হাতছানি

হাতছানি

ছোটবেলার একই পাড়ায় কাটানো সব পুরোনো বন্ধু-বান্ধবদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে, সবার প্রথমে খবরটা দেয় রজত। সলমার বাবার খুব শরীর খারাপ , প্রায় ছয়মাস ধরে খুব ভুগছে। এখন কলকাতার এক নামী হসপিটালে ভর্তি আমিনুলকাকু প্রায় দিন দশেক।

প্রায় চল্লিশ বছর আগে, শহরতলির ছোট্ট একটি পাড়াতে একসাথে মিলে – মিশে থাকতো বেশ কিছু পরিবার। বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন বর্ণের, বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ বাস করতো এখানেই। এখানেই বেড়ে উঠছিলো একসাথে প্রায় কুড়ি – বাইশজন কচি-কাঁচা, তারা সবাই জন্মেছিলো কয়েক মাসের ব্যবধানে। একসাথে স্থানীয় স্কুলে পড়াশোনা, একসাথে বিকেলে পাড়ার মাঠে খেলাধুলো, বড়ো হয়ে ওঠা ওদের।

সময়ের সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়ে সবাই বিভিন্ন জায়গায়। আরো পড়াশোনার জন্য বা অন্য কারণে। আজ তারা ছড়িয়ে রয়েছে দেশে – বিদেশে , কর্মসূত্রে বা বৈবাহিক সম্পর্কে। এখন হোয়াটসঅ্যাপ এর আশীর্বাদে, আবার পনেরো জন হয়েছে একত্রিত। পুরোনো স্মৃতিচারণ ছাড়াও, কে কি করছে, কে কি রান্না করলো, বা কিভাবে কোনো রান্না করতে হবে, বা কে কোথায় বেড়াতে যাচ্ছে, বা নিছকই আড্ডার মাধ্যমে – সবাই যেন আবার ফিরে পেয়েছে সেই হারিয়ে যাওয়া ছোটবেলার রঙিন দিনগুলো।

হঠাৎ করে আমিনুলকাকুর শরীর খারাপের খবরে , নীলের খুব মন খারাপ হয়ে যায়। আকাশ , রাজদীপ, রীমা কলকাতাতেই আছে, দেখা করে এসেছে কাকুর সাথে; নীল ও ছুটে যেতে চায়, পাশে দাঁড়াতে চায় সলমার; ওর এখনো মনে আছে, সলমা যখন ছোট বেলায় খেতে চাইতো না, ওর আম্মি – খুশবু চাচী ওকে ছেড়ে যেতো নীল এর বাড়িতে। নীল এর মা ওকে কোলে বসিয়ে, চিনি দিয়ে ভালো করে ভাত মেখে, গল্প শোনাতে শোনাতে ঠিক খাইয়ে দিতো ছোট্ট সলমাকে। মনে পড়ে যায় ছোটবেলার সেই সময়গুলো, কাকুর কাছে কেমিস্ট্রি পড়ার সময়গুলো, মনে পড়ে যায় সলমা, ওর ভাই রফিকের সাথে খেলার দিনগুলি, মনে পড়ে যায় খুশবু চাচীর হাতের বিরিয়ানি ! আমিনুলকাকু কি সহজ ভাবে জটিল ইলেক্ট্রন, প্রোটন, নিউট্রন আর অর্গানিক কেমিস্ট্রি বোঝাতেন। কিন্তু মাঝে প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায় প্রায় বারোহাজার কিলোমিটার দূরত্ব ! আরো এ কথা সে কথা হতে হতে , হঠাৎ একটা মেসেজ দেখে নীল চমকে ওঠে।

রীমা : আমার সলমার সাথে যখন দেখা হলো, ও আমাকে একটা কথা বললো। কাকু নাকি প্রচন্ড ভেঙে পড়েছিলো কয়েকদিন আগে। ওই নতুন যে রেজিস্টার এসেছে যার মধ্যে নাম না থাকলে নাকি আমরা এই দেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য হবো না, সেই ব্যাপারটার জন্য কাকুর নাকি হঠাৎ করে একটা অ্যাটাক আসে। আর তারপর থেকে কাকু নাকি খুব ভেঙে পড়েছে।

রাজদীপ : মানে ? ওই রেজিস্টার এর সাথে এর কি সম্পর্ক ?

রোহিত : আরে , ওই যে কয়েকদিন আগে এলো না ওই একটা বিল। আর তারপর বললো না, যে , ওই রেজিস্টারে নাম না থাকলে তুই নাকি দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচিত হবি না !

আলো : কিন্তু তার সাথে কাকুর কি সম্পর্ক ? বা সলমার-ই বা কিসের সম্পর্ক ?

রীমা : কাকুদের আসলে পৈতৃক বাড়ি আসামে। কাকুর জন্ম ও ওখানেই হয়েছিলো। সেখানে ওই লিস্টে প্রায় উনিশ লাখ লোকজনের নাম নেই, তার মধ্যে বারো লাখ নাম সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্পদায়ের , আর বাকি সাত লাখ নাম কাকুদের ধর্মের লোকজনের।

মোহন : তো নিশ্চয়ই ডকুমেন্ট ঠিকঠাক ছিলো না। তাই হবে হয়তো।

রীমা : সেটাই হবে। কিন্তু এটা কি জানিস তোরা – নাম লিখিয়ে আবার দেশের নাগরিক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কবে সেই আবেদন করা যাবে, তার জন্য কত বছর অপেক্ষা করতে হবে , বা কত দ্রুত আবেদনের নিষ্পত্তি হবে— সে সব পরিষ্কার নয়। আবেদন মঞ্জুর না হলে ? কি হবে ? আর যেটা সবথেকে খারাপ হয়েছে, এই খবরটা আসে পাশে ছড়িয়ে গিয়েছিলো কোনোভাবে। আর তারপরেই হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই লোকজন ওদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে। আর ওদিকে জানিস তো, এখন দাঙ্গা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গাতে !

অয়ন : হ্যাঁ ! সেটা তো হচ্ছে। লোকজন যে কেন এইসব করছে। কেন যে বুঝছে না, আসল ক্ষতি তো আমাদের-ই।

জয়মিন : আর ওদিকে আবার জনসমক্ষে বলা হচ্ছে , পোশাক দেখেই বোঝা যাচ্ছে কারা এসব করছে। আমার ও খুব ভয় করছে রে, সব কিছু নিয়ে।

মোহন : তুই কেন ভয় পাচ্ছিস , তুই তো এই দেশেই জন্মেছিস। আর তোর বাবা মা, তারাও তো এই দেশেই। তোর দাদু, দিদা….

রীমা : না রে মোহন, ভয় পাওয়ার কারণ আছে। যারা দাঙ্গা করছে, তারা হয়তো কয়েকজন মানুষ। হয়তো কোনো রাজনৈতিক কারণে এইসব করছে বা করানো হচ্ছে। কিন্তু এই যে কথাটা জনসমক্ষে বলা হলো, সেটা একটা বিশাল বিপদ ডেকে আনতে পারে। এতো এতো লোকজন রয়েছে, যারা বংশ পরপম্পরায় এই দেশের বাসিন্দা , তাদেরকেও ও কাঠগড়ায় তোলা হলো। কেন? অন্য ধর্মের বলে ? এদের মধ্যে অনেকেই চাকরি-ব্যবসা করে, বাড়ি, গাড়ি সম্পত্তি করে স্থিতু হয়েছেন। তাদের সব কিছু কি অটুট থাকবে? যদি ওই লিস্টে নাম না থাকে, তাহলে তারা আবার ছিন্নমূল হয়ে গেলো তো , এই দেশে জন্মেও, এই দেশের মানুষ হিসেবে পরিচিতি আর পাবে না তারা। নীল আর থাকতে পারে না , রেগে ওঠে। মেসেজ করে, : কি সব রাবিশ কথাবার্তা বলছিস তোরা ! এরকম হতেই পারে না।

অয়ন : ভাই, তুই অন্য দেশে আছিস, হয়তো অনেককিছুই জানিস না। আর এই ঘটনা শুধু যে সংখ্যালঘুদের সাথে হবে তার কোনো মানে নেই। এটা আমাদের সাথেও হতে পারে যদি আমাদের নাম কোনো কারণে না ওঠে। আমাদের সবাইকেও আবার ওই লিস্টে নাম ওঠানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে সব কিছু ডকুমেন্ট জমা দিয়ে। পার্থক্য কোথায় হবে জানিস ? আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে, আমাদের হয়তো খুব একটা ঝামেলা হবে না। কিন্তু অন্য সম্প্রদায়ের জন্য সেটা খুব অস্বস্তিকর হবে। আর যে অপমান ওদের পেতে হবে সব জায়গা থেকে, জীবনের সব ক্ষেত্র থেকে, সেটা আরো চিন্তার।

রীমা : আসলে আমার, তোদের, বেলুড়ে বা মেটিয়াবুরুজে – ধর্মমত নির্বিশেষে সকলের ক্ষেত্রেই এখনকার পরিস্থিতি সমান বাস্তব এবং ভীষণভাবে আশঙ্কার। তাই যারা ভাবছে – এই নয়া আইন তাদের পায়ের তলার জমি শক্ত করল, নাগরিক পঞ্জিতে নাম না উঠলেও তারা রাতারাতি সংশোধিত আইনের বলে ফের ‘ভারতের নাগরিক’ হয়ে যাবে, তারা

– আমার মতে ঠিকভাবে ভাবছে না।

নীল : সে তো সব বুঝলাম, কিন্তু আমিনুলকাকার কি হয়েছিলো। সেটাই তো এখনো পরিষ্কার নয়।

রীমা : এই জায়গা থেকেই কাকুর জীবনে নেমে আসে সর্বনাশ রে। কাকুর ছেলে রফিক, কাকুর জামাই, সবাইকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কাকু আগে ছেলে মেয়েদের পড়াতেন, ঘরে। এখন কেউ আসে না ওর কাছে পড়তে। অনেকেই নাকি অলক্ষ্যে বা পেছনে ওদেরকে দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলছে। সলমার ছেলের সাথে স্কুলে অন্যরা খারাপ ব্যবহার করছে খুব। সব কিছু নিয়ে কাকু খুব চিন্তায় ছিলো, আর সেই চিন্তা থেকে…

নীল : আচ্ছা আমি নাহয় বাইরে থাকি, কিন্তু তোরা তো ওই দেশেই থাকিস। তোদের একটা কথা মনে হচ্ছে না , এই সব কিছু হয়তো করা হচ্ছে অন্য বড়ো কোনো সত্য ঢাকা দেওয়ার জন্য ?

জয়মিন : আমি মনে হয় বুঝতে পারছি তুই কি বলতে চাইছিস। আমার ও সেরকম মনে হয় মাঝে মাঝে। কিন্তু কেউ সেইসব নিয়ে প্রশ্ন করলেই, আজ তার কি অবস্থা সেটা নিশ্চয়ই জানিস।

মুনমুন : সরি, সরি , আমার অনেক দেরি হয়ে গেলো আসতে। মেয়েকে খাইয়ে, বরকে ঘুম পাড়িয়ে এলাম। এ তো যুদ্ধ চলছে তোদের মধ্যে রে। একটু আধটু পড়লাম আমি প্রথম থেকে। অনেক তো হলো, এসব ছাড় না। একটু অন্য কথা বলি আমরা ?

জয়মিন : না রে মুনমুন , অন্য কথার সময় এটা আর নেই। তোরা দেখ একবার, কর্মসংস্থানের অবস্থা নিয়ে জাতীয় নমুনা সমীক্ষার পরিসংখ্যান বলছে, বেকারত্বের হার এখন যে উচ্চতায় ঠেকেছে – তা গত পঁয়তাল্লিশ বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি। ২০১১-১২’য় গড়পড়তা ভারতীয় মাসে খরচ করতেন ১৫০১ টাকা, ২০১৭-১৮’য় এসে দেখা গেল তা কমে হয়েছে ১৪৪৬ টাকা, মানে পরোক্ষ ভাবে দরিদ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে। সবার সামনে, বিশ্বের দরবারে বলা হচ্ছে, ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতে, অর্থনীতি হবে পাঁচ লক্ষ কোটি ডলার। সাধারণ পাটিগণিত বলে এই বৃদ্ধি পেতে গেলে, প্রতি বছর গড়ে বারো শতাংশ বৃদ্ধি চাই।

কিন্তু এখন সেটা কত চলছে জানিস ? পাঁচ শতাংশের ও কম। অশীতিপর শিল্পপতি রাহুল বজাজ দুঃসাহস দেখিয়ে প্রশ্ন করেছেন – এই দেশে শিল্পপতিরা সরকারকে কোনও প্রশ্ন করতে, সরকারের সমালোচনা করতে ভয় পান, কেন ? এরকম হলে ব্যবসার চাহিদা কমবে, বাইরে থেকে যারা ইনভেস্ট করবে, তারা ভয় পাবে। উল্টে রাহুল বাজাজ কি শুনলেন ? ‘এরকম কথা জনসমক্ষে তুলে জাতীয় স্বার্থের ক্ষতি করবেন না !’ এখন তো এমন অবস্থা, কোনো কথাই বলা যাবে না, প্রশ্ন তো দূরের কথা।

মুনমুন : হ্যাঁ রে। আমার বর ও খুব ভয়ে ভয়ে আছে। ও একই কথা বলছিলো। গাড়ি থেকে বিস্কিট – সব কিছুর বিক্রি কমছে। গত কয়েক বছরে নব্বই লক্ষ মানুষের চাকরি গিয়েছে। ওদের কোম্পানিতেও প্রচুর ছাঁটাই চলছে। ওর বারো বছরের এক্সপেরিয়েন্স। শেষ ছয় মাস ধরে চেষ্টা করছে অন্য কোম্পানিতে যাওয়ার। কিন্তু ইন্টারভিউ কল আসছেই না। আমিও ভয়ে ভয়ে আছি একটু।

মোহন : তাহলে কি বলতে চাইছিস, এইসব অপদার্থতা লুকোনোর জন্যই একের পর এক এইসব আইন, বিল এনে জনসাধারণের চোখ – মন – মানসিকতা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে ?

নীল : জানি না রে। কিছু বুঝতে পারছি না। তবে এবার আমার সত্যিই খুব ভয় করছে। তোদের সবার জন্য, সলমার জন্য, আমার মা বাবার জন্য, আমার নিজের জন্য ও । আমি আজ আসি রে। পরে আবার কথা হবে তোদের সাথে।

একটু পরে নীল সলমাকে ফোন করে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে। অনেকক্ষণ রিং হয়ে যাওয়ার পরে, সলমা ফোন তুলে বলে : – আব্বা ছেড়ে চলে গেলো রে নীল ! ” কান্নায় ভেঙে পড়লো সলমা। কিছু না বলে নীল ফোনটা রেখে দিলো। চোখের কোণে জল – এক হাহাহাকার – শুন্যতা। একটা অদ্ভুত ভয় এসে গ্রাস করলো ওকে।

মা-বাবার ও তো বয়স হচ্ছে , আমাকেও তো ফিরে যেতে হবে ওই দেশে। তখন কাজ পাবো তো ওখানে গিয়ে ! আর মা বাবা ? ওরাও তো একদিন আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ! কিন্তু ওদের ও কি এই বয়সে এসে প্রমাণ দিতে হবে নাগরিকত্বের ? আমি, আমার নিজেরও তো প্রায় চল্লিশ। আমার কাছেও তো সময় খুব কম। আমার পরে আমার স্ত্রী আছে রত্না, তারপরে আমার ছেলে। আমরা যখন ফিরে যাবো, আমাদের ও আবার নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে ? ওখানে আমার ছেলে থাকতে পারবে তো? কে থাকবে তখন আমাদের পাশে যদি কিছু গন্ডগোল হয় ? কি হবে ? কেন জন্ম নিলাম পৃথিবীতে ? জন্মালে তো মরতেই হবে, তবুও কেন এভাবে সবকিছুর মধ্যে নিজের অস্তিত্ব, নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে দিতে আজ দেশের মানুষের এই অবস্থা? আমরা মানুষ – আর মনুষ্যত্ব সবথেকে বড়ো ধর্ম – এইটা অবলম্বন করে বেঁচে থাকতে পারি না আমরা ? যদি সব ছেড়ে চলে যেতেই হবে, তাহলে কেন এতো হানাহানি, মারামারি ? হঠাৎ করে সলমার একটা মেসেজ এলো গ্রূপে , ফোনের স্ক্রিনে :

” তোরা জানিস, আব্বু শেষ মুহূর্তে খুব ভেঙে পড়েছিলো। সবাইকে শুধু এটাই বোঝাতে চাইছিলো শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত – আমিও এই দেশের মানুষ , আমার মেয়ে, আমার ছেলে, ওরাও এই দেশের। আর একদম শেষে কি বললো জানিস ? ফিসফিস করে বলেছিলো আব্বু – একটা হাতছানি আগেই তৈরী হয়েছিলো, সেটা ধীরে ধীরে ভয় আর আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আমাদের সবাইকে দাঁড়াতে হবে , মোকাবিলা করতে হবে এই আতঙ্কের। নাহলে সব শেষ হয়ে যাবে চোখের সামনে। দেশ বানানোর সময়ে যা যা স্বপ্ন দেখা হয়েছিলো, যা যা বলা হয়েছিলো , যা লেখা হয়েছে – সেই সব থেকে এখন আমরা সবাই সরে গেছি , যাচ্ছি। ভালোই হলো, সেই ধ্বংস আর নিজের চোখে দেখতে হবে না। ” ভয়ের একটা চোরা স্রোত – নেমে গেলো শিরদাঁড়া দিয়ে।

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত