০৫. আর অপেক্ষা করলাম না
আমরা, বলাই বাহুল্য, আর অপেক্ষা করলাম না।
রেণুকা বিশ্বাসের সঙ্গে হোটেলের দোতলায় কালী সরকার যে ঘর দুটো নিয়ে ছিল, সেই ঘর দুটো দেখবার জন্য অগ্রসর হলাম। আগে আগে রেণুকা বিশ্বাস, পশ্চাতে আমরা তিনজন। গ্রীষ্মের সিজন, হোটেলে বোর্ডার্স একেবারে ভর্তি। গমগম করছে।
নানা জাতের নানা ধরনের লোক। স্নানের সময় এটা, তাই বেশীর ভাগ বোর্ডারই সমুদ্রস্নানে গিয়েছে। যারা ছিল তারা রেণুকা বিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের ও পুলিসকে দোতলার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে দেখে এদিক ওদিক থেকে কৌতূহলের সঙ্গে উঁকি দেয়।
কৌতূহলটা অবিশ্যি খুবই স্বাভাবিক।
হঠাৎ কিরীটীই প্রশ্নটা ফিসফিস করে করে রেণুকা বিশ্বাসকে, মিসেস বিশ্বাস, আপনার হোটেলের লোকেরা কি মিঃ সরকারের ব্যাপারটা জানতে পেরেছে?
পেরেছে-তবে তারা জানে ভদ্রলোক সুইসাইড করেছেন। রেণুকা বিশ্বাস জবাব দেয়।
আপনাকে এ ব্যাপারে কেউ কিছু প্রশ্ন করেছে?
না।
ইতিমধ্যে আমরা দোতলায় নির্দিষ্ট ঘরের সামনে পৌঁছে গিয়েছিলাম।
ঘরের দরজায় তালা দেওয়া ছিল, বাইরে থেকে মিসেস বিশ্বাস তালা খুলে দিল। আমরা সকলে একে একে ঘরের মধ্যে গিয়ে ঢুকলাম।
ঘর দুটি চমৎকার। খোলা জানালা-পথে তাকালেই চোখে পড়ে সম্মুখে প্রসারিত আদিগন্ত সমুদ্র। দিগন্তবিস্তৃত নীল জলরাশি সূর্যকিরণে ঝলমল করছে-মুহূর্তে যেন সমগ্র দৃষ্টিকে গ্রাস করে। চোখের দৃষ্টি যেন আমার ফিরতে চায় না।
কিরীটীর প্রশ্নে ওর দিকে ফিরে তাকাই।
কিরীটী রেণুকা বিশ্বাসকে আবার প্রশ্ন করছিল, আপনিই বুঝি ঘরে তালা লাগিয়ে
দিয়েছিলেন মিসেস বিশ্বাস?
হ্যাঁ। ব্যাপারটা জানার পরেই তালা লাগিয়ে রাখি। ঘরে তার কি মূল্যবান জিনিস আছে-আছে কে জানে। যদি কিছু খোওয়া যায় তাই–
ভাল করেছেন।
পাশাপাশি দুটি ঘর। একটি বড় আকারের, অন্য সংলগ্ন ঘরটি অপেক্ষাকৃত ছোট। দুই ঘরের মধ্যবর্তী একটা দরজা আছে, ঘরের মধ্যে তিনটি জানালা। তিনটি জানালাই খোলা ছিল এবং জানালাগুলি সমুদ্রের দিকে। খোলা জানালা-পথে হু হু করে সমুদ্রের হাওয়া ঘরের মধ্যে ঢুকছিল। দেওয়ালে টাঙানো একটা ক্যালেণ্ডারের পাতাগুলো ফরফর শব্দে উড়ছিল।
কিরীটী ঘরের চারিদিকে দৃষ্টিপাত করে দেখতে থাকে।
আমি একটা জানালার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।
হু হু করে সমুদ্রের হাওয়া আসছে ঘরে। সামনে যতদূর দৃষ্টি চলে-বালুবেলার পরেই আদিগন্ত সমুদ্র প্রখর সূর্যকিরণে নীল মরকত মণির মত যেন জ্বলছে। বেলা প্রায় সাড়ে এগারটা হবে। অসংখ্য মানার্থী-সমুদ্রের তটে ও জলে।
ঘরের মধ্যে আসবাবপত্র সামান্যই। একধারে একটি খাটে শয্যা বিস্তৃত। তার পাশে একটি টেবিল একটি কাঠের চেয়ার ও একটি ক্যাম্বিসের ইজচেয়ার। ইজিচেয়ারটার উপরিভাগে একটি ভোয়ালে বিছানো-মাথার তেল লাগবার ভয়ে বোধ হয়।
টেবিলের উপরে কিছু ইংরাজী, বাংলা ম্যাগাজিন ও খান-দুই মোটা মোটা হায়ার ম্যাথমেটিকসের বই। একপাশে একটা বড় চামড়ার দামী সুটকেস এবং তার উপর একটা অ্যাটাচি কেন্স।
পাশে দুজোড়া জুতো। একজোড়া কাবুলী চপ্পল। আরও একজোড়া চপ্পল আমাদের চোখে পড়ল খাটের ঠিক সামনেই। মনে হয় যেন কেউ চপ্পলজোড়া পা থেকে খুলে রেখে দিয়েছে। শয্যাটার দিকে তাকালে মনে হয়—সেটা ব্যবহৃত হয়েছে। শয্যার চাদরটা কুঁচকে রয়েছে।
মধ্যবর্তী দরজার কবাট দুটো এদিক থেকে বন্ধ-শিকল ভোলা ছিল। পাশের ঘরে গিয়ে দরজার শিকল খুলে ঢুকলাম আমরা। সে ঘরের ব্যবস্থাও ঠিক পাশের ঘরের অনুরূপ।
কেবল শয্যাটি সুজনি দিয়ে ঢাকা। এবং সেই শয্যার উপরে একটা রবারের বালিশ, একটা ৭৭৭ সিগারেটের কৌটো, একটা কাঁচের অ্যাসট্রে—অ্যাসট্রে ভর্তি সিগারেটের টুকরো ও ছাই। আর একজোড়া তাস।
সে-ঘর থেকে বেরুবার দরজাটা বন্ধই ছিল। দরজাটা খোলবার চেষ্টা করে খুলতে না পেরে কিরীটী রেণুকা বিশ্বাসের দিকে তাকিয়ে আবার প্রশ্ন করে, দরজাটা বুঝি বাইরে থেকে বন্ধ?
হ্যাঁ। বাইরে থেকে তালা দেওয়া। মিঃ সরকারই বলেছিলেন তালা দিয়ে দিতে। এ দরজাটা তো তিনি ব্যবহার করতেন না।
সে তালার চাবি? কিরীটী প্রশ্ন করে।
একটা মিঃ সরকারের কাছে ছিল। একটা আমাদের হোটেলের কী বোর্ডে আছে। আনব? রেণুকা বিশ্বাস কিরীটীর মুখের দিকে তাকাল।
না, থাক এখন।
কিরীটী এদিক ওদিক তার স্বাভাবিক তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে দেখতে দেখতে হঠাৎ খাটের দিকে এগিয়ে যায়।
তাসের প্যাকেটের পাশেই একটা সাধারণ একসারসাইজ খাতা ও একটা বল-পয়েন্ট দামী বিলিতি পেনসিল চোখে পড়ে। কিরীটী হাত বাড়িয়ে খাতাটা তুলে নিল। খাতার অনেকগুলো পাতায় নানা ধরনের হিসাব লেখা। হিসাবের অঙ্ক কষা। নানা অঙ্কের ফিগার-সবই ইংরাজীতে।
আনমনে খাতার পাতাগুলো ওলটাতে ওলটাতে হঠাৎ এক জায়গায় যেন মনে হল কিরীটীর চোখের দৃষ্টি স্থির হয়ে গেল। দুচোখে অনুসন্ধিৎসার আলো।
কৌতূহলে এগিয়ে গেলাম ওর পাশে। কিন্তু তার আগেই খাতাটা মুড়ে কিরীটী জামার পকেটে রেখে দিল। তারপরই রেণুকা বিশ্বাসের দিকে তাকিয়ে মৃদু কণ্ঠে ডাকে, মিসেস বিশ্বাস!
