৯ দিন পর আবার আজকে মেস এ ফিরলাম। কিন্তু আমিই আসছি আর কেউ আসেনাই। আজকে মনে হয় একা একা থাকতে হবে। রুমের তালা খুলতেই দেখি জেসিয়া বসে আছে। জেসি কে দেখেই দিলাম এক চিতকার।
–কি হয়ছে চিতকার মারলি কেন?
–তু তুই রুমের মধ্যে আসলি কিভাবে? তরা না বল্লি আজ কেউ আসবি না।
–সারপ্রাইজ দিলান তরে।
আমি ত অনেক আগেই চলে আসছি। তুই অনেক ক্লান্ত যা ফ্রেশ হয়ে রেষ্ট নে। আমি আর কিছু বললাম না। সোজা বাথরুমে চলে গেলাম। কিন্তু বাথরুমের দরজা খুলতেই দেখি জেসিয়া বাথরুমের ভিতরে। আবার দিলাম এক চিতকার।
–এই তকে রুমে রেখে এলাম তুই এখানে এলি কিভাবে??
–সব কুইকলি কুইকলি।
–আমাকে ভয় দেখানো হচ্ছে তাই ত?
–এই ত আমার কিউত ফ্রেন্ড বুঝে গেছিস।
–তুই বের হ ত আমি ফ্রেশ হব।
–ওকে। আমি ফ্রেশ হয়ে রুমে আসলাম।দেখি জেসি বসে আছে।
–আচ্ছা মিম তর মনে ক্ষুদা লাগছে টেবিলের উপর থেকে খাবার খেয়ে নে।
–কিন্তু এখানে ত কোনো খাবার ছিল না।
–হয়ত খেয়াল করিস নি।
–জেসি তর আচরন কেমন জানি রহস্যময় লাগছে।
–হা হা হা বুঝেই যখন গেছিস আমাকে রহস্যমম্য লাগছে তাহলে দেখ আমি কে। এই বলেই জেসির চেহারা কেমন জানি বদলাতে লাগল। চুল গুলো ধবধবে সাদা হয়ে গেল।
–জেসি তুই এমন করছিস কেন??
–হা হা হা আমি এখন জেসি না আমি একটা ডাইনী।জেসির ভয়ংকর হাসি শুনে আমি হৃদপিন্ড বার বার উঠা নামা করছে।
–জেসি তুই ডাইনী?
–হ্যা আমি ডাইনী। আর তকে বলি দিয়ে আমি হব ডাইনী রানী। হা হা হা।
–ঐ চুপ এমন করে কেউ হাসে?
–তর সাহস ত কম না তুই ডাইনী কে ধমক দিচ্ছিস। আমি জানি অক্টোবর এ তর ১৮ বছর হবে আর আমার বলির জন্য দরকার ১৮ বছরের একটা মেয়ে তাই তকেই বলি দিব।
–এমন টা করিস না।আমি তর ফ্রেন্ড।
–ডাইনী রানী হওয়ার জন্য আমি তর মত হাজার ফ্রেন্ড কে বলি দিতে পারি। এই কথাটা বলে দিক মিজাজ গরম করে।
–ঐ তুই এখান যা। বের হ আমার রুম থেকে।
–তুই আমাকে বের হওয়ার কথা বলছিস??কি করতে পারবি তুই আমার।
আগে শুনতাম এসব পেত্নী,ডাইনী এদের চুলে ধরলে নাকি পালিয়ে যায়। তাই আমিও দিলাম জেসি নামের ডাইনী টার চুলে ধরে টান।অমনিতেই উদাও হয়ে গেল ডাইনী টা। কিন্তু বাতাসের সাথে একটা কথা শুনতে পেলাম সেটা হল আমি আবার আসব তর কাছে বাঁচতে পারবি না তুই। ভয়ে আমার কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে এখন কি করব আমি? একা একা কিভাবে থাকব? রিয়া কে ফোন দিয়ে সব বলতে হবে।
–হ্যালো রিয়া।
–হ্যা বল।
–তরা আসবি না আগে বল্লেই ত পারতি এখন আমার ভয় লাগতাছে।
–তুই ত আগে থেকেই ভিতু সবাই জানে।
–আচ্ছা শোন জেসি ডাইনী।
–অনেক আগে থেকেই ত সে ডাইনী গিরি করে।
–আরে ধুর!একটু সিরিয়াস হ বইন।জেসি আসলেই ডাইনী। তারপর আমার সাথে আজ যা হল তা রিয়াকে বললাম।
–মিম আমি আর এই মেসে যাব না। এক কাজ কর তুই আমার জিনিস পত্র গুলা একটা পিক আপ এ করে পাঠিয়ে দে।
+-আমি যে বিপদে আছি এই কথা তর মনে আছে? চুলের ফ্রেন্ড তুমরা।
–ওকে বইনা রাগ করিস না। আমি কাল আসব।
–আচ্ছা বাই এখন।
মনের মধ্যে হাজার ভয়ের ভীর জমে গেছে। উফফ কাউকে বয়সের কথা জানালেও বিপদ। আজ যদি জেসি না জানত আমার বয়সের কথা তাহলে এমন বিপদে পরতে হত না। কোনো মতে রাত টা পার করলাম। সকাল ১০ টার দিকে রিয়া চলে আসল। এখন আমি আর রিয়া ভাবছি কি করা যায়।
–মিম আমার মনে হয় মসজিদের ইমাম সাহেব কে কথাটা জানানো উচিত।তিনি কিছু করলে করতে পারেন।
–আচ্ছা তাহলে যহুরের নামাজের সময় যাব। যহুরের নামাজের সময় ইমাম সাহেবের সাথে দেখা করলাম এবং তাকে সব ঘটনা বললাম। ইমাম সাহেব তখন বলল
–তুমার ১৮ বছর কত তারিখে হবে মা?
–জ্বি অক্টোবর এর ৩ তারিখ।
–৩ তারিখ আমাবস্যা। আর আমাবস্যা রাতে ডাইনী দের শক্তি দ্বিগুন হয়।সেই দিন শয়তানের সামনে বলি দিলে তাদের মনোবাসনা পূর্ণ হয়।
–এখন আমরা কি করে রক্ষা পাব এই ডাইনীর হাত থেকে?
–যে কাজ টা তুমার করতে হবে সেটা খুবই কঠিন জানি না পারবে কি না।
–আপনি বলেন আমি পারব।
–ঐ ডাইনী কে ন্যাড়া করতে হবে এবং সেই চুল গুলো পুড়ে ফেলতে হবে।
চুল পুরলে এক ধরনের সাধা ছাই তৈরি হবে আর সেই ছাই গুলো ডাইনীর মুখে মেখে দিতে হবে তাহলেই ডাইনীর বিনাশ হবে।আর এই কাজ গুলো করতে হবে ১৩ দিনের মধ্যে ১৪ দিনের দিন আমাবস্যা।
–কিন্তু ডাইনী টাকে পাব কোথায়?
–রাতের অন্ধকারে মোমবাতি জ্বালিয়ে তিন বার ঐ ডাইনীর নাম উচ্চারণ করবা তাহলেই চলে আসবে।কিন্তু এই কাজ গুলো করতে গেলে পদে পদে বিপদ আসবে।এমনকি ডাইনী টা তুমাকে তার বশ করে ফেলতে পারে।
–আচ্ছা ঠিকাছে।
–ওহ আমি ত ভুলেই গিয়েছিলাম।মাথা ন্যাড়া করতে হলে অলৌকিক ছুরি দরকার।সেটা তুমাদের খুজে বের করতেহবে।
–কোথা থেকে খুজব আন্দাজি।
— তেঁতুলগাছ এ।তবে কোন তেঁতুলগাছ এ আছে সেটা আমি জানি না।
রাত ১২ টার পর যদি কোন তেঁতুলগাছ থেকে লাল আভা বের হয় তাহলে বুঝবা সেখানেই সেই ছুরি আছে।কিন্তু সেই ছুরিটা পাহাড়া দেই একটা জ্বিন সেটা তুমাকে ভয় দেখাতে পারে। তুমি ভয় পেয় না জ্বিন কে সালাম দিয়ে বলবা একটা কাজের জন্য এটা নিচ্ছো কাজ শেষ হলেই আবার দিয়ে যাবা।
–এই টুকুই?
–হুম।
–আচ্ছা তাহলে যাই আমরা।
–যাও সাবধানে কাজ গুলা কইরো।
–মিম তুই কাজ গুলা করতে পারবি?
–রিয়া তুই না। সাহস দিবি ত দুরের কথা আরো ভয় দেখাচ্ছিস।
–কাজ গুলা অনেক কঠিন।
–কিচ্ছু হবে না দোস্ত। দেখবি আমি ঠিকি পারব।এখন তেঁতুল গাছ খুজতে হবে।তকে নিয়েই কিন্তু যাব।
–আমার যে ভয় লাগে।
–দূর কিছু হবে না।মনের মধ্যে সাহস রাখ।
–হুম বুঝলাম।কিন্তু বাংলাদেশ এ কত তেঁতুল গাছ এখন খুজে পাবি কি করে?
–আজ থেকেই খুজা শুরু করে দেব।
–হুম।
রাত হয়ে গেছে। ১০ টা বাজে এমন সময় আমি আর রিয়া বেরিয়ে পরলাম। অন্ধকারের মাঝে দুইজন টর্চ নিয়ে হাটছি। সারারাত খুজলাম তবুও ময়মনসিংহ শহরে কোনো তেঁতুল গাছ পেলাম না।
–রিয়া শহরে খুজলে হবে না আমাদের গ্রামে যেতে হবে।
–আমরা মনে হয় সাকসেস হতে পারব না।
–কনফিডেন্স রাখ মনের মধ্যে যে আমরা পারবই।শোন একটু ঘুমাই এখন তার পর দুপুরের দিকে আমাদের গ্রামেরবাড়ি যাব।
— তর ইচ্ছা।
ঘুম থেকে দুপুর ২টার দিকে উঠলাম। উঠে রওনা করলাম গ্রামের দিকে। সন্ধ্যার সময় দাদুর বাড়ি এসে পৌঁছলাম। সবাই আমাদেত দেখে খুব খুশি।
–মিম।
–কি।
–এদের মাঝখান থেকে রাতে বের হবি কিভাবে?
–চিন্তা করিছ না।গ্রামে ১০টার দিকে সব মানুষ ঘুমিয়ে যায় আমরা ১১টার সময় বের হব।
–ওকে।এখন একটু রেষ্ট নিয়ে নেই।
–হুম।
–রাতে খাওয়া দাওয়া গল্প গুজব করতে করতে ১০ টা বেজে গেল। কাকু বলল
–অনেক রাত হয়ছে যাও আবার ঘুমিয়ে পড়।আমার চাচাতো বোন মায়মুনা আমাদের থাকার রুম দেখিয়ে দিল।
–এই মায়মুনা শোনো.।
— হ্যা বলো আপু।
–এখানে কোথায় কোথায় তেঁতুল গাছ আছে তুমি জানো.?
–হুম জানি কিন্তু কেন?
–আজ রাতে আমাদের সাথে যাবা তেঁতুল পারতে?
–না গো তেঁতুল গাছে ভুত থাকে তাও আবার রাতে তুমি কি পাগল হয়ে গেছ আপু.?
–আরে ভয় পাও কেন আমরা আছি না।তেঁতুল গাছে আমার জ্বিন বন্ধু আছে তার সাথে দেখা করব। মিথ্যা বল্লাম যাওয়ার জন্য কারন কোথায় তেঁতুল গাছ আছে সেটা জানা থাকলে আমাদেরই ভাল।
–কি বললা তুমি জ্বিন?
–হুম।
–ওকে যাব কিন্তু আমার ত ভয় লাগে।
–কিচ্ছু হবে না। আমরা আছি ত।
–আচ্ছা তাহলে চল।
–সবাই ঘুমিয়ে নেক তারপর।
রাত ১১:৩০ এর দিকে সবাই ঘুমিয়ে পড়ল। আর আমরা তিন জন বেরিয়ে পরলাম আমাদের অভিযানে। এই গ্রামেও সব তেঁতুল গাছ খুজলাম কিন্তু লাল আভার হদিস ও পেলাম না। মায়মুনা বলল
–সব তেঁতুল গাছ খুজলাম তুমার জ্বিন বন্ধু কই? রিয়া বলল
–মিম এভাবে আন্দাজি আর কত খুজব।
–চুপ কর পেয়ে যাব একদিন ঠিকি।
–কাজটা ১৩ দুনের মধ্যে তার মধ্যে দুই দিন চলে গেছে।
–এই গ্রামে পায়নি অন্য গ্রামে যাব।
–মিম আপু তুমার মাথা তার মনে হয় ডিল হয়ে গেছে।
–আচ্ছা বলো ত আর কোন গ্রাম এ তেঁতুল গাছ আছে?
–সব গ্রামেই ত কম বেশি তেঁতুল গাছ আছে।
–আচ্চা কাল আমরা পাশের গ্রামে যাব কেমন।
তারা দুজনই মাথা নাড়ল। পরদিন রাতে পাশের গ্রামে গেলাম। গ্রামটা কেমন জানি ভুতুরে ভুতুরে লাগছে। চারদিকে ঝি ঝি পোকা ডাকছে। মাঝে মাঝে শেয়ালের হাঁক শুনা যাচ্ছে।মায়মুনা ত আমাকে শক্ত করে ধরে রেখেছে। অনেক খুজছি কিন্তু কোনো গাছ থেকেই লাল আভা বের হচ্ছে না। রাত ১ টা হবে আমরা তিন জনই একটা গাছের নিচে বসলাম। আজ খুব ক্লান্ত লাগছে। হঠাত চোখ গেল একটা হ্যাচারির দিকে। সেখানে আলো দেখা যাচ্ছে।
–রিয়া উঠ দেখ সামনের হ্যাচারি থেকে আলো আসছে কিছু পেলে পেতে পারি।
–চল।
মায়মুনা আর হাটতে পারছে না। ছোট মানুষ আনা টা ঠিক হয়নি। কিন্তু না আনলেও ত আমরা পথ চিনব না।, হ্যাচারির কাছে যেতেই আনন্দে চোখ আমার ঝলমল করে উঠল।
–রিয়া দেখ পেয়ে গেছি।এই সেই তেঁতুল গাছ যার ভেতর থেকে লাল আভা বের হচ্ছে।
কিন্তু পরের বার তেঁতুল গাছের দিকে তাকাতেই দেখি বিশাল এক ছায়ামূর্তি দাড়িয়ে আছে। এটা দেখে মায়মুনা দিল চিতকার। রিয়া আর আমার দম যায় যায় অবস্থা। আমি আর কিছু না ভেবে জ্বিন টাকে সালাম দিলাম। জ্বিন সালামের জবাব দিল। আমি বললাম এখানে ছুরি টা আমার দরকার। দরকার শেষ হলে আবার দিয়ে যাব। জ্বিন প্রথমে রাজি না হলেও পরে আমার রিকুয়েস্ট এ ঠিকি রাজি হল। আমরা ছুরি নিয়ে এসে পরলাম। কালই আমাদের চলে যেতে হবে। সকাল এ উঠেই ব্যাগ গুছানো শুরু করলাম।সবাই আর কিছু দিন থাকার জন্য রিকুয়েস্ট করল কিন্তু আমরা পড়া আছে এই অজুহাতে ময়মনসিংহ চলে আসলাম
–রিয়া এখন একটু ঘুমাই আমি। রাতে আবার কাজ আছে।
–আমিও ঘুমাইব এখন।
–অকে ঘুমা।
ঘুম থেকে উঠে দেখি রাত হয়ে গেছে। শরির অনেক ক্লান্ত থাকাই এমনটা হয়ছে। রিয়াকেও দেখলাম এখনো ঘুমাচ্ছে। ডেকে তুলে বসালাম। তারপর শুরু করলাম আমার কাজ। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বসে পরলাম আমার কাজে। রিয়াকে বিছানায় বসিয়ে রাখলাম। লাইট অফ করে মোম জ্বালিয়ে তিন বার জেসিয়া জেসিয়া বলে ডাকতেই শুরু হয়ে গেল তান্ডব। ঝড়ের মত বাতাস বইতেছে রুমের সব জিনিস ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষন পর পরিবেশ শান হল।। আর চলে আসল ডাইনী টা আর আমাকে বলল
–তুই আমাকে বিনাশ করতে চাস?দেখ আমি তর কি অবস্থা করি।
–কি করবি তুই?ডাইনী আজই তর শেষ দিন।
এটা বলতে না বলতেই ডাইনী টা আমার উপর ঝাপিয়ে পরল। বড় বড় নখ দিয়ে আমার শরিরের বিভিন্ন জায়গায় আচঁড় মারতে লাগল। ব্যাথায় আমি কুকঁড়িয়ে উঠলাম। আর ডাইনিটা অসম্ভব হাসিতে মেতে উঠল। শরিরের যেখানেই আচঁড় দিছে সেখানেই জ্বালা পোড়া করছে। কি করব আমি বুঝতে পারছি না। একয়াময় ডাইনিটা আমাকে শূন্যে ভাসিয়ে আছাড় মারল। মনে হচ্ছিল তখন শরিরের সব হাড় ভেঙে গেছে। এক ফুটো শক্তি আমার নাই। অন্য দিকে এসব দেখে রিয়া অজ্ঞান হয়ে গেছে। আমি এখন কি করে এই ডাইনীর বিরুদ্ধে লড়ব। হাতের কাছে কিছুই নাই। ডাইনিটা আবার আমার দিকে আসতে লাগল। আমার ডান হাতটাই ধরল এবার। আমি আর কিছু না ভেবে চুলে ধরলাম। এমনিতেই ডাইনিটা চিতকার শুরু করল।
আমি টেনে টেনে নিয়ে গেলাম ছুরির কাছে। হাতে এক মুঠো শক্তি নাই তবুও আমাকে ন্যাড়া করতে হবে। ছুরি চালালাম মাথায়। চারদিকে ভয়ংকর আর্তনাদ শুনা যাচ্ছে।ডাইনিটা করুন সুরে কান্না করছে। মাথা ন্যাড়া করা শেষ। ন্যাড়া মাথায় ডাইনিটা কে কেমন যে দেখাচ্ছে।খুব হাসি পাচ্ছে।কিন্তু আমি লাইটার দিয়ে যেইনা চুল গুলো পুরতে যাব এমন সময় ডাইনী আমার হাতে হেচকা টান দিয়ে লাইটার কেড়ে নিল। আমি কি করব এখন?লাইটার ছাড়া পুরব কি করে চুল?তারপর দেখলাম মোম এখনো জ্বলছে। মোমের আগুনে পুড়িয়ে দিলাম চুল গুলো। ডাইনিটা আবার করুন সুরে কান্না শুরু করল। চুল পুড়া শেষে তৈরি হল সাদা ছাই।
আমি ছাই গুলো নিয়ে ডাইনীর মুখে মাখতে যাব এমন সময় আমার উপর ঝাপিয়ে পরল। শুরু হল ধস্তাধস্তি। বাম হাতে ধরে এমন মুচোড় দিছে হাতটা ভেঙে গেছে। হাতে তীব্র ব্যাথা শুরু হল। আর পারছি না ডাইনিটার সাথে। কোনোমতে ধাক্কা দিয়ে একটু দুরে সরালাম। দেখলাম ছাই গুলো ফ্লোরে পরে আছে। এক মুঠো ছাই নিলাম আর ছুড়ে মারলাম ডাইনীর মুখে। ভয়ংকর চিতকার দিয়ে ডাইনিটা ফ্লোরে পড়ে গেল। আর আমি এই সুযুগে সব টুকু ছাই ডাইনীর মুখে মাখিয়ে দিলাম। আর সাথে সাথে ডাইনিটার শরির আগুনে জ্বলসে যাওয়ার মত হয়ে গেল। কিছুক্ষন পর উদাও হয়ে গেল। আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। এখন রিয়ার জ্ঞান ফিরাতে হবে। রিয়ার জ্ঞান ফিরালে সে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল
–তুই ঠিক আছিস মিম?
–হুম ঠিক আছি।
–বিনাশ হয়ছে ডাইনিটা?
–অবশ্যই।
–তর শরিরে ত অনেক আঁচড় লাগছে।
–হুম হাতটাও মনে হয় ভেঙে গেছে।সমস্যা নাই কাল ডাক্তার এর কাছে গিয়ে প্লাস্টার করে আসব।
–মিম আমরা জেসি কে হারিয়ে ফেললাম তাই না।
–হুম রে।
দুজনের চোখের কোনে পানি চলে আসল। হয়ত এটাই ফ্রেন্ড হারানোর কষ্ট। পরদিন ডাক্তার দেখিয়ে আবার চলে গেলাম দাদুর বাড়ি কারন ছুরিটা আবার ফেরত দিতে হবে।