প্রতিশোধ

প্রতিশোধ

আলতাখালি গ্রামের একমাত্র হাইস্কুলের একমাত্র অঙ্কের শিক্ষক জোনাব আলী। স্কুলের একমাত্র আবাসিক শিক্ষকও তিনি। বয়স চল্লিশোর্ধ হয়ে গেলেও এখনো বিয়ে করেননি। স্কুলের পাশেই ছোট্ট টিনের চালাঘরে তার একাকি বসবাস। জোনাব আলী যুক্তিবোধ সম্পন্ন মানুষ। ভূত প্রেত জাতিয় অতিপ্রাকৃত বিষয়ে তার কোনরূপ বিশ্বাস নেই। তাই স্কুলের এই বিশাল নির্জনতায় রাত-বিরেতে একা থাকতে তার মোটেও সমস্যা হয় না।

এক সন্ধ্যায় তিনি হারিকেনের টিমটিমে আলোয় বিছানায় শুয়ে শুয়ে কী একটা উপন্যাস পড়ছিলেন। হঠাৎ শুনতে পেলেন উঁ উঁ উঁ উঁ আওয়াজ করে দূরে কোথায় কেউ যেন কাঁদছে। জোনাব আলী জানালা দিয়ে বাইরে তাকালেন। কৃষ্ণপক্ষের আঁধার তখন ভালোই ঘনিয়েছে। মনে হচ্ছে জানালায় কেউ ঘনকালো পর্দা ঝুলিয়ে দিয়েছে। তিনি বই পড়ায় মন দিতে যাবেন এমন সময় আবার সেই কান্না – উঁ উঁ উঁ উঁ !

জোনাব আলী উঠে বসলেন। এমন দুঃখের কান্না এই রাতে এখানে কে কাঁদতে এলো? হারিকেনটা হাতে নিয়ে বাইরের দাওয়ায় এসে দাঁড়ালেন তিনি। দাওয়ার সামনে থেকেই স্কুলের মাঠ শুরু হয়েছে। মাঠ পেড়িয়ে ওপাশে স্কুলের দোতলা বিল্ডিং। হারিকেনটা উঁচু করে দেখার চেষ্টা করলেন কাউকে দেখা যায় কিনা। কিন্তু না ঘুঁট ঘুঁটে অন্ধকারে কিছু দেখার জো নেই।

আলোটা উঁচু করে ধরেই তিনি দাওয়া থেকে মাঠে নামলেন। কোন দিক থেকে কান্নার আওয়াজটা এসেছে ঠিক ঠাহর করতে পারছেন না। এমন সময় আবার সেই কান্নার আওয়াজ – উঁ উঁ ঊঁ ঊঁ। তিনি বুঝতে পারলেন আওয়াজটা আসছে স্কুল বিল্ডিং-এর ওদিক থেকে। ধীর পায়ে তিনি সেদিকে হাটা শুরু করলেন। রাত নেমেছে একটু আগে। অথচ মনে হচ্ছে কত না জানি গভীর রাত। চারিদিকে থম ধরা এক নিস্তব্ধতা। তার মাঝেই কোথায় এক রাতের পাখি ডেকে উঠলো – কুপ! কুপ! কুপ! কুপ!

বিল্ডিং-এর কাছে এসে এদিক ওদিক আলো বাড়িয়ে দেখলেন তিনি। কেউ নেই কিছু নেই এখানে। তখন আবার সেই কান্না শোনা গেল – উঁ উঁ ঊঁ ঊঁ। এবার জোনাব আলী বুঝলেন কান্নাটা আসছে স্কুলের পেছন থেকে। ওখানে ছোট খাটো একটা দীঘি আছে। দীঘির চার পাশটা জুড়ে নানা গাছ-গাছালির ভীড়ে ছোটখাটো একটা জঙ্গল তৈরি হয়েছে।

বিল্ডিং পাশ কাটিয়ে তিনি সেখানে গিয়ে দাঁড়ালেন। এবার আলো উঁচু করতেই তিনি দীঘির পাড়ে এক আবছায়া মুর্তি দেখতে পেলেন। আরেকটু এগিয়ে যেতেই ছায়ামুর্তি স্পষ্ট হলো। দীঘির দিকে মুখ করে এক নারী দাঁড়িয়ে আছে। পরনে সাদা শাড়ি। মাথায় ঘোমটা টানা। মেয়েটির বয়স যে খুব বেশি না তা পেছন থেকে দেখেও বোঝা যায়। আলোর আভাস পেয়ে মেয়েটি তার ঘোমটা আরো লম্বা করে টেনে দিলো। তার মুখ থেকে তখনো ফোঁপানোর আওয়াজ আসছে। জোনাব আলী জিজ্ঞেস করলেন – কে তুমি ? এতো রাতে এখানে কী করছো? মেয়েটি কোনো জবাব দিল না। কেবল কান্নার দমক একটু বাড়লো তার। জোনাব আলী আবারো একই কথা জিজ্ঞেস করলেন। এবার মেয়েটি জবাব দিলো

– আমার নাম বিন্দু।

– এতো রাতে এখানে কী করছো ?
– আমার স্বামী মারা গেছে কয় দিন আগে। তাই শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমারে বাইর কইরা দিছে ঘর থিকা। (মেয়েটি আবার উঁ উঁ করে কেঁদে ওঠে)

শুনে জোনাব আলী খুব দুঃখ পান। বলেন – তা তোমার বাবার বাড়ি কই? সেখানে যাও নাই কেন ? মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতেই বলে – বাপের বাড়ি অন্য গ্রামে অনেক দূরে। এত রাইতে যাওয়া যাবে না। জোনাব একটু ভাবেন, তারপর বলেন – তা হলে কী আর করা, আজ রাতে আমার বাড়িতেই থাকো। যদিও আমি একা থাকি তারপরও তোমার ভয়ের কোনো কারণ নেই। নিজেকে আমি সৎ-চরিত্রবান বলেই জানি। আগামি কাল ভোরে তোমাকে তোমার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবো না হয়।

পনের বছর পরের কথা – জোনাব আলীর বয়স এখন ষাট। রিটায়ারমেন্টের পর আজ তার বিদায় সংবর্ধণা হয়েছে স্কুলে। ছাত্র শিক্ষক মিলে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে। মঞ্চে উঠে তাঁর সহকর্মীরা বক্তৃতা দিতে গিয়ে কেঁদে বুক ভাসিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরাও চোখের পানি ফেলেছে। তাদের এতো প্রিয় অঙ্কের শিক্ষক আজ বিদায় নিচ্ছেন।

এখন সন্ধ্যা ঘানিয়েছে। তিনি স্কুলের পাশে তাঁর ঘরে বসে নানা কথা চিন্তা করছেন। জীবনটা তো একা একাই পার করে দিলেন। আগামিকাল এই স্কুল, এই ঘর ছেড়ে তাঁর নিজের গ্রামে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে বলতে গেলে নতুন করে জীবন শুরু করতে হবে। এই বুড়ো বয়সে তা কি তিনি পারবেন? নিজের দীর্ঘ কর্মজীবনের কথাও মনে পড়ে যাচ্ছে। কত যে স্মৃতি তাঁর এই স্কুলকে ঘিরে!

হঠাৎ দরজার কড়া নড়ে উঠলো। কেউ এসে দাঁড়িয়েছে বাইরে ঘরের দাওয়ায়। জানালা দিয়ে তিনি বাইরে তাকালেন। আজো কৃষ্ণ পক্ষের রাত। জানালার বাইরে নিকশ কালো আঁধার। তিনি দরজার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে জিজ্ঞেস করলেন – কে? বাইরে থেকে পুরুষ কন্ঠের জবাব এলো – স্যার, আমাকে আপনি চিনবেন না। তবে আপনার সাথে খুব জরুরী কিছু কথা ছিল। একটু যদি দরজাটা খোলেন!

জোনাব আলী দরজা খুলে হারিকেনের আলোয় এক অপরিচিত মুখ দেখলেন। ভদ্রলোক কালো স্যুট পড়ে আছেন। মুখে মৃদু হাসি। তিনি তাঁকে ভেতরে আসতে বললেন। ভদ্রলোক ভেতরে ঢুকেই টেবিলের পাশে রাখা একটা চেয়ারে বসে পড়লেন। জোনাব আলী বসলেন তার পাশের চেয়ারে। হাসি মুখে বললেন – আপনি কে চিনতে পারিনি। দয়াকরে যদি আপনার পরিচয় বলতেন! তাঁর মনে মৃদু সন্দেহ হচ্ছে এ নিশ্চই তাঁর কোনো প্রাক্তন ছাত্র।

কিন্তু ভদ্রলোক তাঁকে হতাশ করে বললেন – স্যার আমি আপনার পরিচিত কেউ নই। বলতে পারেন আমি একজন শখের গোয়েন্দা। আপনি আগামি কাল এই গ্রাম ছেড়ে চলে যাবেন। তার আগে ভাবলাম আপনার সাথে কিছু কথাবার্তা বলি। জোনাব আলীর ভ্রু কুঁচকে গেল, বললেন – আপনার সাথে আমার কী কথা থাকতে পারে?

ভদ্রলোক হাসলেন – স্যার আমার আসলে কিছু প্রশ্ন ছিল। আপনার কি মনে পড়ে অনেক বছর আগে এক রাতে আপনার এই ঘরে একটা মেয়ে আশ্রয় নিয়েছিল? জোনাব আলী চমকে উঠলেন। তিনি কোনো কথা বললেন না। তবে তাঁর চোখের দৃষ্টি তিক্ষ্ণ হলো। লোকটি আবারো প্রশ্ন করলো – মনে পড়ে স্যার? মেয়েটির নাম ছিল বিন্দু। শাদা শাড়ি পরে ছিল। স্বামী মরার পর তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। আপনি তাকে দয়া করে আশ্রয় দিয়েছিলেন এক রাতের জন্য, মনে পড়ে?

জোনাব আলী অস্বস্তি ঢাকতে চশমা খুলে পাঞ্জাবির খুঁটে কাঁচ পরিষ্কার করতে করতে বললেন – এতো দিন পরে আমাকে এ প্রশ্ন করছেন কেনো? লোকটি হাসি মুখে বলল – কারণ স্যার সেই রাতের পর থেকে মেয়েটির আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। আপনি কি বলবেন তার কী হয়েছিল? জোনাব আলী আবারো চমকে উঠলেন ভীষণ। তাঁর হাত থেকে চশমাটা মাটিতে পড়ে গেল এবং চশমা তুলতে গিয়ে তিনি জমে গেলেন। একটা তিব্র ভয়ের স্রোত তার শিরদাঁড়া বেয়ে নিচে নেমে গেল। লোকটি কথা বলছে আর পা নাচাচ্ছে এক নাগাড়ে। সেই পায়ের দিকেই তিনি তাকিয়ে আছেন। হারিকেনের আবছা আলোয় তিনি দেখতে পাচ্ছেন স্যুট পড়া থাকলেও লোকটির পায়ে কোনো জুতো নেই এবং সেই পা উল্টো দিকে ঘোরানো। যেন কেউ মুচড়ে পা দুটোকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে।

জোনাব আলী ভয়কে কিছুটা জয় করে উঠে বসলেন। তিনি চোখে ভুল দেখছেন বলে নিজেকে প্রাবোধ দিলেন। কিন্তু তারপর যে ঘটনা ঘটলো তার জন্য তিনি মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না। হঠাৎ লোকটি হেলমেট খোলার মতো করে নিজের মাথাটা আলতো টানে খুলে নিয়ে টেবিলের উপর রেখে দিল। যেন এটা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যপার। মাথাহীন শরীরটা টেবিলে হাতের আঙুল দিয়ে বাজানা বাজালো। মাথাটার মুখে হাসি ঝুলে আছে তখনো। হাসি মুখে টেবিল থেকেই সে বলল – স্যার কিছু মনে করবেন না। আমার মাথার ওজনটা একটু বেশি তাই মাঝে মাঝে খুলে রাখতে হয়।

জোনাব আলী ভয়ে পুরোপুরি জমে গেছেন। মুখ থেকে কোনো কথা বেরুলো না। এটা তিনি কী দেখছেন? ভূত-প্রেতে তাঁর মোটেই বিশ্বাস নেই। কিন্তু চোখের সামনে যা ঘটছে তা তিনি অস্বিকার করেন কী করে? ধরহীন মুন্ড আবার কথা বলল – স্যার এখনো কি মনে পড়ে নাই। ভালো করে ভেবে দেখুন। মেয়েটিকে আপনি ঘরে নিয়ে আসলেন। অল্প বয়সী মেয়ে। সে আপনার রান্নার তোরজোর দেখে নিজেই এগিয়ে এলো। আপনাকে বসে থাকতে বলে নিজে রান্না ঘরে গেল রান্না করতে। আপনি অন্ধকারে বসে জানালা দিয়ে তাকে দেখছিলেন। মেয়েটি তরকারি কাটছিল। তার ঘোমটা তখান খশে পড়েছে। হারিকেনের আর জ্বলন্ত চুলোর আলোয় আপনি দেখলেন এক অপূর্ব সুন্দর মুখ। মনে পড়ে স্যার?

জোনাব আলী জবাব দেবেন কী, তিনি তখন কেমন একটা ঘোরের ভেতর চলে গেছেন। মুন্ডু বলে চলল – মেয়েটির আঁচল খশে পড়েছিল ঝুঁকে তরকারি কাটতে গিয়ে। আপনি তখন মেয়েটির দিক থেকে কিছুতেই দৃষ্টি সরাতে পারছিলেন না। আপনি মেয়েটির পায়রার মতো বুকের গড়ন দেখলেন। তার মোমের মতো ত্বকে আলোর ঝিলিক দেখলেন।

মনে পড়েছে স্যার ? আপনি হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। ধীর পায়ে দুয়ার ডিঙিয়ে মেয়েটির হাত ধরেছিলেন শক্ত করে। দুর্বল মেয়েটি বাধা দিতে চেয়েও পারেনি। আপনার দীর্ঘ দিনের ক্ষুধার্থ দেহে তখন পৌরুষের বান ডেকেছে। আপনি মেয়েটিকে ঘরে এনে স্রেফ ঝড় বইয়ে দিলেন। আপনার যুক্তি, ভয়, দ্বিধা, দ্বন্দ, ন্যায়, নীতি সব উবে গেল। আপনি মেয়েটিকে বলাৎকার করলেন।

আশ্চর্য স্যার এত বড় ঘটনার কিছুই কি আপনার মনে পড়ছে না? যখন আপনার হুঁশ হলো তখন মেয়েটি নগ্ন, বিছানায় কোঁকাচ্ছে যন্ত্রনায়। আপনি তখনো তার উপর উপবিষ্ট। আপনার মনে হলো এই ঘটনা জানাজানি হলে গ্রামে ছিছিক্কার পড়ে যাবে। আপনার আদর্শ শিক্ষক জীবনের ইতি ঘটবে। পুলিশি ঝামেলা হবে। এসব ঝামেলা এড়াতে আপনি তাই খুব ঠান্ডা মাথায় তবে দ্রুত ভেবে চিন্তে একটি কাজ করলেন। মেয়েটির মুখে বালিশ চেপে ধরলেন।

স্যার কিছু কি মনে পড়েছে? আপনি স্কুলের মাঠে গিয়ে ইট সংগ্রহ করে আনলেন। মৃত মেয়েটিকে বস্তায় ভরলেন। ইটগুলোকে একট ব্যাগে ভরলেন। তারপর সব নিয়ে দীঘির পাড়ে গেলেন। সেই রাতের নির্জনতায় আপনি মেয়েটিকে দীঘির তলায় আশ্রয় দিলেন। কেউ আর তাকে খুঁজে পেলো না। অবশ্য কেউ খুঁজলোও না। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তো তাড়িয়ে দিয়েই খালাশ। বাপের বাড়ির লোকজন মেয়েটির নিরুদ্দেশের খবর শুনে ভেবেছে আপদ গেছে।

মুন্ডুটি একটু চুপ করে তবে তার হাসি তখনো ঝুলে আছে ঠোঁটে। ধরটি তখনো আঙুল দিয়ে টেবিলে বাজনা বাজাচ্ছে – ঠক্ ঠকা ঠক্ ঠক্ । মুন্ডু আবার কথা বলে – কী হলো স্যার ? এখনো আপনার মনে পড়েনি? জোনাব আলীর তখন উত্তর দেবার জো ছিলনা। তিনি ঘোর লাগা পলকহীন চোখে তাকিয়ে আছেন। তার মুখ থেকে লালা ঝরা শুরু হয়েছে। দৃষ্টি ঝাপসা। কানে কেমন শো শো আওয়াজ। হঠাৎ তিনি দেখতে পেলেন ঘরের দরজা আস্তে আস্তে খুলে যাচ্ছে। অন্ধকারেও সেখানে একটি উজ্জ্বল শাদা হাতের উপস্থিতি দেখলেন তিনি। একটা সপ্ সপ্ আওয়াজ হলো। ভেজা পায়ে কেউ যেন হাটছে এবং একটু পরেই মেয়েটি ঘরে ঢুকলো। এ সেই বিন্দু। পুরো শরীর থেকে পানি ঝরছে। শাদা শাড়ির ভেজা আঁচল মাটিতে লুটাচ্ছে। তার পুরো শরীর জুড়ে আলোর দ্যুতি। তার দেহের ভাঁজ আরো মোহনীয় হয়েছে যেন। কামাতুর দৃষ্টি নিয়ে সে জোনাব আলীর দিকে এগিয়ে এলো ধীর পায়ে। রিনরিনে গলায় বলল – সার আপনে কেমন আছেন সার? আপনের বিরহে আমি দেওয়ানা হইছি সার!

কাছে এসে জোনাব আলীর একটা হাত ধরে সে তার নরম বুকে ঠেকালো – সার আপনেরে ছাড়া আমার চলবে না সার! আপনে আমার লগে চলেন। আপনেরে লইয়া সুখে ঘর করমু ! আপনেরে অনেক সুখ দিমু! খল খল করে হেসে ওঠে সে। জোনাব আলীর মুখ থেকে একটা ঘর ঘর আওয়াজ বের হয়। তারপর সে লুটিয়ে পড়ে ঘরের মেঝেতে। পরের দিন ভোরে স্কুলের লোকজন জোনাব আলীকে বিদায় দিতে এসে দেখে তিনি ঘরের মেঝেতে মরে পড়ে আছেন। সবাই খুব আফসোস করে – আহা লোকটা খুব ভালো ছিল ! কেবল একটা জিনিসই কেউ ভেবে পায় না, ঘরের মাটির মেঝেটা এমন ভিজে আছে কেন?

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত