বার্তা

বার্তা

তখন মধ্যরাত। স্বামীকে কাছে পাবার আকুলতায় তানহা কাতর। কিন্ত রিয়াদ তানহার আবেদনে কোন সাড়াই দেয়নি। সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে সে বেলকনির দিকে এগিয়ে যায়। পিছু ডাকতে হাত বাড়িয়েও তানহা আর ডাকলোনা। নিজেকে সামলে নিলো সে। বিছানায় ছড়িয়ে দেয়া শাড়ীটাকে টেনে সে এবার গুছিয়ে নেয়। ততক্ষণে তানহা বুঝতে পেরে যায় রিয়াদ আর তার নেই। তার প্রতি আর কোন ফিলিংস আসেনা রিয়াদের। রিয়াদ আরেকটি বিয়ে করার বিষয়ে কিছুদিন আগেই আভাস দিয়েছিলো তাকে। ভাবতে লাগলো তানহা, ‘তবে কি রিয়াদ দ্বিতীয় বিয়ে করতে বদ্ধপরিকর?’ কিন্ত এতে তানহার মত নেই। সে চায়না তার স্বামীতে দ্বিতীয় কোন নারী এসে ভাগ বসাক। তার একটাই কথা, ‘আমি যেমনই হই, স্বামী যেন আমাকে নিয়েই রাজি আর খুশি থাকে।’

দুজনের বিয়ে হয়েছে আগামী মাসের ছয় তারিখে সেটা সাত বছরে পূর্ণতা পাবে। এতবছর কেটে গেলেও এখনো ঘর আলো করে কোন সন্তান আসেনি তাদের। এজন্য রিয়াদ বরাবরই তানহাকে দোষারোপ করে এসেছে। পাড়া প্রতিবেশীর এর ওর থেকে নানান কটুকথা শুনে অপমানিত হয়ে সে রাগ মেটানোর জন্য বেশ কয়েকবার তানহার গায়ে হাতও তুলেছে রিয়াদ যা কিনা কখনো আর কোনভাবেই কাম্য নয়। রিয়াদের বিশ্বাস, সে পুরুষ হিসেবে সক্ষম। তার মতে, সন্তান না হওয়ার সকল দায় ও ব্যর্থতা এককভাবে তানহার। এজন্য সে আরেকটি বিয়ে করতে চায়। এদিকে পায়চারি করতে করতে মনে পড়লো তার কলেজ জীবনের এক বন্ধুর কথা। ঐ বন্ধুর এক চাচাতো বোন ছিলো বেশ সুন্দরী। রিয়াদ দেখেছিলো ঐ মেয়েটিকে একবার। ভাবলো, ‘দেখি তো খবর নিয়ে মেয়েটির বিয়ে হয়েছে কিনা।’ কল দিলো জামিলের নম্বরে। কয়েকবার রিং হওয়ার পর ফোন রিসিভ করে জামিল।ওপাশ থেকে কিছুটা বিরক্তির স্বরে জামিল,

-কিরে, এত রাতে কল দিলি যে? রিয়াদ,
-আরে শোন দোস্ত, কলেজে আমাদের বিদায়ী অনুষ্ঠানের দিন তোর সাথে যে মেয়েটিকে নিয়ে এসেছিলে ওর কি বিয়ে হয়ে গেছে? জামিল রেগে গিয়ে বললো,
-তুই এই মাঝরাতে আমাকে কল দিয়েছিস ওই মেয়ের বিয়ের খবর নিতে? রিয়াদ,

-আরে ক্ষেপে যাচ্ছিস কেন? বলনা মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে কিনা? জামিল,
-না, হয়নি এখনো। তবে কিছুদিনের মধ্যেই হয়ত হয়ে যাবে। কেন?রিয়াদ,
-না, এমনি। মেয়েটিকে কোথায় পাবো রে? জামিল,

-ও এখন মেডিকেলে পড়ছে। শুনেছি, বেশ কয়েকটি ভালো সম্বন্ধও এসেছে। কিন্ত তুই এতসব জিজ্ঞেস করছিস কেন? রিয়াদ এবার ফোনটা রেখে দিলো। জামিলের প্রশ্নের আর কেন উত্তর দিলোনা সে। চলে আসলো রুমের ভেতর। তানহা কাচুমাচু হয়ে বসে আছে। তানহাকে উদ্দেশ্য করে এবার রিয়াদ বললো,

-কি ব্যাপার, এখনো বসে আছো যে! আমি কিছুদিনের মধ্যেই দ্বিতীয় বিয়ে করবো। তাতে কেউ খুশি হোক বা না হোক সেসব দেখার বিষয় আমার নয়।

