে সরে দাঁড়ালেন ডাঃ চৌধুরী।

আপনিও ভেতরে চলুন। আমরা ভেতরে যাব আর আপনি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবেন, সেটা কি ভাল দেখাবে? চলুন! বলতে বলতে কিরীটী মৃদু হাসল।

সকলে মিলে আমরা যেন কতকটা ডাঃ ভুজঙ্গ চৌধুরীকে ঘিরেই ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলাম।

একটা ব্যাপার আজ প্রথম থেকেই লক্ষ্য করছিলাম, কিরীটীর চোখ ও কান যেন অতিমাত্রায় সজাগ হয়ে আছে। তার দেহের প্রতিটি রোমকূপ যেন চক্ষু মেলে রয়েছে।

কিরীটী ঘরের মধ্যে ঢুকে চকিতে সিলিং থেকে শুরু করে দেওয়াল ও মেঝে পর্যন্ত কক্ষের সর্বত্র তার তীক্ষ্ণ অতিমাত্রায় সজাগ দৃষ্টিটা বুলিয়ে নিল বারকয়েক।

অত্যন্ত সাধারণ ও স্বল্প আসবাবপত্রে কক্ষটি যেন একেবারে ছিমছাম।

একপাশে একটি সিঙ্গল বেডিং। একটি স্টীলের আলমারি, একটি আরামকেদারা, একটি বিরাট আয়না দেওয়ালে টাঙানো ও বেডিংয়ের কাছে একটি ত্রিপত্রের ওপরে অদ্ভুত একটি বৃদ্ধের কাষ্ঠমূর্তি ও একটি কাঁচের জলভর্তি পাত্র। মূর্তিটি বিরাট উদরবিশিষ্ট এক বৃদ্ধের। উদরের দু পাশে দুটো হাত। দন্তপাটি বিকশিত। পা ভাঁজ করে বসে আছে। মাথায় একটি টুপি।

কিরীটীর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দেখলাম ঘরের সর্বত্র ঘুরে গিয়ে ত্রিপয়ের উপরে রক্ষিত সেই কাষ্ঠনির্মিত বিচিত্র বৃদ্ধের মূর্তির উপরে স্থির হল।

কয়েক সেকেণ্ড মৃর্তিটার দিকে কিরীটী তাকিয়ে থেকে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল ত্রিপয়টার সামনে। দাঁড়াল। তারপর নিঃশব্দে হাত রাখল মূর্তিটার গায়ে।

আমরা সকলে স্তব্ধ নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।

মৃদু কণ্ঠে কিরীটী ঘরের নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করল, পিকিউলিয়ার! A nice curio! মূর্তিটা কোথা থেকে সংগ্রহ করেছেন ডাক্তার সাহেব? বলতে বলতে তাকাল কিরীটী ডাঃ ভুজঙ্গ চৌধুরীর মুখের দিকে।

নির্বাক ডাঃ চৌধুরী।

শুধু তাঁর চোখের তীক্ষ্ণ ধারালো ছুরির ফলার মত দৃষ্টি নিস্পলক কিরীটীর দৃষ্টির প্রতি নিবদ্ধ।

ঘরের মধ্যে যেন একটা বিশ্রী অস্বস্তিকর থমথমে ভাব।

কিরীটী স্থির অপলক দৃষ্টিতে ডাঃ চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে আছে বটে, কিন্তু দেখতে পেলাম তার ডান হাতটির আঙুলগুলো নিঃশব্দে মূর্তিটার মাথায় বুলিয়ে চলেছে।

স্তব্ধতা।

বরফের মতই জমাট বাঁধানো স্তব্ধতা।

চারজোড়া চোখের নিষ্পলক দৃষ্টি পরস্পর পরস্পরের প্রতি নিবদ্ধ।

দুখানা তীক্ষ্ণ তরবারির ফলা যেন পরস্পরকে স্পর্শ করে আছে একে অন্যের মুহূর্তের অসর্তকতায় চরম আঘাত হানবার প্রতীক্ষ্ণয়।

সহসা একটা মৃদু পদশব্দ যেন মনে হল সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসছে। পদশব্দটা ক্রমে ক্রমে এগিয়ে এসে খোলা দরজার গোড়ায় থামল। তারপরই দেখা গেল খোলা দরজার পথে এক অধাবগুষ্ঠিতা নারীমূর্তি।

আজও মনে আছে আমার, সে যেন একটা আবিভাব! মধ্যরাত্রি যেন মূর্তিমতী হয়ে স্বপ্নের পথ বেয়ে সেদিন আমার দৃষ্টির সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল।

শ্বেতবস্ত্র পরিহিতা এক স্বপ্নচারিণী নারীমূর্তি যেন।

গাত্রবর্ণ খুব পরিষ্কার না হলেও চোখে মুখে ও দেহে সেই নারীর রূপের যেন অবধি ছিল না।

মনোমোহিনী সেই নারীমূর্তি খোলা দরজার পথে কমধ্যে প্রবেশ করেই মুহূর্তমধ্যে যেন থমকে দাঁড়াল। এবং মুখে ফুটে উঠল একটা তার চাপা আশঙ্কা।

আসুন মৃদুলা দেবী!

ঘরের স্তব্ধতা ভঙ্গ করল কিরীটী মৃদু অথচ স্পষ্ট কণ্ঠস্বর।

কিন্তু কিরীটীর আহ্বানে কোন সাড়াই যেন জাগল না সেই প্রস্তরীভূত নারীমূর্তির মধ্যে।

আবার কিরীটী বললে, বসুন!

