মেয়ের বাবা;- আপনাদের ডিমান্ড কি আপনার ছেলের চাওয়া পাওয়া কি??
ছেলের বাবা;- কি যে বলেন আমাদের কোনো ডিমান্ড নেই আর আমার ছেলে তো একদম শান্ত-ভদ্র ওর ও তেমন চাওয়া পাওয়া নেই,আর আপনি মেয়ের বাবা মেয়ের যা যা দরকার সেটা তো দিবেন বলার কি আছে??আর আমরা তেমন কিছুনা শুধু ১৫০০জন মানুষের জন্য ভালো মানের খাবার এবং ক্লাবটা একটু উন্নত মানের চাই বুঝতেইতো পারছেন নামিদামি আত্বীয় স্বজন আসবে আমাদের ,,এতে আপনাদেরও সুনাম হবে।।
মেয়ের বাবা;- জ্বী আচ্ছা কোনো সমস্যা নেই।
মেয়ে;- আংকেল আপনাকেও সালাম আপনার ছেলেকে ডাবল সালাম(মনে মনে),,কারণ মেয়েদের মুখ ফুটে বলার কোন সুযোগ নেই।। এবার কিছু কথা ছেলের জন্য;- বিয়ে করবেন আপনি হোকনা সেটা পারিবারিক ভাবে তাই বলে কি ভালো মন্দ বিচার করার বিবেকটাও কি নেই আপনার!!
মেয়ের বাবা মেয়ে জন্ম দিয়ে কি অপরাধ করেছে নাকি!! যে উনি আপনাকে মেয়েও দিবেন,,নিজের সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী যথেষ্ট চেস্টা করেন আপনাদের আত্বীয়-সমাজকে খুশি করার,আপনার ১৪গোস্টিকে তেলে ঝোলে খাওয়ানোর পর ও “”চাইলে খাবার আইটেম ২/১টা বাড়াতে পারতো”” এমন উক্তিও শুনাতে দ্বীদাবোধ করেনা আপনার সমাজ।। আরে ভাই বিয়ে করা ফরয এটা জানেন.! মেয়ে দেখার পর পছন্দ হয়েছে কি হয়নি এটাও বলতে পারেন.! শুধু পারেন না মেয়ের বাবার প্রতি আপনার বাবা/চাচার তেল মারা অবৈধ আবদার এর বিরুদ্ধে কিছু বলতে.! আফসোস!! এই জায়গায় আপনাদের উত্তরটা খুব সুন্দর আর মানানসই হয় মুরুব্বিদের উপর কিভাবে কথা বলি”!!
যিনি আপনাকে নিজের কলিজা দিচ্ছেন তিনিও কিন্তু মুরুব্বী যদিও আপনাদের চোখে উনাকে আলাদিনের চেরাগ মনে হয় যে আপনাদের সব চাওয়া পাওয়া নিমেষেই পূরণ করে দিবেন।। এখন হয়তো আপনার মনে এমন প্রশ্ন আসতে পারে মেয়ের বাবা যে এতো এতো কাবিন নেন এর বিনিময়ে মেয়েকে কিছু দিলে মন্দ কি!! মেয়ের বাবাকে কি ঐ টাকা গুলো নগদ দিয়ে দেন? যে মেয়ের বাবা ঐ টাকা দিয়ে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাবেন!!
একটা জিনিস খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন এতো বেশি দেনমোহর নেয়ার পিছনেও আপনার পরিবার দায়ী,,একজন বাবা যখন তার মেয়ে আপনার হাতে দেন তখন শুধু এটুকু আশা করেন আপনি মেয়েটার সুখেদূঃখে পাশে থাকবেন সবসময়। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই আস্থা আর ভরসাটা পাইনা আপনার পরিবারের কাছ থেকে। উনাদের আচরনে মনে হয় ২পরিবারের মধ্যে একটা সুন্দর সম্পর্ক না হয়ে বরং একটা চুক্তি হচ্ছে যেখানে দর কষাকষি চলে।
বিয়ে করার জন্য শুধু কিছু টাকা হলেই হয়না,, “লজ্জা” নামক শব্দের অজুহাত না দিয়ে মেয়ের বাবার হাত ধরে একটু আস্থা একটু ভরসা দিয়ে যদি আপনি বলতে পারেন “আপনার মেয়ের সুখেদুঃখে আপনার মতো ছায়া হয়ে থাকার চেষ্টা করব” দেখবেন মেয়ের বাবার চোখের পানিই বলে দিবে উনার মেয়ের জন্য আপনার ছায়াটাই যথেষ্ট দেনমোহর না।। কারণ,বাবার পর একটা মেয়ের মাথার উপরের ছায়া হয় তার স্বামী।।তাই বাবার ভয় হয় উনি নিজের কলিজাকে ঠিক ছায়ার নিচে দিতে পারছেন তো! মেয়েকে নিজের মত করে আগলে রাখবে তো! তাই মেয়ের বাবার এই ভয়কে উনার দুর্বলতা ভেবে সুযোগ না নিয়ে বরং উনার ২হাতের উপর আপনার ২হাত দিয়ে আরো শক্ত করে নিন ২পরিবারের এই নতুন সম্পর্ককে।।
একটা মেয়ে নিজের পরিবার ছেড়ে আপনার হাত ধরে আপনার পরিবারের একজন হয়ে যায় আপনার বাবা মা কে নিজের বাবা-মা হিসেবে মেনে নেই শুধু আপনার দিকে তাকিয়ে,,আল্লাহ একটা মেয়েকে হয়তো জন্মের আগেই
এই ত্যাগ স্বীকার করার সাহস দিয়েছেন তাই মেয়েটিকে বুঝার চেষ্টা করুন তার প্রতি আপনি যত বিনয়ী হবেন আপনার পরিবারের প্রতি তার উদারতাও ততটা বেশি হবে আপনার ভালোবাসাই হচ্ছে মেয়েটির অনুপ্রেরণা।।