অদ্ভুত সুন্দর

অদ্ভুত সুন্দর

নানীজান। কীসব আবদার এগুলো। আপনি তো জানেন আমার কাজের কতটা চাপ। এইসময় বিয়ে করা অসম্ভব। ‘
আকীব তাঁর বিধবা নানী আমিনার পেছন-পেছন ঘুরছে, আর তাঁর কথাগুলো বোঝানোর চেষ্টা করছে। আকীবের পেছনে হাউস-ওয়ার্কার জসিম এক হাতে টিস্যু এবং অন্য হাতে আকীবের অফিস ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে। টিস্যু নেওয়ার কারণ হচ্ছে আকীবের ঠান্ডা লেগেছে। এবং সেই টিস্যু চব্বিশ ঘণ্টা আকীবের প্রয়োজন। আমিনার জবাব না পেয়ে আবারও বলল আকীব,

______ ‘ আমার কথাটা একটু বোঝার চেষ্টা করুন নানীজান। আর মাত্র দু’বছর সময় দিন। তারপর আমি এক-কথায় বিয়ে করে ফেলব। ‘ আমিনা রান্নাঘরে গিয়ে নিজ হাতে আকীবের জন্য খাবার পরিবেশন করতে লাগলো। সেটা দেখে আকীব দ্রুত তাঁর নানীর হাত চেপে ধরে রাখে,

______’ সুফিয়া আছে না এগুলোর জন্য। ওঁকে বেতন দিয়ে কেন রেখেছি? আপনি এক্ষুনি গিয়ে বসবেন। ‘
আমিনা তাঁর নাতির কথার তোয়াক্কা করল না। নিজে খাবার নিয়ে ডাইনিং-এ পরিবেশন করছে। সুফিয়া আকীবের চোখ রাঙানো দেখে দ্রুত খাবার এগিয়ে দিতে লাগলো। আমিনার কোনো জবাব না পেয়ে ছোট শ্বাস ফেলল আকীব। হাতে ভাজ করা কোর্টটা জসিমের হাতে দিয়ে, চেয়ার টেনে বসল। আমিনা নিজে খাবার বাড়ছে। আকীবকে খেতে দেখে আমিনা মুখ খুলল,

______’ মেয়েটির মোবাইল নাম্বার এনেছি। তুমি আজকেই তাকে কল দিয়ে, দেখা করে নেবে। আজকেই মানে আজকে। ‘ অসহায় চোখে আকীব তাঁর নানীর দিক তাকিয়ে,

______’ নানীজান। আপনি জানেন দেখা করলে উল্টো মেয়েটি কষ্ট পাবে। আমার ব্যাবহার অন্যদের ক্ষেত্রে কেমন তা আপনি ভালোভাবে-ই জানেন। তা-ও শুধু-শুধু কেন? ‘আমিনা শান্ত দৃষ্টিতে তাঁর নাতির দিক তাকালো,

______ ‘ ২৮ বয়স চলছে আকীব তোমার। দ্রুত ২৯ হয়ে যাবে। আমি মৃত্যুর আগে আমার নাতবউ দেখে যেতে চাই। তোমার সুন্দর একটা সংসার দেখে যেতে চাই। আমি আর ক’দিন-ই বা বাঁচব? ‘ আকীব খাওয়া বন্ধ করে দাঁড়িয়ে গেলো।

______’ নাম্বার দিন। ‘আমিনা হেসে নাতিনকে বুকে জড়িয়ে নিলো। আকীব তাঁর নানির সমান ঝুঁকে গেলো।
______’ খেয়ে যাবে। ‘
______ ‘ ঠান্ডা এখনও আছে। খেতে পারছি না। দুপুরে খেয়ে নেব। ‘ আমিনা-কে সালাম করে সুফিয়া কে উদ্দেশ্য করে বলল,

______ ‘ টাইম মেইনটেইন করে খাবার আর মেডিসিন খাইয়ে দিবেন সুফিয়া। কাজ-কর্ম একদম করতে দিবেন না। নানীজান আমি রাত্রে এসে যেনো না শুনি আপনি কাজ করেছেন। ‘ আমিনা ইশারায় বোঝালো করবে না। এ-ই ইশারার সাথে ভালোভাবে পরিচিত আকীব। প্রতিদিন-ই তাঁর নানী এমন কাজ না করার ইশারা করেও রাত্রে বাড়ি ফিরে শুনবে ‘ নানীজান এটা করেছে, ওটা করেছে ‘। আরেকবার তাঁর নানীর দিক তাকিয়ে,

_______’ আসছি। ‘

কথাটা বলে বাহিরে যাওয়ার জন্য হাঁটা দিলো। পেছনে জসিম কোর্ট, অফিস ব্যাগ আবং টিস্যু বক্স নিয়ে ছুটে চলল। গাড়ির সামনে পৌঁছাতে-ই জসিম থেকে নিল রঙের কোর্টটি নিয়ে পড়ে নিলো। অফিস ব্যাগের সাথে টিস্যু বক্স নিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো,

_______’ জসিম নানীজান-কে গার্ডেনে কাজ করতে একদম দেবেন না। আর বাহিরে যেতে চাইলে অবশ্যই ড্রাইভার-কে ইনফর্ম করবেন। আর সমস্যা হলে ইমিডিয়েটলি আমায় কল দেবেন। ‘

_______’ জ্বী। ‘ বাড়ির মেইন গেইট দিয়ে গাড়ি বেরোতেই, দারোয়ান গেইট লাগিয়ে দিয়ে জসিমের দিক তাকালো,
_______’ কিসসে জসিম্মা? ‘ জসিম দাঁত কিড়মিড় করে জবাব দিলো,

_______’ নিজের চরকায় আগুন দে হালা। ‘

অফিসের ক্যাবিনে বসে ফাইলগুলো পড়ে সাঈন করছে আকীব। আকীবের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর ম্যানেজার শায়লা। ফাইলগুলো সাঈন করে মাথা এলিয়ে দিলো রকিং চেয়ারে।

_______’ স্যার নতুন প্রজেক্ট ব্যাপারে মিটিং আছে।’ চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো আকীব। পকেট থেকে ছোট কাগজটি বের করে শায়লার দিক এগিয়ে দিলো,

_______’ শায়লা এ-ই নাম্বারটি-তে কল দিয়ে বলুন আমি বিকেলে দেখা করতে চাচ্ছি। ‘ আকীবের পেছন পেছন দৌঁড়াতে-দৌঁড়াতে, শায়লা নাম্বারটি-তে ডায়াল করতে লাগলো। রেস্টুরেন্টে বসে আছে পাঁচমিনিটের মতো। এখনও কাউকে আসতে না দেখে রেগে যাচ্ছে আকীব। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শায়লা-কে ধমকে উঠলো,

_______’ কখন আসবে বলেছে? ‘
_______’ স্যার বলল তো পাঁচটা-য়। এতক্ষণে তো পৌঁছানোর কথা। ‘ঠিক পাঁচটা পনেরো-তে ঝড়ের গতিতে পৌঁছাল মেয়েটি। এসে-ই ধপ করে বসলো আকীবের সামনে।

_______’ আসসালামু আলাইকুম আকীব সাহেব। ভুল মার্জনা করবেন। আর দেরি করার জন্য মাফ চাইছি। হয়েছে কি বলুন তো, রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম ছিলো। আর যে-ই রিকশা নিয়েছিলাম সে-ই মামা তার কষ্টের জীবন নিয়ে কথা বলছিল। কথা মধ্যে রেখে চলে আসাটা বেয়াদবি কিনা। তাই শেষ করে আসতে দেরি হয়ে গেলো। আপনি রেগে নেই তো? ‘ হতভম্ব আকীব মাথা নাড়ালো। সে সামনে বসা বোরকা পরিহিত মেয়েটির দিক ভালোভাবে তাকাল। মেয়েটি তার ফোর্সা হাত নাড়িয়ে-চাড়িয়ে কথা বলতে শুরু করলো,

_______’ আপনি নিশ্চয়ই ব্যাস্তগত মানুষ। তা-ই দ্রুত কথা শেষ করে ফেলি। আমি সেহেরী ইন্টার সেকেন্ডে ইয়ারে পড়ছি। আপনার নানীজান-কে আমার ভিষণ ভালোলেগেছে। এমন সুন্দর মনের মানুষ যখন আমার হাত চাইতে আসলো, আমার পরিবার বা আমি না করতে পারলাম না। এখন কথা হচ্ছে আমি শুনেছি আপনি আপাতত বিয়ে করতে চাচ্ছেন না। আর বিশ্বাস করুন ভাই, আমিও চাচ্ছিনা। ‘ কথা বলতে বলতে মুখের নেকাব-টা খুলে ফেলল।

_______ ‘ বুঝছেন তো আকীব সাহেব? ‘ আকীব ছোট ঢোক গিলল,
_______ ‘ জ.. জ্বী। ‘
_______ ‘ আমার আবার স্বপ্ন নিজের স্ট্যাটাস অনুযায়ী বিয়ে করবো বুঝলেন।

তাহলে ইকুয়াল রেস্পেক্ট থাকবে। যেমন আমি মিডেল ক্লাস আর আপনারা বড়লোক। ব্যাপারটা কিন্তু একদম যায় না। তাই না? আর এভাবেও বড়লোক-দের তামাম কাহিনী। এদের দুনিয়ায় প্রেমিকা থাকে। তারপর বিয়ের পর গরীব মেয়েটিকে নানান অত্যাচার সজ্জ করতে হয়। এগুলো-ই তো হচ্ছে আজকাল, আপনি তো জানবেন-ই। ‘ অগ্যত আকীব মাথা দুলালো,

_______’ জ্বী। ‘
_______ ‘ তো বলুন জেনেশুনে কেউ সুইসাইড করতে যেতে চাইবে? আমি তো চাই না। এখনও অনেক স্বপ্ন পুরন করতে হবে। আমার নজরে একজন আছে বুঝলেন। আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের কাদের সাহেব। সে একজন এমপ্লয়। মাসিক বেতন ২৭ হাজার। একটা সংসারের জন্য পারফেক্ট। তারউপর লোকটি কালো আর বেটে। কালো আর বেটে লোকগুলো সুন্দর বউ পেলে বেশি ভালোবাসতে জানে। ভবিষ্যতে তার প্রেমিকা থাকার সম্ভাবনা টাও তো থাকছেনা তাই না? তাহলে ভবিষ্যৎে কষ্টকর কোনো সিচুয়েশনে আসবে না। প্ল্যানিং টা কেমন?’ ছোট ঢোক গিলল আকীব। সামনে রাখা এক গ্লাস পানি ঢকঢক করে খেয়ে ফেলল। আড়চোখে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা শায়লার দিক তাকাল। যে আপাতত স্তব্ধ হয়ে সেহেরী নামের মেয়েটির কথা শুনছে।

_______ ‘ সুন্দর। ‘ সেহেরী বড় এক হাসি দিলো,

_______ ‘ দেখলেন? পছন্দ হতেই হবে। আমি আবার আমার বাবাকে এ-ই ব্যাপার গুলো স্ট্রিক্টলি জানিয়ে দিয়েছি। সে-ও আমার সাথে সহমত। শুধু আমার আম্মিজাম নারাজ। কোয়ি বাত নেহি, উনহে ভি মানালেঙ্গে। তা আপনার নিশ্চয়ই দেরি হচ্ছে। আবার আমারও কোচিং-এর লেইট হয়ে যাচ্ছে। আম্মু বলে দিয়েছেন আজ যেতে হবে না। কিন্তু আমার আবার আজ আর্জেন্ট যেতে হবে। তাহলে আপনি আপনার নানীজানকে বলে দেবেন মেয়ে পছন্দ হয়নি। ব্যস। নানীজান অন্যএকজন খুঁজতে শুরু করবে। নানীজান খুশি, আমি খুশি, আর আপনিও খুশি। ঠিকাছে না? ‘

_______’ জ্বী। ‘
_______ ‘ তাহলে আসি। আবার কখনো দেখা হবে নিশ্চয়ই। আল্লাহ হাফেজ। ‘ উঠে দ্রুত নেকাব পড়ে নিলো। দাঁড়াতেই শায়লার দিক নজর পড়লো। দুষ্টু হেসে চোখ নাড়াল,

_______ ‘ উম উম চলছে কিছু দুজনের? আয়ে আমি আবারও লাভ-বার্ডস মিলিয়ে দিলাম। এতো নেকি কোথায় রাখ..। [ ঘড়ির দিক নজর পড়তেই ] দেরি হয়ে যাচ্ছে । আল্লাহ হাফেজ। আবারও দেখা হবে ইন-শা-আল্লাহ। ‘
ঠিক যেভাবে এসেছিল সেভাবেই ঝড়ের গতিতে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে গেলো। আকীব এখনও সেহেরীর যাওয়ার পানে তাকিয়ে। ভিতরে আঁটকে রাখা সকল শ্বাস একদমে ঝেড়ে ফেলল। দ্বিতীয় গ্লাসের পানিটুকু-ও খেয়ে ফেলল৷ শায়লা ছোখ পিটপিট করে তাকালো আকীবের দিক,

_______ ‘ স্যার? কে ছিলেন ম্যামটি। ‘
_______ ‘ মেয়েটি কেমন শায়লা? ‘ আকীবের প্রশ্নে হতচকিত হয়ে জবাব দিলো,
_______ ‘ স্যার একদম ডিফারেন্ট। ‘ আকীব কোর্ট ঝেড়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালো। হালকা হেসে মাথা ঝাঁকাল।

_______ ‘ অফিস গিয়ে বাকি কাজগুলো হ্যান্ডেল করিয়েন। আমি বাড়ি যাচ্ছি। ‘
শায়লা ছোট চোখ করে আকীবের যাওয়ার দিক তাকিয়ে। তাঁর একটাই কথা ‘ আকীব চৌধুরীকে এক পুছকে মেয়ে স্পিচল্যাস বানিয়ে ফেলল ‘। আমিনা নাতির জবাব শুনে অবাক হয়নি। বরং মিষ্টি হেসে বলেছে,

_______ ‘ মাস খানেকের মাঝে-ই বিয়েটা শেষ করে ফেলব। ‘
_______ ‘ জ্বী। ‘ নিজের রুমে পৌঁছিয়ে ধপ করে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলো আকীব। চোখ বুঝে ছোট শ্বাস ফেলল,

_______ ‘ সেহেরী। ‘ ঠিক চার-দিনের মাথায় কল আসলো সেহেরী-র। আকীব কথা বলতে চেয়ে-ও বলেনি। মেয়েটি নির্ঘাত বিয়ে ভাঙা নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছে। আর আকীব এ-ই বিয়ে কিছুতেই ভাঙতে দেবে না। পাঁচ দিনের মাথায় আকীব অফিসে কিছু ফাইল’স পড়ছিল। হঠাৎ রিসিপশন থেকে কল আসলো।

______ ‘ ইয়েস? ‘
______ ‘ স্যার সেহেরী নামের একজন আপনার সাথে দেখা করতে চাচ্ছে। আমি না ক দাঁড়িয়ে গেল আকীব।

_______ ‘ আপনি নিজে তাঁকে আমার কেবিনে নিয়ে আসুন৷ ‘ কল কেঁটে আকীব কোর্ট-চুল ঠিক করতে লাগলো। মিনিট খানের মাঝে চলে আসলো সেহেরী।

_______ ‘ আসসালামু আলাইকুম আকীব সাহেব। আমি আন্তরিক ভাবে দুখিঃত আপনাকে ডিস্টার্ব করার জন্য। আসলে আমি কল দিয়েছিলাম কিন্তু আপনার ম্যানেজার রিসিভ করেনি। ‘

_______’ স..সমস্যা নেই। বসুন প্লিজ। ‘ সেহেরী পাশের চেয়ারে বসলো,

_______ ‘ ধন্যবাদ। আপনার আর আমার কথা হয়েছিল। আপনি কি আপনার নানীজান-কে মানাতে করতে পারেন নি?’ আকীব থতমত আওয়াজে জবাব দিলো,

_______ ‘ আসলে আমার নানীজান আপনাকে বেশি পছন্দ করেছেন। আর আমি তার কথা অমান্য করতে পারছি না। ‘

_______ ‘ হ্যাঁ আমি বুঝতে পারছি। আসলে পরিবার গুলো আমাদের সম্মতির তোয়াক্কা-ই করছে না। দেখুন আমি বাবাকে বোঝালাম কিন্তু সে না করতে পারবেনা বলল। আমি ভাবছিলাম যেহেতু আপনি না করতে পারবেন না তাই আমার কয়েকদিন দূরে কোথাও চলে যাওয়ার কথা। তাহলে অবশ্যই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কি বলেন? ‘
আকীব চোখ পিটপিট করতে লাগলো। আকীবের জবান মনে হচ্ছে থেমে গিয়েছে।

_______ ‘ না মানে আ…আসলে। আমার তেমন সমস্যা নেই বিয়েতে। ‘ বোরকা ভিতর থেকে সেহেরীর হাসির আওয়াজ ভেসে আসছে,

_______’ এটা তো আপনি আপনার নানীজানের আদেশে বলছেন। সমস্যা নেই, আমি নিজে-ই কিছু একটা করব। আসছি তাহলে ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ। ‘ আকীব সেহেরীর সাথে দাঁড়িয়ে গেলো। আমতাআমতা করে বলল,

_______’ আপনার সময় থাকলে আমরা কোথাও যেতে পারি। আহ! কথা বলার জন্য। ‘
_______ ‘ ভদ্রতা বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবেনা আকীব সাহেব। আমি বুঝি এগুলো। আপনার জন্য আমার

খারাপ লাগছে আবার নিজের জন্যও লাগছে। আমি কিছু করতে পারলে অবশ্যই আপনায় জানাব। সেহেরীকে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য সাথে ড্রাইভার পাঠিয়ে দিল আকীব। কিন্তু ড্রাইভার মিনিটের মাঝে ফিরে এসে বলল,
_______’ ম্যাম বললেন সে রিকশায় চলাচল করতে পছন্দ করেন। ‘

আকীব মাথা দুলালো। বড় এক শ্বাস ফেলল। মেয়েটি সামনে থাকলে কথা বলতে ভুলে যায় আকীব। এখন তার সবদিক দিয়ে সেহেরীর সকল বিয়ে ভাঙার পদ্ধতি উড়াতে হবে। এতো কাহিনী করে শেষ পর্যন্ত আকীব বিয়ে করেই ফেলল সেহেরী-কে। নতুন বউকে বিছানায় বসা দেখবে বলে রুমে প্রবেশ করতেই দেখল, সেহেরী কামিজ পড়ে মাথায় কাপড় দিয়ে দাঁড়িয়ে। ফোর্সা হাতে এখনও মেহেদীর রং টুকটুকে লাল। নাকে পাথরের নাকফুল। হাতে আকীব নামের চুরি। আকীবের মাথায় ঘুরছে ‘ এটা তার বউ ‘। দরজা লাগিয়ে ভিতরে এগিয়ে যেতেই সেহেরী বলে উঠলো,

_______ ‘ আপনার যেগুলো ধরা বারন তার লিষ্ট করে দিলে আকীব দ্বিতীয় ধাপে সেহেরী-কে কোলে তুলে নিলো। ঠোঁটে নাগাতার কিছু চুমু খেতে-খেতে বলল,

______ ‘ আপনি জানেন আপনার ছোঁয়া পাওয়ার জন্য কতটা কাতর আমি। আপনাকে এ-ই রূপে দেখার জন্য কতটা অপেক্ষা করেছি। আপনার এ-ই ঠোঁটে নিজের ঠোঁট রাখার আকঙখায় মরেছি। আপনার এক ঝলক আমার দুনিয়া পাল্টে দিয়েছে। সেহেরী আপনি অদ্ভুত সুন্দর ‘ সেহেরী টপটপ চোখে তাকিয়ে তাঁর নতুন স্বামীর দিক। এ-ধরনের আচরণ সে একদম আশা করেনি। আকীব সেহেরীর ভাবনাময় ঠোঁটে ঠোঁট বুলিয়ে তাঁদের জীবন পাড়ি দেওয়ার রাস্তায় হাঁটা ধরলো।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত