নাহ্, অনেক চেষ্টা করেও একটা চাকরি জোগার করতেই পারলাম না। অনেক মানুষের হাতে পায়ে ধরেও কাজ হল না। আর এই জন্যই আর কিছুক্ষণের মধ্যে আমি আমার কলিজা টি হারিয়ে ফেলতে যাচ্ছি!! ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কেউ আমার বুকে থাবা মেরে। আজ শান্তার বিয়ে। ওকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল বুকে আমার। ইচ্ছে ছিল সারাজীবন একসাথে একি পথ হাঁটবো। কিন্তু আমার সব সপ্নের মাঝে এক বাজ পাখি এসে থাবা মেরে আমার বুক ক্ষতবিক্ষত করে আমার জান টা নিয়ে যাচ্ছে!!খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু রাস্তায় যে অনেক মানুষ!
ও আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই। আমি আদনান। এবার বি সি এস এ অ্যাডমিশন নিব। বাবা নেই। পরিবার বলতে এক অসুস্থ মা আর দুষ্টু একটা বোন। আমার টিউশনের টাকা দিয়েই সংসার চলে। শান্তার সাথে আমার ৭ বছরের সম্পর্ক। কিন্তু সেই সম্পর্কের মায়াজাল ছিন্ন করে চলে যাচ্ছে সে। বি করব বুঝে উঠতে পারছি না। সোজা চলে এলাম শান্তাদের বাসায়। ওদের বাসা তো বাসা নয় যেন রাজমহল। ওর বাবা মস্ত ব্যবসায়ী। আজ বিয়েতে আরো সুন্দর করে সাজিয়েছে, দেখার মত। চুপিচুপি শান্তার রুমে গেলাম। ওকে সাজানো হচ্ছে বউয়ের সাজ এ। এত্ত সুন্দর লাগছিল যেন বেহেশতের হুর। ওকে দেখে চোখ কে আটকাতে পারিনি
-শান্তা……
– তুমি? এখানে কি? দেখছো না আমার বিয়ে? তবুও আসছো কেন?
– প্লিজ বিয়ে টা করো না শান্তা(কেঁদে কেঁদে)
– আচ্ছা, তো কি করবো শুনি?
– আমি তোমাকে অনেক ভালো রাখবো দেখিও
– হা হা হা। কি বললা?, তোমার ওই ভাঙা বাড়িতে ভাল রাখবা? খাওয়াবে কি? নিজেই তো ঠিক মত খেতে পারো না।
– তুমি এভাবে বলছো?
– আদনান বাস্তবে ফিরে আসো।
এই ৭ বছর তোমার সাথে ছিলাম। কি পেয়েছি আমি? উল্টা দিয়ে এসেছি। ভেবেছি তুমি ভাল ছাত্র কিছু একটা করবে। কিন্তু যেই লাউ সেই কদু। আমার জামাই মস্ত বড় ব্যবসায়ী, ঢাকায় ৫টা বাড়ি। বাইরে তো আরো বেশি। আর তোমার? হুহ, চলে যাও। আর যাওয়ার আগে চোখের রঙিন চশমা টা খুলে রাখ।
– এই ৭ বছর কি নাটক ছিল শান্তা?প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেও না(পা ধরে)
– এই কি করছো কি? আব্বু …আব্বু…
ওর আব্বু চাচা সবাই এসে মারতে মারতে আমাকে তাড়িয়ে দিল অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে। বাড়িতে অনেক মানুষ তাই নাকি গায়ে হাত তুলে নাই। খুব হাসি পাচ্ছে আমার,, কারন আমি যখন শান্তা কে বলতাম, আমার তো কিছুই নেই, কি খাওয়াবো তোমাকে?রাখবো কোথায়? শান্তা তখন আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতো, তোমার বাসা অনেক ছোট্ট হতে পারে কিন্তু তোমার ভালবাসায় আমার কাছে ঐ বাসা প্রাসাদ মনে হবে। সারাদিনে তুমি যা খাবে তাই খাবো!
এই কথাগুলো বলা শান্তা আজ কত্ত চেন্জ হয়ে গেছে। ভাবতেই অবাক লাগছে । পকেটের কোনায় একটা ১০ টাকার নোট পড়ে আছে। দোকান থেকে ৩টাকা দিয়ে একটা ডার্বি সিগারেট নিয়ে ধুমা উড়িয়ে কষ্ট কমানোর চেষ্টা করছি। এমন সময় গালে একটা থাপ্পর পড়ল খুব জোড়ে! চোখ তুলতেই দেখি কাল নাগিনী! ওহ্ সরি শান্তার খালাতো বোন সুমি। আমার দিকে চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে। ওকে আমি বাঘের মত ভয় করতাম। তাই কাল নাগিনী বলে ডাকি
– কাল নাগিনী তুমি?
– আর একবার বলছো তো আরো থাপ্পর খাবা
– (ভয়ে ভয়ে) তুমি এখানে?
– খুব দেবদাস সাজা হচ্ছে না? ওঠো রিক্সায়। আমি বাধ্য ছেলের মত উঠলাম। না উঠে কি কোন কাজ আছে? হুদাই থাপ্পড় খাওয়ার কোন ইচ্ছা নেই আমার
– আর কখনো যদি সিগারেট নিতে দেখি এমন থাপ্পড় দিবো
-থাক থাক আর বলতে হবে না। আমরা যাচ্ছি কোথায়?
– তোমার বাসায়। তোমার আম্মু আর বোন খুব টেনশন করছে, রাত বাজে ১২টা আর দেবদাসগিরি না?
– ভালবাসায় যে অন্ধ ছিলাম, চোখে ছিল রঙিন চশমা!
– থাক আর কবি হতে হবে না। বাসায় এসে গেছি। নামো
নেমে ঘরে ঢুকলাম। আম্মু তো ঝারি মারা শুরু করে দিল। আবার সাথে এক সুন্দরি মেয়ে। আম্মু ভেবেছে আমি বিয়ে করে আসলাম!! ছোট বোন টা তো ভাবি ভাবি বলে ডাকতে শুরু করল!! আর আমি? এই নাটকের নিরব দর্শক। সুমি পুরো ব্যপার টা বুঝায় বললো আম্মু কে। আমার কষ্ট দেখে আম্মুও যেন কেঁদে ফেলল।
– উফফ, ক্ষুধা লাগছে, খাইতে দিয়ে কান্না করো তো আম্মু খেতে দিয়ে বাইরে গেল। সুমি বলছে
– তোমার জন্য আমারো খাওয়া হয়নি।
– ওইখান থেকে খাবার নেও। লজ্জা করতে হবে না তো
– এখন আমার হাত নষ্ট করবো? খাইয়ে দেও কি করবো বুঝতে পারছি না। থ মেরে তাকায় আছি
– থাপ্পড়ের দাগ টা এখনো বোঝা যাচ্ছে কিন্তু
– এই নেও নেও। আমি কি বলছি যে দিবো না? দিবো তো নিজেও খাচ্ছি আর ওকে খাইয়ে দিচ্ছি। খাওয়া শেষে ও বাসায় ফোন দিল, বলল আজ বান্ধবির বাসায় আছে বাসায় ফিরবে না! ওকে কিছু বলার সাহস তো আমার নেই। আম্মুকে বলছে…
– আন্টি, রাত অনেক হইছে, বাসায় যাওয়া রিস্ক হয়ে যাবে। আজ আপনাদের বাসায় থাকি?
– কিন্তু থাকবে কোথায়? (আমি)
– কেন তোমার সাথে
– কি?
– হাহাহা,, তোমার আম্মু আর বোনের সাথে থাকবো আমি আর আম্মু তো পুরাই অবাক।
এত্ত বড়লোকের আদুরে মেয়ে, সে থাকবে কিনা আমাদের বাসায়? বড় লোকদের কখন কি ইচ্ছা করে বোঝা মুশকিল। আমার ওগলান বুঝে কাজ নেই বাপু। আমি ঘুমাতে গেলাম। হঠাৎ গায়ে বৃষ্টি পড়ছে? তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠলাম। উঠে দেখি বৃষ্টি নয়, সুমি গায়ে পানি ঢেলে দিছে। আর পিচ্চি বোন টা দাঁত খেচিয়ে হাসছে
– কি মহারাজ? ১২ টা বাজে এখনো ঘুম হ্যাঁ? তারাকারি রেডি হয়ে আমাকে রেখে আসেন।
আমি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে রিকসা করে ওকে রেখে আসতে গেলাম। ওর বাসার কাছে আসতেই বলল কাল বিকালে পার্কে দেখা করবে, আর ভাড়া টা দিয়ে দিতে। রিকসা থেকে নামতেই রিকসা ওয়ালা কে বলল, মামা এই গাধা টা রে বাসায় নেমে দিয়ে আসেন!
বুঝতে পারছি না কি করবো। পকেটে টাকা আছে মাত্র ৭! ভাড়া দিবো কিভাবে? হঠাৎ ফোনে ম্যাসেজ আসলো, ‘মানি ব্যাগ থেকে ভাড়া টা দিয়ে দেও। খবরদার যদি সিগারেট খাইছো তো মানিব্যাগ বের করতেই দেখি দশ হাজার টাকা। খুব নিচু মনে হচ্ছে আমার নিজেকে। ভাড়া দিয়ে বাসায় গেলাম। পরদিন বিকালে পার্কে গেলাম। অনেক্ষণ বসে আছি এখনো নাই ও। ভাবলাম একটা সিগারেট নেই এই সুযোগে!! একটা সিগারেট নিয়ে টান দিছি অমনি সুমি সামনে হাজির! হাতের সিগারেট ফেলে দিলাম! কিন্তু মুখে যে সমস্ত ধোঁয়া। বার করে দিলে তো খবর আছে। তাই আটকে রাখার চেষ্টা করছি
– কখন আসছো?
– অনেক্ষণ হয় বলতেই ধুমা সব বের হয়ে গেল! ঠাসস বুঝলেন এ তো কিসের শব্দ হলো!!চুপচাপ গালে হাত দিয়ে বসে আছি
– তোমার আসার আগে আমি আসছি। আমি শুধু এটাই দেখতে চাইলাম কি করো তুমি। এত করে বললাম তবুও সিগারেট?
– সরি…
– ঠাসসসসসস…
– এটা কেন?
– সরি!!
বুঝলাম আমি পাবো না ওর সাথে। দু’জনে ফুচকা খেয়ে যার যার বাড়ি গেলাম। ক’দিন পর বি সি এস এর পরীক্ষা । পড়ায় মন বসছে না। খেয়ে ঘুমাইলাম। সকালে নাস্তা করে টিউশনে গেলাম। সন্ধ্যায় বাসায় আসে বিছানায় গা ছেড়ে দিলাম পায়ে কে যেন চিমটি কাটলো না??
– আরে তুমি?
– হুম, পড়া বাদ দিয়ে কি করতেছ হ্যাঁ? তোমার পরিবারের কথা ভাব, (সুমি)
– পড়তে ইচ্ছা করছে না
– কিন্তু পড়তে হবেই।
– আচ্ছা পড়ছি।
পড়লাম টানা ১১ টা পর্যন্ত। ও পুরো সময়টা আমার সামনে বসে। পড়া থেকে ওঠার কোন চান্স নাই। পড়া শেষ করে খাইলাম আর ওরে খাওয়ায় দিলাম। তারপর ওরে বাসায় পৌঁছায় দিয়ে এসে ঘুমাইলাম। এভাবে চলতে থাকল। কিছুদিন পর পরীক্ষার দিন এসে গেল, পরীক্ষা, ভাইভা সব দিলাম। বি সি এস এ টিকেও গেলাম। তারপর খুব ভালো রেজাল্ট করে আমি এখন বি সি এস ক্যাডার!! ৭/৮ টা ভাল চাকরির অফার আসলো। পাশাপাশি নামি দামি লোকেরা আমার পিছনে লাইন লাগায় দিল তাদের মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য! কি করব বুঝতে পারছি না।
– কি চাকরি করবি ভাবলি কিছু?(আম্মু)
– নাহ
– মেয়েটা তোকে সত্যি অনেক ভালবাসে
– কার কথা বলছো?
– সুমি
– এগলান ভালবাসা না আম্মু, ওর ইচ্ছা হইছিল তাই এতদিন আমার সাথে বেরিয়েছে
– এত বড় হইছিস আর এখনো কোনটা ভালবাসা আর কোনটা ধোঁকা তাই বুঝলি না। তোর দুর্দিনে ও সব কিছু উপেক্ষা করে তোর পাশে দাঁড়িয়েছে, কেন?
– ব্যপার টা অত সোজা না আম্মু। আচ্ছা আমি আগে সিওর হই।
কল দিলাম সুমি কে। দেখা করতে বললাম। ঠিক সময়ে ও হাজির। শাড়ি পরে আসছে আজ ও। আজ কেন জানি ওকে দেখে বুক টা ধুকধুক করছে। এত্ত সুন্দর লাগছিল, বলার মত না। আসলেই ও অনেক সুন্দর। কিন্তু কখনো ওভাবে তাকাইনাই তো! ওর দিকে তাকিয়ে আছি তো আছি। ও ভীষন লজ্জা পেল। লজ্জায় লাল হয়ে আছে!
– কি ব্যপার স্যার? এভাবে তাকাচ্ছেন কেন?
– নাহ এমনি। বসো, কথা আছে
– (বসলো) বলো কি বলবা
– পড়াশুনা তো শেষ। চাকরি তে ঢুকবো। আর কতদিন বা একা থাকি? বিয়ে করতে চাই।
– তাই? পত্রিকায় নিউজ দেই পাত্রি চাই?
– ধুর ফান করো না। সিরিয়াস হও
– আচ্ছা। পত্রি দেখবো?
– না
– পাত্রি আর কি দেখবা? যতগুলান লাইন তোমার পিছনে!!
– আমি একজন কে খুব ভালবাসি
– কাকে?
– তোমাকে
– হোয়াট?
– হুম। বিয়ে করতে চাই তোমাকে
– জাষ্ট শাট আপ আদনান। তোমার মাথা ঠিক আছে?
– কেন?
– কিছু বছর তোমার সাথে কাটাইলাম ,
আর সে জন্য তুমি ভালবেসে ফেললা? এই কথা বলার সাহস হলো কি করে তোমার? ছিঃ!! একটা মেয়ে তোমার সাথে ভাল ব্যাবহার করলো তাই তুমি তাকে নিয়ে এগলান ভাববে? ছেলেদের এই একটা সমস্যা। নোংরা ছেলে
– কথাটা এভাবে না বলতেও পারতে। আচ্ছা ক্ষমা করে দিও
– চুপচাপ চলে যাবা, আর কখনো এই চেহারা দেখাবা না আমাকে।
আয়নায় দেখছো নিজেকে কখনো? আসছে আমাকে বিয়ে করতে। শান্তা আপু ঠিক এ করছিল তোমার মত বেয়াদব কে রিজেক্ট করে কি আর বলবো? নিজের অজান্তে কেঁদে ফেললাম। ভুল করছি অপমান তো সহ্য করতেই হবে। চুপ চাপ চোখ মুছে উঠে আসছি, এমন সময় শার্টের কলার টেনে ধরে টান দিল কে জানি। সাথে সাথে গালে খুব জোড়ে থাপ্পড় পড়ল! খাপ্পড়ের চোটে চোখ ঘোলা হয়ে গেল। চোখ ঘুচলায় তাকাইলাম, সুমি কাঁদছে। অমনি জড়িয়ে ধরলো আমাকে।
– কেন বোঝনা তুমি? আমি এত্ত ভালবাসি কোনদিন ও বুঝতে পারোনি তুমি?
– তাহলে এতক্ষন যা বললা?
– দেখলাম তুমি কি করো। কেন আমাকে একটা থাপ্পড় দিয়ে বলতে পারলা না যে বিয়ে করবো তোমাকেই? ভালবাসার জোড় দেখাতে পারলা না?
– আমি তো ভাবছিলাম তুমি সত্যি বলছো। আচ্ছা একটা কথা বলো তো
– কি?
– এত জোড়ে থাপ্পড় মারো কিভাবে? জানো দাঁত নড়তেছে আমার?? বলতেই আমার ঠোঁটে সে লম্বা একটা কিস করলো!
– এখনো ব্যাথা আছে কি?
– নাহ্, তুমি তো হেব্বি ম্যাজিক জানো! প্লিজ আর একটা দেও
– আর একবার এই কথা বললে আবার থাপ্পড় খাবা। বিয়ের আগে এগলান কিচ্ছু হবে না
– তাই? তাহলে চলো আজকেই বিয়ে করবো। আম্মুকে পাঠায় দিচ্ছি তোমার বাসায়
– মি. বি সি এস ক্যাডার,, অলরেডি আমি আমার আম্মু আব্বু কে তোমার বাসায় পাঠায় দিছি, বিয়ের কথা বলার জন্য?
– তাই? আমার বউ টা কো হেব্বি এ্যাডভান্সড! আচ্ছা কি জব করবো বলো তো?
– তুমি এ এস পি তে জয়েন করো। আমার পুলিশ খুব ভালো লাগে!!
– ওক্কে রাণী সাহেবা । এখন চলেন তারাতারি বিয়ে করবো। আমি আর থাকতে পারছি না?
– পাগল একটা!
বাসায় আসতে না আসতে দেখি বিয়ের জন্য সব কিছু ঠিক ঠাক করে নেয়া শেষ! ভালই হইলো। রেডি হয়ে বিয়ে করে নিলাম! তারপর সুমি কে নিয়ে বাসায় আসলাম। বাসর ঘরে ঢুকে দরজা দিয়ে দৌড়ে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলাম
– এবার দেও কিস প্লিজ
– ঠাসসস …
-কি হল?
– কি হল মানে? এভাবে কেউ আসে? তুমি সিনেমা তে দেখনাই? যাও বাইরে, ভদ্র ছেলের মত আসো
– আচ্ছা বাবা তারপর ভদ্র ভাবে ওর সামনে আসলাম। ও পায়ে সালাম করল।
– আমি তোমার সাথে সংসার করবো না
– কেন?
– সারাজীবন কি থাপ্পড় খাবো নাকি হ্যাঁ?
– এই যে মি. এই কথা আবার বললে এমন থাপ্পড় খাবা সব গুলান দাঁত পড়ে যাবে
– ধুর কি বলো? ফান করলাম তো(ভয়ে ভয়ে) তুমি তো আমার লক্ষি বউ। তোমাকে ছেড়ে কি থাকতে পারবো আমি??
বুঝতে পারলাম এই পাগলির সাথে হিসাব করে চলতে হবে। থাপ্পড় খাইতে খাইতে আমার ৩টা দাঁত এখন নগতে শুরু করছে জানেন! জয়েন করলাম এ এস পি তে। পোষ্টিং করল চট্টগ্রামে। আম্মু, বোন আর বউ রে নিয়ে চলে গেলাম! বোনটা এখন অনার্সে ভর্তি হইলো । অফিসে জয়েন করলাম। কিছুদিন পর এক বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি চোরাচালানে আটক হয়েছেন। তাকে ২ ঘন্টা আগে হাজতে আনা হয়েছে। তার বউ এবং বাচ্চা আমার সাথে দেখা করতে আসছে! ওদের ভিতরে আসতে বললাম।। ভিতরে আসতেই মহিলাটি বলে উঠলো…
– আদনান তুমি?
– এ এস পি আদনান। স্যার বলেন।
– ওকে স্যার (কেঁদে কেঁদে)
– আপনার নাম?
– জ্বি আমি শান্তা……