সিনিয়র জান্নাত

সিনিয়র জান্নাত

-এই একদম আমার দিকে আগাবা না? (বালিশ ছুড়ে মেরে)
-হুহাহাহা আগাবো কি করবা?
-কাছে টেনে নিবো।
-তো নাও না?
-যা আমার লজ্জা করে।
-তুমি লজ্জা পেতেও জানো?
-হুম।
-হুস।যে মেয়ে জোর করে তার চেয়ে ছোট ছেলেকে বিয়ে করতে পারে,তার আবার লজ্জা।
-ওই তুই কি বললি।আমার লজ্জা নেই।আচ্ছা মানলাম আমার লজ্জা নেই।তাহলে এই কথা টা কেনো বললি? যে আমার চেয়ে ছোট ছেলেকে বিয়ে করছি?আমি তো ভালোবেসে বিয়ে করেছি তাই না?তাহলে এই কথাটা কেনো বললি..

-এই তো আমার বউ রেগে গেছে।এবার অস্থির লাগছে।
-কি আমাকে রাগানোর জন্যে কথাগুলো বললি তাই না।আচ্ছা দ্বারা বলাচ্ছি।(এই কথা বলে রাহাতের উপর ঝাপিয়ে পরে জান্নাত।কিল,ঘুসি মারতে শুরু করে। রাহাত আটকাচ্ছে কিন্তু না পেরে জোরে জড়িয়ে ধরে। এবার আসি মূল কথায়।রাহাত আর জান্নাত রিলেশন করে বিয়ে করেছিল।যদিও প্রথমে পরিবার থেকে মেনে নেয় নি।এখন সবাই মেনে নিয়েছে। একদিন- জান্নাত-এই যে।এই শুনছেন? রাহাত আশেপাশে তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে তাকে ডাকছে।

>জি বলেন?
>আপনার নাম রাহাত না।
>হুম।এই এইটা নেন।(একটা বক্স ধরিয়ে দিয়ে )
>কি এইটা।
>বাসায় গিয়ে খুলবেন।ওকে।এর আগে খুললে না??
>আচ্ছা আচ্ছা খুলবো।
>গুড বয়।

রাহাত বাসায় গিয়ে বক্স টা খুলে দেখে যে একটা কাগজ।কাগজ টা খুলে দেখে একটা লেটার।লাভ লেটার তবে সেটা জান্নাত এর দেয়া না,অন্য আরেকটা মেয়ের।রাহার দেখেই রেগে যায়।কই ভেবেছিলাম এইটা জান্নাত দিয়েছে।কিন্তু এখন আরেকমেয়ের এতো সুন্দর একটা মেয়ে জান্নাত।এখন এর পিছনে ঘুরতে হবে।অস্থির লাগছে আমার।প্রথম দেখায় ক্রাশ,কিন্তু বলতে পারি না।। পরের দিন?

>এই যে শুনছেন?
>জি বলেন।
>গতকাল এটা কি দিছেন
>কেন দেখতে পান নি?
>হুম পেয়েছি।কই ভেবেছিলাম আপনি দিবেন,না আরেকজনের হয়ে আসছেন?
>হুম।আমার এক ছোট বোন দিয়েছে।
>কিন্তু আমি তো ওই বোনের।বড় বোনের উপরে ক্রাশ খাইছি।
>এহেম।আমি আপনার বড়।
>ধূর বাদ দেন আপনার বড়।এই যুগে ১,২ বছরের বড় তে কোনো প্রব্লেম নাই। তাছাড়া–
>তাছাড়া নবী করিম (সাঃ) তাঁর থেকে ১৫ বছরের বড় খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) বিয়ে করেছেন।তাই না। আচ্ছা মানলাম,কিন্তু তাঁরা ভালো মানুষ ছিলেম,আর আপনি লুইচ্চা,সরি লুচু।

>আজ ছোট বলে,আমার মতো একটা কিউটের ডিব্বা কে লুচু বল্লেন।
>ওই কান্না থামান।আমাকে সাইট দেন।আমি বাসায় যাবো।
>আমার উত্তর টা কিন্তু দিতে হবে।
>কচু।
>I love you
>︻╦̵̵͇̿̿̿̿╤──
>কথাটা মনে রাখবেন? এভাবে কয়দিন রাহাত জান্নাত এর পিছনে ঘুর ঘুর করে। একদিন-

>ওই আমার পিছনে এভাবে ঘুরেন কেন।আমার এলাকার মানুষ খারাপ বলবে আমাকে?
>আই লাভ ইও। ডু ইও লাভ মি?
>কচু।
>ধূর।
>আচ্ছা একটা শর্তে ভালোবাসতে পারি।
>আমাকে বিয়ে করতে হবে।
>হুম।করবো
>আচ্ছা মনে থাকে যেন?

এভাবে হাসি খুনশুটিতে তাদের রিলেশন চলছিল। একদিন জান্নাত এর বাবা তার বিয়ের জন্যে উঠে পরে লাগে।জান্নাত রাহাতের কথা বলে কিন্তু তিনি মানেন নাই।তাই তারা পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। রাতে তারা পালিয়ে যায়।এক বন্ধুর বাসায় উঠে। রাহাত ইন্টারনেট এ UK এর একটা কোম্পানি তে কাজ করতো।আর আপনারা তো জানেনই।আউটসোর্স িং করলে মোটামুটি যথেষ্ট ইনকাম করা যায়। তাই টাকার প্রব্লেম নাই। তো কয়েকদিন পরে তারা একটা ভাড়া বাসায় উঠে। সেখানেই থাকছিল। আর ওইদিকে রাহাত আর জান্নাত এর বাবা-মা তো তাদের খুজতে খুজতে হয়রান।একদিন রাহাত তার বাসায় ফোন দে-

>হ্যালো মা।
>রাহাতের গলা শুনে তার মা যেন পাগল হয়ে যায়।আর কান্না করে বলতে থাকে।কই তুই বাবা,আমাদের ফেলে কই আছিস? রাহাত?

মাঃকিরে কথা বল?(কান্না করে করেরাহাতঃআমি এইতো আছি কোনো এক জায়গায়?তোমরা কেমন আছো??

মাঃবাবা তুই যেখানেই আছিস ফিরে আয় আমরা তোকে ছাড়া ভালো নেই বাবা ফিরে আয়?

রাহাতঃসেটা আর সম্ভব না।যখন আমি জান্নাত এর কথা বলেছিলাম তখন তুমরা রাজি হওনি আর এখন আমর.?

মাঃহুম জানি পালিয়ে বিয়ে করেছিস?আমরা বাবা তোদের মেনে নিবো,কিন্তু তুই ফিরে আয়? রাহাত কিছু বলতে যাবে তার আগেই জান্নাত রাহাতের কাছ থেকে ফোনটা ✆ নিয়ে নেয়।তারপর কান্না করে বলতে থাকে–

জান্নাতঃমা।আমরা কি ভালো আছি তোমাদের ছাড়া কিন্তু যাবো কিভাবে সেখানে আমার বাবা আছে আর তিনি আমাদের কখনো মেনে নিবে না?

মাঃনা।না আমরা কথা বলবো তোর বাবার সাথে,তবু্ও তোরা ফিরে আয়

জান্নাতঃপরে যদি অন্য কিছু হয়,তাহলে কি করবা তোমরা??

মাঃবলছি তো।কিছু হবে না? ফিরে আয় তোরা।

জান্নাতঃলাভ ইও মা ।আমরা আজই ফিরে আসছি?

মাঃঠিক মতো আসিস? তারপর তারা ফিরে আসে আর ফিরলে পরে প্রথম প্রথম জান্নাত এর বাবা কেমন করলেও পরে তিনি মেনে নেন রাহাত এর মা বোঝানোর পরে এই ছিল ফ্ল্যাশব্যাক। বর্তমানে-

জান্নাতঃএভাবে জড়িয়ে আছো কেন?

রাহাতঃইচ্ছে হইছে তাই।তাতে তোমার কি?

জান্নাতঃহুম।বুঝলাম আমার কিছু না,কিন্তু পরে তো এই জড়িয়ে ধরা থেকে আরও কতো কিছু করে ফেলো। আসলে তোমাকে আমি ঠিকই বলেছিলাম যে তুমি একটা লুইচ্চা সরি লুচু

রাহাতঃআচ্ছা।তোমার কাছে লুচু থাকবো না আর এখন থেকে পাশের বাসার আলিয়া এর পিছনে ঘুড়বো।আর পরে….

জান্নাতঃকিইই বললি ।আজ তোর একদিন কি আমার একদিন? । এই বলে রাহাত এর গলায় ধরে চাপতে থাকে আর বলতে থাকে-

জান্নাতঃতুই যখন আমার না,তাহলে অন্য কারো হতে দিবো না তাই।গলা টিপে মেরে ফেলবো

রাহাতঃআরে ছাড়ো ছাড়ো লাগছে তো ।

জান্নাতঃলাগুক। তাতে আমার কি,তোকে মেরে ফেললে তুই আর কারো হতে পারবি না।রাহাতঃআরে আমি তো ফাজলামি করছিলাম ।আচ্ছা সরি সরি।

জান্নাতঃমনে থাকে যেন?

রাহাতঃহুম একটু পর জান্নাত রাহাতের কাছে আসতে আসতে শুরু করে-

রাহাতঃতুই আমার দেহ পাবি,কিন্তু ম্ন পাবি না ,আমার মন শুধু আলিয়া এর জন্যে

জান্নাতঃআবার??

রাহাতঃআরে সরি।সরি মজা করছিলাম ।

জান্নাতঃএরকম মজা আর করবা না,আমার একদম ওই আলিয়া কে সহ্য হয় না আচ্ছা ঠিক আছে আর বলবো না এই কথা বলে জান্নাত কে জড়িয়ে ধরে।

জান্নাতঃআরো শক্ত করে ধরো,যাতে তোমাতে মিশে যেতে পারি।

রাহাতঃতাই।

জান্নাতঃহুম

রাহাতঃআচ্ছা ধরছি এই কথা বলে জান্নাতকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। এভাবেই চলতে থাকুক তাদের দুষ্ট মিষ্টি ভালোবাসা।

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত