আলোকে আঁধারে: ০৯. সুব্রত এতক্ষণ একটি কথাও বলেনি

আলোকে আঁধারে: ০৯. সুব্রত এতক্ষণ একটি কথাও বলেনি

০৯. সুব্রত এতক্ষণ একটি কথাও বলেনি

সুব্রত এতক্ষণ একটি কথাও বলেনি—নীরব দর্শকের মত কিরীটীর পাশে নিঃশব্দে বসে ওদের সকলের মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিল। এদেরও সকলের বয়েস অন্য দুইজনার মতই, অমিয়র চেহারার মধ্যে কোন বিশেষত্ব নেই—সাধারণ একজন যুবক, একজোড়া গোঁফ আছে—পরনে ধুতি-পাঞ্জাবি, চোখে সরু শৌখিন ফ্রেমের চশমা চোখের দৃষ্টিটা যেন কেমন একটু বোজ-বোজা।

সতীন্দ্র সান্যালের কালো আবলুস কাঠের মত গায়ের রঙ। বেশ মোটা-সোটা, মুখটা লাগাল—পুরুষ্টু। জামা কাপড় চেহারা দেখে মনে হয় বেশ সুখী ব্যক্তি। আর হবেই বা কেন, কিরীটীর মনে পড়লো সুশীল নন্দীর খাতায় লেখা আছে ওর সম্পর্কে, ফুড ডিপার্টমেন্টে ওর বড় চাকুরে বাপের দৌলতে ভাল চাকরি একটা করছে। সুশীল নন্দী সতীন্দ্র সম্পর্কে যেন ঠিক-ঠিকই লিখেছেন। কাজল বোস—একেবারে টিপিক্যাল একজন স্কুল মিসট্রেসের মতন চেহারা। কালো, রোগা ঠিক না বলে বলা উচিত যৌবন-রস যেন ওর দেহ থেকে অনেকখানি নিংড়ে নেওয়া হয়েছে। চোখেমুখে ও চেহারায় যেন একটা হতাশা–একটা ক্লান্তির স্পষ্ট ইঙ্গিত।

আর পাপিয়া চক্রবর্তী। হ্যাঁ—উজ্জ্বল শ্যাম—স্লিম ফিগার—ঠিক যেন আজকের দিনের যে সব তরুণীদের পথেঘাটে চোখে পড়ে নিজেকে আকর্ষণের বস্তু করে তোলার উগ্র প্রচেষ্টা, পাপিয়া যেন তাদেরই সমগোত্রীয়। পাপিয়ার মত মেয়েরা অন্তরের সঙ্গে কখনো কোন পুরুষের কাছে ধরা দিতে পারে না—কতকটা যেন আত্মকেন্দ্রিক।

কথা বললো পাপিয়াই চেয়ারটা টেনে বসতে বসতে, কিন্তু ব্যাপারটা কি বলুন তো সুশীলবাবু, হঠাৎ এভাবে আবার আমাদের তলব পাঠিয়েছেন কেন?

মণিময় ও ক্ষিতীশকে যা বলেছিলেন সুশীল নন্দী, কিরীটীকে দেখিয়ে ওদেরও তাই বললেন। সকলেই তাঁর কথায় একেবারে কিরীটীর দিকে তাকাল!

পাপিয়াই আবার বললে, আপনাকে যেন চিনি বলে মনে হচ্ছে—নন্দী সাহেব, উনি কি সত্যসন্ধানী কিরীটী রায়?

ঠিকই ধরেছেন মিস চক্রবর্তী।

হুঁ। এখন তাহলে বুঝতে পারছি, আজকে আমাদের ডাকার আসল উদ্দেশ্যটা। আর

উনি বোধ হয় সুব্রতবাবু, ওঁর পাশে বসে!

হ্যাঁ, সুব্রত রায়। সুশীল নন্দী আবার বললেন।

কিরীটী কথা বললে এবারে, দেখুন মিস চক্রবর্তী আপনারা সকলেই মিত্রানীর বন্ধু-সহপাঠীও, তাই মিত্রানী সম্পর্কে দুটো-একটা প্রশ্ন আমি করতে চাই—

সতীন্দ্র বলেন, কি প্রশ্ন?

মিত্রানীর প্রতি দলের কারো কোন দুর্বলতা ছিল কিনা—কিংবা মিত্রানীর আপনাদের কারোর প্রতি–

সবাই চুপ। একেবারে যেন বোবা! অকস্মাৎ যেন সকলেই কেমন একটা অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে থমকে দাঁড়িয়েছে।

বুঝতে পারছি আমার প্রশ্নে আপনারা সকলেই একটু অস্বস্তিবোধ করছেন। সুশীলবাবু—

বলুন—

আপনার পাশের ঘরটা আমরা একটু ব্যবহার করতে পারি?

নিশ্চয়ই–

তাহলে আমি আর সুব্রত পাশের ঘরে যাচ্ছি, আপনি এক-একজন করে এঁদের ঐ ঘরে পাঠান–

বলা বাহুল্য, সেই মতই ব্যবস্থা হলো।

প্রথমেই এলো অমিয় রায়। সে এক কথাতেই জবাব দিল, কলেজ ছাড়ার পর মিত্রানীর সঙ্গে তার বিশেষ কোন সম্পর্কই ছিল না—কচিৎ কখনো দেখা হতো—তাও দু-একটা সাধারণ কুশল প্রশ্ন ছাড়া ওদের মধ্যে আর কোন কথা বড় একটা হতো না– কাজেই মিত্রানী সম্পর্কে সে বিশেষ কোন খবরই রাখে না।

অমিয়কে কিরীটী বিদায় দিল।

অমিয়র পর এলো সতীন্দ্র। তারও জবাব অমিয়র মতই।

কিরীটী মৃদু হেসে তাকেও বিদায় দিল।

অতঃপর এলো পাপিয়া চক্রবর্তী।

সে কিরীটীর প্রশ্নের জবাবে বললে, মিত্রানী ওয়াজ এ টিপিক্যাল অধ্যাপিকা। স্ট্যঞ্চ মরালিস্ট অ্যান্ড নেভার সোস্যাল। ঐ টাইপের মেয়েরা প্রেম করলেও কখনো তা কি প্রকাশ করে–করে না! কাজেই, তার সম্পর্কে ঐ ধরনের প্রশ্ন উঠতেই পারে না। আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না–মিত্রানী সম্পর্কে আমার ধারণা, প্রেম-ট্রেমের ব্যাপারে তার বোধ হয় একটা নশিয়াই ছিল। বলে পাপিয়া মৃদু হাসলো। কিরীটী মৃদু হেসে তাকেও বিদায় দিল।

সর্বশেষ এলো কাজল বোস।

দুই চোখে ঐ মুহূর্তে তার, কিরীটীর মনে হয়, কেমন যেন একটা ভয় ও সংশয়। দাঁড়িয়ে থাকে সে, বসে না।

বসুন মিস্ বোস–কিরীটী বললে।

কিন্তু আমার যা বলবার ছিল তা তো সেইদিনই থানার অফিসারকে বলেছি কিরীটীবাবু।

জানি বলেছেন। দাঁড়িয়ে রইলেন কেন, বসুন!

একটু দ্বিধা, একটু সঙ্কোচ নিয়েই যেন কাজল চেয়ারটার উপরে বসলো। সোজাসুজি কিরীটীর চোখের দিকে যেন সে তাকাতে পারছে না।

বলুন তো মিস্ বোস, আপনার বান্ধবী মিত্রানী আপনাদের বন্ধু-ছেলেদের মধ্যে কাউকে কি ভালবাসতো।

ঠিক জানি না। তার সঙ্গে আমার বড় একটা দেখা হতো না কলেজ ছাড়ার পর। তাছাড়া সে ছিল নামকরা একটি কলেজের প্রাফেসার, আর আমি সাধারণ একজন স্কুলমিসট্রেস–

কিরীটী বুঝলো কাজলের মধ্যে একটা ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্স আছে মিত্রানী সম্পর্কে।

কিরীটী একটু যেন সজাগ হয়ে নড়েচড়ে বসলো।

আপনি মনে হচ্ছে মিত্রানীকে তেমন বোধ হয় একটা খুব পছন্দ করতেন না!

না, না—তা নয়—

তবে?

ওর বরাবরই ভাল ছাত্রী ও অধ্যাপিকা বলে মনের মধ্যে একটা ভ্যানিটি ছিল। অন্যান্যেরা টের না পেলেও আমি টের পেতাম।

আচ্ছা আপনাদের দলের পুরুষদের কারো উপরই কি মিত্রানীর কোন দুর্বলতা ছিল না? আবার আগের প্রশ্নটার পুনরাবৃত্তি করলো কিরীটী, আপনার দৃষ্টিতে না পড়লে দলের অন্য কারো মুখেও কি কিছু শোনেন নি?

না। তবে সুহাস যেন একদিন আমাকে কথায় কথায় বলেছিল—

কি বলেছিলেন সুহাসবাবু?

মিত্রানীর সুহাসের প্রতি ব্যবহারটা যেন একটু কেমন কেমন ছিল। আর মনে হয়, আবার সুহাসেরও বোধ হয় মিত্রানীর প্রতি একটা দুর্বলতা ছিল। আচ্ছা কিরীটীবাবু

বলুন।

সত্যিই কি পুলিশের ধারণা হয়েছে যে, আমাদের মধ্যেই কেউ সেদিন মিত্রানীকে—

সেটাই তো স্বাভাবিক মিস বোস।

কেন—কেন?

মনে করুন, আপনারা ছাড়া সে সময় সেখানে কেউ বাইরের লোক ছিল না—সেও একটা কথা এবং আপনাদের কারো পক্ষে সেদিন ঐখানে মিত্রানীকে হত্যা করার যে রকম সুবিধা ছিল, ততটা আর কারোর পক্ষেই ছিল না।

কিন্তু–

কিরীটী বলতে লাগল, তাছাড়া ধরুন যদি কোনা তৃতীয় ব্যক্তিরই কাজ হবে—-সে নিশ্চয়ই আশেপাশে কোথাও ছিল যেটা আপনাদের অতগুলো মানুষের কারো না কারো চোখে পড়তই, সেরকম কাউকে কি সেদিন আপনাদের আশেপাশে সুযোগের অপেক্ষায় ঘুরঘুর করতে দেখেছিলেন তপনাদের কেউ

না, সে রকম কাউকেই দেখেছি বলে মনে পড়ছে না।

আচ্ছা মিস্ বোস!

বলুন।

আপনাদের মধ্যে কেউ সেদিন বেতের টুপি মাথায় দিয়ে গিয়েছিলেন?

না তো!

আচ্ছা আপনাদের দলের মধ্যে কে কে সিগ্রেট খায়?

সুহাস, অমিয় আর বিদ্যুৎ–আরো একজন চেইন স্মােকার সজল চক্রবর্তী। সে তো সেদিন আসেইনি

কে কি ব্রান্ড খায় জানেন?

বিদ্যুৎ আর সজলের কথা জানি না-তবে সুহাস আর অমিয় দুজনে চার্মিনার হয়।

হুঁ। কে বেশী খায় সিগ্রেট ওদের দুজনের মধ্যে?

সুহাসই মনে হয় বেশী খায়।

আপনারা কেউ সেদিন একটা বায়নাকুলার নিয়ে গিয়েছিলেন?

বায়নাকুলার! না তো!

কারো কাছেই বায়নাকুলার ছিল না?

না।

আচ্ছা মিত্রানীর হাতে কি সবুজ রঙের কাঁচের চুড়ি ছিল? আপনার হাতেও তো দেখছি কাঁচের চুড়ি রয়েছে—

হ্যাঁ—এটা আমার শখ। মিত্রানীকে কখনো কাঁচের চুড়ি ব্যবহার করতে দেখিনি। আর কাঁচের চুড়ি ব্যবহার সে করতেই বা যাবে কোন্ দুঃখে–এত টাকা মাইনে পেত।

টাকার জন্যই কি কেউ কাঁচের চুড়ি ব্যবহার করে! আপনার মত শখ থাকলে অনেক বড়লোকের মেয়েও হাতে কাঁচের চুড়ি পরেন। আচ্ছা আপনি সেদিন পড়ে-টড়ে গিয়েছিলেন নাকি?

কই না তো!

দেখছি আপনার ডান হাতে তিনটি, অন্য হাতে একটি চুড়ি—

আমার এক ছোট ভাইঝি আছে, সে ভেঙে ফেলেছে।

আচ্ছা মিস বোস, এবারে আপনি যেতে পারেন।

কাজল উঠে ঘর থেকে বের হয়ে গেল।

সুব্রত!

কি?

কাজল বোসের বাঁ হাতটায় কব্জির কাছে লক্ষ্য করেছিলি—একটা অ্যাবরেশন মার্ক আছে।

দেখেছি—মনে হয় সব কথা উনি স্পষ্ট করে বললেন না।

কিরীটী মৃদু হেসে বললে, আর কিছু মনে হলো তোর ঐ মহিলা সম্পর্কে?

মনে হলো নিজের অসুন্দর চেহারার জন্য যেন একটা মানসিক দৈন্যে ভুগছেন।

ঠিক। আর কিছু?

আর তো কিছু মনে হলো না।

সুহাসবাবুর প্রতি বোধ হয় ঐ ভদ্রমহিলার কিছুটা দুর্বলতা আছে।

ঐ সময় সুশীল নন্দী এসে ঘরে ঢুকলেন—-মিঃ রায়!

বলুন।

আরো দুজন এসেছেন।

কে কে? কিরীটী শুধাল।

সুহাস মিত্র আর সজল চক্রবর্তী। মানে সেই ভদ্রলোক যার অনুরোধেই সেদিন ওদের বটানিক্স-এ পিকনিকের প্রোগ্রাম হয়েছিল। কিন্তু সজলবাবু তো সেদিন পিকনিকে উপস্থিত ছিলেন না। তার সঙ্গেও কথা বলতে চান নাকি?

ঘটনাচক্রে এসেই পড়েছেন যখন তখন আলাপ করতে দোষ কি! দিন না—তাকেই আগে পাঠিয়ে দিন।

সুশীল নন্দী চলে গেলেন এবং একটু পরে সজল চক্রবর্তী এসে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করল। চেহারায় ও পোশাকে বেশ স্মার্ট। বেশ লম্বা সুগঠিত চেহারা। গাত্রবর্ণ শ্যামই বলা চলে। ছোট কপাল, নাকটা একটু চাপা—চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ বুদ্ধিদীপ্ত। পরনে দামী স্যুট–

আপনার নাম—

সজল চক্রবর্তী।

বসুন।

সজল বসতে বসতে বললে, আজই এগারোটা নাগাদ মর্নিং ফ্লাইটে কলকাতায় এসেছি —মিত্রানীর বাসায় ফোন করেছিলাম—প্রণবেশবাবুর মুখেই সব শুনলাম। সত্যি কথা বলতে কি মিঃ রায়, আমি তো একেবারে হতবাক। ব্যাপারটা তো বিশ্বাসই করতে পারিনি—সঙ্গে সঙ্গে সুহাসের ওখানে আমি ছুটে যাই-অ্যান্ড হি অলসো রিপিটেড দি সেম স্টোরি! সে-ই বললে থানা অফিসার নাকি আজ তাকে বিকেলের দিকে এখানে আসতে বলেছেন কি সব আলোচনার জন্য—আমিও তাই ওর সঙ্গে চলে এলাম।

বেশ করেছেন। ভালই করেছেন। আপনিও তো মিত্রানীর বন্ধু-সহপাঠী! আপনি নিশ্চয়ই তাঁর সম্পর্কে অনেক কথাই জানেন।

কি আর, কতটুকুই বা জানতে পারি বলুন—এইটুকু বলতে পারি—শী ওয়াজ ভেরি নাইস-ভেরি সোস্যাল।

কিন্তু কাজল বোস বলছিলেন—

কি? কি বলছিল কাজল?

মিত্রানী ওয়াজ রাদার আনসোস্যাল।

বরং ঠিক উল্টোটাই—

আচ্ছা মিঃ চক্রবর্তী—মিত্রানীর কোন লাভ-অ্যাফেয়ার ছিল বলে জানেন?

তা বোধ হয় ছিল—

আপনাদের মধ্যে কি কেউ—

ইফ আই অ্যাম নট রং, ঐ সুহাস—

সুহাস মিত্র?

মনে হয়।

আপনি শুনেছেন কিনা জানি না, পুলিসের একটা ধারণা, আপনাদের দলের মধ্যেই কেউ তাকে হত্যা করেছে—-

কি বলছেন আপনি মিঃ রায়? আই মাস্ট সে দে আর ফুলস! আমাদের মধ্যেই কেউ মিত্রানীকে হত্যা করতে যাবে কেন?

ঈর্ষার তাড়নায়ও তাকে কেউ আপনাদের মধ্যে হত্যা করে থাকতেও তো পারে।

ঈর্ষা! কিসের ঈর্ষা! না, না—অসম্ভব।

আপনি তো সকলেরই মনের কথা জানেন না মিঃ চক্রবর্তী। তাছাড়া সব সময় নিজের মনের কথাই কি আপনি জানতে পারেন? থাক সে কথা—আপনার কোন বায়নাকুলার আছে?

বায়নাকুলার!

হ্যাঁ।

কই না!

নেই?

না।

তা আপনি এই সেদিন কলকাতায় এসেছিলেন—হঠাৎ দুদিন পরেই যে আবার কলকাতায় এলেন?

একটা অফিসিয়াল কাজে আসতে হলো।

কালই বোধ হয় আবার চলে যাবেন?

না–দিন দুই আছি।

আপনি থাকেন কোথায়?

কলুটোলায়।

বাড়িতে কে কে আছেন?

বাবা মা আর এক ছোট বোন। ছোট বোন কলেজে পড়ে। সেকেন্ড ইয়ার।

কলুটোলায় আপনাদের নিজেদের বাড়ি?

না মিঃ রায়, ভাড়াটে বাড়ি! বাবা আমার সামান্য জজ কোর্টের কেরানী ছিলেন। অবশ্যি আমি এখন যাকে আপনারা বলেন মোটা মাইনে তাই পাই, কিন্তু বাবা আমার অর্থসাহায্য নেবেন না। এ পিকিউলিয়ার টাইপ।

আগের পর্ব :

০১. প্রস্তাবটা তুলেছিল সজলই
০২. সজলের একটা কমপ্লেক্স ছিল
০৩. ঐ ঘটনারই পরের দিন
০৪. সকলেই সজলের অনুপস্থিতিটা
০৫. মিত্রানীকে বেশী খুঁজতে হয়নি
০৬. সে রাত্রে ছাড়া পেতে পেতে
০৭. ঐদিনই দ্বিপ্রহরে লালবাজারে
০৮. ওদের সকলের পৌঁছাবার আগেই

পরের পর্ব :
১০. সজল চক্রবর্তীর পর এলো সুহাস মিত্র
১১. কিরীটী আর সুব্রত সেদিন
১২. ছুটির দিন বলেই হয়ত
১৩. পরের দিন ভোরবেলাতেই
১৪. ডাইরীখানা নিয়ে
১৫. কিরীটী পাতার পর পাতা পড়ে চলে
১৬. দিন দুই আর কিরীটী কোথাও বেরই হলো না
১৭. মিত্রানীর হত্যা-রহস্যের একটা জট
১৮. রবিবার সকালের দিকে
১৯. কিরীটীর ওখান থেকে বের
২০. বাড়িতে ফিরে সারাটা দিন
২১. সজল চক্রবর্তী এলোই না
২২. সুহাস মিত্রকে তার অফিসে পাওয়া গেল না
২৩. চিঠিটা আমার পড়তে বসে
২৪. থানায় বসে সুশীল নন্দী

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত