মেয়েটি আমার দিকে কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো কিছুটা সময় । অবশ্য আমি মেয়েটাকে যা বলেছি তাতে আমার দিকে কেবল কঠিন দৃষ্টিতেই নয়, বরং লাঠি নিয়ে মারতে আসা উচিৎ ! চেনা নাই জানা নাই কাউকে বললেই হল যে আপনি কি কিছু সময়ের জন্য আমার সাময়িক প্রেমিকা হবেন ! মেয়েটা যে এখনও চুপ করে আমার কথা শুনছে সেটার জন্যই মেয়েটাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিৎ !
আমি আবারও বললাম
-প্লিজ কিছু বলতে হবে না । কেবল পাশে দাড়িয়ে থাকবেন !
মেয়েটি আরও কিছু সময় আমার দিকে ঠান্ডা চোখ তাকিয়ে থেকে বলল
-শুনুন আমি এমনিতেও অন্য টেনশনে আছি । আপনি এখন যান প্লিজ !
আমাকে চলে যেতে বলে দেখলাম মেয়েটা নিজেই উঠে গেল নিজের সিট থেকে । আমি নিজে বসে রইলাম । চুপচাপ ।
বসুন্ধরার আট তলার ফুডকোর্টে বসে আছি । একা একা এখানে অনেক কম আসা এখন । আগে নিনার সাথে আসতাম প্রায়ই । কিন্তু ওর সাথে ব্রেকআপ হওয়ার পর এখানে আসা কমিয়ে দিয়েছি অনেক । আজকে অনেক দিন পরে আবার যখন এসে হাজির হলাম তখন নিনাকে দেখতে পেলাম । তার নতুন বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । এমন মেজাজ খারাপ হল । মনে হল ব্রেকআপের পরে ও বয়ফ্রেন্ড নিয়ে এসেছে আর আমি কাউকে নিয়ে আসতে পারি নি এটা ও জানতে পারলে আমার উপর খুব হাসবে ! ওর সেই মুচকি হাসি সহ্য করা কঠিন হবে তখন !
কিছু সময় কি করবো বুঝতে পারলাম না । ভাবছি চলে যাবো কি না । সেই সময়ে মাথায় কথাটা এল । মনেহল যে কাউকে বললে হয়তো রাজি হয়ে যেতে পারে আমার সাময়িক গার্লফ্রেন্ড হিসাবে অভিনয় করার জন্য । একটা মেয়েকে যদি রাজি করানো যায় বলে কয়ে তাহলেই হবে যাবে । এদিক ওদিক তাকিয়ে এমন কাউজে খুজতে লাগলাম । তখনই মেয়েটাকে দেখতে পেলাম । আমার ঠিক সামনের টেবিলে বসে আছে । কিছু একটা নিয়ে যেন চিন্তা করছে ।
আসলে আসে পাশে আর সবাইকেই দেখলাম জোড়ায় জোড়ায় এসেছে । কেবল এই মেয়েটাই একলা বসে আছে । আর কিছু না ভেবে মেয়েটার দিকে এগিয়ে গেলাম । যদিও অন্য সময় হলে আমি এই কাজটা করতে পারতাম না মোটেও কিন্তু এখন মাথার ভেতরে অন্য কিছু কাজ করছে না । নিনা দেখে ফেলার আগেই কাজটা করতে হবে নয়তো এখান থেকে কেটে পড়তে হবে ।
মেয়েটা রাগ করে চলে যাওয়ার পরে আমি এদিকও ওদিক তাকাতে লাগলাম । কিন্তু একা আছে এমন একটা মেয়েকেও খুজে পেলাম না । আর এও জানি যে অন্য যে কোন মেয়েকে বললেও উত্তরটা সেই একই হবে । অবস্থা আরও খারাপও হতে পারে । আগের মেয়েটা কিছু বলে নি বলে বেঁচে গেছি ।
আর কিছু সময় এদিক ওদিক তাকিয়ে মনে হল এখানে আর থেকে লাভ নেই । আমি বরং বাড়িে দিকে হাটা দেই । নিনা দেখে ফেলার আগেই কেটে পড়ি ।
একটু ঘুর পথে সিড়ির দিকে পা বাড়ালাম । সিড়ির কাছে পৌছে গেছি ঠিক তখনই সেই আগের মেয়েটাকে দেখতে পেলাম । মেয়েটা যেন ফ্রিজ হয়ে দাড়িয়ে আছে । মেয়েটার ঠিক সামনেই একটা ছেলে । এবং তার সাথে অন্য একজন মেয়ে ।
ছেলেটাকে দেখে কেমন একটু বিব্রত মনে হচ্ছে আর তার সাথের মেয়েটা কেমন বিরক্ত চোখে তাকিয়ে আছে দুজনের দিকে । আর আগের মেয়েটার মুখটা যেন আরও একটু বিষণ্ণ হয়ে গেছে । আমার কেন জানি অবস্থাটা বুঝতে মোটেই কষ্ট হল না । এতো দেখি আমার মত কেইস ।
একবার মনে হল মুখ ঘুরিয়ে চলে যাই । কিন্তু যেতে পারলাম না । সোজা মেয়েটার পাশে গিয়ে মেয়েটার কাধে হাত দিয়ে বললাম
-আরে এতো রাগ করলে হয় ? একটু দেরি হয়েছে বলে চলে যেতে হবে । সরি বেইবি ।
মেয়েটা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকালো কয়েক মুহুর্ত । আমি চোখে চোখে কিছু বলার চেষ্টা করলাম । আর মনে হল মেয়েটা সেটা বুঝতেও পারলো সাথে সাথেই । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-তুমি আজকেও দেরি করেছো ?
-সরি তো বাবু ! আর হবে না । চল চল খুব ক্ষুধা লেগেছে । চল …..
-যাবো না তোমার সাথে ……
-আহ এমন করলে আমি কোথায় যাবো বল …. তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে !
আমি সামনে তাকিয়ে দেখি সামনে দাড়ানো ছেলেটার চেহারা কেমন বদলে গেছে ততক্ষনে । বুঝতে কষ্ট হল না যে আমার অনুমান মোটেই ভুল ছিল না । এবং এই চেহারার পরিবর্তনটা মেয়েটারও চোখে পড়েছে । মুখটা স্বাভাবিক করে এনেছে । এমন একটা ভাব যেন আমার উপর তার রাগ কমেছে ! মেয়েটা বলল
-আর এমন হবে না তো ?
-কোন দিন না । এবার আমি একদিন আগে থেকে এসে হাজির হব কথা না !
-হুম হয়েছে ! ঢং !
চট করেই সামনের ছেলেটার দিকে আরেকবার তাকিয়ে নিলাম । ছেলেটা খানিকটা অবিশ্বাস চোখে আমাদের কথা বার্তা শুনছে । মেয়েটা বলল
-ও তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই । এটা আমার এক্স । রাফি ….. তোমাকে বলেছিলাম ।
-ও । আচ্ছা !! আপনি …।
বলে আমি হেসে ফেললাম ।
আমার হাসি দেখে রাফি সাহেবের চেহেরা আরও কেমন যেন হয়ে গেল । আমি বললাম
-আমার আপনাকে দেখার বড় শখ ছিল । বড্ড ইচ্ছে ছিল এমন এমন বেকুবকে হবে যে ওর সাথে ব্রেকআপ করতে পারে ..। যাক দেখা হয়ে গেল ।
তাকিয়ে দেখি রাফি সাহেবের মুখ এবার কালো থেকে একেবারে লাল হয়ে গেছে । আর আমাদের সামনে দাড়িয়ে না থেকে তাড়াতাড়ি হাটা দিল । আমি ওদের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুটা সময় । এমন সময় মেয়েটা বলল
-থেঙ্কিউ !
-এনি টাইম ! আপনি আমাকে সাহায্য না করতে পারেন তবে আমি কি বসে থাকতে পারি বলুন !!
মেয়েটা এবার বলল
-আপনার জিএফ কোথায় ? চলেন তাকেও একটু মজা দেখানো যাক !
-চলুন !
নিনার মুখটা দেখা মত হল যখন আমি মেয়েটার সাথে ঠিক ওর পাশের সিটে গিয়ে বসলাম । আসলে নিনার কোন দিন ধারনাই ছিল না যে আমি ওকে ছাড়া অন্য কোন মেয়ের সাথে ঘুরতে পারবো । নিনাকে কিছু বলতেও হল না । আমি কেবল মেয়েটাকে নিয়ে ওর পাশের টেবিলে গিয়ে বসলাম আর কাপোলদের মত ভাব ধরে কথা বলতে লাগলাম । নিনাকে দেখলাম লাল হয়ে উঠে যেতে । আর ওর নতুন বয়ফ্রেন্ড কি হয়েছে বেইবি এই বাবু টাইপের কথা বার্তা বলতে বলতে ওর পেছন পেছনে দৌড়াতে লাগলো ।
বেশ মজা নিয়ে তাকিয়ে রইলাম ওদের দিকে । ওরা চলে গেলে এবার তাকাল মেয়েটার দিকে । এতো সময় পরে তাকিয়ে দেখি মেয়েটা বেশ লাগছে । আগে মেয়েটার মন খারাপ ছিল তাই হয়তো এতো সুন্দর লাগছিলো না, কিংবা আমার চিন্তা ভাবনা গুলো অন্য দিকে ছিল বলে আমিও খেয়াল করি নি কিন্তু মেয়েটার চেহারায় একটা আলাদা আলো দেখা যাচ্ছে ।
আমি বললাম
-রাফি সাহেব কিন্তু আসলেই একটু বেকুক কিসিমের বলতে হবে ।
-কেন ? এই কথা কেন বলছেন ?
-আরে ওর কারেন্ট গার্লফ্রেন্ডকে দেখেছেন । আপনার মত মেয়ের সাথে যে ব্রেকআপ করতে পারে তার থেকে বড় আহম্মক আর কে হতে পারে ?
-ফ্ল্যার্ট করছেন !
-করতে দোষ কোথায় বলুন ?
মেয়েটা হেসে ফেলল । তারপর বলল
-ওকে আপনি আমাকে সাহায্য করেছেন । আমি আপনাকে হেল্প করলাম । ব্যাস আমাদের যাত্রা এখানেই শেষ । ভাল থাকবেন । আমি আসি !
-আরে আরে কোথায় যান । অন্তত মোবাইল নাম্বারটা দিয়ে যান ।
-বলেছি না আমাদের যাত্রা এখানেই শেষ ।
-আরে অন্তত আমার নাম্বার টা নিয়ে যান । দেখেন আপনার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডের চেহারা দেখে মনে হল সে ঠিক আপনার সাথে দেখা করবে তখন যদি আমার সাথে আপনার যোগাযোগ না থাকে তাহলে এই মিথ্যা প্রকাশ পেতে সময় লাগবে না । অন্তত আমার নাম্বার টা আপনার কাছে থাকুক । আপনি না চাইলে ফোন দিবেন না । ব্যস !
মেয়েটার আমার কথাটা মন ধরলো । তারপর আমার নাম্বার টা নিজের মোবাইলে সেভ করে নিল ।
মেয়েটা যখন হাটা দিলো আমি পেছন থেকে বললাম
-নামটা জানা হয় নি ।
-অাজানাই থাকুক না হয় !
দুই
আমার কেন জানি মনে হচ্ছিলো মেয়েটা আমাকে ঠিক ঠিক আবার ফোন দিবে । ঠিক ৫ দিন পরে আমার ধারনা ঠিক হয়েই গেল । আমি তখন সবে মাত্র ক্লাশ শেষ করে বের হয়েছি । তখনই একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন ।
-আপনি ডিএমসিতে কতক্ষনে আসতে পারবেন ?
-সরি কে বলছেন ?
-আমি । মনে নেই ?
আমার চিনতে কয়েক সেকেন্ড লাগলো । তারপরই বললাম
-ও আপনি ! আমি ক্যাম্পাসেই আছি । খুব বেশি সময় লাগবে না । ১৫ মিনিট সর্বোচ্চ ।
-আসুন তাহলে । এসে ফোন দেন !
আমার ফোন পেয়ে মনে হল যে মেয়েটার ডিএমসিতে নিশ্চয় কোন কাজ আছে কিংবা কেউ ভর্তি হয়ে আছে কিন্তু যখন ফোন দিলাম তখন দেখি মেয়ে তো এখানে পড়াশুনা করে । তার মানে ডাক্তার । খাইছে আমারে !
আমার কাছে আসতেই বললাম
-আপনি ডাক্তার ?
-এখনও হয়নি । হব !
-ওয়াও ! আপনাকে দেখে তো রোগীর অর্ধেক রোগ ভাল হয়ে যাবে !
-অনেক পুরাতন ডায়ালগ !
-কিন্তু এখনও কার্যকরী !
মেয়েটা হেসে ফেলল । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আসুন ওখানে বসা যাক ।
-রাফি সাহেব আসবে নাকি ?
আমার কথার জবাব না দিয়ে মেয়েটা চুপ করে রইলো । তারপর বলল
-আমার আসলে ওর সাথে ফেরৎ যাওয়ার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে নেই । ঐদিনের পরের দিনই রাফি আমার কাছে এসেছিল । আমি ওকে দুর করে তাড়িয়ে দিয়েছি । এবং তারপর থেকেই বেশ ভাল আছি, বেশ আনন্দে আছি । কিন্তু ঐ বেটাকে দেখাতে ইচ্ছে করছে আমার ভাল থাকাটা ! দেখাতে ইচ্ছে করছে যে দেখ বেটা তোকে ছাড়া আমি কত ভাল আছি !
-কোন সমস্যা নেই । এখন কি আপনার নামটা বলা যায় ?
-আমি সুপ্তি !
আমি নিজের নাম বললাম । আরও কিছু বলতে যাবো ঠিক তখনই দেখি সুপ্তি আমার দিকে আরও একটু এগিয়ে এল । ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম আরও একটু পরে । ডান দিকে তাকিয়ে দেখি রাফি সাহে হেটে হেটে যাচ্ছে । তার চোখ আমাদের দিকে আর চেহারার অবস্থা অন্য রকম । আমি হাত নাড়লাম । আমার হাত নাড়া দেখে বেচারা হাটার গতি বাড়িয়ে দিল । সুপ্তি এটা দেখে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়লো ।
এর পর থেকেই আমাদের দেখা সাক্ষাত বেড়ে যেতে লাগলো । প্রায়ই দিনেই ক্লাস শেষ করে ওর ক্যাম্পাসের দিকে যেতাম । টুকটাক চলতেই থাকতো আমাদের মাঝে । একসাথে ছবি তুলতে লাগলাম সেগুলো ফেসবুকেও দিতে শুরু করলাম ।
নিনা এর মাঝে আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে । সে বুঝতে পেরেছে যে আমি নাকি ওকে জ্বালানোর জন্য ঐ মেয়েটার সাথে বেশি ঘোরাঘুরি করছি । আমি কোন উত্তর না দিয়ে কেবল হাসির ইমো দিতে লাগলাম । খুব ভাল করেই বুঝতে পারছি যে নিনার কিছুতেই এই ব্যাপােরটা সহ্য হচ্ছে না । ঠিক যেমন টা সহ্য হচ্ছে না রাফি সাহেবের ।
ওদেরকে জ্বালানোর জন্য আমরা যে কাজ কর্ম করতে লাগলাম সেগুলো করতে করতে কখন যে একে অন্যের অনেকটা কাছে চলে এলাম বুঝতেই পারি নি । বেশ কিছুদিন পরের কথা । সন্ধ্যাবেলা সুপ্তি আমাকে ফোন দিয়েছে । খানিকটা ঠান্ডা লেগেছে আমার । একটু একটু কাশছি । ফোনের ভেতরেই কাশির শব্দ শুনে সুপ্তি বলল
-তোমার শরীর খারাপ ?
-আরে না । সামান্য কাশি !
-তুমি আবার ডাক্তার হলে কবে থেকে ? কাশির শব্দ শুনে তো ভাল মনে হচ্ছে না ।
-আরে এরা কোন ব্যাপার না । এরকম মাঝে মাঝে হয় !
-এখনই আসো এখানে । আমি হলের সামনে দাড়াচ্ছি ।
-আরে বাবা । কিছু হয় নি তো ….
-কোন কথা না । আসতে বলছি আসো !
আমার কোন কথাই শুনলো না । শেষে বাধ্য হয়ে যেতে হল । আমাকে নিয়ে গেল ওর এক প্রফেসরের বাসায় । কত কথা যে সেই লোক জানতে চাইলো । সামান্য কাশির জন্য এতো কথা কেউ জানতে চায় । ঔষধ তো লিখলোই সাথে আবার টেস্টও লিখে দিলো ।
বাইরে এসে যখন ওকে কিছু বলতে যাবো কিন্তু ওর মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে পারলাম না । ও তখন প্রেস্ক্রিপশনের দিকে তাকিয়ে আমাকে বলেই যাচ্ছে আমাকে কি কি করতে হবে ! কেন জানি ব্যাপারটা খুব বেশি ভাল লাগলো । কেউ একজন আমার জন্য কেয়ার করছে । আসার পথে ওকে ওর হলের গেটে নামিয়ে দেওয়ার সময় ছোট্ট করে জড়িয়ে ধরলাম । ও খানিকটা অবাক হলেও কিছু বললা না । ভাল করে ঔষধ খেতে বলল !
তবে সব থেকে বড় ধাক্কাটা খেলাম আরও কয়েক দিন পরে । ওকে নিয়ে রাইফেলস স্কোয়ারে ঘুরতেছি । এমন সময় একটা হট্টগোলের আওয়াজ শুনতে পেলাম । একটু পরে বুঝতে পারলাম মারামারি বেধেছে । সব দোকানের সাটার নেমে যেতে লাগলো । ওকে নিয়ে চট করে একটা দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়লাম । ওর চেহারা দেখে মনে হল ভয় পেয়েছে । আমার হাত শক্ত করে ধরে আছে । আমি ওকে খানিকটা আমার শরীর কাছে নিয়ে এসে বললাম
-ভয় নেই, আমি আছি !
ও যেন আরও একটু সরে এল আমার দিকে । বাইরে তখনও বেশ ভাল গন্ডোগলের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে । আমি আবারও ওকে বললাম
-কিছু হবে না । আমি আছি না !
আমার হাত টা এমন ভাবে চেপে ধরলো তখন আসলেই ভাল লাগলো ব্যাপারটা । কেউ একজন আমার উপর ভরশা করে রয়েছে । মন ভাল করার মত ব্যাপার ।
আরও ঘন্টা খানেক সেখানে আটকা থাকার পরে সেখান থেকে বের হলাম । ততক্ষন র্যাব পুলিশে ভরে গেছে এলাকা । আমরা আস্তে আস্তে বের হয়ে যেতে লাগলাম । গেট দিয়ে বের হতে যাবো তখনই একজন কালো পোষাক পরা র্যাবের অফিসার আমাদের পথ আটকালো ।
-জি !
-আপনাদেরকে স্যার ডাকছে !
-কোন স্যার ?
-আসুন ।
এই বলে পাশে দাড়িয়ে থাকা একটা র্যাবের গাড়ি দেখালো । আমি তখনও সুপ্তির হাত ধরে আছি । এতো সময় আমি মোটেই ভয় পাই নি কিন্তু এবার কেন জানি একটু ভয় লাগলো । এতো মানুষ রেখে র্যাবের অফিসার আমাদের কে দেখা করতে বলবে কেন ! আমি গাড়ির সামনে যেতেই এক জাম্পেস অফিসার আমাদের সামনে এসে দাড়ালো । আমার দিকে ভাল করে লক্ষ্য করে সুপ্তির দিকে তাকিয়ে বলল
-এর ভেতরে আটকা পড়েছো, আমাকে ফোন করা যায় নি ?
সুপ্তি মাথা নিচু করে রইলো । আমি ঠিক বুঝলাম না এই ভদ্রলোককে কেন ফোন করতে হবে ? তাহলে এই ভদ্রলোক সুপ্তির কোন আত্মীয় হয় নাকি !
তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-এই ছেলেটা কে ?
সুপ্তি নিচু স্বরে বলল
-ফ্রেন্ড !
-মেডিকেলের ?
-না ।
-এখন কোথায় যাবে ?
-হলে যাবো ।
-গাড়িতে করে দিয়ে আসছি !
-না দরকার নেই । অপু আমাকে নামিয়ে দেবে ।
অফিসার ভদ্রলোক বেশ কিছু সময় আমার দিকে তাকিয়ে রইলো । তারপর বলল
-আচ্ছা । সাবধানে থেকো ।
যখন ভীড় ঠেলে বের হলাম আমি সুপ্তির কাছে জানতে চাইলাম ইনি কে ?
সুপ্তি আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-গাধা বুঝো নাই । উনি আমার আব্বু !
-খাইছে আমারে ! বল কি তুমি ? তোমার বাবা র্যাবের অফিসার ! এইটা আগে বলবা না !
-কেন এইটা কেন বলতে হবে কেন ?
-না মানে ….
-মানে ফানে কিছু না ।
-র্যাবের মেয়ের সাথে তো সাবধানে কথা বলতে হবে ।
-হুম ! মনে করে রাখো এবার থেকে আমার সাথে বেশি কিছু করলে কিন্তু র্যাব দিয়ে ধরিয়ে দেব । সাবধান ।
রাইফেলস স্কোয়ারের ঘটনার পর থেকে সুপ্তির সাথে এর থেকে আরও যেন সম্পর্ক আরও ভাল হতে লাগলো । আগে তো কেবল আমরা ঐ দুজনকে জ্বালানোর জন্য দেখা করতাম এখন আর সেটা করতাম না । ওর সাথে সময় কাটাতে ভাল লাগতো তাই দেখা করতাম কথা বলতাম ঘোরাঘুরি করতাম ।
তবে একটা ভয় মনের ভেতরে ঠিকই ছিল । আমার মাঝে মাঝেই মনে হত ওকে একদিন ঠিক ঠিক বলে দেই যে আমাদের ভেতরে যা হচ্ছে সেটার একটা নাম দেওয়া উচিৎ । কিন্তু কোন র্যাবের মেয়েকে এভাবে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া খুব সহজ কথা না । রাফি সাহেব নাকি ওকে বেশ ভাল ভাবেই জ্বালানো শুরু করে দিয়েছিল মাঝ খানে । মানে আমার সাথে দেখার পর । শেষে না পেরে ওর বাবাকে বলে দিয়েছে । তারপর থেকে রাফির টিকিও নাকি ওর আসে পাশে দেখা যায় নি । ওর বাবা কি করেছে কে জানে । এমন কিছু যদি আমার সাথেও হয় । ঐদিন রাইফেলস স্কোয়ারে উনি আমার দিকে যেভাবে তাকিয়ে ছিলেন । সুপ্তি কেবল একবার বলবে ওর বাবাকে আমার নামে ব্যাস আমি গায়েব হয়ে যাবো । তাই মনে মনে রাখলাম কথাটা । তবে ওর মেলামেশাটা কমলো না । কারনে অকারনে দেখা হতেই লাগলো ।
একদিন দুপুর বেলা তীব্র বৃষ্টি হচ্ছে । ছাতা নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম ওর হলের সামনে । ফোন দিলাম ।
-হুম বল ।
-নিচে আসো
-নিচে আসো মানে ? দেখছো না বাইরে বৃষ্টি পড়ছে ।
-আরে এই জন্যই নামতে বললাম । আজকে তোমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজবো ।
-দেখো এসব কিছু ভাল লাগছে না । আমি নামবো না । আর আমার বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসে
-নামতে হবে । কোন কথা শুনবো না ।
-না নামবো না । আমার আগামী কাল ইণকোর্স পরীক্ষা আছে । আজকে বৃষ্টিতে ভিজলে কাল জ্বর চলে আসবে !
-আরে তুমি ডাক্তার হয়ে জ্বরে ভয় পাও ?
-অপু । আমি নামবো না ।
নামবো না বললেই কয়েক মিনিট বাদে ঠিকই নেমে এল ছাতা হাতে । আমি ওকে দেখে হাসি দিলাম । সুপ্তি বলল
-তুমি এসেছো বলে নেমে এলাম । ছাতা নিয়ে একটু যাবো তারপর আবার ফিরে আসবো । নো ভেজাভিজি ! ওকে ?
-ওকে চলতো আগে !
তীব্র বৃৃষ্টির ভেতরে ওকে হাটতে লাগলাম । জীবনে এতো আনন্দ আমার আর কোন দিন লাগে নি । একটা সময় আমি ছাতা বন্ধ করে ভিজতে লাগলাম । সুপ্তি আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আমি ভিজবো না কিন্তু !
-আচ্ছা তোমাকে ভিজতে হবে না । তুমি এমনিতেও হাটতে থাকো ।
কিন্তু ওর মুখ থেকে আমার মনে ওর নিজেরও ভিজতে ইচ্ছে করছে । পাঁচ রাস্তার মাথায় এসে আমরা ডান দিকে মোড় নিলাম । এদিকটা লোকজন এদমন কম । এই বৃষ্টি ভেতরে রাস্তাটা একেবারে ফাকা । তারপর ওর ছাতাটা এক টানে সরিয়ে দিলাম ।
-অপু …..। মার খাবা কিন্তু ..।
কিন্তু ততক্ষনে দেরি হয়ে গেছে । আমি বললাম
-যে বৃষ্টি হচ্ছে এমনিতেই ভিজে গেছো । এই ছাতা দিয়ে কিন্তু সেটা আটকাবে । আর আমি খুব ভাল করেই জানি তোমার নিজেরও বৃষ্টিতে ভিজতে খুব ইচ্ছে করছে ।
সুপ্তি খানিকটা রাগী রাগী ভাব করার চেষ্টা করলো কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারলো না । দুজন এক সাথে বৃষ্টিড়ে ভিজতে লাগলাম !
পরবর্তি আধা ঘন্টা আমরা এদিক ওদিক ঘুরতে লাগলাম । খানিকটা ইতস্তর করে ওর হাত ধরে হাটতে লাগলাম । সত্যি বলতে এমন একটা চমৎকার দিন আমার জীবনে আসবে আমি ভাবতেই পারি নি কোন দিন । একদিন সাময়িক প্রেমিকার অফার দিয়ে সুপ্তির সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল । আর আজকে ওর হাট ধরে বৃষ্টিতে ভিজছি !
হাটতে হাটতে একেবারে শেষ মাথায় এসে পরেছি । আসে পাশে কেউ নেই । সুপ্তি আমার পাশে হাটছে আর একটু একটু যেন কাঁপছে ঠান্ডার বৃষ্টির পানির জন্য, অনেক সময় হয়ে গেছে এই জন্য । একটা গাছের নিচে এসে দুজনেই কিছু সময় দাড়ালাম ।
ওর ঠোঁটের দিকে তাকাতেই লক্ষ্য করলাম যে বৃষ্টির পানি লেগে সেট আরও যেন বেশি লাল হয়ে গেছে । মৃদু ভাবে কাঁপছে । আমার নিজের কাছে কি হল ওকে ধরা আমার ঠিক সামনে নিয়ে এলাম । একেবারে আমার মুখোমুখি । আমার চোখের দৃষ্টিতেই কিছু একটা ছিল যে সুপ্তি নিজেও বুঝতে পেরেছিলো আমি কি করতে যাচ্ছি । কিন্তু ও আমাকে বাঁধা দিল না । ওর হাত দুটো তখনও আমার হাতে ধরে ।
এতো গভীর ভাবে আমি আর কাউকে কোন দিন চুমু খেয়েছি কি না আমার মনে নেই । কেবল মনে হচ্ছে চারিদিকে কেবল বৃষ্টির শব্দ । ঠান্ডার পানিতে আমাদের দুজনের শরীরই কাঁপছে । তার মাঝে ওর ঠোঁটের চুম্বন । যখন ও নিজের ঠোঁট সরালো তখনও ওর চোখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না । সুপ্তিরও ঠিক একই অবস্থা । আর ভেজা হল না । চুপচাপ ওর হলের দিকে হাটতে লাগলাম ।
গেট দিয়ে ঢুকতে গিয়ে ও যখন একটু থামলো তখন আমি বললাম
-তাড়াতাড়ি মাথা মুছে ফেলো । কাল পরীক্ষা আছে ।
-তুমিও । তোমার ঠান্ডা লাগবে !
আমি যখন রাস্তা দিয়ে বাসায় ফিরে আসছিলাম তখনও কেবল ঐ কথাই ভাবছি । কিভাবে চুম খেয়ে ফেললাম ওকে !
ও মাই গড !
তিন
-আপনি অপু হাসান ?
-কালো পোষাক পরা র্যাবের অফিসারটিকে দেখে মনের ভেতরে কেমন জানি কূ ডেকে উঠলো । আমার খোজে এখানে এসেছে কেন ?
আমি কোন মতে বললাম
-হ্যা !
-আপনাকে একটু আমাদের সাথে আসতে হবে ।
যা ভয় পাচ্ছিলাম তাই হল । এমন কিছু হবে সেটা আমি একটু খানি আচ করতে পেরেছিলাম । কিন্তু সুপ্তি যে কাজটা করে নি সেটাও খানিকটা নিশ্চিত । ওর বাবা নিশ্চয়ই আমাদের পেছনে চর লাগিয়েছে এবং সেই ওর বাবাকে খবর দিয়েছে ঐদিনকার ঘটনার । কিন্তু সুপ্তির খোজ নেই কেন ?
গত দুই দিন ধরে সুপ্তির ফোন বন্ধ । মেয়েটা ফোন বন্ধ করে রেখেছে কেন কে জানে ? না জানি আবার কি হল । তবে তখন থেকেই মনে হচ্ছিলো ওভাবে ওকে চুমো খাওয়া মোটেই উচিৎ হয় নি । মেয়েটা স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারে নি নিশ্চয় । এই জন্য আমার জন্য যোগাযোগ করছে না ।
আমি অফিসারের সাথে সাথে গাড়িতে গিয়ে বসলাম । একবার মনে হল পেছন ফিরে দৌড় দেই । মাত্র একজন সৈনিক বসে আছে তবুও আমার দিকে খুব একটা লক্ষ্য নেই । আপন মনে গান শুনছে কানে হেড ফোন খুজে । ভাবছি এবার সিগনালে গাড়ি থামলেই নেমে দৌড় দেব ।
আমার কাছ থেকে ওরা ফোন নিয়ে নেয় নি । তার মানে আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে না । ধরে নিয়ে গেলে তো আর সাবধান হত ওরা । নাকি ওখানে নিয়ে গিয়ে আমাকে জিজ্ঞসাবাদ করবে । মনঃপুত উত্তর যদি না দিতে পারি তাহলে আমাকে নিয়ে কোথায় অস্ত্র উদ্ধার করতে যাবে । বুকের ভেতরে ঢিপঢিপ আওয়াজ নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম ।
কত সময় পার হল ঠিক বলতে পারবো না গাড়িটা ক্যান্টোরমেন্ট ভেতরের একটা বাসার সামনে থামলো । আমি তবুও বসে রইলাম । অফিসারটা গাড়ি থেকে নেমে এসে আমাকে নামতে বলল । তারপর হাত দিয়ে বাড়ির গেট দেখিয়ে দিল ।
-স্যার আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ।
আমি যখন হাটতে হাটতে বাসার ভেতরে যাচ্ছি অনুভব করলাম আমার ভেতরের তোলপাড় টা যেন আরও একটু খানি বেড়েছে । দরজা জানলা সব খোলা । বাসার ঘর থেকে টিভির মৃদু আওয়াজ আসছে । আমি দরজার সামনে কিছুটা সময় দাড়িয়া ভাবতে লাগলাম কি কবরো । একবার মনে হল এখান থেকেই দৌড় দেই । আমাকে রেখে সেই গাড়ি চলে গেছে । এখন থেকে চলে গেলে কেউ দেখবেও না । আরও খানিকক্ষন দাড়িয়ে থেকে যখন বুঝতে পারছি না কি করবো তখনই ভেতরে থেকে গম্ভীর গলার আওয়াজ শুনলাম
-দাড়িয়ে আসো কেন ? ভেতরে এস !
আমি ভেতরে পা দিলাম ।
সুপ্তির বাবা বসে আসে । সেদিনের মত ইউনিফর্ম নেই । শার্ট আর প্যান্ট পরে আছে । সামনে চায়ের কাপ । আরেকটা সোফাতে আরেক কাপ চা দেখতে পাচ্ছি । চায়ের কাপ থেকে ধোঁয়া উড়ছে । আমার কেন জানি মনে হল ওটা আমারই জন্য ।
আমাকে চোখের ইশারায় চায়ের কাপ টা দেখিয়ে দিয়ে তিনি আবারও টিভির দিকে মনযোগ দিল । আমি বাধ্য ছেলের মত সেখানে গিয়ে বসলাম । তারপর চায়ের কাপে চুমুক দিলাম । ভেবেছিলাম ঠান্ডা হবে কিন্তু আগুন গরম ।
মিনিন পাচেক কেটে গেল কোন কথা ছাড়াই । আমি কি বলবো কিছু খুজে পেলাম না । তারপর হঠাৎ করেই বলল
-তুমি আমার মেয়েকে কি করেছো ?
সাড়ে সর্বনাশ !
এখন আমি কি করেছি সেটা আমার মুখ থেকে শুনবে । স্বীকারোক্তি নিবে । তারপর আমাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যাবে ?
আমি কোন কথা না বলে চুপ করে রইলাম । এমন একটা ভাব করে রইলাম যে আমি কিছুই জানি না ! সুপ্তির বাবা এবার আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-গত দুদিন থেকে সুপ্তি জ্বরে পরে আছে । এই দুদিন ও সিএমএইচে ছিল । আজকে বাসায় নিয়ে এসেছি ।
আচ্ছা এই জন্য তাহলে ওকে আমি ফোনে পাচ্ছি না। নাহ মেয়েটা বলেছিলো ওর জ্বর আসবে । ওকে নিয়ে ওভাবে বৃষ্টিতে ভেজা উচিৎ হয় নি । কিন্তু ওর চেহারা বলছিলো যে ও আমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজতে চাচ্ছে । আমি কি করবো !
সুপ্তির বাবা বলল
-গত দুদিন ওর ঠিক হুস ছিল না । জ্বর আসলেই ওর এমন হয় সব সময় । পুরো টা সময় ও কেবল তোমার নাম নিয়েছে ।
আমার বিব্রত ভাবটা আরো বেড়ে গেল । ভদ্রলোক যা বলছে সেটা আমার কাছে খানিকটা অপ্রত্যাশিত । এভাবে আমার নাম ধরে ও ডাকবে আমি নিজেও বুঝতে পারি নি । সুপ্তির বাবা বলল
-আজ সকাল থেকে ওর অবস্থা একটু ভাল । এই জন্যই তোমাকে ডেকে নিয়ে এলাম.
খুব বলতে ইচ্ছে করলো ডেকে নিয়ে এলেন ? এটা কে ডেকে নিয়ে আসা বলে ?
আমাকে তো আপনি রীতিমত গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছেন । আমি অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পর্যন্ত কল্পনা করে ফেলেছিলাম আর আপনি বলেন কি না ডেকে নিয়ে এলাম ।
সুপ্তির বাবা বলল
-চা খেয়ে ভেতরে যাও । ডান দিকের শেষ ঘর টা সুপ্তির !
আমার আসলে ওনার সামনে বসে থাকতেই কেমন যে লাগছিলো । সরে আসার সুযোগ পেয়ে এক চুমুকে বাকি চা টুকু শেষ করে দিলাম । পারলে একেবারে দৌড়ে চলে যাই সুপ্তির ঘরে !
তখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না । একটু আগেও আমি কত কিছুই না ভাবছি আর এখন আমি ওর বাবার সামনে দিয়ে ওর বাবার অনুমুতি নিয়েই ওকে দেখতে …. ভাবা যায় !
সুপ্তি তাহলে আমার “সাময়িক প্রেমিকা” থেকে “স্থায়ী প্রেমিকা” হওয়ার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ! দেখা যাক সামনে আরও কি হয়!!
গল্পের বিষয়:
গল্প