তথাপি নির্বাক সেই নারীমূর্তি।

এবারে কিরীটী আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললে, নীচের গাড়ি থেকে অশোকবাবুকে ডেকে নিয়ে আয় তো সুব্রত!

আমি ঘর থেকে বের হয়ে গেলাম একটু যেন বিস্মিত হয়েই।

কিন্তু নীচে গিয়ে দেখি ইতিমধ্যেই কখন একসময় অশোক রায় নিজের গাড়ি নিয়ে এসে তার মধ্যে বসে আছেন চুপটি করে।

বললাম, কিরীটী আপনাকে ওপরে ডাকছে, চলুন অশোকবাবু!

ঘরের মধ্যে আমি ও অশোকবাবু প্রবেশ করতেই কিরীটী বললে, আসুন অশোকবাবু। দেখুন তো, ঐ উনিই আপনার সেই মনীষা দেবী কিনা!

কিরীটীর কথায় অশোকবাবু এবার চোখ তুলে তাকালেন, ঘরের মধ্যেই একপাশে পাথরের মত নিঃশব্দে দণ্ডায়মান মৃদুলা দেবীর মুখের দিকে চেয়ে।

মৃদুলা দেবীও যেন কেমন বিহ্বল বিমূঢ় হয়ে চেয়ে রইলেন অশোক রায়ের মুখের দিকে। পরস্পর পরস্পরের মুখের দিকে চেয়ে আছেন।

স্তব্ধ কয়েকটা মুহূর্ত। কেবল ঘরের দেওয়াল-ঘড়িটার একঘেয়ে পেণ্ডুলামের টকটক শব্দ।

কি, চিনতে পারছেন না অশোকবাবু?

ধীরে ধীরে নিঃশব্দে এবার মাথা নাড়ালেন অশোক রায়।

চিনেছেন?

হ্যাঁ। তারপর একটু থেমে বললেন, হ্যাঁ, উনিই। আমার মনে পড়েছে এখন, উনিই মিত্রার মৃত্যুর দিন বৈকালী সঙ্ঘে—

হ্যাঁ অশোকবাবু, কথাটা এবার কিরীটীই শেষ করে, ওঁকেই আপনি হলঘরে সেরাত্রে ঢুকতে দেখেছিলেন। আর শুধু তাই নয়, বাগানে সে রাত্রে মিত্রা সেনের dead body-র সামনে থেকে উনিই চক্রান্ত করে ভয় দেখিয়ে আপনাকে সরিয়ে দিয়েছিলেন তাড়াতাড়ি, যাতে করে আপনাকেই সকলেই মিত্রা সেনের হত্যাকারী বলে সহজেই মনে করতে পারেন!

তবে কি,–অর্ধস্ফুট আর্তকণ্ঠে কথাটা বলতে গিয়েও যেন শেষ করতে পারলেন না অশোক রায়।

হ্যাঁ, উনিই মিত্রা দেবীর হত্যাকারিণী। মৃদুলা দেবী এবং মীরা চৌধুরী একমেবাদ্বিতীয়ম্‌। কিন্তু উনি দুর্ভাগ্যক্রমে মিত্রা দেবীকে হত্যা করার অপরাধে আজ দণ্ড নিতে বাধ্য হলেও, আসল হত্যার পরিকল্পনাটা ওঁর নয়, হত্যার ব্যাপারে উনি instrument মাত্র ছিলেন। আসল পরিকল্পনাকারী বা হত্যাপরাধে অপরাধী হলেন উনি–আমাদের ডাঃ ভুজঙ্গ চৌধুরী।

কিরীটীর কথায় ঘরের মধ্যে যেন বজ্রপাত হল।

কিরীটী ডাঃ ভুজঙ্গ চৌধুরীর মুখের দিকে তাকাল একবার এবং তাঁকেই সম্বোধন করে বললে, কিন্তু এ আপনি কি করলে ডাঃ চৌধুরী! মানুষের সেবার প্রতিজ্ঞা নিয়ে শেষ পর্যন্ত ধ্বংসের নীচে ড়ুবে গেলেন!

ডাঃ ভুজঙ্গ চৌধুরী নির্বাক।

আগের পর্ব :

০১. তাসের ঘর
০২. ভুজঙ্গ ডাক্তারের সঙ্গে
০৩. বর্তমান কাহিনীর আদিপর্ব
০৪. সে রাত্রের মত আশ্বাস দিয়ে
০৫. দিন দুই পরে কিরীটী
০৬. অসাধারণ প্রসাধন-নৈপুণ্যে
০৭. নীলাম্বর মিত্র ও মনোজ দত্ত
০৮. কিরীটীর টালিগঞ্জের বাড়িতে
০৯. সমীরণ সরকার বিদায়
১০. আমার কণ্ঠের বিস্ময়ের সুর
১১. হীরা সিং কিরীটীর পূর্ব নির্দেশমত
১২. মহারানীর তীক্ষ্ণ প্রতিবাদের পর
১৩. বারের মধ্যে চার-পাঁচজন নরনারী
১৪. হলঘরে আমরা প্রবেশ করবার মুখে
১৫. মহারানীর জবানবন্দির পর
১৬. মীরজুমলা
১৭. ঘরে ঢুকে শুনি রঞ্জন রক্ষিত
১৮. আমি যখন নীচের বাগানে যাই
১৯. কিরীটীর বাসায় যখন ফিরে এলাম
২০. কিরীটী মৃদু হেসে বললে
২১. টেলিফোনে অশোকবাবুকে ডেকে
২২. সোফার উপরে নিঝুম হয়ে

পরের পর্ব :
২৩. অশোক রায় বিদায় নিলেন
২৪. বিস্মিত হতবাক সকলে

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত