মজা বা প্রতিশোধ নয় চরিত্র বড়

মজা বা প্রতিশোধ নয় চরিত্র বড়

দুপুরের খাবার খেয়ে ডাইনিং টেবিলটা পরিষ্কার করে নিচ্ছি।এমন সময় আমার চাচাতো ভাইয়ের বউ সুইটি এসে চেয়ারের পিছনে দাঁড়িয়ে চেয়ার খুটতে খুটতে মাথা নিচু করে আমতা আমতা করে বলল,রুপা আপু ভাত বাড়েন তো।ক্ষুধা লাগছে।

আমি বেশ অবাক হয়ে গেলাম।যে মেয়েকে জোর করে খাওয়ানো যায় না সে আজ এভাবে সেধে খেতে চাচ্ছে তাও আবার ভাত!আমি কিছু না বলে খাবার বেড়ে দিলাম।সুইটি মাথা নিচু করে খাচ্ছে আর চোখের পানি গাল বেয়ে টপ টপ করে খাবার প্লেটে পড়ছে।বুঝতে পারলাম সংসারে অশান্তি হয়েছে।ওর চোখের পানি আড়াল করার চেষ্টা দেখে আমিও না দেখার ভান করে আর কিছু বললাম না।

আমার বড় কাকা ও আমরা পাশাপাশি দুটি একতলা বিল্ডিংয়ে থাকি।পাশাপাশি থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনার চাপে রোজ কাকার বাসায় যাওয়া হয় না।তাই তাদের সংসারের সব খবর জনি না।আমার চাচাতো ভাই আমার চার বছরের ছোট বিয়েটা আমার আগেই করেছে।তারই বউ সুইটি।ছোট ভাইয়ের বউ বলে নাম ধরে ডাকি। তারপরের দিন সকালে ভার্সিটি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হতে হতে বললাম,মা আমি আসছি! মাও রোজকার মতো একই উপদেশ বানী ছুড়ে দিল,সাবধানে যাইস।রিকশায় উঠার পর বোরকাটা গুছিয়ে নিস।

রোজ রোজ এই এক কথা শুনে আমি এক প্রকার বিরক্ত।বিরক্ত মুখটা মাকে দেখানোর জন্য পিছন ঘুরতেই লক্ষ্য করলাম,সুইটি ছাদের উপর দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে বিষন্ন মনে আমাকে দেখছে।আমি একটু দমে গেলাম।ওর মনে ঠিক কি চলছে বিষয়টি বোঝার জন্য চিন্তিত মুখে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে যখন কিছুই বুঝতে পারলাম না তখন রিকশায় উঠে চলে গেলাম। বিকেলবেলা নিজের বিছানায় উপর হয়ে শুয়ে ফেসবুকিং করছি। “রুপা আপু,আপনি ফেসবুক চালান!”হঠাৎ এমন কথায় চমকে গিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি সুইটি। আমি সৌজন্যের খাতিরে বললাম,আরে সুইটি!বস বস! ও আমার পাশে বসে একরাশ কৌতুহল নিয়ে বলল,

-আপনার আইডিতে কি নাম দেওয়া,রুপা আপু? আমি ফোনের দিকে দৃষ্টি রেখেই বললাম,
-কেন?আমার নাম।

-জানেন আপু আমি অনেকগুলো আইডি চালাইতাম।লাভ কুইন,পিংক বার্ড,অবুঝ পাখি।

-তাই!এত আইডি দিয়ে কি করতে?

-এক একটা আইডি দিয়ে এক একজনের সাথে প্রেম করতাম।

এবার আমি নিজের ফোনটা রেখে উঠে বসলাম।এইটুকু মেয়ের এমন কথায় আমি হতভম্ব।আমি বিষ্ময় নিয়ে বললাম,তুমি তো সবে এসএসসি রেজাল্ট পেলে।

-তাতে কি!আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন ভাবির দুইটা স্মার্ট ফোন ছিল।একটা আমার কাছেই থাকতো।আমি সিম কিনে ব্যবহার করতে থাকি।কয়েকদিন পর ফেসবুক আইডি খুলে অনেক সয়তানি করা শুরু করি।প্রায় প্রত্যেক জেলায় আমার বিএফ ছিল।জানেন,আমার আঠারোটা সিম ছিল। আমার চোখ কপালে উঠার উপক্রম হলো।তবুও স্বাভাবিকভাবে বললাম,

-তোমার তো জাতীয় পরিচয়পত্র নেই।তাহলে সিম নিতে কিভাবে?

-আপুর যা কথা।বন্ধুক থেকে নিতাম।আচ্ছা আপু আপনার কয়টা বিএফ? কি বলব বুঝতে পারলাম না।নিজেকে খুব ব্যাকডেটেড লাগছে এই মেয়ের কাছে।তাই প্রসংগ পরিবর্তন করে বললাম,

-আমার কথা বাদ দাও।এসব করার সময়-সুযোগ পেতে কিভাবে?

-একাউন্টিং প্রাইভেট মাসে দুই এক দিন পড়তাম।স্যারকে ফিও দিতাম না।আব্বু স্যারের ফি দিলে সেটা নিয়ে চলে যেতাম মার্কেট।রিচার্জ কার্ডও কিনতাম প্রচুর।জানেন,আমার বান্ডেল বান্ডেল রিচার্জ কার্ড ছিল। রীতিমতো আমার মাথা ঘুরছে।

-জানেন আপু স্কুল ফ্রেন্ডদের খুব মিছ করি।এমন কোন সয়তানি নাই যেটা না করছি সবাই মিলে!আর্মির সাথে পর্যন্ত আমরা প্রেম করছি!টাকা নিতাম,শপিং করিয়ে নিতাম!

আমি মুর্তির মতো বসে বসে শুধু শুনছি। ও আবার বলতে লাগলো,প্লান ছিল সব ফ্রেন্ড এক কলেজে ভর্তি হব।এখন ওরা সবাই একসাথে আছে।আর আমি বগুড়া থেকে গাজীপুর এসে জেলখানায় আটকে পরছি। বলতে বলতে চোখ দুটো ভিজে উঠলো সুইটির। আমি একটু ভ্রু কুচকে বললাম,পড়াশোনার এত সখ থাকলে এখনি বিয়ে করে নিলে কেন?তোমার বর মানে আমার ভাইও তো খুব ছোট। সবে ইন্টারমিডিয়েট ২য় বর্ষ।

-কিসের পড়াশোনা!যাইতাম তো সয়তানি করতে।ক্লাস মিছ করে ঘুরতে চলে যেতাম।

-সয়তানির জন্যই না হয় পড়াশোনার উপর থাকতে।বিয়ের জন্য এত তাড়া ছিল কিসের?

-আর বইলেন না আপু।লম্বা কাহিনি।আমি তো এক ভালোবাসতাম না।

এবার আমার বিষ্ময় সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গেল।।বলে কি মেয়ে!আমার চোখে মুখে স্পষ্ট বিষ্ময়ের ছাপ দেখে ও নিজে থেকেই বলল, আমি মন থেকে ভালোবাসতাম আদিবকে।ও অনার্সে পড়ছিল।বলেছিল,”তুমি ইন্টারমিডিয়েট দিলে আমরা বিয়ে করব।তারপরও আমি একটা পার্ট টাইম জব খুজছি।”

তারপর একটু থেমে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আবার বলতে শুরু করল, জবটা ও পেয়েও গেল,রুপা আপু।তখন পড়াশোনা,জব সব সামলে আমাকে সময় দিতে পারতো না তেমন।আমারও সময় কাটতো না।তাই ফেসবুকে আপনার ভাইয়ের সাথে কথা বলতে শুরু করলাম।আসতে আসতে ফোন নাম্বার দেওয়া-নেওয়া। তারপর রাত জেগে ফোনে কথা বলা।আবিদ অবশ্য মাঝেমাঝে ওয়েটিং পেত।রাগারাগি করে কথা বলতো না কয়েকদিন। তাতে আমার কি! আমার সময় ঠিক কেটে যেত।

-কি বল এসব!ভালোবাসার মানুষের পাশে থাকা উচিৎ ছিল।তোমাকে বৈধভাবে পাওয়ার জন্যই তো সে চেষ্টা করে যাচ্ছিল।

-অনেক সয়তানি করছি জীবনে!কতগুলো প্রেম করছি হিসাব নেই আপু। আমার আর এসব শুনতে ভালোলাগছে না।তাই বললাম,
-বিয়ের কথা বল।

-সমস্যা হলো সেদিন,যেদিন আমার শশুর আব্বা জানতে পারল।একদিন হঠাৎ করে শাওন ফোনটা তাক বাবার কাছে দিল।শশুর আব্বা আমার সাথে প্রায় ত্রিশ মিনিটের মতো কথা বলেই যাচ্ছে।একসময় মা এসে জিজ্ঞেস করলো,কিরে সুইটি,কাক সাথে এত কথা কইস?আমি উত্তর দিলাম,এক আঙ্কেল।মা বলল,কেমন আঙ্কেল যার সাথে এত সময় কথা কওয়া লাগে?সে দুম করে ফোনটা হাত থেকে নিয়ে কথা বলা শুরু করে দিল।এভাবে দুই পরিবারের কাছে বিষয়টি প্রকাশ হলো। এদিকে ইঁচড়েপাকা শাওন বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লাগলো।আমার বাবা দেখলো শাওনরা আর্থিকভাবে আমাদের থেকে অনেক ভালো তাই আব্বা আর দ্বিমত করল না।আমি ফান্দে পড়ে বিয়েটা করতে বাধ্য হলাম।

-হুম বুঝলাম।এখন মন খারাপ করে ছাদে দাড়িয়ে থাকা,খাবার প্লেটে চোখের পানির ফেলার কারণ কী?

– এরা আমার মনের মতোই না আপু।আমার রেজাল্ট পাওয়ার পর বললাম,”আমি কোথায় ভর্তি হবো?তারা সাফ সাফ না করে দিল।বলল আর পড়াশোনা করে কাজ নেই।”অথচ তখন শর্ত ছিল কাবিন করে রেখে দিবে।আমি কলেজ শেষ করে সংসার করব।আমার নিজেক খুব বোকা মনে হয়, জানেন রুপা আপু!আপনি যখন ভার্সিটি যান আমার খুব আফসোস হয়।বাবা সরকারি কর্মকর্তা।পড়াশোনা করলে আমিও হয়তো সেখানে নিজেকে নিতে পারতাম।

আমি আদিবের সাথে অন্যায় করলাম।আমার স্বপ্নও নষ্ট করলাম।এদিকে এই সংসারও আমার ভালো লাগছে না।
সারাজীবনের সব সয়তানির শাস্তি এখন পাচ্ছি।ভালোবাসা নিয়ে খেলা করে এখন ভালোবাসা ছাড়াই সংসার করে যাচ্ছি। এবার সুইটি প্রায় হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো।আমি ভাবছি একটা মানুষ কতটা অনুতপ্ত আর হতাশাগ্রস্ত হলে এভাবে নিজের সম্পর্কে গড়গড় করে বলতে পারে!

আমি বললাম,দেখ সুইটি,যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে।অবহেলায় সংসার নষ্ট কর না।তোমার হতাশা বা রাগের বহিঃপ্রকাশ ছোট ননদকে ঝাড়ি দিয়ে মিটিও না।শশুর শাশুড়ির সাথে বেয়াদবি করে মিটিও না।জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে সততার পরিচয় দিলে আজ হয়তো ফান্দে পড়ে অপছন্দের বিয়ে তোমাকে করতে হতো না।আমার হাদিস কালাম নিয়ে বিশেষ জ্ঞান না থাকলেও জানি, একজন চরিত্রবান পুরুষের জন্য চরিত্রবান স্ত্রী আল্লাহ জুটিয়ে দেন।তুমি আদিবের যোগ্য ছিলে না তাই তাকে পাও নি।তার জন্য একজন ভালো মেয়েই লিখা আছে যে সময় কাটাতে অন্য সম্পর্কে যাবে না।জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে সততার পরিচয় দিলে দেখবা তোমার মন প্রকৃত সুখ অনুভব করতে পারবে।কখনো কখনো অন্যের জন্য নিজের সুখ ত্যাগ করতে হয়। আমি জানি কেন সুইটিকে কলেজে ভর্তি করেনি।ওর এই ধরনের কার্যকলাপের কিছু আভাস শাওন জেনে গিয়েছিল।তাই ভবিষ্যৎ দুর্ঘটনার ভয়ে আর পড়াশোনার সুযোগ করে দেয় নি।এসব জানার পর কোন ছেলেই তার বউকে পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে পারে না।

হঠাৎ হুড়মুড় করে একটা ব্যাগ হাতে ঘরে ঢুকলো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আয়াত।সুইটিকে দেখে খানিক অপ্রস্তুত হয়ে গেল।সুইটি বিষয়টি বুঝতে পেরে বিদায় নিয়ে চলে গেল।এবার আয়াত দেবদাস ভঙ্গিতে হাত থেকে ব্যাগটা মেঝেতে নামিয়ে নিজেও মেঝেতে দুম করে বসে পড়ল।আমি তড়িঘড়ি করে নিচে নেমে ব্যাগটা তুলে নেই।সে চোখ দুটো বড়বড় করে অবাক ভঙ্গিতে বলল,আমাকে না তুলে তুই ব্যাগটা তুললি!আমার চেয়ে ব্যাগ বড়!

-হুহ!জীবনেও তো আমার জন্য হাতে করে কিছুই নিয়ে আসিস নি।এই প্রথম আনলি।দেখব না কি এতে?

-দেখ দেখ।তোর জিনিস তোকে ফেরত দিলাম।

আমি ব্যাগের মুখ খুলে দেখলাম অনেকগুলো বই।একটা একটা করে বের করে দেখলাম সবই আমার বই যা সে একবছর যাবত নিয়ে নিয়ে জমিয়েছে।হঠাৎ লক্ষ্য করলাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর রচনাসমগ্র।আমি বিদ্যুৎ গতিতে আমার বুক সেল্ফে চোখ বুলিয়ে দেখলাম সেখানে এই বইয়ের এক কপি আছে।তারপর বইটি হাতে নিয়ে উৎসুক কন্ঠে বললাম,

-কি রে।এই বইটা না তোর গার্লফ্রেন্ড জেরিনকে (দশম শ্রেণির ছাত্রী) জন্মদিন উপলক্ষে দেওয়ার জন্য কিনেছিলি?দিস নি কেন?

-দিয়েছিলাম।

-তাহলে এখানে আসল কিভাবে?

-ব্রেক আপ!

-তাই বলে উপহার ফেরত আনতে হবে?

-আনব না তো কি করব?তুই কিছু না জেনে কথা বলবি না।

-আচ্ছা হয়েছে কি বলবি তো?

-বলতেই তো এসেছি।শান্ত হয়ে বোস।

আমিও এবার মেঝেতে বসে পড়লাম। আয়াত বলতে শুরু করল, গতকাল জেরিনের জন্মদিন ছিল তুই তো জানসই।তোর থেকে ধার নিয়ে জন্মদিন পালন করার ব্যবস্থা করলাম।

-হু।

-উপহার হিসেবে এই বইটা দিলাম।বিকেলে ওর বান্ধবী সীমা ফোন দিল।সীমার ভাইয়া আবার আমার বন্ধু।ওদের বাসায় যাওয়া-আসার সুবাদে সীমা আমাকে ভালো করে চিনে।

-সে কি বলল?

-ও বলল,দেখেন ভাইয়া জেরিনের সাথে সবসময় আমার উঠাবসা।আমি অনেকদিন যাবত বিষয়টি লক্ষ্য করছি। ও কিন্ত আপনার সাথে টাইম পাস করে।এই মুহুর্তে ওর বারোটা বয়ফ্রেন্ড।তারমধ্য আপনি একজন।এতদিন যা বলেছে বা করেছে সবই অভিনয় ছিল।আজ জন্মদিনে ওর একগাদা বয়ফ্রেন্ড একগাদা উপহার দিয়েছে।আপনিই শুধু বই দিয়েছেন।এক ফ্রেন্ড জিজ্ঞেস করল,”কিরে জেরিন এই ভারি বইটা কিভাবে শেষ করবি?” উত্তরে ও তাচ্ছিল্যের সাথে বলল,পড়বে কে? এই কথা শুনে আমি সব বই ফিরিয়ে আনছি। আমি বললাম,আমার তো বিশ্বাসই হয় না জেরিন এমন মেয়ে!

-সীমা আরও বলছে,জেরিনের নাকি প্রতিজ্ঞা ছেলেদের আবেগ নিয়ে খেলে মনে কষ্ট দিবে।ক্লাস এইটে নাকি প্রথম প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়েছিল।

এবার আমি বিজ্ঞের ন্যায় মুখভঙ্গি করে বললাম,আহারে মেয়েটা এইটুকু বয়সে কত বড় দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে! আয়াত একটা বই দিয়ে আমার ডান বাহুতে আঘাত করে বলল,এই মুহুর্তেও তোর ফাজলামো করতে হয়!দ্বিতীয় আঘাত করার আগেই ওর ফোন বেজে উঠলো। ফোনে কথা বলা শেষ করে বলল,ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড দে।মনির মেসেঞ্জারে কিছু পাঠিয়েছে। মেসেঞ্জারে ঢুকতেই দুজনের চোখ চড়কগাছ!জেরিনের ভাইরাল হওয়া কয়েকটা ছবির লিংক।কমেন্ট পড়তে কমেন্ট বক্সে ঢুকে দেখলাম অসংখ্য মানুষ অসংখ্য খারাপ মন্তব্য করেছে।কমেন্ট পড়ে বুঝতাম পারলাম ওর একজন বয়ফ্রেন্ড ওর এসব কাহিনি জানতে পেরে এভাবে প্রতিশোধ নিয়েছে।

আয়াত খোঁজ নিয়ে জানত পারলো জেরিন লজ্জায় বাড়ি ছেড়ে আত্মীয় বাড়ি গিয়ে উঠেছে। মাসখানেকের মধ্যে রুপের অহংকারী মেয়ে মধ্যবয়স্ক এক পুরুষ যে কিনা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে এমন পাত্রকে বিয়ে করে এই জেলা ছেড়ে চলে যায়। আমি মনে মনে বললাম,এসব প্রেম প্রেম খেলা খেলে কারও পরিনতি ভালো দেখলাম না।অষ্টম শ্রেণির মেয়ে প্রেমে কেন জড়াবে?

বিষয়টি খুবই হাস্যকর অষ্টম শ্রেণির মেয়ে ছ্যাঁকা খাওয়ার প্রতিশোধ নিতে অন্য ছেলেদের সাথে অসংখ্য প্রেম করে নিজের চরিত্র খারাপ করে ফেলে।এটি একটি ভুল পন্থা।এতে হিতে বিপরীত হলে ক্ষতিটা কিন্তু সেই মেয়েরই হয়।ভালোবাসলে মানুষ খারাপ পথে যায় না।ভালোবাসা মানুষকে মহৎ করে।

ভালোবেসে আঘাত পেলে সেই আঘাত কাটিয়ে নিজেকে নিয়ে ভাবতে শিখো।নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে সাফল্য অর্জন কর আর মানুষের মতো মানুষ হও।অসংখ্য ছেলের মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মধ্যে কোন কৃতিত্ব নেই।আফসোস তখন লাগে যখন দেখি ছোট ছোট মেয়েরা এটাকে অহংকার মনে করে আকাশে উড়তে থাকে।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত