০২. পরের দিন সূর্যোদয় দেখব বলে
পরের দিন সূর্যোদয় দেখব বলে অন্ধকার থাকতে থাকতে উঠেছি দুজনেই আমরা। এবং কোনমতে দুজনে গায়ে জামাটা চাপিয়ে সূর্যোদয় দেখব বলে বের হয়ে পড়ি হোটেল থেকে।
রাত্রি শেষ হয়ে এসেছে এবং পাতলা অন্ধকারের একটা পর্দা সমস্ত প্রকৃতি জুড়ে যেন থিরথির করে কাঁপছে। তার মধ্যে অস্পষ্ট ঝাপসা সমুদ্র দেখা যায় যতদুর সামনের দিকে দৃষ্টি চলে ততদূর পর্যন্ত। একটানা গর্জন করে চলেছে এবং ঢেউ পড়ছে আর আকুল উচ্ছ্বাসে তীরভূমির উপরে এসে ভেঙে গুড়িয়ে ফেনায় লুটিয়ে পড়ছে পারাবারহীন সমুদ্রের জলরাশি।
অনেকেই সূর্যোদয় দেখবার জন্য বের হয়েছে। তাদের ঝাপসা ঝাপসা মূর্তিগুলো দেখা যায় এদিক-ওদিক। ভিজে নরম বালির উপর দিয়ে দুজনে পূর্বমুখে এগিয়ে চলি। একটানা সমুদ্রের গর্জন বাতাসে মমরিত হচ্ছে। একটা ক্রুদ্ধ দৈত্য বন্দী হয়ে যেন অবিশ্রাম মাথা কুটে চলেছে।
আধ মাইলটাক এগিয়েছি, হঠাৎ ঝাপসা ঝাপসা আলো-আঁধারিতে দূরে নজর পড়ল, তীরে একেবারে জল ঘেঁষে অনেকগুলো লোক। এক জায়গায় যেন গোল করে অনেকগুলো লোক ভিড় করেছে, হয়তো জেলেরা মাছ ধরেছে বা ধরছে-তাই ভিড়।
কিন্তু যত কাছে এগোই, সমুদ্রের একটানা গর্জনকে ছাপিয়ে মৃদু একটা অস্পষ্ট গুঞ্জনধ্বনি কানে আসে আমাদের। পূর্ব গগনে সূর্য তখন দেখা দিয়েছে। ঠিক যেখানে আকাশ ও জলে মেশামেশি সেই আকাশ ও জলের মিলন-রেখাটি ছুঁয়ে যেন কোকনদটির মত। আরও কয়েক পা এগুতেই ব্যাপারটা আমাদের চোখে পড়ল। একটি দেহ সমুদ্রের বালুবেলায় পড়ে আছে আর তাকে ঘিরে দু-তিনটি নুলিয়া আর দশ-পনেরজন পুরীর চেঞ্জার।
গুঞ্জনটা তাদেরই কণ্ঠে। বিস্ময়ের গুঞ্জন।
কি ব্যাপার মশাই, পার্শ্ববর্তী একজনকে জিজ্ঞাসা করি আমিই।
মারা গেছে—
কে মরল?
কে জানে, জলে ড়ুবে মারা গেছে বলে মনে হচ্ছে।
জলে ড়ুবে?
তাই মনে হয়। নুলিয়ারা মাছ ধরতে গিয়েছিল, অনেকদূরে মৃতদেহটা ভেসে যাচ্ছে দেখতে পেয়ে তুলে এনেছে।
সমুদ্রতীরে ব্যাপারটা একটা নতুন কিছু নয়, বিস্ময়েরও কিছু নয়, মধ্যে মধ্যে দানব সদ্র দু-একজনকে যে গ্রাস করে না তা নয়। হয়ত তেমনি একজন কেউ। হঠাৎ ঐ সময় কিরীটীর বিস্ময়-ফুরিত কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত হয়, এ কি, এ যে দেখছি আমাদের কালী সরকার।
কালী সরকার।
সঙ্গে সঙ্গে আমি আবার মৃতদেহের দিকে দৃষ্টিপাত করি, দু পা আরও এগিয়ে যাই। তাই তো–মিথ্যা তো নয়, কালী সরকারই তো!
সমুদ্র-সৈকতে ভোরের আলো আরও স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে তখন। সে আলোয় বালবেলায় শায়িত মৃত কালী সরকারের দেহটির দিকে তাকিয়েই যেন আমরা কয়েকটা মুহূর্ত বোবা হয়ে থাকি। চিৎ করে শোয়ানো বালুবেলার উপর কালী সরকারের মৃতদেহটা। চোখের পাতা বিস্ফারিত-বিস্ময়ের দৃষ্টি যেন স্থির হয়ে আছে নিষ্পলক স্থির দুটো চোখের তারায়। মাথার চুল এলোমেলো। পরিধানে পায়জামা-পাঞ্জাবি। খালি পা। আর বাঁ হাতে সোনার ব্যাণ্ডে রিস্টওয়াচ বাঁধা।
ইতিমধ্যে ভিড় দেখে সেখানে আরও লোক জমতে শুরু করেছে। সবাই বিস্মিত হতচকিত। একই প্রশ্ন সকলের। তার মধ্যে কেউ কেউ সমবেদনা প্রকাশ করে।
কিরীটী পায়ে পায়ে মৃতদেহের একেবারে খুব কাছে এগিয়ে যায়। তীক্ষ্ণ স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে চেয়ে কি যেন দেখতে থাকে। কি দেখছে কে জানে।
ক্রমেই মানুষের ভিড় একজন দুজন করে বাড়ছে।
হঠাৎ দেখি কিরীটী মৃতদেহের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে, ঈষৎ ঝুঁকে মৃতদেহে কি যেন লক্ষ্য করছে।
আমি একটু এগিয়ে যাই।
কিরীটী সোজা হয়ে উঠে দাঁড়ায় এবং কতকটা যেন আত্মগতভাবেই অত্যন্ত মৃদুকণ্ঠে বলে, হুঁ–
ওর মুখের দিকে সঙ্গে সঙ্গে আমি তাকালাম ও প্রশ্ন করলাম, কি রে?
কিরীটী মৃতদেহের দিকে চোখের ইঙ্গিত করে বলে, দেখ–
কী?
দেখ, লক্ষ্য করে দেখ ভাল করে, কালীর গলায়
কী-বলে তাকাতেই আমারও নজরে পড়ল। কালো একটা আধ-ইঞ্চি চওড়া সরু ফিতের মত দাগ গলায় ঠিক চিবুকের নীচে।
হঠাৎ দেখলে মনে হয় যেন আবছা আবছা একটা কালো ফিতে গলায় জড়ানো। প্রথমে তাৎপৰ্যটা মনের মধ্যে উদয় হয়নি। কিরীটীর দ্বিতীয় কথার সঙ্গে সঙ্গে যেন মনের মধ্যে একটা বিদ্যুৎ ঝলক দেয়।
স্ট্রাঙ্গুলেশন নয় তো!
কিরীটী স্বগতোক্তির মতই যেন ফিসফিস করে কথাটা উচ্চারণ করে। কিন্তু তৎসত্ত্বেও কথাটা কানে আমার প্রবেশ করেছিল।
সত্যিই তো! সঙ্গে সঙ্গে মনে দেখা দেয় সন্দেহটা, গলা টিপে হত্যা করে কেউ কালীকে সমুদ্রের জলে রাতারাতি ভাসিয়ে দেয়নি তো!
সম্ভবতঃ তাই এবং তাহলে তো ব্যাপারটা নিষ্ঠুর একটা হত্যা! কালী সরকার তাহলে নিহত হয়েছে!
হঠাৎ কিরীটীর হাতের স্পর্শে ফিরে তাকাই।
কি?
চল।
ভিড় ছেড়ে দুজনে খানিকটা এগিয়ে এলাম বালুর উপর দিয়ে হেঁটে। সূর্যোদয় আর দেখা হয়নি। ইতিমধ্যে সূর্যদেব অনেকটা উঠে গিয়েছে জলশয্যা ছেড়ে।
কিরীটী দেখি হনহন করে ক্রমশঃ সমুদ্রতীর ছেড়ে পাড়ের দিকে হেঁটে চলেছে। পাড়ে উঠে শহরের দিকে চলেছে।
কোথায় চলেছিস?
বিজয় মহান্তির ওখানে।
সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ল, বিজয় মহান্তির সঙ্গে মাত্র পরশুই ঘটনাচক্রে আলাপ হয়েছে। ওখানকার, ও, সি, বিজয় মহান্তি।
.
রিকশাওয়ালার সঙ্গে ভাড়া নিয়ে গোলমাল হওয়ায় কিরীটী সাইকেল-রিকশাওয়ালাটাকে ধরে নিয়ে সোজা থানায় গিয়েছিল।
সেখানেই বিজয় মহান্তির সঙ্গে আলাপ। লোকটি বেশ ভদ্র ও অমায়িক এবং কিরীটীর
পরিচয়টা আমি দিতে আমাদের সে কি সাদর অভ্যর্থনা!
কী সৌভাগ্য আমার! আপনাদের সঙ্গে আলাপ করে যে কি খুশি হলাম! তারপরই প্রশ্ন করেছিল, নিশ্চয়ই বেড়াতে এসেছেন মিঃ রায় পুরীতে?
হ্যাঁ। এবং সমুদ্র-দর্শন। কিরীটী জবাব দিয়েছিল, বেড়ানোটা গৌণ, সমুদ্রদর্শনটাই মুখ্য।
আসবেন কিন্তু মাঝে মাঝে।
কিরীটী প্রত্যুত্তরে হেসেছিল মৃদু, কোন জবাব দেয়নি।
আমি তো জানি, এতকাল খুন-জখম-চুরি-বাটপাড়ি এবং সেই কারণে থানা-পুলিস ঘেঁটে ঘেঁটে ওর ঐসবের প্রতি একটা বিতৃষ্ণা জন্মে গেছে। পারতপক্ষে আজকাল ঐসব স্থানে ও যেন পা দিতেই চায় না।
তাহলেও সেদিন থানা থেকে বের হয়ে হোটেলের দিকে যেতে যেতে বলেছিল কিরীটী, মিঃ কাগতাভুয়া মনে হল বেশ সজ্জন ব্যক্তি! আর এদের ক্ষেত্রে সাধারণতঃ যা হয় তাও নয়—ঘটে কিছু বুদ্ধি ধরে!
কাগতাড়ুয়া! সে আবার কোথা থেকে এল?
কেন রে! মহান্তি সাহেবকে কাগতাড়য়ার মতই দেখতে মনে হল না!
সত্যিই তো। বিজয় মহান্তির চেহারাটা মানসপটে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।
কাগতাড়ুয়াই বটে!
লম্বা দেহের অনুপাতে মাথাটা যেন বড়ই। বিশাল একজোড়া কনক-চাঁপা গোঁফ। সরু সরু হাত-পা। ঝলঝলে একটা সুট পরিধানে। আবলুশ কাঠের মত কালো গাত্রবর্ণ।
মিথ্যা বলেনি কিরীটী-ক্ষেতের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখলে কাগতাড়ুয়াই মনে হবে।
.
থানার কম্পাউণ্ডে প্রবেশ করতেই বাঁদিকে মহান্তির কোয়ার্টারের সামনে নজরে পড়ল, মহান্তি তার কোয়ার্টারের সামনে পায়চারি করে বেড়াচ্ছে। পরনে একটা সবুজ লুঙ্গি, গায়ে একটা গেঞ্জি, পায়ে হরিণের চামড়ার চটিজুতো।
আমাদের এত সকালে থানায় আসতে দেখে মহান্তি যেন একটু অবাকই হয়।
তাড়াতাড়ি এগিয়ে এসে অভ্যর্থনা জানায়, আসুন আসুন, কিরীটীবাবু! এত সকালে? কি সৌভাগ্য!
বাইরের বারান্দায় চেয়ার পাতা ছিল। আমরা সেখানেই বসি।
বসুন, চায়ের কথাটা বলে আসি ভিতরে। হন্তদন্ত হয়ে মহান্তি ভিতরে গেল।
চায়ের অর্ডার দিয়ে একটা শার্ট গায়ে চাপিয়ে এসে আমাদের মুখোমুখি একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসতে বসতে বললে, এদিকে বেড়াতে বের হয়েছিলেন বুঝি? তা এ সময়টা সমুদ্রতীর ছেড়ে ঘিঞ্জির মধ্যে এই শহরের দিকে?
আপনাকে একটা খবর দিতে এলাম মহান্তি সাহেব-কিরীটী মৃদু কণ্ঠে বলে।
খবর! কী খবর?
সমুদ্রের মধ্যে একটা মৃতদেহ যাচ্ছিল, নুলিয়ারা মাছ ধরতে গিয়ে তুলে এনেছে।
মহান্তি হেসে ফেলে, অ্যাক্সিডেন্ট—দুর্ঘটনা! এ তো এখানে সমুদ্রে আকছারই হয়। নতুন কিছু নয়। তারপরই হঠাৎ যেন থেমে গিয়ে কিরীটীর মুখের দিকে সোজাসুজি তাকিয়ে বলে, আপনি কি সেইজন্যেই এসেছেন মিঃ রায়?
হ্যাঁ। কারণ ব্যাপারটা আমার ধারণায় সাধারণ কোন একটা অ্যাক্সিডেন্ট বলে যেন মনে হল না।
কিরীটীর কথায় মিঃ কাগতাড়ুয়া—আমাদের মহান্তি সাহ্নে যেন একটু নড়ে-চড়ে বসল, তারপর কিরীটীর মুখের দিকে তাকিয়ে শুধালে, কিসে?
হ্যাঁ, তাই।
Simple drowning case নয় বলে আপনার মনে হচ্ছে, মিঃ রায়?
হ্যাঁ।
তবে কী?
মনে হচ্ছে ইটস কেন্স অফ মার্ডার! লোকটাকে হত্যা করে তারপর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই যেন আমার ধারণা। অবিশ্যি–
আপনার তাই ধারণা?
হ্যাঁ, কারণ এক হতে পারে লোকটা সমুদ্রের জলে আত্মহত্যা করবার জন্য ঝাপিয়ে পড়েছিল কিংবা স্নান করতে গিয়ে আচমকা ঢেউয়ের টানে অগাধ জলে গিয়ে আর সামলাতে পারেনি। কিন্তু ভাবলে মনে হবে, দুটোই যেন কতকটা অসম্ভব।
কেন—অসম্ভব কেন?
প্রথমতঃ লোকটা আমার পরিচিত ছিল।
বলেন কী!
হ্যাঁ, গতকাল সন্ধ্যায়ও ওর সঙ্গে সমুদ্র-সৈকতে আমার দেখা হয়েছে। আত্মহত্যা যদি সে করতও—সমুদ্রজলে ঝাপিয়ে তার পক্ষে সহজসাধ্য ছিল না আত্মহত্যা করাটা, যেহেতু লোকটা এককালে খুব ভাল চ্যাম্পিয়ান সাঁতারু ছিল। দ্বিতীয়তঃ স্নান করতে গিয়ে যদি স্লিপ করে থাকে-সেও নিশ্চয়ই শেষরাত্রে অন্ধকার থাকতে স্নান করতে যায়নি—কেউ যায় না বিশেষ করে সমুদ্রস্নানে—তাই যেন আমার মনে হচ্ছে ওকে কেউ হত্যা করেছে–
হত্যা করেছে-বলেন কী?
হ্যাঁ। অবিশ্যি হত্যাকারী হয়ত ভেবেছিল, নিঃশব্দে হত্যা করে রাতের অন্ধকারে একবার যদি মৃতদেহটা সমুদ্রের জলে ভাসিয়ে দেওয়া যায়—তার কার্যসিদ্ধি হবে এবং হত্যার সমস্ত প্রমাণ সমুদ্রের জল ধুয়ে-মুছে দেবে। কিন্তু–
মহাতি কিরীটীর মুখের দিকে সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকাল।
কিরীটী বলে, কিন্তু বেচারীর বোধ হয় বিধি বাম। সমুদ্র তো বিশ্বাসঘাতকতা করেছেই–মৃতদেহটা বেশী দূরে টেনে না গিয়ে আশেপাশেই কোথাও ভাসছিল যার ফলে নুলিয়াদের নজরে পড়ে গেল, আর সেই সঙ্গে
কি সেই সঙ্গে?
মহান্তি কাল কিরীটীর মুখের দিকে।
কিরীটী মৃদু হেসে বললে, কিরীটী রায়ের উপস্থিতি পুরীতে—কিন্তু সেজন্যও ঠিক নয় মহাতি সাহেব। আমি এসেছি বিশেষ করে কথাটা আপনাকে জানাতে—একটু আগেই আমি আপনাকে বললাম না—আমি ওকে চিনতাম। লোকটার নাম কালী সরকার-কলকাতা শহরের একজন নামী ও ধনী জুয়েলার।
তাই নাকি?
হ্যাঁ। মাঝখানে অবিশ্যি অনেকদিন আমার ওর সঙ্গে দেখা হয়নি, তবে দেখা না হলেও কাগজেই হয়ত আপনিও দেখে থাকবেন, ভাইয়ে ভাইয়ে গণ্ডগোল হয়ে বৎসরখানেক আগে সব পাটিশন হয়ে আলাদা আলাদা হয়ে গিয়েছে-পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে পার্টিশন–
জাস্ট এ মিনিট মিঃ রায়, মহান্তি বাধা দেয় ঐ সময়, ওরই ভাইরা কি-রাখাল সরকার, বৃন্দাবন সরকার, গোকুল সরকার
হ্যাঁ, কালী রাখাল বৃন্দাবন গোকুল আর দুর্গা সরকার। একদা কালীর সঙ্গে প্রেসিডেন্সীতে বছর তিন পড়েছিলাম। ম্যাথেমেটিকসে খুব মাথা ছিল ঐ কালীর।
তাই বুঝি?
হ্যাঁ। আর দেখতে লোকটা, মানে চেহারাটা, একটা বনমানুষ ও ভিলেনের মত হলেও খুব শান্ত নিরীহ প্রকৃতির ছিল বলেই জানতাম।
কথাগুলো বলতে বলতে কিরীটী আড়চোখে আমার দিকে তাকাল।
তাহলে তো একবার উঠতে হচ্ছে!
হ্যাঁ-চলুন একবার ঘুরে আসবেন।
কিরীটী উঠে দাঁড়াতেই মহান্তি বাধা দেয়, আরে উঠছেন কি, বসুন-বসুন—চা আসুক। আগে চা খান-মৃতদেহ যখন ডানা মেলে উড়ে যাবে না।
কিরীটী মৃদু হেসে বলে, তা অবিশ্যি যাবে না। কিন্তু আপনার একবার যত শীঘ্র সম্ভব মনে হয় সেখানে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে এলে ভাল হয়।
সে তো যাবই। বসুন-বসুন—
অগত্যা আমাদের পুনরায় বসতেই হল।
এবং সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় চা এসে গেল। শুধু চা নয়, তার সঙ্গে প্রচুর জলখাবারও। চা ও জলখাবারের ব্যাপার শেষ করে আরও আধ ঘণ্টা পরে আমরা উঠলাম। আসবার সময় মিঃ মহান্তি বললেন থানায় মৃতদেহ এলেই আমাদের খবর দেবে।
আগের পর্ব :
পরের পর্ব :
০৩. থানা থেকে আমাদের ডাক
০৪. বেঁটেখাটো গড়ন রেণুকা বিশ্বাসের
০৫. আর অপেক্ষা করলাম না
০৬. কিরীটী আবার জিজ্ঞাসা করে
০৭. সী-সাইড হোটেল
০৮. কিরীটী মহান্তির মুখের দিকে তাকিয়ে
০৯. পোস্টমর্টেম রিপোর্ট
১০. অদ্ভুত একটা স্তব্ধতা
১১. গাত্রোত্থান করব মহান্তি সাহেব
১২. কিরীটীর ট্রাঙ্ক কল
১৩. মহান্তি অতঃপর শুধায়