কথাগুলো বলতে বলতে রিয়াদ কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়ল। হাতে থাকা সিগারেটটি এখনো শেষ হয়নি। আরো টান দুয়েক দিতে হবে। অধিকাংশ মেয়েলোকই সিগারেটের ধোঁয়া সহ্য করতে পারেনা। রিয়াদের মতো এমন বহু স্বামীই স্ত্রীকে পাশে রেখেও সিগারেট টানে। এতে তাদের পুরুষত্ব প্রকাশ পায় নাকি পশুত্ব সেটা নিয়ে আমার যথেষ্ট সংশয় রয়েছে মনে। তানহা সিগারেটের ধোঁয়া কয়েক মুহুর্ত দম চেপে সয়ে গেলেও এবার আর পারলোনা। হাঁছি দিয়ে উঠলো। এরই মধ্যে রিয়াদ কিনা কি যেন ভেবে ফেললো। তানহাকে উদ্দেশ্য করে বললো,

-কাল দুপুরে রেডি হয়ে থেকো তো, ময়মনসিংহ থেকে একজন ডাক্তার আসবেন। উনার সাথে দুজন গিয়ে দেখা করে আসবো। আলোর মুখ হয়ত আমরা দেখতেও পারি তাতে।

তানহা শুধু চুপচাপ কথাগুলো শুনে গেলো। কোন উত্তর দিলোনা। সে খুব সহজেই বুঝতে পেরে যায়, তাকে সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম প্রমাণ করতেই রিয়াদের এই চাল। আর যদি এমনটি প্রমাণ হয়ে যায় তবে, এরপর আর চাইলেও সে রিয়াদকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে আটকাতে পারবেনা সে। বিষয়গুলো ভাবতে ভাবতে তানহার চোখের পানি বেয়ে পড়ে। পৃথিবী সেটা টেরও পায়না। কারণ, তানহাদের চোখের পানি পৃথিবীর দেখতে মানা। রিয়াদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। আজকে সে তানহাকে প্রমাণ করে দিবে যে, নিজেদের সন্তান না হওয়ার জন্য তানহাই দায়ী। দুপুরের দিকে ডাক্তারের সাথে দেখা করতে যায় দুজন। আগে থেকেই সিরিয়াল দেয়া ছিলো। এবার চেম্বারে ঢুকে ডাক্তারের সামনাসামনি হয় ওরা। ডাক্তার,

-হ্যা, বলুন আপনাদের সমস্যাটা কি। রিয়াদ,

-আসলে মেডাম, আমাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় সাত বছর। অথচ, এখনো আমাদের কোল আলোকিত করে কোন অতিথি এলোনা। এজন্যই পরামর্শ নিতে আপনার কাছে আসা। ডাক্তার,

-আসলে দেখুন, “একটি পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সেতুবন্ধন হচ্ছে সন্তান। সন্তান না থাকলে স্বামী-স্ত্রী একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর যেমন দু:শ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তেমনি সামাজিক ভাবেও নানা ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়। সেজন্য নিরবিচ্ছিন্ন ও হেলদি সম্পর্কের জন্য পরিবারে সন্তান কাম্য। কিন্তু নানা কারণে আমাদের সমাজে সন্তান ধারণ ক্ষমতা হারাচ্ছেন নারী। সন্তান না হওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষও কম দায়ী নয়।” ডাক্তারের মুখে কথাগুলো শুনে এবার নড়েচড়ে বসলো রিয়াদ। তারমানে, সন্তান না হওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষেরও দায় থাকতে পারে! অনেকটাই অবাক হলো সে। এবার ডাক্তারকে সে বললো,

-এক্ষেত্রে, নারী আর পুরুষের কি কি সমস্যার কারণে সন্তান না হওয়ার ঝুঁকি থাকে? ডাক্তার,
-শুনুন,

“আমরা যদি বন্ধ্যাত্বের কারণ খুঁজতে যাই তাহলে প্রথমে দেখতে হবে সন্তান কীভাবে জন্ম নেয়। একজন মেয়ে শিশুর প্রথম দিকে ডিম্বানুর পরিমাণ থাকে দশ থেকে বিশ লাখ। ধীরে ধীরে সেই শিশু যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয় বা মাসিকের সময় হয় (আমাদের দেশে মাসিকের সময় দশ থেকে চৌদ্দ বছর।) তখন মেয়েদের ডিম্বানুর পরিমাণ থাকে চল্লিশ হাজার। বাকি ডিম্বানুগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এই সময় (১০-১৪ বছর) থেকে ৫২ বছর বা আরও নির্দিষ্ট করে বললে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে বিপুল সংখ্যক ডিম্বানু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রাপ্তবয়স্ক নারীর। শুধু মাত্র একটি ডিম্বানু প্রতি মাসে পরিস্ফুটন হয়। এই মাসিকের সময়টা হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ দিন। ১৩ বা ১৪ তম দিনে ডিম্বানু ফুটে। সেটা তখন ডিম্বনালীতে আসে। যদি সে বিবাহিত হয় তাহলে স্বামীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর শুক্রানুর সঙ্গে নিষিক্ত হয়। তখন জাইগোট তৈরি হয়।

সেটি পরে জরায়ুর ভেতরে ঢুকে। জরায়ুকে আকড়ে ধরে ভ্রুন তৈরি হয়। ভ্রুনটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে মানব শরীরে রূপ নেয়। সেটি প্রসবের মাধ্যমে পৃথিবীতে আসে। এভাবে জন্ম নেয় মানব শিশু। এটি হচ্ছে সন্তান জন্ম দেওয়ার স্বাভাবিক পদ্ধতি। আমি আমার অধিকাংশ রোগীর বেলায় দেখি ডিম্বানু বড় না হওয়া। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় Polycystic Ovarian Syndrome- এই জিনিসটা হয়। এছাড়া থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে বা Prolectine হরমোন বেড়ে গেলে ডিম্বানু পরিষ্ফুটন নাও হতে পারে বা বড় নাও হতে পারে। এছাড়া এন্ড্রোমেট্রোসি স্ট-এর কারণেও অনেক সময় ডিম্বানু বড় না হওয়া বা পরিষ্ফুটন না হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। আরেকটি বিষয় হলো- মানবদেহে যেসব প্রজননতন্ত্র আছে- জরায়ু, জরায়ুর দুই পাশে ডিম্বনালী আছে তার নিচে আছে মাসিকের রাস্তা বা যোনিপথ। যদি কারো ডিম্বনালীতে সমস্যা থাকে বা বাধা থাকে সেক্ষেত্রেও স্বাভাবিক সন্তান ধারণে সমস্যা দেখা দেয়।

বাধাটা প্রধানত হয় ইনফেকশন থেকে। ইনফেকশনের কারণে কারো ডিম্বনালী যদি কেটেই ফেলা হয় বা কারো যদি টিউমার লাইগেশন করে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে স্বামী- স্ত্রী মিলন করলেও ডিম্বানু নিষিক্ত হবে না। এবার আসা যাক জরায়ুর ক্ষেত্রে। জরায়ুতে টিউমার হতে পারে। এর ফলে যদি কোনো সমস্যা হয় ভ্রুণটা যদি জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা সুযোগ না থাকে, বা জরায়ুর চামড়া যদি কোনো কারণে পাতলা হয়, তাহলে ভ্রুণ সেখানে প্রতিস্থাপন হবে না। তখন ওই নারী সন্তান ধারনে অক্ষম বলে বিবেচিত হবেন। এবার আসা যাক জরায়ুর মুখের সমস্যায়। ইনফেকশন হয়ে যদি কোনো সমস্যা হয়, জরায়ুর মুখ যদি সংকীর্ণ হয়, যদি বীর্য কোনো কারণে জরায়ুর মধ্যে প্রবেশ করতে বাধা পায়, তাহলেও সন্তান লাভ করতে পারে না।

সবশেষে আসা যাক যোনীপথের কথায়। যোনী পথ যদি বাঁকা থাকে, যোনী পথে যদি কোন ধরনের পর্দা থাকে বা যোনীপথের মুখে যদি কিছু থাকে তাহলে স্বামী স্ত্রী সহবাস করতে পারেন না। বা কোনো কারণে যদি স্পার্ম জরায়ুতে না ঢুকতে পারে তাহলেও সন্তান হবে না। প্রজননতন্ত্রের আশপাশে যদি কোনো সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে বাচ্চা হতে বাধা সৃষ্টি করে। আর কখনো কখনো সন্তান জন্ম না নেওয়ার পেছনে কোনো কারণ-ই থাকে না। অর্থাৎ স্বামী- স্ত্রী কারো কোনো সমস্যা নেই, দু`জনেই সুস্থ এরপরও সন্তান গর্ভে আসে না, এমন ঘটনা ঘটতে পারে। শতকরা ১০-১৫ ভাগ ক্ষেত্রে এমনটি ঘটে থাকে।”

ডাক্তারের মুখে একটানা এতগুলো কথা শোনার পর রিয়াদ মনে মনে ভাবতে থাকে, ‘এরা এত নির্লজ্জ হয় কি করে? এতসব বাজে বাজে কথা কি করে অকপটে বলে দিচ্ছে?’ এমনসব প্রশ্ন রিয়াদের মাথায় আসে। অথচ, মূর্খ রিয়াদ এটা বুঝতে চায়না যে, যা সত্য এবং অতি আবশ্যক তা জানতে বা জানাতে কোন লজ্জা পাওয়া উচিৎ নয়। এমনকি তা নিয়ে আলোচনা করতেও লজ্জা পাওয়া ঠিক নয়। তানহা চুপচাপ বসে আছে। নিচের দিকে তাকিয়ে আছে সে। হয়ত এতক্ষণে অশ্রুতে তার বক্ষ ভেসে গেছে। গেলেই বা তাতে কি? রিয়াদের কি আর সে সময় বা মনমানসিকতা আছে স্ত্রীর মন বুঝার! ডাক্তার বললো,

-আর পুরুষের সমস্যাগুলো হচ্ছে এটুকু শুনে এবার রিয়াদের গলার স্বর নিচে নেমে গেল। বললো,
-জ্বী মেডাম বলুন!ডাক্তার বলতে লাগলো,
-আসলে,

“পুরুষের শারীরীক সমস্যার জন্যও সন্তান জন্ম না নিতে পারে। এবার পুরুষের সমস্যাগুলো নিয়ে বলি। পুরুষের শুক্রানু যদি না থাকে বা শুক্রানু যদি কম থাকে, যদি তাদের সহবাসে কোনো সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে সন্তানের জন্ম হবে না। নানা কারণে পুরুষের শুক্রানু নষ্ট হয়। পুরুষরা অনেক সময় গরমে কাজ করেন। বিশেষ করে যারা মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন, তাদের প্রচুর গরমে কাজ করতে হয়। গরম পানিতে গোসল করলে বা নাইলন আন্ডাওয়্যার পড়লেও শুক্রানু নষ্ট হয়।

ছোট বেলায় কারো যদি মামস হয় বা লিঙ্গ ও অন্ডকোষ বা তার আশপাশে যদি কোন অপারেশন হয়, বা সিফিলিস গনোরিয়া জাতীয় কোন যৌন রোগ হয়- সেক্ষেত্রে শুক্রানু নষ্ট হতে পারে। আবার অনেকে নানা ধরণের ওষুধ খান। যেসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা হারাতে হয়। তবে অনেক সময় অজানা কারণেও স্বামী স্ত্রী সন্তান গর্ভধারন বা জন্মদানের ক্ষমতা হারাতে পারেন।” এবার বলুন, এগুলোর মধ্যে আপনাদের কার কোন সমস্যা রয়েছে?

রিয়াদ এবার চুপসে যায়। চোরের মন পুলিশ পুলিশ বলে একটা কথা আছে। তারই প্রতিফলন ঘটে। রিয়াদ খুব ভালো টের পেয়ে যায় তার সমস্যার কথা। আর এটাও টের পায় যে, ডাক্তারের বলা সমস্যাগুলোর একটিও তানহার মধ্যে নেই। আর কিছুক্ষণ থাকলে পরে না নিজের সব দোষ ফাঁস হয়ে যায় সেই ভয়ে তানহাকে নিয়ে এবার তড়িঘড়ি করে ডাক্তারের চেম্বার ত্যাগ করতে উদ্যোত হয় রিয়াদ। বেরিয়ে আসবে এমন সময় ডাক্তার পেছন থেকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন,

-চলে যাচ্ছেন যে! সমস্যা কি চিহ্নিত হলো আপনাদের? রিয়াদ এবার পেছন ফিরে অনেকটা তাচ্ছিল্যের স্বরেই ডাক্তারকে উদ্দেশ্য করে বললো,

-রাখুন আপনার সমস্যা! অযথাই আটশো টাকা দিয়ে কতগুলো আজেবাজে কথা শুনে গেলাম আপনার থেকে। এসব ব্যবসা ছাড়ুন! মানুষের সাথে ভালোভাবে কথা বলতে শিখুন! চললাম। কথাগুলো বলে তানহার হাত টেনে ধরে রিয়াদ বলে উঠলো,

-এই চল তো! এই সাত বছর তো কেটেই গেলো আগামী সত্তর বছরে আর সন্তান না হলেও এসব আজেবাজে ডাক্তারদের দ্বারস্থ হবো না আর। এসময় তানহার চোখের দুফোটা পানি রিয়াদের হাতে পড়ে যায়। তবে তাতে কি! রিয়াদ যে বেখবর। সে যে তার স্বীয় দোষ ঢাকতে ব্যস্ত।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত