মাথাটা বেশ ব্যাথা করছে তা আমি বুজতে পারছি।তবুও চোখ টা খুললাম না।চোখ বুজে শুয়ে আছি,কিন্তু এখন মনে হচ্ছে নাহ্ আর পারছি না,দিনের আলো টা এমনিতেই এখন দেখতে পারি না ।কেননা হাসপাতালের বেডে আজ ৬ মাস যাবত আমি শুয়ে আছি ।চোখটা খোলার সাথে সাথে একজোড়া চোখ প্রতিদিনের মতো আমার দিকে আজও তাকিয়ে আছে। আফসানা অমি মেয়েটির নাম ।সে এখানকার নামকরা একজন ডাক্তার।সবুজ চোখের একটা মেয়ে,সুশ্রি ,অধিকতর সুন্দরে ভরপুর মেয়েটি ।৬ মাস যাবত আমি চোখ খোলার পর প্রথম যে মুখখানা দেখি তা হলো আফসানা নামের মেয়েটির।আমি চোখ খোলার পর আফসানা জিঞ্জাস করলো
-কেমন লাগছে এখন মিঃ ইমু ?
-ব্যাথাটা আজ আবার শুরু হয়েছে
-ওকে আমি ডোজ দিচ্ছি ।
-প্লিজ,আর শুয়ে থাকতে ভালো লাগে না,এমনিতেই দিনে ১ বার মাত্র সজাগ হই।
-আচ্ছা ,
-সিগারেট হবে কি একটা ? হঠাৎ আফসানা তার এফ্রনের পকেট থেকে B&W এর একটি প্যাক দিল আমার দিকে
-বাহ্,ডাক্তারদের পকেটে আজকাল টেলিস্কোব না কি যেন বলে যাই হোক, ওইটা ছাড়া সিগারেট ও থাকে ?
-কি আর করবো ,যদি হাসপাতালে রুল্স ভঙ্গকারী একটা রোগী থাকে ।
এভার দুজন ই হেসে দিলাম ।সিগারেটে টান দেওয়ার সাথে সাথে যেন সব কিছুই বদলে যাচ্ছে আমার ,শরীরে যেন আলাদা একটা ফিল চলে আসলো।ঘুম থেকে যখনই উঠি ঠিক তখন ই সিগারেট খাব আমি ,আর তা সম্ভব হয় শুধু মাত্র মেয়েটির জন্য । হঠাৎ রুমে আকমল স্যার প্রবেশ করলো।তিনি আমাদের এজেন্টের হেড ছিলেন,অবশ্য এখন ও আছে ।তিনি আমাকে দেখে একগাল হেসে বললেন
-ইমু,কেমন আছ তুমি ?
-মৃত মানুষ আর কেমন থাকে স্যার ?এই ৬ মাসে দিনে ১ ঘন্টা মাত্র জেগে কাটিয়েছি আর সারাক্ষন ঘুমে থাকি ।একা দাড়াতে পারি না,বসতে পারি না ,তো আপনি ই বলুন কেমন থাকার কথা আমার ?
-ইমু তোমাকে সুস্হ করার জন্য যা প্রযোজন আমরা তাই করছি,কিন্তু তুমি তুমার মনোবল হারিয়ে ফেল না প্লিজ ।তুমাকে আমাদের প্রয়োজন ।
-আমার এ রোগের নাম টা কি ?
-জানিনা,আজ পযন্ত এমন রোগ আমরা কেউ দেখিনি ।
হঠাৎ করে একটা মানুষ মাথা ব্যাথায় অবচেতন হয়ে যায়,আর তার কিছু সেকেন্ড পর তার হাত পা সব শক্তি হারিয়ে ফেলে এমন কি তুমার চোখও ।যা মাত্র ১ ঘন্টা দিন বা রাত্রের আলো দেখতে সম্ভব এর বেশি হলে তুমার চোখ ব্রাষ্ট হয়ে যাবে ।সত্যিই ইমু,আমরা কিছুই বুজতে পারছি না কিভাবে কি হলো ।দেশে ক্রাইম বেড়ে চলছে,হত্যা কান্ডও ,কিন্তু কোন সমাধান আমরা পাচ্ছি না ।কিভাবে পাব? আমাদের মাস্টারপিস যে হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে ।
-এর চেয়ে ভালো আমায় মেরে ফেলেন স্যার ।
-তুমার আজকের দিনের জন্য সময় শেষ ইমু ,ঘুমাও ।
ইংজেকশন পুস করার সাথে সাথে দেহটা আবার ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে যাচ্ছে ।নিবু নিবু চোখে তাকিয়ে দেখি আফসানা আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।হ্যা আমার চোখ টা বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু কিছুদিন যাবত আমার মস্তিষ্ক সচল হয়ে রয়েছে যা আগে এমন হতো না ।এখন চোখ বন্ধ বা ঘুমিয়ে গেলে ও আমি চিন্তা করতে পারি,শব্দ শুনতে পারি যা আগে হতো না।তাহলে দেহ নতুন কোন এক রুপ নিতে চাচ্ছে ? কে জানে ?
আস্তে আস্তে আমার মনে হতে থাকলো এমন কিছু যা হয়তো কোন সাধারণ মানুষের মস্তিষ্ক মনে রাখতে পারবে না। আমার চার পাশে ঘটে যাওয়া সব ক্ষুদ্র জিনিস বা কোন অক্ষর ও আমার এখন মনে থাকে ।ভেবেছিলাম আফসানা কে বলবো কি না,কিন্তু কেন যনে বলতে ইচ্ছে হয় নি ।আমার মন বলছে আমার দেহ নতুন কিছু একটার ইঙ্গিত দিচ্ছে ,যা বুজার জন্য আমার সময় নিয়ে হবে ।আমাকে জানতে হবে আমার এ রোগের কারণ কি ,আমার দেশের অবস্থান কি ,আমার তৈরি ডিভাইসের কাজ গুলো কেমন হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য ।হ্যা আমাকে জানতে হবে অনেক কিছু ।
ঠিক পরের দিন রাত্র আনুমানিক রাত্র আট টার দিকে আমার চোখ দুটু খুলে যায়। তাকিয়ে দেখি আফসানা আমার দিকে তাকিয়ে আছে একদৃষ্টিতে ।চোখে চোখ পরতেই সে একগাল হেসে উঠলো ।কিছু বলার আগেই সে আমার দিকে সিগারেট এর প্যাক টা বাড়িয়ে দিল।আমার কাধে ধরে সে আমাকে শুয়া থেকে বসিয়ে দিল ।শরীর টা কেমন যেন আগের থেকে আরো বেশি শক্তিহীন মনে হচ্ছে। কিন্তু ব্রেন টা আরো বেশি সচল হয়ে যাচ্ছে,সবকিছুই যেন কেমন অন্য রকম হয়ে যাচ্ছে আমার জীবনে।
এখন আমার মনে হচ্ছে আমি ইদানিং স্বপ্ন দেখছি ,কিন্তু সেটাও কেমন যেন অদ্ভুদ ।স্বপ্ন কম ,বাস্তব বেশি মনে হয় এগুলো ।কিন্তু কেন এমন হচ্ছে তা আমিও মোটেও বুজতে পারছি না । চিন্তা করতেছি মেয়েটাকে এ ব্যাপারে বলা দরকার কিছু । কিন্তু বিশ্বাস করবে কি আমার কথা ? সে আমার সাথে কথা বলছে আর এক হাতে কিছু ইনজেক্ট তৈরি করছে যা একটু পর আমার দেহে পুস করা হবে ।আফসানা আবার দিকে তাকিয়ে বলছে ,ইমু তোমার শরীর টা দিন দিন খারাপ হচ্ছে কেন তা আমি মোটেও বুজতে পারছি না। আমি তার কথার কোন উওর দিলাম না। সে যখন আমার হাতে ইনজেক্ট দিতে আসলো তখন আর তার হাত টা ধরে ফেললাম
-ফ্রিলিকাস তো প্রতিদিন ২.৫ ব্যবহার করতে আর সিপ্রোকাম ৩.৪,ব্যানফোস তুমি ১৯ দিন ব্যবহার করছো তাও ১.১ কিন্তু আজ তুমি ডোজ বেশি ব্যবহার করছো কেন ? আফসানা বেশ হচকিয়ে গেল
-তুমি এগুলো কিভাবে জানলে ইমু ?
-জানিনা,আমার ব্রেন আমায় বলে দিচ্ছে এগুলো ।আমার দেহে কিছু একটা অদ্ভুদ ঘটছে বাট আমি তা বুজতে পারছি না ।
-তো তুমি কি চাচ্ছো আমি ডোজ চেন্জ করবো ?
-নাহ,তুমি তুমার কাজ করো।
আমি এক হাতে সিগারেট ফুকছি আর এক হাতে সে ডোজ দেহে প্রবেশ করাচ্ছে।পাশের রুমে হয়তো কেউ খবর দেখছে ,যার শব্দ আমার কানে আসছে ।ইমু আহমেদ কে নিয়ে কিছু কথা হচ্ছিল তা বুজতে পারছি। এটাও বুজতে পারছি খারাপ কিছু হতে চলছে দেশে।হঠাৎ আমার কানে একটি পায়ের শব্দ এসে পেীছালো শব্দ টা পরিচিত ।হুম আকমল স্যার আসছে ,তার সাথে নতুন কেউ।
-হেই ইমু ,কেমন আছো ?শুনলাম তুমার শরীর আগের চেয়ে আরো বেশি খারাপ হয়ে গেছে ?
-কি জানি,, ছেলেটা কে ?
-সে হচ্ছে আমাদের নতুন এক এজেন্ট ,রাজ ।
-হুম, তা আমার তৈরি ট্যাকনোলজি দিয়ে এমন কোন কাজ যেন না হয় যা আমি কখনো চাই নি ।আর যদি হয়…….
-তাহলে ? (রাজ নামক নতুন এজেন্ট বলে উঠলো )
-তার উওর তুমার বস জানে ।
ইমু শান্ত হও,তুমি ভুলে যেও না তুমি আগের ইমু নেই ।তুমি অসুস্হ হয়ে আছ এখন।মৃত্যু তুমায় হাতছানি দিচ্ছে সবসময় ।আর তুমার তৈরি যন্ত্র এখন আরো আবডেট হয়েছে,অনেক কিছুই চেন্জ হয়েছে এ ক দিনে।
-তা ঠিক বলছেন স্যার,কিন্তু আমার তৈরি যন্ত্র ব্যবহার হতো অন্যকে সুরক্ষার জন্য।সবার কল আমার কাছে রেকড থাকতো ,যেন কোন সমস্যার ইঙ্গিত পেলে আমরা তা সল্ভ করতে পারি।কোন মেয়ের সাথে কারো অন্তরঙ্গ ভিডিও থাকলে তা আগে আমার কাছে আসতো ।যদি তাকে কেউ ভয় দেখায় তা আমি এখানে বসে ডিলিট করে দিতে পারবো।সব মেয়েরা সেভ থাকবে।প্রতিটা ক্রাইম এর সাথে ফোন কল বিা ভিডিও বা মেসেজ থাকবেই ।আর তা এই ইমুর হাতে প্রথম আসবে।১৭ কোটি মানুষের ডাটা আমার কাছে থাকবে,যে আজ জন্মেছে তার ও। আর এগুলো সব একা মনিটরিং করেছে এই ইমু ।কিন্তু আজ কেন ব্লেকমিল,খুন,পাচার,রেপ বেরে চলেছে ?কারণ টা কি স্যার ?
হ্যা আমি এখন অসুস্হ কিন্তু মনে রাখবেন বাঘ আধামরা হলেও হরিণ শিকার সে করবেই । এভার আকমল স্যার আর নতুন এজেন্ট বের হয়ে গেল কেভিন হতে।আমি হাসলাম,নতুন কোন এক যুদ্ধের অপেক্ষায় ।
আফসানা এভার আমার রুমে প্রবেশ করলো।আমার দিকে গভীর মমতা নিয়ে তাকালো।সে বুজে গেছে যে আমায় মেরে ফেলা হবে।চোখ দুটু কেমন ছলছল করছে মেয়েটার।একটা ছেলে দেখলাম রুমে আসলো।হয়তো নাপিত । এসেই আমার লম্বা চুল,দাড়ি ছাটাতে লাগলো।আমি চুপ থাকলাম ,কেন যানি কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না ।চারজন ধরে নিয়ে আমায় গোসল করানোর কাজ শেষ করে আবার বেডে শুয়িয়ে দিল । এভার আফসানা বলতে লাগলো
-তুমার জন্য সিগারেট এনে দিব ?
-আপনি থেকে তুমি,ভালো ।কিন্তু তুমি যে স্বপ্ন দেখার চিন্তা করছো আমায় নিয়ে তা ভুলে যাও।
-কেন আমি কি দেখতে খারাপ ?
-নাহ,কিন্তু তুমি জানো আমি হয়তো আজ রাত্র পযন্তই বেচে থাকবো ।ওরা আমায় মেরে ফেলবে ।
-আস্তে বলো,এখানে ক্যামেরা আছে
-কয়টা আছে ?
-২ টা
-১৭ টা,আর তুমার দুই কানের দুলে দুই টা। সো মোট ১৯ টা আছে ।
-কি বলো,আর তুমি কিভাবে জানো এগুলো ?
-ঐ নুতন জগৎ জন্ম দিলাম আমি আর আমি জানবো না ?কানের দুল তুমার খুলতে হবে না,এ দুটু আমি ডিজেবল করে দিয়েছি।ওরা অনেক জায়গায় ই ক্যামেরা ফিট করেছে যা তুমি জানো না ।
-এভাবে কি সব শেষ হয়ে যাবে ইমু ?
-নাহ,বাম পাশের দড়জায় কেউ আছে।দড়জা টা খোল ।
দড়জা খোলার সাথে সাথে ডঃ সিদ্দিক রুমে প্রবেশ করলো।আফসানা এখনো অবাক যে আমি কিভাবে এগুলো বুজতে পারছি। আসলে আমার দেহে বেশ কিছু ন্যানো রোবট সেট করা আছে।যা প্রতিটা সময় আমায় আবডেট দিচ্ছে সবকিছুর। তার উপর আমার ব্রেন নতুন ভাবে কাজ শুরু করে দিয়েছে।ডাঃ আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন
-অনেক দিন পর তুমায় দেখলাম ইমু।এই কিছুক্ষন হলো তুমার রোবট আমায় নক করলো আর লোকেশন টা দিল ।
-যা বলেছিলাম তা এনেছেন ?
-হুম,তা এনেছি।কিন্তু তুমার রোগের কোন ঔষুধ আমি তৈরি করতে পারিনি ইমু।
-প্রবলেম নেই।আমি মারা যাওয়ার ১ ঘন্টা পর এগুলো সব ব্রাস্ট হয়ে যাবে।আমি আগে থেকেই সব সেট করে নিয়েছি।
-আমি চলি ইমু।ওরা চলে আসতে পারে যে কোন সময়।আর তুমার সাথে সিগারেট খাব এই অপেক্ষায় রইলাম আমি।
– হা হা ,আল্লাহ চাইলে অবশ্যই ।
দিন শেষে রাত্র ঘনিয়ে আসতে লাগলো ।সামনে থাকা সুন্দরী ডাক্তারনীর চোখের পানি ক্রমস বাড়তে লাগলো ।কিছু একটা হারানোর ভয়ে।মৃত্যু প্রায় মানুষকে ভালোবাসাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না ।আমার ঘুমের সময় এসে গেছে ।আফসানা পেনিসিলাকাস ৪.৯ আমার দেহে ইনজেক্ট করছে আর কান্না করতে করতে বলছে
-আমি চাই না তুমায় কেহ ব্যাথা দিয়ে মারুক।তাই তুমার দেহ আমি অবস করে দিলাম ইমু ।এখন একটু কষ্ট হবে তুমার ।
-আমার কাছে আসো ।
-কি ?
-এই নাও,এটা হচ্ছে একপ্রকার অদৃশ্য লেন্স।যা তুমার চোখে অটো সেট হয়ে যাবে।
-এটা আমার জন্য কেন ?
-রাজ নামক নতুন যে এজেন্ট সে হিপনোটাইস জানে।আর এটা তুমার চোখে থাকলে কোন হিপনোটাইসকারি তুমায় বশ করতে পারবে না ।আর এটা তুমার প্রয়োজন প্রিয়।
-ওরা কি সত্যিই তুমায় মেরে ফেলবে ?
-হুম। আর শোন আমি ঘুমাবার ৩০ মিনিট পর তুমি একটা কাজ করতে পারবে ?
-কি কাজ ?
-সিলোসাইবিন,lSD,সাইকোডেলিক ড্রাগ তুমি আমার দেহে পুশ করবে।আর এগুলো তুমি কিছুক্ষন পর পেয়ে যাবে।ড্রাগ গুলো তুমায় একজন দিয়ে যাবে ।
-এগুলো তো বিভ্রম সৃষ্টিকারী ড্রাগ,আর এগুলো অনেক পাওয়ার ফুল ।
-আমাকে এগুলো দ্বারাই অবস করা হয়েছে।আমাকে পাগল করতে চেয়েছিল ওরা কিন্তু তা না হয়ে আমি অবস হয়ে গেছি।আর এটাই আমার বেচে থাকার শেষ চিকিৎসা ।
-মিস ইয়ু ইমু …
তারপর আমি আর কিছু শুনতে পেলাম না।আমার চোখ দুটু বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু না ,ব্যাপার টা ভিন্ন মনে হচ্ছে।আমি হঠাৎ করেই সব কিছু শুনতে লাগলাম।রাজ নামক ছেলেটি অনেক গুলো লোক নিয়ে এসেছিল।আমার গায়ে বেশ কয়েকবার জোরে ধাক্কা দিয়েছিল কিন্তু আমার দেহ অবস থাকার জন্য আমি একটু ও নড়তে পারিনি ।তারা হঠাৎ আমার দেহে BOTULINUM TOXIN পুশ করতে লাগলো যা আমি পাশে থাকা কাউকে বলতে শুনলাম।আর এটা এতই বিষাক্ত যে 0.00007 MLG দিয়ে একটা মানুষে নিমিষেই মেরে ফেলা সম্ভব।দেহ টা খিচুনি দিয়ে যাচ্ছে বারবার ।এভার মনে হয় আমার মৃত্যু নিশ্চিত ।
কেননা এটা এতই বিষাক্ত যে মাত্র কয়েক কেজি বিষ দ্বারা পুড়া পৃথিবীর মানুষকে মেরে ফেলা সম্ভব।মুখ দিয়ে ব্লাড পড়ছে আমার আর আমি ঢলে পড়ছি বিদায়ের লগ্নে । আফসানা ঘন্টা খানেক পর কেভিবে প্রবেশ করলো।সে অঝরে কান্না করতে লাগলো ইমুর মৃত দেহটি ধরে। আকমল স্যার এবং অনেক ই রুমে ।তারা বারবার বলছে আমাদের সাথে থাকলে হয়তো বেচে থাকতো।আফসানা ইমুর এজেন্ট এবং তার স্যার দের কথা শুনছে আর কান্না করছে।আফসানা কে বললো
-দেহটাকে মর্ঘে নিয়ে যাওে আর কালকে সাংবাদিকদের সামনে লাশ টা দাফন করে দিও।আমরা অবশ্যই থাকবো সাথে আর হ্যা,মুখ খুলার চেষ্টা করো না।তাহলে তুমার ও এমন ই হবে।
-জ্বি স্যার…
আফসানা দেহটা মর্ঘে নিয়ে যাচ্ছে ।সে যখন শেষ বারের মতো ইমুর হাতটা ধরলো ঠিক তখন ই ইমু তার হাতটা চেপে ধরলো।আফসানা ভয়ে চিৎকার করে উঠলো ।আর দেখলো ইমুর মুখ দিয়ে পচন্ড ব্লিডিং হচ্ছে,চোখটা লাল হয়ে যাচ্ছে ।আফসানা ভয়ে ভয়ে জিঙ্গাস করলো
-ইমু,তুমি কিভাবে এখন ও বেচে আছো ?
আমি হাত দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করতে করতে শুযা থেকে বসলাম।আমার সারা দেহ ঠিক হয়ে গেছে।আমি হাত নাড়াতে পারছি,পা দিয়ে চলতে পারছি এবং আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালি ও মনে হচ্ছে আমার।
-জানিনা,হয়তো প্রফেসর এর দেওয়া কোন ডোজ এর ফলে এমন হচ্ছে।কিন্তু আমি বুজতে পারছি না এই বিষ আমার দেহকে কিভাবে বাচিয়ে রেখেছে ?
-তুমি ভূত নও তো ?
– নাহ,আমি শয়তান ।চলো আমাদের এখান থেকে পালাতে হবে।ওরা খবর পেয়ে গেছে যে আমি এখন ও জীবিত।
-কিভাবে ?
-আমার র্হাটে থাকা ছোট মেশিন টা জানিয়ে দিয়েছে ।
ওরা আসার আগে চলো,আগে কোথাও গিয়ে প্লেন করে নি । আমি আফসানার হাত ধরে এগিয়ে যেতে লাগলাম।হাতের ভেতর থাকা ট্রেগ মেশিন টা চাকু দিয়ে কেটে বের করে নিলাম ।আমাকে এখন আরো শক্তিশালী হতে হবে।ভালো মানের অস্র লাগবে। আফসানার মোবাইল দিয়ে প্রফেসর কে ফোন দিলাম।তার ১৫ মিনিটের মাথায় হেলিকাপ্ট এসে গেল।সাথে আমার র্কাড ও ।পাইলট আমাকে দেখেই হেসে দিয়ে বললো
-স্যার,এভার তাহলে আপনার মিশনে আমিও রয়েছি
-হ্যা,তাই তো দেখছি ।
-কোথায় যাবেন স্যার ?
-ডিজনিল্যান্ড চলো ।
-জ্বী স্যার । আফসানা বলে উঠলো
-এটা কোথায়,আর সেখানেই বা কেন ?
-আগে তো চলো ,তারপর বলবো।
অত্রপর আমরা আকাশে যাত্রা শুরু করছি।ব্যাগ থেকে নতুন কিছু কাপড় পরে নিলাম যা প্রফেসর পাঠিয়েছে।খোচা খোচা দাড়িতে মন্দ লাগছে না অবশ্য।তাকিয়ে দেখি আফসানা ঘুমিয়ে পড়েছে।জানিনা মেয়েটা কেন আমার এ মৃত্যু খেলায় ফেসে গেল।অবশ্য অতি সুন্দরি মেয়েরা এমন ভুল ই করে থাকে । জানিনা ঠিক কতক্ষন পর আমরা ডিজল্যান্ডে পৌছালাম।আফসানা কে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুললাম।পাইলট কে একটা দামি হোটেলে রেখে আমরা অন্য জায়গায় যাচ্ছি।কেননা সে এখানে সেফ থাকবে।আর সময় মতো আমাদের সাথে ও যোগাযোগ করা যাবে।
আমি আফসানা কে নিয়ে প্রাইবেট কারে করে বেরিয়ে পড়লাম।গাড়িটা ঠিক ক্লাব ৩৩ অব ডিজনিরল্যান্ড এসে থামালাম।এটা অবশ্য বিশ্বের সেরা বিনোদন স্পট ও অ্যামিউজেমেন্ট জায়গা হিসেবে পরিচিত।আর এখানের মালিকের সাথে কোন এক মিশনে আমার ভলো পরিচয় হয়ে গিয়েছিল ।তাই এটির আমি সদস্য হতে পেড়েছি খুব সহজে ।অবশ্য এখানে সদস্য হতে হলে ১০ থেকে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়।আর প্রতি বছর বার্ষিক চাদা 3275 থেকে 6100 মার্কিন ডলার দিতে হয়।এখানে কোন সামরিক বাহিনি বা কোন প্রকার এজেন্ট প্রবেশ করতে পারবে না।সাধারন মানুষ তো দুরের কথা।সো এখানে আমি সেইফ ।ভেতরে প্রবেশ করার সাথে সাথে জন এর সাথে দেখা হয়ে গেল ।সে হেসে আমাদের একটি রুমে নিয়ে গেল। সে ইংরেজি তে বলে উঠলো
-বহু দিন পর তুমার দেখা ইমু,
-হ্যা,তুমাকেও
-আজ রাত্র রেস্ট নাও,কালকে তুমি তুমার মিশনে নেমে পড়তে পারো।
-হুম,
এটুকু বলেই জন রুম থেকে বের হয়ে গেল।এভার আফসানার দিকে তাকালাম।সে এখনো ভ্রমে আছে তা তার মুখ দেখে আমি বুজতে পারছি ।এভার আমি তার কপালে একটা চুমু দিলাম আর বললাম,যাও ফ্রেস হয়ে আসো ।
-দুজন কি একই খাটে থাকবো আজ ?
-কেন কোন সমস্যা ?
-নাহ,রোবট মানুষের সাথে থাকবো,তাই কেমন কেমন যেন লাগছে ?
-আমি রোবট ?
-নয়তো কি ?
দেখাচ্ছি মজা,বলেই মেয়েটার কোমড় টেনে আমার দেহের সাথে এক করে নিলাম।সেই পরিচিত ঘ্রাণ,সেই চোখ যেন আজ একটু বেশিই পাগল করে দিচ্ছে।
-ছাড়ো ,আমি ফ্রেস হবো।
-কাল না হয় দুজন এক সাথেই হবো।
-ইস,শখ কতো
ডিজনিরল্যান্ড এ ২য় দিন, সকালে আমি আফসানাকে রুমে রেখে বেরিয়ে পরলাম।হঠাৎ আমার মনে হলো,আমার দেহে ব্যবহার করা ডোজ গুলো আামায় ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত করে ফেলছে,হঠাৎ করেই কেন যেন কিছু মনে পড়ছে না আমার,কিন্তু কিছুক্ষন পর আবার ঠিক হয়ে গেলাম।হাতের পেশি টা একটু বেশিই প্রসারিত মনে হচ্ছে আমার।হাটতে হাটতে একটা অস্রের দোকানে প্রবেশ করলাম।দোকানি আমাকে দেখেই চিনে ফেললো ।
-অনেক দিন পর তুমায় দেখলাম ইমু ,
-আমিও,
-তো বলো,কি চাই ?
-বন্দুক,আর Expanding bullets
– বহু বছর ধরেই তো এটা নিষিদ্ধ,এটা তো পাওয়া যায় না ।
-সেই জন্য ই তো এত পথ পাড়ি দিয়ে আমি ডিজনিরল্যান্ড এ এসেছি,
-এটা কিন্তু ইমু মারাত্বক ভয়ানক বুলেট,মানুষের দেহে গিয়ে এটি ফুলের মতো ফুটে উঠে আর যার গায়ে প্রবেশ করবে তার মৃত্যু নিশ্চিত ।
-জানি,,,,
-আচ্ছা,নাও। কিন্তু সাবধান ।
আমি এগুলো নিয়ে চলে আসলাম সেখান থেকে । পাইলট কে ফোন দিলাম । এভার যাবার পালা এখান থেকে।রুম থেকে আফসানা কে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম ।হেলিকাপ্ট চলছে আর আমি বন্দুক রিলোড করছি।সময় এসেছে মুখমুখি হবার ।
আমি টেক অফ করার সাথে সাথে আমার সামনে অনেক মানুষ দাড়িয়ে,যারা আমার মৃত্যু কামনা করছে।আফসানা কে নিরাপদ জায়গায় রেখে আমি এগিয়ে গেলাম তাদের দিকে ।হঠাৎ দেখলাম৫০ জন এজেন্টই মাথায় স্নাইপিং করা হয়েছে।আর সাথে সাথে ওরা মৃত ।হেসে ফেললাম প্রফেসর এর কান্ড দেখে ।সে উপরের বিল্ডিং থেকে তার লোক নিয়ে সবাই কে মেরে দিয়েছে ।
