১১. কিরীটীর প্রশ্নে কিছুক্ষণের জন্য সুলতা
কিরীটীর প্রশ্নে কিছুক্ষণের জন্য সুলতা ওর মুখের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে থাকে। কয়েকটা মুহূর্ত নিঃশব্দেই অতিবাহিত হয়।
সুলতাকে নিঃশব্দে বসে থাকতে দেখে কিরীটী আবার বলে, আপনি বোধ হয় জানেন না যে গত রাত্রে আপনাদের প্রত্যেকের জবানবন্দিই থানায় recorded হয়ে গিয়েছে! এবং, বর্তমানের এই রায়বাহাদুরের হত্যা-মামলায় আপনাদের আলাদা আলাদা ভাবে প্রত্যেকের দেওয়া জবানবন্দিই প্রত্যেকের স্বপক্ষে বা বিপক্ষে evidence হিসাবেই আদালতে জেরা করা হবে!
একটু থেমে কিরীটী আবার তার অর্ধসমাপ্ত বক্তব্যের জের টেনে বলতে শুরু করে, এবং এও হয়ত বুঝতে পারছেন, ঘটনাচক্রে একমাত্র আপনিই সশরীরে অকুস্থানের সর্বাপেক্ষা কাছাকাছি ছিলেন ঠিক হত্যার সময়টিতে!
কিন্তু আমি—আমি তো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। যথাসাধ্য নিজেকে সংযতভাবে প্রকাশ করবার প্রয়াসে সুলতার কণ্ঠস্বরে যে উদ্বেগ ফুটে ওঠে সেটা কিরীটীর কান এড়াতে পারে না।
হ্যাঁ, হয়ত ঘুমিয়েছিলেন, কিন্তু সেটাও তো আদালতের বিচারের সময় বিবেচনাসাপেক্ষ। সে ঘুম কেন এল? কারণ আপনার তো ঘুমোবার কথা নয়!
সুলতা এরপর আর নিজের মনের উদ্বেগকে সংযত রাখতে পারে না। স্পষ্ট ব্যাকুল কঠেই বলে ওঠে, কি আপনি বলতে চাইছেন মিঃ রায়! আপনি কি বিশ্বাস করেন না সত্যিসত্যিই আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
আমার বিশ্বাস-অবিশ্বাসে কি এমন এসে যায় বলুন মিস কর? আমি তো আর কিছু আদালতের নিয়োজিত প্রতিভূ নই এবং স্বয়ং বিচারকও নই, আপনাদের মতই একজন সাধারণ তৃতীয় ব্যক্তি যে হত্যার সময় এই বাড়িতে উপস্থিত ছিল এইমাত্র!
কিন্তু সত্যিই বিশ্বাস করুন মিঃ রায়, আমি ঘুমিয়েই পড়েছিলাম, নচেৎ আপনি কি ভাবেন আমার জেগে থাকা সত্ত্বেও আমি আমার চোখের ওপর একজনকে হত্যা করতে বাধা দেব না? কারও পক্ষেই কি সেটা সম্ভব?
কারও পক্ষে সম্ভব কিনা সেটা এক্ষেত্রে নিষ্প্রোয়োজন। তবে আপনি যে আপনার duty ঠিকভাবে পালন করেননি, এ কথাটা তো নিশ্চয়ই অস্বীকার করতে পারেন না।
আমি আমার duty অবহেলা করেছি!
করেননি? নিশ্চয়ই করেছেন সুলতা দেবী। নিজেই ব্যাপারটা একবার ভাল করে ভেবে দেখুন না, রাত্রে একজন মুমূর্ষ রোগীর সেবা ও দেখাশুনা করবার জন্যই তো টাকা দিয়ে আপনাকে নিয়োজিত করা হয়েছিল এখানে। আপনি জেগে থেকে রোগীর ভালমন্দ দেখাশোনা করবেন এবং প্রয়োজন হলে অবিলম্বে ডাক্তারকে পাশের ঘর থেকে ডেকে আনবেন, এই তো ছিল আপনার duty? সেদিক থেকে ঘুমিয়ে আপনি কি কর্তব্যে অবহেলা করেননি? বলুন, জবাব দিন আমার প্রশ্নের?
শেষের দিকে কিরীটীর কণ্ঠস্বরে যেন কতকটা আদেশের সুরই ফুটে ওঠে। সুলতা চুপ করে বসে থাকে। কোন জবাবই দিতে পারে না কিরীটীর অতর্কিত প্রশ্নের।
আপনি বলেছেন আপনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কফি পানের পরই; ধরে নেওয়া গেল নাহয় কথাটা আপনার সত্যি, এর পরই আদালত আপনার সম্পর্কে প্রশ্ন তুলবে, তাহলে নিশ্চয়ই সেই কফির মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল!
ঘুমের ওষুধ?
হ্যাঁ। নচেৎ কি এক কাপ কফি খেয়ে কেউ অমন গভীরভাবে ঘুমিয়ে পড়তে পারে? বরং উল্টোটাই স্বাভাবিক। কফিতে ঘুম তাড়ায়।
সুলতা কিরীটীর মুখের দিকে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে।
কিরীটী আবার বলে, ধরুন তাই যদি হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আবার প্রশ্ন উঠবে, কে আপনাকে কফির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ দিল? আর প্রশ্নটা ঐখানেই শেষ হবে না। কারণ আরও একটা প্রশ্ন করা যেতে পারে ঐ সঙ্গে, কে আপনাকে কফি পাঠিয়ে দিয়েছিল?
কেন, কফি তো ডাক্তার সানিয়ালই দিয়ে গিয়েছিলেন আমাকে, যেমন এর আগেও প্রায়ই প্রতি রাত্রে ঐ সময় এক কাপ করে কফি তিনি আমাকে দিয়ে যেতেন!
সুলতার জবাবে কিরীটী যেন চমকে ওঠে, কিন্তু কণ্ঠস্বরে তার কিছুই প্রকাশ পায় না।
কিরীটী কেবল প্রশ্ন করে, প্রায় রাত্রেই তাহলে ডাঃ সানিয়াল ঐ সময় আপনাকে এক কাপ করে কফি পাঠিয়ে দিতেন নাকি?
হ্যাঁ। রাত্রে ঐ সময় তিনি প্রত্যহই কফি পান করতেন এবং জেগে থাকবার সুবিধে হবে বলে আমাকে তিনিই একদিন suggest করেন, ঐ সময় এক কাপ গরম কফি পান করলে আমার জেগে থাকতে নাকি তত কষ্ট হবে না। সেই জন্য এক কাপ করে কফি আমাকেও পাঠিয়ে দিতেন এবং আমিও কফিটা খেতাম, কারণ ঐ সময়টায় প্রতি রাত্রেই প্রায় আমার একটা ঘুমের ঝোঁক আসত।
আপনি সে কথা ডাক্তার সানিয়ালকে বলেছিলেন বুঝি?
হ্যাঁ, কথায় কথায় একদিন বলেছিলাম।
ও। তাহলে দেখছি প্রায় রাত্রেই ঐ সময়টা আপনার ঘুমের একটা ঝোঁক আসত বলেই ডাঃ সানিয়াল আপনাকে কফি পাঠিয়ে দিতেন নিজে।
অ্যাঁ, কি বললেন?
বলছিলাম জেগে থাকবার জন্যই আপনি কফি খেতেন! তাহলে কাল রাত্রে যদি আপনাকে কফির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়ানো হয়েই থাকে, তাহলে it was intentional!
সুলতা কিরীটীর কথা যেন কিছুই বুঝতে পারেনি, এইভাবে ওর মুখের দিকে চেয়ে থাকে।
যাক সে কথা, আচ্ছা মিস কর, এ বাড়িতে আপনি তো অনেকদিন ধরে রায়বাহাদুরের রোগশয্যায় duty দিচ্ছেন? কতদিন ধরে রাত্রে ঐ সময় আপনি ডাক্তারের কাছ থেকে কফি খাচ্ছেন মিস কর?
কতদিন ধরে খাচ্ছি?
হ্যাঁ, একটু আগে আপনি বললেন না, উনিই মানে ডাঃ সানিয়ালই একদিন কফি খাবার কথা আপনাকে বলেছিলেন?
খুব বেশী দিন নয়, বোধ হয় দিন দশেক হবে।
দিন দশেক!
হ্যাঁ, বোধ হয় দিন দশ থেকেই রাত্রে তিনি যখন কফি খান, সেই সময় কফি তৈরী হলে এক কাপ করে আমার জন্য দিয়ে যেতেন।
সাধারণতঃ কি তিনিই—অর্থাৎ ডাঃ সানিয়ালই কি আপনাকে কফি এনে দিতেন ঐ রাত্রে?
হ্যাঁ, ডাক্তার সানিয়ালই দিতেন নিজে।
ডাঃ সানিয়ালই দিয়ে যেতেন! আবার প্রশ্ন করল কিরীটী।
হ্যাঁ।
গত রাত্রেও তাহলে তিনিই দিয়ে গিয়েছিলেন কফি?
হ্যাঁ, ডাঃ সানিয়ালই।
সুলতার জবাবে কয়েকটা মুহূর্তের জন্য কিরীটী যেন বিস্ময়ে বোবা হয়ে থাকে। তারপর আবার এক সময় নিজেকে সামলে নিয়ে শান্ত ধীর কণ্ঠে বলে, কিন্তু সুলতা দেবী, অন্যান্য রাতের কথা আমি বলতে পারব না বটে তবে গতকাল রাত্রে যে তিনি আপনাকে কফি দিতে আসেননি সে সম্পর্কে কিন্তু আমি স্থিরনিশ্চিত।
ঘরের মধ্যে হঠাৎ যেন বজ্রপাত হল।
কি বলছেন আপনি মি রায়, আমি তখন জেগে একটা বই পড়ছিলাম—ডাঃ সানিয়ালই কাল রাত্রেও আমাকে নিজে এসে কফি দিয়ে গেলেন!
না, বললাম তো, কাল রাত্রে তিনি যে অন্ততঃ আপনাকে কফি দিতে আসেননি সে বিষয়ে আমি স্থিরনিশ্চিত। কারণ সে সময়ে তাঁর ঘরেই তিনি উপস্থিত ছিলেন।
না, তা হতে পারে না।
হওয়া-হওয়ির কথা এ নয় মিস কর, কারণ it is a fact। তাছাড়া আমি নিজে ও ডাঃ সেন ঐ সময় ডাক্তারের ঘরে বসে সকলে মিলে তাঁরই হাতে তৈরী কফি পান করছিলাম। কাজেই বুঝতে পারছেন, তিনি কিছু আর ম্যাজিকের দ্বারা নিজেকে অদৃশ্য করে কিংবা আমাদের hypnotise করে আমাদের চোখের সামনেই সে ঘর থেকে বের হয়ে এসে আপনাকে কফি দিয়ে যেতে পারেন না!
সুলতারও বিস্ময়ের যেন অবধি থাকে না। বিস্মিত ব্যাকুল কণ্ঠে সে বলে ওঠে, কিন্তু বিশ্বাস করুন মিঃ রায়, আমি বলছি সত্যিই তিনি গত রাত্রে কফি দিয়ে গিয়েছিলেন আমাকে নিজে এসে অন্যান্য দিনের মত।
বা দেননি, তবু আপনি যখন বলছেন—আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, সেটা আপনার দেখবার ভুল সুলতা দেবী।
দেখবার ভুল!
হ্যাঁ। বা এমনও হতে পারে, আপনি আদৌ ভাল করে দেখেননি চেয়ে কে গত রাত্রে আপনাকে কফি দিয়ে গেল—মানে হয়ত অন্যমনস্ক ছিলেন কোন রকম!
তবে—একটা ভয়ার্ত শঙ্কিত দৃষ্টি সুলতার দু চোখের তারায় ফুটে উঠল।
হ্যাঁ, এ-কথা অবিশ্যি সত্যি একজন কেউ এসে গত রাত্রে কফি দিয়ে গিয়েছেন, তিনি অবিকল ডাঃ সানিয়ালের মত দেখতে হলেও আসল ডাঃ সানিয়াল নন। অন্য কেউ। কিন্তু কে সে? সেই-ই হচ্ছে প্রশ্ন—শেষের কথাটা কিরীটী যেন আত্মগত ভাবেই উচ্চারণ করে কতকটা।
আপনার কথা যে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না মিঃ রায়। তিনি ডাক্তারের মত দেখতে, অথচ তিনি নন!
বললাম তো একটু আগে আপনাকে, এ বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কথা নয়, নিষ্ঠুর সত্য যা ঘটেছিল কাল রাত্রে তাই বলেছি আপনাকে আমি। আচ্ছা এবারে আপনি বাড়ি যেতে পারেন মিস কর।
বাড়ি যাব?
হ্যাঁ। প্রয়োজন হলে আমরাই দেখা করব। কেবল এই জায়গা ছেড়ে পুলিসের বিনা অনুমতিতে কোথাও আপাততঃ যাবেন না।
সুলতা নিঃশব্দে শ্লথ গতিতে কক্ষ থেকে বের হয়ে গেল।
.
ধীরে ধীরে সুলতা করের পায়ের শব্দটা বারান্দায় একসময় মিলিয়েও গেল।
সুলতার সঙ্গে কথা বলতে বলতে কখন যে এক সময় হাতের সিগারটা নিভে গিয়েছে কিরীটীর খেয়ালও হয়নি। আবার নিবাপিত সিগারটায় অগ্নিসংযোগ করে হাতের দেশলাইয়ের কাঠিটা ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে ঘরের কোণে ছুঁড়ে ফেলে দিল।
নেহাৎ একটা অনুমানের ওপর একান্তভাবে নির্ভর করে কিরীটী সুলতাকে প্রশ্ন করেছিল ঐভাবে এবং অকস্মাৎ তার হাতের মধ্যে একটি মূল্যবান সূত্র (clue) এসে গেল।
সুলতাকে প্রশ্ন করতে করতে এবং তার জবাবের পর কিরীটীর এখন আর বুঝতে আদৌ কষ্ট হয় না যে গত দশদিন ধরে ডাঃ সানিয়লের পরামর্শ ও উপদেশ মতই সুলতা রাত্রে নিদ্রাকে এড়াবার জন্য কফি পান করছিল এবং হত্যাকারী যে উপায়েই হোক সেই কথাটি জানতে পেরে পূর্বাহ্নে সেই সুযোগটি চমৎকার কৌশলের সঙ্গে কাজে লাগিয়েছে। অপূর্ব চাতুর্যের সঙ্গেই সে নির্দিষ্ট একটি সময়ের পরিপূর্ণ ভাবেই সুযোগ নিয়েছে। ভাবতেও বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে যেতে হয় কি অসাধারণ বুদ্ধিচাতুর্য দুঃসাহস ও ক্ষিপ্রতার পরিচয় সে দিয়েছে এক্ষেত্রে।
আর রায়বাহাদুর যদি সত্যিই তা সে যে ভাবেই হোক, জেনে থাকেন তাঁর এই মৃত্যুর ব্যাপারটা, তারপর তাঁকে ঠিক পূর্বাহ্নে এভাবে জ্ঞাত করে কেউ যে এমনভাবে পরিকল্পনানুযায়ী হত্যা করতে পারে এ যেন কিরীটীর স্বপ্নেরও অতীত।
কিন্তু সুলতা কর, তার কথাগুলো কি সত্যিই বিশ্বাসযোগ্য?
সত্যি কি সুলতা কর গত রাত্রের কফি পরিবেশনকারীকে চিনতে পারেনি, না ইচ্ছে করেই অর্থাৎ কথাটা জেনেও গোপন করে গেল?
মনে মনে কিরীটী গত রাত্রের ব্যাপারটা আর একবার পর্যালোচনা করে। রায়বাহাদুর ঘরের যে অংশে রোগশয্যায় শায়িত ছিলেন সেখানে নীল বাতিটা ডোমে ঢাকা থাকার দরুণ স্থানটি তেমনি সুস্পষ্ট ভাবে আলোকিত ছিল না। ঘরের অন্য অংশ হতে সেই স্থানটি একটা ভারি কালো পর্দা টাঙিয়ে ব্যবধানের সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং যে সময় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়—ঘরের মধ্যে অসুস্থ, ওষুধের প্রভাবে নিদ্রিত, রায়বাহাদুর ও পার্শ্বে একটি চেয়ারে ঐ একই ভাবে ওষুধের প্রভাবে নিদ্রিত নার্স সুলতা কর ব্যতীত আর কোন তৃতীয় প্রাণীই অকুস্থানে ছিল না। এবং রাত্রি সাড়ে তিনটে হতে চারটে বাজবার মধ্যে যে আধ ঘণ্টা সময়, ঐ সময়ের মধ্যেই কোন এক মুহূর্তে কৌশলে সুলতা করকে ঘুম পাড়াবার জন্য ঘুমের কোনো তীব্র ওষুধ-মিশ্রিত কফি পান করানো হয়েছিল তার অজ্ঞাতেই। তারপর নিশ্চয়ই সুলতার কফি পানের পর নিদ্রাভিভূত হতে অন্ততঃ মিনিট দশ-বারো সময় তো লেগেছে। তাহলে বাকি থাকে কেবল হিসেবমত ঐ আধ ঘণ্টার মধ্যে মিনিট পনের, যে সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
মাত্র পনের মিনিট সময়। এবং গতরাত্রের ঐ পনের মিনিট সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় তদন্তের ব্যাপারে। কাজেই এখন খোঁজখবর নিয়ে দেখতে হবে ঐ পনের মিনিট সময়ে অর্থাৎ রাত্রি পৌনে চারটে থেকে রাত্রি চারটে পর্যন্ত এই বাড়ির সকলে কে কোথায় কোন অবস্থায় ছিল। ঐ পনের মিনিট সময়ের মধ্যেকার প্রত্যেকের গতিবিধি চেক করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে যে, ঐ পনের মিনিট সময়ের মধ্যেকার প্রত্যেকের গতিবিধি বা অবস্থানই বর্তমানে এই হত্যা-ব্যাপারের রহস্যোদঘাটনে সর্বাপেক্ষা মূল্যবান সূত্র।
আগের পর্ব :
০১. মানুষের জীবনে এমন এক একটা ঘটনা
০২. মামাকে দেখতে এসেছেন
০৩. ঘরের মধ্যে ঐ সময়
০৪. গানের মতই মিষ্টি কণ্ঠস্বর
০৫. বৃহন্নলা চৌধুরী কেমন যেন
০৬. আরও প্রায় আধ ঘণ্টা পরে
০৭. ব্যস্ত হবেন না মিঃ ঘোঘ
০৮. সেতারে ভৈরো আলাপ
০৯. ডাঃ সানিয়ালের ঘরে
১০. কিছুক্ষণ অতঃপর উভয়েই স্তব্ধ
পরের পর্ব :
১২. কিরীটী পকেট থেকে তার নোট বুকটা
১৩. ডাঃ সানিয়ালের ঘরে বসেই
১৪. বৃহন্নলা চৌধুরী ও কিরীটীর মধ্যে কথাবার্তা
১৫. অবিনাশ চৌধুরীর ঘরের দরজা
১৬. কিরীটী যেমন দাঁড়িয়েছিল
১৭. অবিনাশ পায়চারি করছেন
১৮. মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য
১৯. কিরীটী রুচিরাকে বিদায় দিয়ে
২০-২১. কথাটা আর চাপা রাখা গেল না