০৮. যোগজীবনবাবু বাইরের ঘরেই বসেছিলেন
যোগজীবনবাবু তাঁর বাইরের ঘরেই বসেছিলেন একাকী।
কিরীটী আসবে বলেছিল তাই আর তিনি বেরোননি ঐ দিন বিকালে। কিরীটীরা যখন এসে পৌঁছল তখন সাতটা বেজে গিয়েছে।
আসুন রায় সাহেব। দেরী হল যে? আপনি–
কথাটা যোগজীবন আর শেষ করেন না। কিরীটীর সঙ্গে সুব্রত আর থানা-অফিসার অরূপ মুখাজীকে দেখে থেমে গেলেন।
কিরীটী বসতে বসতে বললে, অরূপকে সঙ্গেই নিয়ে এলাম সান্যাল মশাই, আইন মেনে চলাই ভাল।
সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকালেন যোগজীবন কিরীটীর মুখের দিকে।
বুঝতেই তো পারছেন, ব্যাপারটা খুব delicate হলেও শমিতা দেবীর সঙ্গে যখন গগনবাবুর পরিচয় ছিল এবং তাঁর গগনবাবুর গৃহে যাতায়াত ছিল, পুলিস তাঁকে নিয়েও টানাটানি করতে ছাড়বে না। সেক্ষেত্রে ব্যাপারটা যদি একটা ঘরোয়া পরিবেশে শেষ করে ফেলা যায়, সব দিক দিয়েই ভাল হয়।
যোগজীবন কোন জবাব দেন না।
তাঁর সমস্ত মুখে যেন একটা দুশ্চিন্তার কালো ছায়া।
কিরীটী বললে, তাই অরূপকে সঙ্গে করেই নিয়ে এলাম।
উনিও–মানে মিঃ মুখাজীও কি শমিকে প্রশ্ন করতে চান? যোগজীবন ক্ষীণ গলায় প্রশ্ন করেন।
না, না–উনি কেবল উপস্থিত থাকবেন। যা জিজ্ঞাসা করবার আমিই করব। আপনার ভগ্নী বাড়িতেই আছেন তো?
আছে।
গগনবাবুর ব্যাপারটা নিশ্চয়ই শুনেছেন?
শুনেছে।
কে বলল? আপনি?
না–আমি বলিনি।
তবে?
সুবীর তাকে ফোনে জানিয়েছে।
কিরীটী যেন একটু চমকেই ওঠে কথাটা শুনে। বলে, কে? সুবীরবাবু?
হ্যাঁ।
কখন ফোন করেছিলেন তিনি?
সকালেই।
সকালে? কখন?
আমি ফোন পেয়ে চলে যাবার পরই।
কিরীটী যেন একটু অন্যমনস্ক। মনে হয় যেন কি ভাবছে সে। কিরীটী যোগজীবনের কথার পর আর কোন কথা বলে না।
একটু পরে আবার বলে, তাহলে চলুন, ওঠা যাক।
অ্যাঁ–হ্যাঁ, চলুন।
দোতলায় উঠে যোগজীবন তাঁর শয়নঘরে ওদের বসিয়ে শমিতার ঘরের দিকে পা বাড়ান।
বাড়িটা বেশ বড়। দোতলায় পাঁচটি ঘর, তিনতলায় তিনটি ঘর।
তিনতলাতেই একটি ঘর নিয়ে শমিতা থাকে।
একতলাটা ভাড়া দেওয়া একটি ঘর ছাড়া।
শমিতার ঘরের দরজাটা খোলাই ছিল।
খোলা দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেলেন যোগজীবন। ঘরের ভিতরে অন্ধকার। একটু ইতস্ততঃ করলেন যোগজীবন, তারপর মৃদু কণ্ঠে ডাকলেন, শমি!
কোন সাড়া এল না।
আবার ডাকলেন একটু উঁচু গলাতেই, শমি?
কে, দাদা? সাড়া এল এবার অন্ধকার ঘরের ভিতর থেকে।
হ্যাঁ।
এস।
যোগজীবন অন্ধকার ঘরের মধ্যে এসে ঢুকলেন, আলো জ্বালাসনি কেন?
খট করে একটা শব্দ হল। ঘরের আলোটা জ্বলে উঠল পরমুহূর্তেই। যোগজীবন দেখলেন শমিতা একটা আরাম–কেদারার উপর দেহটা এলিয়ে দিয়ে পড়ে আছে।
সব সময়ই যে বেশভূষা ও প্রসাধন ছাড়া থাকে না তার আজ কোন বেশভূষা ও প্রসাধন নেই। পরনে সাধারণ একটা তাঁতের রঙিন শাড়ি। গেরুয়া রংয়ের হাতকাটা একটা ব্লাউজ গায়ে। মাথার চুল রুক্ষ, চিরুনি পড়েছে বলে মনে হয় না।
চোখেমুখে প্রসাধনের চিহ্নমাত্র নেই। চোখ দুটো যেন ঈষৎ রক্তিম।
সামনে ছোট একটা ত্রিপয়ের উপরে কাচের গ্লাসে রক্তিম তরল পদার্থ। গ্লাসটার প্রতি নজর পড়তেই যেন যোগজীবন একটু থমকে গেলেন। গ্লাসের রক্তিম তরল বস্তুটি যে কী যোগজীবনের বুঝতে কষ্ট হয় না।
শমিতা ড্রিঙ্ক করে জানতেন তিনি, কিন্তু সে সব কিছুই ক্লাবে। ঘরে বসেও যে শমিতা ড্রিঙ্ক করতে পারে এটা যেন ধারণার অতীত ছিল যোগজীবনের কাছে।
হঠাৎ যেন একটা ক্রোধের উদ্রেক হয়, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে সামলে নিলেন যোগজীবন। তারপর গম্ভীর হয়ে বললেন, রায় সাহেব এসেছেন, আমার ঘরে বসে আছেন–তোমার সঙ্গে কথা বলতে চান।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও যোগজীবনের কণ্ঠস্বরটা যেন একটু রূঢ়ই শোনাল।
কি দরকার আমার সঙ্গে তাঁর? শমিতা একটু যেন রুক্ষ স্বরেই প্রশ্নটা করল।
জানি না। তোমাকে তো সকালেই বলেছিলাম, তিনি আসবেন আজ বিকেলে তোমার সঙ্গে দেখা করতে।
বাট আই ডোন্ট লাইক টু মীট এনিবডি অ্যাট দিস্ মোমেন্ট!
শোন, শুধু রায় সাহেবই নন–থানা-অফিসারও এসেছেন।
বাট হোয়াই? কি চান তাঁরা আমার কাছে?
চেঁচিও না, শোন ওঁরা জানতে পেরেছেন গগনের সঙ্গে তোমার পরিচয় ছিল—
হোয়াটস টু দ্যাট–পরিচয় ছিল, তাতে হয়েছে কি?
তাছাড়া কাল রাত্রে তুমি ওখানে গিয়েছিলে—
ইটস্ এ ড্যাম লাই–মিথ্যে কথা।
মিথ্যে কথা!
নিশ্চয়ই। গত সাতদিন ধরে তার বাড়ির ছায়াও মাড়াইনি আমি। একটা ডার্টিফিলদি স্কাউনড্রেল!
বিষ যেন উগারিত হল শমিতার কণ্ঠ থেকে।
সত্যি–সত্যি শমি–তুই কাল গগনের বাড়িতে যাসনি?
সিওরলি নট!
তবে যে গগনের বাড়ির লোকেরা কেউ কেউ বললে, তোকে তারা যেতে দেখেছে গত রাত্রে গগনের ঘরে?
কে–কে বলেছে?
বললাম তো, গগনের বাড়ির লোকেরা বলেছে।
মিথ্যে কথা। কাল আমি রাত আটটা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ক্লাবে ছিলাম। এভরিবডি নোজ দ্যাট–সবাই সেখানে তার সাক্ষী আছে।
কিন্তু–
ব্যাপার কি বল তো দাদা? তুমি কি বিশ্বাস করছ না আমার কথাটা?
শমিতা উঠে দাঁড়িয়েছে ততক্ষণে।
না, মানে—
ঠিক আছে, চল, তোমার থানার ও. সি. কি বলতে চায় শুনে আসি। আর তোমার রায় সাহেবেরই বা কি বলবার আছে শুনি।
চল্।
ভাই-বোনে ঘর থেকে বের হয়ে এল।
পাশের ঘরে ঢুকে যোগজীবন বললেন, রায় সাহেব, এই আমার বোন শমিতা।
কিরীটী চোখ তুলে তাকাল, নমস্কার মিস সান্যাল। বসুন।
আপনি আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন? শমিতা প্রশ্নটা করে বসল না, দাঁড়িয়েই রইল।
কিরীটী আবার বললে, বসুন।
না–বসলে হবে না। কি আপনি জানতে চান বলুন আমার কাছে!
রায় সাহেব–
যোগজীবনের কণ্ঠস্বরে কিরীটী তাঁর দিকে ফিরে তাকাল। যোগজীবন বললেন, শমিতা বলছে কাল রাত্রে ও আদৌ ওখানে নাকি যায়ইনি।
কিরীটী তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে শমিতাকে দেখছিল, যোগজীবনের কথায় ফিরে তাকাল না। কেবল প্রশ্ন করল, আপনি বলছেন কাল রাত্রে গগনবাবুর বাড়িতে যাননি?
না।
কিন্তু—
কি?
রামদেও আর সুবিনয়বাবুরা আপনাকে দেখেছে। কেবল তাই নয়, রুক্মিণী আপনার গলা শুনেছে গগনবাবুর শোবার ঘরে। কিরীটী বললে।
রামদেও বলেছে? সুবিনয় বলেছেন তিনি আমাকে দেখেছেন কাল রাত্রে সেখানে?
সেই কথাই তো তারা তাদের জবানবন্দিতে বলেছে।
ইটস এ ড্যাম লাই। ডাকুন তো তাদের, আমি জিজ্ঞাসা করছি কখন তারা আমাকে দেখেছে?
নিশ্চয়ই–জিজ্ঞাসা করা হবে বৈকি। কিন্তু আপনি যে সত্যি–সত্যিই কাল রাত্রে সেখানে যাননি তার কোন প্রমাণ আছে? কিরীটী আবার প্রশ্ন করে।
নিশ্চয়ই।
কি প্রমাণ? কিরীটী শমিতার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে আবার প্রশ্ন করে।
কাল রাত্রে ক্লাবে আমাদের যারা ছিল তাদের জিজ্ঞাসা করলেই জানতে পারবেন কথাটা আমার সত্যি না মিথ্যে।
আপনি তাহলে বলছেন কাল রাত্রে ক্লাবেই ছিলেন? কিরীটীর গলার স্বর যেন অতিরিক্ত শান্ত–ঠাণ্ডা।
হ্যাঁ।
কখন ক্লাবে গিয়েছিলেন আর কতক্ষণ বা কাল রাতে সেখানে ছিলেন, নিশ্চয়ই মনে আছে আপনার?
নিশ্চয়ই, মনে আছে বৈকি। আটটায় গিয়েছিলাম, রাত সাড়ে এগারোটায় ফিরে আসি। বাড়িতে?
না।
তবে কোথায়?
সে কথা জানবার আপনার কি কোন প্রয়োজন আছে, মিঃ রায়?
নচেৎ কথাটা আপনাকে আমি নিশ্চয়ই জিজ্ঞাসা করতাম না।
অ্যাম স্যরি মিঃ রায়, আপনার ঐ প্রশ্নের আমি জবাব দিতে পারছি না। দুঃখিত। আপনার আর কিছু জিজ্ঞাস্য আছে?
গগনবিহারীবাবুর সঙ্গে আপনার যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিল, তাই নয় কি?
আলাপ-পরিচয় ছিল। তাছাড়া ছোটবেলা থেকেই দাদার বন্ধু হিসাবে তিনি আমাদের পরিচিত ছিলেন।
গগনবাবু আপনাদের ক্লাব মরালী সঙ্ঘের অন্যতম পেট্রোন ছিলেন, তাই নয় কি?
হ্যাঁ।
আপনি প্রায়ই তাঁর ওখানে যেতেন। অনেকক্ষণ পর্যন্ত থাকতেন–কথাটা কি সত্যি?
একসময় যেতাম, তবে ইদানীং যেতাম না। গত সাত–আট দিন একবারও যায়নি।
কেন? ঝগড়া হয়েছিল কি?
শমিতা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, হ্যাঁ।
কি নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল?
শমিতা যেন আবার মুহূর্তকাল চুপ করে রইল। তারপর বললে, ক্লাবেরই কোন ব্যাপারে মতান্তর হয়েছিল।
কিরীটী মৃদু হেসে বললে, কিন্তু আমি যদি বলি মিস সান্যাল, আপনি সত্যি বলছেন না?
হোয়াট ডু ইউ মী! রুক্ষ ও কঠিন শোনাল শমিতার কণ্ঠস্বর।
কথাটা আমার অস্পষ্ট নয়, আর দু’রকম অর্থও তার হয় না এবং আপনিও যে সেটা বুঝতে পারেননি তাও নয়। কিরীটীর গলার স্বরটা শান্ত কিন্তু কঠিন।
শমিতা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে নিঃশব্দে চেয়ে থাকে কিরীটীর মুখের দিকে।
কিরীটীও কয়েক সেকেন্ড চেয়ে থাকে শমিতার মুখের দিকে। তারপর বলে, আপনার বাঁ হাতের কব্জিতে একটা দেখছি প্লাস্টার লাগানো আছে। কি হয়েছে ওখানে মিস সান্যাল? কেটে গিয়েছিল বোধহয়?
কিরীটীর কথায় শমিতা যেন হঠাৎ কেমন একটু হকচকিয়ে যায়, মনে হল কিরীটীর। সঙ্গে সঙ্গে যেন তার প্রশ্নের জবাবটা দিতে পারল না শমিতা।
একটু যেন বিব্রত–কিন্তু সে মুহূর্তের জন্য পরক্ষণেই বলে, হ্যাঁ, সামান্য একটু কেটে গিয়েছিল, তাই একটু প্লাস্টার লাগিয়ে দিয়েছিলাম। বলতে বলতে শমিতা যেন কিরীটীর তীক্ষ্ণ দৃষ্টির সামনে থেকে হাতটা সরিয়ে নেবার চেষ্টা করে।
কি করে কাটল? কবে কাটল?
ঠিক মনে নেই, পরশু-তরশু হবে।
আপনার হাতে সরু একজোড়া সোনার রুলি দেখছি। ঐ সোনার রুলি ছাড়া আর কিছু বোধহয় আপনি কখনও হাতে পরেন না?
না।
মিস সান্যাল, আপনি সুবীরবাবু ও সুবিনয়বাবুকে নিশ্চয়ই চেনেন, গগনবাবুর বাড়িতে যখন আপনার যাতায়াত ছিল? কিরীটী প্রশ্নটা করে আবার তাকাল শমিতার মুখের দিকে।
সুবীরবাবুর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল সামান্যই আমার। শমিতা বললে।
সুবিনয়বাবুর সঙ্গে হয়নি? কিরীটী আবার প্রশ্ন করে।
না।
গগনবাবুর একটা অ্যালসেসিয়ান কুকুর আছে আপনি জানেন নিশ্চয়ই?
জানি। জ্যাকি।
মধ্যে মধ্যে তাকে আপনি এটা–ওটা খেতে দিতেন?
না। আই হেট ডগস।
গগনবাবু সেটা জানতেন?
তা জানতেন বৈকি। কিন্তু আপনার যা জিজ্ঞাসা করবার শেষ হয়েছে কি? মে আই লিভ দিস রুম? শরীরটা আমার ভাল নেই।
নিশ্চয়ই। আপনাকে এখুনি আমি ছেড়ে দোব। আর একটা প্রশ্নের জবাব দিলেই–
বলুন? কি প্রশ্ন আপনার?
আপনার সঙ্গে গগনবাবুর বিয়ে প্রায় সেটুল হয়ে গিয়েছিল মিস সান্যাল, তাই নয় কি?
প্রশ্নটা এমনি আকস্মিক ও সকলের সেখানে যারা উপস্থিত তাদের চিন্তারও বাইরে ছিল যেন। সকলেই যেন শমিতার মুখের দিকে তাকায়।
বিশেষ করে যোগজীবনবাবু যেন বোবা। কিছুটা বিলও।
শমিতাও যেন কয়েকটা মুহূর্তের জন্য বোবা হয়ে যায়। তার মুখ থেকেও কোন শব্দ নির্গত হয় না। ঘরের মধ্যে অদ্ভুত একটা স্তব্ধতা যেন থমথম্ করে।
কিন্তু হঠাৎ সেই স্তব্ধতা ভেঙে খিলখিল করে হেসে ওঠে শমিতা। তারপর বলে, সত্যিই, মিঃ রায়, আই মাস্ট অ্যাডমিট আপনার কল্পনাশক্তি আছে। একটা ওল্ড ভালচার! তার সঙ্গে বিয়ে?
হয়নি সেরকম কোন কথা তাহলে কখনও আপনাদের মধ্যে–মানে এনি আন্ডারস্ট্যান্ডিং?
না মশাই–আমার তো কিছু মাথার গোলমাল হয়নি!
তাহলে—
কি তাহলে?
তাঁর সমস্ত কিছু আপনার নামে লিখে দিয়ে গেলেন কেন?
আমার নামে দিয়েছেন?
কেন, জানেন না আপনি কথাটা বলতে চান?
শমিতা হঠাৎ যেন আবার চুপ করে গেল। থমকে গিয়েছে যেন শমিতা।
কিরীটী তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে তখনও শমিতার মুখের দিকে তাকিয়ে, শান্ত গলায় সে বলতে থাকে, নিশ্চয়ই অদূর ভবিষ্যতে আপনাদের পরস্পরের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠতে চলেছিল বলেই আপনাকে তিনি তাঁর সবকিছু উইল করে দিয়েছেন।
থামুন থামুন–হঠাৎ যেন চিৎকার করে উঠল শমিতা। তারপরে ঝড়ের মতই যেন ছুটে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। ওদের দিকে তাকাল না পর্যন্ত।
ঘরের মধ্যে অকস্মাৎ যেন একটা হিমশীতল স্তব্ধতা নেমে এল। সবাই নিশ্চুপ– একেবারে যেন পাথর।
যোগজীবনবাবুর মুখোনা যেন ছাইয়ের মত ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে।
কিরীটী ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল, যোগজীবনবাবু, আজ যাই!
অ্যাঁ! চমকে উঠলেন যেন যোগজীবন।
আমরা যাই!
যাচ্ছেন?
হ্যাঁ। চল অরূপ, চল সুব্রত।
ওরা ঘর থেকে বের হয়ে গেল, আর যোগজীবন তখনও পাথরের মত বসে রইলেন।
আগের পর্ব :
০১. বাড়িটা তৈরি হয়েছিল
০২. নীচের তলায় দুটো ঘরে
০৩. প্রায় মিনিট দশ-পনেরো লাগে
০৪. যোগজীবন যখন ফোনটা পেলেন
০৫. মৃতদেহ পরীক্ষান্তে অরূপ মুখার্জী
০৬. কিরীটী সুবীরের কথায় মৃদু হাসল
০৭. মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়ে
০৮. যোগজীবনবাবু বাইরের ঘরেই বসেছিলেন
পরের পর্ব :
০৯. রাত্রি তখন প্রায় সোয়া নটা
১০. শমিতা বাড়ি থেকে বের হয়ে
১১. ঘরে পা দিয়ে থমকে দাঁড়ায় সর্বাণী
১২. আঠার নম্বর ফ্ল্যাট
১৩. সুবীর যেন হাঁপিয়ে ওঠে
১৪. সুবীর বলে ওঠে ঐ সময়
১৫. কিরীটী আর অরূপ দোতলায় উঠে
১৬. ঐ ঘটনার চারদিন পরে
১৭. সেই গগনবিহারীর গৃহে
১৮. রুক্মিণীর যৌবন