প্রফেসর কে সাথে নিয়ে আমি আমার সিক্রেট রুমে প্রবেশ করলাম,সাথে আফসানাও ।মাটির নিচে আমার এ রুম দেখে সে বেশ হচকিয়ে গিয়েছে ।আমি রুমে গিয়ে আমার অস্র হাতাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।টিভি ছাড়ার সাথে সাথে ই দেখলাম যে আমার তৈরি যন্ত দিয়ে ওরা খারাপ কাজ করছে ।মানুষ আর কোন কিছুই সিক্রেট রাখতে পারতে পারছে না ।মোবাইল,টেব মানুষের জীবন টা আরো মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে ।আমাদের এজেন্ট এবং আকমল স্যার এ দেশের সবচেয়ে ভয়ানক মানুষ হিসেবে পরিচিত হয়ে গিয়েছে ।প্রতিটা মানুষকে ওরা ব্ল্যাকমেল করছে,আর এগুলোর সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে হাই প্রোফাইলের লোকগুলো।প্রতিটা সাইডে এখন মানুষের পাসোনাল ভিডিও নিয়ে ঝড় বইছে,ফেইসবুকে কিছু থেকে কিছু হলেই তা ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে।
চোখ টা বুজলাম আমি ,যে আবিষ্কারের মাধ্যমে আমি মানুষকে বাচাতে চেয়েছি তা আজ সবার মৃত্যুর কারণ হিসেবে দাড়িয়েছে।নাহ,অনেক হয়েছে আর নয় ।ডেক্সটবের সামনে গিয়ে বসলাম।প্রতিটা সার্ভার হ্যাক করতে হবে ।আমি আমাদের এজেন্সির সার্ভার ডাওন করতে লেগে পড়লাম।কিন্তু যখনই আমি সাইডে প্রবেশ করলাম ঠিক তার সাথে সাথে কেউ আমায় সেখান থেকে বের করে দিল,আমি বুজে গেছি অপর পাশেও কেউ বসে আছে আমার হাত থেকে বাচার জন্য ।আমি আবার প্রবেশ করলাম আর সব কিছু খুব ভালো ভাবে হ্যাক করে নিলাম।সাথে সাথে তাদের সার্ভার ডাওন হয়ে গেল ।আমি জানি এখন তারা এগুলো রিকভার করতে চাইবে।তাই DNS দিয়ে আমি র্যাট সেটাপ করে নিলাম। এভার
CLS
A
Color 0a
Cls @echo off echo wscript.sleep 5000>c\sleep5000vps
Cls @echo off echo wscript.sleep 3000>c\sleep3000vps
Cls @echo off echo wscript.sleep 2000>c\sleep2000vps
Start\w wscript.exe c:\sleep2000.vps
Echo
Echo
Echo virus has been execu
ভাইরাস টা তাদের কম্পিউটারে সেন্ট করলাম।sex xxy cutty নামে ।বেশ কয়েকজন এটা ক্লিক করছে আর তার সাথে সাথে তাদের সবগুলো কম্পিউটার সারা জীবনের জন্য ঘুমিয়ে গেছে।তাদের সব রকেমের ড্যাটা নষ্ট হয়ে গেছে । আর কখনো ল্যাপটব গুলো অন হবেনা এমন ভাইরাস আমি দিয়ে দিয়েছি। সাথে সাথে আকমল স্যার আমায় ফোন দিয়ে বসলো
-ইমু এর পরিনাম খারাপ হবে কিন্তু,
-তা দেখা যাবে স্যার,কি খেলায় মজা আসছে কিছূ ?
-তাহলে ডিল ফাইনাল ইমু,খেলা এভার যা হবে তা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না ।
-ওকে,দ্যিস ডিল উইথ দ্যা ডেবিল ।আমি খেলার অপেক্ষায় আছি ।
এভার নিজেকে ভেতর থেকে গুছাতে শুরু করলাম।কখনো কখনো আফসানার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে দেখছি মেয়েটার চোখে হাজারো কল্পনা,কখনো আবার হারানোর ভয়ে চোখ বুজে থাকতেও ।কিন্তু আমি এ খেলায় মগ্ন,জীবন টা অনিশ্চিত।তবুও কখনো মনে হয় কাউকে খুব ভালোবাসি ,কারো হাত ধরে নতুন একটা সকালের স্বপ্ন দেখি,রাত্রগুলো আর নিকোটিনে না পুড়িয়ে তাকে ঘুমের শহরে আমন্ত্রন করি।কিন্তু এমন কিছুই আমি করতে পারি না।শিকারের খোজে সবসময় খুজে চলি নতুন সমস্যাগুলোকে।আচ্ছা এমন টা কেন?আমি কেন পারিনা মেয়েটার অবাধ্য চুল গুলোকে একটু হাত দিতে,কেন পারিনা পরম মায়ায় তার ঠোট গুলো ছুয়ে দিতে ?প্রশ্ন টা নিজের কাছেই থেকে যায়।উওর অজানা । সকালের দিকে খবরের কাজগে দেখতে পেলাম এক নতুন সমস্যা।শহরের মেইন পয়েন্টে কেউ একজন খুব বড় বেলুনে পোলোনিয়াম 210 বিষ ভরে রেখেছে।আর এটা মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে তা খুজে বের করা অসম্ভব।
এটির মূল্য 25 মিলিয়ন ডলার।এটি এমন ই বিষাক্ত যে এটি যদি 10 ন্যানোগ্রাম ঘ্রাণ শুকানো হয় তাহলে মৃত্যু নিশ্চিত।পোলোনিয়াম 1 গ্রাম 10 কোটি মানুষকে মেরে ফেলতে পারে।আর এটির পরিক্ষা আমাদের দেশে সম্ভব নয়।তারমানে আমাদের এজেন্জির সাথে বাহিরের কেও মিলেছে।এটা শুধু আমাকে মারার প্ল্যান নয়,গোটা দেশকে ধ্বংস করার চিন্তা।যে কোন সময়ে ফেটে যেত পারে বেলুনটি ।অবশ্য বেলুনের মধ্যে কেম্প ফিট রয়েছে এবং টাইমার ও।আমাকেও পাগলের মতো খুজে চলছে মারার জন্য।এভার কেমন যেন ভীত হয়ে গেলাম আমি,কি চাচ্ছে ওরা,আর অবশ্যই এটা আমার মারার জন্য নয় পুড়টা।এখানে অন্য কিছুর হাত রয়েছে।আমি এসব চিন্তা করছি আর আফসানা আমার সামনে বসে আপেল খাচ্ছে।হঠাৎ দেখলাম সে গলায় ধরে শুয়ে পড়লো,আমি দ্রুত তাকে জড়িয়ে নিলাম।প্রফেসর সাথে সাথে কি এর ডোজ দিল আর সে বমি করতে লাগলো,কিছুক্ষন পর সে বেহুশ হয়ে গেল।আর বললো সে কিছুক্ষন পর ঠিক হয়ে যাবে।
-কি হয়েছে ওর প্রফেসর ?
-সে বিষ খেয়েছে .
-মানে কি ?
-সেটা আমিও তোমায় বলি,মানে কি ?
প্রফেসর আপেল টা হাতে নিয়ে পরিক্ষা করলো,আর জানালো যে আপেলে বিষ রয়েছে।ঠিক তখন ই আমার মনে পড়লো 1 গ্রাম আপেলের বিচতে 0.06-0.24 মিলিগ্রাম সায়ানাইড পাওয়া যায়।আর এটি 0.5-3.5 মিলিগ্রাম খেয়ে ফেললে তার মৃত্যু নিশ্চিত।টিভি ছাড়ার সাথে সাথে দেখতে পেলাম আপেল খেয়ে হাজারো মানুষ মারা গেছে।এভার আমার মেজাজ খারাপ হতে লাগলো।কেউ ইচ্ছে করে আপেলের বিচি গুলো কোন এক মাধ্যম দ্বারা গলিয়ে দিয়েছে।আমি আকমল স্যারকে ফোন দিলাম সাথে সাথে
-এভার কিন্তু ভালো হচ্ছে না স্যার,,
-হা হা,ইমু।খারাপ তো এখনো শুরু ই করি নি।
-আপনি আমার সাথে খেলেন,সাধারণ মানুষের সাথে নয়।
-এই দেশকে আমি নতুন করে শুরু করবো,সব মেরে নতুন করে হবে। পাশ থেকে কোন ইংরেজ হা হা করে হেসে উঠলো,,
-ইংরেজ এর বাচ্চা রে আমি আগে মারবো,তারপর আপনাকে।বেচে দিতে চাচ্ছেন তাই না ?এটা হবে না কখনো।
-হবে হবে,বেলুনটা ১ ঘন্টা পর ই ফেটে যাবে,তখন তুমি সহ সবাই মারা যাবে ইমু।
বলেই ফোনটা কেটে দিল।আমি এভার পিসির সামনে বসলাম।বেশ কিছু 3D গ্রাফিক্স আগেই তৈরি ছিল,যা এখন সেট করে নিলাম। মাটির উপরে যাবার জন্য প্রস্তুত হলাম,সাথে এক্সপেনডেন্ড বুলেট আর বন্দুক টা নিয়ে নিলাম।প্রফেসর কে বললাম
-আমার সিগনেল পাওয়ার সাথে সাথে আপনি বাকি কাজ টুকু করে নিবেন।আর হ্যা,আফসানা কে আরেকটা সিলোসাইবিন ড্রাগ ইনজেক্ট করেন যাতে সে আপদত না উঠতে পারে।আমি চাই না তার কোন ক্ষতি হোক।
-ঠিক আছে ইমু।আর একটা কথা ছিল ইমু ।
-বলেন
-আসলে ইমু,তুমি যখন আগের মিশনে অসুস্হ ছিলে তখন আমি তুমার দেহে SALMONELLA BACTERIUM নামক একটা ব্যাকটেরিয়া তুমার দেহে দিয়েছিলাম।যা 35 লাখ বছর ধরে জীবিত একটা ব্যাকটেরিয়া।
-মানে?
-হ্যা ইমু,আর তাই তুমার দেহে কিছু পরিবতন এসেছে।পারলে মাফ করে দিও।
-আপনি হয়তো কিছু চিন্তা করেই এটি করেছেন।সো সমস্যা নেই আমার ।
-আর হ্যা, এই ড্রাগস টা ব্যবহার করো এখন,শক্তি পাবে ।
-হুম ,
দেহে ড্রাগ টা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।এর মধ্যে গোটা দেশ মৃত্যুর আয়োজন টা জেনে গেছে ।চার দিকে শুধু কান্না ।হঠাৎ দেখি বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ আমার দিকে দৌড়ে আসছে।একজন এসেই ঘুসি মেরে বসলো।আমি যখন ই মারতে যাব তাদের তখন তাদের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি তাদের হিপনোটাইস করা হয়েছে।তাই না মেরে তাদের একটা রুমে বন্দি করে রেখে দিলাম।এভার আমার চারপাশে অনেক জন রয়েছে।যাদের দেখে বুজা যাচ্ছে তারা প্রফেসনাল কিলার।অতঃপর বন্দুক বের করে তাদের শুট করতে লাগলাম।শুরু হলো যুদ্ধ এদের মধ্যে অনেকেই আমার চোখে তাকিয়ে হিপনো করতে চেয়েছিল কিন্তু আমি একগাল হেসে তাদের চোখের দিকে তাকানোর সাথে সাথে তারা আমার পক্ষ নিয়ে তাদের লোককেই মারতে লাগলো।কেননা এভার আমি ওদের হিপনোটাইস করেছি,অবশ্য অনেক বছর আগেই এ বিদ্যা টা শিখেছিলাম,এবং বেশ পাওয়ারফুল ও ছিলাম এ বিদ্যায়।
এজেন্ট রাজু কে দেখলাম আরো দল নিয়ে আমার দিকে ছুটে আসছে।হাতে আর 30 মিনিট সময় রয়েছে বেলুনটি ফাটার।আমি একটা ছুড়ি নিয়ে এক এক করে মারতে লাগছি,সাদা র্শাট টা রক্তে লাল হয়ে রয়েছে।এভার রাজু আমার দিকে তাকয়ে হাসলো।আকমল স্যার আমার থেকে 15 গজ দুরে দাড়িয়ে রয়েছে সাথে বিদেশি একজন।তাদের নাকে আলাদা একটা ক্লিপ বসানো যার ফলে এক বিষের গন্ধ তাদের নাকে প্রবেশ করতে পারবে না।এক এক করে প্রায় সবাই কে মৃত্যুর কোলে রেখে আমি আকমল স্যার এক সামনে গেলাম।আর উনি সাথে সাথে রিমোট দিয়ে বেলুন টি উপর থেকে ছেড়ে দিলেন।যা মাটিতে পরার সাথে সাথেই সবাই মৃত্যুর কোলে ঢলে যাবে। মাটিতে পরার পর ওনি আমার দিকে তাকিয়ে হো হো করে হেসে ফেললো।কিন্তু ওনি যেমন ভেবেছিল তেমন কিছু হয় নি।
-আরে বিষ বের হচ্ছে না কেন ? কি করেছো ইমু ?
-মাটিতে পড়লে তো বিষ বের হবে ?
-মানে কি ?
-মানে হলো,
বিষ রাখা বেলুনটি আপনার থেকে আরো 50 গজ দুরে ছিল।আর আপনি এতক্ষন যা দেখছিলেন তা হলো 3D ভিডিও,অবশ্য আপনার লোকগুলো মরেছে তা আসল।কিন্তু আপনি যা বিষের বেলুন মনে করেছেন তা শুধুই ভিডিও।
-তাহলে আসল টা ?
-আসল টা আপনি যখন রিমোট চেপেছেন তা মাটিতে পরার সাথে সাথে আমার ড্রোন টা তুলে নিয়ে গেছে।আর এটা এমন এক মেটেলে রাখা হয়েছে যেখান দিয়ে কোন বাতাস প্রবেশও করতে পারবে না।কিছুক্ষন পর তা নষ্ট হয়ে যাবে।
-ইমুউউ হঠাৎ রাজ নামক এজেন্ট টা পিস্তল বের করে আকমল স্যারের থাকা চামচা আর বিদেশি টা কে গুলি করলো।পাশের বিল্ডিংএ থাকা স্নাইপার কে ও মেরে দিল।আকমল স্যার হা করে তাকিয়ে আছে।
-অবাক হওয়ার কিছু নেই স্যার,রাজ এ কিন্তু আমার ই লোক ।আর সবগুলো কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশে সে ই কিন্তু আমায় সাহায্য করেছে।
-থ্যাংক্স ইমু স্যার,জীবনের প্রথম করা এসাইমেন্ট টা করে বেশ মজা পেলাম ।
-গুড জব জুনিয়র ।
তো স্যার বলেন এভার আপনাকে কি করবো।আমার তৈরি যন্ত্র গুলোকে খারাপ কাজে ব্যবহার করেছেন।ঘৃণিত কাজ করেছেন।এটা বলেই ওনারে পায়ে শুট করলাম ।যেহেতু এক্সপেন্ডেড বুলেট সুতরাং ব্যাথায় ওনি পাগল হয়ে যাবে।এভার উনি কাতর গলায় বললেন
-আপেলে যে বিষ দিয়েছি সেখান থেকে কিভাবে মানুষকে বাচাবে এভার?ধ্বংস থেকে হয়তো সবাইকে রক্ষা করেছো।কিন্তু এখন ?
-আমি অলরেডি পানিতে এন্টিভায়োটিক মিশিয়ে দিয়েছি।যা মানুষকে বাচয়ে দিয়েছে স্যার।বলেছিলাম না এই ডিল টা শয়তানের সাথে ? এটা বলেই ওনার মাথায় শুট করলাম।আর খেলা শেষ ।
খুড়িয়ে খুড়িয়ে আমি আমার বাসায় ফিরছি।রাজু আমায় হাত চেপে ধরে এগিয়ে নিচ্ছে।রুমে গিয়েই দেখি আফসানা কান্না করতে করতে চোখ লাল করে ফেলেছে।তারমানে প্রফেসর ওকে ড্রাগস টা দিতে পারেনি।আমাকে দেখেই হাউমাউ করে কেদে উঠলো।রক্তাক্ত মুখে অজস্র চুমুর বন্যা প্রবাহিত হতে লাগলো।আমাদেরে এ কান্ড দেখে জুনিয়র আর প্রফেসর হাসছে। আফসানা এন্টিসেপ্টিক নিয়ে আমার কাটা স্থানে তা ছুয়িয়ে দিচ্ছে,আমি যতটা না ব্যাথা পাই এন্টিসেপ্টিক এর দাচে তারচেয়ে সে বেশি আমার ব্যাথায় কান্না করছে।আর তার চোখের জল টা আমার কাটা স্থানেই গড়িয়ে পড়ছে।মেয়েটা বড্ড প্রলাব বকছে তাই শক্ত করে আমার বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে নিলাম ।আর তার কপালে একটা চুমু খেয়ে বললাম
-আমি ভালো আছি,এসব ছোট ক্ষত আমার প্রতিদিনকার ই।কিন্তু ডাক্তারনীরা আজাকাল চোখের পানি দিয়েও রোগীর সেবা করে দেখছি ।
সে আমার কোন কথায় জবাব না দিয়ে আমার বুকে লেপ্টে রইলো।আমিও আর কিছু বললাম না,থাকনা এভাবে ক্ষতি কি ?কাটিয়ে দেই কিছুটা জীবন এই মায়ায় তাতে সত্যিই ক্ষতি টা কি ??? হঠাৎ প্রফেসর আমার দড়জার সামনে এস একটা ছবি আমার দিকে দেখালেন।নতুন কোন এক মিশনের।আমি মুচকি হেসে আমার বৃদ্ধা আঙ্গুল টা উচু করে ধরলাম। উওরে সে হেসে দড়জার সামনে থেকে চলে গেল আর যাবার বেলায় বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে সামনের মিশনের শুভেচ্ছা কামনা করলো।