কিছুক্ষণ আগেই কলেজে ঢুকার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে একটি মেয়ের সাথে ধাক্কা লেগে যায় আমার। মেয়েটি প্রায় পড়েই যাচ্ছিলো, ভাগ্যিস পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ওর বান্ধবী ওকে ধরে ফেলে। সেটা দেখে অদূরেই দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন রুমিও আমার দিকে তেড়ে আসে। ‘কানা নাকি? চোখে দেখেননা?’ এই সেই বলতে থাকে আমায়। মেয়ে মানুষের সামনে হিরো সাজার এমন মওকা তো আর প্রতিদিন আসেনা। কোনরকম ওদেরকে ম্যানেজ করে নিই আমি। আর আধাঘণ্টার ব্যবধানে এখন সেই আমিই ওদের ক্লাসে শিক্ষক হিসেবে পড়াতে এসেছি! বদলি হয়ে এখানে এসেছি। ক্লাসে ছেলেমেয়েদের সাথে পরিচয় হচ্ছিলাম;
‘আমি রিতু চৌধুরী। বাবা মৃত সাহেদ আহমদ। মায়ের নাম তানহা তাবাসসুম। এসএসসি পাশ করেছি কেবি স্কুল থেকে।’ সামনের বেঞ্চে বসা মেয়েটি যখন দাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বললো তখন আমার অন্তরাত্মা কেঁপে উঠলো। আঁতকে উঠলাম আমি। মেয়েটি তার পরিচয় দিয়ে বসে পড়লো। অন্য আরেকজন দাঁড়িয়ে গেল নিজের পরিচয় দিতে। আমি এবার নিজেকে সামলে নিলাম। আবার রিতুকে দাঁড় করালাম। বললাম,
-রিতু, তোমার বাবা নেই? রিতু নিচের দিকে তাকিয়ে বললো,
-আছেন স্যার। এবার গোটা ক্লাসের শিক্ষার্থীরাই বিস্মিত হয়ে গেল। বিস্মিত হলাম আমিও। জিজ্ঞেস করলাম,
-তাহলে নিজের পরিচয় দেয়ার সময় যে বললে তোমার বাবা মৃত! এমনটি বললে কেন? রিতু,
-কথাগুলো আপনাকে আমি একান্তে বলতে চাই স্যার। আমি,
-আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি বসে পড়ো।
এরপর আর কারোর পরিচয় জানার ইচ্ছে হলোনা। ক্লাস শেষে বেরিয়ে পড়লাম। অফিসের দিকে যাচ্ছি। মনে হলো কেউ একজন পেছন থেকে ডাকলো আমায়। তাকালাম পেছনে। হ্যা, রিতু আসছে আমার দিকে। দাঁড়ালাম একপাশে। ও কাছে এসে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো। আমি বললাম,
-আমাকে এটা বলো যে, তোমার নামটি কে রেখেছিলেন? রিতু,
-আমার মা। জিজ্ঞেস করলাম,
-পরিচয় দেয়ার সময় বলেছিলে তোমার বাবা মৃত, পরে আবার বলেছ মৃত নন, এমনটি কেন? রিতু,
-আসলে, আমার বয়স যখন ন’মাস তখন আমার বাবা-মায়ের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। আলাদা হয়ে যান দুজন। মা চলে আসেন এখানে আমার নানারবাড়ীতে। নানারবাড়ীতে কয়েকবছর থাকার পর নানা মারা যান। এরপরই বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। তারপর মা দর্জির কাজ নেন এবং বাসা ভাড়া নিয়ে আমরা আলাদা থাকতে শুরু করি। এখনো আমরা মা-মেয়ে আলাদা ঐ বাসাতেই থাকি। আমি জানতাম আমার বাবা মৃত। মা এটাই সবসময় বলতেন আমায়। কিন্তু, কিছুদিন আগেই জানতে পারি যে আমার বাবা জীবিত। আর উনার নাকি স্ত্রী-সন্তানও আছে। আমি বললাম,
-তোমার নানার নাম কি? রিতু,
-সালেহ তালুকদার।
এখন আমার কাছে সবকিছুই দিবালোকের ন্যায় পরিস্কার। তানহাকে ভালোবাসতাম আমি। ও তখন ক্লাস নাইনে পড়তো আর আমি ক্লাস টেনে। একই স্কুলে দুজনে পড়তাম বিধায় প্রতিদিনই একজনের সাথে আরেকজনের দেখা হতো। ওর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা আমি দাঁড়িয়ে থাকতাম রাস্তায়। কখন ও আসবে আর একসাথে স্কুলে যাব সেজন্য। স্কুল টাইম দশটায় হলেও আমি চার রাস্তার মোড়ে এসে পড়তাম আটটার আগেই। যদি ও আগে চলে যায় সেই শঙ্কায়।
আমি এসএসসি দিয়ে কলেজে ভর্তি হই। ও তখন ক্লাস টেনে। আমাদের মধ্যে যা কথাবার্তা হতো সব সামনাসামনিই। তখন মোবাইল ফোন ছিলোনা। তবে, দুজনের কারোরই একে-অপরকে কখনো চিঠি লিখার সাহস হয়ে ওঠেনি। আমার মনে আছে, আমি নানারবাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। পনেরোদিন সেখানে থাকতে হয় আমার। ঐ পনেরোদিনে কোন যোগাযোগ হয়নি তানহার সাথে। আর ঐ পনেরো দিনেই আমার জীবনের সব ওলট-পালট হয়ে যায়। বাড়ি ফিরে স্কুলের সামনে অপেক্ষা করতে থাকি তানহার স্কুলে আসার। কিন্ত একদিন দুদিন করে টানা চারদিন পুরো স্কুল টাইম স্কুলের সামনে ওর জন্য অপেক্ষা করেও ওর কোন দেখা পাইনি। আটদিনের দিন আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সুমনা এগিয়ে আসে আমার দিকে। সুমনা তানহার বান্ধবী। পাশাপাশিই ওদের বাড়ি। ও কাছে আসতেই জিজ্ঞেস করলাম,
-সুমনা, তানহার কি হয়েছে? ও স্কুলে আসেনা কেন? সুমনা,
-একটু ঐদিকে আসুন বলছি সব।
গেলাম ওর সাথে। ও শুধু বারবার এদিক সেদিক তাকাচ্ছিলো। কেউ যদি এভাবে কোন ছেলের সাথে ওকে কথা বলতে দেখে ফেলে তাহলে বিপদ হয়ে যেতে পারে সেই ভয়ে। আমি বললাম,
-এবার বলো কি হয়েছে তানহার? সুমনা,
-আপনি কোথায় ছিলেন এতদিন? তানহাকে ওর বাবা-মা বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। ওর স্বামী নাকি কিসের চাকরি করে। এতকিছু জানিওনা আমি। হুট করেই বিয়েটা দিয়ে দেয়া হয়েছে ওর। ও আর হয়ত পড়াশোনা করবেনা। এখন ও ওর স্বামীর বাড়িই আছে। আমি চললাম।
সুমনাকে কি বলবো বা না বলবো কিছুই মাথায় আসছিলোনা আমার। তারপর দীর্ঘদিন আমি কলেজে যাইনি। পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ি। তবে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তানহা মোটামুটি ওর স্বামীর সংসারে ভালোই আছে। আর তাই আমি আর ওর সাথে কোনরকম যোগাযোগ করলামনা। সবকিছুকে পেছনে ঠেলে দিয়ে পুরোদমে পড়াশোনায় লেগে যাই। যার ফলস্বরূপ আজ আমি কলেজের একজন শিক্ষক। আমাকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এবার রিতু বললো,
-স্যার, আমি কি এখন ক্লাসে যেতে পারি? আমি মুচকি হেসে বললাম,
-হ্যা ক্লাসে যাও। আর ছুটির পর আমার সাথে দেখা করে যেও। রিতু,
-আচ্ছা স্যার।
ও ক্লাসে চলে গেল। ভাবতে লাগলাম নিজের ভাগ্যটাকে নিয়ে। তানহাকে হারানোর পর আমার জীবনে সবধরনের সুযোগই এসেছিলো। অনেক সুন্দরী মেয়েও এসেছিলো ভালোবাসার আহ্বান নিয়ে। আর এখন তো বিয়ের বিষয়ে কত জায়গা থেকেই কথা আসে। কিন্ত আমি, আমি পারিনি সেভাবে কাউকেই গ্রহণ করে নিতে। সবাই বলে, আমার নাকি বিয়ের বয়স চলে যাচ্ছে। এখন না করলে আর কবে বিয়ে করব। কারোর কোন কথাই কানে নিইনা আমি। কলেজ ছুটি হয়ে গেছে। আমি অফিস কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। রিতু তার বান্ধবীদের সাথে এদিকেই আসছে। ওরা আমার সামনে আসতেই বললাম,
-আমি আজ রিতুদের বাসায় নাস্তা করতে যাব। তোমরাও যাবে কি আমার সাথে?
ওরা আমার কথা শুনে অবাক হয়ে গেল। একে অপরের দিকে তাকানো শুরু করলো। হয়ত মনে মনে ওরা ভাবছে, ‘বলেন কি স্যার, প্রথমদিন ক্লাস করিয়েই একেবারে বাসায় নাস্তা করতে চলে যাবার কথা বলতেছেন!’ ওদেরকে নিয়ে এবার হাঁটতে শুরু করলাম। ওরা যে খুব এক্সাইটেড সেটা বুঝতেই পারছিলাম। মেইন রোডে এসে এবার রিতুকে বললাম,
-রিতু, তোমাদের বাসায় হেঁটে যেতে কত সময় লাগবে? রিতু,
-এই তো স্যার, মিনিট পনেরো তো লাগবেই। আমি বললাম,
-তাহলে আমরা রিক্সায় যাই নাকি! রিতু,
-আপনার যেমন ইচ্ছে।
রিতুর বান্ধবীরা চলে গেল। রিক্সায় চড়ে রওয়ানা হলাম রিতুদের বাসার উদ্দেশ্যে। যতই সময় যাচ্ছিলো ততই আমার হার্টবিট বেড়েই চলছিলো। ভাবছিলাম, তানহা আমাকে দেখে চিনতে পারবে তো? আর চিনলেও আমি ওর কাছে এতবছর পর যে আশা নিয়ে যাচ্ছি তা ফিরিয়ে দিবেনা তো!
কিছুক্ষণ পর ওদের বাসার সামনে এসে রিক্সা থামলো। ভাড়া দিয়ে রিক্সাওয়ালাকে বিদায় করলাম। এবার চোখ পড়লো একটা সাইনবোর্ডের দিকে। বড় বড় অক্ষরে লিখা, ‘রিতু লেডিস টেইলার্স।’ তীর চিহ্ন দিয়ে বাসার ভেতরের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। বুঝতে আর বাকি রইলোনা যে, তানহা কতটা যুদ্ধ করে এখনো টিকে আছে। আমি উঠোনে দাঁড়ালাম। জায়গাটি ছোট হলেও বেশ পরিপাটি আর সুন্দর। অনেকগুলো ফুলগাছও লাগানো। রিতু দরজায় নক করে বললো,
-মা, দরজা খুলো। দেখো আমাদের নতুন স্যার এসেছেন। দরজা খুলে দেয়া হলো। রিতু ঢুকে পড়লো ঘরে। মাথায় ওড়না দিয়ে তানহা দাঁড়িয়ে আছে দরজায়। ও থমকে গেল আমাকে দেখে। স্বপ্ন নাকি বাস্তব তা নিয়ে হয়ত দ্বিধায় পড়ে গেছে ও। ও বলে উঠলো,
-রিয়াদ! তুমি! আমি,
-ভেতরে আসতে বলবে কি নাকি বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকবো? তানহা,
-এসো, ভেতরে এসো।
দুজনই সোফায় চুপচাপ বসে আছি। কে কোত্থেকে কথা শুরু করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলামনা। এবার নিরবতা ভেঙে দিয়ে তানহা বললো,
-তোমার ছেলেমেয়ে কেমন আছে? আমি,
-বিয়ে করলে তো ছেলেমেয়ে থাকবে। তানহা অবাক হলো আমার জবাবে। বললো,
-মানে! বিয়ে করোনি? আমি,
-তোমার মতো কাউকে পাইনি যে।তানহা,
-ওহ, কবে বিয়ে করবে তাহলে? আমি,
-খুব শীঘ্রই। ও আঁতকে উঠলো এবার। বললো,
-শীঘ্রই বলতে? মেয়ে দেখেছো?আমি,
-দেখতেই তো এলাম।তানহা,
-মানে? আমি,
-বিয়ে করবে আমায়? তানহা,
-মাথা খারাপ তোমার? আমি,
-কেন? আমাকে বিয়ে করতে তোমার আপত্তি কিসের?তানহা,
-আমার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার সময় হয়েছে আর এখন এসব কথা বলছো তুমি! আমি,
-তোমার অতীতে কি হয়েছে বা না হয়েছে তা নিয়ে কিছুই জানার আগ্রহ নেই আমার।
তোমাদের ডিভোর্সের পেপার আমাকে দেখাও। রিতুর সাথে আমি কথা বলে নিব। রিতু এসময় গোসলখানায়। ওর অনুপস্থিতিতেই কথাগুলো বললাম আমরা৷ তানহা আমার কথাগুলো শুনে কাঁদতে লাগলো। বলতে লাগলো,
-বিশ্বাস করো, আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে সেদিন আমাকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়েছিলো। আমি সেদিন বড্ড অসহায় ছিলাম। কোন উপায় ছিলোনা তোমার সাথে যোগাযোগ করার। আর তখন তুমিও তো পড়াশোনা করছিলে। ঐসব জানলেও বা কি করতে পারতে তুমি বলো! আমি,
-চুপ করো। যা হবার তা হয়ে গেছে। রিতুর সাথে আমাকে কথা বলতে দাও। ও আসুক। তানহা এবার উঠে চলে গেল। কিছুক্ষণ পরই রিতু আসলো। আমার সামনে কোন খাবার নেই দেখে রিতু তানহাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
-মা, স্যারকে কিছু দাওনি তুমি? আমি ওকে ডাকলাম আমার কাছে। ও আসলো। বললাম,
-একটি খাতা আর কলম নিয়ে এসো। ও নিয়ে এলো। এবার ওকে বললাম,
-তুমি বসো আমার সামনে।
আমার কথামতো ও চুপচাপ বসে পড়লো সোফায়। আমি লিখতে লাগলাম, ‘তোমার মায়ের সাথে আমার পরিচয় হয় স্কুল জীবনে। আমি তোমার মায়ের এক ক্লাস সিনিয়র ছিলাম। আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিলো। কলেজে তোমার মুখে তোমার নাম আর তোমার মায়ের নাম শুনেই আমি অবাক হই। কারণ, মেয়ে হলে আমরা তার নাম ‘রিতু’ রাখবো বলেও ঠিকও করে রেখেছিলাম। যদিও তখন আমরা অনেকটাই অবুঝ ছিলাম। তারপর তোমার নানার নাম শুনে আমি বিষয়টা নিশ্চিত হই। আর তাই একেবারে বাসায় চলে আসার সিদ্ধান্ত নিই। আমি জানি, তোমার মা তোমার কথা চিন্তা করেই দ্বিতীয় বিয়ে করেননি।
আর আমিও সংসারী হইনি আমার অতীতের জন্যই। হয়ত ভাগ্য এরকম কিছুই চাইছিলো। তুমি ছোট নও। হয়ত তুমি দেখেছো তোমাকে বড় করতে তোমার মাকে একা একা কত সংগ্রাম করতে হয়েছে। আমি তোমার বাবার দায়িত্ব নিতে চাই। সামনাসামনি থাকার পরও কথাগুলো মুখে না বলে কাগজে লিখে দিলাম। বিষয়টি ভেবে দেখো। যদি তুমি এতে মত না দাও তাহলে আমি চুপচাপ চলে যাব। আর কাগজটি ছিঁড়ে ফেললেই আমি বুঝে নিব তোমার মত নেই। আর যদি তুমি এতে রাজি থাকো তাহলে কাগজটি ভাজ করে টেবিলের উপর রেখে দাও।’ এবার কাগজটি রিতুর দিকে এগিয়ে দিয়ে বললাম,
-নাও, ঠান্ডা মাথায় এটি পড়ো।
ও পড়তে লাগলো। তানহা পাশেই এসে দাঁড়ালো। লিখাগুলো পড়ে ও তানহার দিকে তাকালো। আমার দিকেও দেখলো। ওর চোখ দুটো টলমল করছিলো তখন। কাঁপতে লাগলো ও। কাগজটি এবার তাড়াহুড়ো করে ভাজ করে উঠে গিয়ে তানহাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো। নিজের মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে রিতু এবার বলতে লাগলো,
-আমার জন্য অনেককিছুই তুমি বিসর্জন দিয়েছ মা। আমাকে আর ঋণি করোনা। আমি তোমাকে কখনো প্রাণ খুলে হাসতে দেখিনি। এতদিনে সবকিছু আমার সামনে আসলো৷ আমি তোমাদের নিয়েই ভালো থাকবো মা। মা-মেয়ে দুজনই এবার একসাথে কাঁদতে শুরু করলো। মুহুর্তের মধ্যেই পরিবেশটা বদলে গেলো। আমিও একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। নিজেকেই নিজে বললাম,
-সত্যি, ভাগ্যে যদি থাকে তাহলে কোন না কোন একদিন যেভাবেই হোক সেটা ফিরে আসবেই। আলহামদুলিল্লাহ্।