ছেলের পথ চেয়ে এক মা

ছেলের পথ চেয়ে এক মা

সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে বাবার কবরে জিয়ারত করল আলাউদ্দিন। ঘরে এসে নাস্তা করে মাকে সালাম করে বেড়িয়ে পড়লো আলা।মা তো মা দুরচিন্তা যেনো তার কাঁঠেনা।কথা বলতে বলতে মা আলাকে রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দিলো।মাকে আরো একবার একবার জড়িয়ে ধরলো আলা।এবার পিঁছন ফিরে আর থাঁকায় না আলা।চলতে শুরু করলো অচেনা এক চাকরির খুঁজে। বাবা নেই,খুব কষ্টের সংসার, পরিবারের সদস্য প্রায় ৬জন।অনেক কষ্ট করে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেছে সেই।এবার ডিগ্রিতে এডমিশন নিয়েছে।তবে ভাগ্য তারা সাথে নৃত্য নতুন রঙ্গের খেলা খেলতেছে।

আলাউদ্দিন এর কাছে খবর আসছে একটি জুস কোম্পানিতে কিছু সংখ্যক লোক নিয়োগ নিচ্ছে।সেটার আশায় সেই পাড়ি দিলো অচেনা শহরে। সকাল বেলায় একটা বেলা বিস্কুট দিয়ে চা খেয়ে বেড় হয় আলা। এখন বেলা ১২টা বাজে কিন্তু আলার কোনো খুঁজ নেই।আলার কাছে কোনো মোবাইল নেই তাই মা তাকে কল দিতে পাড়তেছে না। আলাউদ্দিন বেলায় ৯টার আগে এসে হাজির হয়েছে। অফিসের এক কর্মকর্তা তাকে বাহিরে অপেক্ষা করতে বলছে।তাই সেই গেইটের বাহিরে অপেক্ষা করতেছে।কিন্তু ১২টা বেঁজে গেলো থাঁকে এখনো ডাঁকা হলো না।

খিদার জালায় চটপট করতে লাগলো আলা।গা দিয়ে ঘাম ঝড়তে লাগলো।গায়ের জামাটা প্রায় ভিঁজে গেছে।চেহেরাটা প্রায় কালো কালো হয়ে গেছে।দুপুর ১টা বেঁজে গেছে।মসজিদে আযান হচ্ছে।অনেক অপেক্ষার পড় চিন্তা করলো নামাজ টা পড়ে আসি।সেই ওযু করার সময় পেট ভরে পানি খেয়ে নিয়েছেন।পকেটে অল্প টাকা আছে তার যা গাড়ি ভাড়া দিতে হবে। নামাজ পড়ে এসে আবারও অপেক্ষা করতে লাগলো।এদিকে মা তার আলার জন্য চিন্তা করতেছে।নামাজ পড়ে আলার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেছে। দুপুর পেরিয়ে চলল কিন্তু আলা কিছুই খায়নি।

দারোয়ান কে জিঙ্গাসা করলো। সাহেব কি এখনো ফ্রি হয়নি। না হয় নাই।আছরে আযান হলো সেই নামাজ পড়ে আবারও গেইটের বাহিরে দাড়িয়ে আছে। সিসি ক্যামেরাতে সব দেখতে পাচ্ছেন সাহেব।সেই কিছু গুরুত্ব পূর্ণ্য কাগজ নিয়ে দাড়িয়ে আছে। সন্ধ্যায় নেমে আসলো প্রায়, মায়ের চিন্তার প্রহর বাঁড়তে লাগলো।কোন সকালে আলা বেড় হয়েছে।এখনো কোনো খবর পাইনি। একদিকে বড় সাহেব আলাকে ডাঁকা পাঠালো।সেই অফিসে ডুকার সাথে সাথে আযান দিলো।তাই নামাজ পড়তে চলে গেলো আলা।নামাজ পড়ে অফিসে আসলো আলা।এদিকে সাহেব অপেক্ষাতে আছে।

MY I COMEING SIR,,,,,
YES COMEING,,,,

নাম কি তোমার? সাহেব আলাউদ্দিন।হুমমম! কাজ কেনো করতে চাও? সাহেব সকাল ৯টা থেকে অপেক্ষা করতেছি আপনার সাথে দেখা করার জন্য।শুনেছি আপনার কোম্পানিতে কিছু সংখ্যক লোক নিয়োগ নিচ্ছে। তাই আমি এসেছি। সাহেব বাবা নেই সংসার মায়ের পক্ষে এগিয়ে নেওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।তাই যদি আপনার কোম্পানিতে কোনো একটা পদে ব্যবস্থা করে দিতেন সাহেব। হঠাৎ সাহেব হেঁসে উত্তর দিলেন আমি তোমাকে সেই সকাল থেকে দেখতেছি।তোমার ধৈর্য্য, এবং সততা দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি।যাও তোমাকে একটা চাকরি দিয়ে দিলাম। এশারের আযান দিয়েছে।সাহেব আর আলা দুজনে সাহেবের অফিসে নামাজ আদায় করে নিলো।নামাজ শেষে আলাকে job Joined letter দিলো সাহেব।

এদিকে মা চিন্তায় চিন্তায় কান্নাকাটি শুরু করলো।বাড়িতে লোক জন জড় হয়ে গেলো।কোন সকালে আলা বেড়িয়েছে কিন্তু কোনো খবর নেই।রাত দশটা পেরিয়ে চললো।গেলো কোথায় আলা।সারা দিন কি খেয়েছে আলা আমার। আলা বাড়িতে আসার পথে। বাসে করে সেই বাড়িতে ফিরতে লাগলো।এক দিকে আলা খিদার যন্ত্রণায় ভোগতেছে অন্যদিকে মনে আনন্দের প্রহর নেমেছে।রাত প্রায় ১২টা বাড়ির পাশে পাশি এসেছে সেই।মা লোক জন নিয়ে রাস্তায় এসে দাড়িয়ে রয়েছে।আর অপেক্ষার প্রহর গুণতে লাগলো। হঠাৎ আলার শব্দ শুনে মা এগিয়ে গেলো আরো কিছুটা পথ।অবশেষে মায়ের দেহে যেনো প্রাণ ফিরে আসলো।

মাকে জড়িয়ে ধরে খুশি সংবাদটি দিলো মা আমার চাকরি হয়েগেছে।মায়ের মুখে সেই স্বর্গে হাঁসি ফুটিয়ে উঠেছে।অনেক ক্ষণ জড়িয়ে ধরে খপালে, মুখে চুমু দিতে লাগলো আলা মা আলা কে।এবার যেনো দু’জনের অপেক্ষার প্রহর টা শেষ হয়েছে।সততা, ধৈর্য্য যেনো আলাকে দুনিয়াতেই স্বর্গ উপহার দিয়েছে।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত