বাড়িওয়ালার মেয়ে

বাড়িওয়ালার মেয়ে

চাকুরীর খোঁজে ঢাকা শহরে আসা । পরিবারের বড় ছেলে আমি । পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪ জন , মা – বাবা , ছোট ভাই – আমি । বাবা এখনো তার ছোট খাটো ব্যবসা নিয়ে পড়ে আছেন , বাবার টাকায় সংসার টা কোনো রকম চলে । তাই নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে পরিবার কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাকুরী খোঁজা । তাই চাকুরী খুঁজতে ঢাকা শহরে পাড়ি দেওয়া । চাকুরী থেকে বড় টেনশান হলো এই শহরে থাকার জন্য বাসা খুজে পাওয়া । আপাদত বন্ধু সৈকতের বাসায় রয়েছি । কয়েকটা এপ্লাই করার পর ছোট খাটো একটা চাকুরী পেলাম , তাও বেতন কম ১০ হাজার টাকা । এই ১০ হাজার টাকা কম হলেও আমার কাছে অনেক । সপ্তাহে ৬ দিন অফিসে যাওয়া , শুক্রুবার বন্ধ , তাই এই বন্ধের দিনে সারাদিন আরামে ঘুমাই ।

দিন গুলো ভালোই যাচ্ছিলো হঠাৎ বন্ধুর বাসার মালিক বন্ধু কে বললেন– তোমার বন্ধু কে বলো বাসা খুঁজতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে , নাহলে তুমি বাসা ছেড়ে দাও !! বন্ধুকে যখন কথা গুলো বলছিলো তখন আমি দরজার ওপার থেকে সব শুনেছি ।
বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে ঐ দিন আমি বন্ধুর থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে গেলাম , বন্ধুর চোখে জল দেখে ও কিছু করার ছিলো না ।

ঐ দিন বাসা খুঁজার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলাম , কেউ দিতে রাজী হয়নি । তাই আর কিছু না ভেবে রেলওয়ে স্টেশনে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম । মনে ভীষণ ভয় , শুনেছি রেলওয়ে স্টেশনে চোর , পকেটমারদের বসবাস , তবুও মনে ভয় নিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম , গভীর রাতে রেলওয়ে স্টেশনে কীসের যেনো শব্দ ফেলাম !! তাড়াতাড়ি উঠে দেখতে গেলাম কোথা থেকে কীসের শব্দ আসছে ,,, উঠে দেখি কিছু লোক একজন লোক কে ধরে মারধর করতেছে এবং তার থেকে একটি লাকেজ নেওয়ার চেষ্টা করতেছে , আমার হাতের কাছে কিছুই ‌ছিলো না , তাই আশাপাশে তাকিয়ে দেখি একটি লাঠি পড়ে আছে , এটা নিয়ে যখন ওদের কাছাকাছি যাই ..

লাঠি টা নিয়ে যখন ওদের কাছে যাই তখন তারা আমাকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায় সবাই । তখন ভদ্র লোক কে আমার স্থানে নিয়ে আসলাম । যদি ও ভদ্র লোকের বেশী ক্ষতি হয়নি তবুও বলেছি হসপিটালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে । ভদ্রলোক আমার দিকে এক দৃষ্টি তাকিয়ে থেকে বললো বাবা — কে তুমি ? তোমার বাসা কোথায় ?? আমাকে ওদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আমি :– আংকেল আসলে আমার বাড়ি কুমিল্লায় , চাকুরী করার উদ্দেশ্য বাড়ি চাড়লাম অবশ্য একটা চাকুরী ও পেয়েছি , এই শহরে বাসা ভাড়া সহজে পাওয়া যায় না , তাই কয়েকদিন বন্ধু বাসায় ছিলাম , ওখানে আজকে সমস্যা হওয়াতে বিকালে বাসা থেকে চলে আসলাম , তাই বাসা ভাড়া না পেয়ে থাকার জন্য রেলওয়ে স্টেশন বেঁচে নিলাম ।
তখন ভদ্রলোক বললেন ,,,

ভদ্রলোক :– কী বলো তুমি ?? আমি থাকতে তোমার সমস্যা হবে এটা কীভাবে সম্ভব , তুমি আমার সাথে চলো আমার একটি বাসা খালি পড়ে রয়েছে ওটাতে তুমি থাকবে ।
আমি :– জি , কী বলেন ?? আপনি কী আমার উপকারের প্রতিদান দিচ্ছেন ??
ভদ্রলোক :– আরে না , তোমাকে আমার ভালো লেগেছে , তুমি আমার বাসায় থাকতে পারো কোনো আপত্তি নেই ।
আমি :– সত্যি ,, আচ্ছা তবে আমার একটি শর্ত রয়েছে !?? যদি রাখেন তাহলে যাবো !??
ভদ্রলোক :– কেমন ধরনের শর্ত ??
আমি :– আমি আপনার সাথে যেতে রাজি আছি তবে , আপনাকে আমি বাসা ভাড়াও দিবো ।
ভদ্রলোক :– আমার বাসা ভাড়া লাগবে না , তুমি ফ্রি থাকবে আমার কোনো আপত্তি নেই ।
আমি :– আমার আপত্তি আছে যদি , বাসা ভাড়া না রাখেন তাহলে আমি যাবো না !!?
ভদ্রলোক :– ঠিক আছে , তবে বাসা ভাড়া ১ হাজার টাকার বেশী হতে পারবে না ।
আমি :– হা হা হা , ঠিক আছে ।
ভদ্রলোক :– ওকে চলো , তোমাকে তো আমার পরিচয়ই দেওয়া হলো না , আমার নাম – জনাব — নুরুন্নবী । আমি ব্যবসা করি , তোমার পরিচয় ??

আমি :- আমার নাম :- গাজী ফরহাদ , বাড়ি তো বললাম , পরিবারের সদস্য সংখ্য ৪ জন । মা – বাবা , ছোট ভাই – আমি । এই হলো আমার পরিচয় ।

আমি আমার মালামাল নিয়ে হাটতেছি , ওনার হাতে একটি লাকেজ ছিলো , রাত তখন ৩ টা রাস্তায় গাড়ি নেই , কিছু দূর যাওয়ার পর গাড়ি ফেলাম , গাড়িতে উঠে ওনার বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলাম ।

গাড়ি থেকে নেমে বাড়ি দেখে তো আমি অবাক !! ২ তলা বাড়ি , এত সুন্দর , বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে ভিতরে তাহলে কী রকম সুন্দর হবে তা ভাবতেছি ।
হঠাৎ
গাজী মোঃ ফরহাদ
নুরুন্নবী আংকেল :– কী ভাবছো , ভিতরে চলো !?
আমি :– না কিছু না , জি চলুন ।

দারোয়ান গেট খুলে দিলেন , আমরা বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি , আংকেল ২-৩ বার কলিংবেল বাজানোর পর দরজা খুলে দিলেন একজন ভদ্রমহিলা , ভদ্রমহিলার চোখে পানি ,

ভদ্রমহিলা :– কী হলো ?? এতক্ষণ কোথায় ছিলে ?? মোবাইল বন্ধ কেনো ?? এদিকে আমরা টেনশান করতে করতে শেষ !।

বুঝার আর বাকী রইলো না , ওনি আংকেলের স্ত্রী ।

আংকেল :– আসলে একজন এর কাছে থেকে টাকা আনতে গিয়ে লেট হয়ে গেলো , আসার সময় তো আমাকে পকেটমার ধরেছে , এই ছেলেটি ( আমার দিকে আঙ্গুলের ইশারা দিয়ে ) আমাকে তাদের হাত থেকে বাঁচালো ।

আন্টি :– কী বলো ?? তোমার কোনো সমস্যা হয় নি তো, দেখি ??
আংকেল :– না , আমার কিছু হয় নি , ওর নাম – ফরহাদ , ও আজ থেকে আমাদের বাসায় থাকবে । অনেক ভালো ছেলে !।
আমি :– আসসালামু আলাইকুম , আন্টি ।
আন্টি :– ওয়ালাইকুম সালাম ,কেমন আছো বাবা ??
আমি :– জি আন্টি ভালো আছি ।

এরপর আংকেল আমাকে আমার রুম টা দেখিয়ে দিলেন , আমার রুম টা ২য় তলায় পড়েছে , রুমে ডুকে তো অবাক সব জিনিস পত্র সুন্দর ভাবে সাজানো ,সব জিনিস পত্র রেখে বাথরুম থেকে ফ্রেস হয়ে আসলাম , যেহেতু রুম টা সব ঠিক ঠাক তাই রুম ঠিক করার প্রয়োজন নেই , ভাবলাম বাড়িতে একটা কল দিবো , যদি ও নিয়মিত কথা হয় বেশী রাত হওয়াতে আর কল দেওয়া হয় নাই ।

আন্টি নিজ হাতে করে খাবার নিয়ে আসলো ,

আন্টি :– খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ো , তোমার না কাল অফিস আছে !?
আমি :– একটু অবাক হলাম , আন্টি আপনি কীভাবে জানেন আমার কাল অফিস আছে ??
আন্টি :– তোমার আংকেল বলেছে , তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়ো , কেমন ? শুভ রাত্রী ।
আমি :– ওকে আন্টি , শুভ রাত্রী ।

খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম ,
সকাল বেলা আন্টি এসে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিলো , তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেস হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হবো , ঠিক তখন আন্টি বললো –

আন্টি :– নাস্তা করে যাও , তোমার জন্য সকালের নাস্তা তৈরি করেছি ।
আমি :– কী প্রয়োজন ছিলো কষ্ট করার বাইরে খেয়ে নিতাম !?
আন্টি :– তুমি তো বেশী কথা বলো , নাস্তা করতে বলেছি নাস্তা করে যাও ।
আমি :– অসহায়ের মতো নাস্তার টেবিলে বসে নাস্তা খেয়ে অফিসে চলে আসলাম ।

অফিসের কাজ শেষ করে , সন্ধ্যায় আবার বাসায় ফিরলাম , বাসায় আসতে আসতে চিন্তা ভাবনা করলাম , আমি তো ভাড়াটিয়া আমার জন্য কেনো ওনারা এত কষ্ট করতেছে , এবার থেকে নিজে রান্না করে নিজে খাবো ,
গাজী মোঃ ফরহাদ
ওনারা কেনো আমাকে খাওয়াবে । ভাবতে , ভাবতে বাসার সামনে চলে আসলাম । দারোয়ান চাচা গেট খুলে দিলেন , দরজায় বেল বাজানোর সাথে সাথে দরজা খুলে গেলো ।
সামনে তাঁকিয়ে তো অবাক হয়ে গেলাম ,,,,,,

সামনে তাঁকিয়ে তো অবাক হয়ে গেলাম !।
আকাশ থেকে নেমে আসা পরী মনে হয় আমার সামনে দাঁড়িয়ে রইলো , ‌কে এটা ( নিজেকে নিজে প্রশ্ন কতরলাম ) ??
মেয়ে :– এই যে মিষ্টার , কী চাই ??
আমি :– আসলে ….
আন্টি :– নাদিয়া , ও ফরহাদ আমাদের বাড়ির নতুন ভাড়াটিয়া , তোমাকে তো বলতে ভুলে গেলাম !। আন্টি ফরহাদ ও আমার মেয়ে ।
নাদিয়া :– ও , মিষ্টার ফরহাদ সাহেব ভিতরে আসুন !?
আমি :– ও , জি । এত সুন্দর মেয়েও পৃথিবীতে আছে নাকী ??
নিজের রুমে এসে ফ্রেস হয়ে ছাদে গেলাম , সময় টা কাটানোর জন্য ।
গুণগুণ করে গান গাচ্ছি , হঠাৎ পিছন থেকে ….
নাদিয়া :– হুম , হুম হাল্কা কাঁশি দিয়ে , আমি আশা করছি অনুমতি ছাড়া কেউ ছাদে আসুক , সেটা যেই‌ হোক !।
আমি :– সরি , আসলে সময় টা পার করার জন্য ছাদে আসলাম , দুঃখিত পরর্বতীতে এই রকম ভুল হবে না ।
নাদিয়া :- কোনো সমস্যা নেই , সামনে থেকে যেনো আর না দেখি !?
আমি :– ওকে , আপু ।
নাদিয়া :– আপু , কে আপু !?? আমি আপনার ছোট , তুমি করে বলবেন ?
আমি :– আচ্ছা ঠিক আছে , আপু !!
নাদিয়া :– আবার !??
আমি :– 👅👅 সরি ।
নাদিয়া :– ইটস ওকে ।

নিচে নামতে , নামতে হাঁসির আওয়াজ শুনতে ফেলাম , পিছনে তাঁকাতেই মুখে হাঁসি নেই ।
রুমে চলে আসলাম , এসে চিন্তা ভাবনা করতে লাগলাম কাল থেকে নিজে রান্না করে খাবো , তাদের কে কষ্ট দেওয়ার মানেই আসে না ।
ভাবতে , ভাবতে হঠাৎ নাদিয়ার আগমণ , হাতে মনে হয় খাবারের প্লেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ।
নাদিয়া :– খাবার খেয়ে নিন , রাত তো অনেক হলো ।
আমি :– জি খেয়ে নিচ্ছি , ও আচ্ছা আন্টি কে মনে করে বলবেন , কাল থেকে আমি নিজে রান্না করে খাবো ।
নাদিয়া :– কেনো , আমাদের সাথে খেলে সমস্যা কী ??
আমি :– আসলে এটা খারাপ দেখা যায় , আপনি আন্টি কে বলবেন ।

নাদিয়া কিছু না বলে চলে গেলো ।
খাবার খাচ্ছি , হঠাৎ আন্টির আগমন !

আন্টি :– ফরহাদ , তুমি নাদিয়াকে কী বলছো ?? কাল থেকে নাকী আমাদের সাথে খাবে না , কেনো কোনো সমস্যা হয় তোমার ??
আমি :– না আন্টি , তেমন কিছু না , আসলে এটা খারাপ দেখা যায় , তাই বললাম ।
আন্টি :– প্রয়োজন নেই , তুমি আমাদের সাথে খাবে ,এটাই ফাইনাল ।
আমি :– আন্টি …….
আন্টি :– তোমার আর কোনো কথাই শুনছি না ।
এই কথা বলে আন্টি চলে গেলো ,

আমি :– খাবার শেষ করে , মোবাইল টা হাতে নিয়ে বাড়িতে সকলের সাথে কথা বলে শুয়ে পড়লাম ।
গাজী মোঃ ফরহাদ
হঠাৎ নাদিয়ার আগমণ , এত রাতে আপনি …..

এত রাতে আপনি …….
নাদিয়া :– চুপ .. আস্তে ……
আমি :– ………..
নাদিয়া :– আসছি ২ জনে মিলে গল্প করতে ,,, কী খাবেন বলুন চা খাবেন নাকী কপি !??
আমি :– এতরাতে গল্প করবো…?
আচ্ছা ঠিক আছে … চা নিয়ে আসুন .. চা আমার ফেবারিট ।
নাদিয়া :– চা খাবেন ? ডেলে‌ দেই ,,,,😝😛 ৫ মিনিট ওয়েট করুন ,, আমি চা বানিয়ে নিয়ে আসছি …
আমি :– 😂😁 ওকে , অপেক্ষায় রইলাম ,,

মনে মনে ভাবছি , কোন মাইনকা চিপায় যে পড়লাম , এতরাতে‌ কীসের গল্প করতে আসছে .. আল্লাহই ভালো জানে । ভাবতে , ভাবতে হঠাৎ নাদিয়ার আগমণ ,,
নাদিয়া :– আসতে পারি ….?
আমি :– কেনো নয় , আসুন ।
নাদিয়া :– এই নিন , আপনার টা ( চায়ের কাপ ) এগিয়ে দিয়ে ।
আমি :– অসাধারণ চা বানান তো আপনি … ( চায়ের কাপে চমুক দিয়ে ) ।
নাদিয়া :– ধন্যবাদ ,,, একটি গল্প বলুন না …. একটু শুনি ( আবদারের সুরে )
আমি :– কী গল্প বোলবো ..!? আমি তো তেমন গল্প পারি না .. আচ্ছা আপনি বলুন.. আমি শুনি !!
নাদিয়া :– তাহলে শুনুন ……….
নাদিয়া গল্প বলতে থাকলো আমি শুনতে থাকলাম , এইভাবে চলছিলো দিন গুলি । অফিস , বাসা , নাদিয়া , গল্প ।
হঠাৎ ‌ভোর বেলা বাড়ি থেকে কল আসলো , দাদু মারা গিয়েছে ,,,, 😫😭 তখন মাথায় তো আকাশ ভেঙ্গে পড়লো । তাই ভোর বেলায় কাউকে ডাক না দিয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হলাম , অফিসের ১ ক্লাইন্ট কে ভোর বেলা কল দিয়ে অফিস থেকে ছুঠি নেওয়ার কথা বলে দিয়েছি , তাকে সব খুলে বলার পর সে টেনশান না করার জন্য বলেছে ।
তাই‌ ব্যাগ গুছিয়ে ঢাকা থেকে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম ।
রাতে ভুলে মোবাইলে চার্য না দেওয়াতে মোবাইল বন্ধ হয়ে গিয়েছে । কোন মাইনকা চিপায় পড়লাম কে জানে । দুই দিকে চলছে টেনশান , ঐ দিকে বাড়িওয়ালা আন্টিরা কী ভাবছে কে জানে , আরেক দিকে বাড়ির টেনশান , দারওয়ান চাচা কে অবশ্য বলে এসেছি ।
বেলা ১১ টায় বাড়িতে আসলাম , এইদিকে কান্নার আওয়াজ , নিজেও কান্না করতে করতে শেষ , বেলা ৩ টায় দাদু কে মাটি দেওয়া হলো ।
নিজের মোবাইল টা চার্য থেকে খুলে ,, বাড়িওয়ালা আন্টি কে কল দিলাম , আন্টি তো কল ধরে কান্না শুরু করে দিলো …!
আন্টি :– ফরহাদ তুমি কোথায় গেছো .. আমরা তো টেনশান করতে করতে শেষ.. এই দিকে নাদিয়াও কান্না করতে করতে অস্থির ।
আমি :– আন্টি আসলে দাদু মারা গিয়েছে ভোর বেলায় ,তাই আপনাদের কাউকে বলি নাই , রাতে মোবাইল চার্যে না দেওয়াতে মোবাইল বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাই কল ও করতে পারি নাই ।
আন্টি :– কী বলো ,, আমরা ঘুমালে সমস্যা কী এত বড় দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেছে তুমি আমাদের জানালে না ??
আমি :– আসলে ……
নাদিয়া :– কী না বলে চলে গিয়েছো ( কান্না সুরে ) আমি তোমাকে বেশী ডিস্ট্রাব করি তাই না , ঠিক আছে আর কখনো তোমাকে ডিস্ট্রাব করবো না , তবুও প্লিজ তুমি ফিরে আসো ।
আমি :– আসলে নাদিয়া সমস্যা হলো…..
আন্টি :– ফরহাদ আমি নাদিয়াকে সব বলছি , তুমি কবে আসবে ??
আমি :– আন্টি অফিস থেকে তো ৩ ‌দিনের ছুটি দিয়েছে ,, আমি কাল বা পরশু চলে আসবো ।
আন্টি :– ওকে তোমার আব্বু – আম্মুকে আমার সালাম দিও ।
আমি :– আচ্ছা ,,, আন্টি , ভালো থাকবেন ।

২ দিন পর আবার ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হলাম …..দারওয়ান চাচা ভালোর খবর জিঙ্গাস করলেন । দরজা খোলাই ছিলো ,,কাউকে দেখতে না পেয়ে নিজের রুমে চলে আসলাম , ফ্রেস হয়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখলাম ,,, নাদিয়া খাটের উপর বসে আছে ,
নাদিয়া :– আসলে ঐ দিন আমার ভুল হয়ে গিয়েছে ,,, সরি !!
আমি :– সরি বলার কোনো মানে হয় !! কোনো সমস্যা নেই ।
নাদিয়া :– খাবার রেখে যাচ্ছি মনে করে খেয়ে নিও ।
আমি :– আচ্ছা ,
নাদিয়া চলে গেলো ,, খাবার শেষ করে শুয়ে পড়লাম ,, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে অফিসে চলে গেলাম ।
দুপুর বেলা হঠাৎ আন্টির মোবাইল থেকে কল আসলো ,,, রিসভ করলাম ..
আন্টি :– ( কান্না সুরে ) ফরহাদ ,, তুমি তাড়াতাড়ি ওমুক হসপিটাল আসো ,, নাদিয়ার একসিডেন্ট হয়েছে।
আমি :– কী বলেন আন্টি ,,, আমি এখনি আসছি ।

পরর্বতী পর্বে বাকি লেখাটা আসছে… ,
ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন , ক্ষমা করবেন ।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত