১২. আঠার নম্বর ফ্ল্যাট
আঠার নম্বর ফ্ল্যাট।
ফ্ল্যাটের দরজায় অমলেন্দুরই নেমপ্লেট রয়েছে। ডক্টর অমলেন্দু মল্লিক ডি লিট।
তাহলে এই ফ্ল্যাটই।
কোনমতে অবশ হাতটা তুলে কলিং বেলের বোতামটা টিপল শমিতা। বার–দুই বোম টিপতে দরজা খুলে গেল। সামনেই নজরে পড়ে সাজানো–গোছানো একটা ড্রইংরুম।
দরজার মুখোমুখি একেবারে দেওয়ালে অমলেন্দুর একটা এনলার্জড ফটো। ভুল হয়নি তাহলে তার–অমলেন্দুরই ফ্ল্যাট।
মধ্যবয়সী একটি বিহারী ভৃত্য দরজা খুলে দিয়েছিল। জিজ্ঞাসা করে, কিসকো মাংতা?
মল্লিক সাব হ্যাঁয়?
জী। আভিতো নিদ যাতা হ্যাঁয়।
ওঃ, তা—
আপ কিধার সে আতে হে?
এই মানে–কানপুর!
কানপুর।
হ্যাঁ।
আইয়ে, বৈঠিয়ে।
শমিতা এগিয়ে গিয়ে একটা সোফার উপর বসল। সুটকেসটা একপাশে নামিয়ে রেখে দিল। ভৃত্য দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে অন্দরে অদৃশ্য হয়ে গেল।
এতক্ষণে–এতক্ষণে যেন একটা দুর্নিবার লজ্জা তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলতে থাকে। সমগ্র পরিস্থিতির অবশ্যম্ভাবী পরিণতিটা যেন তার চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে।
ছিঃ ছিঃ, ঝোঁকের মাথায় এ একটা কি কাজ সে করে বসল! শেষ পর্যন্ত মরতে এখানে সে আসতে গেল কেন? একটু পরেই অমলেন্দু হয়ত এই ঘরে এসে ঢুকবে!
তারপর?
তারপর কি একটা নিষ্ঠুর ব্যঙ্গের হাসি তার চোখে-মুখে ফুটে উঠবে না?
বলবে না কি, ও, তাহলে তুমি! তা মিস শমিতা সান্যাল এখানে আবার কি প্রয়োজনে? দাদা বুঝি শেষ পর্যন্ত গলাধাক্কা দিল? জানতাম দেবে। কিন্তু দেখতে তো পাচ্ছি রূপ–যৌবন এখনও ফুরিয়ে যায়নি। আর বুঝি কাউকে গাঁথতে পারলে না মিস সান্যাল।
শমিতা এদিক-ওদিক তাকিয়ে উঠে দাঁড়াল।
নীচু হয়ে হাত বাড়িয়ে সোফার পাশ থেকে সুটকেসটা তুলতে যাবে হঠাৎ একটা চপ্পলের আওয়াজ কানে এল শমিতার। একেবারে দরজার গোড়াতেই। থপ করে আবার বসে পড়ল শমিতা।
পরক্ষণেই ঘরের ভারী পদাটা তুলে অমলেন্দু এসে ভিতরে প্রবেশ করল। শমিতার প্রতি দৃষ্টি পড়তেই অমলেন্দু থমকে দাঁড়িয়ে গেল। বিস্ময়ে অর্ধস্ফুট কণ্ঠে উচ্চারিত হল একটিমাত্র শব্দ, তুমি!
শমিতা চেয়ে থাকে অমলেন্দুর দিকে।
সদ্য বোধ হয় অমলেন্দুর ঘুম ভেঙেছে। গায়ে একটা ড্রেসিং–গাউন–মাথার চুল বিস্ত।
শমিতা নিজের অজ্ঞাতেই উঠে দাঁড়াচ্ছিল আবার কিন্তু অমলেন্দু বাধা দিল। বস, বসবলতে বলতে আরও দু’পা সামনের দিকে এগিয়ে এল অমলেন্দু।
ব্যাপারটা যেন তখনও তার সদ্য-ঘুম-ভাঙা মস্তিষ্কে ঠিক প্রবেশ করছে না। শুধু আকস্মিক নয়, অভাবিতও ব্যাপারটা তার কাছে। শমিতা তার গৃহে!
কি ব্যাপার বল তো? ইউ লুক সো শ্যাবি! মনে হচ্ছে যেন কোন দীর্ঘপথ ট্রেন-জার্নি করে আসছ–কোথা থেকে আসছ?
অমলেন্দু—
চল চল–তা এখানে বসে আছ কেন? বুধনটা বলল কে একজন মাইজী এসেছে কানপুর থেকে। আমি তো ভাবতেই পারিনি তুমি! চল চল, ভিতরে চল। অমলেন্দুর কণ্ঠস্বরে যেন একটা সাদর আগ্রহ অভ্যর্থনার আত্মীয়তার সুর ধ্বনিত হয়ে ওঠে।
এস।
শমিতা উঠে দাঁড়াল।
শমিতাকে নিয়ে অমলেন্দু শয়নঘরে গিয়ে ঢুকল তার। একপাশে এলেমেলো শয্যা, একপাশে দেওয়াল ঘেঁষে একটা ডিভান–অন্যপাশে একটা টেবিলের ওপরে একরাশ বই কাগজপত্র ছড়ানো।
মাথার কাছে টেলিফোন, সিগারেট প্যাকেট, অ্যাশট্রে, লাইটার, ছোট একটা টেবিল–ক্লক।
বস। ডিভানটা দেখিয়ে দিল অমলেন্দু।
শমিতা সত্যিই আর দাঁড়াতে পারছিল না। পা দুটো যেন কাঁপছিল। শমিতা ডিভানটার উপরে বসে পড়ল।
এত সকালে নিশ্চয়ই তোমার চা খাওয়া হয়নি শমিতা? এই বুধন–বুধন!
প্রভুর ডাকে বুধন এসে ঢোকে, জী।
চা হয়েছে?
জী হাঁ–চা রেডি।
এই ঘরে নিয়ে আয়।
বুধন চলে যাবার পর অমলেন্দু আবার শমিতার দিকে তাকিয়ে বলল, হাত–মুখ ধোয়া হয়নি এখনও বলেই মনে হচ্ছে। ঐ যে বাথরুম, যাও।
শমিতা একটা কথাও বলে না। যন্ত্রচালিতের মত উঠে বাথরুমে ঢোকে।
অমলেন্দু প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট নিয়ে অগ্নিসংযোগ করল। শমিতা! শমিতা হঠাৎ এল কেন আবার? মনে হচ্ছে শমিতা খুব চিন্তিত, ক্লান্ত। শমিতার কোন খবরাখবর না নিলেও, এই দুই বৎসর তার সম্পর্কে সকল সংবাদই অমলেন্দুর কানে এসেছে। বিশেষ করে মরালী সঙেঘর ব্যাপারটা।
শমিতা ইদানীং রীতিমত উচ্ছঙ্খল জীবনযাপন করছে। তার সম্পর্কে নানা ধরনের রসালো কেচ্ছা সবই তার কানে এসেছে।
কিন্তু অমলেন্দু কান দেয়নি সে-সব কোন সংবাদে। এককালে শমিতা তার স্ত্রী ছিল। তারপর ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে তো আর কোন সম্পর্ক নেই। তবু–তবু কেন যেন মধ্যে মধ্যে অমলেন্দুর মনের ভিতরটা কি এক বেদনায় ক্লিষ্ট হয়ে উঠেছে। আসলে অমলেন্দু তাকে ভুলতে পারেনি।
ঐ ভুলতে না পারাটাও কি তার কাছে কম লজ্জা মনে হয়েছে?
বুধন ট্রেতে চা নিয়ে এল।
একটু পরেই শমিতা বাথরুম থেকে বের হয়ে এল। চোখে মুখে ও কপালের চুলে চূর্ণ জলকণা লেগে আছে। শাড়ির আঁচলটা গায়ে জড়ানো, শমিতা আবার ডিভানটার উপরে এসে বসল।
অমলেন্দুই চা তৈরি করে এক কাপ এগিয়ে দিল শমিতার দিকে, নাও।
হাত বাড়িয়ে শমিতা চায়ের কাপটা নেয়। হাতটা যেন কাঁপছে।
অমলেন্দু নিজের কাপটা হাতে তুলে নেয়। নিঃশব্দে দুজনে কিছুক্ষণ চা পান করে। কারও মুখেই কোন কথা নেই, দুজনেই মনে মনে ভাবে, ও আগে কথা বলুক। শমিতা ভাবে, ওরই তো জিজ্ঞাসা করার কথা। কেন আবার হঠাৎ এলাম!
অমলেন্দু ভাবে, নিশ্চয়ই শমিতা বলবে কিছু। তার বলবার কিছু নিশ্চয়ই আছে, আর সেই জন্যই হয়ত এসেছে। কিন্তু দুজনেই বুঝতে পারে মনে মনে, মধ্যিখানে দুই বৎসরের ব্যবধানে দুজনে দুজনের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছে।
অত্যন্ত সহজ ছিল যা একদিন আজ তা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দুজনের মধ্যে একটা অদৃশ্য প্রাচীর তুলে দাঁড়িয়েছে কখন যেন।
এক সময় চা শেষ হল বাক্যহীন স্তব্ধতার মধ্য দিয়ে।
অমলেন্দু একটা সিগারেট ধরাল। বুধন ঐ সময় ঐদিনকার সংবাদপত্রটা রেখে গেল ওদের সামনে। অমলেন্দু হাত বাড়িয়ে সংবাদপত্রটা তুলে নিল। প্রথম পৃষ্ঠার বড় বড় হেডলাইনগুলোয় চোখ বুলিয়ে তৃতীয় পৃষ্ঠাটা খুলতেই অমলেন্দুর চোখে পড়ল গগনবিহারীর নিহত হবার সংবাদটা।
অমলেন্দু যেন চমকে ওঠে। কারণ গগনবিহারীর সঙ্গে শমিতার ইদানীংকার ঘনিষ্ঠতার সংবাদটা সে পেয়েছিল।
সংক্ষিপ্ত সংবাদ। গগনবিহারীকে তাঁর শয়নগৃহে মৃত রক্তাপ্লুত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে পৃষ্ঠে ছুরিকাবিদ্ধ। কাউকেই এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। গগনবিহারীর বহুদিনের ভৃত্য রামদেওর কোন সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না।
অমলেন্দু একবার আড়চোখে তাকাল পাশেই উপবিষ্ট শমিতার দিকে, তারপর আবার সংবাদপত্রে মনোনিবেশ করল।
কিন্তু পড়তে পারল না। কাগজটা ভাঁজ করে টেবিলের উপরে রেখে উঠে দাঁড়াল। আমি একটু বেরুব শমিতা!
বেরুবে? কোথায়?
একটা বই আজ বেরুবার কথা। শেষ ফমাটা কাল রাত্রে ডেলিভারী দেবার কথা ছিল। একবার প্রেসে যেতে হবে, সেখান থেকে একবার প্রফেসার চৌধুরীর ওখানে যাব। বুধন রইল–তোমার কোন অসুবিধা হবে না।
শমিতা অমলেন্দুর প্রশ্নের জবাব দেয় না।
আধ ঘণ্টার মধ্যে অমলেন্দু স্নান করে সাজগোজ করে যখন বের হয়ে গেল, শমিতা তখনও তেমনি ডিভানটার উপরে বসে আছে।
আশ্চর্য!
অমলেন্দু তো তাকে কোন কথাই জিজ্ঞাসা করল না! কেন সে হঠাৎ এখানে এসেছে, তার কিছু বলার আছে কিনা!
কি করবে সে? চলে যাবে?
কিন্তু কোথায় যাবে? কলেজে একবার যেতে হবে বটে, তাছাড়া থাকবার একটা ব্যবস্থাও করতে হবে। অমলেন্দুর এখানে সে থাকতে পারে না। অমলেন্দুই বা তাকে থাকতে দেবে কেন? কি সম্পর্ক আজ আর তার সঙ্গে?
.
বেলা দুটো নাগাদ অমলেন্দু ফিরে এল।
ঘরে ঢুকে দেখে শমিতা তার শয্যায় শুয়ে গভীর নিদ্রাভিভূত। স্নান করে অন্য একটা সাধারণ তাঁতের শাড়ি পরেছে। ভিজে চুলের রাশ বালিশে ছড়িয়ে আছে।
ঘর থেকে বের হয়ে এসে অমলেন্দু বুধনকে ডাকল।
বুধন, মাইজী খেয়েছে?
না।
খায়নি?
না। দুবার তিনবার ডাকতে এসে দেখি মাইজী ঘুমাচ্ছেন। আপনার খানা দেব টেবিলে?
হ্যাঁ, দে।
বুধন চলে যাচ্ছিল, তাকে আবার ডাকল অমলেন্দু, শোন। দুজনের খানাই দে টেবিলে।
বুধন ঘাড় হেলিয়ে চলে গেল।
অমলেন্দু এসে শয্যার পাশে দাঁড়াল। ডাকল, শমিতা!
কোন সাড়া নেই শমিতার।
শমিতা, ওঠ। খাবে না?
শমিতার ঘুম ভাঙে না।
অমলেন্দু একটু ইতস্তত করে, তারপর শিয়রের ধারে বসে ওর ভিজে চুলের উপরে হাত রেখে ডাকে মৃদুকণ্ঠে, শমিতা, শমিতা ওঠ।
উঁ!
ওঠ। চল–টেবিলে খাবার দিয়েছে।
শমিতা এবারে উঠে বসে, তুমি? কখন এলে?
এই আসছি–চল টেবিলে খাবার দিয়েছে। যাও বাথরুম থেকে চোখে-মুখে জল দিয়ে এসো।
শমিতা শয্যা থেকে উঠে বাথরুমের দিকে পা বাড়ায়।
খাবার টেবিলে বসে শমিতা বলে, একটা কথা বলব ভাবছিলাম অমল—
বল।
আমি যদি কটা দিন তোমার এখানে থাকি, তোমার কি খুব অসুবিধা হবে?
অমলেন্দু কোন জবাব দেয় না।
অবিশ্যি বেশী দিন নয়, একটা থাকবার ব্যবস্থা হলেই—
যতদিন খুশি এখানে থাকতে পার শমিতা। অমলেন্দু মৃদু গলায় জবাব দেয়।
না, না, বেশী দিন তোমাকে বিরক্ত করব না।
বিরক্তির তো কিছু নেই
তোমার তো অসুবিধে হতে পারে!
অসুবিধা আবার কি?
হবে না?
কেন, অসুবিধা হবে কেন? হয়ত তোমারই অসুবিধা হতে পারে।
আমার?
হ্যাঁ–এখানে থাকতে
না, অমলেন্দু তা নয়—
তবে কি?
আমি ভাবছিলাম অন্য কথা।
কি?
না, কিছু না। তারপর একটু থেমে বলে, বুধন–তোমার চাকর কি ভাববে!
ও কেন ভাবতে যাবে?
ভাববে না বলছ?
না। তাছাড়া এর মধ্যে ভাবাভাবির কি আছে?
তবুও হয়ত ভাববে–কে আমি কোথা থেকে হঠাৎ এলাম—
ওকে বললেই হবে—
কি বলবে?
তুমি আমার চেনা বন্ধু।
বন্ধু!
হ্যাঁ–কলকাতায় এসে আমার এখানে উঠেছ। তাছাড়া ও কি ভাববে-না-ভাববে সে কথা ভেবে তুমি এত সংকুচিতই বা হচ্ছ কেন? তোমার কোন অসুবিধা না হলে তুমি থাকতে পার। কিন্তু তুমি তো কিছুই খাচ্ছ না!
খিদে নেই–
তবে জোর করে খেও না।
আচ্ছা অমলেন্দু!
কি?
তুমি তো একবারও জিজ্ঞাসা করলে না, আমি হঠাৎ কেন এলাম এতদিন পরে?