বলুন?
আমাদের-মানে আপনাদের স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে কি কালী সরকারের পূর্বে কোন পরিচয় ছিল? কোন সূত্রে?
হঠাৎ যেন একটু চমকে ওঠে রেণুকা বিশ্বাস কিরীটীর আকস্মিক প্রশ্নে, বলে, পরিচয়।
হ্যাঁ, পরিচয় কি ছিল?
না তো!
কখনও কোনও পরিচয় ছিল না?
না।
এই হোটেলেই তাহলে তার সঙ্গে আপনাদের প্রথম পরিচয়?
হ্যাঁ।
ওঃ! আচ্ছা চলুন। মধ্যবর্তী দরজা-পথে আবার আমরা প্রথম ঘরে ফিরে এলাম। হঠাৎ কিরীটী রেণুকা বিশ্বাসের দিকে আবার ঘুরে দাঁড়াল, মিসেস বিশ্বাস। বলুন? আপনি প্রথম কখন জানতে পারেন এবং কেমন করে জানতে পারেন দুর্ঘটনার কথাটা?
বোর্ডারদের প্রাতঃকালীন চায়ের ব্যবস্থা করবার জন্য আমাকে খুব ভোরে উঠতে হয়। রাত থাকতেই বলতে গেলে আমি উঠি। কিচেনে চায়ের ব্যবস্থা করছিলাম। হোটেলের নুলিয়া আঁড়িয়া এসে খবরটা আমাকে প্রথম দেয়। আমি সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে দেখি।
চিনতে পেরেছিলেন মিঃ সরকারকে?
হ্যাঁ।
তারপর?
হোটেলে ফিরে এসে ব্যাপারটা আমি আমার স্বামীকে জানাই। স্বামী তখনই সমুদ্রতীরে চলে যান।
আর আপনি?
আমি সোজা এ-ঘরে আসি।
কেন?
মনে হল ঘরটা দেখা দরকার, তাই।
এসে কি দেখলেন। ঘরের দরজা খোলা ছিল?
হ্যাঁ। তবে শিকল ভোলা ছিল দরজার বাইরে থেকে।
অর্থাৎ তালা দেওয়া ছিল না?
না।
আপনি ঘরে ঢুকেছিলেন?
ঢুকেছিলাম।
কিছু উল্লেখযোগ্য আপনার নজরে পড়েছিল তখন এই ঘরে?
না। তাছাড়া মনের অবস্থা তখন আমার চঞ্চল। তাড়াতাড়ি কোনমতে ঘরে তালাটা লাগিয়ে নীচে চলে যাই।
তালার চাবিটা বুঝি উপরে আসবার সময় সঙ্গেই এনেছিলেন?
অ্যাঁ, কি বললেন?
বলছিলাম, তালার চাবিটা–
হ্যাঁ, সঙ্গেই এনেছিলাম।
হুঁ। আচ্ছা মিসেস বিশ্বাস, কতদিনের জন্য সরকার এই ঘর দুটো আপনার নিয়েছিল? কিরীটীই প্রশ্ন করতে থাকে পূর্ববৎ।
দিন পনেরোর জন্য।
আর একটা কথা, সরকারের কাছে এ কদিন ভিজিটার্স কেউ এসেছে জানেন?
কই, না তো!
কেউ আসেনি?
না। অন্ততঃ এলেও আমার নজরে পড়েনি। আমি জানতেও পারিনি। তাছাড়া আসবে কি, লোকজন উনি বড় পছন্দই করতেন না-ঘরকুনো ধরনের লোকটি ছিলেন বলে মনে হয়।
আচ্ছা একজন বেশ সুন্দর ফর্সামত লোক—কটা চুল, কটা চোখ, ঝলঝলে সুট পরনে—এমন একটা লোককে সরকারের কাছে আসতে দেখেছেন কি?
না। তাছাড়া মিঃ সরকার তো প্র্যাক্টিক্যালি তার ঘর থেকে বেরুতেন না, একমাত্র ঘণ্টাদেড়েক-দুয়েকের জন্য সন্ধ্যার মুখে ছাড়া–
এই ঘরেই বুঝি সব সময় থাকতেন?
হ্যাঁ। ঘণ্টায় ঘণ্টায় চা আর টিন টিন সিগারেট—এমন কি ডাইনিং হলেও এই কদিনে একবারও যাননি-খাবার এই ঘরেই পাঠিয়ে দিতাম আমরা।
আচ্ছা, আপনার স্বামীকে একবার উপরে পাঠিয়ে দেবেন গিয়ে?
দিচ্ছি।
মিসেস বিশ্বাস ঘর থেকে বের হয়ে গেল।
কিরীটী ঘরের চারিদিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাতে থাকে এবং তাকাতে তাকাতে হঠাৎ ইজিচেয়ারটার সামনে গিয়ে ঝুঁকে হাত বাড়িয়ে তার আঙুলের সাহায্যে কি যেন তোয়ালের উপর থেকে খুঁটে তুলে নিল।
কি রে? শুধালাম।
একটা চুল।
চুল!
হ্যাঁ। দেখতে বেশ লম্বা কোঁকড়া। কোন পুরুষের নয়-নারীর মাথার কেশ—
নারীর–
আমার মুখের কথা শেষ হয় না, খোলা দরজা-পথে এক সুবেশা নারী ঘরের মধ্যে এসে ঢোকে কথা বলতে বলতে এবং পশ্চাতে হরডন বিশ্বাস।
কি বলছেন ম্যানেজার আপনি পাগলের মত! কালী সরকার মারা গিয়েছে—অথচ কালও বিকেলের দিকে ট্রেনে চাপবার আগে তার সঙ্গে ফোনে কলকাতা থেকে এই হোটেলে কথা–
আগন্তুক ভদ্রমহিলার বোধ হয় এতক্ষণে আমাদের প্রতি নজর পড়ে। থেমে যায় সে। ভু কুঞ্চিত করে আমাদের দিকে তাকায় চশমার কাঁচের ভিতর দিয়ে। সরু ফ্রেমের সোনার চশমা চোখে।
আগন্তুক মহিলার বয়স চৌত্রিশ-পয়ত্রিশের নীচে কোনমতেই নয়। চেহারাটা সুশ্রী এবং সযত্ন-প্রসাধনও চোখে স্পষ্ট। কিন্তু তা সত্ত্বেও বয়সকে লুকোতে পারেনি মহিলা। কপালে বয়সের ছাপ পড়েছে। চোখে লাগে।
কিন্তু আশ্চর্য, চুল একেবারে মাথার কালো কুচকুচে-একটু যেন অস্বাভাবিক রকমেরই কালো। পরনে দামী শাড়ি, ক্রেপ সিল্কের রাউজ। হাতে সাদা ব্যাগ।
মিঃ মহান্তি-হরডন বিশ্বাসই বলে, ইনি লতিকা গুঁই-কালী সরকারের কাছে এসেছেন। বলছেন উনি নাকি তাঁর বিশেষ পরিচিতা!
কিন্তু এরা কারা? লতিকা গুঁই-ই প্রশ্ন করল।
থানা অফিসার মিঃ মহাডিআর উনি মিঃ কিরীটী রায়।
তাহলে ব্যাপারটা সত্যি? যেন স্বগতোক্তির মতই বলে অতঃপর লতিকা গুঁই।
খা। জবাব দিল মহান্তি, কিন্তু আপনি কোথা থেকে আসছেন?
কলকাতা থেকে।
আজই?
হ্যাঁ-আজই।
কলকাতার ট্রেন কি আজ লেট?
না, ঠিক টাইমেই এসেছে।
তবে আপনার আসতে–
আমি অন্য হোটলে উঠেছি। কথা ছিল কাল আমাকে স্টেশনে রিসিভ করে আনতে যাবে। কিন্তু সেখানে তাকে না দেখে সোজা হোটেলে যাই। সেখান থেকে এই আসছি।
আপনার সঙ্গে মিঃ সরকারের অনেক দিনের পরিচয় বুঝি?
হ্যাঁ-বলতে পারেন অনেক বছর।
দীর্ঘদিনের পরিচয় তাহলে আপনাদের?
নিশ্চয়ই।
কালী সরকারের বাড়িতে কে কে আছেন জানেন-কিছু বলতে পারেন?
কে আর থাকবে-ব্যাচিলার।
বিয়ে করেননি?
না-তবে ওর বড় ভাইয়ের এক ছেলে সাধন সরকার ওর কাছে থাকে হাজরা রোডের বাড়িতে–
তারপরই একটু থেমে লতিকা গুঁই বলে, কিন্তু ব্যাপারটা যে এখনও আমার রীতিমত অবিশ্বাস্য-absurd বলেই মনে হচ্ছে মিঃ রায়!
কথাটা লতিকা গুঁই কিরীটীর মুখের দিকে তাকিয়েই শেষ করল।
আচ্ছা মিস্ গুঁই, আপনাকে যদি কয়েকটা প্রশ্ন করি?
কিরীটীর প্রশ্নে লতিকা গুঁই মুখের দিকে তাকিয়ে বললে, নিশ্চয়ই, করুন না। কি জানতে চান বলুন? আমি জানলে এ ব্যাপারে আপনাকে যথাসাধ্য সাহায্য করতে প্রস্তুত।
আপনি তো বলছিলেন আপনাদের-মানে আপনার সঙ্গে মিঃ সরকারের অনেক দিন থেকেই আলাপ–
হ্যাঁ।
কতদিনের আলাপ?
তা বছর দশ-পনেরো তো হবেই।
মিঃ সরকার কেন আজ পর্যন্ত বিয়ে করেননি কিছু বলতে পারেন?
না।
কোন ভালবাসার ব্যাপার?
মনে তো হয় না।
কেন? তিনি কি ভালবাসতে জানতেন না?
তা জানবে না কেন—তবে সে ভালবাসাটা তার ছিল একমাত্র অঙ্কশাস্ত্রের প্রতি।
আচ্ছা পুরীতে এর আগে কখনো তিনি এসেছেন বলে আপনি কিছু জানেন?
জানি না।
আগের পর্ব :
০১. মানুষের চেহারা
০২. পরের দিন সূর্যোদয় দেখব বলে
০৩. থানা থেকে আমাদের ডাক
০৪. বেঁটেখাটো গড়ন রেণুকা বিশ্বাসের
পরের পর্ব :
০৬. কিরীটী আবার জিজ্ঞাসা করে
০৭. সী-সাইড হোটেল
০৮. কিরীটী মহান্তির মুখের দিকে তাকিয়ে
০৯. পোস্টমর্টেম রিপোর্ট
১০. অদ্ভুত একটা স্তব্ধতা
১১. গাত্রোত্থান করব মহান্তি সাহেব
১২. কিরীটীর ট্রাঙ্ক কল
১৩. মহান্তি অতঃপর শুধায়