তুমি যখন বলনি, নিশ্চয়ই বলবার মত কিছু নেই–তাই জিজ্ঞাসাও করিনি।
না অমলেন্দু, আছে।
কি?
বলবার অনেক কথা আছে, কিন্তু ভাবছি কি বলব? কেমন করে বলব?
এখন ওসব কথা থাক শমিতা।
তুমি জান কিনা জানি না–দাদার বন্ধু গগনবিহারী চৌধুরী নিহত হয়েছেন—
জানি আমি।
জান?
হ্যাঁ।
কেমন করে জানলে?
আজ খবরের কাগজে সংবাদটা প্রকাশিত হয়েছে।
কি–কি লিখেছে তাতে?
লিখেছে–কোন সন্ধান করা যায়নি এখনও হত্যাকারীর–পুলিস হত্যাকারীর অনুসন্ধান করছে–আর বিখ্যাত সত্যান্বেষী কিরীটী রায় পুলিসকে ঐ ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছেন। পুলিস পারলেও ঐ ভদ্রলোক যখন ব্যাপারটার মধ্যে মাথা গলিয়েছেন, খুনী ধরা পড়বেই!
পড়বেই!
হ্যাঁ, দেখে নিও। অসাধ্যসাধন করতে পারেন ঐ ভদ্রলোক। ওঁর অনুসন্ধানী দৃষ্টিকে ফাঁকি দেওয়া সহজ নয়।
শমিতার বুকটার মধ্যে থেকে একটা ভয়ের স্রোত তার মেরুদণ্ড বেয়ে শিরশির করে যেন নামতে থাকে। গলাটা শুকিয়ে ওঠে।
হঠাৎ শমিতা উঠে দাঁড়ায়। বলে, আমি চলি।
কোথায়? বিস্ময়ে অমলেন্দু শমিতার মুখের দিকে তাকায়, সত্যিই তুমি চলে যাচ্ছ নাকি?
হ্যাঁ।
বস বস শমিতা, মনে হচ্ছে তুমি যেন অত্যন্ত এক্সাইটেড হয়ে পড়েছ–সকাল থেকেই দেখছি তুমি অত্যন্ত চিন্তিত!
আমি যাই—
কি হয়েছে শমিতা, আমাকে সব খুলে বল।
কি–কি বলব?
তোমার যদি কোন চিন্তার কারণ থাকে তো বল। আমি হয়তো তোমাকে সাহায্য করতে পারি।
কি সাহায্য তুমি আমাকে করবে?
ব্যাপারটা না জানলে কি করে বলি! বস–হোয়াই ইউ আর সো মাচ ডিস্টার্বড! অমলেন্দু একপ্রকার যেন জোর করেই শমিতাকে বসিয়ে দিল আবার চেয়ারটায়।
অমলেন্দু!
বল।
একটা কথা তুমি জান না—
কি? গগনবিহারীর সঙ্গে আমার একসময় যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল।
আমি জানি।
জান?
হ্যাঁ।
কেমন করে জানলে?
জেনেছি।
আগের পর্ব :
০১. বাড়িটা তৈরি হয়েছিল
০২. নীচের তলায় দুটো ঘরে
০৩. প্রায় মিনিট দশ-পনেরো লাগে
০৪. যোগজীবন যখন ফোনটা পেলেন
০৫. মৃতদেহ পরীক্ষান্তে অরূপ মুখার্জী
০৬. কিরীটী সুবীরের কথায় মৃদু হাসল
০৭. মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়ে
০৮. যোগজীবনবাবু বাইরের ঘরেই বসেছিলেন
০৯. রাত্রি তখন প্রায় সোয়া নটা
১০. শমিতা বাড়ি থেকে বের হয়ে
১১. ঘরে পা দিয়ে থমকে দাঁড়ায় সর্বাণী
পরের পর্ব :
১৩. সুবীর যেন হাঁপিয়ে ওঠে
১৪. সুবীর বলে ওঠে ঐ সময়
১৫. কিরীটী আর অরূপ দোতলায় উঠে
১৬. ঐ ঘটনার চারদিন পরে
১৭. সেই গগনবিহারীর গৃহে
১৮. রুক্মিণীর যৌবন